বক্সা দুর্গ – টুটুল রায়

অমরেন্দ্র চক্রবর্তী

বক্সা দুর্গ – টুটুল রায়

আমরা বক্সা গিয়েছিলাম প্রায় অচেনা রাস্তায় ৷ আসামগামী জাতীয় সড়কে শামুকতলা ৷ তার পাশেই শ্রীনাথপুর চা-বাগান হয়ে যাওয়া সেই রাস্তা অনেক বেশি অরণ্যময় ৷ গতানুগতিক রাস্তার চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর ৷

শিলিগুড়ি থেকে রওনা হতেই দেরি হয়েছিল ৷ ভাঙাচোরা জাতীয় সড়ক বেয়ে দমনপুর মোড়ে পৌঁছতেই বেলা গড়াল ৷ ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে বীরপাড়া জলদাপাড়ার প্রবেশদ্বার মাদারিহাট ও হাসিমারা পার হয়ে দমনপুর মোড় ৷ সেখান থেকে ডাইনে গিয়েছে আলিপুরদুয়ারের রাস্তা ৷ বাঁয়ে রাজাভাতখাওয়া হয়ে বক্সা পাহাড়ের পদতলে সান্ত্রাবাড়ি ৷ আলিপুরদুয়ারে বাজারহাট সেরে বনদপ্তরের অফিস থেকে বুকিংয়ের কাগজ নিয়ে দমনপুর চৌরাস্তায় এসে উত্তরে রাজাভাতখাওয়ার বদলে আমরা রওনা হলাম পূর্বে শামুকতলার দিকে ৷ জাতীয় সড়ক গিয়েছে বক্সা সংরক্ষিত অরণ্যের সীমান্ত ছুঁয়ে ৷ তবে এখানে জঙ্গল তেমন ঘন নয় ৷ শামুকতলা, বারোবিশার রাস্তায় কিছুটা এগিয়ে আমাদের গাড়ি জাতীয় সড়ক পিছনে ফেলে বাঁয়ে ঘুরল ৷ এখন পিচরাস্তা সরু হয়ে এসেছে ৷ বিচ্ছিন্ন জঙ্গলের মাঝে মাঝে ধান, ভুট্টার খেত ৷ উত্তরে কিছুদূরেই ঘনসন্নিবিষ্ট অরণ্যরেখা ৷ কিছুক্ষণের মধ্যে চেকো বীটের চেকনাকা পেরিয়ে আমরা জঙ্গলে প্রবিষ্ট হলাম ৷ তারপর উত্তর থেকে ফের পুবমুখো হলাম গদাধর বীটের উদ্দেশে ৷ পিচরাস্তার দুপাশেই এখন গহন জঙ্গল ৷ মাথার ওপরেও অরণ্যের শামিয়ানা ৷ কিছুটা যেতেই পথে পড়ল বালা নদী ৷ নিঝুম নিঃসীম অরণ্যে কলকল শব্দে বয়ে চলেছে শঙ্খিনী নদীটি ৷ তার ওপর কাঠের তক্তা পাতা সঙ্কীর্ণ সেতু ৷ উত্তরে জঙ্গলের মাথার ওপর দিয়ে ভুটান পাহাড়ের নীলাভ তরঙ্গ ৷

নদী পেরিয়ে জঙ্গল মাড়িয়ে আরও কিলোমিটার দুয়েক যাওয়ার পরেই পাওয়া গেল গদাধর বিট অফিস ৷ অফিসের এ পাশে জঙ্গল শেষ ৷ ও প্রান্ত থেকেই শুরু হয়েছে শ্রীনাথপুরের আদিগন্ত চা-বাগান ৷ সেই বাগানের পূর্বের সীমানা এঁকেছে রায়ডাক নদী, উত্তরের দিগন্তে কৃষ্ণনীল পর্বতশ্রেণীর আবছা অবয়ব ৷

বিট অফিসে যাত্রাপথের হদিশ জেনে নিয়ে এবার আমরা চললাম জয়ন্তীর পথে ৷ এখন জঙ্গল আরও ঘন ৷ শতাব্দী-প্রাচীন মহীরুহের জটলা আর নিচে ঝোপঝাড়ের ভিড়ে জঙ্গলের ভেতর বেশি দূর দৃষ্টি চলে না ৷ রাস্তাও আর মসৃণ নয় ৷ মাঝে মাঝেই পাথর বিছানো কজওয়ের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে ঝরনার স্রোত ৷ জয়ন্তীর কিছুটা আগেই পথে পড়ল বিশালাকার এক ওয়াচটাওয়ার ৷ ‘২৩ মাইল’ নামের সেই ওয়াচটাওয়ারের আগাগোড়াই অরণ্যের রঙে চিত্রিত ৷ দোতলা টাওয়ারের একতলায় বনরক্ষীদের সাময়িক বসবাসের বন্দোবস্ত ৷ ওপরে বসার ব্যবস্থা ৷ চারপাশে ঝিমঝিম করছে বক্সার জীববৈচিত্র্যে ভরপুর জঙ্গলমহল ৷

উত্তরবঙ্গের একমাত্র ও রাজ্যের দ্বিতীয় টাইগার রিজার্ভ বক্সা অরণ্যের আয়তন ৭৫৮.৮২ বর্গ কিলোমিটার ৷ পাহাড় ও পাহাড়তলিতে বিছিয়ে থাকা এই নিবিড় অরণ্যে ৩৩টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও রয়েছে হাতি হরিণ চিতাবাঘ গোল্ডেন ক্যাট হিমালয়ান জায়ান্ট স্কুইরেলের মতো বিরল প্রাণীকুল এবং অসংখ্য প্রজাতির পাখি ৷ আছে একশো ঊনপঞ্চাশ প্রজাতির বৃক্ষ, প্রায় সওয়া দুশো প্রজাতির লতাগুল্ম, শ-খানেক প্রজাতির ঘাস, আট রকমের বেত, ছয় রকমের বাঁশ ও একশো বত্রিশ প্রজাতির অর্কিড ৷ তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটিকে আমরা এখন প্রত্যক্ষ করছি পুষ্পিত হতে, প্রাচীন বৃক্ষের মস আচ্ছাদিত কাণ্ড থেকে ঝুলে থাকতে ৷

২৩ মাইল ওয়াচটাওয়ার পিছনে ফেলে জয়ন্তী ও বক্সা মোড় হয়ে গাড়ি যখন সান্ত্রাবাড়িতে পৌঁছে যাত্রায় খান্তি দিল সূর্যদেব তার বেশ কিছুক্ষণ আগেই অস্তাচলে গিয়েছেন ৷ আসন্ন সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে পাহাড় অরণ্য আরও রহস্যময় লাগছে ৷ বনদপ্তরের অফিসকাছারি আর গোটা বিশেক কাঠের কুঁড়ে নিয়ে সান্ত্রাবাড়ির পরিসর বেশ ছোট্ট ৷ বনদপ্তরের কাজকর্ম আর অল্পস্বল্প চাষবাস করেই স্থানীয় ডুকপা ভুটিয়া ও রাজবংশীরা জীবিকা নির্বাহ করেন ৷ তবে এই শান্ত কোলাহলহীন বনবস্তিটিরই চরিত্র একেবারে বদলে যায় কমলালেবুর মরসুমে ৷ তখন সংলগ্ন ভুটানের বিভিন্ন বাগান থেকে টন টন কমলালেবু এনে জমা করা হয় সান্ত্রাবাড়ির বস্তিতে ৷ অরণ্যের সীমান্তেই বসে যায় অস্থায়ী আড়ৎ, হাটবাজার ৷ ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ব্যাপারী আর কমলা বেচতে নামা পাহাড়িয়াদের দরদামে সরগরম হয়ে ওঠে নিঝুম জনপদটি ৷

ছোট্ট বিট অফিসের ঠিক পিছন থেকেই বক্সা পাহাড়ের উত্থান শুরু ৷ ওই পাহাড়ের গা বেয়েই উঠে গিয়েছে আমাদের গন্তব্য বক্সাদুয়ারের পাকদণ্ডী ৷ পাহাড়ে ইতিমধ্যেই অন্ধকার ছেয়েছে ৷ পথ অরণ্যসঙ্কুল, অচেনাও ৷ তাই বিট অফিসারই উদ্যোগ নিয়ে দুজন স্থানীয় তরুণকে আমাদের সঙ্গে দিলেন ৷ রাস্তা দেখানোর দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি তারা পিঠে বাঁধা বেতের ডোকোয় আমাদের মালপত্রও ভরে ফেলল ৷

শ-পাঁচেক ফুট উচ্চতার সান্ত্রাবাড়ি থেকে আড়াই হাজার ফুট উচ্চতার বক্সাদুয়ারের দূরত্ব চার কিলোমিটার ৷ পথ আগাগোড়াই চড়াই ৷ কোথাও কোথাও সেই চড়াইয়ের মাত্রা বেশ দুরূহ ৷ পাহাড় বেয়ে নেমে আসা একের পর এক লাগামহীন ঝোরা রাস্তা ভেঙেচুড়ে বক্সা-যাত্রা আরও শক্ত করে তুলছিল ৷ তবে, ইতিমধ্যে পুবের আকাশে দ্বাদশীর চাঁদ উদ্ভাসিত হয়েছে ৷ মিশ্র পার্বত্য অরণ্যের চন্দ্রাতপের ফাঁকফোকর বেয়ে চুঁইয়ে নামছে চন্দ্রালোকের রুপোলি স্রোত ৷ বাতাস মুখর হয়ে রয়েছে বিভিন্ন রাতচরা পাখির ডাক আর ঝিঁঝির নিরবচ্ছিন্ন ঐকতানে ৷

গায়ে জ্যোৎস্না মেখে পাখির ডাকে কান ভরিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা সদরবাজার গ্রামে পৌঁছলাম ৷ পাহাড়ের কাঁধে স্লেটের চাল আর পাথরের দেওয়াল গাঁথা দশ-বারো ঘরের ছোট্ট গ্রাম ৷ সন্ধ্যা সাতটা নাগাদই সেখানে ঘুম নেমেছে ৷ গ্রাম ছাড়িয়ে পাহাড়ের বাঁক ঘুরতেই সামনে উদ্ভাসিত হল ইতিহাসগন্ধী বক্সা দুর্গের ধ্বংসাবশেষ ৷ তিনদিক ঘন অরণ্যাবৃত পাহাড়শ্রেণীতে ঘেরা এক চিলতে সমতলের ওপর ছড়িয়ে থাকা দুর্গের কঙ্কালটিকে সেই চন্দ্রালোকিত শরৎ-সন্ধ্যায় বড় মায়াময় দেখাচ্ছিল ৷

জলপাইগুড়ি জেলার উত্তর-পূর্বে ভুটান ও আসামের সীমান্তে সিনচু লা পাহাড় ৷ সেই পাহাড়ের দক্ষিণে বক্সা এলাকা ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত ভুটানরাজদেরই দখলে ছিল ৷ ১৮৬৪ সালের ৭ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় ভুটান যুদ্ধে ইংরেজ বাহিনী বক্সা দুর্গের দখল নেয় ৷ দুর্গ বলতে তখন ছিল গাছের গুঁড়ি দিয়ে ঘেরা এক চৌহদ্দি ও একটি সেকেলে চিনা কামান ৷ ভুটানিরা সে সবই ফেলে পুনাখা রোড দিয়ে পালিয়েছিল ৷ পরের বছর ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে ভুটানের ‘সিনচু লা চুক্তি’ হওয়ার পরে পার্বত্য এলাকা আগলাতে বক্সাদুয়ারে স্থায়ী সেনানিবাস গড়ে তোলেন ইংরেজরা ৷ দুর্গ ঘিরে থাকা তিনদিকের পাহাড়ে বসানো হয় নর্থ-ইস্ট পিকেট, ম্যাগডালা পিকেট ও কনিকাল হিল পিকেট নামের তিনটি সেনাচৌকি ৷ বাহিনীর প্রয়োজনে ব্যারাক ছাড়াও গড়ে তোলা হয় অফিসারদের পরিদর্শন বাংলো ‘লাল বাংলা’, ডাকঘর, স্কুল ইত্যাদি ৷ দুর্গ সীমান্তের বাইরে বসে সদরবাজার ৷ দুর্গের সামনে দিয়ে প্রবাহিত বক্সা ঝোরার দুটি প্রবাহই তখন জলের প্রয়োজন মেটাত ৷ সেই জলধারা একইভাবে বইছে, বাকি সবটাই স্মৃতি ৷

১৯৩০ সালে দেশ জুড়ে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হওয়ার জেরে বিপ্লবীদের কারারুদ্ধ রাখার জন্য সেনানিবাসটি সংস্কার করে ডিটেনশন ক্যাম্প খোলা হয় ৷ সেই সময় অনুশীলন সমিতির ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, যুগান্তর দলের সুরেন্দ্রমোহন ঘোষ, বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের হেমচন্দ্র ঘোষ সহ অনেকেরই ঠিকানা হয়েছিল বক্সার বন্দীনিবাস ৷ স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পরে কমিউনিস্ট আন্দোলনের জেরে ফের বক্সায় আটক হয়েছিলেন কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়, পরভেজ শাহিদি এবং আরও অনেকে ৷ ১৯৫৯ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত সেনানিবাসটি ব্যবহৃত হয়েছিল চিনের তিব্বত দখলের জেরে দেশ ছেড়ে আসা উদ্বাস্তুদের শিবির হিসাবে ৷ এরপর থেকেই অরক্ষিত সেনানিবাসটির টিনের চাল, অন্যান্য আসবাবপত্র, জলের পাইপ ইত্যাদি লুটপাট হয়ে যায় ১৯৭৭ সালে ৷ ১৯৮১ সালের ১১ মে বক্সা দুর্গের ধ্বংসাবশেষকে ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধের মর্যাদা দেন সরকার ৷

রোদ ঝকঝকে সকালে ঘুম ভেঙে বক্সার অরণ্যময় রূপ আবার নতুন করে মনকে বিবশ করল ৷ আমরা রয়েছি বনবিভাগের ডর্মিটরিতে ৷ আদতে এটা ছিল বক্সা জেলের ডেপুটি জেলারের আবাস ৷ আমাদের ডাইনে পাহাড়ের ঢালে কাঁটাতারে ঘেরা বিশাল চত্বরে বক্সার বনবাংলো ৷ অবিকল গরুমারা চাপড়ামারির বনবিশ্রামাগারের আদলে তৈরি কাঠের বারান্দায় ঘেরা, দোতলা ৷ ঢালু টিনের চাল ফুঁড়ে উঁকি দিচ্ছে সিটিং রুমের ফায়ারপ্লেসের চিমনি ৷ ডর্মিটরিটি সাদামাটা, বাহুল্যবর্জিত ৷ তবে পরিবেশ ও প্রতিবেশের গুণে বাংলোর চেয়ে কয়েক কদম এগিয়ে ৷

সাহেবি আমলের মোটা দেওয়াল, অ্যাসবেস্টসের চালের একতলা ডর্মিটরির সামনে সবুজ ঘাসে ছাওয়া এক টুকরো সমতলভূমি ৷ কিছুটা নিচে বক্সা ঝোরার জলতরঙ্গ ৷ পিছনে অরণ্যের ঠাসবুনোট ৷ বাঁয়ে কিছুটা দূরে নীরবে দাঁড়িয়ে রয়েছে দুর্গের পাথুরে অবশেষ ৷ তার পায়ের কাছেই বেশ বড়সড় একটি মাঠ ৷ চতুর্দিকে পাহাড়ের দেওয়াল তোলা ডিম্বাকৃতি মাঠটি প্রথম দর্শনেই কোনও প্রাচীন অ্যাম্পিথিয়েটারকে মনে পড়িয়ে দেয় ৷ মাঠ পেরিয়ে দুর্গের মাথা ছাড়িয়ে দক্ষিণে দৃষ্টিগোচর হয় ডুয়ার্সের দিগন্ত বিস্তৃত সমতলভূমি ৷ কালচে সবুজ অরণ্যের মাঝে অজস্র নদীরেখার গেরুয়া আঁকিবুঁকি ৷

মাঠটি থেকেই দুর্গের সিঁড়ি উঠেছে ৷ সিঁড়ির পাশেই ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সুদৃশ্য স্মারকস্তম্ভ ৷ তার ওপরে খোদিত বক্সায় কারারুদ্ধ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্দেশে ১৯৩৯ সালে কবিগুরুর লেখা ‘প্রত্যাভিনন্দন’ কবিতাটি ৷ দুর্গের চত্বরে পা ফেলতেই অতীতের মুখোমুখি হওয়ার রোমাঞ্চে গা শিরশিরিয়ে উঠল ৷ আয়তক্ষেত্রাকার সমতলের ওপর ছাদহীন সার-সার ঘর দাঁড়িয়ে ৷ নীল নির্মেঘ আকাশ আর সবুজ অরণ্যের পটভূমিকায় যেন একদল গেরুয়া বসনধারী সন্ন্যাসী ৷ নোনা ধরে, বট-অশ্বত্থের চারা গজিয়ে অধিকাংশ ঘরের দেওয়ালও আর অক্ষত নেই ৷ শুধু আট নম্বর সেলটি এখনও প্রায় অবিকৃত ৷ সেই সেলের ফায়ারপ্লেসে শেষ কবে আগুন জ্বলেছিল কে জানে!

ভ্রমণ অক্টোবর, ২০০০

সকল অধ্যায়

১. অর্ধশতাব্দীর আগের বদ্রীনাথ যাত্রা – প্রতাপকুমার রায়
২. মানস অভয়ারণ্য – সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়
৩. জলদাপাড়া অরণ্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৪. জলের ধারে ঘর – নবনীতা দেব সেন
৫. জয়ন্তীর মহাকাল মন্দির – উষা সেন
৬. তাহিতি – হরপ্রসাদ মিত্র
৭. মার্কন্ডেয় গঙ্গার উত্স সন্ধানে – অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়
৮. কেদার বদ্রী – মৈত্রেয়ী চট্টোপাধ্যায়
৯. তেহরানি হয়রানি – অমিতাভ চৌধুরি
১০. শোনপুরের মেলায় – বরুণ দত্ত
১১. এলেম নতুন দেশে – কমলা মুখোপাধ্যায়
১২. মস্কো থেকে সাইবেরিয়া হয়ে পিকিং – গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়
১৩. পাতাল-ভুবনেশ্বর – বিশ্বদীপ দত্ত
১৪. ইছামতীর মশা – শঙ্খ ঘোষ
১৫. নিকোবরের দ্বীপে – তিলকরঞ্জন বেরা
১৬. তিরতিরে নদী আর শাল জঙ্গলের দেশে – নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
১৭. আমার ভ্রমণ – মহাশ্বেতা দেবী
১৮. সুন্দরবন – হীরক নন্দী
১৯. ওপারবাংলার সুন্দরবনে – সমীর সেনগুপ্ত
২০. সাইকেলে পাঁচ বছরে ভূ-পর্যটন – ভূপর্যটক বিমল দে
২১. আঙ্কোর ভাট – প্রীতি সান্যাল
২২. হিমালয়ের সাতকাহন – ত্রিদিব বসু
২৩. স্বপ্নের পথেই যাওয়া যায় – মহাশ্বেতা দেবী
২৪. ছোট কৈলাস – সুভাষ দত্ত
২৫. বালতাল হয়ে অমরনাথ – প্রতাপকুমার রায়
২৬. মধ্য এশিয়া অভিযান – গৌতম ঘোষ
২৭. পথ হারিয়ে সিকিমের জঙ্গলে – রতনলাল বিশ্বাস
২৮. নতুন করে পাব বলে – বন্দনা সান্যাল
২৯. সেবার ব্রেকজার্নি করে – জয়া মিত্র
৩০. চন্দ্রভাগার উৎস চন্দ্রতাল সুর্যতাল – সুনীলকুমার সরদার
৩১. ওঙ্কারেশ্বর – বিশ্বদীপ দত্ত
৩২. সুন্দরবনে দুদিন – পবিত্র সরকার
৩৩. মণিমহেশ – কমলা মুখোপাধ্যায়
৩৪. দিকবিদিকে – শক্তি চট্টোপাধ্যায়
৩৫. তিস্তানদীর উৎসে – শরৎ ঘোষ
৩৬. পশ্চিমে হাওয়াবদল – মধুপর্ণা দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
৩৭. এক টুকরো নীল চাঁদ – সুমিত মুখোপাধ্যায়
৩৮. কালিম্পং থেকে তিব্বত – অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়
৩৯. সাইলেন্ট ভ্যালি – শিবনাথ বসু
৪০. মির্জা শেখ ইতেসামুদ্দিনের বিলেত যাত্রা এবং আমি – নবনীতা দেব সেন
৪১. বক্সা বাঘ-প্রকল্প – বুদ্ধদেব গুহ
৪২. গানতোক থেকে ইয়ুমথাং – সুতপা ভট্টাচার্য
৪৩. ক্যামেরুন, আগ্নেয়গিরি ও গভীর জঙ্গলের খুদে মানুষেরা – প্রীতি সান্যাল
৪৪. ডুয়ার্সের দুয়ার এখন খোলা – সমরেশ মজুমদার
৪৫. ইউরোপে দিন কয়েক – পূর্ণেন্দু পত্রী
৪৬. রামচন্দ্রের বনবাসের পথ পরিক্রমা – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৪৭. আসমুদ্রককেশাস – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
৪৮. নিরলংকার ভ্রমণ – শঙ্খ ঘোষ
৪৯. চেঙ্গিস খানের দেশে – প্রতাপকুমার রায়
৫০. মিজোরামের নীল পাহাড়ে – দীপঙ্কর ঘোষ
৫১. সিন্ধুদুর্গ – বিশ্বদীপ দত্ত
৫২. জিম করবেটের জঙ্গলে – মণিদীপা বন্দ্যোপাধ্যায়
৫৩. থর মরুভূমিতে ট্রেকিং – শিবনাথ বসু
৫৪. মরোক্কো ভ্রমণ – হরপ্রসাদ মিত্র
৫৫. ভাগীরথী, রূপনারায়ণ, নোবেল প্রাইজ – নবনীতা দেব সেন
৫৬. গন্তব্য মাচুপিচু – প্রতাপকুমার রায়
৫৭. কই যাইত্যাছি জানি না – শঙ্খ ঘোষ
৫৮. পারাংলা অভিযান – সুনীলকুমার সরদার
৫৯. পুশকিন, মলদভা আর কচি পাতার বাঁশিতে মোত্সার্ট – প্রীতি সান্যাল
৬০. আমাদের ছোট নদী : পার্বতী – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৬১. দেবলোকের পথে পথে – অশোক চক্রবর্তী
৬২. না-ভ্রমণের বৃত্তান্ত – আশাপূর্ণা দেবী
৬৩. এভারেস্টের পাদদেশে যাত্রা – কমলা মুখোপাধ্যায়
৬৪. নীল নদে পাঁচদিন – হরপ্রসাদ মিত্র
৬৫. বারাণসীর ঘাটের কথা – মণিদীপা বন্দ্যোপাধ্যায়
৬৬. বালফাক্রমের পাহাড়-জঙ্গলে – সুমিত মুখোপাধ্যায়
৬৭. গৌরীগঙ্গার উৎসব মিলাম হিমবাহ – পুরুষোত্তম বন্দ্যোপাধ্যায়
৬৮. মরুভূমির দিনরাত্রি – পবিত্র সরকার
৬৯. ঢাকা : একুশ বছর পর – অন্নদাশঙ্কর রায়
৭০. ফোকসোমদো হ্রদ – ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত
৭১. ইন্টারলাকেন থেকে ইয়ুংফ্রাউ – মণিদীপা বন্দ্যোপাধ্যায়
৭২. কালিন্দী গিরিবর্ত্ম – রথীন চক্রবর্তী
৭৩. একযাত্রায় ভোরামদেরও আর কানহা – হীরক নন্দী
৭৪. মদমহেশ্বরের ডোলিযাত্রা – কাজল দত্ত
৭৫. কেনিয়ায় পাঁচ অরণ্য – প্রতাপকুমার রায়
৭৬. কোনাডা থেকে রেভুপাল ভরম – রতনলাল বিশ্বাস
৭৭. চাঁদের দেশ লাদাখ – কমলেশ কামিলা
৭৮. বোকের তোভ, ইজরায়েল – নবনীতা দেব সেন
৭৯. বিষ্ণুপুর মুকুটমণিপুর – হরপ্রসাদ মিত্র
৮০. ডোকরিয়ানি বামক – অনিন্দ্য মজুমদার
৮১. তাওয়াং থেকে তাসি-চু জং – কমলা মুখোপাধ্যায়
৮২. মেক্সিকো শহরের একটি দিন – প্রীতি সান্যাল
৮৩. আকাশচূড়ায় অভিযান – অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়
৮৪. ভ্রমণের ঝঞ্ঝাট – শঙ্খ ঘোষ
৮৫. সারেঙ্গেটির জঙ্গলে – হরপ্রসাদ মিত্র
৮৬. এবারের কুম্ভমেলায় – চিন্ময় চক্রবর্তী
৮৭. অন্য পথের পথিক – বুদ্ধদেব গুহ
৮৮. গরুমারা জঙ্গলে – টুটুল রায়
৮৯. নিশীথ সূর্যের দেশ – প্রতাপকুমার রায়
৯০. সবুজ নামদাফাতে – সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়
৯১. পঞ্চকেদার – শিবনাথ বসু
৯২. গোঁসাইকুণ্ড – কমলা মুখোপাধ্যায়
৯৩. অমরকন্টক – হীরক নন্দী
৯৪. আদিম ডুয়ার্সের আধুনিক রূপকথা – সূর্য ঘোষ
৯৫. পার্বতী উপত্যকায় সার পাস – বিদ্যুৎ দে
৯৬. মিয়ানমার, ইরাবতীর সঙ্গে – পবিত্র সরকার
৯৭. রূপসী রিশপ – হীরক নন্দী
৯৮. হিমবাহের জন্মভূমিতে – শেখর ভট্টাচার্য
৯৯. ভাবা জোত পেরিয়ে কিন্নর থেকে স্পিতি – অনিন্দ্য মজুমদার
১০০. ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত – হরপ্রসাদ মিত্র
১০১. বক্সা দুর্গ – টুটুল রায়
১০২. সিন্ধু নদের ধারে – রতনলাল বিশ্বাস
১০৩. মেঘালয়ের দাউকি – সুমিত মুখোপাধ্যায়
১০৪. আমাদের ছোট নদী : লিডার – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১০৫. লাসা – সমীর রায়
১০৬. ২ নম্বর লোভালোয়া স্ট্রিট – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১০৭. অযোধ্যা পাহাড় – বিশ্বদীপ দত্ত

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন