অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
আশ্চর্য জায়গা অমরকণ্টক ৷ ধর্ম আর নিসর্গের এত পরিচ্ছন্ন সমন্বয় বড় একটা দেখা যায় না ৷ তীর্থযাত্রীর ভিড়ে মিশে থাকে নিছক সাধারণ পর্যটক, যাঁরা খোলা আলো বাতাস আর নির্জনতার প্রত্যাশী ৷ বিস্তর জনসমাগম, তবু অমরকণ্টক যেন নিরিবিলি; প্রশান্তি তার সর্বাঙ্গে ৷
নর্মদার উৎসকে জড়িয়ে অমরকণ্টকের খ্যাতি ৷ একই পাহাড়ের দুদিকে জন্ম নিয়েছে এক নদী আরেক নদ-নর্মদা আর শোন ৷ প্রচলিত লোককথায় নর্মদা শিবের কন্যা ৷ শোন-এর সঙ্গে তার বিয়ের ঠিকঠাক ৷ নর্মদার সাজসজ্জার ভার যার ওপরে, সেই নাপিতকন্যা মুগ্ধ হল শোনের পৌরুষে ৷ নর্মদার রূপ ধরে হাজির হল বিয়ের মণ্ডপে ৷ খবর এল নর্মদার কাছে ৷ মানিনী নর্মদা ঘুরে বইল পশ্চিমে ৷ কপিলমুনি আটকাতে চাইলেন ৷ নর্মদা বাধা মানল না ৷ পাথরের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছুটে গেল ভারতের পশ্চিমতটে ৷ যেখানে কপিল বাধা দিলেন, সেখানে কপিলধারা প্রপাত ৷ নর্মদার আছড়ে পড়া আজও বাধাহীন ৷ সে আজও চিরকুমারী ৷ বিয়ে ভেঙে গেল ৷ শোন রইল চিরকুমার, বয়ে গেল উত্তরের পথে ৷ এরকম হাজারটা উপকথা জড়িয়ে আছে অমরকণ্টকের প্রতিটি কুণ্ডে, প্রতিটি ধ্বংসস্তূপে ৷
শোন আর নর্মদা ছাড়াও আরও অনেক ছোট ছোট জলধারার উদগমস্থল এই অমরকণ্টকের পাহাড় ৷ সবই উঠে এসেছে কোনও না কোনও কুণ্ডের মুখ থেকে ৷ নর্মদার কুণ্ড ঘিরে বিখ্যাত নর্মদা মন্দির ৷ পুরনো কালের মন্দির, যেন তকতক করছে সময়োপযোগী সংস্কারে ৷ যদিও ধরা হয় নর্মদার আসল উদগম মাই কি বোগিয়া-র (মায়ের বাগান) কুণ্ড, তবু মন্দিরের কুণ্ডকে ঘিরেই মায়ের অর্চনা ৷ ধর্মস্থান হিসেবে যথেষ্ট পরিচ্ছন্ন, পাপীদের যখন তখন কাদাজলে আছাড় খাওয়ার সেরকম ব্যবস্থা নেই ৷ মন্দিরের সামনে পাথরের ছোট্ট হাতি, তাতে মুণ্ডহীন সওয়ার ৷ হাতির চার পায়ের ফাঁকে সওয়া বর্গফুট জায়গা ৷ মাটিতে সাষ্টাঙ্গ শুয়ে যদি ওই ফাঁক দিয়ে গলে যাওয়া যায়, প্রমাণ হয় যে এই জন্মে কোনও পাপ নেই ৷ আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় একটু গায়ে গতরে লোকেদের হেয় করতেই বুঝি এই ব্যবস্থা ৷ কিন্তু ঘটনাটা যে আদপে তা নয় সেটা সম্যক বুঝলাম যখন এক বিশালবপু মহিলা অনায়াসে গলে গিয়ে প্রমাণ করলেন তিনি তুলসীপাতা ৷ এটাও খেয়াল করলাম, অনেকে মাথা ঢুকিয়ে একটু আধটু হাঁচড় পাঁচড় করে ফিরে আসেন ৷ উল্টো কথাটাও চালু আছে কিনা, যে ঘোর পাপী সে আটকেই থাকবে ৷ এই ঘোর কলিতে, কে আর ঝুঁকি নেয়!
শোনা যায় খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে রেওয়ার মহারাজা গুলাব সিং নর্মদা মন্দির তৈরি করেন ৷ সত্যি মিথ্যে যাচাই করতে পারিনি, অন্তত গাইডেরা তাই বলে ৷ একই সময়ের তৈরি কিছু মন্দির আছে রাস্তার ওপাশে, মূল মন্দিরের দক্ষিণে ৷ সেগুলোর ভগ্নদশা, কিন্তু একটা বিষয়ে বেশ আগ্রহ পেলাম ৷ মন্দিরগুলোর স্থাপত্য যেন একেকটার একেকরকম ৷ কেউ যেন মনস্থির করতে চেয়েছে ঠিক কী ধাঁচে আরও বড় কিছু গড়বে ৷ নর্মদার মন্দির থেকে শোনমুড়া যাওয়ার পথে আরও একটা চমক ৷ একটা মন্দির তৈরি হচ্ছে নতুন ধরনের ৷ তৈরি করছে এখানকার এক তান্ত্রিক সম্প্রদায় ৷ যতদূর শুনলাম ত্রিপুরেশ্বরীর মন্দির ৷ অদ্ভুত তোরণদ্বার, যার চারদিকে চারটে মুখ ৷ নির্মীয়মাণ মন্দিরে জীবজন্তুর প্রতিরূপ ৷ আধুনিক কিন্তু সামান্য বিভ্রান্তিকর ৷ যেদিন শেষ হবে, একটা কৌতূহল বাড়বে অমরকণ্টকে ৷
নর্মদা মন্দির থেকে মাই কি বোগিয়া আর শোনমুড়া হাঁটাপথ ৷ শোনমুড়ায় শোন নদের উদগমকুণ্ড ৷ ধর্ম ছাড়া অন্য কোনও চোখে, সাদামাটা একটা বাঁধানো জলভরা চৌবাচ্চা ৷ শোন নদের ফিনফিনে ধারা কিছুটা গড়িয়ে গেছে পাথর বেয়ে ৷ তারপরে ছিটকে পড়েছে অনেকটা তলার উপত্যকায় ৷ প্রপাত হিসেবে নিতান্ত নগণ্য কারণ এই শীতের শেষে জলের যা পরিমাণ তাতে ঘণ্টায় একটা বালতি ভরবে কিনা সন্দেহ ৷ তবে উপত্যকার দৃশ্য যথেষ্ট মনোরম ৷ এখানে হনুমান অজস্র ৷ জিনিসপত্র ছেড়ে দুপা হাঁটলেই ঝামেলা ৷ এমনিতে আঁচড়-কামড় দেয় না; তাড়া দিলে পালায় ৷ এদের উপস্থিতি যেন প্রাণবন্ত করে রেখেছে জায়গাটা ৷
মাই কি বোগিয়া নর্মদা পরিক্রমার শেষ বিন্দু ৷ বহু পুণ্যার্থী পায়ে হেঁটে নর্মদার উৎস থেকে মোহনা আবার মোহনা থেকে উৎস পর্যন্ত পরিক্রমা করে ঘুরে আসেন ৷ পরিক্রমাকারীরা ভিক্ষে করে খান, যেখানে পারেন থাকেন, পরস্পরকে দেখলেই নর্মদা আর শিবের নাম নিয়ে সম্ভাষণ করেন, পরিক্রমার শেষে কেউ ফেরেন সংসারে, কেউ হেঁটে যান নতুন তীর্থের সন্ধানে ৷ এই পরিক্রমাকারীদের জন্যই অমরকণ্টকে সাধুসমাগম নিত্য ঘটনা ৷ মাই কি বোগিয়া প্রদক্ষিণরত পুণ্যার্থীদের শুরুও বটে আবার শেষও বটে ৷ বোগিয়া অর্থে বাগিচা-বাগান ৷ এখানে জঙ্গলের মধ্যে একটু ভেজা স্যাঁতসেতে মাটিতে এক ধরনের উদ্ভিদ হয় ৷ বড় বড় পাতা থাকে, ৩-৪ ফুট উঁচু, বোধহয় কোনও ধরনের ঘাস বা গুল্ম ৷ স্থানীয় নাম গুল্বকাবলি ৷ এখানকার এক সাধু এই গুল্বকাবলির ফুল থেকে কোনও পদ্ধতিতে আরক বানিয়ে চোখের যাবতীয় রোগের চিকিৎসা করেন ৷ দূর-দূরান্তের লোকেরাও নাকি আসে ৷ স্থানীয় লোকেরা বলে এই গুল্বকাবলি এই নির্দিষ্ট অঞ্চল ছাড়া আর কোথাও হয় না ৷ এই রহস্য যে কোনও উদ্ভিদবিদ হয়তো অনায়াসে উদ্ধার করে দেবেন ৷ সাধারণ মানুষ গবেষণার ধার ধারে না ৷ তারা আসে বিশ্বাসে, আর সেই বিশ্বাসই যুগ যুগ ধরে গজিয়ে চলেছে মাই কি বোগিয়ার পবিত্র আর্দ্র মাটিতে ৷
অমরকণ্টকের পশ্চিমপ্রান্তে নর্মদার পথ ধরে কপিলধারা জলপ্রপাত ৷ প্রায় ১৫০ ফুট উঁচু প্রপাত সরাসরি ধাক্কা খেয়েছে নিচের পাথরে ৷ বর্ষাকালে মোটামুটি ভালোই জল থাকে, গরমকালে একেবারেই ঝিরঝিরে ৷ জায়গাটা বেশ সুন্দর ৷ পর্যটনের সৌজন্যে বেশ কিছু আবর্জনা জমেছে তলার পাথরের ফাঁকে ফাঁকে ৷ অন্তত পরের বর্ষা পর্যন্ত ওই পাপের বোঝা সইতে হবে নর্মদাকে ৷ কপিলধারায় বেশ কিছু সাধু, উপকথা, পাখি আর বানর আছে ৷ প্রপাতের ওপরে পায়ের ছাপ ফেলে গেছেন ভীম আর অর্জুন, একেবারেই অ্যাটেনশনে দাঁড়িয়ে ৷ একটা ছোট গুহা আছে আরেকটু এগিয়ে গিয়ে ৷ এখানে নদী দু-তিনটে ভাগ হয়ে কুড়ি ফুট মতো ঝাঁপ খেয়েছে ৷ এরই নাম দুগ্ধধারা ৷ পাশের গুহায় নাকি একসময়ে বাঘ থাকত, এখন দেবতা আর সাধুরা ৷ আশপাশে বেশ জঙ্গল ৷ এখানকার জঙ্গল থেকে খুব বেশি রকমের গাছ-গাছড়া সংগ্রহ হয় ৷ কপিলধারায় আর অমরকণ্টকে একেক জায়গায় কুড়ি-পঁচিশ রকমের লতা, পাতা, শিকড়-বাকড় সাজিয়ে বসতে দেখেছি ৷ আয়ুর্বেদে নয়তো হাতুড়ি-বেদে কাজে লাগে এইসব ৷ এগুলো নিয়ে ভালোমতো গবেষণা হয়নি আমাদের দেশে ৷ যেদিন বিদেশিরা এসে শুঁকে দেখবে, সেদিন আমরা ঝাঁপাব ৷
অমরকণ্টক থেকে কপিলধারা রাস্তাটা খুব সুন্দর ৷ সেই নর্মদা মন্দিরের গা থেকে পশ্চিম বরাবর নিচু টিলায় শালের জঙ্গল, সবুজ আর হলুদে এখন একেবারে মাখামাখি ৷ ফেব্রুয়ারি-মার্চে এই সবুজ-হলুদের খেলাটাই চলে ৷ কদিন বাদে হলুদটা যখন কিছুটা আত্মগরিমায় ভুগবে, হঠাৎ সাতদিনের বর্ষায় সব ধুয়েমুছে আবার সবুজ ৷ নর্মদায় ছোট্ট একটা বাঁধ দিয়ে জল ধরা আছে অনেকটা ৷ সেই জলের আধখানায় ছায়া পড়েছে ওই সব আশ্চর্য রঙের ৷ কপিলধারার আগে রাস্তার উত্তর দিকটা ধরে পাইন বন, আবার বাঁহাতে বেশ কিছুটা ইউক্যালিপটাস ৷ পুরো ছবিটা যেন সাজানো বলে মনে হয় ৷ এই দিকটা খুব শান্ত, নিরিবিলি; অথচ কয়েক পা হাঁটলেই অমরকণ্টকের প্রাণকেন্দ্র-থানা, বাসস্ট্যান্ড, আধুনিক হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক, অভাব নেই কিছুরই ৷ মন্দিরের একদম গায়ে লাগানো অংশটা ছেড়ে দিলে আশপাশটা প্রায় ছবির মতো ৷ শিবরাত্রিতে আর বৈশাখী পূর্ণিমায় বড় মেলা বসে এখানে ৷ তখন হয়তো কিছুটা হট্টগোল হয়, অন্যসময়ে একেবারেই শান্ত পীড়াহীন ৷
নর্মদার বাঁধের জলটা লম্বালম্বি ছড়ানো ৷ নর্মদা মন্দিরের খুব কাছ থেকে কল্যাণ আশ্রমের কাছাকাছি প্রায় আধ কিলোমিটার ৷ জলে প্যাডেল বোট আর হাতে টানা নৌকা চালানোর ব্যবস্থা আছে, সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত ৷ রাস্তা থেকে হঠাৎই জলের ওপরে দেখি পাখির ঝাঁক ৷ কাছে যেতে দেখলাম প্রায় হাজার দেড়েক পাখি ৷ অধিকাংশই ছোট সরাল (লেসার হুইলসিং টিল) আর সামান্য কিছু কটন টিল ৷ এরা স্থানীয়পরিযায়ী ৷ রাতের বেলায় আশপাশে উড়ে যায় পেটের ধান্দায়, আবার সকাল থেকে এই বাঁধের জলে বিশ্রাম ৷ খুব তাড়াহুড়ো করে ভয় না দেখালে প্যাডেল বোটে চেপে বেশ কাছাকাছি যাওয়া যায় ৷ ধর্মস্থানে কেউ এদের উত্যক্ত করে না, তাই এরাও বেশ সহনশীল ৷ আমাদের ধর্মে সহাবস্থান আর সংরক্ষণ এই দুটো জিনিস সহজাত ৷ যারা ধর্মটার অণুমাত্রও অনুভব করে, তাদের বাকিটুকু আর বোঝাতে হয় না ৷
অমরকণ্টক থেকে কেওঞ্চির পথে পাঁচ কিলোমিটার পিছিয়ে এসে কবীর চবুতরা ৷ খুব যে দর্শনীয় জায়গা তা নয় ৷ কথিত যে ভক্ত কবীর এইখানে বসে তাঁর শিষ্যদের উপদেশ দিতেন ৷ এখানেও দেখলাম সেই গুল্বকাবলির ঝাড় ৷ তিনটে কুণ্ড, আর আশ্রমের কুটির ছাড়া কিছু নেই ৷ নির্জনতা আছে, আর সেই সঙ্গে বনভূমির সাধারণ নিসর্গ ৷ এখানেও সেই একই নিসর্গ আর ধর্ম, যা ছড়িয়ে আছে অমরকণ্টকের আনাচে কানাচে, তপোভূমি নর্মদায় ৷
অক্ষাংশ-২২০৪র্৪ উঃ
দ্রাঘিমাংশ-৮১০৫র্৪ পুঃ
উচ্চতা-১,০৬৫ মিটার
জলবায়ু-বর্ষা : জুনের মাঝামাঝি-সেপ্টেম্বর, শীত: অক্টোবর-ফেব্রুয়ারি, গ্রীষ্ম: মার্চ-জুনের মাঝামাঝি
তাপমান-গ্রীষ্মকাল: সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শীতকাল: সর্বোচ্চ ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সড়ক যোগাযোগ: বিলাসপুর থেকে অমরকণ্টক কেওঞ্চি হয়ে ১২৩ কিলোমিটার ৷ জব্বলপুর থেকে অমরকণ্টক ডিনডোরি হয়ে ২৩৫ কিলোমিটার ৷ শাহডোল থেকে অমরকণ্টক ১২৫ কিলোমিটার ৷ পেণ্ড্রা রোড থেকে অমরকণ্টক কেওঞ্চি হয়ে ৪৫ কিলোমিটার ৷ অমরকণ্টক থেকে যে যে জায়গার সরাসরি বাস যোগাযোগ আছে: কাটনি, জব্বলপুর, সিউনি, বিলাসপুর, পেণ্ড্রা রোড, ডিণ্ডোরি, রায়পুর, শাহডোল, মনেন্দ্রগড় ৷ বিলাসপুর-এলাহাবাদ ও রায়পুর-এলাহাবাদ এই দুটো রুটের নৈশবাস নিয়মিত অমরকন্টকের ওপর দিয়ে চলাচল করে ৷
রেল যোগাযোগ : নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন বিলাসপুর-কাটনি শাখার পেণ্ড্রা রোড ৷ কলকাতা থেকে অমরকণ্টক যাওয়ার সহজতম উপায় মুম্বই মেল (ভায়া নাগপুর) ধরে বিলাসপুরে নেমে গাড়ি ভাড়া করে অমরকণ্টক অথবা বিলাসপুর থেকে নর্মদা এক্সপ্রেস ধরে পেণ্ড্রা রোড স্টেশনে নেমে বাসে বা গাড়িতে অমরকণ্টক ৷ মুম্বই মেল সাধারণত সকাল আটটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যে বিলাসপুর পৌঁছয়, নর্মদা এক্সপ্রেস ছাড়ে সকাল নটায় বিলাসপুর থেকেই ৷ নর্মদা এক্সপ্রেস ধরে পেণ্ড্রা রোড হয়ে গেল, দুপুর দুটো-আড়াইটের মধ্যে অমরকণ্টক পৌঁছনো সম্ভব ৷ বিলাসপুর থেকে গাড়ি নিলে গাড়িভাড়া ডিজেল গাড়ির ক্ষেত্রে সাড়ে তিন টাকা প্রতি কিলোমিটার আর পেট্রোল হলে ৫ টাকা প্রতি কিলোমিটার ৷ রাতে গাড়ি ধরে রাখলে ১৫০ টাকা অতিরিক্ত প্রতি রাতের জন্য ৷ এছাড়া অন্যভাবেও ভাড়া নেওয়া সম্ভব ৷ সেক্ষেত্রে ডিজেল বা পেট্রোল গাড়ি প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা জ্বালানি খরচ ৷ রাতের অতিরিক্ত চার্জ এক্ষেত্রেও প্রযোজ্য ৷ হয়তো বেশিদিনের জন্য ভাড়া করলে বা বেশি চাহিদার সময় না গেলে ভাড়ার হার সামান্য কম বেশি হবে ৷
থাকার জায়গা : অমরকণ্টকে থাকার জায়গার অভাব নেই ৷ সবথেকে ভালো ব্যবস্থা মধ্যপ্রদেশ ট্যুরিজম-এর হলিডে হোমস-এ ৷ এছাড়া ট্যুরিস্ট কটেজ, বেশ কিছু রেস্টহাউস, যথেষ্ট সংখ্যায় ধর্মশালা ইত্যাদি আছে ৷ খাওয়ার কোথাওই বাধ্যবাধকতা নেই ৷ যে কোনও জায়গায় মোটামুটি ভালো খাবার ব্যবস্থা আছে, কিন্তু নিরামিষ খাবার বাধ্যতামূলক ৷ অধিকাংশ ধর্মশালাতেই কোনও নির্দিষ্ট ভাড়া নেই ৷ থাকার খরচ বাবদ যে কোনও মূল্যের অনুদান গ্রহণ করা হয় ৷
ভ্রমণ এপ্রিল, ১৯৯৭
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন