অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
দিকবিদিকে – শক্তি চট্টোপাধ্যায়
হাইওয়ের পাশ দিয়ে কুলিকের নীল জল বয়ে যাচ্ছে ৷ সেই জল লকগেট বসিয়ে পাখিরালয়ের দ্বীপ ঘিরে যে হ্রদ, তাতে চালান করে দেওয়া হচ্ছে ৷ জায়গাটি সোহরা মৌজার মধ্যে ৷ মুখের কথায় বলে রায়গঞ্জ পাখিরালয় ৷ রায়গঞ্জ শহর থেকে শিলিগুড়ি যেতে জাতীয় সড়কের ডান হাতে ৷ ঠিক কুলিক নদী ছাড়িয়ে তারে ঘেরা পাখিরালয় ৷ অবশ্যই সংরক্ষিত ৷ ঢুকতেই বনবিভাগের বাংলো চোখে পড়ে ৷ আর চতুর্দিকেই জঙ্গল ৷ বেশিরভাগই জারুল বন ৷ কিছু পাকুড়ও আছে ৷ বাংলোর সামনেই বাঁধানো ঘাট ৷ ডানদিকে দোতলা মাচানের অবজারভেটরি ৷ সেখান থেকে গোটা জঙ্গলের মাথা নজরে অনায়াস ৷ সবুজ পাতার পরিপ্রেক্ষিত জব্দ করে পাখির ফুল ফুটে আছে ৷ গাছের ডালপালা পাতা কিছুই চোখে পড়ে না ৷ সাদায় সাদা হয়ে আছে বনভূমির সর্বত্র ৷ ইংরিজিতে ওদের নাম ওপেনবিল স্টর্ক, বাংলায় শামুকখোল ৷ বর্ষায় আসে ৷ বাসা বেঁধে, ডিম থেকে ছানা ফুটিয়ে আসামের বিল জলা আর ভারতের পূর্বাঞ্চলে ফিরে যায় শীতের মধ্যে ৷ এরা বর্ষার পাখি, শীতের নয় ৷ এখানে শীতের পাখি আসে না ৷ তারা আসে এই পাখিরালয় থেকে কাছে অন্য একটি ঝিলে শয়ে শয়ে হাজারে হাজারে ৷ বেলে হাঁসের সংখ্যাই বেশি ৷ খন্তে বকও আসে ৷ আসে কিছু হাড়গিলে ৷ কিন্তু সেটা সুরক্ষিত জলাশয় নয় ৷
পাখিরালয়ে বাংলো পাওয়া বেশ কঠিন ৷ কলকাতা থেকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি ৷ বনবাংলো মানেই আসবাবপত্র, খাট-পালঙ্ক বিছানা মাদুর ৷ খাবার দাবারের ব্যবস্থা চৌকিদার করে দিতে পারে, অবশ্য আপনাকেই রসদ কিনে আনতে হবে ৷ চা চিনি দুধ সঙ্গে থাকলে তবেই চা পাবেন ৷ অন্যথায় রাস্তার ধারের ঝোপড়ি দোকানেই নির্ভর ৷
রেঞ্জারসাহেব থাকেন বালুরঘাটে ৷ জঙ্গলে আছেন শুধুই বিট অফিসার এবং কিছু ফরেস্ট গার্ড ৷ জন্তু জানোয়ার নেই, শেয়াল আছে, আর আছে বুনো খরগোশ ৷ সাপখোপ? নিশ্চয়ই আছে ৷ তবে, বাংলো বা বিট অফিসারের কোয়ার্টার ঘিরে যে বসতি, সেখানে আসতে ভরসা পায় না ৷
শামুকখোল ছাড়া এ বছর হাজারখানের নাইট হেবন আর কিছু করমোরান্ট ও ইগ্রেট এসেছিল ৷ সাধারণ বক আর পানকৌড়ি থাকে সম্বচ্ছর ৷ কিন্তু পাখিরা কী খায়? কাটা খালে মাছ চাষ করা হয় ৷ মাছ ধরার নিয়ম নেই ৷ তাছাড়া এরা শামুকই পছন্দ করে বেশি ৷ শামুক থেকে চুন হয় জানি ৷ ওদের পুরীষে চুনের ভাগ মারাত্মকভাবে বেশি, তাই সবুজ পাতা পুড়ে খসে পড়ে ৷ নিচের ডাঙায় ছোট গাছপালা বাঁচে না ৷
খাদ্যের ভাণ্ডার নিশ্চিন্ত আছে বলেই এরা হাইওয়ের হট্টগোলেও পালায় না ৷ তবে কিছুকাল আগেও এদের ডিম রায়গঞ্জের হাটে বাজারে বিক্রি হত ৷ ধরপাকড় হয় ৷ আজকাল উপদ্রব কমেছে ৷
এবার গিয়েছিলাম ডিসেম্বরের শেষে ৷ তখন অধিকাংশ পাখিই চলে গেছে ৷ হাজার দুই শামুকখোল সর্বসাকল্যে, বাচ্চাদের ওড়ার কসরৎ শেখাচ্ছে অবিরাম ৷ পাখি-মা পাখি-বাপের গায়ের রং ধূসর ও ক্লিন্ন হয়ে এসেছে ৷ মারাত্মক চুনকামের কাজ হয়েছে, তাই গোটা জঙ্গলে সর্বাত্মক চুনের ফোঁটা ৷ জঙ্গলের চেহারাও কেমন সর্বহারা ভিখিরির মতো ৷
জলপাইগুড়ি থেকে আমাদের সীমান্ত চামুর্চিতেই শেষ ৷ চামুর্চি চা-বাগানের জন্যে বিখ্যাত ৷ আর বিখ্যাত কমলালেবুর জন্য ৷ সপ্তাহে দুবার হাট বসে ৷ সেই হাটে কমলালেবু ছাড়া ভুটিয়া-মাখন আর জামা কাপড় ৷ অর্থাৎ রংদার জোব্বা আর ততোধিক রঙিন মোজাসুদ্দ জুতো বিক্রি হয় ৷ চামুর্চি পর্যন্ত বাস ৷ তারপর ভুটান সরকারের ল্যান্ডরোভার ৷ নিয়মিত যাতায়াত করে ৷ কিন্তু তাও যায় সামচি বাজার পর্যন্ত ৷
আমাদের জন্যে জিওলজিক্যাল সার্ভে থেকে জিপ আসার কথা ৷ ভারত সরকারের সার্ভে অফিসের একটি শাখা ভুটান সরকারকে সাহায্য করছে ৷ ভুটানের মাটির তলায় কোথায় কোন খনিজ রহস্য, তাই উদ্ধারের চেষ্টা ৷
পাহাড়ি শহর সামচি ৷ চামুর্চি থেকে সামচির দিকে গেলে মাঝখানে নো ম্যানস ল্যান্ড ৷ সারা অঞ্চলে কটিখেত ৷ কাঁচা রাস্তা ওপরে উঠে গেছে ৷ ডলোমাইটের পাহাড় কেটে ডলোমাইট চালান যাচ্ছে ট্রাকভর্তি ৷ চরাচরে ধুলো আর ডলোমাইটের গুঁড়ো ৷ দূরে নীল ভুটান পাহাড় ৷ পাহাড় আকাশে মিশে এক অসহ্য স্বপ্নের দেশ ৷ ওই দেশে যাব ৷ আগেও গেছি বহুবার ৷ এই পাহাড়ি দেশ কখনও পুরনো হয় না ৷
দুপাশের পাহাড় কেটে চাষ হচ্ছে ৷ একেই বলে জুমচাষ ৷ যৎসামান্য গম, ধান আর কোদোর চাষ হয় ৷ এই কোদো থেকে স্থানীয় মানুষ মদ তৈরি করে, অনেকটা বিয়ারের মতো ৷ বাঁশের পাত্রে কোদো সিদ্ধ করে ঠাসা ৷ সঙ্গে লাগানো জল টানা পাইপ ৷ আর কেটলিভর্তি গরম জল ৷ কেটলির জল বাঁশের পাত্রে ভর্তি করা ৷ ফুরোলে আবার ঢালা ৷ টানতে টানতে গলা ব্যথা ৷ নেশা ফেশার খোঁজ তালাশ নেই ৷ একটা গোটা দিন অলসভাবে খরচা হয়ে যায় এই পাহাড়ি জনপদে ৷ জুমচাষের মতোই ধাপে ধাপে সরকারি কোয়ার্টার ৷ আমাদের যিনি নেমতন্ন করে এনেছেন, তাঁর বাড়ি একেবারে টুঙিতে ৷ পিছনে ঝপ করে পাহাড় শেষ ৷ নিচে ডায়নার নদীখাত ৷ তারপর আসল পাহাড় শুরু ৷ পাহাড় আর জঙ্গল ৷ হিংস্র জন্তু জানোয়ার আর রহস্যময় মনস্টারির অন্ধকার ৷
বাড়িগুলো সবই এক রকমের, একতলা বাংলোর মতো ৷ পাকদণ্ডী বেয়ে যতই উঠি বাড়ে ঠান্ডা হাওয়া আর ঝোড়ো বাতাসের ঝাপট ৷ দুপাশে পাইনের ঝাড় ৷ পাইন আর ধুপি আর চাঁপ ৷ মাঝে মাঝে আনারসের জঙ্গল ৷ একটা ফুড প্রিজার্ভেশনের কারখানা, একটা ব্রুয়ারি, সেন্ট পলস স্কুল, হস্টেল, ডিসির বাংলো, হাসপাতাল ৷ পাহাড়ের চুড়ো ছেঁটে সিমেন্ট বাঁধানো ৷ এটাই সামচি বাজার ৷ চতুর্দিকে মণিহারী দোকান, ছোট ছোট বার, পানশালা ৷ একটির নাম আবার হ্যাঙওভার ৷ বেশ বড় বাজার ৷ কমলার সময়ে ভুটানিদের কমলা ৷ অন্য সময়ে মাড়োয়ারি দোকানদার সস্তায় পসরা সাজায় ৷ এক আধজন কাবলিওলাও দেখা গেল ৷ মাড়োয়ার আর আফগান ব্যাঙ্ক বোধকরি পৃথিবীর সর্বত্র ৷ এবাজারেই কস্তুরী মধু প্রভৃতি নানাবিধ জড়িবুটি নিয়ে আসে ভুটিয়া রমণী ৷ লাল লাল ফুলো গাল, সরল সহজ এই মানুষগুলোকে দেখলেই ভালো লাগে ৷ ভালোবাসতে ইচ্ছে করে ৷
আমি সস্ত্রীক এসেছি কয়েকবার ৷ এখানে যখন তখন আকাশের মুখ গোমড়া হয় ৷ বৃষ্টি নামে ৷ বৃষ্টির সঙ্গে আধলা ইটের মতো বরফশিলা ৷ মাথা বাঁচাতে মানুষ দৌড়োয় এদিক ওদিক ৷ ফসলের ক্ষতি অগ্রাহ্য করেও এই পাহাড়ি সুন্দর শহর ছবির মতো টাঙানো থাকে ভুটান পাহাড়ের কোল জুড়ে ৷ জলপাইগুড়ি থেকে বড় জোর ঘণ্টা আড়াই লাগে সামচি পৌঁছতে ৷ সকালে গিয়ে সন্ধেতে ফেরাও যায় ৷ শীতে ট্রাকভর্তি পিকনিক পার্টি যায় ডায়নার বালিয়াড়িভরা খাদে ৷ যাবার পথে ময়নাগুড়ি ধুপগুড়ি গয়েরকাটা রাজারহাট হয়ে চামুর্চি ৷ সব জায়গাতেই বাংলো আছে ৷ তবে আগে থেকে চিঠিচাপাটি লিখে ব্যবস্থা সেরে রাখতে হবে ৷ নয়তো মনোকষ্ট ৷
মাণ্ডবি জুয়ারি দুটি নদীর নাম ৷ শুনলেই ভালো লাগে ৷ দেখামাত্র ওই নদীর নীল চোখে বসে যাবে ৷ জলে ধোবে না, আগুনে পুড়বে না, স্মৃতির মৌচাকে ভরে থাকবে তাদের কলধ্বনি ৷ চোখে যতদিন দেখা যাবে, কানে যতদিন শোনা যাবে, ততদিন ওই দুই নদী, দুই নাম ৷ মাণ্ডবি আর জুয়ারি ৷ বহুদিনের স্বপ্ন ওই দুটি নদী চোখ ভরে দেখে আসব ৷ ওই একটুকরো বিদেশি ভারত ৷
বম্বে গেলুম ট্রেনে ৷ ঠিক বম্বে নয়, তার আগে ভুসওয়ালে দুদিনের জন্যে নেমে পড়লাম ৷ একটু দম নিয়ে ছুট দেব ৷ আরও একটা মতলব ছিল ৷ ভুসওয়ালে পা দিয়ে অজন্তা ইলোরাটা সেরে নেব ৷ সেখান থেকে সোজা স্বপ্নরাজ্যে ৷
কিছুক্ষণের মধ্যে ছাতার কাপড়ওড়া শিকগুলোর মতো হাওড়ার পোল পেরনো গেল ৷ ট্রেন ছুট লাগিয়েছে ৷ রাতের রেলগাড়ি ৷ গোছগাছ সেরে কামরাটা দুদিনের ঘরের মতো ৷ বাঙ্কে বিছানা পাতা শেষ ৷ সঙ্গে আড়াই বছরের তিতির ৷ আমরা ওপর নিচ দুটি বাঙ্কের মালিক ৷ তিতির ওর মার সঙ্গে শোবে ৷
ভুসওয়াল কারখানার শহর ৷ বাড়িঘর, বাজারহাট, চওড়া রাস্তা, সব এক রকমের ৷ এখানে আমি এক বছর থাকলেও নিজের বাড়ি চিনতে পারব না ৷ এমন এক ধরনের বাড়ি আমি ভীষণ ভয় পাই ৷ বৈশিষ্ট্যহীন বাড়ির চেহারা দেখলেই মনটা কেমন করে ওঠে ৷ ভুসওয়ালে উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই ৷ মাছ পাওয়া যায় না ৷ দূরে একটা ঝোরা আছে ৷ আর কয়েকটা ফোড়ার মতো টিলা ৷ ওই ঝোরার নাম দিয়েছি নদী ৷ শুনেছি দূরে কোথায় আরও একটা পিকনিক স্পট আছে ৷ অত্যুৎসাহীরা ছুটিছাটার দিনে যায় ৷ ট্রানজিস্টার, টেপ বাজায় ৷ গান গেয়ে গলা ভেঙে ফেলে ৷
ভুসওয়াল থেকে অজন্তা ইলোরা যাব ৷ আঙুলের ফাঁক দিয়ে দিন যাতে জলের মতো গলে না যায়, লাঠি হাতে তার পাহারায় আছি ৷ কোথাও বেড়াতে গেলে আমি স্থির থাকতে পারি না ৷ সকালে এখানে তো দুপুরে অন্যত্র ৷ সন্ধ্যার ঝোঁকে আবার সেই জায়গা ছেড়ে পাখির মতো উধাও কোনও জঙ্গল মহালের দিকে ৷ কিংবা নদীর তীরে জলের ধারে ৷ পায়ের নিচে সরষে ৷ পা ফেললেই গড়ায় ৷
ভোরবেলা বাস ধরে জলগাঁও ৷ সেখান থেকে ঔরঙ্গাবাদ হয়ে অজন্তা ইলোরা পরদিন সকালে ৷ তিতির খুবই ছোট ৷ মুখে খই ফোটে, অথচ দুধের গন্ধ ৷ ওকে নিয়ে অজন্তা ইলোরার ব্যাপারটা প্রথম থেকেই আমার না-পছন্দ ৷
কিন্তু খবর পাওয়া গেল আগের দিন কংগ্রেস নেতা চ্যবনকে ঘিরে ইট পাটকেল জুতো ছাতা ছোড়াছুড়ি হয়েছে ৷ পুলিশি হাঙ্গামা ৷ ব্যস, সাড়া অঞ্চল জুড়ে বনধ ৷ এবারের মতো অজন্তা ইলোরার আশা ত্যাগ করে সোজা বম্বে ৷ উদ্দেশ্য গোয়া এবং গোয়াই ৷ মাণ্ডবি জুয়ারির দেশে ৷ আর ভুসওয়ালে ফেরা নয় ৷ ভুসওয়াল ভালো ৷ কিন্তু কতটুকু ভালো?
বম্বের বন্ধুবান্ধব পরিচিতদের কিছু জানাইনি ৷ শুধু জবরদস্ত সাহেব বুডঢাকে দুছত্র লিখেছি-অমুক তারিখ নাগাদ যেতে পারি ৷ ভারি কাজ হাতে রাখিস না ৷ আর কাউকে এক লাইনও নয় ৷ জানাজানি হয়ে গেলে কেলেংকারি ৷ অজন্তা ইলোরার মতো গোয়াও পণ্ড হবে ৷ আমি নিজেকে চিনি এবং বন্ধুবান্ধবদেরও চিনি হাড়ে হাড়ে ৷
ভেবেছিলাম অজন্তা ইলোরা সেরে টেলিগ্রাম করব ৷ ভুসওয়াল থেকে করা উচিত ছিল ৷ কিন্তু উচিত কাজ আমি কখনই করে উঠতে পারি না ৷
যাই হোক ভেসে তো পড়লাম ৷ একটা কিছু হয়ে যাবে ৷ এই বিশ্বাস আমাকে শান্তি দিয়েছে ৷ অসুবিধেয় পড়িনি, এমন নয় ৷ তবে সেগুলো ভুলে যেতে পারি ৷ ভুলতেই হয় ৷ নয়তো প্রকৃতই মুশকিল ৷ হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি খেলে গেল ৷ সলিলদাকে ফোন করি ৷ আমাদের বন্ধু প্রিয়জন তিনি ৷ বহুবার কলকাতায় দেখা হয়েছে ৷ উনি আসতে বলেছেন ৷ আমিও ঘাড় কাত করেছি ৷ নিশ্চয় আসব ৷ আর আজ কীভাবে আসা? যাই হোক, একটু গালাগালি বরাতে আছে ৷ কী করা? মীনাক্ষীদের একটু অপেক্ষা করতে বলে আমি বুথ থেকে সলিলদাকে ফোন করলাম ৷ সঙ্গে সঙ্গে উত্তর ৷ যেখানে আছ, একভাবে সেখানেই দাঁড়িয়ে থাক ৷ নড়াচড়া করবে না ৷ কোথা থেকে ফোন করছ?
বললাম ৷
মিনিট সাতেকের মধ্যে গাড়ি নিয়ে হাজির ৷ তারপর যা সব কটুবাক্য বললেন তা না বলাই ভালো ৷
সলিলদা কি যবন? যবনের মতো হুমকি হামকি? তবু সেই যবনের হাতেই নিজেদের সঁপে দিলাম ৷ বোম্বাই সলিলদার নিজের শহর ৷ এখানে কলকাতার কোনও খাসদখল নেই ৷
বম্বে থেকে গাড়ির সিটে রাতের ঘুমঘোরে গোয়া ৷ চোখের সামনে পাহাড় টিলা, ঘর বাড়ি আর সমুদ্দুর ৷ শহরটাকে সমুদ্র পাহাড় জঙ্গল আষ্টেপিষ্ঠে ঘিরে আছে ৷ যেদিকে তাকাই হলুদ বালি নীল জল ৷ নীল আকাশ, নীল সমুদ্র ৷ এই রঙের মধ্যে ডুব দিয়ে কটা দিন ঘোরের মধ্যে কাটিয়ে দেব ৷
ভ্রমণ আগস্ট, ১৯৯৩
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন