অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
পশ্চিমে হাওয়াবদল – মধুপর্ণা দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
হিমঝরা সন্ধে নামার ঠিক মুখটায় আমাদের ট্রেন ঢুকল খোলামেলা ছোট্ট স্টেশন শিমুলতলায় ৷ আধো আলোয় চারপাশটাকে ভালো করে বুঝে ওঠার আগেই চোখে পড়ল দেওয়ালে লেখা, ‘কোনওদিন গেছ কি হারিয়ে, হাট-বাট নগর ছাড়িয়ে/ দিশেহারা মাঠে/একটি শিমুলগাছ নিয়ে/আকাশের বেলা যেথা কাটে?’ যদিও শুরুতে একটা তুমি লাগানো আছে তবু কবি প্রেমেন্দ্র মিত্রের এই লাইনকটির ব্যবহারে চমকে গিয়ে দেখি ওটা একটা হোটেলের বিজ্ঞাপন ৷ আমাদের থাকার জায়গার কোনও ঠিক ছিল না, ভাবছি হোটেলের হদিশ নেব কারোর কাছে, এমন সময় কয়েকজন না চাইতেই, ‘ঘর লাগবে? বাড়ি লাগবে?’ বলে এত কথা বোঝাতে লাগল যে মনে হল আমাদের দায়িত্ব এরা প্রায় নিয়েই ফেলেছে ৷ হাতে প্রত্যেকের কার্ড না হয় লিফলেট বিভিন্ন ডেকরেটার্স স্টোর্সের ৷ স্টেশন ম্যানেজার তখন ছিলেন না, রেলেরই এক ভদ্রলোক বললেন এদের কাছ থেকে সাহায্য নেওয়ায় কোনও ঝুঁকি নেই ৷ শিমুলতলায় বাড়ি বলতে বেশিরভাগই বাগানঘেরা পুরনো আমলের বাংলো বাড়ি, সেকালের বাঙালিদের তৈরি স্বাস্থ্যনিবাস ৷ এসব বাড়ি এখন প্রায় খালিই পড়ে থাকে ৷ কিছু বাড়ির মালিকানা বদল হয়েছে আর কিছু বাড়ির মালিকরা অবসরে ছুটি কাটাতে আসেন এখনও, বাকি সময় খালি বাড়ি সাময়িকভাবে ভাড়া পাওয়া যায় ৷ রিজার্ভ, হংকং বা অন্যান্য ব্যাঙ্কের হলিডে হোম বা হোটেল থাকলেও বাগানবাড়িই বেশি আকৃষ্ট করল আমাদের ৷ বাড়িগুলোয় স্বাচ্ছন্দ্য হয়তো একটু কম কিন্তু বনের মাঝে এক বাড়ির আঙিনায় যখন জ্যোৎস্না নামে তখন ঘরের মধ্যে হারিকেনের আলোই যথেষ্ট ৷ আমরা উঠলাম ‘বিহারিবাবু’-র বাংলোয় ৷ ডেকরেটার্স স্টোর্সের লোকই নিয়ে বাংলো দেখাতে, পছন্দ না হলে আবার অন্য কোথাও নিয়ে যেত, তাতে ওদের বিরক্তি নেই ৷ কিন্তু সন্ধেবেলায় বেশি বাছাবাছিতে না গিয়ে আমরা এখানেই থাকব ঠিক করলাম ৷ বাংলোর ঘরে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা থাকলেও কারেন্ট প্রায় থাকে না আর থাকলেও তার যা ভোল্টেজ তার থেকে হারিকেনের আলোয় জোর বেশি ৷ বাড়ির ভাড়া ৮০ টাকা, দুটো ঘরে ৬-৮ জন অনায়াসে থাকা যায় ৷ তবে তোশক, চাদর, বালিশ, কম্বল, বালতি, মগ সবই ভাড়া নিতে হয় ওই ডেকরেটার্সের থেকে ৷ পঞ্চাশ পয়সা থেকে ৩ টাকা ভাড়া জিনিসপত্র ৷ ওরাই পৌঁছে দিয়ে যায় সবকিছু আবার নিয়েও যায় ৷ থাকার ব্যবস্থা মিটিয়ে যখন বাইরে বেরলাম ঠান্ডা তখন জাঁকিয়ে বসেছে ৷ বাংলো থেকে মিনিট ৫-৭ হেঁটে গেলে স্টেশন রোড পড়ে ৷ সেখানেই রাস্তার দুপাশে যাবতীয় দোকান ৷ চা, সিঙারা, মিষ্টির দোকান বেশ কয়েকটা থাকলেও ভাত-রুটির দোকান মাত্র দুটো, আরাধনা আর তৃপ্তি হোটেল ৷ তাও খাবার তৈরি থাকে না, বললে করে দেয় ৷ আসলে এখানে যাঁরা আসেন তাঁরা বেশিরভাগ নিজেরাই রান্নাবান্না করেন ৷ তার জন্য স্টোভ, হাঁড়ি, কড়া সব ভাড়া পাওয়া যায় ৷ ফলে খাবার হোটেলের তেমন বাজার নেই ৷ তবে সিজনে (দুর্গাপুজো আর বড়দিন থেকে শুরু করে পুরো জানুয়ারি মাস) নাকি খাবার হোটেলেও ভিড় হয় ৷
শিমুলতলার আশপাশে যা কিছু দেখার আছে অল্প সময় নিয়ে পায়ে হেঁটে তা দেখা সম্ভব নয় ৷ সাইকেল ভাড়া পাওয়া যায় কিন্তু তাতেও সবটা ঘোরা সম্ভব নয় তাই আমরা একটা অটো ঠিক করলাম ৷ সকালে সে নিয়ে যাবে হলদিঝরনা, লীলাবরণ, সিকিটিয়া আর দুপুরে ধরারা ৷ সবমিলিয়ে ২২৫ টাকায় রফা ৷ হলদিঝরনা যেতে গেলে রেললাইন পেরিয়ে বাঁদিকের রাস্তা ধরতে হয় ৷ লালমাটির ধুলো উড়িয়ে অটো ছুটল ৷ এদিকেও পথের দুধারে সুন্দর সুন্দর বাড়ি তবে গাছপালা একটু কম, একটু যেন রুক্ষ ৷ পথে পড়ে সুন্দর দুটো গ্রাম, বস্টিয়ারি আর বাথনাবরণ ৷ বাথনাবরণ থেকে দুটো বাচ্চা ছেলে আমাদের অটোয় উঠে পড়ল হলদিঝরনা অব্দি পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে বলে ৷ একটা টিলায় গিয়ে অটো থেমে গেল, এরপর হাঁটা রাস্তা, শাল, পলাশ, কুঁচ গাছের পাশ কাটিয়ে পাথুরে পথ চলে গেছে আরও গহনে ৷ এত সুন্দর পথের শেষ না জানি কত সুন্দর ঝরনায় ৷ জলকাদা পেরিয়ে একটা সবুজ পাহাড়ের কোলে পৌঁছে থেমে গেল ছেলে দুটো ৷ আঙুল তুলে দেখাল সামনেই একটা ছোট পাথরের ওপর বাঁশের কঞ্চি বেয়ে তিরতিরে এক জলধারা, কর্পোরেশনের জলকলের মতো ৷ ওরাই বলল, এই জলের নাকি অনেক গুণ, খেলে বিমারি সেরে যায় ৷ যাই হোক, হাঁটাপথটা এত সুন্দর যে শুধু এই পথটুকুর জন্যই হলদিঝরনায় আসা যায় ৷ লীলাবরণ আর সিকিটিয়া স্টেশনের কাছাকাছি ৷ দুই জায়গাতেই আছে জলের ধারা ৷ ধরারা শিমুলতলা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ৷ পথ খারাপ তাই অটোতে ঘণ্টাখানেক সময় লেগে যায় ৷ তিনটে নাগাদ রওনা হয়েছি আমরা ৷ শীতের আমেজ মাখা রোদ্দুর তখন নরম ৷ খানিকটা চলার পর অটো হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে নেমে পড়ল এক নদীতে ৷ পায়ের পাতা ডোবে এমন নদী হেঁটে পার হলাম, অটোকেও ঠেলে তোলা হল ৷ তারপর আবার পথ চলা উঁচুনিচু মালভূমির উজান বেয়ে ৷ হেলে পড়া সূর্যের আলোয় যেন আরও লাল হয়ে উঠেছে চারদিক ৷ কয়েকটা গ্রাম পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম ধরারায় ৷ শেষ পথটুকু মিনিট পাঁচেক হেঁটে যেতে হয় গ্রামের পাশ দিয়ে ৷ অস্তগামী সূর্যের আলোয় নদী তখন সোনা হয়ে ঝলকে উঠছে পাথরের বুকে ৷ এখানকার পাথরগুলো ভারি অদ্ভুত ৷ সাদা-কালোয় রৈখিক আল্পনা কাটা ৷ ওই পাথরে বসেই সূর্যাস্ত দেখলাম ৷ তারপর ফেরার পালা ৷ শীতের সন্ধে ঝপ করে যেই নামল শুরু হল রাতের আলোয় পথ চলা ৷ চাঁদের আলো শাল, মহুয়া, পলাশের পাতায়, নরম ঘাসের ডগায় ৷
পরদিন সকালে হাঁটা লাগালাম লাট্টু পাহাড়ের দিকে ৷ ছোট্ট একটা টিলার নাম লাট্টু পাহাড় আর তার কাছেই পরিত্যক্ত এক রাজবাড়ি ৷ রাজাও নেই, রাজত্বও নেই তবু ভাঙাচোরা রাজবাড়িটা অনেক সময় নিয়ে নেয় ৷ লাট্টু পাহাড় ছাড়াও দূরে দূরে আরও অনেক নীল পাহাড় চোখে পড়ে রাজবাড়ির ছাদ থেকে ৷
শিমুলতলা থেকে আমাদের যাবার কথা যশিডি হয়ে মধুপুর ৷ এ অঞ্চলে যাতায়াতের সবচেয়ে ভালো উপায় লোকাল ট্রেন (DMU) ধরা ৷ কথা ছিল দুপুরের DMU ধরে আমরা মধুপুর যাব ৷ সময় লাগবে একঘণ্টা ৷ অন্যান্য দিনে গোটাতিনেক DMU ঝাঁঝা-আসানসোল যাতায়াত করে কিন্তু রবিবার দুপুরে একটাই ট্রেন যশিডি হয়ে বৈদ্যনাথধাম যায় ৷ অগত্যা আমরা আধঘণ্টার রাস্তা পেরিয়ে যশিডিতে নামলাম ৷ সেখান থেকে অটোয় ১০ মিনিটের পথ বৈদ্যনাথধাম বা দেওঘর ৷ ট্রেকারও যায় এই পথে ৷ দারোয়া নদী পেরিয়ে ঢুকলাম দেওঘরে ৷ তারপর সেখান থেকে বাস ধরে মধুপুর ৷ এদিককার বাস রাস্তাগুলো অনেক ঘুরপথে গেছে ৷ তাই ট্রেনে যশিডি থেকে মধুপুর মাত্র আধঘণ্টার রাস্তা হলেও বাসে লেগে গেল প্রায় তিনঘণ্টা ৷ কিন্তু পথের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে বাসরাস্তার ধকলটুকু নেওয়াই যায় ৷ সারওঁয়া, সারথ, সুমরা বাজার, পাথরোল হয়ে সন্ধেবেলায় বাস পৌঁছল মধুপুরে ৷ পথে পেরোতে হয়েছে অজয় নদ ৷
বাংলাদেশের পশ্চিমপ্রান্তে সাঁওতাল পরগনার জল-হাওয়া কতখানি স্বাস্থ্যকর তা প্রথম আবিষ্কার করেন বিজয়নারায়ণ কুণ্ডু নামে এক ভদ্রলোক ৷ তিনি এসেছিলেন মধুপুর-গিরিডি রেললাইন পাতার ঠিকেদারি নিয়ে ১৮৭১ সালে ৷ শাল, মহুয়ার জঙ্গলে ঘেরা মধুপুর তাঁর এত ভালো লেগেছিল যে জমি কিনে বাড়ি করে তিনি এখানে বসবাস শুরু করেন ৷ তারপর শুরু হয় বাঙালিদের পশ্চিমে আসা ৷ রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শরৎচন্দ্র এসে থেকে গেছেন এই অঞ্চলে, স্যার আশুতোষের বাড়ি ছিল মধুপুরে ৷ এখন অবশ্য অল্প কয়েকটা স্মৃতিচিহ্ন বাদ দিলে মধুপুর আপাদমস্তক বিহারি শহর ৷ বাহান্নবিঘায় এবং অন্যান্য প্রান্তে অতীতের নীরব সাক্ষী হয়ে শুধু কিছু পুরনো বাড়ি এখনও আছে যার অনেকগুলোই ধ্বংসাবশেষ ৷ বাহান্নবিঘায় ‘সোনার বাংলা’ বলে একটি বাড়ি আছে আশু ঘোষের ৷ পথ দিয়ে যেতে যেতে চোখে পড়ে ডঃ আর আহমেদের বাড়ি ‘রিভার ভিউ’ ৷ তাছাড়া মন্দার, শুভ্রা, অর্ঘ্য, বন্দনা ইত্যাদি নামে আরও অনেক নিরিবিলি বাড়ি আছে ৷ স্টেশনের কাছাকাছি পাথুরেঘাটার মহারাজা বাহাদুর যতীন্দ্রকুমার ঠাকুরের বাড়ি ‘টেগোর কট’ ৷ বাড়িটি এখন হোটেল হয়েছে ৷ মধুপুর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে পাথরোল ৷ সেখানকার প্রতিমা জাগ্রতা বলে বিখ্যাত ৷ মধুপুরে আমরা উঠেছিলাম এম্ব্যাসি হোটেলে ৷
মধুপুর থেকে গিরিডির দূরত্ব বাসে ৪২ কিলোমিটার আর ট্রেনে ৩৬ কিলোমিটার ৷ গিরিডি মধুপুরের থেকে অনেক বড় শহর, জেলা সদর ৷ গিরিডিতেও রবীন্দ্রনাথ এসেছিলেন ৷ বাঙালির স্মৃতিবিজড়িত অনেক বিশ্রামগৃহ এখানেও আছে ৷ গিরিডি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে উশ্রী ফলস আর ৩০ কিলোমিটার দূরে পরেশনাথ পাহাড়ের নিচে মধুবন ৷ দুটো জায়গায়ই যাবার জন্য গাড়ি বা অটো ভাড়া করতে হয় ৷ গাড়িভাড়া ৩৫০-৪০০ টাকার মতো, সিজনে আরও বাড়ে ৷ উশ্রীতে আমরা গিয়েছিলাম ভোরবেলায় ৷ উশ্রী নদী অনেকটা ওপর থেকে দুটো প্রধান ধারায় ঝাঁপিয়ে পড়ছে নিচে ৷ জলের গর্জনে সব শব্দ ঢাকা পড়ে যায় ৷ একটু দূরে একটা ফরেস্ট রেস্টহাউস আছে, ইচ্ছে করলে থাকা যায় সেখানে, বুকিং হয় গিরিডি থেকে ৷
আমাদের শেষ গন্তব্যস্থল হল কারমাটার ৷ যার নাম এখন ‘বিদ্যাসাগর’ ৷ ছোট্ট স্টেশন ৷ মধুপুর থেকে আসানসোলের দিকে আধঘণ্টার পথ ৷ কারমাটারে থাকার তেমন জায়গা নেই ৷ মধুপুর থেকে এসে ঘুরে যেতে হয় ৷ বিদ্যাসাগর তাঁর শেষজীবনে এখানে এসেছিলেন ৷ স্টেশনের ওপারে সরু গলির মধ্যে একটুখানি ঢুকেই বাঁদিকে চোখে পড়ে ‘নন্দনকানন’ লেখা ফলক ৷ অনেকখানি ফাঁকা জমির মধ্যে একতলা একটা বাড়ি, এখন বিদ্যাসাগরের নামে একটি মেয়েদের স্কুল হয়েছে ৷ স্কুল তখনও শুরু হয়নি, ভাবছি অপেক্ষা করব ভেতরটা দেখার জন্য ৷ এমন সময় প্রায় সত্তর বছরের এক বৃদ্ধ এগিয়ে এলেন ৷ নাম তার কার্তিক মণ্ডল ৷ তাঁর পিতামহ কালী মণ্ডল বীরসিংহ গ্রাম থেকে বিদ্যাসাগরের সঙ্গে এসেছিলেন ৷ বিদ্যাসাগরের দেহাবসান হয় ১৮৯১ সালে এখানেই, কিন্তু কার্তিক মণ্ডলরা পুরুষানুক্রমে রয়ে গেছেন এখানে ৷ কার্তিক মণ্ডল আমাদের ভেতরে নিয়ে গিয়ে দেখালেন বিদ্যাসাগরের ঘর ৷ স্মৃতিচিহ্ন বলতে আছে একটা পালঙ্ক ৷ ফিরছি যখন কার্তিক তখন দাওয়ায় রোদ পোহাতে বসলেন নাতির দুমাসের ছেলেকে কোলে নিয়ে ৷ সলজ্জ হেসে জানালেন, ওই বাচ্চাটির নাম রেখেছেন বিদ্যাসাগর ৷
বিহারের বিভিন্ন জেলায় প্রক্ষিপ্ত অবিভক্ত বাংলাদেশের পশ্চিমপ্রান্তে এখন আর বাঙালিরা সেভাবে নিজেদের ঘর বসাবার কথা ভাবতে পারে না হয়তো ৷ শিমুলতলা বাদ দিলে শাল, মহুয়ার জঙ্গল হার মেনেছে কংক্রিট জঙ্গলের কাছে ৷ তবু জল হাওয়ার একটা গুণ এখনও অবশ্যই আছে ৷ আর তারই টানে প্রতিবছর পুজোয় আর শীতে যে সব ট্যুরিস্ট ছুটে যায় এই টাঁর অঞ্চলে তাঁরা কিন্তু এখনও বাঙালিই ৷
হাওড়া থেকে শিমুলতলা রেলপথে ৩৪৮ কিলোমিটার ৷ তুফান এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে নটায় ছেড়ে বিকেল পাঁচটায় পৌঁছয় ৷ রাতের দূরপাল্লায় ট্রেন শিমুলতলায় থামে না, সেক্ষেত্রে মধুপুরে নেমে বদল করে যেতে হবে ৷ মধুপুর থেকে যশিডি আধঘণ্টা, যশিডি থেকে শিমুলতলা আধঘণ্টা, যাবার মধুপুর থেকে গিরিডি অন্য লাইনে আধঘণ্টা ৷ সময় বাঁচাতে গেলে জায়গাগুলোয় ট্রেনে যাওয়াই ভালো ৷ ট্রেন মানে DMU, একদম ঠিক সময়ে চলাচল করে, বরং দূরপাল্লার ট্রেন লেট চলে ৷ শিমুলতলার কয়েকটি ডেকরেটার্সের নাম গঙ্গা যমুনা ডেকরেটার্স, এইচ এল ডেকরেটার্স, বেঙ্গল ডেকরেটার্স, কাজল ডেকরেটার্স ৷ এদের চিঠি লিখে আগে থেকেও বাড়ির বুকিং করা যায় ৷ ব্যাঙ্কের হলিডে হোম কলকাতা থেকে বুক করা যায়, সৃজনী হোটেলেরও বুকিং করা যায় ৷ মধুপুরে থাকার জন্য হোটেল আছে, উল্লেখযোগ্য এম্ব্যাসি হোটেল, রাজ হোটেল ৷ গিরিডিতে প্রচুর গেস্টহাউস আছে তাছাড়া আছে ‘নিখার হোটেল’ ৷
ভ্রমণ জানুয়ারি, ১৯৯৬
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন