একযাত্রায় ভোরামদেরও আর কানহা – হীরক নন্দী

অমরেন্দ্র চক্রবর্তী

একযাত্রায় ভোরামদেরও আর কানহা – হীরক নন্দী

বিলাসপুর থেকে ১১৪ কিলোমিটার আর রায়পুর থেকে ১১৭ কিলোমিটার, অর্থাৎ প্রায় একই দূরত্বে ছোট্ট জনপদ কাওয়ার্ধা ৷ কাওয়ার্ধা হয়ে পোণ্ডি (স্থানীয় উচ্চারণে পোঁড়ি) যেতে বিলাসপুরের পথে ২ কিলোমিটার পিছিয়ে বাঁয়ে গেছে ভোরামদেও-এর রাস্তা ৷ ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পরিষ্কার সুন্দর পথ ৷ সমতল পেরিয়ে একসময়ে শুকনো পাহাড় ৷ টিলার গায়ে যদৃচ্ছ উড়ে বেড়াচ্ছে বসন্তের মরা পাতা ৷ আপাত প্রাণহীন রুগ্ন শালের জঙ্গল বিছিয়ে আছে তার নিজস্ব সৌন্দর্য ৷ হালফিলের মোটাদাগের স্থাপত্যে তৈরি একটা তোরণের মধ্য দিয়ে রাস্তা ঢুকে গেছে মন্দিরে ৷ ডানহাতে সুন্দর বিশাল দিঘি; এই খটখটে ঊষর পরিবেশে চমক লাগে হঠাৎ ৷ দিঘির এককোনায় প্রাচীন মন্দির ৷ চোখ ধাঁধানো কিছু নয়, তবু নজর কাড়ে ঠিকই ৷

মন্দিরের আসল গুরুত্ব তার প্রত্নতত্বে ৷ আর্কিওলজি ও মিউজিয়ামস দপ্তরের অধিকর্তার তরফ থেকে মন্দিরের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস লেখা আছে সামনের চত্বরে ৷ ভোরামদেওয়ের মূল মন্দির তৈরি হয় খ্রিস্ট্রীয় একাদশ শতাব্দীর প্রথমদিকে, নাগ বংশী রাজাদের শাসনকালে ৷ যদিও মন্দিরের অধিষ্ঠাতা দেবতা শিব, মন্দিরের নামটা আসে আদিবাসী লোকদেবতা ভোরাম-এর নামানুসারে ৷ পুরো মন্দিরটাই পাথরের তৈরি ৷ যত ছোটই হোক, মন্দিরের গঠনশৈলী বিস্ময়কর ৷ প্রথমে সমাবেশ কক্ষ যার তিনদিকে কারুকার্য করা প্রবেশদ্বার; তারপর আরও একটা অপেক্ষাকৃত ছোট কুঠরি পেরিয়ে পবিত্র গর্ভগৃহ ৷ এর ওপরে মন্দিরের দর্শনীয় কাঠামো যা সাতটা নির্দিষ্ট আনুভূমিক আর একইসঙ্গে উলম্ব স্তরের সমষ্টি ৷ প্রধানত কাম, সঙ্গীত, নৃত্য আর যুদ্ধরত মূর্তিতে অলঙ্কৃত ৷ বাইরের অলংকরণ ক্ষণস্থায়ী ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য সংসারের প্রতিরূপ ৷ মন্দিরের অভ্যন্তরে দৈবী চেতনার প্রকাশ, যেখানে ঈশ্বরের সঙ্গে মানুষের সংযোগ ৷ মূল মন্দিরের গায়ে গা ঘেঁসে বহু পুরনো ইটের মন্দির, খ্রিস্ট্রীয় অষ্টম শতাব্দীতে বিকাশ পাওয়া ছত্তিশগড়ি স্থাপত্যের আদলে তৈরি ৷ ওই একই চত্বরে পাকাপোক্ত ছাউনির তলায় আরও নানান দেবদেবীর মূর্তি ৷ এগুলো চৌরা গ্রাম থেকে তুলে আনা প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন ৷ হরগৌরী, সতী ইত্যাদি পাথরের মূর্তি ৷ সবই খ্রিস্ট্রীয় দ্বাদশ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের সংগ্রহ ৷ স্থূল, বলিষ্ঠ প্রত্যঙ্গের আদল একাদশ শতাব্দীর ওই একই শিল্পধারার সাক্ষ্য বহন করে ৷ মূল মন্দিরের অলঙ্গকণে কামের প্রাধান্য খাজুরাহোর কথা মনে পড়িয়ে দেয় ৷ এই কারণেই ভোরামদেও ছত্তিশগড়ের খাজুরাহো নামে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে ৷

ভোরামদেও মন্দিরে পৌঁছনোর সামান্য আগে বাঁহাতে মাণ্ডোয়া মহল ৷ মন্দিরের অবস্থা যথেষ্ট করুণ ৷ সামনের মণ্ডপ প্রায় ভেঙে পড়েছে ৷ ১৩৪৯ খ্রিস্টাব্দে ফণী (নাগ) বংশের ২৪তম ও শেষ শাসক রামচন্দ্রের আমলে গড়া ৷ পাথরের গায়ে একই ধরনের শিল্প, কামের প্রাধান্য ৷ এখানে যেন একটু খাপছাড়া, দৃষ্টিকটু বলে মনে হয়, সম্ভবত হাতের কাজের স্থূলতার জন্য ৷ যে নৈপুণ্যে মূল মন্দির গড়ে তোলা, এখানে তার ছিটেফেঁাটা নেই ৷ সামনের সাইনবোর্ডে ওই একই কথা লেখা ৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিল্পের অবনতির পরিষ্কার ইঙ্গিত ৷ দুটো স্থাপত্য কাছাকাছি থাকায় সেটা আরও শিক্ষণীয় ৷

বিলাসপুর কি রায়পুর হয়ে কোনও পর্যটক যদি কানহার দিকে যান, ভোরামদেও ছুঁেয় যাওয়াটা খুবই সম্ভব ৷ ভোরামদেও থেকে একটা কাঁচা রাস্তা আছে, পোণ্ডি আর চিল্পির মাঝামাঝি স্টেট হাইওয়ে ২৬-এ গিয়ে মেশে ৷ কাওয়ার্ধার দিকের রাস্তাটা সে তুলনায় ভালো ৷ সামান্য ঘুরপথ হলেও অনুচ্চ পাহাড়শ্রেণীর পটভূমিতে ভোরামদেওয়ের মন্দির আর চোখ জুড়োনো দিঘি সাধারণ পর্যটকের মনেও কিছটা ছাপ ফেলবে ৷ যাঁরা প্রত্নতত্বে আগ্রহী, তাঁদের কথা স্বতন্ত্র-এ তাঁদেরই তীর্থস্থান ৷

.

কানহা

আগের রাতে কলকাতা থেকে রওনা হয়ে পরদিন সন্ধ্যার মুখে মুক্কি পৌঁছলাম ৷ একটু ঘুরপথে ভোরামদেও হয়ে না এলে তিনটে-সাড়ে তিনটের মধ্যে মুক্কি ঢুকে যেতাম ৷ সন্ধের অন্ধকারে এম পি ট্যুরিজম-এর বিরাট সাফারি লজের ভেতরটুকু ছাড়া কিছু নজরে পড়েনি ৷ বাড়িটার স্থাপত্য একটু অন্য ধরনের, বেশ মনে ধরে ৷ ভোরের আলোয় পিছনের নদীটা নজরে পড়ল ৷ পাথরে পাথরে ধাক্কা খেয়ে বেশ এলিয়ে বইছে ৷ অবসর সময়টা নদীর ধারেও ভালোই কাটে ৷ সামনেই স্টেট হাইওয়ে ৷ রাতের বেলায় বেশ কিছু হরিণ ছিটকে আসে ৷ মুক্কিতে সাফারি লজ ছাড়া আরও প্রাইভেট লজ আছে দু-তিনটে ৷ ফরেস্ট রেস্টহাউসও আছে, সামান্য জঙ্গলে ঢুকে ৷ চেকপোস্ট পেরোলেই একটানা জঙ্গল ৷ ভোরবেলা লাইন লাগে গাড়ির ৷ কে আগে দরজা ঠেলে ঢুকবে, তার প্রচ্ছন্ন প্রতিযোগিতা ৷

এখন মার্চ মাসের শুরু ৷ সাত পুরু পাতা পড়েছে জঙ্গলের মাটিতে ৷ একটু হাওয়া দিলেই যেন হুড়োহুড়ি পড়ে অরণ্যভূমিতে ৷ কানহার জঙ্গলের চরিত্রে আছে পাতাঝরা ৷ চিরহরিৎ লালিত্যের অভাব ৷ আসন্ন গ্রীষ্মের সূর্য জ্বালিয়ে খাচ্ছে সারাদিন ৷ তার অত্যাচারের চিহ্ন সর্বত্র ৷ শুখা অরণ্যে ফাঁকে ফাঁকে একটা দুটো ওয়াটার হোল ৷ যেন সানস্ক্রিন লোশন পড়েছে মাটিতে ৷ দুনিয়ার পাখি তার আশপাশে ৷ কদিন বাদে পশুরাও জড়ো হবে এরই আশপাশে ৷ এখনও টুকরো টুকরো জল আছে জঙ্গলে ৷ আদিগন্ত ঘাসবনে, বাষ্প জমে এখনও ৷ কানহার এই ঘাসবনের তুলনা হয় না ৷ অতটা জমি, যেন ঢেউয়ের মতো অনবরত দোল খেয়ে চলেছে ৷ মাঝে মধ্যে শালবন, তলায় পাতার স্তূপ ৷ দেখে মনে হয় যেন মেপে মেপে লাগানো ৷ যেখানে পাহাড়ি পথ, সেখানে বাঁশের ভাগ বেশি ৷ কিছু কিছু ঝাড়ে ফুল ফুটেছে প্রচুর ৷ এবারে প্রকৃতই ঝাড়ে-বংশে মরবে ৷ পাহাড়ের বনভূমি কিছুটা মিশ্র ধাঁচের, তাই অপেক্ষাকৃত সবুজ ৷ এখানে জন্তু দেখার সম্ভাবনা কম ৷ সমতলে হলুদ বেশি, তবু অক্লান্ত চোখ সেই হলুদই খোঁজে ৷ গাঢ়তর হলুদ, যেন অনেকটাই স্বতন্ত্র তার জীবনীর প্রাবল্যে ৷

কানহা বলতেই বাঘ ৷ হাজারটা পর্যটক চরকির মতো দৌড়ে বেড়াচ্ছে ৷ দেশি-বিদেশি, কিশোর-বৃদ্ধ সবাই এখানে এক ৷ এক মহিলাকে দেখলাম তাঁর বছর দেড়েকের শিশুকে বুকে করে এই একই খেলায় মেতেছেন ৷ এই একটা জন্তু আমাদের জাগিয়ে রেখেছে ৷ ভারতীয় বাঘ যেমন বাঘের একটা উপপ্রজাতি, যাকে সারা ভারতবর্ষে পাওয়া যায়, কানহার বারাশিঙ্গা তেমনই একটা উপপ্রজাতি (Cervus duvauceli (brandevi) যাকে সারা পৃথিবীর মধ্যে শুধু কানহাতেই পাওয়া যায় ৷ অথচ এই বারাশিঙ্গাকে লোকে পাত্তাই দেয় না ৷ একটা সামান্য হরিণ, তার শিঙে দুটো ডালপালা বেশি-বড়জোর ওইটুকুই ৷ এই একটা কারণেই বাঘ মানে ‘বাঘের বাচ্চা’ ৷

বিস্তর ছুটে আমরা বাঘ দেখলাম ৷ সেই বিখ্যাত ‘টাইগার শো’ ৷ সংরক্ষণবাদীদের আপত্তিতে কিছুদিন বন্ধ থেকে কানহা, বান্ধবগড়ে আবার চালু হয়েছে ৷ সকালে হাতিতে চেপে বনবিভাগের লোকেরা জঙ্গলে বেরোয় কানহা, কিসলি আর মুক্কি এই তিনটে জায়গা থেকে ৷ বাঘ দেখা গেলে ওয়ারলেসে খবর ছোটে ৷ পর্যটকেরা হাউমাউ করে গাড়িতে উঠে যেখানে দেখা মিলেছে সেখানে ছোটেন ৷ যে দল আগে নাম লেখাবে, তাদের সুযোগ আগে ৷ ধরা যাক দশটা গাড়ি কানহায় দাঁড়িয়ে আছে নাম লিখিয়ে, এমন সময় কিসলিতে বাঘ দেখা গেল ৷ তখন যে গাড়ির রেসটা হয়, সেটাকে গ্রাঁ প্রী বলে না চালাতে পারার সঙ্গত কারণ নেই ৷ যাইহোক বাঘ দেখা গেলে একটা হাতি দাঁড়িয়ে থাকে বাঘের পাশে, আরেকটা হাতি পর্যটকদের নিয়ে গিয়ে আগের হাতিটাকে মুক্তি দেয় ৷ বাঘ কখনও শুয়ে থাকে, কখনও গড়াগড়ি দেয়, কখনও সইতে না পেরে দাঁত খিঁচোয় ইত্যাদি ৷ যত খিঁচোয়, ততই শাটার পড়ে বেশি ৷ এই বিচিত্র বাঘবন্দী খেলা চলতেই থাকে যতক্ষণ না বাঘের স্থানত্যাগ করার ইচ্ছে এবং সুযোগ ঘটে; অথবা কানহায় অবস্থানকারী যাবতীয় পর্যটকের ক্যামেরার সমস্ত ফিল্ম খতম হয় ৷ কিসলিতে বাঘিনী দেখলাম এই অভিনব খেলায় নাম লিখিয়ে ৷ ফিল্ম শেষ হয়নি কারণ বাঘিনী অন্ধকার ঝোপে শুয়ে দিবানিদ্রা দিচ্ছিল ৷ এতই অন্ধকার যে লোকে সাধারণত হলুদের মধ্যে কালো ডোরা দেখে, আমি দেখলাম কালোর মধ্যে হলুদ ৷

কানহার ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার একটা অসামান্য সংযোজন ৷ এত ভালো এই ধরনের সেন্টার কোনও জঙ্গলে দেখিনি ৷ এটা কানহায় বলতে কানহা জায়গাটাতেই ৷ মুক্কি থেকে ‘কানহা জাতীয় উদ্যান’-এ ঢুকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার গিয়ে ‘কানহা’ আর সেখান থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার কিসলি ৷ কিসলি থেকে আরও ৩ কিলোমিটার খাটিয়া, যেটা জাতীয় উদ্যানের উত্তর-পশ্চিম এবং অন্যতম প্রবেশদ্বার ৷ কানহায় পর্যটকদের ঘুরে বেড়াতে হয় কতগুলো নির্দিষ্ট রাস্তায়, এই খাটিয়া-কিসলি-কানহা-মুক্কির আশপাশকে কেন্দ্র করে ৷ গাড়ি থেকে নামা ভীষণভাবে বারণ, হাতি থেকে তো বটেই ৷ গাড়ি থেকে প্রায় সবকিছুই দেখা যায়, এমনকী বাঘও ৷ এইভাবে বাঘ দেখাটা অনেক বেশি রোমাঞ্চকর, ওই বাঘবন্দীর আপাত-কৃত্রিমতা এখানে প্রভাব ফেলে না ৷ আমরা অনেক কিছুই দেখেছি গাড়ি থেকে; বারাশিঙ্গা, চিতল, বুনো শুয়োর, শেয়াল এইসব ৷

কানহায় তৃণভোজী প্রাণীদের অনেক প্রজাতি ৷ যেগুলো দেখেছি সেগুলো ছাড়াও গাউর যথেষ্ট সহজলভ্য ৷ বার্কিং ডিয়ার বা কুটরা সংখ্যায় ভালোই, যেহেতু দল গড়ে থাকে না তাই দেখা অপেক্ষাকৃত শক্ত ৷ কৃষ্ণসার আর নীলগাই আছে, সংখ্যায় অতি নগণ্য ৷ চৌশিঙ্গাও দেখা যায় মাঝেমধ্যে ৷ মাংসাশীদের মধ্যে বাঘ আছে একশোর কাছাকাছি; এছাড়া চিতাবাঘ, বনকুকুর বা ঢোল ইত্যাদি ৷ জঙ্গলের ঝাড়ুদার আছে কিছু, যেমন শেয়াল আর হায়না ৷ বুনোশুয়োর পর্যাপ্ত; শ্লথ ভাল্লুকও বিরল নয় ৷ ছোটখাটো স্তন্যপায়ী যেমন বেজি, ভাম, প্যাঙ্গোলিন, বনবেড়াল-এরাও ভালোই আছে ৷ হনুমানের কথা আলাদা করে লিখছি না, তাদের আধিক্য জঙ্গলেও যেমন শহরেও তেমনই ৷

কানহা পাখিদেরও স্বর্গরাজ্য ৷ খুব বেশি দেখেছি ময়ূর, দাঁড়কাক, র্যাকেট-টেইলড ড্রঙ্গো, হাঁড়িচাচা বা ইন্ডিয়ান ট্রি পাই আর নীলকণ্ঠ ৷ জলাশয়গুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেখেছি ছোট সরাল, কটন টিল, পিনটেল, ড্যাবচিক আর ছোটবড় একগাদা বক ৷ পাখিদের তালিকা দীর্ঘতর করে লাভ নেই; প্রথমত অনেকক্ষণ চলবে, দ্বিতীয়ত যে যাচ্ছে সে প্রতিবারেই কিছু না কিছু রকমফের দেখবে ৷ তবে এত বেশি ময়ূর জঙ্গলে খুব একটা দেখিনি ৷ একটা অসামান্য দৃশ্য দেখেছি একদিন ৷ আমাদের গাড়ি বাঁক ঘুরে দাঁড়িয়ে পড়তে বাধ্য হল ৷ রাস্তার ঠিক মাঝখানে একদম সোজাসুজি একটা ময়ূর, তার পূর্ণপেখম যেন চালচিত্রের মতো আড়াআড়ি মেলে ধরা ৷ পেখম খোলা ময়ূর এপাশে ওপাশে হামেশাই দেখি ৷ এ যেন একটা বর্ণনাতীত সৌন্দর্যের পাঁচিল তুলে সরাসরি আমাদের গাতিরোধ করল ৷ ক্ষণিকের দৃশ্য, তবু ওই পলকের দেখায় জাতীয় পাখি যেন এই যাত্রায় অতিক্রম করে গেল আমাদের জাতীয় চতুষ্পদকে ৷

কানহায় কোনও বড় ধরনের সমস্যা নেই ৷ জাতীয় উদ্যানের অসাধারণ ম্যানেজমেন্ট, পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধে, তাঁদের ওপর বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণ, এ সবই যেন সমালোচনার ঊর্ধ্বে ৷ কানহা শুধু দর্শনীয়ই নয়, কানহা শিক্ষণীয়-নিসর্গ ও প্রকৃতিকে ভালোবাসেন এরকম প্রতিটি ভারতীয় পর্যটকের কাছে ৷

ভ্রমণ এপ্রিল, ১৯৯৭

সকল অধ্যায়

১. অর্ধশতাব্দীর আগের বদ্রীনাথ যাত্রা – প্রতাপকুমার রায়
২. মানস অভয়ারণ্য – সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়
৩. জলদাপাড়া অরণ্য – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৪. জলের ধারে ঘর – নবনীতা দেব সেন
৫. জয়ন্তীর মহাকাল মন্দির – উষা সেন
৬. তাহিতি – হরপ্রসাদ মিত্র
৭. মার্কন্ডেয় গঙ্গার উত্স সন্ধানে – অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়
৮. কেদার বদ্রী – মৈত্রেয়ী চট্টোপাধ্যায়
৯. তেহরানি হয়রানি – অমিতাভ চৌধুরি
১০. শোনপুরের মেলায় – বরুণ দত্ত
১১. এলেম নতুন দেশে – কমলা মুখোপাধ্যায়
১২. মস্কো থেকে সাইবেরিয়া হয়ে পিকিং – গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়
১৩. পাতাল-ভুবনেশ্বর – বিশ্বদীপ দত্ত
১৪. ইছামতীর মশা – শঙ্খ ঘোষ
১৫. নিকোবরের দ্বীপে – তিলকরঞ্জন বেরা
১৬. তিরতিরে নদী আর শাল জঙ্গলের দেশে – নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
১৭. আমার ভ্রমণ – মহাশ্বেতা দেবী
১৮. সুন্দরবন – হীরক নন্দী
১৯. ওপারবাংলার সুন্দরবনে – সমীর সেনগুপ্ত
২০. সাইকেলে পাঁচ বছরে ভূ-পর্যটন – ভূপর্যটক বিমল দে
২১. আঙ্কোর ভাট – প্রীতি সান্যাল
২২. হিমালয়ের সাতকাহন – ত্রিদিব বসু
২৩. স্বপ্নের পথেই যাওয়া যায় – মহাশ্বেতা দেবী
২৪. ছোট কৈলাস – সুভাষ দত্ত
২৫. বালতাল হয়ে অমরনাথ – প্রতাপকুমার রায়
২৬. মধ্য এশিয়া অভিযান – গৌতম ঘোষ
২৭. পথ হারিয়ে সিকিমের জঙ্গলে – রতনলাল বিশ্বাস
২৮. নতুন করে পাব বলে – বন্দনা সান্যাল
২৯. সেবার ব্রেকজার্নি করে – জয়া মিত্র
৩০. চন্দ্রভাগার উৎস চন্দ্রতাল সুর্যতাল – সুনীলকুমার সরদার
৩১. ওঙ্কারেশ্বর – বিশ্বদীপ দত্ত
৩২. সুন্দরবনে দুদিন – পবিত্র সরকার
৩৩. মণিমহেশ – কমলা মুখোপাধ্যায়
৩৪. দিকবিদিকে – শক্তি চট্টোপাধ্যায়
৩৫. তিস্তানদীর উৎসে – শরৎ ঘোষ
৩৬. পশ্চিমে হাওয়াবদল – মধুপর্ণা দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
৩৭. এক টুকরো নীল চাঁদ – সুমিত মুখোপাধ্যায়
৩৮. কালিম্পং থেকে তিব্বত – অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়
৩৯. সাইলেন্ট ভ্যালি – শিবনাথ বসু
৪০. মির্জা শেখ ইতেসামুদ্দিনের বিলেত যাত্রা এবং আমি – নবনীতা দেব সেন
৪১. বক্সা বাঘ-প্রকল্প – বুদ্ধদেব গুহ
৪২. গানতোক থেকে ইয়ুমথাং – সুতপা ভট্টাচার্য
৪৩. ক্যামেরুন, আগ্নেয়গিরি ও গভীর জঙ্গলের খুদে মানুষেরা – প্রীতি সান্যাল
৪৪. ডুয়ার্সের দুয়ার এখন খোলা – সমরেশ মজুমদার
৪৫. ইউরোপে দিন কয়েক – পূর্ণেন্দু পত্রী
৪৬. রামচন্দ্রের বনবাসের পথ পরিক্রমা – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৪৭. আসমুদ্রককেশাস – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
৪৮. নিরলংকার ভ্রমণ – শঙ্খ ঘোষ
৪৯. চেঙ্গিস খানের দেশে – প্রতাপকুমার রায়
৫০. মিজোরামের নীল পাহাড়ে – দীপঙ্কর ঘোষ
৫১. সিন্ধুদুর্গ – বিশ্বদীপ দত্ত
৫২. জিম করবেটের জঙ্গলে – মণিদীপা বন্দ্যোপাধ্যায়
৫৩. থর মরুভূমিতে ট্রেকিং – শিবনাথ বসু
৫৪. মরোক্কো ভ্রমণ – হরপ্রসাদ মিত্র
৫৫. ভাগীরথী, রূপনারায়ণ, নোবেল প্রাইজ – নবনীতা দেব সেন
৫৬. গন্তব্য মাচুপিচু – প্রতাপকুমার রায়
৫৭. কই যাইত্যাছি জানি না – শঙ্খ ঘোষ
৫৮. পারাংলা অভিযান – সুনীলকুমার সরদার
৫৯. পুশকিন, মলদভা আর কচি পাতার বাঁশিতে মোত্সার্ট – প্রীতি সান্যাল
৬০. আমাদের ছোট নদী : পার্বতী – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৬১. দেবলোকের পথে পথে – অশোক চক্রবর্তী
৬২. না-ভ্রমণের বৃত্তান্ত – আশাপূর্ণা দেবী
৬৩. এভারেস্টের পাদদেশে যাত্রা – কমলা মুখোপাধ্যায়
৬৪. নীল নদে পাঁচদিন – হরপ্রসাদ মিত্র
৬৫. বারাণসীর ঘাটের কথা – মণিদীপা বন্দ্যোপাধ্যায়
৬৬. বালফাক্রমের পাহাড়-জঙ্গলে – সুমিত মুখোপাধ্যায়
৬৭. গৌরীগঙ্গার উৎসব মিলাম হিমবাহ – পুরুষোত্তম বন্দ্যোপাধ্যায়
৬৮. মরুভূমির দিনরাত্রি – পবিত্র সরকার
৬৯. ঢাকা : একুশ বছর পর – অন্নদাশঙ্কর রায়
৭০. ফোকসোমদো হ্রদ – ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত
৭১. ইন্টারলাকেন থেকে ইয়ুংফ্রাউ – মণিদীপা বন্দ্যোপাধ্যায়
৭২. কালিন্দী গিরিবর্ত্ম – রথীন চক্রবর্তী
৭৩. একযাত্রায় ভোরামদেরও আর কানহা – হীরক নন্দী
৭৪. মদমহেশ্বরের ডোলিযাত্রা – কাজল দত্ত
৭৫. কেনিয়ায় পাঁচ অরণ্য – প্রতাপকুমার রায়
৭৬. কোনাডা থেকে রেভুপাল ভরম – রতনলাল বিশ্বাস
৭৭. চাঁদের দেশ লাদাখ – কমলেশ কামিলা
৭৮. বোকের তোভ, ইজরায়েল – নবনীতা দেব সেন
৭৯. বিষ্ণুপুর মুকুটমণিপুর – হরপ্রসাদ মিত্র
৮০. ডোকরিয়ানি বামক – অনিন্দ্য মজুমদার
৮১. তাওয়াং থেকে তাসি-চু জং – কমলা মুখোপাধ্যায়
৮২. মেক্সিকো শহরের একটি দিন – প্রীতি সান্যাল
৮৩. আকাশচূড়ায় অভিযান – অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়
৮৪. ভ্রমণের ঝঞ্ঝাট – শঙ্খ ঘোষ
৮৫. সারেঙ্গেটির জঙ্গলে – হরপ্রসাদ মিত্র
৮৬. এবারের কুম্ভমেলায় – চিন্ময় চক্রবর্তী
৮৭. অন্য পথের পথিক – বুদ্ধদেব গুহ
৮৮. গরুমারা জঙ্গলে – টুটুল রায়
৮৯. নিশীথ সূর্যের দেশ – প্রতাপকুমার রায়
৯০. সবুজ নামদাফাতে – সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়
৯১. পঞ্চকেদার – শিবনাথ বসু
৯২. গোঁসাইকুণ্ড – কমলা মুখোপাধ্যায়
৯৩. অমরকন্টক – হীরক নন্দী
৯৪. আদিম ডুয়ার্সের আধুনিক রূপকথা – সূর্য ঘোষ
৯৫. পার্বতী উপত্যকায় সার পাস – বিদ্যুৎ দে
৯৬. মিয়ানমার, ইরাবতীর সঙ্গে – পবিত্র সরকার
৯৭. রূপসী রিশপ – হীরক নন্দী
৯৮. হিমবাহের জন্মভূমিতে – শেখর ভট্টাচার্য
৯৯. ভাবা জোত পেরিয়ে কিন্নর থেকে স্পিতি – অনিন্দ্য মজুমদার
১০০. ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত – হরপ্রসাদ মিত্র
১০১. বক্সা দুর্গ – টুটুল রায়
১০২. সিন্ধু নদের ধারে – রতনলাল বিশ্বাস
১০৩. মেঘালয়ের দাউকি – সুমিত মুখোপাধ্যায়
১০৪. আমাদের ছোট নদী : লিডার – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১০৫. লাসা – সমীর রায়
১০৬. ২ নম্বর লোভালোয়া স্ট্রিট – অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
১০৭. অযোধ্যা পাহাড় – বিশ্বদীপ দত্ত

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন