১০. গোবিন্দদাস

সতীশচন্দ্র মিত্র

দশম পরিচ্ছেদ – গোবিন্দদাস

রামচন্দ্র ও তাঁহার পুত্রগণ যখন গৌড়ে ছিলেন, তাহার ৫০ বৎসর পূর্ব্ব হইতে সমগ্র বঙ্গে এক নূতন ধর্ম্মের তুফান বহিয়াছিল, সে তরঙ্গে কোমল হৃদয় মাত্রই ভাসিয়া গিয়াছিল। আমরা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি, সম্ভবতঃ রামচন্দ্রই সপ্তগ্রাম বা গৌড়ে বাস করিবার সময়ে নূতন বৈষ্ণবধর্মে দীক্ষিত হন। সপ্তগ্রাম ও গৌড় উভয় স্থানেই বৈষ্ণব ধর্ম্মের প্রভাব আসিয়াছিল, সে প্রভাবে রঘুনাথ ও রূপ-সনাতন ভাসিয়া গিয়াছিলেন। বৃদ্ধ রামচন্দ্র যে বৈষ্ণব হইবেন, সে বড় বেশী কথা নহে। বিক্রমাদিত্য ও বসন্ত রায় জন্মাবধি বৈষ্ণব ছিলেন। তাঁহারা কৃষ্ণলীলা পদগান শুনিতে বড় ভাল বাসিতেন। এই সময়ে গৌড়ে তাঁহাদের সহিত পদকবি গোবিন্দদাসের প্রথম সাক্ষাৎ হয়।[১] গোবিন্দদাস তখন তাঁহার অতীব স্বাভাবিক এবং মধুর কোমলকান্ত পদাবলীর প্রভাবে লোকমাত্ৰকে মোহিত করিয়া দ্বিতীয় বিদ্যাপতি বলিয়া আখ্যাত হইতেছিলেন। গোবিন্দের পিতামহ দামোদর[২] মহাকবি ছিলেন; গোবিন্দ তাঁহার উত্তরাধিকারী হইয়া জন্মগ্রহণ করেন। এমনও বর্ণনা আছে যে বাগ্দেবী যেন দাসীর মত তাঁহার লেখনী জুড়িয়া থাকিতেন।[৩] কাব্যসাগর মন্থন করিয়া গোবিন্দ তাঁহার পদ রচনা করিতেন, আর সে পদাবলী যখন তাঁহার কণ্ঠে সুরের সহিত গীত হইত তখন শ্রোতৃবর্গের প্রাণ কাড়িয়া লইত। মহাপ্রাণ বসন্ত রায়ের সহিত গোবিন্দদাসের প্রাণে প্রাণে মিলন হইয়াছিল। তিনি যশোরে আসিয়া গোবিন্দকে ভুলিতে পারেন নাই; তাঁহার জীবনে তিনি কখনও গোবিন্দ নাম ভুলেন নাই; তাঁহার ইষ্টদেবতা গোবিন্দদেব, তাঁহার প্রাণের বন্ধু গোবিন্দদাস, তাঁহার পুত্র ছিলেন গোবিন্দ রায়, গোবিন্দ যেন বসন্ত রায়ের জীবন পথের সাথী। তাঁহার অনুরোধে কিছু দিন পরে পরে গোবিন্দদাস যশোহরে আসিতেন, আসিলে আর সহজে যাইতে পারিতেন না। রাজকার্য্য হইতে যখনই কোন অবসর মিলিত, রাজভ্রাতৃদ্বয় তখনই গোবিন্দকে লইয়া তাঁহার কীৰ্ত্তন শুনিতেন। যুবরাজ প্রতাপাদিত্য আজন্ম বৈষ্ণব ছিলেন এবং কীৰ্ত্তন গানও ভালবাসিতেন। প্রতাপ যেমন বসন্ত রায়ের নিকট অসি-শিক্ষা করিয়াছিলেন, ধর্ম্মনিষ্ঠার প্রাথমিক শিক্ষাও তাঁহারই নিকট পাইয়াছিলেন।

বসন্ত রায় যে শুধু সঙ্গীত শ্রবণ করিতেন, তাহা নহে। তিনিও স্বভাব কবি। তিনিও পা রচনা করিতেন। শ্রীচৈতন্যের ভক্তিতরঙ্গ, শুধু বঙ্গকলিঙ্গ কেন, ভারতের বহু অঙ্গে আঘাত করিয়াছিল। এক নবাগত সঞ্জীবনীশক্তি সমস্ত ভারতবর্ষকে মাতাইয়া তুলিয়াছিল। এ তরঙ্গে কত অধম সন্তান প্রেমিক হইল, কত লক্ষপতিকে রাজর্ষি করিয়াছিল। সঙ্গীত বা পদ রচনা করা একালের একটি প্রকৃতি হইয়া দাঁড়াইয়াছিল। শুধু বঙ্গবাসী বা হিন্দু কেন, কত মুসলমান কবি, এমন কি একপ্রকার নিরক্ষর আকবর বাদশাহ পর্য্যন্ত, পদরচনা করিতেন। কবিদিগের মধ্যে সেকালে তর্জ্জায় লড়াই হইত। একজন কবিতায় যে সকল প্রশ্ন করিতেন, অন্যে তৎক্ষণাৎ কবিতায় তাহার উত্তর দিতেন। গোবিন্দদাসের সহিত বসন্ত রায়ের সেরূপ লড়াই চলিত। বসন্ত রায় এমন তীক্ষ্ণবুদ্ধিসহকারে সত্বর উত্তর প্রদান করিতেন যে, গোবিন্দদাসও তাঁহার কবিত্ব ও অনুসন্ধানে ভূয়সী প্রশংসা করিতেন। রাসলীলা প্রসঙ্গে গোবিন্দদাস গাহিয়াছেন :

‘কুসুমিত কুঞ্জ কল্পতরুকানন, মণিময় মন্দিরমাঝ।
রাসবিলাস কলাউৎকণ্ঠিত, মনোমোহন নটরাজ।।
কামিনী-কর-কিশলয়-বলয়াঙ্কিত রাতুল পদ-অরবিন্দ।
রায় বসন্ত, মধুপ অনুসন্ধিত নিন্দিত দাস গোবিন্দ।।’
— পদাবলী, ৭৬ পৃ

আবার মানপ্রসঙ্গে কতস্থানে আছে, যেমন :

“রায় চম্পতি, বচন মানহ, দাস গোবিন্দভাণ।’
‘রায় চম্পতি, ও রস গাহক, দাস গোবিন্দ ভাণ।’
— পদাবলী, ২০৮-০৯ পৃ

এ সকল স্থানে নিঃসন্দেহে বসন্ত রায়কে বুঝাইতেছে। কোন কোন স্থানে ‘দ্বিজরাজ বসন্ত’ ভণিতাও আছে, যেমন শ্রীশ্যামসুন্দরের রূপ প্রসঙ্গে :

‘পদতলে থলকি, কমল ঘন রাগ, তাহে কলহংস কি নুপুর জাগ।
গোবিন্দদাস, কহয়ে মতিমন্ত, ভুলল যাহে দ্বিজরাজ বসন্ত॥’[৫]
— পদাবলী, ৮২ পৃ

প্রতাপাদিত্যের রাজসিংহাসনে আরোহণের পরেও গোবিন্দদাস যশোহরে আসিতেন। তৎপ্রণীত সঙ্গীতে প্রতাপের নামের ভণিতা আছে, যেমন ‘মাথুর’ প্রসঙ্গে :

‘এত হি বিরহে আপহি মুরছই, শুনহ নাগর কান।
প্রতাপ আদিত, এ রস ভাসিত, দাস গোবিন্দ গান।।’[৬]

সম্ভবতঃ যশোরেশ্বরী দেবীর পুনরাবির্ভাবের পর প্রতাপাদিত্য যখন শক্তিমন্ত্রে দীক্ষিত হন এবং যখন অবিরত মোগলের সহিত সংঘর্ষের জন্য তাঁহাকে যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত থাকিতে হইত, সম্ভবতঃ তখন হইতে যশোহরের সহিত গোবিন্দের সম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন হয়। প্রতাপাদিত্য উড়িষ্যা হইতে খুল্লতাতের অনুরোধে গোবিন্দদেব বিগ্রহ লইয়া আসেন। উহার জন্য বসন্ত রায় গোপালপুরে অপূর্ব্ব মন্দির নির্মাণ করেন। সে কথা পরে বলিব। সে মন্দিরের ভগ্নাবশেষ এখনও আছে। সে মন্দিরের সংলগ্নভাবে একই চত্বরে আরও যে কয়েকটি সৌধ গঠিত হইয়াছিল, উহা এক্ষণে স্তূপীকৃত ইষ্টকে পরিণত হইয়াছে। সে সকল গৃহে সাধুভক্তগণ আসিয়া বাস করিতেন, প্রাতঃসন্ধ্যায় কীৰ্ত্তন-রঙ্গে তাহা প্রতিধ্বনিত হইত। তখন গোবিন্দদাস যশোহরে আসিলে, সেখানেই অধিষ্ঠান করিতেন। গোবিন্দ ও বসন্ত রায়ের ইষ্টদেবতা গোবিন্দদেব বিগ্রহ এখনও আছেন এবং নিত্য পূজিত হইতেছেন। যথাস্থানে তাহার বিবরণ দিব। প্রতাপাদিত্যের পতন ও পরলোক গমনের কয়েক বৎসর পূর্ব্বে গোবিন্দদাস দেহত্যাগ করেন।

পাদটীকা :

১. শ্রীচৈতন্যদেবের সম-সাময়িক ও ভক্ত, বৈদ্যবংশীয় চিরঞ্জীব সেন শ্রীখণ্ডে বাস করিতেন। তাঁহার দুইপুত্র, রামচন্দ্র ও গোবিন্দ, কালে গঙ্গাতীরবর্ত্তী তেলিয়া-বুধরীতে বাস করেন। গোবিন্দ প্রথমতঃ স্বীয় মাতামহ দামোদর সেনের নিকট শক্তিমন্ত্রে দীক্ষিত হন। পরে যখন তাহার বয়স ৪০ বৎসর, তখন ভীষণ গ্রহণী রোগাক্রান্ত হইয়া দৈবপ্রত্যাদেশ বশতঃ শ্রীশ্রীনিবাস আচার্য্যের নিকট বৈষ্ণব মন্ত্র গ্রহণ করেন। কথিত আছে, সেই দীক্ষার সময়ে তাহার মুখ-পঙ্কজ হইতে এক অপূৰ্ব্ব সঙ্গীত ফুটিয়া ছিল। সেই এক গানে একজনকে অমর করিতে পারে। গোবিন্দকে বুঝিতে হইলে সে গানটি বাদ দেওয়া চলে না; সেজন্য উহা উদ্ধৃত করিতেছি :

ভজহুঁ রে মন, নন্দ-নন্দন, অভয় চরণাবিন্দ রে।
দুলহ মানুষ জনম, সৎসঙ্গে তরহ, এভব সিন্ধু রে॥
শীত আতপ বাত, বরিখ এদিন, যামিনী জাগিরে।
বিফলে সেবিনু, কৃপণ দুরজন, চপল সুখলব লাগিরে ॥
এ ধন-যৌবন, পুত্র-পরিজন, ইথে কি আছে পরতীত রে।
কমলদল-জল, জীবন টলমল, জপহুঁ হরিপদ নিত রো
শ্রবণ কর্ত্তন, স্মরণ-বন্দন, পাদ-সেবন দাস্য রে।
পূজন ধেয়ান, আত্মনিবেদন, গোবিন্দ দাস অভিলাষ রে॥

তদবধি মাতামহের কবিত্ব, জন্মদাতার বৈষ্ণব প্রেম এবং গুরু শ্রীনিবাসের দেবপ্রভাব একত্র সম্মিলিত হইয়া, গোবিন্দের মুখে যে পদাবলী ফুটাইয়া ছিল, তাহা বঙ্গসাহিত্যে অমর হইয়া বঙ্গবাসীকে ধন্য করিয়াছে। শ্রীনিবাস ও জীবগোস্বামী উভয়ে তাঁহার কবিত্বে মুগ্ধ হইয়া তাহাকে ‘কবিরাজ’ উপাধি দেন। গোবিন্দ কবিরাজ ১৫৩৭ খৃষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন, ১৫৭৭ খৃষ্টাব্দে বৈষ্ণব মতে দীক্ষিত হন এবং ১৬১৩ অব্দে ৭৬ বৎসর বয়সে মানবলীলা সম্বরণ করেন (জগবন্ধু ভদ্র সঙ্কলিত ‘গৌরপদতরঙ্গিনী’, ৭০ পৃ)। ক্ষীরোদচন্দ্র রায় চৌধুরী মহাশয় আরও ১২ বৎসর পূর্ব্বে গোবিন্দের জন্মকাল স্থির করেন। তাহা হইলে ১৫৬৬ অব্দে গোবিন্দ বৈষ্ণব হন। সম্ভবতঃ তাহারই দুই এক বৎসর পর গৌড়ে বিক্রমাদিত্য ও বসন্ত রায়ের সহিত তাঁহার প্রথম সাক্ষাৎ হয়।

২. ‘পাতালে বাসুকির্বক্তা, স্বর্গে বক্তা বৃহস্পতিঃ।
গৌড়ে গোবর্দ্ধনো বক্তা, খণ্ডে দামোদরঃ কবিঃ।।’
—সঙ্গীতমাধব

৩. শ্রীগোবিন্দ কবিরাজ, বন্দিত কবি-সমাজ, কাব্যরস অমৃতের খনি। বাগ্দেবী যাঁহার দ্বারে দাসীভাবে সদা ফিরে, অলৌকিক কবি শিরোমণি।।’
–বল্লভদাস

৪. জীউ জীউ মেরে, মনচোরা গোরা।
আপনি নাচত আপন রসে ভোরা।।
খোল করতাল বাজে, ঝিকি ঝিকি ঝিকিয়া।
ভকত আনন্দে নাচে লিকি লিকি লিকিয়া।।
পদ দুই চার চলু নট নট নটিয়া।
থির নাহি হোয়ত আনন্দে মাতুলিয়া।।
ঐছন পঁহুকে যাহ বলিহারি।
সাহ আকবর তেরে প্রেম ভিকারী।।’

—‘গৌরপদ তরঙ্গিনী’, ২৫৭ পৃ

As regards Akbar’s formal illiteracy, Dr. Vincent A. Smith writes: ‘He never learned elements of reading and writing – Akbar, p. 337.

৫. জগদ্বন্ধু ভদ্র মহোদয় গোবিন্দদাসের যশোহর আগমন স্বীকার করেন নাই। তিনি বলেন, যে “দ্বিজরাজ বসন্ত রায়ের’ কথা গোবিন্দের পদাবলীতে আছে, তিনি ব্রাহ্মণ ও বৈষ্ণব এবং যশোহরের বসন্ত রায় ছিলেন কায়স্থ ও শাক্ত। সুতরাং তাঁহার মতে উভয়ে অভিন্ন ব্যক্তি নহেন। এ কথার উত্তরে বলা যাইতে পারে যে, বসন্ত রায় কায়স্থ হইলেও তাঁহাকে লোকে ঠাকুর বসন্ত রায় বা বসন্ত ঠাকুর বলিয়া ডাকিত এবং তাঁহাকে ‘দ্বিজরাজ বসন্ত’ ভণিতা দেওয়া অসম্ভব নহে। ‘দ্বিজ রামপ্রসাদ বলে’ এমন ভণিতা প্রসাদী পদাবলীর অন্ততঃ গাথকের মুখে সচরাচর শুনা যায়। দ্বিতীয়তঃ, বসন্ত রায় বৈষ্ণবই ছিলেন, শাক্ত ছিলেন না; প্রতাপের মত তিনি শক্তিমন্ত্রে দীক্ষিত হন নাই। তবে উদার হিন্দুর মত তাঁহার শক্তি-বিদ্বেষ ছিল না; পুরুষানুক্রমে তদ্বংশীয়েরা বৈষ্ণব; নিজের রাজ্যমধ্যে পড়িয়াছিল বলিয়াই তিনি পীঠস্থানে মায়ের মন্দির নির্ম্মাণ করিয়া দেন। সেই কালীঘাটেও তিনি শ্যামরায় বিগ্রহের উপাসক ছিলেন। সেই শ্যামরায় বিগ্রহ এখনও আছেন; কেহ কেহ বলেন সে বিগ্রহের পদতলে বসন্তের নাম লেখা আছে। আমি স্বচক্ষে তাহা দেখি নাই। নরোত্তম ঠাকুরের শিষ্য স্বতন্ত্র দ্বিজ বসন্ত থাকিতে পারেন, কিন্তু গোবিন্দদাস যে বসন্ত রায়ের সভা উজ্জ্বল করিতেন, তাহাতে সন্দেহ নাই। বসন্ত দুইজন থাকিলেও প্রতাপাদিত্য দুইজন ছিলেন না। গোবিন্দের পদে প্রতাপাদিত্যের ভণিতা আছে। গোবিন্দদাস যে যশোহরে আসিতেন, পূজ্যপাদ হারাধন ভক্তনিধি মহাশয় সে মতের পরিপোষক। গোবিন্দের পদে পাইকপাড়ার কবি নৃপতি নরসিংহের উল্লেখ আছে।

৬. অক্ষয়চন্দ্র সরকার-সঙ্কলিত ‘গোবিন্দদাসের পদাবলী’, ২৪১ পৃ; ‘বিশ্বকোষ’, ১২শ খণ্ড, ২৬৬ পৃ; নিখিলনাথ, ‘প্রতাপাদিত্য’, উপক্রমণিকা, ১১৩ পৃ।

সকল অধ্যায়

১. ১. উপক্রমণিকা
২. ২. পাঠান রাজত্বের শেষ
৩. ৩. বঙ্গে বারভুঞা
৪. ৪. প্রতাপাদিত্যের ইতিহাসের উপাদান
৫. ৫. পিতৃ-পরিচয়
৬. ৬. পাঠান রাজত্বের পরিণাম ও যশোর-রাজ্যের অভ্যুদয়
৭. ৭. যশোর-রাজ্য
৮. ৮. বসন্ত রায়
৯. ৯. যশোহর-সমাজ
১০. ১০. গোবিন্দদাস
১১. ১১. বংশ-কথা
১২. ১২. প্রতাপাদিত্যের বাল্যজীবন
১৩. ১৩. আগ্রার রাজনীতি ক্ষেত্ৰ
১৪. ১৪. প্রতাপের রাজ্যলাভ
১৫. ১৫. যশোরেশ্বরী
১৬. ১৬. প্রতাপাদিত্যের রাজধানী
১৭. ১৭. প্রতাপের আয়োজন
১৮. ১৮. মগ ও ফিরিঙ্গি
১৯. ১৯. প্রতাপের দুর্গ-সংস্থান
২০. ২০. নৌ-বাহিনীর ব্যবস্থা
২১. ২১. লোক-নির্বাচন
২২. ২২. সৈন্যগঠন
২৩. ২৩. প্রতাপের রাজত্ব
২৪. ২৪. উড়িষ্যাভিযান ও বিগ্ৰহ-প্ৰতিষ্ঠা
২৫. ২৫. বসন্ত রায়ের হত্যা
২৬. ২৬. সন্ধি-বিগ্রহ
২৭. ২৭. খৃষ্টান পাদরীগণ
২৮. ২৮. কার্ভালো ও পাদ্রীগণের পরিণাম
২৯. ২৯. রামচন্দ্রের বিবাহ
৩০. ৩০. প্রথম মোগল-সংঘর্ষ : মানসিংহ
৩১. ৩১. মানসিংহের সঙ্গে যুদ্ধ ও সন্ধি
৩২. ৩২. দ্বিতীয় মোগল-সংঘর্ষ : ইসলাম খাঁ
৩৩. ৩৩. শেষ যুদ্ধ ও পতন
৩৪. ৩৪. প্রতাপাদিত্য সম্পর্কিত কয়েকটি বংশ
৩৫. ৩৫. যশোহর-রাজবংশ
৩৬. ৩৬. যশোহরের ফৌজদারগণ
৩৭. ৩৭. নলডাঙ্গা রাজবংশ
৩৮. ৩৮. চাঁচড়া রাজবংশ
৩৯. ৩৯. সৈয়দপুর জমিদারী
৪০. ৪০. রাজা সীতারাম রায়
৪১. ৪১. সীতারাম : বাল্যজীবন ও জমিদারী
৪২. ৪২. সীতারাম : রাজ্য ও রাজধানী
৪৩. ৪৩. সীতারাম : রাজত্ব ও ধৰ্ম্মপ্রাণতা
৪৪. ৪৪. সীতারাম : মোগল সংঘর্ষ ও পতন
৪৫. ৪৫. সীতারাম : বংশ, রাজ্য ও কীর্ত্তির পরিণাম
৪৬. ৪৬. সীতারাম সম্পর্কিত কয়েকটি বংশ
৪৭. ৪৭. প্রাক্-ইংরাজ আমলে রাজন্য-বংশ
৪৮. ১. বৃটিশ-শাসন ও হেঙ্কেলের কীৰ্ত্তি
৪৯. ২. যশোহর-খুলনা : গঠন ও বিস্তৃতি
৫০. ৩. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত
৫১. ৪. ভূসম্পত্তির স্বত্ব-বিভাগ
৫২. ৫. নড়াইল জমিদার-বংশ
৫৩. ৬. নব্য জমিদারগণ
৫৪. ৭. বাণিজ্য-তুলা, চিনি ও নীল
৫৫. ৮. নীলের চাষ ও নীল-বিদ্রোহ
৫৬. ৯. রেণী ও মরেল-কাহিনী
৫৭. ১০. সমাজ ও আভিজাত্য
৫৮. ১১. শিল্প ও স্থাপত্য
৫৯. ১২. সাহিত্য
৬০. এক – প্রতাপাদিত্যের পতন
৬১. দুই – প্রতাপাদিত্যের সভায় খ্রীষ্টান পাদরী
৬২. তিন – প্রতাপাদিত্য সম্বন্ধে কিছু নূতন সংবাদ
৬৩. সতীশচন্দ্র মিত্র

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন