দর্পচূর্ণ

দর্পকারীর দর্পনাশক শ্রীমধুসূদন। আশ্রিত ভক্তের অন্তরে বিন্দুমাত্র দর্প বা অভিমানের সঞ্চার হলে তিনি তা নাশ করে ভক্তের কল্যাণ বিধান করেন। তৎআশ্রিত গরুড়, সুদর্শন চক্র এবং সত্যভামার মনে অহংকার দেখা দেয়। গরুড় ভাবে—আমি বিশ্বম্ভর কৃষ্ণকে পৃষ্ঠে বহন করি অতএব আমার চেয়ে বলবান ত্রিভুবনে কেউ নেই। সুদর্শন চক্রের গর্ব, সে কৃষ্ণের হাতে শোভা পায়। কত শত্রু নাশ করে তাঁর মতো অমোঘ ও সুন্দর অস্ত্র বিশ্বজগতে আর দ্বিতীয়টি নেই। সত্যভামা ভাবেন—কৃষ্ণ মহিষীদের মধ্যে আমি সবচেয়ে সুন্দরী, তাই প্রভু আমার মনোরঞ্জনের জন্য সবসময় ব্যস্ত থাকেন। আশ্রিত তিনজনের হৃদয় হতে গর্ব রূপ মল নাশ করার জন্য লীলানাট্যকার নতুন নাটকরচনায় মনোানিবেশ করলেন।

একদিন গরুড়কে ডেকে বললেন—’হে খগরাজ, তুমি একবার গন্ধমাদন পর্বতে যাও। ওখানে পবনপুত্র হনুমান বিরাজ করছেন। তুমি তাঁকে দ্বারকায় আহ্বান করে নিয়ে এস। মারুতিকে বলবে, তাঁর আরাধ্য দেব তাঁকে দ্বারকায় আসার জন্য বিশেষ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’

গরুড় যথাদেশ বলে গন্ধমাদনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। গরুড় চলে যাওয়ার পর কৃষ্ণ সুদর্শনচক্রকে বললেন—’দ্বারে পাহারা দাও। কেউ যেন কিছুতেই ভেতরে প্রবেশ করে আমার সঙ্গে দেখা করতে না পারে। আমার আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত কাউকেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেবে না। সুদর্শন বলল,—’যে আজ্ঞে প্রভু।’

অতঃপর শ্রীকৃষ্ণ সত্যভামাকে বললেন, ‘অন্দরে গিয়ে রুক্মিণীকে বল সে যেন এখনই সীতারূপ ধারণ করে আমার কাছে এসে পাশের সিংহাসনটিতে বসে। আমি পবনপুত্র হনুমানকে আনতে গরুড়কে গন্ধমাদন পর্বতে প্রেরণ করেছি। ওর সন্মুখে আমাকে শ্রীরামেররূপ ধারণ করতে হবে।’

—হে প্রিয়তম, এর জন্য রুক্মিণীকে বলার কী প্রয়োজন। আমি কি সীতার চেয়ে কম সুন্দরী? সে যুগের আরাধ্যা অথবা মিথিলার মহিলাদের মতো বস্ত্র অলংকার পরিবর্তন করলেই তো হবে। এরজন্য আপনি অনর্থক চিন্তা করবেন না। আমি এখনই বস্ত্র অলংকার বদলে সীতারূপ ধারণ করে আপনার পার্শ্বস্থিত স্বর্ণসিংহাসনটি অলংকৃত করছি।

শ্রীকৃষ্ণ হেসে বললেন,—’আমি যা বলার বলেছি, এখন প্রিয়তমে, তুমি যা ভালো বোঝ তাই কর।’

ওদিকে গরুড় গন্ধমাদন পর্বতের উপরে অবতরণ করে দেখাল, হনুমানজী রাম-নাম কীর্তনে তন্ময় হয়ে ভজন করছে—’রঘুপতি রাঘব রাজা রাম, পতিত পাবন সীতারাম।’ গরুড় হনুমানজীর কাছে উপস্থিত হয়ে বলল,—’নমস্তে রাম! রামজী।’ গরুড়ের কণ্ঠস্বর শুনে কীর্তন থামিয়ে হনুমানজী জিজ্ঞাসা করেন,—’বিনতানন্দন, আপনি এখানে! কী সমাচার?’

—আপনাকে দ্বারকায় যেতে হবে।’

—কেন?

—আপনার আরাধ্য আপনাকে ডেকেছেন।

—ঠিক আছে, আপনি চলুন, আমি যাচ্ছি।

—আপনি আমার পিঠে আরোহন করে বসুন। আপনাকে সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার আদেশ আছে।’ গরুড় বলল হনুমানজীকে।

—আমার কোন সময় বাহনের প্রয়োজন হয় না। আপনি চলতে থাকুন, দেখবেন আপনার আগেই আমি দ্বারকায় পৌঁছে গেছি।

—আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, বিনতানন্দের গতিবেগ সম্পর্কে আপনার কোন ধারণাই নেই। আপনি কি জানেন, আমার গতি শক্তি আপনার পিতা পবনদেব অপেক্ষা অনেক বেশী। ত্রিভুবনে আমার গতিবেগ তুলনাহীন।

—হে খগরাজ, আমি ওসব জানতে চাই না, জানার স্পৃহাও নাই। আপনি গমনোদ্যত হন। আমি এখনই রওনা হচ্ছি।

—আপনি যদি আমার পৃষ্ঠে আরোহন করে দ্বারকায় না যান, তাহলে আমি বাধ্য হব শক্তিপ্রয়োগ করে আপনাকে আমার সাথে নিয়ে যেতে। মনে রাখবেন আমার গতির সমান আমার শক্তিও অতুলনীয়। সুর-অসুর সকলের মিলিত পরাক্রম আমার পরাক্রমের সামনে সর্ষপতুল্য। আসুন, অনর্থক বাক্য ব্যয় না করে আমার পিঠে এসে উঠে বসুন।’ গর্বদৃপ্তকণ্ঠে হনুমানকে এতসব কথা বললেন গরুড়জী।

—’ও আচ্ছা এই কথা।’

প্রকৃত ভক্ত বা সেবকের প্রভুর মনের অভিপ্রায় কী তা বুঝতে বিলম্ব হয় না। গরুড়-এর আস্ফালন দেখে হনুমান বুঝতে পারলেন যে তাঁর লীলাময় কৌতুকীপ্রভু কেন গরুড়কে তাঁর কাছে প্রেরণ করেছেন। তিনি গরুড়কেলাঙ্গুল (লেজ) দিয়ে জড়িয়ে ধরে দ্বারকার নিকটস্থ সমুদ্র-গর্ভে সজোরে নিক্ষেপ করলেন। এত জোরে নিক্ষেপ করলেন যে গরুড়জী ডুবতে ডুবতে সমুদ্রের গভীর তলদেশে পৌছে গেলেন। অতঃপর একলাফে দ্বারকার বহির্দ্বারে পৌছে গেলেন পবনপুত্র বীরহনুমান। ভেতরে ঢুকতেই বাধা দিল সুদর্শন চক্র। হনুমানজীর প্রবেশ পথ অবরোধ করে সুদর্শন চক্র বলল, ‘এখন কারও ভেতরে যাওয়ার অনুমতি নাই।’

হনুমানজী বললেন—’ত্রেতাযুগে দশানন রাবণকে পরাজিত করে প্রভু যখন অযোধ্যায় এসে সিংহাসনে আরোহন করেন, তখন আমাকে বলেছিলেন—”মারুতি সর্বযুগে তোমার জন্য আমার অন্তঃপুরের দ্বার খোলা থাকবে। আমার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতের জন্য কেউ তোমাকে কোন সময় বাধা দেবে না।”

হনুমানের কথা শুনে সুদর্শনচক্র বিকৃত মুখভঙ্গী করে রোষদৃপ্ত কণ্ঠে বলল,—’ত্রেতাযুগে কোন বানরকে প্রভু অন্দরমহলে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে রেখেছেন এবং আমাকে তা মানতে হবে এমন কোন বাধ্য বাধকতা নেই। যাও ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা না করে, এখান থেকে মানে মানে কেটে পড়।’

হনুমান গরুড়ের সঙ্গে দেখা হতেই বুঝতে পেরেছিলেন প্রভু আজ কী নাটক করতে চান। যিনি জন্মলগ্নে উদিত সূর্যকে পাকাফল মনে করে মুখের গহ্বরে নিক্ষেপ করেছিলেন। সুদর্শনচক্রের রোষ-কষায়িত নেত্র অগ্নির জ্বালা তাঁর কি ক্ষতি করবে? সুদর্শনচক্রকে তিনি টুক করে তুলে নিয়ে মুখের মধ্যে পুরে বামগালে চেপে রাখলেন। অতঃপর অন্দর মহলে প্রবেশ করে দেখলেন—আজানু লম্বিত, করে ধনু শোভিত হয়ে কৃষ্ণচন্দ্র রামচন্দ্র হয়ে সিংহাসনে বিরাজ করছেন। হনুমানজী রামরূপী কৃষ্ণকে সাভূমিনত হয়ে প্রণাম জানালেন। প্রণামান্তে বীরাসনে অঞ্জলিবদ্ধ হয়ে নত মস্তকে প্রভুর চরণের নিকটে বসলেন। নতমস্তকে প্রভুর চরণের দিকে দৃষ্টিপাত করে তিনি বললেন—’দীন সেবকের একটি নিবেদন আছে।’—

—’কী নিবেদন, বল মারুতি। প্রভু জিজ্ঞাসা করলেন।’

—”আপনার দর্শন হল কিন্তু মা জানকীর তো দর্শন হল না। তিনি কোথায়? হে সর্বসমর্থ প্রভু আপনার পাশের সিংহাসনটি বুঝি কোন গৃহদাসীকে কোন সুকর্মের জন্য পুরস্কারস্বরূপ প্রদান করেছেন।” হনুমানের মুখে এই কথা শুনে লজ্জায় পাশের সিংহাসনে সমাসীনা সত্যভামার মুখ লজ্জায় লাল হয়ে উঠল। তিনি মুহূর্তের মধ্যে সিংহাসন ত্যাগ করে রুক্মিণীর কক্ষে উপনীতা হয়ে বললেন—’দিদি, তুমি প্রভুর পাশের সিংহাসনটিতে তাড়াতাড়ি গিয়ে উপবেশন কর। তোমার বানরপুত্র এসেছে। অন্য সব মহিলাদের ও দাসী-সেবিকা মনে করে।’ বলতে বলতে সত্যভামাজী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

—’বানরপুত্র! ওহো! হনুমান এসেছে। আমার মারুতি এসেছে।’ রুক্মিণীজী শোনামাত্র বাৎসল্যভাবে এমন বিভোর হয়ে ছুটে গেলেন, যে ক্রন্দনরতা সত্যভামার কথা তিনি ভুলেই গেলেন। তিনি যে অবস্থায় ছিলেন সে অবস্থাতেই চলে এলেন প্রভুর কাছে। প্রভুর নিকটে এসে পাশের সিংহাসনে উপবেশন করতেই হনুমানজী পুনঃ উঠে গিয়ে চরণে মস্তক রেখে জিজ্ঞাসা করলেন—’আপনার সব কুশল তো?’

—সব কুশল। পুত্র তোমার সব কুশল তো? অনেকদিন পরে তোমাকে দেখে যে কি আনন্দ হচ্ছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।

—মাতা, পুত্রের প্রতি সদা কৃপাদৃষ্টি রাখবেন।

কথার মধ্যে শ্রীকৃষ্ণ সহসা জিজ্ঞাসা করেন—”মারুতি এখানে আসতে তোমার কোন অসুবিধা হয় নি তো?”

হনুমান বললেন,—’হ্যাঁ, আপনার কক্ষের প্রবেশের পূর্বে বাচ্চাদের এই খেলনাটা আমি দ্বার পথে প্রাপ্ত হই—মনে হয় এটা আপনার প্রাসাদের কোন শিশুপুত্রের ক্রীড়ার বস্তু-বলতে বলতে হনুমানজী মুখ থেকে সুদর্শনচক্র বের করে দিলেন। অতঃপর হনুমানজী সুদর্শনচক্রকে লক্ষ্য করে বলেন—”এর বোধ হয় জানা নাই, আপনার শ্রীচরণে পৌঁছানোর অবাধ অনুমতি আপনি অনেক আগেই আমাকে দিয়ে রেখেছেন।”

ইতিমধ্যে সমুদ্রের গভীর থেকে উত্থিত হয়ে সিক্ত বসনে ক্লান্ত শরীরে বিনতানন্দন গরুড় সেখানে উপস্থিত হন। তাঁকে লক্ষ্য করে মারুতি বললেন—’হে প্রভু বিশ্বম্ভরদেব, আপনি মূষিকের মতো ক্ষুদ্র এই পাখীটিকে কেন আপনার বাহন করেছেন? আপনার অযাচিত করুণায় ও ধৃষ্ট হয়ে উঠেছে। যদি কখনও আপনার কোথাও শীঘ্র গমনের প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই এই দীন অধম সেবক মারুতিকে স্মরণ করবেন।’

—’মারুতি তোমার মনে পড়ে? বনবাসের সময় আমরা দুই ভাই (রাম-লক্ষ্মণ) তোমার কাঁধে চেপে বেড়াতাম। এখন আমি রাজধানী দ্বারকায় অবস্থান করছি। এখানে পুত্র কারও বাহন হোক, এটা তোমার জানকী মা চায় না—’বলে কৃষ্ণ জানকীরূপা রুক্মিণীর দিকে মৃদুহাস্যসহ দৃষ্টিপাত করলেন। রুক্মিণী বললেন—’হনুমান, অনেকদিন ধরে তোমাকে দেখার খুব ইচ্ছা হচ্ছিল।

—নিজের স্নেহভাজন পুত্রকে দেখার ইচ্ছা তো বাৎসল্যময়ী জননীর পক্ষে স্বাভাবিক মা। আমায় কেন ডেকেছেন একথা জিজ্ঞাসা করা এখন নিষ্প্রয়োজন।

—’মারুতি, আজ তুমি এখানে প্রসাদ গ্রহণ করে যাবে’।

মায়ের হাতের মমতা মাখানো প্রসাদে মারুতির কখনো অরুচি হয় না। অতঃপর মারুতিকে নিয়ে রুক্মিণীজি রান্নাঘরের দিকে রওনা দিলেন। শ্রীকৃষ্ণ সিংহাসনে বসে পর্যায়ক্রমে সত্যভামা, সুদর্শনচক্র ও গরুড়ের দিকে দৃষ্টিপাত করলেন। সকলেই লজ্জায় অধোবদন হয়ে হৃদয়ে অনুভব করলেন—আমাদের মতো আশ্রিত জীবের দর্প হরণ করে প্রভু আমাদের কল্যাণ সাধন করলেন।’

সকল অধ্যায়

১. যুদ্ধের অবসরে
২. ইন্দ্র ও শ্রীকৃষ্ণ
৩. যুধিষ্ঠির ও শ্রীকৃষ্ণ
৪. শান্তির দূত শ্রীকৃষ্ণ
৫. বহুরূপে বহুরূপী তুমি
৬. মুক্তি কাঁদে বৃন্দাবনে
৭. যশোদার ভাবনা
৮. ঘোড়া ঘোড়া খেলা
৯. গল্প শোনে গোপাল
১০. কৃষ্ণরূপে শুধুই নিমন্ত্রণ
১১. ননীচোর কানাই
১২. বাকপটু কানহাইয়া
১৩. রসিক কানাই
১৪. সবার অলক্ষ্যে
১৫. গোঠের মাঠে একঝলক
১৬. শ্রীকৃষ্ণ ও দেবাঙ্গনা
১৭. পঞ্চ আশ্চর্য্য
১৮. একটি রাতের কথা
১৯. বোনের দাদা—দাদার ভাই
২০. মুক্তি
২১. কৃষ্ণ ও বিদুর পত্নী
২২. রক্ষা বন্ধন
২৩. গুরু দিলেন বর
২৪. ভাই-বোনের লড়াই
২৫. দ্বারকায় প্রার্থী অশ্বত্থামা
২৬. কৃষ্ণের অতিথি সৎকার
২৭. কৃষ্ণের অতিথি সৎকার
২৮. সূচীশিল্পী গুণক ও কৃষ্ণ
২৯. সুদামা মালী
৩০. অভিন্ন সখা কৃষ্ণ
৩১. ন পারয়েহং
৩২. সব বোধের অবোধ লীলা
৩৩. বৃন্দাবনের ধূলিতে কুম্ভস্নান
৩৪. ঘরে বাইরে লুকোচুরি
৩৫. প্রতীক্ষায় কাঁদে জননী
৩৬. সুলভার বেদনা
৩৭. যাজ্ঞসেনী প্রসঙ্গে
৩৮. সত্যাশ্রয়ী শ্রীকৃষ্ণ
৩৯. ননীচুরির সূচনা
৪০. যদি ব্রজে যাও, অভিমান শূন্য হও
৪১. নামের বাঁধনে বাঁধা ভগবান
৪২. প্রথম গো-দোহন
৪৩. রাখাল রাজা
৪৪. অভিনব মুক্তালীলা
৪৫. কৃষ্ণের বাঁধন
৪৬. তপস্বী কৃষ্ণ
৪৭. দর্পচূর্ণ
৪৮. প্রেমের আদর্শ গোপী
৪৯. বউ নিয়ে খেলে গোপাল
৫০. বাৎসল্যপ্রীতির বন্ধনে
৫১. মহাভারতের মহাযুদ্ধের আগে
৫২. রাতের অরণ্যে
৫৩. রোহিণী মায়ের সাথে
৫৪. ভীম, কৃষ্ণ ও কৃষ্ণমায়া
৫৫. বিরাট রাজার অন্তঃপুরে
৫৬. যশোদার অঙ্গনে
৫৭. জগৎ চায় কৃষ্ণকৃপা, কৃষ্ণ চান…
৫৮. গিরিরাজের পদপ্রান্তে
৫৯. ”দ্বা সুপর্ণা সযুজা সখায়া সমানং বৃক্ষং…”
৬০. জগতে দুঃখ কেন?
৬১. ব্রজের ব্রজনাথ, পুরীধামে জগন্নাথ
৬২. বাঁশীর সুরে অশ্রু ঝরে
৬৩. বিচিত্র বরদান

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন