সুদামা মালী

গুণকের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রাজপথ ধরে চলতে চলতে সহসা রাজপথের পার্শ্বস্থিত একটি গলিপথ দেখে কৃষ্ণ দাঁড়িয়ে পড়লেন এবং অগ্রজ বলরামের মুখের দিকে চাইলেন। বলরাম তা লক্ষ্য করে বললেন, ‘গলিপথ দিয়ে কোথাও কোন বিশেষ স্থানে যেতে চাও?’

—গলিপথের শেষপ্রান্তে শুনেছি এক মালাকার বাস করে, তাকে একবার দেখতে চাই।

—তোমার ইচ্ছা যখন, তখন চল যাওয়া যাক।

বলরামের সমর্থন পেয়ে কৃষ্ণ সদলবলে গলিপথ ধরে হাঁটতে শুরু করেন।

—’কোথায় যাচ্ছিস রে কানু?’ সখাদের একজন জিজ্ঞাসা করে।

—’নগর দর্শন করতে হলে শুধু রাজপথ আর বিশেষ বিশেষ স্থান দর্শন করলেই হবে না—গলিপথও দেখতে হবে। নগরের কোন গলি কেমন তাও জানতে হবে। তাছাড়া গলির মধ্যে কিছু দেখার থাকলেও থাকতে পারে।

সখারা কথার উত্তর না দিয়ে একসাথে চলতে থাকে। গলিপথেও মথুরার কতিপয় নাগরিকদের তাঁদের অনুসরণ করতে দেখা যায়। তারা কৃষ্ণ বলরামসহ গোপবালকদের গলিপথে যেতে দেখে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করে—এরা চলেছে কোথায়? চোখে মুখে তাদের কৌতূহলের ছাপ কিন্তু কৃষ্ণ বলরামের নিকটে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করার সাহস তাদের নেই। তাদের মন বলছে, ‘এরা সব অসাধারণ পুরুষ। বিশেষতঃ নীল সুন্দর কিশোরটি অবশ্যই স্বতন্ত্র ভগবান। যেভাবে কিছুক্ষণ আগে উনি কংসের রজককে শুধুমাত্র করাঙ্গুলি স্পর্শে নিহত করলেন—আবার ঐ করাঙ্গুলি স্পর্শে মথুরার শ্রেষ্ঠ সূচীশিল্পী গুণককে বৃদ্ধ থেকে তরুণে পরিণত করলেন—তাতে মনে হয় উনি অবশ্যই পুরুষোত্তম ভগবান বাসুদেব। নাগরিকদের মন এখন কৃষ্ণরঙে রঙিন। তাই তারা চুপচাপ কৃষ্ণ-বলরামের দলের পিছু পিছু চলেছে মন্থরগতিতে। চলতে চলতে গলির শেষপ্রান্তে অবস্থিত একটি সাধারণ বাড়ীর দরজার সামনে দাঁড়ালেন কৃষ্ণ-বলরাম। বাড়ীর সংলগ্ন বৃহৎ পুষ্পোদ্যান থেকে পুষ্প-সৌরভ বাতাসে ভেসে এসে তাদের নাসারন্ধ্রে প্রবেশ করছে। —’কানু, এটা কার বাড়ী রে?’—সখাদের জিজ্ঞাসা।

কৃষ্ণ সখাদের কথার কোন উত্তর না দিয়ে দাদা বলরামকে সঙ্গে নিয়ে নির্দ্ধিধায় গৃহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেন। তা দেখে সখারা পরস্পর মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছে। এক সখা বলল, ‘আমাদের কানু তো সবার বাড়ী না বলেই প্রবেশ করে কিন্তু দাউদাদা? ওতো দেখছি আজ আনন্দ গদগদ হয়ে ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ীর মধ্যে ঢুকে পড়লো। মনে হচ্ছে নিশ্চয়ই কোন পূর্ব পরিচিত প্রিয়জনের গৃহ। চল আমরাও ভিতরে যাই।’ গোপবালকরা গৃহের ভিতরে প্রবেশ করল। কিন্তু নাগরিকরা দরজার বাইরেই দাঁড়িয়ে রইল। তারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছে, ‘শুনেছি গতকাল অক্রূরজী এই দুইভাইকে রথে বসিয়ে ধনুষযজ্ঞে অংশ নেওয়ার জন্য মথুরায় এনেছেন। সখারা দুই ভাইয়ের চরণ ধরে বারবার মিনতি করেছে—দাউদাদা—কানু-বৃন্দাবনে ফিরে চল। দুই ভাই অসম্মতি জানিয়েছে কিন্তু এই বাড়ীতে দুজনেই বিনা নিমন্ত্রণে প্রবেশ করলো। এটা নিশ্চয়ই গৃহমালিক সুদামার সৌভাগ্য বলতে হবে।’

মথুরার নাগরিকদের কথোপকথনের মাধ্যমে জানা গেল গৃহপতির নাম সুদামা। সুদামার নাম উঠতেই মথুরার নাগরিকদের মধ্যে সুদামাকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়। দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তারা বলতে থাকে মথুরায় একটা দিন ছিল যখন সুদামার হাতে গাঁথা মালা মন্দিরে প্রতিটি বিগ্রহের শ্রীকণ্ঠে শোভাবর্ধন করতো। এমন সুন্দর করে গাঁথা মালা কোথাও দেখা যায় না। সুদামা মালীর করস্পর্শে কুসুমরাশি যেন কথা বলে। কোন মালায় কোন ফুলের পর কোন ফুল লাগবে—বড় না ছোট এ সুদামাই বিশেষরূপে জানে। কোন ঋতুতে কোন রঙের ফুল মালার শোভা বর্ধন করবে তা সুদামার মতো নিপুণভাবে কেউ জানে না। মালা না দেখে মালার আঘ্রান গ্রহণ করেই বলা যায় যে এ মালা সুদামার হাতে তৈরী। পুষ্পমালিকা ও পুষ্প অলংকার রচনার শৈলী তার অদ্ভুত অনুপম। তার তৈরী শিল্পকর্মের মূল্য কত,—এ ব্যাপারে সে ততটা আগ্রহী নয় যতটা আগ্রহী-গ্রাহক কী জন্য তার কাছে পুষ্প নির্মিত মাল্য অলংকার চাইছে তা জানার জন্য। তার হাতের তৈরী কুসুম শিল্পসম্ভার মথুরার মহারানীরও দুষ্প্রাপ্য-সাধারণ নাগরিকের তো কথাই নাই। মথুরার বন্দীনৃপতি উগ্রসেন তার শিল্পকলাকে সম্মান দেন, শ্রদ্ধা করেন আজও। যদি কোন গ্রাহক সুদামার কাছে গিয়ে পুষ্পমাল্য ও অলংকার প্রার্থনা করে তবে সুদামা সেই গ্রাহককে জিজ্ঞাসা করে—’আপনি কী কারণে এই পুষ্পমালা ও অলংকার সংগ্রহ করতে চাইছেন?’ ভগবান বিগ্রহের পূজা অথবা যজ্ঞের প্রয়োজনেই সে মালা বিক্রী করে অন্য কোন উদ্দেশ্যে বা অভিপ্রায়ে সে পুষ্পমাল্য ভূষণাদি বিক্রী করে না। মাল্যভূষণের মূল্যবাবদ কে কী দিল তা সে দেখে না-মাল্যভূষণ নিয়ে গ্রাহক কি করবে এ ব্যাপারে সে সদা সতর্ক থাকে। যেদিন থেকে কংস মথুরার রাজ সিংহাসনে বসেছে সেদিন থেকে সুদামা তার কুসুম শিল্প কর্মসূচী থেকে সন্ন্যাস ব্রত গ্রহণ করেছে। কেউ চাইলে বলে, ‘বয়স হয়েছে, হাতের আঙ্গুল ঠিকমত নড়াচড়া করে না—আর মাল্যভূষণ তৈরী করতে পারি না আগের মতো—তাই অবসর নিয়েছি।’ বাগানের তরুলতার পুষ্পরাশি যেন তার সন্তান-সন্ততি। তাই দিনভর সে এখন বাগানের তরুলতামূলে জলসিঞ্চন করে, আগাছা পরিষ্কার করে। শুষ্ক গলিত পত্র ঝাড়ু দিয়ে বাইরে ফেলে দেয়। বাগান সব সময় সুন্দর করে সাজিয়ে রাখে। তার এই পবিত্র কর্মনিষ্ঠাই আজ বাসুদেবকে বলরাম ও সখাগণসহ এখানে আকর্ষণ করে টেনে এনেছে। মথুরায় এক তরুণ নাগরিকের ভাষায়,—’সুদামা যেন বাসুদেবের চিরকালের প্রিয়জন। তাঁর জন্যই তার বাগানে জলসিঞ্চন মাল্যভূষণ রচনা। বাসুদেবের উদ্দেশ্যে এটাই তার পূজা, জীবনের পরমব্রত। মথুরানিবাসী এহেন প্রিয়জনের বাড়ীতে কৃষ্ণের তো বিনা আহ্বানেই সর্বাগ্রে পদার্পণ করা অবশ্য উচিত কর্ম। ধন্য মালাকার সুদামা, তুমি ধন্য! গোলোকের দুর্লভ অরূপরতন আজ তোমার মাটির অঙ্গনে।’

পাঠক এবার চলুন-সুদামার গৃহের মধ্যে প্রবেশ করি।

গৃহের অভ্যন্তরে সুদামার তখন বিচিত্র দশা। সে শুনেছে অক্রূরজী বৃন্দাবন থেকে বসুদেবের পুত্রদ্বয়কে মথুরায় এনেছে। তাই সে আনন্দে বিহ্বল। সুদামা মনে মনে বলছে, ‘আমার স্বামী আমার আরাধ্য আজ মথুরায় এসেছেন। আমি জানি না তিনি কে? ভগবান না পরমপুরুষ। শুধু জানি তিনি আমারই প্রভু, আমার অন্তর্যামী। আমার প্রাণ, তাঁর পথ চেয়ে ব্যাকুল হয়ে রয়েছি। তিনি কি আসবেন আমার মত দীন, নগন্য এক মালাকারের কাছে? যদি আসে তাহলে কী দিয়ে করবো তাঁর চরণ-বন্দনা?’ তাই অক্রূর বৃন্দাবনে যাওয়ার পর থেকেই সে নবোদ্যমে বাগানের তরুলতার মূলে জল সিঞ্চন করতে থাকে।। তরুলতার দিকে চেয়ে চেয়ে বলে,—’আগামীকাল আমার মালিক, আমার প্রভু আসবেন। রাশি রাশি সুগন্ধিকুসুম বিকশিত কর নবপ্রভাতের আগে-প্রভাতে তাঁর চরণপদ্মে পড়ে তোমরা ধন্য হবে। আজ রাতের মধ্যে তোমার বাগানকে প্রাণভরে ফুল ফুটিয়ে সাজিয়ে রাখ—আগামীকাল মালীর ঘরে বনমালী আসবে তা কি তোমরা জান না?’ বাগানের কাজ সারতে সারতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত্রি নেমে আসে। প্রভাত হয় কিন্তু তার বিশ্রাম নেই। বহুদিন পর আজ সে পরিত্যক্ত মালা গাঁথার সূঁচ সুতো কুসুমডালা হাতে তুলে নেয়—ইতিমধ্যে গতকাল সন্ধ্যার কিছু আগে সে মথুরার বাজার থেকে ফলমূল-মেওয়া মিছরী ধামাভর্তি করে ঘরে নিয়ে এসেছে এবং সযত্নে তা কুসুমবিছানো জায়গার উপর নামিয়ে রেখেছে।

আজ নবপ্রভাতের অরুনোদয়ের পূর্বেই সে পুষ্পমাল্য রচনার জন্য বাগানে গিয়ে ডালা ভরে ফুল তুলতে থাকে। তরুলতা ও তার কথামত আজ রাশি রাশি ফুলভারে অবনত প্রায়। সানন্দ হৃদয়ে ডালাভর্তি কুসুম চয়ন করে ঘরের দাওয়ায় বসে সে নিবিষ্ট চিত্তে পুষ্পমাল্য ও ভূষণ রচনা করতে থাকে। বহুদিন পর আজ সুদামা আপন শিল্পকর্মে মনোনিবেশ করেছে। সুকোমল কিশলয়ের সঙ্গে সমঞ্জরী তুলসীপত্র আজ সে মালার প্রতিটি কুসুমের সঙ্গে গ্রন্থন করছে। সে জানে না তাকে কতগুলো মালা অলংকার তৈরী করতে হবে। তৈরী করেই চলেছে…। মহান শিল্পী আজ আপন সৃষ্টিতে আত্মহারা তন্ময়। শরীরের দিকে তার হুঁশ নেই।

এমন সময় সুদামার কাছে উপনীত হলেন-বলরাম কৃষ্ণ সহ গোপসখাগণ। তাঁদের পদবিক্ষেপেও শিল্পী সুদামার ধ্যান ভঙ্গ হয় না। কৃষ্ণ-বলরাম সখারা দেখতে থাকেন শিল্পীর শিল্প তন্ময়তা। কিছুক্ষণ পর কৃষ্ণ ডাকেন-সু-দা-মা। সুদামা মুখ তুলে চায়। কৃষ্ণ বলরাম সহ সখাদের বাড়ীর অঙ্গনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সে ভাববিহ্বল হয়ে বলে,—”আমার স্বামী, আমার প্রিয়, প্রভু এসেছো’—কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে যায়। সুদামা কোনরকমে দুহাত দিয়ে পুষ্পডালা ও পুষ্পরাশিকে সরিয়ে দিয়ে সটান লুটিয়ে পড়ল দণ্ডবত প্রণামের ভঙ্গীতে দুইভাইয়ের সম্মুখে।

কৃষ্ণ বলরাম দু’ভাই নত হয়ে মাটি থেকে তুলে ধরেন সুদামাকে। যুগলে মিলিতভাবে সারা অঙ্গ থেকে ঝেড়ে দেন ধূলাবালি। পর্যায়ক্রমে করেন আলিঙ্গন। সুদামা মালীর নেত্রদ্বয় অশ্রুতে ভরে উঠে। কন্ঠ থেকে স্বর নির্গত হয় না। ঐ অবস্থায় সে ফুলের আস্তরণ বিছিয়ে দেয় অর্থাৎ সকলের বসার জন্য ফুলের আসন তৈরী করে দেয়। দাদা ও সখাদের সঙ্গে কৃষ্ণ ফুলের আস্তরণের উপর বসেন। সুদামা চরণ প্রক্ষালন করেন কৃষ্ণসহ সকলের। চন্দন-ফুল-তুলসী চরণে অর্পণ করে ফলমূল মেওয়া-মিছরী তরুপত্রের উপর থরে থরে সাজিয়ে নৈবেদ্যাকারে সকলের সম্মুখে রেখে কৃষ্ণ বলরামের সামনে নতজানু হয়ে বলেন—”হে করুণা বরুনালয় এত কৃপা করে যখন অধমের ঘরে উপনীত হলেন, তখন অনুগ্রহ করে দীন সুদামার সামান্য ভোগ নৈবেদ্য গ্রহণ করুন।” প্রেমভুখা বাসুদেব সুদামার প্রার্থনার আগেই ভোগ নৈবেদ্য তুলে নিলেন শ্রীমুখে। তাঁর দেখাদেখি সকলেই তাঁকে অনুসরণ করলেন।

প্রসন্নচিত্তে ভোগনৈবেদ্য পর্ব সমাপন হলে আচমন করলেন সকলে। সুদামা অঞ্জলিবদ্ধ হস্তে সকলের সম্মুখে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘আজ আমার জন্ম সফল। গৃহ ধন্য। ধন্য আমার বাগানের কুসুমরাশি। আজ মনে হচ্ছে আমার পরম প্রেমময় প্রভু আমার মতো এক অকিঞ্চন নগণ্যজনকে আপনার বলে স্বীকার করে নিলেন। আপনার অনুগ্রহেই আপনাকে সেবা করার অধিকার পাওয়া যায়। আমি আপনার দাসানুসাদ। এবার বলুন অধমের প্রতি আপনার আদেশ কি?’

কৃষ্ণ বললেন, ‘সুদামা, আমরা তোমার গৃহে এসেছি তোমার হাতে গাঁথা পুষ্পমাল্য ও অলংকার পরিধানের জন্য।’

মা-লা-, অ-লং-কার। সুদামা ভুলে যায় আজ সকাল থেকে সে এই প্রভুর জন্যই মাল্যভূষণ গ্রন্থনে নিয়োজিত ছিল। পরম অতিথিদের স্বাগত সৎকার জানাতে গিয়ে সে পুষ্পমালাভূষণ অর্পণ করতেই ভুলে গেছে। মালার প্রসঙ্গ উঠতেই সব মনে পড়ে তার। একে একে কৃষ্ণ বলরামসহ সকলকে মাল্যভূষণে সাজিয়ে দেয় সুদামা। কন্ঠে মালা, কেশে মালা, মণিবন্ধে মালা, দুইবাহুতে মালা—সবশেষে সবার হাতে ধরিয়ে দেয় একটি করে কুসুমস্তবক। সুদামার কুসুমসাজে সজ্জিত হয়ে প্রসন্ন হন বনমালী। বলেন, ‘তোমার মাল্যভূষণ বড় সুন্দর। তুমি বর প্রার্থনা কর। বল, কী চাও তুমি।’ ইতিমধ্যে সুদামা সকলকে কুসুম সাজে সাজিয়ে নতজানু অঞ্জলিবদ্ধ হয়ে শ্রীকৃষ্ণের সম্মুখে বসে পড়েছে।—শ্রীকৃষ্ণ সুদামার মাথায় দক্ষিণ কর রাখলেন। তা দেখে গোপবালকরা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠল। এই তো আমাদের ব্রজরাজ কুমারের যোগ্য কাজ। তারা সমবেত কন্ঠে বলে—’মালী তোমার যা ইচ্ছা চেয়ে নাও। আমাদের ব্রজরাজকুমারের কিছুই অদেয় নাই।’

—’হে আমার মালিক। হে আমার স্বামী, আমাকে এই বর দাও, যেন জন্ম জন্ম তোমার চরণে আমার মতি থাকে।’

কৃষ্ণ বললেন, ‘তথাস্তু!’ ত্রিভুবনের অধীশ্বর সুদামার শিরে রেখেছেন অভয় দক্ষিণহস্ত। কৃষ্ণ করকমলের ছত্রছায়া যে প্রাপ্ত হয়েছে তার কি আর কিছু পাওয়ার বাকী থাকে?

সুদামা কী বর প্রার্থনা করল গোপসখারা তা শুনেও যেন শুনলো না। তাঁরা শুধু জানলো এ সুদামামালী বড়ই সাদা-সিধা এবং আপনভোলা। ও কোন কিছু নেওয়ার জন্য তৈরী নয়।

সকল অধ্যায়

১. যুদ্ধের অবসরে
২. ইন্দ্র ও শ্রীকৃষ্ণ
৩. যুধিষ্ঠির ও শ্রীকৃষ্ণ
৪. শান্তির দূত শ্রীকৃষ্ণ
৫. বহুরূপে বহুরূপী তুমি
৬. মুক্তি কাঁদে বৃন্দাবনে
৭. যশোদার ভাবনা
৮. ঘোড়া ঘোড়া খেলা
৯. গল্প শোনে গোপাল
১০. কৃষ্ণরূপে শুধুই নিমন্ত্রণ
১১. ননীচোর কানাই
১২. বাকপটু কানহাইয়া
১৩. রসিক কানাই
১৪. সবার অলক্ষ্যে
১৫. গোঠের মাঠে একঝলক
১৬. শ্রীকৃষ্ণ ও দেবাঙ্গনা
১৭. পঞ্চ আশ্চর্য্য
১৮. একটি রাতের কথা
১৯. বোনের দাদা—দাদার ভাই
২০. মুক্তি
২১. কৃষ্ণ ও বিদুর পত্নী
২২. রক্ষা বন্ধন
২৩. গুরু দিলেন বর
২৪. ভাই-বোনের লড়াই
২৫. দ্বারকায় প্রার্থী অশ্বত্থামা
২৬. কৃষ্ণের অতিথি সৎকার
২৭. কৃষ্ণের অতিথি সৎকার
২৮. সূচীশিল্পী গুণক ও কৃষ্ণ
২৯. সুদামা মালী
৩০. অভিন্ন সখা কৃষ্ণ
৩১. ন পারয়েহং
৩২. সব বোধের অবোধ লীলা
৩৩. বৃন্দাবনের ধূলিতে কুম্ভস্নান
৩৪. ঘরে বাইরে লুকোচুরি
৩৫. প্রতীক্ষায় কাঁদে জননী
৩৬. সুলভার বেদনা
৩৭. যাজ্ঞসেনী প্রসঙ্গে
৩৮. সত্যাশ্রয়ী শ্রীকৃষ্ণ
৩৯. ননীচুরির সূচনা
৪০. যদি ব্রজে যাও, অভিমান শূন্য হও
৪১. নামের বাঁধনে বাঁধা ভগবান
৪২. প্রথম গো-দোহন
৪৩. রাখাল রাজা
৪৪. অভিনব মুক্তালীলা
৪৫. কৃষ্ণের বাঁধন
৪৬. তপস্বী কৃষ্ণ
৪৭. দর্পচূর্ণ
৪৮. প্রেমের আদর্শ গোপী
৪৯. বউ নিয়ে খেলে গোপাল
৫০. বাৎসল্যপ্রীতির বন্ধনে
৫১. মহাভারতের মহাযুদ্ধের আগে
৫২. রাতের অরণ্যে
৫৩. রোহিণী মায়ের সাথে
৫৪. ভীম, কৃষ্ণ ও কৃষ্ণমায়া
৫৫. বিরাট রাজার অন্তঃপুরে
৫৬. যশোদার অঙ্গনে
৫৭. জগৎ চায় কৃষ্ণকৃপা, কৃষ্ণ চান…
৫৮. গিরিরাজের পদপ্রান্তে
৫৯. ”দ্বা সুপর্ণা সযুজা সখায়া সমানং বৃক্ষং…”
৬০. জগতে দুঃখ কেন?
৬১. ব্রজের ব্রজনাথ, পুরীধামে জগন্নাথ
৬২. বাঁশীর সুরে অশ্রু ঝরে
৬৩. বিচিত্র বরদান

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন