একদিন কানাই ব্রজের এক গোপীর বাড়ী প্রবেশ করেছে। উদ্দেশ্য ননীচুরি। গোপীর ঘরে ঢুকে শিকেয় থেকে ননীর ভাঁড় নামিয়ে যেই ভাঁড়ের ভেতর হাত ঢুকিয়েছে অমনি সেই গোপী এসে পড়েছে। কানাইকে দেখে গোপী জিজ্ঞাসা করছে, ‘এই ছোঁড়া তুই কে রে?’
—আমি বলরামের ছোট ভাই কানাই।
—এখানে কি দরকার?
—নিজের ঘর মনে করে এখানে চলে এসেছি।
—তা ঠিক আছে, ভুল তো হতেই পারে। কিন্তু ঘুমন্ত ছেলের গায়ে হাত দিয়ে চিমটি কাটছিস কেন?
—আজ বাছুরগুলো কোনদিকে চরাতে নিয়ে যাবো; তা জিজ্ঞাসা করে জেনে নেওয়ার জন্য ওকে চিমটি কেটে ঘুম থেকে জাগাচ্ছিলাম।
—আচ্ছা, সে না হয় হল, ননীর ভাঁড়ে হাত ঢুকিয়েছিস কেন?
—আমার একটা বাছুর হারিয়ে গেছে, তাই তোমার এখানে খুঁজছি। তুমি ভুলেও ভেব না—গোপী মাসি, আমি তোমার ঘরে ননী চুরি করতে এসেছি।
—বাছুর খুঁজছিস? ননীর ভাঁড়ে?
—হ্যাঁগো মাসি। এই দেখ না বলতে বলতে কানাই এক ডেলা ননীকে হাতে করে পাকিয়ে পাকিয়ে একটা বাছুরের মত আকৃতি করে গোপীকে দেখায় এবং দেখিয়ে বলে, যাক মাসী আমি যা খুঁজছিলাম তা পেয়ে গেছি এখন আমি আসি। বাবা এটা মধুবন থেকে আমায় এনে দিয়েছিল। এই বাছুরটা এমন দুষ্টু না মাসি, কেবলই আমার হাত থেকে ছিটকে পালিয়ে পালিয়ে বেড়ায়। যেখানেই ননীর ভাঁড় দেখতে পায়, সেখানেই গিয়ে লাফিয়ে পড়ে, ফলে একে খুঁজে বের করতে আমার খুব কষ্ট হয়। আচ্ছা মাসি, এখন আমি আসি—এই বলে কানাই গোপীর বাড়ী থেকে ননী খেতে খেতে বেরিয়ে গেল।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন