অভিনব মুক্তালীলা

শ্রীকৃষ্ণচন্দ্রের জন্মদিন। নন্দ মহারাজের বাড়ীতে সকাল হতেই গোপ-গোপীদের সমাগম। সখারাও নব বস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ীর প্রাঙ্গণে এসে জমা হয়েছে। গোপীরা মঙ্গলগীত গাইছে। গীতের তালে তালে শঙ্খধ্বনি হচ্ছে। মা যশোদা কৃষ্ণকে ফুলের মুকুট-গহনা, চন্দন-কুঙ্কুম-নবপীতধরা চূড়ায় মনোহর বেশে সাজিয়ে দিয়েছেন। মুশকিল হল কৃষ্ণকে এই উৎসবের দিনে বাড়ীর মধ্যে আটকিয়ে রাখা। মাঙ্গলিক কর্ম নির্বিঘ্নে শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাড়ীর বাইরে যেতে নেই একথা নীলমণি বোঝে না। মা যশোদা অনেককষ্টে গোপালকে ধরে রেখেছেন। তাঁকে ধরে রাখা যে কী কঠিন কর্ম তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। গোপালকে কোলে বসিয়ে বলছেন—’বাবা নীলমণি, এই দেন তোমার জন্য একটা কী সুন্দর মণি নির্মিত ময়ূর কিনে রেখেছি, জন্মদিনের পূজা অনুষ্ঠান চুকে গেলে, তুমি ওটা নিয়ে নাচাবে। এই দেখ, তোমার জন্য একটা হীরের তৈরী গো-বৎস ও সংগ্রহ করে রেখেছি, তুমি এটা নিয়ে বলরাম দাদার সঙ্গে খেলা করবে।’ এইভাবে নানারকম খেলনার প্রলোভন দিয়ে যশোদা নীলমণিকে আটকিয়ে রাখতে সমর্থ হলেন।

অপরাহ্নের মধ্যে কৃষ্ণের জন্মদিনের উৎসব সমাপ্ত হল। দধি-হরিদ্রার মিশ্রণ গোপালের অঙ্গে মাখিয়ে দেওয়া হল। মহর্ষি শাণ্ডিল্য পূজার মন্ত্র উচ্চারণ করলেন।

বৈদিক শান্তি পাঠ; গো-পূজা, বিপ্রপূজা, অতিথিআপ্যায়ন আত্মীয় বন্ধু-পরিজনদের ভুরিভোজন—এককথায় সব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হওয়ার পর যশোদা গোপালকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করলেন।

জননীর অনুমতি পেতেই কৃষ্ণচন্দ্র নাচতে নাচতে গৃহের তোরণদ্বারের নিকট উপস্থিত হল। সেখানে ভোজনান্তে গোপকুমাররা অপেক্ষা করছিল। আজ কোন গোপীর ঘরে ননীচুরি কিংবা অন্য উপদ্রব করার অভিপ্রায় তার নেই। ছায়াঘন রাজপথ ধরে সখাদের সাথে কৃষ্ণ এক গোপবালার ঘরে উপনীত হল।

গোপবালা বাড়ীতে একাকিনী বসেছিল। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম মহোৎসবে তারও নিমন্ত্রণ ছিল। গোপীরা তাকে গৃহকর্ম দ্রুতসম্পন্ন করে নন্দভবনে যেতে বলেছিল কিন্তু ঐ গোপমালা কৃষ্ণ চিন্তা করতে করতে আজ যে কৃষ্ণের জন্মদিন একথা ভুলে যায়। বাড়ীতে বসে চোখের সামনে সে যেন দেখতে পায়, কৃষ্ণ তাঁর বাড়ীতে এসে খেলা করছে, খেলতে খেলতে নাচছে, লাফাচ্ছে। এটা যে তাঁর মনের কল্পনায় ভাসছে এ বোধও তার নেই। তাকে বোধ দেওয়ার জন্যই কৃষ্ণচন্দ্র আজ জন্ম-উৎসব সমাপ্ত হতেই আর কোথাও না গিয়ে ঐ গোপবালার বাড়ীতেই এসে উপনীত হয়েছে।

সখাদের নিয়ে আনন্দ কলরব করতে করতে কৃষ্ণচন্দ্র বাড়ীর অভ্যন্তরে প্রবেশ করল। তাঁদের কল-ধ্বনিতে গোপবালা সম্বিত ফিরে পেল। চোখ মেলে দেখল, যার চিন্তা করতে করতে সে এতক্ষণ আত্মবিস্মৃতা ছিল,—সেই নবনীরদবরণ কৃষ্ণচন্দ্র আপনরূপে তাঁর গৃহ আলো করে সখাসহ উপনীত হয়েছে। গোপবালা বুজে উঠতে পারে না—’এটা স্বপ্ন না সত্যি?’ আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠল তার হৃদয়-মন-প্রাণ। কৃষ্ণচন্দ্র কাছে এসে বীণা বিনিন্দিত মধুরাতি মধুর কণ্ঠে বলল,—’এই গোপী, আজ আমার জন্মদিনে আমাদের বাড়ী যাসনি কেন? অন্যসব গোপীরা গিয়েছিল। আমার জন্মদিনের কথা তোর কি মনে ছিল না?’

কৃষ্ণ কণ্ঠ কর্ণপুটে প্রবেশ করতেই গোপবালা আনন্দে উন্মাদিনী হয়ে বিদ্যুৎগতিতে ছুটে যায় কৃষ্ণের দিকে। কৃষ্ণপালানোর চেষ্টা করার আগে গোপবালা তাঁর একখানি হাত ধরে ফেলল। ধরা পড়ে কৃষ্ণের মনে ভয়ের সঞ্চার হল। ভাবছে—”গোপী আমাকে ধরল কেন?” বেঁধে রাখবে নাতো?’ কৃষ্ণ হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে এবং গোপীকে বলল,—’তুই আমার হাত ধরলি যে? ছেড়ে দে, বাড়ীতে আমার অনেক কাজ আছে, তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে। কি রে হাসছিস কেন? ছেড়ে দে!’ গোপবালা না ছাড়ে হাত, না দেয় কৃষ্ণকথার উত্তর। তাঁর হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কৃষ্ণ এক অভিনব কৌশল অবলম্বন করল। কৃষ্ণ গোপবালার কণ্ঠে শোভমান মুক্তাহারটি অন্য হাত দিয়ে ধরে টেনে ছিঁড়ে দিল। ফলে মুক্তার দানা সূত্র-মুক্ত হয়ে প্রাঙ্গণময় ছড়িয়ে পড়ল। ব্যস্ত হয়ে গোপবালা ছড়িয়ে পড়া মুক্তাদানা কুড়িয়ে তুলতে যেতেই কৃষ্ণচন্দ্র সুযোগের সদ্ব্যবহার করল।

গোপবালার হাত থেকে ছাড়া পেয়ে ছুটে পালিয়ে গেল। কৃষ্ণ গোপবালা দু-চারটি মুক্তারদানা কুড়িয়ে সবেমাত্র আঁচলে রেখেছে—এমতাবস্থায় কৃষ্ণকে হাত ফসকে পালিয়ে যেতে দেখে তাঁর যেন মনে হল—”আমার মনরূপ মুক্তারত্ন চুরি করে কৃষ্ণ পালিয়ে গেল।’ ভাবতে ভাবতে গোপবালা ছেঁড়া মুক্তাহার হাতে নিয়ে কৃষ্ণের পিছনে পিছনে দৌড় লাগিয়ে নন্দভবনে উপনীত হল। নন্দভবনে তখনও গোপীদের ভীড়।

মা যশোদা গোপবালাকে তাঁর লালার পিছুপিছু ছুটে আসতে দেখে অবাক হয়ে গেলেন। গোপবালা যশোদার কাছে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, ”যশোদা মা, যশোদা মা আমার মুক্তার হার ছিঁড়ে দিয়েছে এই দেখ।” ছিন্ন মুক্তাহার যশোদামাকে দেখায়। কৃষ্ণও ইতিপূর্বে সেখানে এসে পৌঁছে গেছে। তাঁর দিকে চেয়ে যশোদা জিজ্ঞাসা করলেন—’নীলমণি, তুমি এই মেয়ের মুক্তাহার ছিঁড়ে দিয়েছ?’ কৃষ্ণমায়ের কাছে সত্য গোপন করলে না—অপরাধ স্বীকার করল, তাঁর অপরাধ স্বীকার করার ভঙ্গীতে উপস্থিত ব্রজগোপীরা আনন্দিত হল। জননী যশোদার অধরেও হাসির ঝিলিক দেখা দেয়। তিনি অপরাধীপুত্রকে কলে তুলে নিয়ে কানের কাছে মুখ রেখে ফিসফিস স্বরে তাঁকে কিছু একটা বোঝাতে প্রয়াসী হন। পরে নিজের কণ্ঠের বহুমূল্য মুক্তাহার খুলে গোপালের হাতে তুলে দিলেন। গোপাল কোল থেকে নেমে মায়ের দেওয়া মুক্তাহারটি নিয়ে গোপবালার কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, ‘শোন গোপী, আমি যদি তোর মুক্তাহার ছিঁড়ে দিয়ে অপরাধ করে থাকি, তবে তার বদলে আমার মায়ের ‘হার’ তুই নিয়ে যা।’ এইরূপ বলে কৃষ্ণ মায়ের মুক্তাহারটি গোপবালার হাতে ধরিয়ে দিল। অতঃপর কৃষ্ণচন্দ্র সেখানে আর না দাঁড়িয়ে মায়ের দেওয়া জন্মদিনের উপহার ‘রত্নময়ূর’টি হাতে নিয়ে সখাদের দেখানোর উদ্দেশ্যে বাইরে বেরিয়ে গেল।

যশোদা মুক্তাহারটি গোপবালার হাত থেকে নিয়ে তাঁর কণ্ঠে পরিয়ে দিলেন। তা দেখে সমবেত ব্রজগোপীদের দেহের শিরায় শিরায় আনন্দের শিহরণ জাগল। তাঁদের সবার হৃদয়ের গভীরে এক সংকল্পের উদয় হয়—”আহা শ্যামসুন্দরের শ্রীকরপল্লবের পরমাধন্য মুক্তার দু’একটা দানা যদি আমরা পেতাম—”ভাবতে ভাবতে গোপীরা স্ব স্ব গৃহ অভিমুখে যাত্রা করলেন।

জন্মদিনের পরের দিন প্রভাতে এক রত্নব্যবসায়ী ব্রজপুরে এলেন। পান্না-চুনী-মুক্তা-প্রবাল ইত্যাদি রত্নাদিতে ভর্তি একটি পেটিকা মাথায় নিয়ে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তাঁর ব্রজপুরে আগমন। সাধু সন্তুরা বলেন, ‘কৃষ্ণের অচিন্ত্য লীলাশক্তি মা যোগমায়া ঐ ব্যবসায়ীকে ব্রজপুরে ডেকে এনেছেন।’ পথে পথে ফেরী করতে করতে সে নন্দের রাজভবনের সন্মুখে উপনীত হল। মহারাজ নন্দের ঐশ্বর্য্য দেখে তার চোখ ধাঁধিয়ে গেল। রত্নমণিখচিত রাজপ্রসাদ দেখে রত্নব্যবসায়ীর নয়ন যেন তৃপ্ত হয় না! মনে মনে ভাবে যেখানে এমন রত্নখচিত প্রাসাদ বিদ্যমান, সেখানে কি আমার এই তুচ্ছ পান্না-মুক্তা বিক্রী হবে? রত্নপেটিকা মাথায় চাপিয়ে স্বীয় গৃহের উদ্দেশ্যে যে পা বাড়ায়। এমন সময় কৃষ্ণচন্দ্র সেখানে উপনীত হয়ে পথ অবরোধ করে দাঁড়াল। রত্নব্যবসায়ী মাথা থেকে পেটিকা ভূমিতে নামায়। কৃষ্ণচন্দ্র তাকে জিজ্ঞাসা করল,—’কি বিক্রী করতে এসেছ?”

—’রত্ন বিক্রী করতে এসেছি বাবা।’ উত্তর দিয়ে অপলক নয়নে নন্দ নন্দনের রূপসুধা পান করতে থাকেন রত্নব্যবসায়ী। তার অন্তস্থলে কে যেন বলে ওঠে—”জগতের মহারত্ন যদি তোমার কাছে রত্ন ক্রয় করে—তাহলে হে রত্নবণিক তোমার জীবন ধন্য হয়ে যাবে।” কৃষ্ণচন্দ্র পেটিকা থেকে কতিপয় মুক্তাদানা হাতে নিয়ে সেগুলি নিরীক্ষণ করতে লাগল। কৃষ্ণ দৃষ্টি দেওয়ার পর মুক্তাদানার জ্যোতি পূর্বাপেক্ষা বহুগুন বৃদ্ধি পায়। যশোদাসহ গোপীরা সেখানে উপনীত হয়ে মুক্তাদানার জ্যোতি দেখে চিত্রার্পিতের ন্যায় দাঁড়িয়ে পড়েন। রত্নবণিক নির্নিমেষে নয়নে নন্দনন্দনকে দেখতে দেখতে একটি মুক্তাদানা তাঁর করপল্লবে তুলে দেয়। ব্রজেশ্বরী যশোদা মুক্তাদানার মূল্য কত জিজ্ঞাসা করেন। রত্নবণিক চড়া দাম হাঁকেন। গোপালের যে জিনিস পছন্দ, মূল্য তার যতই হোক যশোদা কিনে দিতে কুণ্ঠিত নন। মূল্য মিটিয়ে দিতেই রত্নবণিক চলে যায়। যেতে যেতে বার বার পিছু ফিরে চেয়ে দেখতে থাকে নন্দনন্দনকে। মুক্তা হাতে নিয়েও কৃষ্ণচন্দ্র নিজভবনে ফিরে এসে এক আশ্চর্য্য কর্ম শুরু করল। সখাদের দিয়ে যমুনার তীর থেকে গুঁড়োমাটিও জল সংগ্রহ করে আনল। মুক্তাদানাটি প্রাঙ্গনের একপাশে পুঁতে দিয়ে, তার চারদিকে ঐ মাটির গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে একটা গোল বাঁধের মত বেড়া তৈরী করল। তারপর প্রাোথিত মুক্তাদানার উপর জল সিঞ্চন করল। যশোদা লক্ষ্য করছিলেন গোপালের ক্রিয়াকর্ম। মুক্তাদানার উপর গোপালকে জলসিঞ্চন করতে দেখে তিনি হেসে উঠলেন—

 হুঁসতি জমোমতি মাত, কহতি করত মোহন কহা।

 য়হ নহিঁ জানতি বাত, যে করতা সব জগত কে।।

অর্থাৎ যশোদা মাতা হাসছেন গোপালের কৌতুক দেখে, ভাবছেন মোহন এসব কি করছে। কিন্তু যশোদা জানেন না যে গোপাল তাঁর জগৎ-কর্তা।

কিছুক্ষণ পর যশোদা আশ্চর্য হয়ে যান। নীলমণির মুক্তাদানার উপর জলসিঞ্চনের কর্ম শেষ হতেই মুক্তাদানার অঙ্কুরোদগম হল, দুটি পত্র বিকশিত হল। ধীরে ধীরে শাখা প্রশাখাসহ মুক্ত তরু বৃহৎআকারে তাঁর বাড়ীর অঙ্গনে শোভা বিস্তার পূর্বক প্রকাশিত হল। ফুল-ফল দেখা দিল। শাখায় শাখায় রাশি রাশি মুক্তাফল জ্বল-জ্বল করে জ্বলছে। যশোদা মুক্তা ফলভারে নত মুক্তাতরু দেখে বিস্ময়ে স্তম্ভিত হয়ে যান। দেখতে দেখতে এ সংবাদ সমস্ত ব্রজপুরে ছড়িয়ে পড়ল। দলে দলে গোপরমণীরা সেখানে এসে ভীড় জমান। যে যে অবস্থায় ছিল সে সেই অবস্থায় সেখানে এসে উপস্থিত হয়। চোখে দেখেও তাঁদের যেন বিশ্বাস হয় না। না হোক তাতে কৃষ্ণচন্দ্রের আনন্দ উল্লাস স্তিমিত হয় না। নাচতে নাচতে মুক্তাদানায় অঞ্জলিপূর্ণ করে কৃষ্ণ উপস্থিত গোপরমণীদের আঁচলে ঢেলে দিল। পূর্বদিন অর্থাৎ কৃষ্ণ জন্মদিনে যে সব গোপরমণীরা কৃষ্ণকর স্পৃষ্ট দু’একটি মুক্তাদানার জন্য লালায়িত হয়েছিলেন—তাঁদের সবার অঞ্চল কৃষ্ণচন্দ্র আজ রাশি রাশি মুক্তাদানায় পূর্ণ করে দিল। ব্রজরাজ নন্দ সহ অগণিত গোপও এই মুক্তাতরু দর্শন করেন। নন্দরাজ ভাবেন—ঐ রত্নব্যবসায়ী নিশ্চয়ই কোন ছদ্মবেশী সিদ্ধপুরুষ অথবা সবটাই আমার ইষ্টদেব নারায়নের মায়া। ব্রজেশ্বরী যশোদার ভাবনাও তাই। ব্রজগোপীরা ওই মুক্তাদানা দিয়ে হার তৈরী করে গলায় পরলেন। কৃষষ্র স্পর্শ অনুভব করলেন। মুক্তার প্রতিটি দানায় তাঁরা কৃষ্ণের ছবি দেখতে পাচ্ছেন। তাই ওই মুক্তানির্মিত হার তাদের জীবন হার হয়ে গেল।

সকল অধ্যায়

১. যুদ্ধের অবসরে
২. ইন্দ্র ও শ্রীকৃষ্ণ
৩. যুধিষ্ঠির ও শ্রীকৃষ্ণ
৪. শান্তির দূত শ্রীকৃষ্ণ
৫. বহুরূপে বহুরূপী তুমি
৬. মুক্তি কাঁদে বৃন্দাবনে
৭. যশোদার ভাবনা
৮. ঘোড়া ঘোড়া খেলা
৯. গল্প শোনে গোপাল
১০. কৃষ্ণরূপে শুধুই নিমন্ত্রণ
১১. ননীচোর কানাই
১২. বাকপটু কানহাইয়া
১৩. রসিক কানাই
১৪. সবার অলক্ষ্যে
১৫. গোঠের মাঠে একঝলক
১৬. শ্রীকৃষ্ণ ও দেবাঙ্গনা
১৭. পঞ্চ আশ্চর্য্য
১৮. একটি রাতের কথা
১৯. বোনের দাদা—দাদার ভাই
২০. মুক্তি
২১. কৃষ্ণ ও বিদুর পত্নী
২২. রক্ষা বন্ধন
২৩. গুরু দিলেন বর
২৪. ভাই-বোনের লড়াই
২৫. দ্বারকায় প্রার্থী অশ্বত্থামা
২৬. কৃষ্ণের অতিথি সৎকার
২৭. কৃষ্ণের অতিথি সৎকার
২৮. সূচীশিল্পী গুণক ও কৃষ্ণ
২৯. সুদামা মালী
৩০. অভিন্ন সখা কৃষ্ণ
৩১. ন পারয়েহং
৩২. সব বোধের অবোধ লীলা
৩৩. বৃন্দাবনের ধূলিতে কুম্ভস্নান
৩৪. ঘরে বাইরে লুকোচুরি
৩৫. প্রতীক্ষায় কাঁদে জননী
৩৬. সুলভার বেদনা
৩৭. যাজ্ঞসেনী প্রসঙ্গে
৩৮. সত্যাশ্রয়ী শ্রীকৃষ্ণ
৩৯. ননীচুরির সূচনা
৪০. যদি ব্রজে যাও, অভিমান শূন্য হও
৪১. নামের বাঁধনে বাঁধা ভগবান
৪২. প্রথম গো-দোহন
৪৩. রাখাল রাজা
৪৪. অভিনব মুক্তালীলা
৪৫. কৃষ্ণের বাঁধন
৪৬. তপস্বী কৃষ্ণ
৪৭. দর্পচূর্ণ
৪৮. প্রেমের আদর্শ গোপী
৪৯. বউ নিয়ে খেলে গোপাল
৫০. বাৎসল্যপ্রীতির বন্ধনে
৫১. মহাভারতের মহাযুদ্ধের আগে
৫২. রাতের অরণ্যে
৫৩. রোহিণী মায়ের সাথে
৫৪. ভীম, কৃষ্ণ ও কৃষ্ণমায়া
৫৫. বিরাট রাজার অন্তঃপুরে
৫৬. যশোদার অঙ্গনে
৫৭. জগৎ চায় কৃষ্ণকৃপা, কৃষ্ণ চান…
৫৮. গিরিরাজের পদপ্রান্তে
৫৯. ”দ্বা সুপর্ণা সযুজা সখায়া সমানং বৃক্ষং…”
৬০. জগতে দুঃখ কেন?
৬১. ব্রজের ব্রজনাথ, পুরীধামে জগন্নাথ
৬২. বাঁশীর সুরে অশ্রু ঝরে
৬৩. বিচিত্র বরদান

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন