একটি রাতের কথা

কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে পাণ্ডব ও কৌরবরা ঘোরতর যুদ্ধে রত। যুদ্ধ সপ্তম দিবস অতিক্রম করে অষ্টম দিবসে পড়েছে। কৌরব শিবিরে দূর্যোধন চিন্তান্বিত; কারণ তিনি দেখলেন, যে এই সাত-আটদিনের যুদ্ধে পাণ্ডবপক্ষের যোদ্ধারা অক্ষত শরীরে বেঁচে রয়েছে এবং পূর্ণ উদ্যমে যুদ্ধ করছে। অন্যদিকে, কৌরবপক্ষের অনেক যোদ্ধাই ইতিমধ্যে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে। পিতামহ ভীষ্ম এখন কৌরবপক্ষের সেনাপতি। তাই দুর্যোধন পিতামহ ভীষ্মের কাছে উপস্থিত হয়ে বললেন,—”পিতামহ যুদ্ধ আপনি আমার পক্ষ নিয়ে করছেন সত্য কিন্তু মনে মনে আপনি জয় চাইছেন পাণ্ডবদের। আপনি মহারথী, ইচ্ছামৃত্যুর অধিকারী—আপনার সামনে যুদ্ধে স্থির থাকে এমন শক্তি জগতে কার আছে?” ভীষ্ম বললেন, ‘আমি সম্পূর্ণ শক্তি নিয়েই লড়াই করছি কিন্তু পাণ্ডবরা এক কৃষ্ণের সাহায্য নেওয়ার ফলে তাঁর সামনে আমার সমস্ত শক্তি ও কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে।’

”আপনার মত বিচক্ষণ যোদ্ধার মুখে একথা শোভা পায় না পিতামহজী, আপনি ইচ্ছা করলেই পাণ্ডবদের সংহার করতে পারেন। কৃষ্ণ বলেছেন—পঞ্চ পাণ্ডবের একজন নিহত হলেই এই মহাযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটবে। আপনি প্রতিজ্ঞা করুন আগামী কালের যুদ্ধে একজন পাণ্ডবকে অবশ্যই সংহার করবেন।”

—বেশ তবে তাই হোক আমি প্রতিজ্ঞা করছি, আগামী কালের রণে আমি তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুনকে সংহার করবোই করবো।

ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা শুনে দুর্যোধন প্রসন্ন হলেন। আনন্দের আবেশে তিনি পিতামহকে বললেন,—’পিতামহজী, আগামীকাল ব্রাহ্মমুহূর্তে আমি আমার পত্নী ভানুমতীকে আপনার কাছে পাঠাবো—আপনি ওকে আশীর্বাদদানে সুখী করে নিশ্চিন্ত করবেন। বিগত কয়েকদিনের যুদ্ধের পরিণাম দেখে ও খুবই ভেঙে পড়েছে।’

পিতামহ বললেন,—’ঠিক আছে, তুমি ভানুমতীকে সময়মত পাঠিয়ে দিও। কিন্তু সাবধান তোমার আমার এই কথা যেন কেউ জানতে না পারে।’ দুর্যোধন বললেন, ‘আজকের যুদ্ধশেষে সবাই এখন ক্লান্ত হয়ে আপন আপন শিবিরে বিশ্রাম গ্রহণ করছে। এই সময়ে আপনি ও আমি ছাড়া এখানে দ্বিতীয় কোন ব্যক্তিই নেই যে আমাদের কথা জানতে পারবে। ভীষ্ম বললেন, ঠিক আছে তুমি এখন যাও।’ দুর্যোধন ভীষ্মের আদেশে ফিরে গেলেন আপন শিবিরে।

অপরদিকে, রাত্রে পাণ্ডবরা শুয়ে আছেন আপন শিবিরে।। শুধুই জেগে আছেন অতন্দ্র প্রহরী শ্রীকৃষ্ণ—যাঁর চরণে পাণ্ডবরা নিজেদের জীবন সমর্পণ করেছেন।

সহসা রাত্রির নৈঃশব্দ ভেদ করে শ্রীকৃষ্ণ রথ নিয়ে হাজির হলেন দ্রৌপদীর কাছে। মেঘাচ্ছন্ন রাত্রি। ঘোর অন্ধকার। মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, বৃষ্টিও পড়ছে। শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীর শিবিরের দরজায় মৃদু আঘাত করে দ্রৌপদীকে জাগালেন। দ্রৌপদী দরজা খুলে বাইরে এসে দেখলেন শ্রীকৃষ্ণ বিষন্নমুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। অজানা বিপদের আশঙ্কায় দ্রৌপদীর বুক কেঁপে উঠলো। শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ইশারায় রথে উঠে বসতে বললেন। দ্রৌপদী রথে উঠে বসলেন। তখনও তার বুক কাঁপছে, তাই থাকতে না পেরে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনার সখাদের সব কুশল তো?’ শ্রীকৃষ্ণ রথ চালাতে চালাতে দ্রৌপদীকে বললেন, ভীষ্মের প্রতিজ্ঞার কথা। তা শুনে দ্রৌপদীর দু’চোখ জলে ভরে উঠলো। তিনি বেদনাসিক্ত হৃদয়ে কৃষ্ণকে বললেন, ‘আপনি থাকা সত্বেও কি আমার সিঁথির সিঁদুর মুছে যাবে? হে পাণ্ডব সখা, বৈধব্যের যন্ত্রণা হয়তো আমি সহ্য করতে পারবো—আমি বিধবা হলে আপনার যে বদনাম হবে, সেই বদনামের যন্ত্রণা আমি সহ্য করতে পারবো না, কারণ আপনি প্রতিজ্ঞা করেছেন পাণ্ডবদের আপনি রক্ষা করবেন।’

শ্রীকৃষ্ণ বললেন, ‘দেখ কৃষ্ণা, একদিকে ভক্ত ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা, অন্যদিকে আমার প্রতিজ্ঞা। ভক্তের প্রতিজ্ঞার সামনে আমার প্রতিজ্ঞা যে শক্তিহীন হয়ে পড়ে।’ সাশ্রু নয়নে দ্রৌপদী বললেন, তাহলে এক কাজ করুন, আপনি চিতা সাজিয়ে অগ্নিসংযোগ করুন, আমি সেই চিতায় ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বিসর্জন দেব। পাণ্ডবদের মৃত্যুর আগে আমায় মরতে দিন যাতে আপনার উপস্থিতিতে নিজের চোখে স্বামীদের মৃত্যু না দেখতে হয়। এইটুকু কৃপা অন্তত আপনি আমায় করুন।

শ্রীকৃষ্ণ চিতা রচনা করে তাতে অগ্নি সংযোগ করলেন। দ্রৌপদীও ঝাঁপ দেওয়ার জন্য তৈরী। শ্রীকৃষ্ণ বললেন, ‘দ্রৌপদী তুমি চিতার অগ্নি পরিক্রমা করে চিতায় উঠে বসো। দ্রৌপদী বললেন, ”আমার সারা অঙ্গ অবশ হয়ে গেছে আমি পা তুলতে পারছি না।” শ্রীকৃষ্ণ বললেন, ”ঠিক আছে আমি তোমায় কাঁধে তুলে নিয়ে অগ্নি পরিক্রমা করছি’—এই বলে কৃষ্ণ দ্রৌপদীকে কাঁধে তুলে নিয়ে অগ্নি পরিক্রমা করতে করতে পিতামহ ভীষ্মের শিবিরের সামনে উপস্থিত হয়ে দ্রৌপদীকে কাঁধ থেকে নামিয়ে দাঁড় করিয়ে দিলেন। দ্রৌপদী বিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করলেন—”আপনি আমায় কোথায় আনলেন? ভীষ্মের শিবিরের সামনে। কৃষ্ণ বললেন, ‘তুমি শিবিরের ভেতরে প্রবেশ করো।’ দ্রৌপদী বললেন, ‘উদ্দেশ্য?’

—উদ্দেশ্য অবশ্যই একটা আছে। তুমি ভেতরে প্রবেশ করলেই দেখতে পাবে পিতামহ জেগে আছেন। রাত্রিশেষে দুর্যোধনপত্নী ভানুমতী আসবে ভীষ্মকে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিতে, তার আসার আগেই তুমি পিতামহের চরণে মাথা রেখে প্রণাম জানাও। যতক্ষন না পিতামহ তোমার ”সৌভাগ্যবতীভব” বলে আশীর্বাদ করছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তুমি পিতামহের চরণ থেকে মাথা তুলবে না। যাও দেরী করো না—রাত্রি শেষ হতে আর বিলম্ব নেই—আমি বাইরে অপেক্ষা করছি।

দ্রৌপদী শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশমত শিবিরের ভেতরের দিকে পা বাড়াতেই জুতোর শব্দ হতে থাকে। জুতোর শব্দ শুনে কৃষ্ণ তাড়াতাড়ি দ্রৌপদীর কাছে এসে দ্রৌপদীর পা থেকে জুতো জোড়া খুলে নিয়ে নিজের পীতবসনের এক প্রান্তে বেঁধে নিয়ে বললেন শব্দ হলে পিতামহ চিনে ফেলবেন—তাই জুতো আমার কাছে রেখে নিঃশব্দে যাও। শ্রীকৃষ্ণ জুতো পীতবসনের এক প্রান্তে বেঁধে লম্বা ঘোমটা টেনে কুরুক্ষেত্র প্রান্তরে ভীষ্মের শিবিরের সামনে একটা খালি জায়গায় সেই জুতো মাথার বালিশ করে শুয়ে রইলেন। দ্রৌপদী গেলেন ভিতরে। ভিতরে প্রবেশ করে দেখলেন পিতামহ ভীষ্ম ধ্যানাসনে উপবিষ্ট—দ্রৌপদী ধীর পায়ে অগ্রসর হয়ে মাথা রাখলেন পিতামহের চরণে। মস্তকস্পর্শে পিতামহের ধ্যানভঙ্গ হল। তিনি মনে করলেন—দুর্যোধন পত্নী ভানুমতী তাঁকে প্রণাম করছে—তাই তিনি চোখ না খুলেই আশীর্বাদ করলেন ”সৌভাগ্যবতী ভব।” দ্রৌপদী পিতামহের চরণ থেকে মাথা তুলে বললেন—”পিতামহ রাত্রে দুর্যোধনকে দেওয়া বচন সত্য হবে, না রাত্রিশেষে আমাকে যে আশীর্বাদ করলেন সেই আশীর্বচন সত্য হবে?’ দ্রৌপদীর কন্ঠস্বরে ভীষ্ম চমকে উঠলেন। আঁখি খুলে দীপের আলোয় দ্রৌপদীকে দেখে বিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করলেন—”দ্রৌপদী এই সময়ে তুমি এখানে কী করে এলে? আজ রাত্রে দুর্যোধনকে যে প্রতিশ্রুতি আমি দিয়েছিলাম তা তুমি জানলে কি করে? তোমাকে এখানে এনেছে কে? আমাকে বলো?

—তার আগে আপনি বলুন পিতামহ—আপনার কোন বচন সত্য হবে? রাত্রে দুর্যোধনকে দেওয়া বচন? না রাত্রিশেষে আমার প্রতি আপনার আশীর্বচন?

ব্রাহ্মমুহূর্তে যে আশীবর্চন আমি তোমায় দিয়েছি, তাই সত্য হবে। বেটি! কারণ ব্রাহ্মমুহূর্তে দেওয়া আশীর্বচনের রক্ষক ভগবান কিন্তু বেটি তোমাকে এখানে যে এনেছে সে কোথায়? তাকে একবার আমায় দেখাও।

—আমাকে যিনি এনেছেন তিনি বাইরে অপেক্ষা করছেন। দ্রৌপদীর কথা শেষ না হতেই পিতামহ ভীষ্ম আসন ছেড়ে ত্বড়িৎ গতিতে বাইরের দিকে রওনা হলেন। তখন ঊষার আলো ফুটে উঠেছে। বাইরে এসে পিতামহ দেখলেন তার শিবিরের সামনে দরজা থেকে কিছুটা দূরে খালি মাটির উপরে জুতো মাথায় দিয়ে পীতাম্বরের ঘোমটা টেনে শুয়ে আছে একজন—ভীষ্ম বুঝতে পারলেন ব্যক্তিটি কে! তাই তাড়াতাড়ি ঘোমটা সরিয়ে দিয়ে বললেন—প্রভু তোমার একি লীলা? তুমি দ্রৌপদীর জুতো মাথায় নিয়ে ঘোমটা টেনে শুয়ে আছো মাটিতে?

—কৃষ্ণ বললেন আপনার প্রতিজ্ঞাই তো আমাকে মাটিতে শুতে বাধ্য করেছে।

শ্রীকৃষ্ণের কথায় ভীষ্মের দুচোখ অশ্রুতে পূর্ণ হয়ে ওঠে। তিনি সেই অবস্থাতেই শ্রীকৃষ্ণের চরণে লুটিয়ে পড়লেন এবং অশ্রুর ধারায় শ্রীকৃষ্ণের চরণ দু’খানি ধুইয়ে দিয়ে বললেন, ‘তুমি যেখানে পাণ্ডবদের রক্ষক হয়ে তাদের বধূর জুতো মাথায় নিয়ে শুয়ে থাকো—সেখানে ভীষ্মের প্রতিজ্ঞার সাধ্য কি পাণ্ডবদের কেশাগ্র স্পর্শ করে। যাও প্রভু, তুমি ফিরে যাও। তোমার এই ভক্তবাৎসলতা অমর হোক। আজকের যুদ্ধেই আমি শরীর ত্যাগের সংকল্প গ্রহন করবো।”

ইতিমধ্যে দ্রৌপদী বাইরে এসে দাঁড়িয়েছেন। তার দিকে চেয়ে ভীষ্ম বললেন—যাও কন্যা, নিশ্চিন্তে ঘরে ফিরে যাও। যে পক্ষের কুললক্ষ্মীর পায়ের জুতো ভগবান বহন করেন—আমার মত শত ভীষ্মের সাধ্য নেই সেই পক্ষের একজনের প্রাণ হননের।

ভোরের আলো ভালো করে ফোটার আগেই রথসহ দ্রৌপদীকে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ পাণ্ডব শিবিরের দিকে রওনা দিলেন। নির্বাক নিস্পন্দ ভীষ্ম অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন সেই পথ-পানে, যে পথ ধরে চলেছেন শ্রীকৃষ্ণ ও দ্রৌপদী।

সকল অধ্যায়

১. যুদ্ধের অবসরে
২. ইন্দ্র ও শ্রীকৃষ্ণ
৩. যুধিষ্ঠির ও শ্রীকৃষ্ণ
৪. শান্তির দূত শ্রীকৃষ্ণ
৫. বহুরূপে বহুরূপী তুমি
৬. মুক্তি কাঁদে বৃন্দাবনে
৭. যশোদার ভাবনা
৮. ঘোড়া ঘোড়া খেলা
৯. গল্প শোনে গোপাল
১০. কৃষ্ণরূপে শুধুই নিমন্ত্রণ
১১. ননীচোর কানাই
১২. বাকপটু কানহাইয়া
১৩. রসিক কানাই
১৪. সবার অলক্ষ্যে
১৫. গোঠের মাঠে একঝলক
১৬. শ্রীকৃষ্ণ ও দেবাঙ্গনা
১৭. পঞ্চ আশ্চর্য্য
১৮. একটি রাতের কথা
১৯. বোনের দাদা—দাদার ভাই
২০. মুক্তি
২১. কৃষ্ণ ও বিদুর পত্নী
২২. রক্ষা বন্ধন
২৩. গুরু দিলেন বর
২৪. ভাই-বোনের লড়াই
২৫. দ্বারকায় প্রার্থী অশ্বত্থামা
২৬. কৃষ্ণের অতিথি সৎকার
২৭. কৃষ্ণের অতিথি সৎকার
২৮. সূচীশিল্পী গুণক ও কৃষ্ণ
২৯. সুদামা মালী
৩০. অভিন্ন সখা কৃষ্ণ
৩১. ন পারয়েহং
৩২. সব বোধের অবোধ লীলা
৩৩. বৃন্দাবনের ধূলিতে কুম্ভস্নান
৩৪. ঘরে বাইরে লুকোচুরি
৩৫. প্রতীক্ষায় কাঁদে জননী
৩৬. সুলভার বেদনা
৩৭. যাজ্ঞসেনী প্রসঙ্গে
৩৮. সত্যাশ্রয়ী শ্রীকৃষ্ণ
৩৯. ননীচুরির সূচনা
৪০. যদি ব্রজে যাও, অভিমান শূন্য হও
৪১. নামের বাঁধনে বাঁধা ভগবান
৪২. প্রথম গো-দোহন
৪৩. রাখাল রাজা
৪৪. অভিনব মুক্তালীলা
৪৫. কৃষ্ণের বাঁধন
৪৬. তপস্বী কৃষ্ণ
৪৭. দর্পচূর্ণ
৪৮. প্রেমের আদর্শ গোপী
৪৯. বউ নিয়ে খেলে গোপাল
৫০. বাৎসল্যপ্রীতির বন্ধনে
৫১. মহাভারতের মহাযুদ্ধের আগে
৫২. রাতের অরণ্যে
৫৩. রোহিণী মায়ের সাথে
৫৪. ভীম, কৃষ্ণ ও কৃষ্ণমায়া
৫৫. বিরাট রাজার অন্তঃপুরে
৫৬. যশোদার অঙ্গনে
৫৭. জগৎ চায় কৃষ্ণকৃপা, কৃষ্ণ চান…
৫৮. গিরিরাজের পদপ্রান্তে
৫৯. ”দ্বা সুপর্ণা সযুজা সখায়া সমানং বৃক্ষং…”
৬০. জগতে দুঃখ কেন?
৬১. ব্রজের ব্রজনাথ, পুরীধামে জগন্নাথ
৬২. বাঁশীর সুরে অশ্রু ঝরে
৬৩. বিচিত্র বরদান

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন