শান্তির দূত শ্রীকৃষ্ণ

কার্তিক মাস। হেমন্ত কাল। এই সময় দ্বারকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বড়ই মনোরম। হেমন্তের পূণির্মা রাতে সমুদ্রের ঢেউগুলির তটে আছড়ে পড়া বিগত শরৎ প্রকৃতির প্রান্তরে কাশফুলের দোলাকে মনে করিয়ে দেয়। সমগ্র দ্বারকা নগরী সমুদ্রতরঙ্গমালার বেষ্টনে সুরক্ষিত। দ্বারকার প্রাসাদ অলিন্দে দাঁড়িয়ে শ্রীকৃষ্ণ সমুদ্রের দিকে নির্নিমেষ নয়নে চেয়ে চেয়ে তরঙ্গের গর্জন শুনছেন ও সমুদ্রের সৌন্দর্য্য দর্শন করছেন। সহসা স্কন্ধ দেশে নরম করাঙ্গুলীর স্পর্শে চমকে উঠলেন—গ্রীবা সঞ্চালন করে দেখলেন—প্রধানা মহিষী রুক্মিনী দাঁড়িয়ে পাশে। কৃষ্ণ বললেন—প্রিয়া তুমি এখনও ঘুমাও নি?

—আপনাকে অতন্দ্র রেখে আমি কি তন্দ্রা যেতে পারি? আসুন বিশ্রাম নেবেন। আমি আপনার জন্য শয্যা প্রস্তুত করে রেখেছি।

—বিশ্রাম। হাঃ হাঃ হাঃ হেসে উঠলেন শ্রীকৃষ্ণ। আমার বিশ্রাম নেই প্রিয়ে। কাল প্রভাতেই আমাকে হস্তিনার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে।

—কেন হস্তিনায় কি হয়েছে প্রভু? পাণ্ডবদের সব কুশল তো?

—এখনও পর্যন্ত তারা কুশলেই আছে কিন্তু দুর্যোধনের সর্বগ্রাসী ক্ষুধা তাদেরকে কুশলে থাকতে দেবে না। মনে হচ্ছে খুব শীঘ্রই সেখানে যুদ্ধের আগুন জ্বলে উঠবে।

যুদ্ধের আগুন যাতে না জ্বলে তার জন্য আপনি কিছু একটা করুন প্রভু।

—আমার চেষ্টার বিরাম নাই—আমি দুর্যোধনকে পাণ্ডবদের পাঁচখানি গ্রাম দেওয়ার জন্য কত অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু দুর্যোধন ক্ষমতা ও ঐশ্বর্যের গর্বে বধির—তাই আমার শান্তির প্রস্তাবের সংগীত সুর তার কর্ণে প্রবেশ করল না। ভাবছি আগামী প্রভাতে হস্তিনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে আর একবার শেষ চেষ্টা করবো—যাতে অন্তত যুদ্ধ না হয়।

—শুনেছি দুর্যোধন বড়ই দুর্মতি। আপন মাতুল কুচক্রী শকুনি তার পরামর্শদাতা।

সে কি কথা শুনবে?

—মহাত্মা বিদুরও আমাকে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন দুর্যোধনের কাছে শান্তি প্রস্তাবের জন্য কিছু না বলাই ভালো।

—মহাত্মা বিদুরের এমন মন্তব্যের কারণ?—বিদুর ছোট থেকেই দুর্যোধনকে কাছে থেকে দেখেছেন। লালন-পালন করেছেন—তাই তাঁর পক্ষে দুর্যোধন চরিত্রের খুঁটিনাটি সবই জানা সম্ভব। তিনি হয়তো বুঝেছেন, যে দুর্যোধন আমার কথা অনুযায়ী শান্তি প্রস্তাব অগ্রাহ্য করবে এবং এর ফলে আমার মর্যাদা হানি হবে তাই তিনি আমাকে একসময়ে নিভৃতে পেয়ে বললেন—কৃষ্ণ, গায়ক যেমন বধিরের কাছে গান করে না, তেমনি যেখানে সদুপদেশ এবং অসদুপদেশ দুইই সমান সেখানে কিছু না বলাই বুদ্ধিমানের কর্তব্য।

—যুদ্ধ আসন্ন ভেবে আপনি কি বিচলিত বোধ করছেন?

—হ্যাঁ প্রিয়ে, যুদ্ধের পরিণতির কথা ভেবে আমি বিচলিত। আমি যেন মানসচক্ষে দেখতে পাচ্ছি লক্ষ লক্ষ মা সন্তান হারিয়ে বুকফাটা আর্তনাদ করছে। অভিশাপ দিচ্ছে যুদ্ধের নায়কদের উদ্দেশ্য করে। কত গৃহবধূ তাদের প্রাণভল্লভকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ হয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে। গৃহবধূদের দীর্ঘশ্বাস, মায়েদের সন্তান হারানোর আর্তনাদ যেন আমার হৃদয়কে দলিত, মথিত করে দিচ্ছে, তাই আমি বিচলিত। পাঁচখানি গ্রামের উপর স্বত্ব ত্যাগ করলে যদি শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়—তবে দুর্যোধন কেন সে ত্যাগটুকু করতে অস্বীকার করে—বলতে বলতে শ্রীকৃষ্ণের দুই আঁখি অশ্রুতে পূর্ণ হয়ে ওঠে। তিনি রুক্মিনীর কাঁধে মাথা রেখে শিশুর মতো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন। রুক্মিনী শ্রীকৃষ্ণের অশ্রু মুছিয়ে বললেন—থাক প্রিয় ওসব কথা, এখন চলুন শয্যায় বিশ্রাম নেবেন। তিনি কৃষ্ণকে আর কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে তাকে কক্ষের অভ্যন্তরে নিয়ে গেলেন।

পরদিন প্রভাতে ব্রাহ্মমুহূর্তে স্নান সমাপন করে সূর্য-অগ্নির পূজা করলেন শ্রীকৃষ্ণ। তারপর ঋষি ও গুরুজনদের প্রণাম করে অগ্নি প্রদক্ষিণ করে সাত্যকির সঙ্গে অস্ত্রসজ্জিত একটি দ্বিচক্ররথে উপবেশন করে শান্তির দূত হিসাবে তিনি রওনা দিলেন হস্তিনার উদ্দেশ্যে। শৈব্য, সুগ্রীব, মেঘপুষ্প ও বলাহক নামে চারটি অশ্ব সেই রথ টানতে শুরু করল। মহারথ-মহারথী-পদাতিক বাহিনী, অশ্বারোহী বাহিনী ও শত শত সেবক নানাবিধ ভোজ্য নিয়ে কৃষ্ণের অনুগমন করল। শ্রীকৃষ্ণ মাঝে মাঝে রথ থামিয়ে অশ্বগুলিকে বিশ্রাম দেন ও আহার করান। বেশ কিছু দূর চলার পর দেখতে পেলেন কতকগুলি যোগী ঋষি চলেছেন হস্তিনার পথে। কৃষ্ণ রথ থামিয়ে যোগীঋষিদের প্রণাম জানালেন, যথাযোগ্য ভোজ্য অর্ঘ্য প্রদান করে জিজ্ঞাসা করলেন আপনারা কোথায় চলেছেন মহাত্মাগণ।

যোগীঋষিরা বললেন, আমরা পূর্বেই সংবাদ পেয়েছি, আপনি আজ হস্তিনায় আসছেন শান্তির প্রস্তাব নিয়ে—তাই আমরাও চলেছি আপনার শ্রীমুখ থেকে শান্তির প্রস্তাবসহ ধর্মের মর্মস্পর্শী বাণী শুনবো বলে। আপনার গন্তব্যস্থলই আমাদের লক্ষ্যস্থল।

—ছোটদের বড় করে দেখাই আপনাদের মহত্ব। তাই আপনারা মহাত্মন্।

—নিজেকে লুকিয়ে রাখাও আপনার বড় চাতুরী। তাই লোকে আপনাকে চতুর চূড়ামণি বলে। এখন বলুন তো আপনার শান্তির দৈত্য কি সার্থক হবে।

—ফলাফল ভেবে আমি কোনও কার্য করি না। আমি পাণ্ডব ও কৌরব উভয়পক্ষের জন্যই যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। যে ব্যক্তি আত্মীয় অথবা জ্ঞাতিদের পরস্পর বিরোধে বা ভেদে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখে, শাস্ত্র বলে—সে মিত্র বা আত্মীয় নয়। পাণ্ডব ও কৌরব উভয় পক্ষই আমার আত্মীয়। উভয়পক্ষের যাতে শান্তি হয় আমি সেই উদ্দেশ্যে ইতিপূর্বে উভয়পক্ষকে আমার মত জানিয়েছি। শুনেছি দুর্যোধন আমার মত অগ্রাহ্য করেছে—তাই আজ আবার চলেছি শান্তির দূত হয়ে। ঋষিরা বললেন,—’শুনেছি দুর্যোধন লোভী, ত্রূরমতি সে কি আপনার কথা শুনবে?’

আমার শান্তির বার্তা যদি সে শোনে তবে উত্তম—যদি না শোনে তবে সে দৈবের বশীভূত হবে। উভয়পক্ষের ন্যায্য স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে যদি সর্বনাশা যুদ্ধ বন্ধ করতে পারি, তাহলে আমার আচরণ হবে লোকমতে পুণ্যজনক এবং কুরুবংশ ধ্বংসের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাবে। শান্তির দূত হিসাবে এটা করাই আমার কর্তব্য। মহাত্মাগণ এ ব্যাপারে আপনাদের মতামত জানতে পারি কি?

—ধর্মের জয় হোক। ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা হোক, অধর্ম নাশ হোক।

—আপনারা শুদ্ধ ব্রতধারী মহাত্মন। আপনাদের হৃদয়েই ঈশ্বরের নিবাস। আপনাদের ইচ্ছাই ঈশ্বরের ইচ্ছা। কথায় কথায় অনেকখানি সময় অতিক্রান্ত। অপরাহ্ন গড়িয়ে সন্ধ্যা হতে আর দেরী নাই। যোগীঋষিরা বললেন—হস্তিনাপুর এখনও একরাত্রির অধিক পথ। রাতের আঁধারে অশ্বগুলিকে কষ্ট দিয়ে লাভ নেই। নিকটেই একটি গ্রাম আছে—আসুন আজ রাত্রে ঐ গ্রামে আমরা সবাই একসঙ্গে বিশ্রাম গ্রহণ করি।

কৃষ্ণ বললেন—তাই হোক। সাত্যকি রথ ঘোরাও। সেই রাত্রে যোগীঋষিদের সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণ যে গ্রামটিতে বিশ্রাম নিয়েছিলেন—সেই গ্রামটির নাম বৃকস্থল। গ্রামটির অধিকাংশ অধিবাসীই ছিল সচ্চরিত্র, তপঃপরায়ন এবং অতিথি বৎসল। গ্রামবাসীরা সকলে কৃষ্ণসহ যোগীঋষিদের সাদরে অভ্যর্থনা জানালেন। রাত্রে যথাযোগ্য ভোজ্য পেয় দিয়ে সকলকে তৃপ্ত করলেন। ভোজনান্তে গ্রামবাসীরা অনেকেই কৃষ্ণ ও যোগীঋষিদের কাছে দুর্যোধন ও পারিষদবর্গের নামে নানা অভিযোগ জানালেন। সাধারণ প্রজাদের উপর দুর্যোধনের করভারবৃদ্ধি, সুন্দরী যুবতী কন্যাদের প্রতি তাদের লোলুপ দৃষ্টি, জোর করে পিতামাতার সামনে তাদের মর্যাদা হানির চেষ্টা ইত্যাদি নানা অভিযোগের কথা গ্রামবাসীরা যোগীঋষিদের সম্মুখেই কৃষ্ণকে জানালেন। শ্রীকৃষ্ণ সবকথা মন দিয়ে শুনে বললেন—তোমাদের কূলকামিনীদের দীর্ঘশ্বাসই স্বৈরাচারী শাসকের সর্বনাশ ডেকে আনবে। এখন যাও তোমরা বিশ্রাম কর, সারাদিন ক্ষেতে কাজ করে তোমরা বড় ক্লান্ত—আমিও সারাদিন পথভ্রমণে পরিশ্রান্ত। গ্রামবাসীরা আপন আপন আলয়ে চলে গেলে শ্রীকৃষ্ণ ও যোগীঋষিরা গ্রামবাসীদের তত্বাবধানে সসম্মানে ঐখানেই রাত্রিবাস করলেন।

পরের দিন তিনি হস্তিনাপুরে ঢুকতেই রাজপথের দুধারে কাতারে কাতারে মানুষের ভীড় জমে গেল তাঁকে দেখতে। রাজপথে কৃষ্ণকে দেখতে এত অধিক জনসমাবেশ হল যে রথের অশ্ব গেল থেমে। ফলে রথ দাঁড়িয়ে পড়ল। তিনি ধীরপদে রথ হতে নেমে দেখতে পেলেন একমাত্র দুর্যোধন ছাড়া সব কৌরবই এগিয়ে এসেছেন তাঁকে স্বাগত জানাতে। তিনি তাদের যথাযোগ্য সম্মান-প্রদর্শন করে কুরুরাজ প্রাসাদে ধৃতরাষ্ট্রের সঙ্গে দেখা করলেন। পরে ধৃতরাষ্ট্রের নির্দেশমত গেলেন বিদুরভবনে, পরে পিসিমা কুন্তীদেবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কুন্তী পুত্রদের বনবাসের ও প্রকাশ্য রাজসভায় দ্রৌপদীর লাঞ্ছনার কথা স্মরণ করে শোক করলে তিনি পিসিমাকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন—পিসিমা, তোমার মত বীরজায়া, বীর জননীর সব দুঃখ-সুখ সহ্য করা উচিৎ। তোমার বীরপুত্ররা বীরের মতো সুখে আছে এবং খুব শীঘ্রই তাদের মনোবাসনা পূর্ণ হবে। কুন্তীকে সান্ত্বনা দিয়ে দুর্যোধনের গৃহে গেলেন। দুর্যোধন কৃষ্ণকে সাদর সম্ভাষণ জানিয়ে আহারের জন্য নিমন্ত্রণ জানালেন। কৃষ্ণ তা প্রত্যাখান করলে দুর্যোধন প্রত্যাখানের কারণ জিজ্ঞাসা করেন। উত্তরে কৃষ্ণ বলেন—প্রয়োজন মিটলেই শান্তির দূত আতিথ্য গ্রহণ করে। যখন আমার দৌত্যগিরির প্রয়োজন সম্পূর্ণ হবে তখন অমাত্যদের সঙ্গে আমার আহারের ব্যবস্থা করবেন। দুর্যোধন কৃষ্ণের কথায় ক্ষুব্ধ হয়ে বললেন—আপনাদের সঙ্গে আমার তো কোন বিরোধ নাই, তবে ভোজনে আপত্তি কেন? কৃষ্ণ বললেন—”আমি কাম, ক্রোধ, দ্বেষ, অর্থ, যুক্তি ও লোভের বশে ধর্মচ্যুত হব না। মানুষ অন্নগ্রহণ করে ভাব ও অভাবের জন্য কিন্তু মহারাজ, আমার বা আমাদের প্রতি আপনার ভাব বা প্রীতি ভালোবাসা নেই আর আমিও অভাবগ্রস্থ নই। আপনি পাণ্ডবদের সঙ্গে অকারণে দ্বন্দে লিপ্ত হচ্ছেন। তাদের চাহিদা অনুযায়ী পাঁচখানি গ্রাম দিতেও আপনি অপারগ। তাদের ন্যায্য পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে যে সম্পদ আপনি ভোগ করছেন তা অপবিত্র, অশুচি। যে গৃহী বা রাজার অন্ন সৎ উপায়ে সংগৃহীত নয় তা গ্রহণ করলে গ্রহণকারীর পাপ হয়, ধর্ম নষ্ট হয়। অপরদিকে অসদ উপায়ে সঞ্চিত সম্পদ কখনও চিরস্থায়ী হয় না। আমার বিবেচনায় আপনি সম্পত্তি অসদ উপায়ে অর্জন করে নিজেকে কলুষিত করেছেন। এমতাবস্থায় আপনার অন্ন গ্রহণ করা উচিৎ নয়। তাই আমি স্থির করেছি এখানে একমাত্র শুদ্ধমতি সদাচারী বিদুরের অন্নই গ্রহণ করবো।” কথাগুলি এক নিঃশ্বাসে বলে শ্রীকৃষ্ণ বিদুরভবনে রওনা দিলেন। ভীষ্ম, দ্রোণ ও অন্যান্য মহাত্মারা ও তাঁর পথ অনুসরণ করলেন। বিদুর কৃষ্ণের সাধ্যমত সেবা করলেন। শ্রীকৃষ্ণ বিদুরের দেওয়া পবিত্র ও উপাদেয় অন্নসামগ্রী প্রথমে বেদজ্ঞ ঋষিদের, ব্রাহ্মণদের অর্পণ করে, অবশিষ্টাংশ সঙ্গীসাথীদের সঙ্গে নিজে ভাগ করে গ্রহণ করলেন।

নৈশ আহারের পর শ্রীকৃষ্ণ বিশ্রাম করছেন বিদুর আলয়ের একটি ভগ্নপ্রায় অথচ পরিচ্ছন্ন কক্ষে। এমন সময় বিদুর প্রবেশ করে বললেন—কৃষ্ণ। আমার মনে হচ্ছে তোমার এখানে আসা ঠিক হয়নি। পাপাত্মা দুর্যোধন অহংকারে উন্মত্ত, সে তোমার কথা শুনবে না। শ্রীকৃষ্ণ জিজ্ঞাসা করলেন—আপনার এরূপ অনুমানের কারণ? বিদুর বললেন—দুর্যোধন মনে করে সুতপুত্র কর্ণ একাই সব জয় করতে পারে। উপরন্তু ভীস্ম, দ্রোণ, মহাবীর তো রয়েছেই। যুদ্ধের আগেই জয়ী হয়ে গেছি এই ভেবে দুর্যোধন এখন নিশ্চিন্তে আছে। শান্তি স্থাপনের বিষয়ে তার কোন ইচ্ছাই নাই। তাই আমার মনে হয়—এ অবস্থায় তোমার শান্তি প্রস্তাব ব্যর্থ হবে।

শ্রীকৃষ্ণ শয্যা হতে উর্দ্ধ অঙ্গ কিঞ্চিত উত্তোলন করে বললেন—মহাত্মাজী, ”কর্মন্যেব অধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন”। অতঃপর বিদুর একখানি শুভ্র গাত্রাবরণ শ্রীকৃষ্ণের শয্যায় নামিয়ে রেখে কক্ষ থেকে নির্গত হলেন। শ্রীকৃষ্ণ বিদুর গৃহে সুখে নিদ্রাবিষ্ট হলেন।

সকল অধ্যায়

১. যুদ্ধের অবসরে
২. ইন্দ্র ও শ্রীকৃষ্ণ
৩. যুধিষ্ঠির ও শ্রীকৃষ্ণ
৪. শান্তির দূত শ্রীকৃষ্ণ
৫. বহুরূপে বহুরূপী তুমি
৬. মুক্তি কাঁদে বৃন্দাবনে
৭. যশোদার ভাবনা
৮. ঘোড়া ঘোড়া খেলা
৯. গল্প শোনে গোপাল
১০. কৃষ্ণরূপে শুধুই নিমন্ত্রণ
১১. ননীচোর কানাই
১২. বাকপটু কানহাইয়া
১৩. রসিক কানাই
১৪. সবার অলক্ষ্যে
১৫. গোঠের মাঠে একঝলক
১৬. শ্রীকৃষ্ণ ও দেবাঙ্গনা
১৭. পঞ্চ আশ্চর্য্য
১৮. একটি রাতের কথা
১৯. বোনের দাদা—দাদার ভাই
২০. মুক্তি
২১. কৃষ্ণ ও বিদুর পত্নী
২২. রক্ষা বন্ধন
২৩. গুরু দিলেন বর
২৪. ভাই-বোনের লড়াই
২৫. দ্বারকায় প্রার্থী অশ্বত্থামা
২৬. কৃষ্ণের অতিথি সৎকার
২৭. কৃষ্ণের অতিথি সৎকার
২৮. সূচীশিল্পী গুণক ও কৃষ্ণ
২৯. সুদামা মালী
৩০. অভিন্ন সখা কৃষ্ণ
৩১. ন পারয়েহং
৩২. সব বোধের অবোধ লীলা
৩৩. বৃন্দাবনের ধূলিতে কুম্ভস্নান
৩৪. ঘরে বাইরে লুকোচুরি
৩৫. প্রতীক্ষায় কাঁদে জননী
৩৬. সুলভার বেদনা
৩৭. যাজ্ঞসেনী প্রসঙ্গে
৩৮. সত্যাশ্রয়ী শ্রীকৃষ্ণ
৩৯. ননীচুরির সূচনা
৪০. যদি ব্রজে যাও, অভিমান শূন্য হও
৪১. নামের বাঁধনে বাঁধা ভগবান
৪২. প্রথম গো-দোহন
৪৩. রাখাল রাজা
৪৪. অভিনব মুক্তালীলা
৪৫. কৃষ্ণের বাঁধন
৪৬. তপস্বী কৃষ্ণ
৪৭. দর্পচূর্ণ
৪৮. প্রেমের আদর্শ গোপী
৪৯. বউ নিয়ে খেলে গোপাল
৫০. বাৎসল্যপ্রীতির বন্ধনে
৫১. মহাভারতের মহাযুদ্ধের আগে
৫২. রাতের অরণ্যে
৫৩. রোহিণী মায়ের সাথে
৫৪. ভীম, কৃষ্ণ ও কৃষ্ণমায়া
৫৫. বিরাট রাজার অন্তঃপুরে
৫৬. যশোদার অঙ্গনে
৫৭. জগৎ চায় কৃষ্ণকৃপা, কৃষ্ণ চান…
৫৮. গিরিরাজের পদপ্রান্তে
৫৯. ”দ্বা সুপর্ণা সযুজা সখায়া সমানং বৃক্ষং…”
৬০. জগতে দুঃখ কেন?
৬১. ব্রজের ব্রজনাথ, পুরীধামে জগন্নাথ
৬২. বাঁশীর সুরে অশ্রু ঝরে
৬৩. বিচিত্র বরদান

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন