১৯১৩ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে উত্তীর্ণ হবার পর সুভাষচন্দ্রকে কলকাতায় কলেজে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁর বাবা-মা। কলকাতায় তিনি ভর্তি হন প্রেসিডেন্সি কলেজে। তাঁর জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়। কিন্তু কটক ছেড়ে কলকাতায় এলেও স্কুল জীবনের ধ্যানধারণা ও অভিজ্ঞতা তাঁর কলেজ জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে যায়। সেই প্রসঙ্গে কিছু আলোচনা প্রয়োজন। স্কুল জীবনের শেষের দিকে সুভাষচন্দ্র আকৃষ্ট হন মানসিক ও আধ্যাত্মিক অনুশীলনে। তিনি পড়াশোনার বদলে ব্রহ্মচর্য, যৌনসংযম, হঠযোগ প্রভৃতি সম্বন্ধে নানান বই পড়তে শুরু করেন। যোগাভ্যাস আরম্ভ করেন। কিন্তু তাতেও মন শান্ত না হওয়ায় গুরুর সন্ধান করতে থাকেন। সাধু সন্ন্যাসীদের প্রতি আকৃষ্ট হন। এই সময়ে তাঁর জীবনে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের ‘প্রবেশ’ তাঁকে কতটা প্রভাবিত ও অনুপ্রাণিত করেছিল তা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। স্কুল-জীবন যতই শেষ হয়ে আসতে থাকে ততই তাঁর ধর্মীয় আবেগ বাড়তে থাকে। বিবেকানন্দ পড়ে তিনি বোঝেন যে, আধ্যাত্মিক উন্নতি, সমাজ কল্যাণ ও দেশপ্রেম একই সূত্রে গাঁথা। স্বামীজির ‘ফলিত বেদান্ত’ (Practical Vedanta) সুভাষচন্দ্রের মনকে সংস্কারমুক্ত করতে সাহায্য করেছিল। তাঁর দৃঢ় প্রত্যয় হয় যে, বিজ্ঞান ও ধর্মের সমন্বয় সাধন ধর্মের মধ্য দিয়েই সম্ভব।
কটকে পারিবারিক পরিবেশ সুভাষচন্দ্রের মানসিক প্রসারতার বিকাশে খুবই সহায়তা করেছিল। ছোটবেলা থেকেই স্কুলে বিভিন্ন প্রদেশের ও বিভিন্ন ধর্মের ছেলেদের সঙ্গে মেলামেশা করায় তাঁর মনে সঙ্কীর্ণ প্রাদেশিকতা জন্মায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই ছিলেন মুসলমান। স্কুলে সহপাঠীদের মধ্যেও মুসলমান ছিল। মুসলমান শিক্ষকও ছিলেন। গৃহভৃত্যদের মধ্যেও মুসলমান ছিল। ফলে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে পার্থক্য, উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ, সংঘর্ষ তাঁর মনেও আসেনি। অভিজাত সম্ভ্রান্ত বসু পরিবারের ছেলে সামাজিক মর্যাদায় নিচু ছেলেদের বাড়ি যাবে, আহার করবে, এটা তাঁর বাবা-মা খুব পছন্দ করতেন না। কিন্তু সুভাষচন্দ্র ওই নিষেধ মানতেন না। তার জন্যে বাবা-মা’র অবাধ্য হতেও তাঁর দ্বিধা ছিল না। তাঁর স্থির বিশ্বাস জন্মায় যে আত্মবিকাশ ও স্বাধীনতার জন্যে বিদ্রোহের প্রয়োজন আছে। সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত মন, ভারতীয় সংস্কৃতি ও জনজীবনের সমন্বিত চরিত্রের প্রয়োজনীয়তা তিনি আরও বেশি উপলব্ধি করেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণের জীবন ও সাধনার দৃষ্টান্ত থেকে। নিজে গোঁড়া হিন্দু পরিবারে বড় হয়েও শ্রীরামকৃষ্ণ সর্বধর্ম সমন্বয়ের বাণী প্রচার করেছিলেন। সব ধর্মীয় বিরোধ দূর করতে শিক্ষা দিয়েছিলেন। এই সর্বধর্ম সমন্বয় ও সকল-মত-সহিষ্ণুতার প্রতিষ্ঠা না হলে ভারতের মতো বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশে ‘জাতীয়তার সৌধ’ নির্মিত হতে পারে বলে সুভাষচন্দ্র মনে করতেন না।
বহু জাতি, ধর্ম, সম্প্রদায় ও সংস্কৃতির মিলনভূমি ভারতবর্ষে সমন্বয় আদর্শের সার্থক রূপায়ণ কতটা জরুরি তা সুভাষচন্দ্র গভীরভাবে অনুভব করেছিলেন। তাঁর বিভিন্ন ভাষণে বারবার তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দের কথা উল্লেখ করে তাঁর শ্রদ্ধা জানাতেন। এই প্রসঙ্গে তাঁর একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাষণের উল্লেখ করা প্রয়োজন। ১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি চন্দননগরে প্রবর্তক সঙ্ঘের আয়োজিত এক সভায় তিনি বৈচিত্র্য ও সংঘাতের মধ্যেও সমন্বয় সাধনের প্রসঙ্গে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তারপর তিনি যে কথাটি বলেন তা আপাতদৃষ্টিতে বিস্ময়কর। তিনি বলেন, “কিন্তু তাঁহাদের সেই সমন্বয় নীতিতে আজ আর কাজ চলিবে না। সামাজিক জীবন জটিল হইয়া উঠিয়াছে, নতুন নতুন সমস্যার উদ্ভব হইয়াছে, তাহাদের নতুন সমাধান চাই। এই সমস্যার স্বরূপ দেশবন্ধু ও শ্রীঅরবিন্দ বুঝিয়াছিলেন। এই দুইজন মনস্বী পুরুষই স্বামী বিবেকানন্দের অনুসারী; তাঁহারা উভয়েই নিজস্ব রীতিতে দেশের সামনে সেবার ও ত্যাগের আদর্শ রাখিয়াছেন।” হঠাৎ পড়লে প্রাথমিকভাবে মনে হবে সুভাষচন্দ্র বোধহয় শ্রীরামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দের সমন্বয়ধর্ম ও তার প্রয়োগ সম্বন্ধে শ্রদ্ধাশীল হয়েও ওই ধর্মের বাস্তব প্রয়োগের সার্থকতা নিয়ে কিছুটা সংশয়ের মধ্যে পড়েছিলেন। কিন্তু এই অনুমান ঠিক হবে না। যে সময়ে (১৯৩১) তিনি ভাষণটি দিয়েছিলেন সেই সময় সারা দেশ জুড়ে এক চরম উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল। সাম্প্রদায়িকতা ও দেশের দুই প্রধান সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ, অবিশ্বাস, দাঙ্গা-হাঙ্গামা এক বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। দ্বি-জাতি তত্ত্ব (Two-Nation Theory) ক্রমে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছিল। হিন্দু সমাজের মধ্যেও বিরোধ, সন্দেহ ও সঙ্কীর্ণ স্বার্থচিন্তা প্রকট হচ্ছিল। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে বিচ্ছিন্নতাবাদ শক্তিশালী হয়ে উঠছিল। শ্রীরামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দের জীবিতকালে দেশে যে পরিস্থিতি ছিল, সমস্যার যে রূপ ছিল তার থেকে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে গিয়েছিল। এই বাস্তব পটভূমিতে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের সমন্বয় ধর্ম ও চিন্তাধারা শাশ্বত হলেও তার সার্থক প্রয়োগ যুগোপযোগী করা একান্ত জরুরি ছিল। শুধুমাত্র জ্ঞানার্জনের জন্যে নয়, ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের পথ নির্ণয়ের জন্যে ওই আদর্শকে সার্থকভাবে প্রয়োগ করা আবশ্যক ছিল। এর জন্যে বিশেষ প্রয়োজন ছিল নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্লেষণী মন নিয়ে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দকে দেখা ও গ্রহণ করা। স্পষ্ট বক্তা সুভাষচন্দ্র তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ওই কথাটি বলেছিলেন। বর্তমানের দ্রুত পরিবর্তনশীল সময়েও ওইরকম স্বচ্ছ বাস্তবধর্মী চিন্তার খুবই প্রয়োজন। পরবর্তীকালে কারও নিজের ও দেশের জীবনে যখনই কোনও জটিল সঙ্কট ও সমস্যা দেখা দিয়েছে সুভাষচন্দ্র বারবার রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের ভাবধারার মধ্যে তার সমাধান সন্ধান করতে যুবসমাজকে পরামর্শ দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গ পরে আসবে।
এই প্রসঙ্গে আর একটি তথ্য জানা দরকার, যা প্রায় অজানা রয়ে গেছে, যদিও সুভাষচন্দ্র নিজেই এ বিষয়ে উল্লেখ করেছেন। ছাত্র জীবনে তিনি রামকৃষ্ণ মিশনে যোগ দেবার কথা ভেবেছিলেন। এক সময়ে তরুণ সুভাষচন্দ্র কাশীতে গিয়ে স্বামী ব্ৰহ্মানন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। ব্রহ্মানন্দ (রাখাল মহারাজ) তাঁকে উপদেশ দিয়েছিলেন বাড়ি ফিরে গিয়ে দেশের কাজে নিজেকে উৎসর্গ করতে। তাঁর উপদেশ মতো সুভাষচন্দ্র আরও গভীর মনোযোগ দিয়ে বিবেকানন্দ রচনাবলী পড়তে শুরু করেন। কলেজ জীবনে সুভাষচন্দ্র ও তাঁর কিছু আদর্শনিষ্ঠ সহপাঠী একটি গোষ্ঠী গড়েন। তাঁরা নিজেদের রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের আধ্যাত্মিকতার উত্তরাধিকারী বলে মনে করতেন। আধ্যাত্মিক উন্নতির উপায় রূপে তাঁরা সমাজসেবাকে গ্রহণ করেছিলেন। এই সমাজসেবা বলতে তাঁরা শুধু ‘বিবেকানন্দ অনুগামীদের মতো’ হাসপাতাল ও দাতব্য চিকিৎসালয় গড়াই মনে করতেন না, জাতির পুনর্গঠনই (প্রধানত শিক্ষা ক্ষেত্রে) ছিল তাঁদের মূল লক্ষ্য। সুভাষচন্দ্র ও তাঁর সতীর্থদের যে রামকৃষ্ণ মিশনের তৎকালীন কর্মসূচী বিশেষ পছন্দ ছিল না তা তিনি সুস্পষ্টভাবেই উল্লেখ করেছেন। এর কারণ সুভাষচন্দ্র ও তাঁর সহপাঠীগোষ্ঠীর বিশ্বাস ছিল যে, রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দের শিক্ষাগুলিকে ‘অবহেলা করেছেন’। শুশ্রূষার কাজ মহৎ হলেও এর মধ্যে দিয়ে জাতির ও দেশের সমস্যাগুলির কোনও স্থায়ী প্রতিকার করা সম্ভব বলে তিনি মনে করতেন না। তিনি মনে করতেন জাতি গঠনের কাজ অবহেলা করে মিশন শুধু হাসপাতাল গড়া আর বন্যা দুর্ভিক্ষের সময়ে ত্ৰাণকার্যে জোর দিচ্ছেন। রামকৃষ্ণ মিশনের ‘ভুলের পুনরাবৃত্তি’ না করে সুভাষচন্দ্র ও তাঁর বন্ধুরা যুব সংগঠনের কাজে হাত দেন। দৈহিক, মানসিক ও নৈতিক উন্নতির জন্যে বিভিন্ন বিভাগসহ একটি সংস্থা গঠন করেন। ওই সংগঠনের কাজেই তিনি অস্পৃশ্যতার সমস্যার মুখোমুখি হন। তাঁর মা তাঁদের এই কাজ সমর্থন ও সক্রিয়ভাবে সাহায্য করে পুত্রকে বিস্মিত ও আনন্দিত করেছিলেন।
রামকৃষ্ণ মিশনের কাজকর্ম সম্পর্কে সুভাষচন্দ্রের ক্ষোভ ও সমালোচনার কারণ সঠিকভাবে বুঝতে হলে বর্তমান শতাব্দীর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দশকের রাজনৈতিক আন্দোলন ও চিন্তাধারার কিছু পরিচয় দরকার। প্রেসিডেন্সি কলেজের বিভিন্ন ছাত্রদল প্রসঙ্গে সুভাষচন্দ্র একটি বিপ্লবী গুপ্ত দলের উল্লেখ করেছেন। এদের অস্তিত্ব সম্বন্ধে বেশির ভাগ ছাত্র কিছু না জানলেও সরকারি গোয়েন্দা বিভাগ খোঁজখবর রাখত। কলেজের ইডেন হিন্দু হস্টেলে মাঝে মাঝেই পুলিশের তল্লাশি হত। সুভাষচন্দ্র নিজে যে এদের খবর রাখতেন তাতে সন্দেহ নেই। নিজেদের গোষ্ঠীকে তিনি ‘নব্য বিবেকানন্দ গোষ্ঠী’ বলে মনে করতেন। বিপ্লবী মনোভাবাপন্ন ছেলেরাও কিন্তু বিবেকানন্দের দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিল। স্বদেশী আন্দোলন, চরমপন্থী মতবাদ ও সশস্ত্র সংগ্রামে বিশ্বাসী তরুণ বিপ্লবীরা স্বামী বিবেকানন্দের অগ্নিগর্ভ রচনা ও বাণীতে কতখানি উদ্দীপ্ত ও উৎসাহিত হয়েছিলেন তা বিশদভাবে বলার অপেক্ষা রাখে না। বেলুড় মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন বিপ্লবীদের ও বিপ্লব আন্দোলনের একটি প্রচ্ছন্ন কেন্দ্র বলে পুলিশের সন্দেহ ছিল। স্বামীজি কিন্তু চাননি যে রামকৃষ্ণ মিশন রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ুক। এতে মিশনের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে বলে তিনি মনে করতেন। তাঁরই ইচ্ছামত রামকৃষ্ণ মিশনের কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেন যে মিশনের সঙ্গে রাজনীতির কোনও প্রকার সম্পর্ক থাকবে না। মিশনের সঙ্গে যুক্ত সকলের জন্যেই রাজনৈতিক কার্যকলাপ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মিশনের এই সিদ্ধান্ত অনেকেরই পছন্দ হয়নি। স্বদেশপ্রেম ও স্বাধীনতার জন্যে সংগ্রামকে বিবেকানন্দের জাতিগঠনের আহ্বান থেকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত ও সম্ভব বলে তাঁরা মনে করতেন না। তাই মিশনের ওই নিষেধাজ্ঞা এবং শুধুমাত্র সেবা এবং ত্রাণের কর্মসূচী তাঁদের ক্ষুব্ধ করেছিল। সুভাষচন্দ্রের রামকৃষ্ণ মিশন সম্বন্ধে সমালোচনা এই মনোভাবেরই প্রকাশ। কিন্তু রামকৃষ্ণ মিশন সম্বন্ধে তাঁর আগ্রহ ও আকর্ষণ যায়নি। ১৯২১ সালে আই সি এস থেকে পদত্যাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার পর চারুচন্দ্র গাঙ্গুলীকে (২২ এপ্রিল, ১৯২১) এক চিঠিতে তিনি লেখেন, “কি করব এখনও ঠিক করতে পারিনি। একবার ইচ্ছা হচ্ছে রামকৃষ্ণ মিশনে যোগ দেব। একবার ইচ্ছা হচ্ছে—বোলপুরে যাব (শান্তিনিকেতনে)। আবার ইচ্ছে হচ্ছে সাংবাদিক হব। দেখা যাক কি হয়।”
রামকৃষ্ণ মিশন ও স্বাধীনতা আন্দোলন প্রসঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা খুবই প্রয়োজন। তা না হলে মিশনের ভূমিকা সম্বন্ধে ভুল ধারণা হবে। মিশন কর্তৃপক্ষ রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক নিষিদ্ধ করে আদেশ জারি করলেও পুলিশ-গোয়েন্দাদের সন্দেহ যায়নি। তৎকালীন এক গোপন গোয়েন্দা রিপোর্টে লেখা হয়েছিল যে, রামকৃষ্ণ মিশন কঠোরভাবে রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন রাখলেও বিবেকানন্দের শিক্ষা এমন একটি ‘রামকৃষ্ণ পরিবেশ’ (Ramakrishna atmosphere) সৃষ্টি করেছে যা ব্রিটিশ শাসনের পক্ষে বিপজ্জনক। মিশনের সেবাব্রত, আত্মবিশ্বাস ও আত্মত্যাগের আদর্শ যুবকদের দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ করছে। দেখা যাচ্ছে যে, যেসব যুবকরা বিপ্লব আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে তাদের এক বড় অংশ এই ‘রামকৃষ্ণ পরিবেশে’ মানুষ হয়েছে। সুভাষচন্দ্র একই পরিবেশে নিজেকে গড়ে তুলছিলেন।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন