৩. অতলে অন্তরীণ – ২৩

তসলিমা নাসরিন

ছাব্বিশ জুন, রবিবার (?)

ঝ আজ কিঁ কিঁ করা পাখাটি পাল্টে অন্য একটি শব্দহীন পাখা দিয়েছেন। লিফলেট তো আছেই কিছু, পত্রিকাও দিয়েছেন পড়তে। আজকের খবরগুলো হরতালের পক্ষে সারা দেশে সভা সমাবেশ আর মিছিল হওয়ার খবর। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বিশাল লাঠি মিছিল করেছে। হাজার হাজার মুলিবাঁশ আন্দোলিত হচ্ছে মাথার ওপর। ডঃ কামাল হোসেন গণফোরামের সভায় বলছেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। স্বাধীনতার ২২ বছর পর গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ও স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিহত করতে আন্দোলনে নামতে হয় এটি অকল্পনীয় ব্যাপার। পঁচাত্তরের পর সরকারগুলো রাজাকারদের দেশে এনেছে, প্রতিষ্ঠিত করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি, শেষে বলেছেন, এখন মৌলবাদীদের যে করেই হোক রোধ করতে হবে, তা না হলে সর্বনাশ। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মতবিনিময় সমাবেশ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি (ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র)র ভেতর। একই মত সবার, বিনিময়ের কিছু নেই। মত হল, জামাত শিবির সহ সকল সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিল পাস করতে হবে সংসদে, যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে, ৩০ জুন সকাল সন্ধ্যা হরতাল পালন, গোলাম আযম গংদের বিশেষ ট্রাইবুন্যালে বিচার, গণআদালতের রায় কার্যকর, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে চিরতরে নির্মূল করতে হবে। জোটের এই সভায় কেবল যে শিল্পী সাহিত্যিক ছিলেন তা নয়, রাজনৈতিক নেতারাও ছিলেন, বিশেষ করে বামপন্থীরা। শামসুর রাহমান জোটের এই সভায় বলেছেন, আমরা আজ এক বিরাট সংকটের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছি। সব পেশার মানুষ আজ গভীর উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। যারা একাত্তর সালে তিরিশ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, তারা আজ মাঠে নেমেছে, আমাদের নীরবতার সুযোগ নিয়ে তারা আজ ফণা তুলেছে। যে কোনও মূল্যে এই অপশক্তিকে প্রতিরোধ করতে না পারলে এই দেশে গভীর অন্ধকার নেমে আসবে।

নগর আওয়ামী লীগের সমাবেশে বলা হয়েছে একাত্তরের গণহত্যার নায়ক গোলাম আযমকে নাগরিক করার জন্য এদেশ স্বাধীন হয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জনগণ যখন সোচ্চার, ঠিক তখনই সরকার স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তিকে লেলিয়ে দিয়ে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।ন!না কথা .. নানা কথা। একজন কেবল উল্লেখ করেছেন আমার কথা, তসলিমা নাসরিনের বহু লেখার সঙ্গে গোষ্ঠীর নেতারা একমত নন। প্রমাণ সাপেক্ষে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন যে কেউ কিন্তু পঞ্চাশ হাজার টাকা শিরোচ্ছেদ ঘোষণা করে মানুষকে বোকা বানানোর অপপ্রয়াস সম্মিলিত ভাবে রোধ করা হবে। জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভায় স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, সাম্প্রদায়িক, ফ্যাসিস্ট শক্তিকে নগরে বন্দরে গ্রামে গঞ্জে পাড়া মহল্লায় প্রত্যক্ষ প্রতিরোধের জন্য আহবান জানানো হয়েছে। ২৮ জুন বিকেল চারটায় এই কমিটির সমাবেশ হবে। আজ সাড়ে চারটায় শহীদ মিনারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নাগরিক সভা, গণমিছিল। সন্ধে সাড়ে সাতটায় নগর সমন্বয় কমিটির যৌথ কর্মী সমাবেশ, ২৭ জুন বিকেল চারটায় বাম গণতান্ত্রিক ফ্রণ্টের জনসভা, টিএসসিতে চারটায় মুক্তিযোদ্ধা ছাত্র কমান্ডের সমাবেশ, ২৯ জুন সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী ছাত্র সমাজের মশাল মিছিল, ৩০ জুন সকাল এগারোটায় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি প্রতিরোধ কমিটির সমাবেশের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জানানো হয়। নতুন কর্মসূচিতে ঘোষণা করা হল, ২৯ জুন রাত আটটায় জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভা হবে আর ৩০ জুন বিকেল চারটায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউএ জনসভা হবে। ….. তাহলে হচ্ছে কিছু, হবে কিছু। .আশা নামের একটি শিশু যেন আমার দিকে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসছে। মনে মনে শিশুটির সঙ্গে আমি খেলা করি। সন্ধের দিকে ঝ ঘরে ঢুকলেন জকে নিয়ে। জ পাশে বসে আমার একটি হাত তাঁর হাতের মুঠোয় নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলে। চোখে মায়া। ঝ মেঝেয় আসন পেতে বসে গেলেন। জ আমাকে জিজ্ঞেস করেন না কেমন আছি আমি, তিনি অনুমান করে নেন কেমন আছি। আমার মলিন মুখটিতে তিনি হাত বুলিয়ে দেন, আমার চুলে, পিঠে হাত তাঁর। আমি স্থবির বসে থেকে জর মুখে তাকিয়ে থাকি, জর চোখে জল। জ বললেন, কি বলে তোমাকে সান্ত্বনা দেব, জানি না। আমাদের কোনও ভাষা নেই। ইচ্ছে করে জর কোলে মাথাটি রেখে শুয়ে থাকি। বসে থাকলে মাথা ঘোরে। পড়ে যাবো পড়ে যাবো লাগে। ঝ সিগারেট দেন খেতে।

ঝ বললেন, ও তো টেনশন করছে খুব। খাচ্ছে না, ঘুমাচ্ছে না। বলেছি, সিগারেট খাও, টেনশন কমবে।

জ বললেন, সিগারেট খেলে তো আরও ক্ষতি হবে। কিন্তু খাবার খাচ্ছে না কেন? –খেতে নাকি ইচ্ছে করে না। আমার এমনিতে লুকিয়ে ভাত আনতে হয়। কেউ দেখে ফেললে বলি যে ওঘরে আমি ভাত নিয়ে যাচ্ছি খেতে। এটা তো সবসময় করা যায় না। আমার ভয় হয় ওদের না আবার কোনও সন্দেহ হয়।

–কিছু বিস্কুট টিস্কুট তো এঘরে রেখে দিলে খেতে পারে। ভাত আনতে যদি অসুবিধা হয়।

ঝ বললেন, এটা ভাল কথা বলেছেন। কাল থেকে কলা বিস্কুট এসব এনে দেব।

জ বললেন, আমি জানলে কিছু নিয়ে আসতে পারতাম।

আমি শূন্য চোখে তাকিয়ে থাকি দেয়ালের দিকে। জ বললেন, শোনো, কিছু খেতে তো হবে তোমাকে। শরীর তো এ কদিনে অনেক শুকিয়ে গেছে। না খেলে চলবে কি করে? বেঁচে থাকতে হবে না!

খাওয়া দাওয়ার গল্প আমার ভাল লাগে না। জর কাছে জানতে চাই ঙর সঙ্গে তাঁর দেখা বা কথা হয়েছে কি না।

জ বললেন যে একবার শুধু ফোনে কথা হয়েছে। ঙ ব্যস্ত সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নিয়ে, আন্দোলন নিয়ে। আমাকে যে এখানে রেখে গেছেন তা জানিয়েছেন জকে। জকে বলেছেন যেন আমাকে এখানে দেখতে আসেন।

–ঙ কি আসবেন না?

জ বললেন, নিশ্চয়ই আসবেন। হয়ত সুযোগ পাচ্ছেন না, তাই আসছেন না। কখন যে কে কার পিছু নেয়, তা বলা মুশকিল। আমিই এসেছি ভীষণ ভয়ে ভয়ে। বার বার রিক্সাথামিয়েছি, কেউ আমাকে ফলো করছে কি না দেখেছি। রিক্সা ঘুরিয়ে এনেছি, সোজা আসিনি।

আমার কণ্ঠস্বরটি, বুঝি আমি, খুব ম্লান। স্বর বেরোতে চায় না। কথা বলতে নিলে খড়খড়ে হয়ে থাকা গলাটি জ্বলতে থাকে। যেন ঘা হয়ে গেছে গলনালীতে। নিজের কাছেই অচেনা লাগে নিজের স্বর।

জ আমাকে কথা দেন যে তিনি ঙর বাড়ি গিয়ে হলেও বলে আসবেন যেন তিনি একবার আসেন আমার কাছে।

ঝ তিরিশ তারিখের হরতাল সম্পর্কে জর মত জানতে চান। জ নিজের কোনও মতের কথা না বলে বললেন, আজ আওয়ামী লীগ মিছিল বের করেছে।

–সত্যি!

–সত্যি।

ঝ মুষ্ঠিবদ্ধ দুহাত ওপরে তুলে জয়ধ্বনি করলেন।

–শেখ হাসিনা ছিল মিছিলে? ঝর প্রশ্ন।

জ বললেন, না, নেত্রী ছিলেন না। তবে আবদুর রাজ্জাক, আমীর হোসেন আমু এরকম কয়েকজন ছিলেন নেতা।

–অগত্যা মধুসূদন! নামবিই যখন আগে নামলি না কেন!

জ বললেন, নামার তো ইচ্ছে ছিল না, ছাত্রলীগের নেতার খুব ক্ষেপে যাচ্ছিল, আওয়ামী লীগ সাপোর্ট করছেন যে বুদ্ধিজীবীরা, তাঁরা তো ভীষণ রাগ করছিলেন হাসিনার ওপর। হাসিনা শেষ পর্যন্ত মনে হয় বুঝেছে যে এভাবে জামাতকে নমো নমো করে খুব একটা সুবিধে করতে পারবে না। নিজেদের সাপোর্ট যে তারা অলরেডি হারাতে শুরু করেছে, টের পেয়েছে।

ঝ আমার দিকে চেয়ে হেসে বললেন, এ তো তোমার জন্য ভাল খবর। মোল্লাদের সাথে ফাইট করার দল চলে এসেছে।

জ ঠোঁট উল্টে বললেন, এখন কিছু বোঝা যাচ্ছে না অবস্থা কোথায় দাঁড়াবে। আওয়ামী লীগের মধ্যে এমন অনেকে আছে যারা চাইছে না পথে নামতে। এতে নাকি কিছু অসুবিধে আছে। প্রথম হল লোকে ধারণা করতে পারে যে আওয়ামী লীগ তসলিমার পক্ষে, এর মানে নাস্তিকতার পক্ষে। মোল্লাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা মানে তসলিমার পক্ষ নেওয়া। আওয়ামী লীগের কেউ তসলিমা নামের সঙ্গে যুক্ত হতে চায় না। আওয়ামী লীগ বহু কষ্টে তার ধর্মনিরপেক্ষতার দুর্নাম ঘুচিয়ে এখন দিনরাত আল্লাহু আকবর জয় বাংলা বলছে। আর একটু ডোজ পড়লেই জামাতের মত বলবে নারায়ে তকবীর আল্লাহুআকবর। আমার মনে হয় না আওয়ামী লীগ দলীয় ভাবে নেমেছে আন্দোলনে, হয়ত হাতে গোনা কজন নেতা কেবল সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী ছাত্রদলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে।

ঝ বলতে নিচ্ছিলেন, মেইন তো হল জামাতকে সাথে নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করা..

জ সায় দিয়ে বললেন, হ্যাঁ জামাত আর জাতীয় পার্টিকে সাথে নিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন বেশ জমিয়ে করার ইচ্ছে। এখন জামাতের বিরুদ্ধে নামা মানে হাত থেকে জামাত ফসকে যাওয়া। এটাতে দলের অনেকে নাখোশ।

আজ ছাত্রদের জঙ্গী মিছিলের খবর দিলেন জ। গোলাম আযমের ফাঁসি কার্যকর ও ফতোয়াবাজদের উচ্ছেদ করতে ৩০ জুন দেশব্যাপী সকাল সন্ধ্যা হরতাল/ সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী ছাত্র সমাজ এই ব্যানার নিয়ে ছাত্রদের একটি মিছিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে প্রেসক্লাবের কাছে গিয়ে মুখোমুখি হয় ইয়ং মুসলিম সোসাইটির। ইয়ং মুসলিম সোসাইটি ওখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করছিল। তখনই ছাত্ররা ধর মৌলবাদীদের, ধররাজাকারদের বলে ইয়ং মুসলিমদের ওপর হামলা চালায়। সমাবেশে যে চেয়ার ছিল, ওগুলো তুলে তুলে ছাত্ররা ইয়ং মুসলিমদের নেতাদের মারধোর করে, হঠাৎ করে ধাওয়া আর বেধড়ক মার খাওয়ার ফলে সোসাইটির লোকেরা প্রেসক্লাব চত্বর ছেড়ে সচিবালয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে। তারাও দূর থেকে ঢিল ছুঁড়তে থাকে ছাত্রদের দিকে। ছাত্ররাও পাল্টা ঢিল ছোঁড়ে। পুলিশ এসে এরপর ছাত্রদের লাঠিচার্জ করে, কিছু ছাত্রনেতাকে আহত করে, ওদিকে পুলিশের সহযোগিতায় ইয়ং মুসলিম সোসাইটির লোকেরা পালিয়ে যায়। এই সংঘর্ষের সময় ওখানে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, দোকানীরা দোকানের ঝাঁপ ফেলে দেয়, পথচারীরা নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে উর্ধ্বশ্বাসে দৌড়োতে থাকে। বুধবারেও এরকম ছাত্র পুলিশ সংঘর্ষ চলেছিল, পুলিশ রমেন মণ্ডল নামের এক ছাত্রকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। সংঘর্ষ আরেকটি প্রায় বাধে বাধে ছিল। গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছে, ইসলামী শাসনতন্ত্রের মিছিল থেকে শ্রমিকদের ওপর হামলা শুরু করতে নিলে পুলিশ দু দলের মাঝখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।

ঝ হঠাৎ বললেন, আজ তসলিমার শহর থেকে এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটির ১৮০ জন শিক্ষক তসলিমার ফাঁসি দাবি করেছেন।

–তসলিমার কোনও বাড়ি নেই, শহর নেই, দেশ নেই। আমি মন্তব্য করি।

জ আর ঝ দুজনেই পরস্পরের দিকে চেয়ে ছোট ছোট দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।

তিরিশ তারিখে কী হবে জ অনুমান করতে পারছেন না। একটা কি জানি কি হয় কি জানি কি হয় পরিবেশ পুরো দেশে। একাত্তরের মত মনে হয় জ র কাছে, একাত্তরের মার্চ মাসটির মত ভয়াবহ, অনিশ্চিত। যেন সত্যি সত্যি একটা যুদ্ধ লাগছে।

ঝ সিগারেটের ধোঁয়া শূন্যে ছেড়ে দিয়ে বলেলেন, দুঃখ এই, এবারের যুদ্ধে বড় শক্তিটি মৌলবাদী গোষ্ঠীর, আর ছোট শক্তি প্রগতিশীলদের।

জ মাথা নাড়েন, আসলে তসলিমা ইস্যুটিই বুঝিয়ে দিল মৌলবাদীরা কত বড় শক্তি এ দেশে। বদমাশগুলো কি করে সারা দেশ কাঁপিয়ে তুলছে.. । আমরা তো ভেবেছিলাম মৌলবাদী দল নিতান্তই ছোট কিছু। পাত্তাই দিই নি কখনও।

দীর্ঘশ্বাস ফেলে জ বললেন, এই দেশ মৌলবাদীদের হাতে চলে যাচ্ছে, এ কথা আমি বিশ্বাস করতে পারি না।

কে পারে বিশ্বাস করতে! এসব তো অবিশ্বাস্য ঘটনা। ঝ বলেন।

ঝ নিশ্চিন্তে অনেকক্ষণ বসতে পারেন এ ঘরে আজ রাতে। কারণ বাড়ির লোকেরা জানে তাঁর কাছে একজন অতিথি এসেছেন। ঝ আড়াইতলার ছোট ঘরটিতে বসে তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন। ঝ এমনকী নিচ থেকে ট্রেতে করে খাবার নিয়ে এলেন। অতিথির জন্য খাবার। কারও ভ্রু কুঞ্চনের কিছু নেই।

জ যখন চলে যাচ্ছেন তাঁকে বড় কাতর কণ্ঠে অনুরোধ করি একবার যেন তিনি শান্তিনগরে আমার বাড়িতে যান। আমার বাবা মা ভাইবোনেরা কেমন আছে, বেঁচে আছে কি না দেখে আসেন।

জ কথা দেন তিনি যাবেন। কথা দেন তিনি আবার আসবেন আমাকে দেখতে।

সকল অধ্যায়

১. ১. প্যারিসের ডায়রি – ০১
২. ১. প্যারিসের ডায়রি – ০২
৩. ১. প্যারিসের ডায়রি – ০৩
৪. ১. প্যারিসের ডায়রি – ০৪
৫. ১. প্যারিসের ডায়রি – ০৫
৬. ১. প্যারিসের ডায়রি – ০৬
৭. ২. তাণ্ডব – ০১
৮. ২. তাণ্ডব – ০২
৯. ২. তাণ্ডব – ০৩
১০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০১
১১. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০২
১২. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৩
১৩. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৪
১৪. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৫
১৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৬
১৬. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৭
১৭. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৮
১৮. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৯
১৯. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১০
২০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১১
২১. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১২
২২. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৩
২৩. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৪
২৪. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৫
২৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৬
২৬. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৭
২৭. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৮
২৮. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৯
২৯. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২০
৩০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২১
৩১. ৪. দেশান্তর – ১
৩২. ৪. দেশান্তর – ২
৩৩. ৪. দেশান্তর – ৩
৩৪. ৪. দেশান্তর – ৪ (শেষ)
৩৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২২
৩৬. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৩
৩৭. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৪
৩৮. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৫
৩৯. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৬
৪০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৭
৪১. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৮
৪২. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৯
৪৩. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩০
৪৪. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩১
৪৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩২
৪৬. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৩
৪৭. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৪
৪৮. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৫
৪৯. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৬
৫০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৭
৫১. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৮
৫২. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৯
৫৩. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪০
৫৪. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪১
৫৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪২
৫৬. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৩
৫৭. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৪
৫৮. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৫
৫৯. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৬
৬০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৭
৬১. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৮
৬২. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৯
৬৩. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫০
৬৪. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫১
৬৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫২
৬৬. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৩
৬৭. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৪
৬৮. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৫
৬৯. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৬
৭০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৭
৭১. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৮
৭২. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৯
৭৩. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৬০
৭৪. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৬১
৭৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৬২

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন