৪. দেশান্তর – ১

তসলিমা নাসরিন

বাড়িটি অন্ধকার করে রাখা হচ্ছে। জানালাগুলো ঢেকে দেওয়া হয়েছে ভারী পর্দায়, দরজাগুলো বন্ধ। বাইরে থেকে যেন বোঝা না যায় এ বাড়িতে কোনও মানুষ বাস করছে। বাড়ির মানুষেরা বাড়ি থেকে বাইরে যাচ্ছে না। বাইরের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তারপরও দেখে মনে হয় উৎসব লেগেছে বাড়িতে। এতজনকে একসঙ্গে আমি বহুদিন পাইনি। বাবা, মা, দাদা, ছোটদা, ইয়াসমিন, সুহৃদ, ভালবাসা, মিলন, গীতা, হাসিনা, পরমা, শুভ, সৌখিন সব এ বাড়িতে। পুরো পরিবার। পুরো পরিবার কখনও কি এক বাড়িতে এভাবে মিলেছে আর! ঈদের সময় অবকাশে মিলেছে, তবু সব ঈদে নয়। আমার মনে হতে থাকে আমি বুঝি সেই শৈশব বা কৈশোরের আমি। আমি বড় হয়ে উঠছি আত্মীয়দের আদরে ভালবাসায়। এভাবেই, এ বাড়িতে বুঝি আমরা সবাই আমাদের বাকি জীবন যাপন করব। কেউ কোনওদিন কারও থেকে দূরে সরব না। সবাই সবাইকে ভালবাসবো, আমরা সহায় হব একে অপরের। পরস্পরের প্রতি গভীর মমতা আমাদের আরও কাছে টানবে, আরও ঘনিষ্ঠ করবে। আমরা পরস্পরের আত্মীয় হব, বন্ধু হব আরও, আমরা সবাই সবার হৃদয় জুড়ে থাকব। আমরা হাসব, খেলব, আনন্দ করব। আমরা নিঃস্বার্থ, নিরুপদ্রব, নির্ঝঞ্ঝাট জীবন কাটাবো। সুখ স্বস্তি আর শান্তি স্বাচ্ছ−ন্দ্যর জোয়ার আমাদের ভাসাবে ডোবাবে নিশিদিন। একটি প্রাণীও আর অনিশ্চয়তায়, দুশ্চিন্তায়, দুর্ভাবনায় নির্ঘুম রাত কাটাবে না। প্রতিটি ভোরকে আমরা চুম্বন করব, প্রতিটি দুপুরকে নূপুর পরিয়ে নাচাবো, প্রতিটি বিকেলের সঙ্গে প্রেম করব, প্রতিটি সন্ধেকে পান করব, প্রতিটি রাতকে আলিঙ্গন করব। আশ্বাসে আশায় ভাষায় ভালবাসায় কলরোল করবে প্রতিটি প্রাণী। আমার মনে হতে থাকে আমার এই বাড়িটি আমার সেই কৈশোরের অবকাশ। বাবা মা ভাই বোন মিলে এক বাড়িতে বাস করছি। আমি ভুলে যাই যে আমরা পরস্পরের কাছ থেকে দূরে সরে গেছি অনেক বছর ধরে, ভুলে যাই দাদা তাঁর বিয়েটি করার পর বড় স্বার্থপর হয়ে গেছেন, ভুলে যাই যে হাসিনা আমাদের দুবোনকে উঠোনে ফেলে মেরেছিল, ভুলে যাই ছোটদা সুহৃদকে আমাদের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন, ভুলে যাই যে ছোটদাই আমাদের দোষ দিয়ে বলেছেন সুহৃদকে নষ্ট করেছি আমরা, ভুলে যাই যে তিনি আমার গাড়ি কেনার পঞ্চাশ হাজার টাকা এখনও ফেরত দিচ্ছেন না, ভুলে যাই বছরের পর বছর ধরে গীতার দুর্ব্যবহার, ভুলে যাই ইয়াসমিন অবকাশ ছেড়ে চলে গেছে অনেককাল, বিয়ের পর তার কাছে এখন তার স্বামী আর বাচ্চাই বেশি আপন। ভুলে যাই সব, যেন মাঝখানে কিছুই ঘটেনি, আমরা যেমন ছিলাম তেমনই আছি, সময় পাল্টায়নি, বয়স বাড়েনি।

মা রান্না করছেন। কোমরে দুহাত রেখে দাঁড়িয়ে বাবা রান্না দেখছেন। দাদা ছোটদা আর মিলন গল্প করছে বিশ্বকাপ নিয়ে। ইয়াসমিন নতুন একটি হিন্দি ছবি চালিয়ে দিয়েছে। গীতা আর হাসিনা কথা বলছে আর হাসছে। সুহৃদ, শুভ আর পরমা ক্যারম খেলছে। সৌখিন আর ভালবাসা ছবি আঁকছে। দৃশ্যগুলো আমি ঘুরে ঘুরে দেখি। দেখতে দেখতে আমার বিশ্বাস হতে চায় না যে এমন ছিল না দৃশ্য এর আগে এ বাড়িতে। যেন সকলেই আমরা এভাবেই এক বাড়িতে হৈহুল্লোড় করে ছিলামই, যেন কেউ কখনও কারও থেকে আলাদা হইনি। একটি জিনিস লক্ষ্য করে আমার এত ভাল লাগে যে কারও সঙ্গে কারও কোনও বিরোধ নেই এখন, কেউ কোনও অভিযোগ করছে না কারও বিরুদ্ধে, সকলে সকলকে ভালবাসছে। আমার বিপদই সম্ভবত সবাইকে এমন একত্র করেছে, এক বিন্দুতে দাঁড় করিয়েছে। আমার এত ভাল লাগে যে চোখ ভিজে ওঠে। ঘুরে ঘুরে সবার কাছে দাঁড়াই, বসি। মার রান্নায়, দাদাদের গল্পে, ইয়াসমিনের ছবিতে, গীতাদের হাসিতে, সুহৃদদের খেলায়, ভালবাসার আঁকায়। এ সত্যিই এক অন্যরকম সুখ। সবাইকে কাছে পাওয়ার সুখ, চোখের নাগালে, হাত বাড়ালেই পাওয়ার সুখ।

বৈঠকঘরের কার্পেটে বিছানার চাদর বিছিয়ে ঘুমোয় সবাই। বালিশ বেশি নেই বলে সোফার গদিগুলোকেই মাথার বালিশ হিসেবে ব্যবহার করে। এতে কারও কোনও অতৃপ্তি নেই। মনে সুখ থাকলে লোকে বলে গাছের তলাতেও আরামে ঘুমোনো যায়। আমার জন্য আমার শোবার ঘরটির পুরু গদির বিছানা, কিন্তু রাতে আমি আমার বিছানা ছেড়ে ভাই বোনদের মধ্যিখানে এসে শুই, এই আনন্দ ওই আরামের বিছানায় একা শোয়ার আনন্দের চেয়ে অনেক বেশি। লেখালেখিতে মগ্ন থেকে আমি কোনওদিন ফিরে তাকাইনি কারও দিকে। আজ ফিরে তাকাচ্ছি। দেখতে পাচ্ছি সবাই আমাকে ভীষণ ভালবাসে। কোনওদিন বুঝিনি কেউ যে ভালবাসে। না, এই ভালবাসাকে কোনওদিন জানতে চাইনি, অবজ্ঞা করেছি, আমার জীবন আমার বলে সরে থেকেছি।

বাড়ির সকালটা কাটে পত্রিকার ওপর ঝুঁকে থাকায়। দাদা, ছোটদা, বাবা, ইয়াসমিন আর মিলন, গীতা, হাসিনা বৃত্ত হয়ে বসে যায়। একজন পড়ে, সকলে শোনে। হাইকোর্টে জামিন পেলেন তসলিমা নাসরিন, হাইকোর্টে যেভাবে এলেন, যেভাবে গেলেন-এর পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা, আদালত প্রাঙ্গনে যে অভূতপূর্ব নিরাপত্তার আয়োজন ছিল সকাল থেকে তার আদ্যোপান্ত, এখন যে আমার শান্তিনগরের বাড়িতে কেউ নেই, দরজায় তালা ঝুলছে, আদালত থেকে বাড়ি ফিরে বিকেলের মধ্যে আবার আত্মগোপন করতে চলে গেছি এসব খবর; এই খবরটিই সাংবাদিকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে কারণ তাঁরা মনে করছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজের বাড়িতে এ সময় কোনও বোকাও থাকবে না। বাড়ির ঠিকানাটি তো বড় বড় করে সব পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, মোল্লাদের যে কোনও একজনই যথেষ্ট বাড়িতে এসে নির্বিবাদে আমার গলাটি কেটে নেওয়া। সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয় কিছুই নজর থেকে বাদ পড়ছে না কারওরই। আমি সামনে দাঁড়াতেই পত্রিকা থেকে মুখ তুলে দাদা বলেন, কালকে জামিন হওয়ার পর বিবিসি থেকে সাক্ষাৎকার নিছে অনেকের, ডঃ কামাল হোসেন বলছেন, আজকের ঘটনায় আমরা ভরসা পাচ্ছি যে দেশে আইনের শাসন আছে। সুপ্রিম কোর্ট যেভাবে জামিন দিয়েছে, তাতে একজন ব্যক্তি যে আইনের নিরাপত্তা পেতে পারে তা প্রমাণিত হয়েছে। উগ্রপন্থীরা এমন একটা অবস্থার সৃষ্টি করেছিল যাতে মানুষ কোর্টে এসে আইনের আশ্রয় নিতে পারে। তুই হাইকোর্টে গিয়া জামিন পাইছস, হাইকোর্ট থেইকা অনুমতি দিছে সিএমএম কোর্টে তর অনুপস্থিতিতে তর উকিলরা হাজিরা দিতে পারবে। সুপ্রিম কোর্টের যে স্বাধীনতা আছে তা প্রমানিত হইছে। তারপর ভয়েস অব আমেরিকাতেও সারা হোসেন সাক্ষাৎকার দিছে, বলছে তর বিরুদ্ধে মামলা করার পর পরিস্থিতি এমন ছিল বলছে যে তর পক্ষে কথা কওয়াও যেন অন্যায় ছিল, তর পক্ষে ওকালতি করাটাও যেন অপরাধ ছিল। কিন্তু হাইকোর্টের রায়টারে বলছে যে এত সহজে বিচার ব্যবস্থাকে মৌলবাদীরা প্রভাবিত করতে পারে নাই।

বাবা বললেন, শামসুর রাহমান তোমার প্রশংসা কইরা বলছে তুমি মেয়েদের কথা লিইখা সমাজকে আলোড়িত করছ। বলছেন, আমি মনে করি তসলিমা সফল, কেউ চাক বা না চাক তিনি আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। ডঃ আনিসুজ্জামানও ভাল বলছেন।

ছোটদা বললেন, জামাত কি কইছে ওইডা কন। জামাত হেভি চেতা সরকারের উপর। কইতাছে সরকার সব জানত তুই কই ছিলি, সব নাকি সরকারের নাটক। এহন তর জামিন হওয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতাছে তারা। মিছিল হইব প্রত্যেকদিন।

মিলন বলে, ভোরের কাগজ লিখছে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম নাকি পাগল হইয়া গেছে। দিন রাত নাকি ফোন কইরা জানতে চাইছে এখন আপনি কই আছেন, নিরাপত্তার কি হইতাছে, বিনা বাধায় বিদেশ যাইতে পারবেন কি না।

আজকের খবরের উত্তেজনা স্তিমিত হলে গত দুমাস কি কি ঘটেছে, কে কেমন ছিল এ বাড়িতে তার দুঃসহ বর্ণনা শুনি সবার কাছে। আমি চলে যাওয়ার পরই পুলিশ এসে বাড়ি তছনছ করেছে। বেচারা মোতালেবকে ধরে নিয়ে গেছে। ঘন্টার পর ঘন্টা জেরা। কোথায় তসলিমা, বলতেই হবে। মোতালেবকে পিটিয়েছে পুলিশ। মিলনকে খোঁজা হচ্ছিল, কারণ পুলিশ খবর পেয়েছে মিলন আমার সঙ্গে ছিল যখন আমি বেরিয়ে গেছি। মিলন নিখোঁজ হয়ে ছিল অনেকদিন। প্রথম দিকে, উকিলরা যখন বলেছিলেন যে এসময় আমার কিছু জনসমর্থন থাকলে ভাল হয়, পত্রিকায় কিছু বিবৃতি যাওয়া দরকার তখন ছোটদা আর দাদা আমার কবি লেখক বন্ধুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিবৃতি ভিক্ষে চেয়েছেন। পাননি। কেউই আমার পক্ষে কিছু বলার কোনও উৎসাহ প্রকাশ করেননি, সবার মুখে ছিল আতঙ্ক। দাদাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার কোনও আত্মীয়র ছায়াও কোনও বাড়ির কাছাকাছি পড়লে ক্ষতি। যে কেউ বাড়ির বাইরে গেছে, এসবির লোকেরা পিছু নিয়েছে। ছোটদা নুন কিনতে গেলেও টিকটিকি পেছনে যায়। মিলন ভালমানুষের মত আদমজিতে চাকরি করতে গেলেও পেছনে টিকটিকি। সবচেয়ে নিষ্ঠুর ঘটনাটি ঘটেছে ইয়াসমিনের ওপর, তার চাকরি চলে গেছে। সে আমার বোন, এই অপরাধে তার চাকরিটি গেছে। আমার বিরুদ্ধে সরকার মামলা দায়ের করার কিছুদিন পরই ইয়াসমিনকে তার আপিসের মালিক এসে বলে দিয়েছে, তার আর কাল থেকে আপিসে আসতে হবে না।

এক এক করে বন্ধুদের নাম বলি, কেউ এসেছিল কি না এখানে খোঁজ নিতে আমার আত্মীয়রা কেমন আছে অথবা খোঁজ নিতে কেউ জানে কি না আমি কেমন আছি, কোথায় আছি, ভাল আছি কি না, বেঁচে আছি কি না। প্রতিটি নাম উচ্চারণের পর উত্তর শুনি, না। কোনও কবি সাহিত্যিকই আসেনি? যারা আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল? না, কেউই আসেনি। নাকি এসেছে, তোমরা দরজা খোলোনি! না কেউই আসেনি। নিশ্চয়ই ফোন করেছে। ফোনে নিশ্চয়ই খবর জানতে চেয়েছে! না, কেউ ফোনও করেনি। গার্মেণ্টেসএর সাজু জাহেদারা ছাড়া আর কেউ আসেনি। কেউ ফোন করেনি। কায়সারও আসেনি? না। ফোনও করেনি? না। বরং কায়সারকেই ফোন করা হয়েছে, একবার অন্তত বাড়িতে আসার অনুরোধ করা হয়েছে। কথা দিয়েছে আসবে, কিন্তু আসেনি। একবার জানতেও চায়নি আমার কথা।

স্তূপ হয়ে থাকা চিঠিগুলো পড়তে ইচ্ছে করে না। চিঠিগুলো হয়ত জরুরি চিঠি। কিন্তু জরুরি চিঠি পড়ার চেয়েও বাড়ির সবার সঙ্গে আড্ডা দিতে গল্প করতে হোক না আজাইরা গল্প, ভাল লাগে বেশি। ইচ্ছে না হলেও কিছু চিঠি খুলি গল্পের অবসরে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি মানবাধিকার সংগঠন আমাকে একটি গ্রান্ট পাঠিয়েছে, হেলমেন হেমেট গ্রান্ট। সরাসরি আমার ব্যাংক একাউণ্টেই পাঠিয়ে দিয়েছে ছ হাজার ডলার। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি চিঠিতে এই খবরটিই পেলাম। প্রতিবছর এই সংগঠনটি মানবাধিকারের জন্য যারা লড়াই করছে, তাদের জন্য এরকম একটি গ্র্যাণ্টের ব্যবস্থা করে। এর মধ্যে ব্যাংকে পৌঁছে গেছে ফরাসি প্রকাশক ক্রিশ্চান বেস এর পাঠানো দ্বিতীয় কিস্তির টাকা। অর্থনৈতিক মেরুদণ্ডটি এবার তাহলে জোড়া লাগল।

পুরোনো বন্ধুরা আমার কাছ থেকে দূরে সরলেও আমার নতুন বন্ধুরা আমাকে দূরে সরিয়ে দেন না। ঝ চলে আসেন পিস্তল নিয়ে আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। পুলিশে তাঁর বিশ্বাস নেই। ঝকে বলি যে আমি খুব নিরাপদ বোধ করছি, এত নিরাপদ আমি আর আগে কখনও বোধ করিনি। আমাকে ঘিরে আমার পরিবারের সদস্যরা আছে, তাদের কারও কাছে পিস্তল নেই, বন্দুক নেই, কিছু নেই। তাদের ভালবাসাই আমাকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। ভালবাসা যে কোনও মারণাস্ত্রের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা দিতে পারে, তা আমি সমস্ত অন্তর দিয়ে অনুভব করি। যদি মৃত্যু হয় এ বাড়িতে এখন আমার, আমার মার কোলে, মার চোখের জল আমার কপালে টুপ টুপ করে পড়বে, ইয়াসমিন আমার বুকের ওপর মাথা রেখে চিৎকার করে কাঁদবে, বাবা আমার হাত শক্ত করে ধরে রাখবেন, আমার মুখের ওপর ঝুঁকে থাকবেন আমার দাদা আর ছোটদা, সুহৃদ আমার কোলের ওপর পড়ে ফুঁপিয়ে কাঁদবে দোলফুপু দোলফুপু বলে, এমন সময় যদি জানি আমার মৃত্যু হচ্ছে, আমার কি দুঃখ হবে? দুঃখ হবে না। ভালবাসা ঘিরে থাকলে মৃত্যুতে কোনও দুঃখ হয় না। আমার এই ঘরের মানুষদের ভালবাসা লক্ষ লক্ষ মোল্লাদের ঘৃণার চেয়ে তীব্র। আমি অনেক কিছু না পেয়েও কেবল সত্যিকার কিছু ভালবাসা পেয়ে তৃপ্ত।

সকল অধ্যায়

১. ১. প্যারিসের ডায়রি – ০১
২. ১. প্যারিসের ডায়রি – ০২
৩. ১. প্যারিসের ডায়রি – ০৩
৪. ১. প্যারিসের ডায়রি – ০৪
৫. ১. প্যারিসের ডায়রি – ০৫
৬. ১. প্যারিসের ডায়রি – ০৬
৭. ২. তাণ্ডব – ০১
৮. ২. তাণ্ডব – ০২
৯. ২. তাণ্ডব – ০৩
১০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০১
১১. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০২
১২. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৩
১৩. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৪
১৪. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৫
১৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৬
১৬. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৭
১৭. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৮
১৮. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৯
১৯. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১০
২০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১১
২১. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১২
২২. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৩
২৩. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৪
২৪. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৫
২৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৬
২৬. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৭
২৭. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৮
২৮. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৯
২৯. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২০
৩০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২১
৩১. ৪. দেশান্তর – ১
৩২. ৪. দেশান্তর – ২
৩৩. ৪. দেশান্তর – ৩
৩৪. ৪. দেশান্তর – ৪ (শেষ)
৩৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২২
৩৬. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৩
৩৭. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৪
৩৮. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৫
৩৯. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৬
৪০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৭
৪১. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৮
৪২. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৯
৪৩. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩০
৪৪. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩১
৪৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩২
৪৬. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৩
৪৭. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৪
৪৮. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৫
৪৯. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৬
৫০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৭
৫১. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৮
৫২. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৯
৫৩. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪০
৫৪. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪১
৫৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪২
৫৬. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৩
৫৭. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৪
৫৮. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৫
৫৯. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৬
৬০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৭
৬১. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৮
৬২. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৯
৬৩. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫০
৬৪. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫১
৬৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫২
৬৬. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৩
৬৭. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৪
৬৮. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৫
৬৯. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৬
৭০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৭
৭১. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৮
৭২. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৯
৭৩. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৬০
৭৪. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৬১
৭৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৬২

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন