৩. অতলে অন্তরীণ – ২৪

তসলিমা নাসরিন

সাতাশ জুন, সোমবার

–এই মেয়ে, তুমি তো মরে যাচ্ছে!!

–মরে যাচ্ছি, কই নাতো! এখনও তো আমার নাড়ি চলছে ভাল। শ্বাসও নিচ্ছি। মরছি বলে তো মনে হয় না। তাছাড়া রোগ তো কিছু নেই যে মরব।

–কি রোগ জানি না। তবে শখের মরা অনেকে তো মরতে চায়, সেরকম মরছ তুমি। –মরলে তো ভালই, একরকম বাঁচা। তখন আর কোনও দুশ্চিন্তা থাকবে না যে কেউ বুঝি আজই রামদা দিয়ে আমার গলাটা কেটে ফেলল।

–দুশ্চিন্তা কোরো না, বাঁচো। বাঁচার মত চমৎকার জিনিস আর নেই।

–আমার কাছে কিন্তু তা মনে হয় না। বাঁচাটাকে এখন আমার বড় দুঃসহ লাগে।

–এখন মনে হচ্ছে। কিন্তু ঝড় ঝঞ্ঝা কেটে গেলে তখন কিন্তু মনে হবে না।

–কাটবে কি কখনও?

–জানি না। কিন্তু যদি কাটে! আচ্ছ!, তুমি তো আগে কখনও এমন হতাশ ছিলে না কিছুতে! সবসময়ই একটি ্‌ আশা নিয়ে, একটি স্বপ্ন নিয়ে প্রচণ্ডভাবে বেঁচে থাকতে। চারদিকে এত শত্রুতা, এত হুমকি, তার পরও তো পরোয়া করোনি।

–এখনের সঙ্গে কি তখনের তুলনা চলে!

–হ্যাঁ তা ঠিক, এখন অন্যরকম। এখন তোমার কিছুতেই ঘর থেকে এক পা বেরোনো চলবে না। এখন বাইরের কারও জানা চলবে না, তুমি কোথায় আছো।

–এই জীবন আমার জঘন্য লাগছে। এই জীবন থাকার চেয়ে না থাকা ভাল। এই ইঁদুরের জীবন আমি আর যাপন করতে পারছি না। ভয়ের চোটে গর্তে লুকিয়ে আছি, এ আমি ভাবতেই পারি না। আমি তো কখনও এমন ছিলাম না। কখনও তো লুকোইনি কোথাও। জীবনে তো কম বিপদ আসেনি।

–তোমার তো উপায় নেই আর। আগের বিপদ আর এখনকার বিপদে অনেক পার্থক্য আছে। অনেক কিছু ভাল না লাগলেও মেনে নিতে হয়। তোমাকে মেনে নিতে হবে জীবনটির জন্য। জীবনের মত মূল্যবান কিছু তো আর নেই। কষ্ট সহ্য কর। সহ্য কর আগামীর কথা ভেবে।

–আমার কোনও আগামী আছে বলে আমার মনে হয় না।

–বাজে কথা বোলো না। এখন তোমার খারাপ সময় যাচ্ছে বলে ভেবো না সবসময় সময় খারাপই যাবে। কত বড় বড় নেতারা এভাবে বছরের পর বছর কাটিয়েছেন। কমুনিস্ট পার্টি যখন নিষিদ্ধ ছিল, তখন বড় বড় কমুনিস্ট নেতা এভাবেই লুকিয়ে থেকেছেন। এই কদিনে তুমি অতিষ্ট হয়ে গেলে চলবে কেন!

–আমি তো বড় কোনও রাজনৈতিক নেতা নই। আমি সাধারণ এক মানুষ। সাধারণ কিছু লেখা লিখেছি।

–না, তুমি সাধারণ লেখা লেখোনি। সাধারণ কথা লিখলে দেশজুড়ে তোমার বিপক্ষে এমন আন্দোলন হত না।

–আমার পক্ষে কেউ নেই। এই যে এখন মৌলবাদ বিরোধী আন্দোলন হচ্ছে, এরা তো আমার পক্ষের কেউ নয়। কেউ আমাকে পছন্দ করে না।

–কে বলেছে! তোমার পক্ষে অনেক মানুষ আছে এ দেশে।

–বারো কোটি লোকের মধ্যে বারো জন পক্ষে থাকলে কী লাভ!

–লাভের কথা ভাবো কেন! আগে তো এমন করে ভাবতে না! আগে তোমার নিজের যা ইচ্ছে করত, তাই করতে। লাভ হবে বলে তো কিছু করনি। লাভ ক্ষতি নিয়ে মোটেও ভাবোনি।

–আগে হয়ত বোকা ছিলাম, তাই কিছু ভাবিনি।

–না। এখন তুমি বোকামো করছ। এখন হিসেব করছ। কেউ যদি না ভালবাসে তোমাকে, এভাবে আশ্রয় পাচ্ছে! কি করে?

–সে তো গুটিকয় মানুষ মাত্র..

–তুমি কি করে আশা কর তুমি যেসব কথা লিখেছো, তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ তোমাকে সমর্থন করবে! তোমার ভাগ্য ভাল যে কিছু লোক এখনও তোমার বাক স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলছে। তুমি তো সংগ্রামী মেয়ে ছিলে, কখনও তো আপোস করনি, কখনও সত্য চাপা দিয়ে রাখোনি, কখনও পাছে লোকে কিছু বলবে বলে কিছু করা থেকে নিজেকে বিরত রাখোনি। এখন তুমি যদি এভাবে নিস্তেজ হয়ে পড়ো, ভয়ে চুপসে থাকো, মরার আগেই যদি মরেই যাও, তবে তো বদমাশ মোল্লাদেরই জয় হবে।

–জয় তো ওদের হচ্ছেই।

–না জয় ওদের হবে না। মানুষ আজ না হোক, কিন্তু একদিন বুঝতে পারবে যে ধর্ম এবং মৌলবাদ কি রকম ভয়ংকর জিনিস! ধর তোমাকে যদি ওরা মেরে ফেলে, তবে কি ভেবেছো ওরা জয়ী হয়ে গেল! মোটেও নয়।

–আমাকে যদি মেরে ফেলে তবে ওরা হারল কি জিতল সে দেখা তো আমার হবে না।

–না হোক তোমার দেখা। তুমি যতদিন বাঁচবে আশা নিয়ে বাঁচবে, স্বপ্ন নিয়ে বাঁচবে, দেখবে মনে জোর পাবে, মনের জোরই মানুষকে সত্যিকার বাঁচায়।

–একদিন তো ওরা আমাকে ঠিক পেয়ে যাবে, কদিন আর লুকিয়ে থাকতে পারব! পেলে আমার কল্লাটা কেটে নিয়ে চলে যাবে। বাকি শরীরটা কোথাও কোনও নর্দমায় পড়ে পচবে নয়ত শেয়াল শকুনে খাবে। ভেবেছিলাম মেডিকেল কলেজে দিয়ে যাবো শরীরটা.. কিন্তু

–মরে গেলে তোমার শরীর কোথায় গেল নর্দমায় গেল কি শেয়াল শকুনে খেল কি মেডিকেল নিল তা তো তুমি আর দেখছ না। তুমি তো আর আত্মায় বিশ্বাস কর না যে শরীরের ভাল কোনও সৎকার দেখলে তোমার আত্মা শান্তি পাবে। যতক্ষণ বেঁচে থাকো, ভালভাবে বাঁচো। মরে গেলে মরে যাবে, তাতে কি!

–কিন্তু কত যে কাজ ছিল..

–কাজ কি সবাই শেষ করে পরে মরে! ওই সুযোগ কটা মানুষ পায়? মৃত্যুটাতো মানুষের হঠাৎ আসে। দেখনা কত লঞ্চ, বাস, ট্রেন দুর্ঘটনা হচ্ছে। কত মানুষ মরে যাচ্ছে। তারা কি ভেবে ছিল সেদিন মরবে, তাদের কাজ বাকি ছিল না?

–কিন্তু এটা কি কোনও দুর্ঘটনা, আমার ফাঁসি হওয়া, বা আমাকে ওদের খুন করা..!

–নিশ্চয়ই দুর্ঘটনা। কত মানুষের জীবনে কত দুর্ঘটনা ঘটছে। কত কত মানুষকে মিথ্যে মামলায় ফেলে অপরাধী বানিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তুমি কেন ভাবো তোমার নিজের জীবনে কেবল সুঘটনাই আসবে!

–আমি তো কোনও অন্যায় করিনি!

–অন্যায় করলেই কি শাস্তি হয় সবার, অন্যায় না করেও তো হয়! আর তোমার কাছে যেটি অন্যায় নয়, অন্যের কাছে সেটি হয়ত অন্যায়। সুতরাং মেনে নাও যে তোমার এই দেশের মানুষগুলোকে তুমি যা বোঝাতে চেয়েছো, বোঝাতে পারোনি, তারা ভুল বুঝেছে তোমাকে, তাই তোমাকে হত্যা করতে চাইছে। ইতিহাসে এমন বহু ঘটনা আছে যেখানে অনেককে জীবন বিসর্জন দিতে হয়েছে অকারণে। কত বড় বড় মানবতাবাদী, বিজ্ঞানী, লেখক, শিল্পী, রাজনীতিবিদদের নির্বিচারে হত্যা করাহয়েছে। তুমি তো তাঁদের তুলনায় কিছুই নও তসলিমা।

–তা ঠিক। মনে হয় আমি কিছু নই বলেই বোধহয় মরতে আমার ভয় হচ্ছে খুব।

–যুক্তিবাদী হও। ভয় কোরো না। বসে বসে সারাদিন দুশ্চিন্তা করে করে নিস্তেজ পড়ে থেকে সময় নষ্ট কোরো না। সময়টাকে কাজে লাগাও। লেখো। লেখাই তোমার বেঁচে থাকা।

–লিখতে আমার ইচ্ছে করে না। লেখা আমার আসেও না। লিখেই বা কি হবে! কি লাভ!

–আবার লাভ দেখছো!

–হ্যাঁ দেখছি।

–তাহলে কি করতে চাও?

–মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে আত্মহত্যা করতে। জীবনকে কয়েকবছর পিছিয়ে দিতে যদি পারতাম! তাহলে.. লেখালেখি করতাম না, যদি করতামই তবে প্রেমের গল্প লিখতাম, প্রকৃতি নিয়ে লিখতাম.. কেউ আমাকে খুন করতে চাইত না।

–তুমি একটা অপদার্থ। তোমার জন্য এই যে বিদেশে লেখকরা নারীবাদীরা মানবতাবাদীরা আন্দোলন করছে, তুমি তার যোগ্য নও। তুমি একটা ভীরু, ভীতু, স্বার্থপর মেয়েমানুষ। তোমার উচিত ছিল আত্মীয়দের পছন্দ করা পাষেনর কাছে বিয়ে বসা। শান্তশিষ্ট গৃহবধূর মত মন লাগিয়ে সংসার করা। বাচ্চা কাচ্চা জন্ম দেওয়া, তাদের লালন পালন করা।

–তাই হয়ত ভাল ছিল..

–কি ব্যাপার, এমন নেতিয়ে পড়ছ কেন! আবারও তো মরার মত পড়ে রইলে। যাব্বাবা, এতক্ষণ কথা বলে কোনও কাজই হল না। দিন রাত এখন এভাবেই শুয়ে থাকবে, জেগে থাকবে কিন্তু নড়বে না। চোখ বড় বড় করে সাদা দেয়ালের দিকে সারাদিন তাকিয়ে ভাববে, কী ভাবো কে জানে। এই ভাবনাগুলোও অন্তত লিখে রাখতে পারো তো।

–আমি একটা তুচ্ছ প্রাণী। আমি জীবনে কখন কি ভেবেছিলাম তা কার জেনে কী লাভ!

–তুমি আসলেই খুব তুচ্ছ মানুষ। তোমার মরে যাওয়াই ভাল। মৃত্যুটাই তুমি এখন সভয়ে এবং নির্ভয়ে চাচ্ছে!। বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম তো করনি জীবনে, তাই জানো না বেঁচে থাকা কি জিনিস।

তা ঠিক এ কথা আমি জানি না। আমার খুব ইচ্ছে করে জানতে বেঁচে থাকা কেমন জিনিস।মরার মত পড়ে থাকি, ক্ষিধে পেতে পেতে একসময় দেখি আর ক্ষিধে পায় না, ঘুমও পায় না, না রাতে না দিনে। শরীরে আর মনে যে শক্তি ছিল তা কোথায় উবে গেছে, জানি না। শক্তিহীন, তেজহীন, জেদহীন, আশাহীন, স্বপ্নহীন একটি জীবন এখনও আমি ধারণ করে আছি। কেন আছি, জানি না।

অনেক রাতে ঝট করে ঢুকে ঝট করে বেরিয়ে গেলেন ঝ। একটি পত্রিকা রেখে গেলেন, পত্রিকার প্রথম পাতার খবরটি বিস্ফারিত চোখে চেয়ে থাকে আমার দিকে। পত্রিকাটির দিকে হাত বাড়াতে গিয়ে দেখি কাঁপছে হাত। হাতটি পত্রিকার কাছে এসে নেতিয়ে পড়ল। ধীরে ধীরে চোখ বুজে আসছে। চোখ খুলতে ভয় হচ্ছে। চোখ খুললে যেন দেখব কেউ দাঁড়িয়ে আছে সামনে আমাকে গলায় রশি বেঁধে মরা কুকুরের মত টেনে নিয়ে যাবে মোহাম্মদ আলমের কাছে, ৫০ হাজার টাকা পেতে। সারা শরীরে অসহ্য এক যন্ত্রণা হতে থাকে আমার, যেন ইটপাথরের কর্কশ রাস্তার ঘর্ষণে আমার ত্বক ছিঁড়ে যাচ্ছে, মাংস খুলে যাচ্ছে, হাড় ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। আমাকে তবু টেনে নেওয়া হচ্ছে, আমার কোনও আকুতি, কোনও কান্না কারও মনে একটুও স্পর্শ করছে না, রাস্তার লোকেরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমাকে দেখছে আর হি হি করে আসছে আর হাততালি দিচ্ছে। কেউ আবার দৌড়ে এসে লাথি মারছে বুকে পেটে। আমাকে টেনে নেওয়া হচ্ছে, গলা কেটে রক্ত বেরোচ্ছে, মাথা কেটে বেরোচ্ছে, কেউ তবু বলছে না দড়িটানা থামাতে। আমি মরে যাচ্ছি। মরে যাচ্ছি। আমার মৃতদেহটিকে একপাল কুকুর দিয়ে খাওয়ালো ওই মোহাম্মদ আলম লোকটি। বাংলার এই পবিত্র মাটিতে আমার মত অপবিত্র মানুষের জায়গা হওয়া উচিত নয় বলে খাওয়ালো।

 

তসলিমাকে জীবিত বা মৃত ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরুরস্কার

বগুড়া ২৬ জুন (জেলা বার্তা পরিবেশক)– লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে জীবিত বা মৃত ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেবার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ইসলাম ও রাষ্ট্রদ্রোহী তৎপরতা প্রতিরোধ মোর্চা বগুড়া জেলা শাখা আয়োজিত খোকন পার্কের জনসভায় আজ বিকেলে বক্তা মোহাম্মদ আলম এ ঘোষণা দিয়েছেন।

সকল অধ্যায়

১. ১. প্যারিসের ডায়রি – ০১
২. ১. প্যারিসের ডায়রি – ০২
৩. ১. প্যারিসের ডায়রি – ০৩
৪. ১. প্যারিসের ডায়রি – ০৪
৫. ১. প্যারিসের ডায়রি – ০৫
৬. ১. প্যারিসের ডায়রি – ০৬
৭. ২. তাণ্ডব – ০১
৮. ২. তাণ্ডব – ০২
৯. ২. তাণ্ডব – ০৩
১০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০১
১১. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০২
১২. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৩
১৩. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৪
১৪. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৫
১৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৬
১৬. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৭
১৭. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৮
১৮. ৩. অতলে অন্তরীণ – ০৯
১৯. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১০
২০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১১
২১. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১২
২২. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৩
২৩. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৪
২৪. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৫
২৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৬
২৬. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৭
২৭. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৮
২৮. ৩. অতলে অন্তরীণ – ১৯
২৯. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২০
৩০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২১
৩১. ৪. দেশান্তর – ১
৩২. ৪. দেশান্তর – ২
৩৩. ৪. দেশান্তর – ৩
৩৪. ৪. দেশান্তর – ৪ (শেষ)
৩৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২২
৩৬. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৩
৩৭. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৪
৩৮. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৫
৩৯. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৬
৪০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৭
৪১. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৮
৪২. ৩. অতলে অন্তরীণ – ২৯
৪৩. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩০
৪৪. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩১
৪৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩২
৪৬. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৩
৪৭. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৪
৪৮. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৫
৪৯. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৬
৫০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৭
৫১. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৮
৫২. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৩৯
৫৩. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪০
৫৪. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪১
৫৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪২
৫৬. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৩
৫৭. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৪
৫৮. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৫
৫৯. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৬
৬০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৭
৬১. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৮
৬২. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৪৯
৬৩. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫০
৬৪. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫১
৬৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫২
৬৬. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৩
৬৭. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৪
৬৮. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৫
৬৯. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৬
৭০. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৭
৭১. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৮
৭২. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৫৯
৭৩. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৬০
৭৪. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৬১
৭৫. ৩. অতলে অন্তরীণ – ৬২

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন