সাত নম্বর – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

পৌলোমী সেনগুপ্ত

নগেন সাধুর মেয়ের বিয়ে। বেশ বড়লোক মানুষ। এ তো জানা কথাই, ব্যাবসা করলে মানুষ বড়লোক হবেই। বড়লোক হলেই হরেকরকম অসুখ করবে। অসুখ করলেই ডাক্তারের সঙ্গে খুব খাতির হবে। নগেন সাধু আমার বড়মামার পয়লা নম্বর রোগী। একটা মানুষের যে কতরকম অসুখ হতে পারে, সাধুমশাইকে না জানলে অজানাই থেকে যাবে। সেই মানুষের মেয়ের বিয়ে। হইহই ব্যাপার। যত জোরে সানাই বাজছে, তার চেয়েও বেশি জোরে হরেকরকম গলায় মানুষ চেল্লাচ্ছে। গাড়ির পর গাড়ি আসছে থামছে, দুমদাম দরজা খুলছে, বন্ধ হচ্ছে, চলে যাচ্ছে। ফিনফিনে বাবুরা নামছেন, কোঁচা লুটোচ্ছে, আতরের গন্ধে চারপাশ মাত হয়ে যাচ্ছে। এ বলছে, আমায় দেখ, ও বলছে, আমায় দেখ। মুখে না বললেও হাবভাবে তাই মনে হচ্ছে।

সাতদিন আগে সাধুমশাই গলবস্ত্র হয়ে বড়মামাকে বলে গিয়েছিলেন, “অনুগ্রহ করে একবার পায়ের ধুলো দেবেন ভাগনেটিকে নিয়ে। এই তো আমার শেষ কাজ।”

বড়মামা বলেছিলেন, “শেষ কেন? এখনও এক মেয়ে আর এক ছেলে রয়েছে না?”

“সে কি আর দেখে যেতে পারব? শরীরের যা অবস্থা।”

বড়মামা আর কথা বাড়াননি। হাতির মতো যাঁর শরীর, যিনি সামনে এসে দাঁড়ালে আলো-বাতাস আটকে যায়, তিনি কিনা নাকে কেঁদে বলছেন, এই আমার শেষ কাজ।

বড়মামা আজ জব্বর সেজেছেন। সেই ঢোলা প্যান্ট, চার-পকেটওলা ডাক্তারি বুশ শার্ট বাড়িতে ঝুলছে। আজ একেবারে ফুলবাবু। গরদের পাঞ্জাবি। লোটানো ধুতি। পায়ে বাদামি রঙের চকচকে নিউকাট। চললে মশমশ শব্দ উঠছে। আমার বগলে একটা শাড়ির বাক্স, লাল-ফিতে-বাঁধা।

তোরণের ওপর নহবত বসেছে। পুটুর পুটুর আলোর মালা ঝুলছে। বড়মামা আমার একটা হাত ধরে সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। অবাক হয়ে দেখতে দেখতে বললেন, “লোকটির কী কষ্ট দেখ। গাল দুটো গাবের মতো ফুলে আছে। সুর বেরোচ্ছে নাক দিয়ে। এ মনে হয় ভূতের বাজনা।”

কোমরে তোয়ালে জড়িয়ে পাশ দিয়ে কর্মকর্তাদের কেউ-একজন ‘রাঙামাসি, রাঙামাসি’ করে পাগলের মতো ছুটছিলেন। ঠিক কানে গেছে। ঘুরে দাঁড়িয়ে বললেন, “ভূতের বাজনা? আপনি ভূতও চেনেন ন, বাজনাও চেনেন না, এর নাম সানাই!”

“কাকে কী বলছিস জগো?” নগেন সাধু এগিয়ে এলেন। চিৎকার করে করে দইভাঙা গলা। আটরকম শব্দ বেরোচ্ছে। “ইনি কে জানিস? আমাদের ডাক্তারবাবু। দয়া করে পায়ের ধুলো দিয়েছেন। যাঁর এক মিনিট সময়ের দাম একশো টাকা। এঁর বিবাহে সাত রাত সানাই বেজেছিল।”

বড়মামা শুধরে দিলেন, “আমার তো বিয়েই হয়নি।”

“ও হ্যাঁ হ্যাঁ, তাও তো বটে। আমার কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। কার বিয়েতে বলুন তো?”

“আমাদের ফ্যামিলিতে আমার পিতৃদেব ছাড়া আর তো কারওর বিবাহ হয়নি।”

“তা হলে আপনার পিতৃদেব।”

“সে তো বহুকাল আগের কথা। তখন কি আপনি জন্মেছিলেন?”

“রাঙামাসি রাগ করে না খেয়ে চলে যাচ্ছে, আমি ধরে আনি দাদা,” বলে ভদ্রলোক যাবার জন্যে পা বাড়ালেন।

সাধুমশাই ভীষণ রেগে বললেন, “না খেয়ে? চালাকি পেয়েছে? এক প্লেট খাবারের দাম আশি টাকা। না খেয়ে যাবে? মামার বাড়ি পেয়েছে। চ্যাংদোলা করে ধরে এনে টেবিলে ঠেসে বসিয়ে দে।”

বড়মামা ডাক্তারের গলায় বললেন, “বড় বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন সাধুমশাই। সকালেই প্রেশার দেখিয়ে গেছেন। বেশ চড়ে আছে। শুধু ওষুধে কী হবে, মেজাজ সামলাতে হবে।”

“এতক্ষণ বেশ ঠান্ডাই ছিল। সকাল থেকে তিনবার আলো নিবেছে। একবারও খেপে যাইনি। একবারও দাঁত কিড়মিড় করে বলিনি, বাছাধনরা এবার ভোট চাইতে এসো, কাঁচকলা পাবে। আমাদের এই মাসিটি মশাই ডেঞ্জারাস মহিলা। রেগে গেলে জ্ঞান থাকে না। আপনি জানেন না। তাই শান্ত হতে বলছেন।”

ওপাশ থেকে ডাক এল, “দাদা, তুমি একবার এসো তো। এখানে ঝোপের ধারে বসে ফ্যাঁসফ্যাঁস করে কাঁদছে।”

সাধুমশাই ‘তবে রে’ বলে তেড়েমেড়ে চলে গেলেন। বড়মামা বললেন, “কী বুজছিস?”

“আজ্ঞে একেই বলে বিয়েবাড়ি।”

“চল সরে পড়ি।”

“আশি টাকার প্লেট বড়মামা। ছেড়ে গেলে রাতে ঘুমোতে পারব না।”

“তোকে এত খাওয়াই, তবু লোভ যায় না।”

“আপনিই তো বলেন মানুষ বেঁচে আছে খাওয়ার জন্যে।”

“সে হল রাগের কথা। মহাপুরুষরা বলে গেছেন, বেঁচে থাকার জন্যে খাওয়া, খাওয়ার জন্যে বাঁচা নয়। কিন্তু আর তো এখানে দাঁড়ানো যায় না, ওই পায় প্যাঁ-পোঁ কানের পোকা বের করে দিলে!”

বৃদ্ধ এক ভদ্রলোক, গায়ে গিলে-পাঞ্জাবি, খুব মোলায়েম গলায় বললেন, ‘সানাই শুনতে হয় এক মাইল দূর থেকে, নদীর ধারে বসে। বড় করুণ রসের বাজনা। কানে তুলো গুঁজে শুনুন। বুঝতে পারবেন কী দরের বাজনা। সাধে রাজা-মহারাজরা প্রহরে প্রহরে শুনতেন?”

“আগেকার দিনে প্রহরে প্রহরে তো শেয়ালও ডাকত?”

“উঃ, তারও কি কম বিউটি ছিল? তাই তো কবি গাহিয়াছেন, ‘প্রহরে প্রহরে ডাকিছে শৃগাল, ঝাঁক ঝাঁক মশা ধরেছে গান, ম্যালেরিয়া জ্বরে পিলে ঠেলে ওঠে, মৃত্যুমাদল বাজে’। আহা, কী সব কবিই তখন জন্মে গেছেন। ভাবলে গায়ে কাঁটা দেয়।”

“ওটা একটা অসুখ। একটা কোর্স ক্যালশিয়াম ইনজেকশান নিলেই সেরে যাবে।”

সাধুমশাই হন্তদন্ত হয়ে এলেন। “চলুন চলুন, ভেতরে চলুন। মেয়েকে একটু আশীর্বাদ করুন। ও তো মরেই যেত। আপনার কৃপায় বেঁচে আছে। মনে আছে আপনার? সেই ছেলেবেলায় ধেড়ে একটা সেফটিপিন খেয়ে ফেলেছিল?”

“হ্যাঁ, বড়ই গুরুপাক জিনিস ছিল। ওর চেয়ে লোহার ফুটকড়াই হজম করা অনেক সহজ।”

ভেতরে ঢুকতেই একজন ঝাউপাতা আর রাংতা-মোড়া একটি করে গোলাপ হাতে ধরিয়ে দিলে। বড়মামা হাতে নিয়ে এদিক-ওদিক তাকিয়ে বললেন, “কোট নেই, গুঁজি কোথায়?”

সাধুমশাই বললেন, “তাতে কী, হাতে ধরে থাকুন। মানাবে ভাল।”

আর একজন কোথা থেকে ছুটে এসে, এক, দুই, তিন করে পরপর সাতখানা কবিতা হাতে গুঁজে দিয়ে গেল। ধারে ধারে প্রজাপতি উড়ছে। সোনার জলে ছাপা। রঙচঙ-মাখা এক মহিলা সিঁড়ির দু’ধাপ ওপরে দাঁড়িয়ে কেবলই বলছেন, “রুমাল-কবিতা দিয়েছিস, রুমাল-কবিতা?”

“সে তো বুড়ো দিচ্ছে।”

“বুড়োটা গেল কোথায়?” বুড়ো বুড়ো বলে চিৎকার করে মহিলা সাংঘাতিক শোরগোল তুলে দিলেন। তাড়াতাড়ি নামতে গিয়ে কাপড়ে পা জড়িয়ে আর একটু হলে পড়েই যাচ্ছিলেন। বিষম লাগলে ষাট ষাট বলে। বড়মামা এখানেও ষাট ষাট বলে উঠলেন।

দোতলার ঘেরা বারান্দায় বিয়ের আসর হয়েছে। সাধুমশাইয়ের মেয়ে লাল বেনারসি পরে জড়ভরতের মতো বসে আছে। এত চন্দন পরেছে মুখ চেনাই শক্ত। যাঁর সঙ্গে বিয়ে হবে, তিনিও বসে আছেন খোলা গায়ে। বেশ চেহারা। চারপাশে তাকাচ্ছেন আর মুচকি মুচকি হাসছেন। চারপাশে মেয়েদের ভিড়। ঠ্যালাঠেলি, গুঁতোগুঁতি। এ বলছে, দেখি দেখি, সরো সরো। ও বলছে, দেখি দেখি, সরো সরো। কেউ দেখছেও না, সরছেও না।

সাধুমশাই দূরে দাঁড়িয়ে হাঁকলেন, “তোমরা সরে দাঁড়াও। ডাক্তারবাবু এসেছেন।”

বড়মামা একটু ইতস্তত করে শাড়ির বাক্স নিয়ে ভেতরে গেলেন। ঠেলেঠুলে কোনওরকমে। মেয়েকে যেই বললেন, ‘দেখি রে’, সে অমনি ডানহাতটা ওপর দিকে তুলে ধরল। বড়মামা যেন নাড়ি দেখতে চেয়েছেন। বড়মামারও যেমন অভ্যাস। বগলে শাড়ির প্যাকেট, নাড়ি টিপে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। সাধুমশাই চিৎকার করে বললেন, “ডাক্তারবাবু, ও আজ রুগি নয়, বিয়ের কনে।” সবাই হো-হো করে হেসে উঠলেন।

শাড়ি দিয়ে, মেয়ের মাথায় হাত রেখে বিড়বিড় করে আশীর্বাদ করে বড়মামা বেরিয়ে এলেন আসর ছেড়ে। যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন। জুতোজোড়া ছেড়ে ঢুকেছিলেন। নীচের দিকে না তাকিয়েই জুতো পরে নিলেন। এক বৃদ্ধ ভদ্রলোকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে সাধুমশাই বললেন, “ডাক্তারবাবু, আমার বেয়াই। বেয়াইমশাই, ইনি আমার মেয়েকে বাঁচিয়েছিলেন বলেই আজ আপনার পুত্রবধূ।”

খুব গম্ভীর গলায় বেয়াইমশাই বললেন, “আপনার মেয়ের দুরারোগ্য অসুখ হয়েছিল, সে কথা আগে বলেননি কেন? চেপে রাখাটা খুব অন্যায় হয়েছে, বিশ্বাসভঙ্গের কাজ করেছেন।”

“না না, দুরারোগ্য অসুখ কেন হবে? সেফটিপিন গিলে ফেলেছিল।”

“সে কী মশাই? মুখ খোলা ছিল না বন্ধ ছিল?”

“মনে হয় বন্ধই ছিল।”

“হঠাৎ যদি খুলে যায়?”

বড়মামা বললেন, “কী যে বলেন মশাই! সে তো সাত বছর বয়েসের ব্যাপার। এখন বয়েস হল সতেরো। খোলার হলে এতদিনে খুলে যেত।”

“আপনার কথায় বিশ্বাস কী? আপনি হলেন মেয়ের তরফের ডাক্তার। ওদের দিকে টেনে কথা বলবেন।”

বড়মামা রাগের গলায় বললেন, “তা হলে কী করতে চান? পেট চিরে দেখতে চান?”

“সে তো আর সম্ভব নয়। বেয়াইমশাই নগদ পাঁচটি হাজার খামে ভরে আমার হাতে দিন। যদি কিছু হয়, ওই টাকায় চিকিৎসা হবে।”

সাধুমশাই করুণ মুখে বললেন, “কী আশ্চর্য! কী আশ্চর্য!”

বড়মামা বললেন, “আপনার ওই দশাই হওয়া উচিত। বুদ্ধির দোষে হা-ভাত, বুদ্ধির গুণেই খা-ভাত”।

খুব খাওয়া হল। এমন খাওয়া যে নড়তে পারা যায় না। পেট ফুলে কুমড়োপটাশ। বড়মামা বললেন, “বেশি জোরে হাঁটিসনি। পেটে যাঁরা ঢুকেছেন, তাঁরা ভয় পেয়ে যাবেন। বেশ ধীরে ধীরে হাঁট। আমি একটা ইংরিজি বইয়ে পড়েছিলুম, এমন খাবে যেন গান গাইতে ইচ্ছে করে। নে, একটা গান ধর। আয় কোরাসে গাই, ‘জনম মরণ জীবনের দুটি দ্বার’।”

গান গাইতে গাইতে আমরা বাড়ি চলে এলুম। বড়মামা বললেন, “এখুনি যেন দুম করে শুয়ে পোড়ো না। হজমের গোলমাল হবে। গুনে গুনে চোদ্দোবার একতলা থেকে তিনতলা, তিনতলা থেকে একতলা করতে হবে। নে, স্টার্ট।”

মেজমামা ইজিচেয়ারে শুয়ে ছিলেন। বললেন, “ভাগ্যিস, ডাক্তারের ভাগনে হইনি।”

বড়মামা বললেন, “তা হলে ভালমন্দ খেতে পেতে। কাঁচকলার ঝোলভাত খেয়ে পড়ে পড়ে তোমার ওই তৈলাধার পাত্র, কি পাত্ৰাধার তৈল করতে হত না।”

কথা কাটাকাটি খুব বেশি দূর এগোল না। মেজমামা মনে হয় পড়ায় মশগুল।

ভোর না হতেই বড়মামার ছ’টা কুকুর একসঙ্গে ছ’রকম সুরে চেল্লাতে লাগল। সবচেয়ে বড়টা দু’কদম ঘেউ ঘেউ করে এগোতে থাকে, আবার তিন কদম পেছিয়ে আসে। লেবুর জল খেতে খেতে বড়মামা বললেন, “উঃ, সাতসকালেও শান্তি নেই।”

খুব করুণ সুরে কে ডাকছে, “ডাক্তারবাবু, ডাক্তারবাবু।”

দরজার সামনে নগেন সাধু। ওই চেহারা, চোখ জবাফুলের মতো লাল। কুকুরের আর দোষ কী? ভেবেছে রঘু ডাকাত এসেছে।

বড়মামা বললেন, “কী ব্যাপার? খেয়ে কাত?”

“আজ্ঞে না, জুতোজোড়া একবার দেখাবেন?”

বড়মামা অবাক। “তার মানে?”

“আজ্ঞে, কাল যে জুতোজোড়া পায়ে দিয়ে খেতে গিয়েছিলেন, সেই জোড়াটি দয়া করে দেখাবেন?”

“কেন মশাই, আমি কি জুতোচোর? আশ্চর্য আপনার সাহস! সাতসকালে ছুটে এসেছেন জুতোচোর ভেবে।”

সাধুমশাই হাতজোড় করে বললেন, “অপরাধ নেবেন না। এই আমার শেষ বাড়ি। এ-পাড়ার শতখানেক নিমন্ত্রিতের বাড়ি ঘুরতে ঘুরতে আসছি। বড় বিপদে পড়েছি ডাক্তারবাবু।”

“আপনি কি পুরনো জুতোর ব্যাবসা করছেন?”

“আজ্ঞে না, আপনি শুধু দেখুন, আপনার দু’পাটির রং একই আছে কিনা?”

বড়মামা আমাকে বললেন, “নিউকাট জোড়াটা নিয়ে এসো তো। কী বলতে চাইছেন কে জানে।”

জুতোজোড়া সামনে নামাতেই সাধুমশাই হাতে স্বর্গ পেলেন, “আঃ ডাক্তারবাবু, আপনি আমাকে আর একবার বাঁচালেন। এই দেখুন দু’পাটির দু’রকম রং। একপাটি কালো, একপাটি বাদামি। নোলে?”

সঙ্গের ছেলেটি বললে, “কী মামা?”

‘নাও, কালোপাটিটা নিয়ে গিয়ে জামাই বাবাজীবনকে দাও, আর ডাক্তারবাবুর বাদামি পাটিটা নিয়ে এসো। আমি একটু বসে নি। আর পারছি না।”

সাধুমশাই রকে ধপাস করে বসে পড়ে বললেন, “না পেলে আমাকে কলকাতা ছুটতে হত। দশটার আগে দোকান খোলে না। এদিকে সাড়ে আটটায় যাত্রালগ্ন। আপনি ভগবান ডাক্তারবাবু। রুগিকেও বাঁচান আবার মেয়ের বাপকেও বাঁচান।”

বড়মামা বিরাট এক চিৎকার ছাড়লেন, “কুসি, শিগগির চা চাপা। আর মাত্র আধঘণ্টা সময় আছে। লগ্ন বয়ে যায়।”

সাধুমশাই চায়ে চুমুক মেরে বললেন, “জামাই বাবাজীবনের সাত নম্বর পা, আপনারও সাত নম্বর।”

বড়মামা বললেন, “আরে না, না। আমার ছয়। আমি ফেরার পথে ভাবছি, মানুষের বাঁ পা ছোট হয়, আমারটা এত ছোট হয়ে গেল কী করে? ফসফস করে জুতো বেরিয়ে যাচ্ছে। আসার সময়েও তো ঠিক মাপে ছিল!”

হো-হো, দু’জনের হাসি। ছ’টা কুকুরের আবার সমবেত চিৎকার।

১০ মার্চ ১৯৮২

সকল অধ্যায়

১. বিষে বিষক্ষয় – আশাপূর্ণা দেবী
২. আটচল্লিশ – অরবিন্দ গুহ
৩. ডোডো তাতাই পালা কাহিনি – তারাপদ রায়
৪. কৈলাসে চা পান – আশাপূর্ণা দেবী
৫. চোরে ডাকাতে – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৬. সাধু কালাচাঁদের নতুন কাজ – শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়
৭. ইলশেঘাই – লীলা মজুমদার
৮. শরচ্চন্দ্রের সন্ধিভেদ! – শিবরাম চক্রবর্তী
৯. ঝুনুমাসির বিড়াল – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১০. বিধু দারোগা – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
১১. সাধু কালাচাঁদের পালাকীর্তন – শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়
১২. কে ফার্স্ট? – আশাপূর্ণা দেবী
১৩. ফ্ল্যাট রেস – জরাসন্ধ
১৪. চিত্তশুদ্ধি আশ্রম – বিমল কর
১৫. টেনাগড়ে টেনশান – বুদ্ধদেব গুহ
১৬. হাতি-চোর – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১৭. ছোটমাসির মেয়েরা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১৮. মোটরবাইক, ষাঁড় ও লাকি – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
১৯. ব্যাঙাচিদের লেজ – তারাপদ রায়
২০. বাজারদর – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২১. তেঁতুলমামার জগৎ – হিমানীশ গোস্বামী
২২. রাজার মন ভাল নেই – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২৩. গজেনকাকার মাছ-ধরা – বিমল কর
২৪. দাদুর ইঁদুর – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
২৫. সাত নম্বর – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
২৬. মেজদার সার্কাস – চিত্তরঞ্জন সেনগুপ্ত
২৭. চোর – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২৮. কুস্তির প্যাঁচ – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২৯. দুঃখহরা বড়ির শিশি – লীলা মজুমদার
৩০. পিলকিন’স ইলেভেন – বিমল কর
৩১. রাত যখন বারোটা – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৩২. ভুনিকাকার চৌরশতম – বিমল কর
৩৩. গ্রামের নাম জাঁকপুর – আশাপূর্ণা দেবী
৩৪. নিখোঁজ নিরুদ্দেশ হতে গেলে – আশাপূর্ণা দেবী
৩৫. বাঘের দুধ – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৩৬. গগনবাবুর গাড়ি – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৩৭. গাবু – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৩৮. কুরুক্ষেত্র – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৩৯. কাক্কাবোক্কার ভুতুড়ে কাণ্ড – শৈলেন ঘোষ
৪০. হরিমতির বাগান – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৪১. বড়দার বেড়াল – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
৪২. মহাকর্ম – সমরেশ মজুমদার
৪৩. পায়রাডাঙায় রাতে – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৪৪. মামার বিশ্বকাপ দর্শন – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৪৫. গটমটে সাহেব বটে – শৈলেন ঘোষ
৪৬. রাঘব বোয়াল – ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়
৪৭. স্কন্ধকুমার এবং অর্ধচন্দ্র – তারাপদ রায়
৪৮. পাগল হইবার সহজপাঠ – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৪৯. বিপিনবিহারীর বিপদ – সুচিত্রা ভট্টাচার্য
৫০. সাদা রঙের পাঞ্জাবি – অনির্বাণ বসু
৫১. জগু যাবে বেড়াতে – বাণী বসু
৫২. কুঞ্জবাবুর পিঁপড়ে বাতিক – অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায়
৫৩. ভুলে যাওয়া – সিদ্ধার্থ ঘোষ
৫৪. ঝগড়ুটে ফাইভ – প্রচেত গুপ্ত
৫৫. বিপদভঞ্জনের সর্পদোষ – উল্লাস মল্লিক
৫৬. মাসির বাড়ি – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৫৭. জাগ্রত অসুরের গল্প – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৫৮. কাকাতুয়া ডট কম – প্রচেত গুপ্ত
৫৯. নতুন নাটকও ভন্ডুল – উল্লাস মল্লিক
৬০. রামখেলাওনের কেরামতি – সৌরভ মুখোপাধ্যায়
৬১. কলহগড়ের নিস্তব্ধতা – সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়
৬২. পটলার থিমপুজো – শক্তিপদ রাজগুরু
৬৩. সংকটমোচন কমিটি – প্রচেত গুপ্ত
৬৪. নতুন বন্ধু চিনু – জয়দীপ চক্রবর্তী
৬৫. বুঁচকির মেয়ের বিয়ে – নবনীতা দত্ত

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন