বুঁচকির মেয়ের বিয়ে – নবনীতা দত্ত

পৌলোমী সেনগুপ্ত

আজ সকাল থেকেই বুঁচকির মুড অফ। ক’দিনের মধ্যেই শীলার বিয়ে হয়ে যাবে। মেয়েদের বিয়ে হলে সব মায়েদেরই নাকি খুব কষ্ট হয়। তাই বুঁচকিও নিজেকে তৈরি করছে। রোজ সকালে উঠেই খানিকক্ষণ ব্যাজার মুখে বসে থাকে সে, চোখ টিপে টিপে কয়েক ফোঁটা জল জড়ো করে চোখের কোণে। তারপর খানিকক্ষণ মনে মনে হা-হুতাশ করে উঠে পড়ে। মনখারাপ করে বসে থাকলেই তো আর চলবে না। আজ শুক্রবার, আর দু’দিন পরেই শীলার বিয়ে। কত গোছগাছ বাকি। গা ঝাড়া দিয়ে উঠল বুঁচকি। গোছগাছ শুরু করতে হবে। ছোট মেয়ে লীলাকেও কিছু দায়িত্ব দিতে হবে। দিদির বিয়ে বলে কথা! সে কি শুধু সেজেগুজে ঘুরে বেড়াবে? কিছু কাজ তো তাকেও করতে হবে।

কিন্তু লীলা কোথায়?

সকাল থেকেই লীলাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। খাটের চারপাশ, আলমারি, ড্রয়ার, সব খুঁজে, শেষে জলের ট্যাঙ্ক আর তার পাশের নারকেল গাছের মাঝখান থেকে পাওয়া গেল লীলার মুন্ডুটা। আর বডিটা পাওয়া গেল নারকেল গাছের গোড়ায়।

“উফ! এই মেয়েটাকে নিয়ে আর পারি না! আমার হাড়মাস জ্বালিয়ে খেল। এখানে এসে বসে রয়েছে?” মুন্ডুটাকে লীলার বডির উপর চেপে সেট করে দিল বুঁচকি।

এই তো কয়েক মাস আগে পুজোর সময় বুঁচকির বড়মামা বিদেশ থেকে এই পুতুলটা, থুড়ি বুঁচকির মেয়েটাকে এনে দিয়েছেন। কিন্তু পুতুল বলা চলবে না। তা হলে বুঁচকি ভীষণ রেগে যাবে। পুতুল বলে কি সে মেয়ে নয়? ওর মেয়ে খায়, ঘুমোয়, স্নান করে, বাজার করে, নাচ করে। পুতুল হলে পারত এসব করতে?

যাই হোক, লীলাকে খুঁজে পেয়ে বুঁচকি প্রথমে চোখ বড় বড় করে তাকে বকল, দু’গালে দুটো চড় কষাল, তারপর সোনা-মানা বলে খুব আদর করল। বুঁচকি লীলাকে বোঝাল, “দ্যাখো, তুমি তো বড় হচ্ছ। আজ বাদে কাল দিদির বিয়ে, তোমাকে একটু কাজ করতে হবে কিন্তু। লোকজন এলে বসতে দেবে, খেতে দেবে… এই আর কী!”

লীলাও বড় বড় চোখে নিষ্পলক দৃষ্টিতে মায়ের সব কথা শুনল। মেয়েদের নিয়ে বুঁচকি বেশ ছড়িয়ে বসেছে। ওদিকে বুঁচকির মা, “সকাল থেকে মেয়েটা যে কোথায় গিয়ে বসে আছে, ন’টা বাজতে চলল। এবার ওর স্কুলের তো দেরি হবেই, সঙ্গে আমার অফিসটাও আজ ঝুলবে। হে ভগবান! আমার কপালে কি একটুও শান্তি নেই? কী গো শুনছ, মেয়েটা কোথায় একটু দ্যাখো না।”

বুঁচকির বাবা লম্বা একটা হাই তুলে বললেন, “আমি অফিসের পেপার্স গোছাচ্ছি, টুম্পাকে বলো না!”

“দূর। তোমরা কেউ কিছু করবে না, সব আমাকেই করতে হবে।” বলে কুঁচকির মা-ই খোঁজাখুঁজি শুরু করলেন।

ওদিকে বুঁচকি তো কাজল, লিপস্টিক নিয়ে দু’দিন আগে থেকেই শীলাকে সাজাতে শুরু করেছে। কিন্তু কেমন একটা দম দম করে আওয়াজ হচ্ছে যেন। ভূমিকম্প হচ্ছে না কি? ডাইনোসর আসছে না তো? পিছন ফিরে তাকাতেই “ওরে বাবা রে। ডাইনোসর না, তার চেয়েও ভয়ানক। মা আসছেন, হাতে খুন্তি। প্যান্ডেলের রাগী দুর্গাঠাকুরের মতো দেখতে লাগছে। আজ আমি গিয়েছি রে! মেয়েদের সামনে মা আবার মারবেন। ওরা আর আমাকে মানবে?”

ঝপাং করে জলের ট্যাঙ্কের উপর থেকে এক লাফ দিয়ে নীচে নামল বুঁচকি। কিন্তু মাও ততক্ষণে এসে ওর কানটা টেনে ধরেছেন, “শয়তান মেয়ে, আমার হাড়মাস জ্বালিয়ে খেলে। তোমায় দেখাচ্ছি মজা। চলো ভিতরে, আজ তোমারই একদিন কী আমার একদিন।”

বুঁচকির কান ধরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে চললেন মা। ওদিকে বুঁচকির হাতে শীলাও চলল পা দুটো মাটিতে ঘষতে ঘষতে। জলের ট্যাঙ্কের উপর উঁকি মেরে পড়ে থাকল লীলা।

কিন্তু লীলার মা বুঁচকি কাল আবার ভুলে যাবে। ওকে খুঁজে পেয়ে আবার মারবে, আর ‘শয়তান মেয়ে’ বলবে।

পাশের বাড়ির মিঠির মা বুঁচকির অবস্থা দেখে জানলা দিয়ে ঝুঁকে পড়লেন, “আহা রে ওরম কইরা মারতাসত ক্যান? এতটুকু বাচ্চারে এমতে কেউ মারে? ছাইরা দাও।” পাশে দাঁড়িয়ে মিঠি ফিকফিক করে হাসছে, “আজ বুঁচকি আবার মার খেয়েছে, হে। হে, হি হি, হা হা।”

বুঁচকির মাথায় আগুন জ্বলছে। ইচ্ছে করছে ছুটে গিয়ে মিঠিকে একটা চড় মারে। যদি পরশু মিঠির ছেলের সঙ্গে বুঁচকির মেয়ের বিয়ে না হত, তা হলে আজ মিঠির একদিন কী বুঁচকির একদিন হত।

যাই হোক, বুঁচকি সেদিন কানমলা ছাড়া আর মাত্র তিনটে থাপ্পড় খেয়েছে। আজ মা একটু কম মেরেছেন। ক’দিন পরেই তো নাতনির বিয়ে। তাই হয়তো একটু দয়া করলেন।

শুক্রবারটা কোনওমতে কেটে গেল। শনিবার অনেক বায়না, কান্নাকাটি করে, দাদুকে দিয়ে বলিয়ে বুঁচকি মায়ের কাছে স্কুলের ছুটি পেল। সকাল থেকেই বুঁচকি প্ল্যান করে নিল সারাদিন কী কী করবে। সারা দুপুর ঠাকুরমার সঙ্গে ছাদনাতলা সাজাল, দেশলাই বাক্স আর ভেলভেট পেপার দিয়ে যজ্ঞের জায়গা সাজাল। কিন্তু শুধু ঘর সাজালেই তো হবে না, কেনাকাটা করতে হবে যে! মেয়ের বিয়ে বলে কথা। দাদুর সঙ্গে বাজারে গিয়ে ছোট্ট খাট, আলমারি, চেয়ার-টেবিল কিনে আনল বুঁচকি। এবার শুধু নেমন্তন্ন বাকি। বিকেলবেলা খেলার পর সক্কলকে রবিবার সন্ধেবেলার নেমন্তন্নটাও সেরে ফেলল।

পরের দিন সন্ধেবেলা শুরু হল বিয়ে। একে একে সকলে আসতে লাগল বুঁচকিদের বাড়িতে। মিঠি ঢুকল ছেলে কোলে নিয়ে। বুঁচকি দৌড়ে গিয়ে ওর ছেলেকে নিজের কোলে নিয়ে শীলার পাশে এনে বসাল। বুঁচকির মা ছোট ছোট লুচি ভেজে আর আলুর চচ্চড়ি থালায় করে সাজিয়ে দিয়ে গেলেন বুঁচকির নতুন কেনা চেয়ার-টেবিলে। বুঁচকি আর ওর বন্ধুদের জন্য পেস্ট্রি, পিৎজা আনিয়েছেন। সেগুলোও সাজিয়ে এনে রেখে দিলেন শীলার বিয়ের ছাদনাতলার পাশে।

বিয়ে ছেড়ে সকলে খাবারে মন দিল। কিন্তু খাবার যা আনা হয়েছে, তাতে যে কুলোচ্ছে না! লোক শুধু এসেই যাচ্ছে। বুঁচকির বন্ধুরাই নয়, তাদের মা-বাবাও আসছেন। বুঁচকি যে সারা পাড়া ফুল ফ্যামিলি নেমন্তন্ন করে এসেছে। সন্ধে হতেই বাড়ি ভরে গেল। ওদিকে বুঁচকির মায়ের তো মাথায় হাত। মেয়ের হাতটা শক্ত করে ধরে ঘরের কোণে টেনে নিয়ে গেলেন, “এত লোককে বলে এসেছিস, আমাকে বলিসনি কেন?”

বুঁচকি জুলজুল চোখে ওর মায়ের দিকে তাকিয়ে মিনমিনে গলায় বলল, “তুমিই তো বলেছিলে বিয়েতে শ’খানেক লোক আসে। আমি তো শুধু পাড়ার বন্ধুদের বলেছি আর স্কুলে তিনজন ছাড়া কাউকে নেমন্তন্ন করিনি।

“কী শয়তান মেয়ে! তুই আমার পেটেই হয়েছিলি?”

গটমট করতে করতে বুঁচকির মা রান্নাঘরে চলে গেলেন।

বুঁচকি এসে আবার বিয়ের জায়গায় বাবু হয়ে শীলাকে কোলে নিয়ে বসে পড়ল। রাগ হচ্ছে শুধু ছোট মেয়ে লীলার উপর। সন্ধেবেলা থেকে এত লোক আসছে বাড়িতে, কাউকে খেতে দেওয়া তো দূরের কথা, বসতেও বলছে না সে। নতুন কেনা বিয়ের খাটের উপর সেজেগুজে শুয়ে আছে। বুঁচকি লীলাকে খাট থেকে হিঁচড়ে টেনে নামিয়ে ঘরের কোণে নিয়ে গেল, “শয়তান মেয়ে, তুই আমার মেয়েই তো? তোকে এত করে শিখিয়ে দিলাম, আজ কী করতে হবে, আর তুই কিনা সেজেগুজে শুয়ে আছিস!” বলে ঠাসঠাস করে দুটো চড় কষাল লীলার গালে।

যাই হোক, অনেক অশান্তির পর সকলের পেট বুঁচকি শীলাকে কোলে নিয়ে বসে রয়েছে। ওদের ঘিরে বন্ধুরা বসে। সকলেই আজ তাদের মেয়েদের বেশ নতুন নতুন জামা পরিয়ে, সাজিয়েগুজিয়ে নিয়ে এসেছে। সকলেরই খুব উৎসাহ। এর আগে এমন ঘটা করে কেউ মেয়ের বিয়ে দেয়নি যে! সকলে চোখ গোল্লা গোল্লা করে ছাদনাতলার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। মিঠি, বুঁচকি ছেলেমেয়েকে পাশাপাশি দাঁড় করাল। যজ্ঞের পাশে সাতপাক ঘোরানো হবে। কিন্তু যজ্ঞের চারপাশে শীলা আর শীলার বরকে ঘোরানো নিয়েই শুরু হল ঝামেলা। মিঠি বলে, তার ছেলে আগে যাবে। বুঁচকিও ছাড়ার পাত্রী নয়, তার মেয়ে কম কীসে, সে-ই আগে যাবে।

মিঠি বলল, “বোকা কোথাকার? তুই এটুকুও জানিস না যে, ছেলেরা আগে যায়?”

বুঁচকি তেড়েফুঁড়ে উঠল, “বোকা বললি কাকে? তোর ছেলে বোকা, আমার মেয়েই আগে যাবে। তোর ছেলের চেয়ে আমার মেয়ে লম্বা, ও-ই আগে যাবে।”

“তোর মেয়ে শুধু লম্বা না রে, তোর মেয়ে মোটা, থ্যাবড়া, আমার ছেলে বলে বিয়ে দিচ্ছি। অন্য কেউ হলে বিয়ে দিত না তোর মেয়ের সঙ্গে।”

“মিঠি, মেরে তোকে লাল করে দেব কিন্তু।”

“আমি ছেলে নিয়ে চলে যাব। তোর মেয়েরই বিয়ে হবে না। পাড়ায় আর কারও ছেলে-পুতুলও নেই। তখন তোর মেয়ে কাঁদবে।”

বুঁচকি খানিক ভাবল, চারপাশটা একটু চোখ বুলিয়ে নিল। তাই তো, সকলেই মেয়ে নিয়ে এসেছে, কারও কোলে একটাও ছেলে নেই। তারপর খানিক ভেবে সে বলল, “আচ্ছা! ঠিক আছে, তোর ছেলে আগে থেকে চারবার ঘুরবে, তারপর আমার মেয়ে আগে গিয়ে চারবার ঘুরবে।”

তারপর অনেক দরকষাকষি করে শেষ পর্যন্ত দু’জনে মিলে সাত সাত মোট চোদ্দোবার ছেলেমেয়েদের ঘুরিয়ে বিয়ে শেষ করল।

সিঁদুর পরানো হবে কি না তাই নিয়ে অবশ্য অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু তার তো আর সুযোগ নেই। মেয়ে সাজানোর সময়ই বুঁচকি লিপস্টিক দিয়ে লম্বা সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছে শীলার কপাল জুড়ে। বিয়ে শেষ হতেই সকলে হাততালি দিয়ে উঠল। তারপর আস্তে আস্তে সকলেই মা-বাবার সঙ্গে ‘বাই-বাই’ করে বাড়ি চলে গেল।

কিন্তু আসল ঝামেলা শুরু হল সকলে চলে যাওয়ার পর। বুঁচকি আর মিঠি দু’জনেরই ছেলেমেয়ের বিয়ে। তাই তারা খুব সুন্দর করে গিফটগুলো সমান ভাগে ভাগ করে নিতে লাগল। কিন্তু যত গিফট খোলা হয়, মিঠি কুঁচকির হাতের খেলনা নিয়ে টানে, আর বুঁচকি মিঠির খেলনা নিয়ে সোজা চালান করতে থাকে সোফার নীচে। খানিকক্ষণ এরকম চলার পর হঠাৎ মিঠি খেপে উঠল। সব গিফট, খাট, আলমারি, ছেলে, শীলা, সবকিছু নিয়ে নিজের ব্যাগে ভরতে শুরু করল।

বুঁচকি ‘মিঠি-ই-ই-ই-ই’ বলে হুংকার ছাড়ল, “ওগুলো পলিথিনে ভরছিস কেন?”

“কেন? আবার কী? দেখিস না, বিয়ের পর ছেলেরা বউ আর সব নিয়ে চলে যায়। ছেলে যখন আমার, তা হলে এইসব কিছু আমার।”

“মিঠি, ওগুলো সব ব্যাগ থেকে বের কর, সমান সমান ভাগ হবে। তোর ছেলে তো আর একা বিয়ে করেনি, আমার মেয়েও বিয়ে করেছে।”

“তাতে কী হয়েছে? এগুলো সব আমার ছেলেই পাবে। আমিই সব নেব।”

কথা শেষ করতে পারল না মিঠি, বুঁচকি ঝাঁপিয়ে পড়ল ওর উপর। চুলের মুঠি টেনে ধরল, “ওটা আমার মেয়ে, খাট-আলমারিও ওর, ওগুলো শিগগির বের কর ব্যাগ থেকে।”

মিঠিও বুঁচকির কান টেনে ধরে বলল, “বিয়ে হয়ে গেলে সবই ছেলেরা নিয়ে যায়। তাই ওগুলো আমিই নিয়ে যাব।”

“শয়তান মেয়ে, বিয়ে শেষ হয়ে গিয়েছে, এবার তোর ছেলে নিয়ে তুই যা। আমার মেয়ের গায়ে একদম হাত দিবি না, বলে দিচ্ছি।” বলে ঠাস করে একটা চড় কষাল মিঠির গালে।

মিঠিও বুঁচকির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ওর গালে কামড় বসাল। বুঁচকি কায়দা করে হাতটা ঘুরিয়ে মিঠির পেটে একটা ঘুসি মারল।

ওদের থামাতে দাদু, ঠাকুরমা, মা ছুটে এলেন।

মিঠি তখন হাত-পা ছুড়ে চিলচিৎকার জুড়েছে। বুঁচকির মা বেগতিক দেখে বুঁচকির কান মলে দিলেন।

বুঁচকি মুখ ফুলিয়ে মিঠির ব্যাগটা বগলদাবা করে দাদুর ঘরের দিকে হাঁটা দিল। খানিক পরে কী মনে করে ফিরে এল। পলিথিন থেকে মিঠির ছেলেটাকে মিঠির দিকে ছুড়ে দিয়ে বলল, “নিয়ে যা তোর ছেলেকে। আমার মেয়ের বিয়ে দেব না আমি। ও আমার কাছেই থাকবে।”

ছেলেটা ছিটকে গিয়ে মিঠির পায়ের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ল। মিঠি আরও জোরে চিৎকার করে আছড়ে পড়ল ছেলের উপর। ছেলের পা ধরে টেনে তুলতে মুন্ডু ছাড়া দেহটা শুধু উঠে এল মিঠির হাতে। মিঠি এবার হাত-পা ছুড়ে কাঁদতে শুরু করল।

বুঁচকি ততক্ষণে ওখান থেকে হাওয়া। সোজা দাদুর ঘরে দাদু আর নিজের কোলে মিঠির ব্যাগটা জাপটে ধরল।

এদিকে বুঁচকির মা অনেক চেষ্টা করলেন মিঠির ছেলের মাথা জোড়া দেওয়ার। কিন্তু মিঠির ছেলের মাথা যে আর জোড়া লাগছে না। কী করা যায়?

অগত্যা বুঁচকির দুটো কুকুর আর বাঁদর পুতুল দিয়ে মিঠিকে বাড়ি পাঠানো হল।

কিন্তু সেদিকে বুঁচকির হুঁশ নেই। মেয়ের বিয়ে দিয়ে সে এখন ক্লান্ত। দাদুর বুকে চেয়ারের দুলুনিতে সে এখন ঘুমের দেশে। বুঁচকির হাতের ব্যাগে নতুন কেনা খাটের ফাঁকে আটকে একা সদ্যবিবাহিতা শীলা পলিথিনের আড়াল থেকে বড় বড় চোখে তাকিয়ে। আর ওদিকে ডাস্টবিন থেকে উঁকি মেরে চেয়ে আছে শীলার বরের মুন্ডু থেকে একজোড়া চোখ। বিয়ের সময় বুঁচকি-মিঠি যেটা ভুলে গিয়েছিল, সেটাও হয়ে গেল।

শুভদৃষ্টি!

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১

অধ্যায় ৬৫ / ৬৫

সকল অধ্যায়

১. বিষে বিষক্ষয় – আশাপূর্ণা দেবী
২. আটচল্লিশ – অরবিন্দ গুহ
৩. ডোডো তাতাই পালা কাহিনি – তারাপদ রায়
৪. কৈলাসে চা পান – আশাপূর্ণা দেবী
৫. চোরে ডাকাতে – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৬. সাধু কালাচাঁদের নতুন কাজ – শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়
৭. ইলশেঘাই – লীলা মজুমদার
৮. শরচ্চন্দ্রের সন্ধিভেদ! – শিবরাম চক্রবর্তী
৯. ঝুনুমাসির বিড়াল – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১০. বিধু দারোগা – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
১১. সাধু কালাচাঁদের পালাকীর্তন – শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়
১২. কে ফার্স্ট? – আশাপূর্ণা দেবী
১৩. ফ্ল্যাট রেস – জরাসন্ধ
১৪. চিত্তশুদ্ধি আশ্রম – বিমল কর
১৫. টেনাগড়ে টেনশান – বুদ্ধদেব গুহ
১৬. হাতি-চোর – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১৭. ছোটমাসির মেয়েরা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১৮. মোটরবাইক, ষাঁড় ও লাকি – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
১৯. ব্যাঙাচিদের লেজ – তারাপদ রায়
২০. বাজারদর – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২১. তেঁতুলমামার জগৎ – হিমানীশ গোস্বামী
২২. রাজার মন ভাল নেই – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২৩. গজেনকাকার মাছ-ধরা – বিমল কর
২৪. দাদুর ইঁদুর – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
২৫. সাত নম্বর – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
২৬. মেজদার সার্কাস – চিত্তরঞ্জন সেনগুপ্ত
২৭. চোর – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২৮. কুস্তির প্যাঁচ – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২৯. দুঃখহরা বড়ির শিশি – লীলা মজুমদার
৩০. পিলকিন’স ইলেভেন – বিমল কর
৩১. রাত যখন বারোটা – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৩২. ভুনিকাকার চৌরশতম – বিমল কর
৩৩. গ্রামের নাম জাঁকপুর – আশাপূর্ণা দেবী
৩৪. নিখোঁজ নিরুদ্দেশ হতে গেলে – আশাপূর্ণা দেবী
৩৫. বাঘের দুধ – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৩৬. গগনবাবুর গাড়ি – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৩৭. গাবু – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৩৮. কুরুক্ষেত্র – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৩৯. কাক্কাবোক্কার ভুতুড়ে কাণ্ড – শৈলেন ঘোষ
৪০. হরিমতির বাগান – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৪১. বড়দার বেড়াল – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
৪২. মহাকর্ম – সমরেশ মজুমদার
৪৩. পায়রাডাঙায় রাতে – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৪৪. মামার বিশ্বকাপ দর্শন – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৪৫. গটমটে সাহেব বটে – শৈলেন ঘোষ
৪৬. রাঘব বোয়াল – ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়
৪৭. স্কন্ধকুমার এবং অর্ধচন্দ্র – তারাপদ রায়
৪৮. পাগল হইবার সহজপাঠ – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৪৯. বিপিনবিহারীর বিপদ – সুচিত্রা ভট্টাচার্য
৫০. সাদা রঙের পাঞ্জাবি – অনির্বাণ বসু
৫১. জগু যাবে বেড়াতে – বাণী বসু
৫২. কুঞ্জবাবুর পিঁপড়ে বাতিক – অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায়
৫৩. ভুলে যাওয়া – সিদ্ধার্থ ঘোষ
৫৪. ঝগড়ুটে ফাইভ – প্রচেত গুপ্ত
৫৫. বিপদভঞ্জনের সর্পদোষ – উল্লাস মল্লিক
৫৬. মাসির বাড়ি – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৫৭. জাগ্রত অসুরের গল্প – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৫৮. কাকাতুয়া ডট কম – প্রচেত গুপ্ত
৫৯. নতুন নাটকও ভন্ডুল – উল্লাস মল্লিক
৬০. রামখেলাওনের কেরামতি – সৌরভ মুখোপাধ্যায়
৬১. কলহগড়ের নিস্তব্ধতা – সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়
৬২. পটলার থিমপুজো – শক্তিপদ রাজগুরু
৬৩. সংকটমোচন কমিটি – প্রচেত গুপ্ত
৬৪. নতুন বন্ধু চিনু – জয়দীপ চক্রবর্তী
৬৫. বুঁচকির মেয়ের বিয়ে – নবনীতা দত্ত

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন