দুঃখহরা বড়ির শিশি – লীলা মজুমদার

পৌলোমী সেনগুপ্ত

জঞ্জালিরা বড় খালের ধারে মাঝিপাড়ায় থাকে। বর্ষায় খালের জল বাড়লে মাঝিরা কিছুপায় না, কিন্তু শুকনো সময়েও যখন সাগর থেকে জোয়ার আসে দিনে রাতে দু’বার করে, তখন সেই নোনা জলের সঙ্গে ছোট ছোট চিংড়ি কাঁকড়া আর পঞ্চাশরকম মাছ হুড়মুড় করে খালে ঢুকে পড়ে। মাঝিরা আগের থেকেই জাল পেতে রাখে, তাতে মেলা মাছ পড়ে। তা ছাড়া ওদের তলা-চ্যাপটা নৌকো খড়, কয়লা, বালি বোঝাই হয়ে জোয়ারের সময়ে উজানে যায়, ভাটার সময়ে নামে। খুব একটা দুঃখে-কষ্টে ওদের দিন কাটে না।

তবে জঞ্জালির কথা আলাদা। সে-ও বড় খালের ঘাটের ওপর সুধনকুমোরের বাড়িতে থাকে। তাদের অন্য পাশে একটা বাঁশের সাঁকো আছে, খুব উঁচু। তার তলা দিয়ে নৌকো চলাচল করে। সাঁকো এপার-ওপার করতে পায়ে-হাঁটা লোকদের একটা করে পয়সা দিতে হয়। পারানি আদায় করতে দু’দিকে দুই চালাঘরে জঞ্জালির দুই খুড়ো বসে থাকে। আসল খুড়ো নয় অবিশ্যি, পাতানো খুড়ো। সুধনকুমোরকে জঞ্জালি জ্যাঠা বলে ডাকে। ঘাটের ওপর বটতলায় চাটাই পেতে সুধনের হাতে তৈরি চমৎকার সব রঙিন হাঁড়ি সরা নিয়ে কত সময় জঞ্জালি বসে থাকে। যারা পুল পার হয়, কিংবা যাদের নৌকো ঘাটে লাগে, তারা কত সময় দু’-এক পয়সা দিয়ে অমন সুন্দর জিনিস কিনে নিয়ে যায়। সুধন বলে, “সরু পা-টা ছড়িয়ে বসে থাক রে মা, লোকের দেখে দুঃখু হবে, জিনিস কিনবে।”

রেগে যায় জঞ্জালি। “কিনতে হয় এমনি কিনবে। আমরা কি ভিকিরি!” সত্যিকার কেউ নয় সুধনজ্যাঠা। রিকশ চাপা-পড়া বেদেদের মেয়ের আবার সত্যিকার কেউ থাকে নাকি? তায় আবার বাঁ পা-টাকে টেনে বেড়ায়, জোর পায় না। ওদিকে দৌড়ঝাঁপ খেলার বড় শখ। কুমির-কুমির খেলাতেও অন্যরা ওকে বুড়ি সাজায়। ছুটতে পারে না। কিন্তু দু’ হাতে ঝুলে, ডান পায়ে ভর দিয়ে তরতর করে বটগাছের মগডালে চড়ে, তারপর এক লাফে কিপটে গাঙ্গুলির হিমসাগরের ডালে। যেমন-তেমন মেয়ে নয় জঞ্জালি৷ সুধনের মা ওকে খেতে দেয়, নিজের ঘরে শুতে দেয়। দিনে দিনে বুড়ির দৃষ্টি কমে যাচ্ছে, আজকাল জঞ্জালিই ওদের রাঁধাবাড়া করে। ওর রান্নার হাতটি বড় মিষ্টি। কোথায় পেল কে জানে।

চাপা পড়েছিল বড় রাস্তায়। বেদের দল অমনি সটকে পড়েছিল। খোঁড়া জখম নিয়ে ওরা কী করবে? এমনিতেই পুলিশ-পেয়াদায় বড্ড ভয়। কখন কী জিজ্ঞেস করে বসবে তার ঠিক কী। ছোকরা-বাবুরা ওকে তুলে নিয়ে মুনসিপালের বড় হাসপাতালে দিয়ে এসেছিল। বুড়ো বেদেকেও জোরজার করে সঙ্গে নিয়েছিল। সে বললে, “বাপ-মায়ের নাম কী করে জানব? আঁস্তাকুড় থেকে দয়া করে তুলে এনেছিলাম। তাই ওর নাম জঞ্জালি।”

ভাঙা পাঁজর তিনটে জোড়া লাগল, কিন্তু ঠ্যাংটাতে আর জোর পেল না। হাসপাতালে আবার ক’দিন রাখা যায়? সেখানকার ভাঙা শিশি-বোতল কাপ-ডিশ প্রায় মিনি-মাগনা কিনে আনত পাঁশ-কুড়ুনির মা। সে-ই দয়া করে খোঁড়া মেয়েটাকে এনে সুধনের মায়ের কাছে জমা দিয়ে গেল। বলল, “ওরে সই, তোর এমনটিই দরকার। চোখে দেখিসনে, ও-ই উনুন ধরাবে, ঘর নিকোবে, শাক বাছবে, পাকা চুল তুলে দেবে। সাতকুলে কেউ নেই ওর, ন্যাংড়া মেয়ে—”

সুধনের মা বলল, “আর বলতে হবে না, দিদি, থাক আমার কাছে। এবার দুনিয়ার খপর বলো।”

শিশিবোতলওয়ালি এ-পাড়ায় সে-পাড়ায় এ-হাসপাতালে সে-রেল-ইস্টিশানে ভাঙা শিশিবোতল বাসনপত্রের সঙ্গে সারা বিশ্বের নাড়িনক্ষত্রের খবর মাঝিপাড়ার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিত। নইলে তারা জানবে কোত্থেকে সারা দিনমান খাটতে হয়। তারাও খুশি হয়ে তাকে এক ঘটি জল, একমুঠো ঘরে-করা মুড়ি-মুড়কি খাওয়ায়। বুড়ির গল্প শুনতে শুনতে তাদের চোখের সামনে থেকে ঝগড়াঝাঁটি নালা-নর্দমাসুদ্ধ মাঝিপাড়াটা উপে যেত। তার জায়গায় দেখা দিত ফলে ফুলে সবুজ ঘাসে ঢাকা অপূর্ব এক পাহাড়, যেখানে কারও কোনও দুঃখ-কষ্ট নেই। সেইখানে নাকি বুড়ির নিবাস।

জঞ্জালি রেগে বলল, “দুঃখ-কষ্ট নেই তো মাসি, তুমি কেন পায়ে হেঁটে আঁস্তাকুড় ঘেঁটে, লোকের ফেলে দেওয়া নোংরা শিশিবোতল তুলে বেড়াও, তোমারই বা আমার মতো বিশ্রী চেহারা কেন?”

শিশিবোতলওয়ালি মাসি শুনে অবাক হল, “ওমা! কী বলে! আমি যে ধন্বন্তরি কোবরেজের জাদু-শিশি খুঁজে বেড়াচ্ছি। তাতে সর্বদুঃখহরা দাওয়াইয়ের তলানিটুকুও নিশ্চয়ই রয়েছে। আনমনা হয়ে বুড়ো কখন কোথাকার কোন আঁস্তাকুড়ে ফেলে দিয়ে এসেছে। এ-কথা তার নাতির কাছে শুনেও খুঁজবনি?”

জঞ্জালি বলল, “তাতে খোঁড়া ঠ্যাং ভাল হয়? কালো মেয়ে সোঁদর হয়?”

শিশিবোতলওয়ালি মাসি বলল, “হয় রে হয়। এক ফোঁটা জিবে পড়তে না পড়তে সব অন্যরকম হয়ে যায়। নইলে বিশ বছর ধরে খুঁজছি কেন?”

সুধনের মা বিরক্ত হল, “কেন মিছে আশা দিস রে, সই? ভগবান যাকে মেরেছে, কেউ তাকে সারাতে পারে না। সে নিজে ছাড়া।” শিশিবোতলওয়ালি মাসি তার দুটো দাঁত বের করে হাসতে লাগল, “যা বলেছিস দিদি। তেনার জিনিস তিনিই মারেন। কেউ কিছু করতে পারে না। তবে হ্যাঁ, ধন্বন্তরির কথা আলাদা!”

এই অবধি বলা হয়েছে কি হয়নি। এমন সময় উঠি-পড়ি করে পাড়ার একপাল ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ছুটে এসে কেউ বলে, ‘বোমা পড়েছে। বোমা পড়েছে।’ কেউ বলে, ‘দাঙ্গা লেগেছে!’ আবার কেউ বলে, ‘সাঁড়াসাঁড়ির বান ডেকেছে! খালের ধারে বড়ই বিপদ। মোট কথা মোড়ল বলে পাঠিয়েছে, তোমরা যে যার সাধের জিনিসপত্র নিয়ে যেখানে পারো আশ্রয় নাও। আমরা এদিকে ঠেকাচ্ছি। সব মিটে গেলে খপর পাঠাব, তখন সবাই ফিরে এসো।’

গাবি আরও বলল, “সাহস দিতে বলেছে মোড়লজ্যাঠা। তিনশো বছর আগে যখন কলকেতা শহর ছিল না, তখনও এখানে মাঝিপাড়া ছিল। তিনশো বছর পরেও থাকবে।”

ইতিমধ্যে ব্যাটাছেলে যে-ক’জন ছিল, তারা দোকানের ঝাঁপ তুলে, লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে। ঘুঁটেকুড়ুনি মাসিও সব দেয়াল খালি করে ঘুঁটেগুলো খুলে নিয়ে, ঘুঁটের ধামায় পাহাড়ের মতো বোঝাই করে এসে হাজির! “ও মা ও কী রে! উনুন আঁকড়ে এখনও পড়ে আছিস? নড়াই দিবি নে? ওরে উনুন গেলে উনুন হবে, কিন্তু পেরান গেলে আবার পেরান পাবি কিনা সন্দ আছে। সোঁদরবনে নাকি কারা আগুন নাগিয়েছে, তাই বাঘরা সব ইদিকপানে পা বাড়িয়েছে।”

শিশিবোতলওয়ালি মাসি বলল, “তা যাবিটে কোথায়?” বুড়ি বলল, “যকপাহাড়ে ছাড়া আবার কোথায়? তিন হাজার বছর আগে মেলেচ্ছরা এসে মরা মানুষের খুলি দিয়ে ওই পাহাড় বেনিয়েছিল, তাই তার ত্রিসীমানায় বিপদ ঘেঁষতে পারে না। সেখানে আমগাছেতে নাকি বোল এয়েছে, কলার ঝাড়ে কলা পেকেছে, পাঁচশো বছরের পুরনো চালাঘর এখনও দেঁড়িয়ে আছে। এতটুকু টসকায়নি।”

শিশিবোতলয়ালি মাসি লাফিয়ে উঠল, “তবে ওই বন-পাহাড়ির স্বপ্নই তো আমি দেখি। ওইখানটিতে খোঁজা হয়নি। কোনও পাখিতে ওষুধের শিশি মুখে করে ওই পাহাড়চুড়োতেই ফেলেছে হয়তো।”

অমনি যে যার বাসনপত্র, ছেঁড়া কাপড় চাদর পুঁটলি বেঁধে পা বাড়িয়ে বলল, “তবে চলে চল, চলে চল।”

শিশিবোতলওয়ালি চটের থলিটে কাঁধে তুলতে ঝুনুনু-ঝনন্‌ করে বেজে উঠল। সুধনের মা বলল, “ও কী হল?”

বুড়ি বলল, “ঘাটের মাথার কবরেজমশাই যাবার আগে পাঁচটে পয়সা দিয়ে ঠাকুরদার আমলের একটু-একটু গুমো-গুমো গন্ধ ধরা, এক আঙুল দেড় আঙুল ওষুধসুদ্ধু বেচে দিলেন। সে কি ছাড়া যায় ভাই। ও কী দিদি, এখনও উঠলি নে?”

ঠাকুমা বলল, “চোখে ঝাপসা দেখি, পা নড়বড় করে। আমাকে নিয়ে বিপদে পড়বি। জঞ্জালিটাকে নিয়ে যা, আমায় বাদ দে।” জঞ্জালি অমনি বুড়িকে আঁকড়ে ধরে বলল, “চলো, ঠাকুমা, এ ওকে ঠেকো দিতে দিতে দু’জনে যাই। সত্যি যদি ওষুধটে পাই, তোমারও চোখ সারে, আমারও ঠ্যাং সারে। সুধনজ্যাঠা বলেছে, তোমার ৬০ বছর বয়স হয়নি। আরও ২০ বছর বাঁচবে। আমরা বাইস্কোপ দেখব।”

ফিক করে হেসে ফেলল বুড়ি। অমনি রওনা হয়ে গেল দু’জনে সবার শেষে। ঘরের কোণ থেকে কালো মাটির ঠাকুরটে ছাড়া কিছু নিল না। বুড়ি বলল, “নিজেদের নিয়ে যেতে পারলেই ঢের, আর ওই কালো ঠাকুরটে। উনি ইচ্ছে করলেই চাই কী সই-দিদির হারানো ওষুধটেও পাইয়ে দিতে পারেন।”

আর কিছু নেবার কথা বললও না জঞ্জালি। বইবার শক্তি থাকলে তো নেবে। তবে এক্কেবারে কিচ্ছু নেয়নি তাও বলা যায় না। তিনঠেঙো কোলাব্যাংটাকে তো আর ফেলে যাওয়া যায় না। একবার ভাটার সময় খালের কাদা থেকে তোলা। হয়তো চিংড়িতে কি কাঁকড়াতে অন্য ঠ্যাংটা খেয়েছে। মাছের জাল থেকে, “এ রাম, ছি ছি,” এই বলে সুধনজ্যাঠা ওকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। খোঁড়া ঠ্যাং দেখে জঞ্জালি তাকে তুলে নিয়ে খাইয়ে-দাইয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। ওকে ফেলে যাওয়াও যায় না, ওর কথা কাউকে বলাও যায় না। একটা ছেঁড়া থলিতে ভরে নিতে হয়েছে, পিঠে ঝুলিয়ে। ছয় মাসে প্রায় একটা আধাবয়সি মুরগির মতো বড় হয়েছে। আর খায় কী! তবে খাওয়া নিয়ে কাউকে খুঁড়তে হয় না। কিন্তু ব্যাংটার অভ্যাসগুলোও খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ছিল না। তা কী আর করা।

যকপাহাড়ের পথটা খুব সহজ নয়। সবাই এগিয়ে গেল, খালি সুধনের মা আর জঞ্জালি পিছিয়ে পড়তে লাগল। মাঝে মাঝে শিশিবোতলওয়ালি মাসি ফিরে এসে তাড়া লাগায়। আবার এগিয়ে যায়।

এমনি করে সন্ধ্যা লেগে গেল। ব্যাঙের ওজন অসম্ভব ভারী হয়ে উঠল। বড় বেশি নড়াচড়া ধরল। সুধনের মাকে আধ-কোলা করে খানিকটা পাথুরে জায়গা পার করতে হল। ব্যাঙের পিঠে বুড়ির হাত পড়তেই, কিলবিলিয়ে উঠে ব্যাং হঠাৎ গলা ছেড়ে এই প্রথম গ্যাঙর গ্যাঙ ডাক ছাড়ল। বুড়ি আর জঞ্জালি দু’জনেই চমকে গিয়ে বসে পড়ল। জঞ্জালির সঙ্গে খাবার ছিল। একমুঠো দিতেই ব্যাং চুপ করল। তখন চোখের জলে বুক ভাসিয়ে সব কথা বলে ফেলল মেয়েটা, “আমি নিজে খোঁড়া বলে তুমি ছাড়া সবাই আমাকে ঘেন্না করে। ঠাকুমা, আমি কী করে ওকে ফেলে দিই।”

সুধনের মা বলল, “দেখি একবার ওকে।” থলির মুখ খুলতেই গাল ফুলিয়ে ব্যাং বেরিয়ে জঞ্জালির কোলে বসল। সে-দৃশ্য দেখে বুড়ির মুখে হাসি ধরে না। কিন্তু ব্যাঙের গাল ফোলা কেন? জঞ্জালি তাকে জোর করে হাঁ করিয়ে মুখের মধ্যিখান থেকে হোমিয়োপ্যাথির শিশির মতো ছোট্ট একটা শিশি বের করল। শক্ত করে কাচের ছিপি আঁটা, সোনালি বড়ি দিয়ে ভরা। কাঁপা কাঁপা হাতে জঞ্জালি তার থেকে একটা বড়ি বের করে ব্যাঙের মুখে দেওয়া মাত্র, দু’ মানুষ উঁচু এক লাফ দিয়ে গ্যাঙর গ্যাঙ ডাক ছেড়ে ঝোপঝাপের মধ্যে দিয়ে ব্যাং অদৃশ্য হয়ে গেল।

তখন ভয়ে ভয়ে জঞ্জালি বুড়ির মুখে একটা বড়ি আর নিজের মুখে একটা বড়ি পুরে দিয়ে, শিশিটা ঠাকুমার আঁচলে বেঁধে রেখে বলল, “এই ওষুধের শিশিই খুঁজে বেড়াচ্ছে মাসি আজ কুড়ি বছর ধরে।” এই বলে দু’জনে দু’জনে জড়িয়ে ধরে, একটা চাঁপাগাছের তলায় সারা রাত ঘুমিয়ে রইল।

ভোরের আলো ফুটবার আগেই উঠে পড়ে বুড়ি চারদিকে তাকিয়ে অবাক, “ওরে, পৃথিবীটা যে এত সুন্দর তা তো মনেই ছিল না। কালো ঠাকুরের মনে এতও ছিল। দেখি তোর ঠ্যাংটা?” ঠ্যাং দেখবে কী ঠাকুমা! জঞ্জালি তার দুটো সমান জোরালো, সমান সুন্দর ঠ্যাং ঠাকুমার সামনে মেলে দিল।

তারপর দু’জনে উঠে পড়ে রোদ ফুটবার আগে পাহাড়চুড়োয় পৌঁছে দেখে ওদের খুঁজতে যাবার তোড়জোড় হচ্ছে। কোঁচড় থেকে ওষুধের শিশিটি বের করে শিশিবোতলওয়ালি মাসিকে দিতেই, আনন্দের চোটে সে এক্কেবারে মুচ্ছো যায় আর কী! তারপর চোখ মুছে বলল, “যাক, আমার জন্মের সাধ মিটেছে। আজ সারাদিন ফলপাকুড় খেয়ে বিশ্রাম। কাল ফেরা। আর ঘোরাঘুরি নয়। বাকি জীবনটা কোবরেজমশায়ের পায়ের কাছে বসে, মিনি-পয়সায় গরিব-দুঃখীদের রোগ সারাব। বিপদ কেটে গেছে।”

ঠাকুমা বলল, “ওঁর পায়ের তলায় কী করে বসবি? উনি না কাশী যাবেন?”

মাসি বলল, “কাশীও যা, কলকেতাও তা। কোনকালে ওষুধের শিশি গিলে, অ্যাদ্দিন বাদে এই কলকেতার মাটিতেই তো ব্যাং শিশিটে তুলে দিয়েছে। সে কি চাট্টিখানিক কথা!”

২৯ মে ১৯৮৫

সকল অধ্যায়

১. বিষে বিষক্ষয় – আশাপূর্ণা দেবী
২. আটচল্লিশ – অরবিন্দ গুহ
৩. ডোডো তাতাই পালা কাহিনি – তারাপদ রায়
৪. কৈলাসে চা পান – আশাপূর্ণা দেবী
৫. চোরে ডাকাতে – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৬. সাধু কালাচাঁদের নতুন কাজ – শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়
৭. ইলশেঘাই – লীলা মজুমদার
৮. শরচ্চন্দ্রের সন্ধিভেদ! – শিবরাম চক্রবর্তী
৯. ঝুনুমাসির বিড়াল – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১০. বিধু দারোগা – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
১১. সাধু কালাচাঁদের পালাকীর্তন – শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়
১২. কে ফার্স্ট? – আশাপূর্ণা দেবী
১৩. ফ্ল্যাট রেস – জরাসন্ধ
১৪. চিত্তশুদ্ধি আশ্রম – বিমল কর
১৫. টেনাগড়ে টেনশান – বুদ্ধদেব গুহ
১৬. হাতি-চোর – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১৭. ছোটমাসির মেয়েরা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১৮. মোটরবাইক, ষাঁড় ও লাকি – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
১৯. ব্যাঙাচিদের লেজ – তারাপদ রায়
২০. বাজারদর – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২১. তেঁতুলমামার জগৎ – হিমানীশ গোস্বামী
২২. রাজার মন ভাল নেই – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২৩. গজেনকাকার মাছ-ধরা – বিমল কর
২৪. দাদুর ইঁদুর – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
২৫. সাত নম্বর – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
২৬. মেজদার সার্কাস – চিত্তরঞ্জন সেনগুপ্ত
২৭. চোর – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২৮. কুস্তির প্যাঁচ – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২৯. দুঃখহরা বড়ির শিশি – লীলা মজুমদার
৩০. পিলকিন’স ইলেভেন – বিমল কর
৩১. রাত যখন বারোটা – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৩২. ভুনিকাকার চৌরশতম – বিমল কর
৩৩. গ্রামের নাম জাঁকপুর – আশাপূর্ণা দেবী
৩৪. নিখোঁজ নিরুদ্দেশ হতে গেলে – আশাপূর্ণা দেবী
৩৫. বাঘের দুধ – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৩৬. গগনবাবুর গাড়ি – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৩৭. গাবু – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৩৮. কুরুক্ষেত্র – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৩৯. কাক্কাবোক্কার ভুতুড়ে কাণ্ড – শৈলেন ঘোষ
৪০. হরিমতির বাগান – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৪১. বড়দার বেড়াল – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
৪২. মহাকর্ম – সমরেশ মজুমদার
৪৩. পায়রাডাঙায় রাতে – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৪৪. মামার বিশ্বকাপ দর্শন – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৪৫. গটমটে সাহেব বটে – শৈলেন ঘোষ
৪৬. রাঘব বোয়াল – ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়
৪৭. স্কন্ধকুমার এবং অর্ধচন্দ্র – তারাপদ রায়
৪৮. পাগল হইবার সহজপাঠ – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৪৯. বিপিনবিহারীর বিপদ – সুচিত্রা ভট্টাচার্য
৫০. সাদা রঙের পাঞ্জাবি – অনির্বাণ বসু
৫১. জগু যাবে বেড়াতে – বাণী বসু
৫২. কুঞ্জবাবুর পিঁপড়ে বাতিক – অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায়
৫৩. ভুলে যাওয়া – সিদ্ধার্থ ঘোষ
৫৪. ঝগড়ুটে ফাইভ – প্রচেত গুপ্ত
৫৫. বিপদভঞ্জনের সর্পদোষ – উল্লাস মল্লিক
৫৬. মাসির বাড়ি – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৫৭. জাগ্রত অসুরের গল্প – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৫৮. কাকাতুয়া ডট কম – প্রচেত গুপ্ত
৫৯. নতুন নাটকও ভন্ডুল – উল্লাস মল্লিক
৬০. রামখেলাওনের কেরামতি – সৌরভ মুখোপাধ্যায়
৬১. কলহগড়ের নিস্তব্ধতা – সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়
৬২. পটলার থিমপুজো – শক্তিপদ রাজগুরু
৬৩. সংকটমোচন কমিটি – প্রচেত গুপ্ত
৬৪. নতুন বন্ধু চিনু – জয়দীপ চক্রবর্তী
৬৫. বুঁচকির মেয়ের বিয়ে – নবনীতা দত্ত

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন