ডি ভ্যালেরা (১৮৮২-১৯৭৫) – আয়ারল্যান্ডের প্রথম প্রেসিডেন্ট

ভবেশ রায়

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যেবাদের কবল থেকে পরাধীন আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে যে গোটা দেশবাসীর প্রাণপ্রিয় সংগ্রামী নেতা এবং স্বাধীনতার পর বলিষ্ঠ হাতে যিনি দিয়েছিলেন দেশগড়ার নেতৃত্ব তাঁর নাম ইয়ামন ডি ভ্যালেরা (Eaman De Valera)।

তিনি ছিলেন এক বিশাল ব্যক্তিত্ববান পুরুষ, দেশপ্রেম ছিল তাঁর অন্তরের ভূষণ। মানুষের ওপর প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা ছিল তাঁর অবিশ্বাস্য। ইয়ামন ডি ভ্যালেরার নিজের জন্মভূমি আয়ারল্যান্ড ছিল না। তাঁর জন্ম হয় আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে ১৮৮২ সালের ১৪ অক্টোবর। বাবা ছিলেন স্পেনের অধিবাসী একজন চিত্রশিল্পী।

ডি ভ্যালেরার জন্মের কয়েক বছর পরেই তাঁর বাবা মারা যান। পিতার মৃত্যুর পর তাঁদের পারিবারিক অবস্থাও খুব খারাপ হয়ে পড়ে। এরপর তাঁকে মায়ের সাথে ফিরে আসতে হয় মামার বাড়িতে।

ভ্যালেরার মামারা থাকতেন আয়ারল্যান্ডের লিমেরিক নামক একটি ছোট্ট শহরে। তাঁদের অবস্থাও খুব একটা ভালো ছিল না। এমন একটি পরিবারেই অবাঞ্ছিত বালকের মতো অনাদর আর অবহেলার ভেতর দিয়ে বড় হতে থাকেন ডি ভ্যালেরা।

স্থানীয় ন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু হয় ভ্যালেরার। তারপর স্কুলজীবন শেষে তিনি ভর্তি হন ডাবলিনের ব্ল্যাকরক কলেজে। স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন আয়ারল্যান্ডের রয়্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে।

অঙ্কের শিক্ষক হিসেবে তিনি শিক্ষকতার জীবন শুরু করেন। এই সময়েই তিনি দেশের কাজে জড়িয়ে পড়েন এবং যোগ দেন স্বাধীনতাকামী একটি বিপ্লবীদের দলে। ১৯১৩ সালে তিনি আইরিশ স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যপদ গ্রহণ করেন। এই দলই ইংল্যান্ডের নাগপাশ থেকে দেশকে মুক্ত করার সংগ্রামে নিয়োজিত ছিল।

স্বেচ্ছাসেবক দলের শুধু সদস্যপদ নয়, অসীম সাহস, তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও দেশপ্রেমের জন্য তিনি অল্প সময়ের ব্যবধানে এই দলের স্থানীয় নেতার আসন লাভ করেন। তিনি কেমন দুঃসাহসিক বিপ্লবী ছিলেন, তার পরিচয় পাওয়া যায় এই সময়কারই একটি ঘটনা থেকে।

১৯১৬ সালে তরুণ বিপ্লবী ডি ভ্যালেরার নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক একটি ব্রিটিশ ভবন জোর করে দখল করে নেন। কী দুঃসাহসিক অভিযান! ব্রিটিশশক্তির বিরুদ্ধে মাত্র কয়েকজন মুক্তিপাগল যুবকের এ ছিল এক মস্তবড় হঠকারিতাসুলভ কাজ।

পরিণাম যা হবার তা-ই হলো। ব্রিটিশ সৈন্যরা এসে ভবনটি ঘেরাও করে ফেলে কিছুক্ষণের মধ্যেই দখলদারদের কাবু করে ফেলল। তাদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করল। ডি ভ্যালেরারও একই ভাগ্য বরণ করার কথা ছিল। কিন্তু হলো না, বেঁচে গেলেন। তাঁর জন্ম যেহেতু আমেরিকায়, তাই তিনি জন্মগতসূত্রে আইরিশ নন। এই ভেবে তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে তাঁকে দেয়া হয় এক বছরের জেল।

তিনি ১৯২৭ সালে জেল থেকে মুক্তি লাভ করেন। কিন্তু বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আবার গ্রেফতার করা হয়। ইংল্যান্ডে নজরবন্দি করে রাখা হয় ১৯১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত। আয়ারল্যান্ডে ফিরে এসে তিনি বিপ্লবীদের সংগঠন সিন ফেইন পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন। এই দলটি ওই একই বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত আয়ারল্যান্ডের সংসদ নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করে এবং এক-তৃতীয়াংশ আসন লাভ করে।

কিন্তু তার পরেও রেহাই পেলেন না ডি ভ্যালেরা। পুলিশের লোকজন তাঁর পেছনে লেগে থাকত। ফলে তিনি ওই একই বছরই আবারও গ্রেফতার হলেন। তাঁকে রাখা হলো লিংকন জেলে। কিন্তু এই জেল থেকে তিনি পালিয়ে যান এক চমৎকার কৌশলে।

সে ঘটনা যেমন রোমাঞ্চকর, তেমনই দুঃসাহসিক। তিনি একটি সামান্য লোহার টুকরো নিয়ে জেলের সেলে বসে সবার অলক্ষ্যে ঘষে ঘষে টুকরোটিকে একটি চাবিতে রূপান্তরিত করেন। তারপর নিজের তৈরি সেই নকল চাবি দিয়েই রাতের অন্ধকারে জেলের তালা খুলে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে জেল থেকে পালাতে সক্ষম হন।

তিনি জেল থেকে পালিয়ে ছদ্মবেশে সোজা চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। পালিয়ে সে দেশে যাওয়ার পেছনে তাঁর একটি উদ্দেশ্যও ছিল। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্ৰাম চালাতে গেলে প্রচুর টাকার দরকার। তাই তহবিল গঠনের জন্যই তিনি আমেরিকা গিয়ে অর্থসংগ্রহের চেষ্টা করেন।

তিনি আমেরিকা থেকে আবার আয়ারল্যান্ডে ফিরে আসেন ১৯২১ সালে। এই সময় ব্রিটেন আয়ারল্যন্ডের প্রতি কিছুটা নমনীয় মনোভাব গ্রহণ করে। নীতিগতভাবে সাময়িক স্বায়ত্তশাসন মেনে নেওয়া হয়।

আর ঠিক এ-রকম সময়ই ডি ভ্যালেরা দেশে ফিরে আসেন। এই স্বায়ত্তশাসনের ব্যাপারে ব্রিটেনের সাথে আলোচনা করার জন্য ডি ভ্যালেরার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল লন্ডন গমন করে।

ব্রিটেন আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতা মেনে নেয় একটি শর্তে। আয়ারল্যান্ডকে স্বাধীনতা দেওয়া হবে, তবে নীতিগতভাবে ব্রিটেনের রাজশক্তিকে মেনে নিতে হবে এবং এই স্বাধীনতা লাভ করবে শুধু দেশের একাংশ, দক্ষিণ আয়ারল্যান্ড।

যা হোক, তবু আয়ারল্যান্ড মেনে নিল এই শর্ত। আপাতত যতটুকু পাওয়া যায়, ততটাই লাভ। দেশটির সংসদে এই চুক্তি সামান্য ভোটে অনুমোদন লাভ করে। যদিও ডি ভ্যালেরা এমন একটি স্বাধীনতা মেনে নিতে রাজি ছিলেন না, কিন্তু সবার চাপে তাঁকে সকলের সাথে একমত হতে হয়েছিল। এই আংশিক চুক্তি নিয়ে দেশে একটি গোলযোগেরও সূত্রপাত হয়।

আয়ারল্যান্ডে সরকার গঠিত হয়েছিল উইলিয়াম টমাস কসগ্রেভের নেতৃত্বে। ডি ভ্যালেরা রিপাবলিকানদের মতের সমর্থন করেন। এরপর গোলযোগের অভিযোগে তিনি ১৯২৪ সালে গ্রেফতার হন।

অবশ্য কয়েকদিন পরেই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। বাইরে এসে তিনি রিপাবলিকান অপজিশন পার্টি গঠন করেন। এই পার্টির নাম ছিল ফিয়ান্না ফেইন পার্টি। তিনি তাঁর সমর্থকদের ব্রিটেনের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তি মেনে না চলতে অনুপ্রাণিত করেন। তাঁর দল সংসদে কয়েকটি আসনও লাভ করে। তাঁরা সংসদে এই চুক্তি বাতিল করার দাবি জানান।

এই অধীনতামূলক চুক্তির শর্ত মোতাবেক ব্রিটেনকে একটি বার্ষিক খাজনা দিতে হতো। ডি ভ্যালেরা এই বার্ষিক খাজনা বন্ধ করার এবং ব্রিটেনের গভর্নর জেনারেল প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানান।

১৯৩২ সালে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয় সাধারণ নির্বাচন এবং এই নির্বাচনে ডি ভ্যালেরার ফিয়ান্না ফেইন পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। তিনি সরকার গঠন করেই ব্রিটেনের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং ব্রিটেন যে এতদিন বার্ষিক খাজনা পেয়ে আসছিল, তা বন্ধ করে দেন। তিনি ব্রিটেনের সাথে অধীনতামূলক চুক্তিগুলো বাতিল করে দেশকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা চালাতে থাকেন এবং দেশকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বয়ম্ভর করার চেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত করেন।

তিনি ১৯৩৩ সালে আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার পর থেকে তিনি আজীবন ক্ষমতায় ছিলেন। ১৯৩৩ সাল থেকে একটানা ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তিনি আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

এর মধ্যে অবশ্য তাঁকে মাঝে একবার কিছুটা ঝামেলা পোহাতে হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘ ৪১ বছর ধরে একটানা ক্ষমতায় থাকাটা কেউ কেউ সহ্য করতে পারছিল না, তাই ১৯৪৮ সালে একবার তাঁর একনায়কত্বের বিরুদ্ধে দেশের কয়েকটি ছোটখাটো রাজনৈতিক দল একত্রিত হয়ে গোলযোগ বাধাবার চেষ্টা করে। কিন্তু সে গোলযোগ সৃষ্টিতে তারা খুব সুবিধা করতে পারেনি। তিনি কঠোর হাতে সেই বিদ্রোহ দমন করেন।

দীর্ঘদিন পর তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে ১৯৭৩ সালে ক্ষমতা থেকে স্বেচ্ছায় সড়ে দাঁড়ান। এই অসুস্থ অবস্থায় তিনি আরও দুবছর বেঁচেছিলেন। তিনি মারা যান ১৯৭৫ সালের ২৯ আগস্ট। তিনি দীর্ঘ প্রায় অর্ধ শতাব্দীকাল ধরে আয়ারল্যান্ডকে শাসন করেছিলেন লৌহকঠিন দৃঢ়তার সঙ্গে। তিনি আয়ারল্যান্ডকে একটি পরাধীন উপনিবেশ থেকে মুক্ত করে পরিণত করে গেছেন উন্নত সমৃদ্ধিশালী একটি স্বাধীন দেশে।

সকল অধ্যায়

১. হযরত মুহাম্মদ (দঃ) (৫৭০-৬৩২) – সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী
২. জরথুশত্র (৬২৮-৫৫১ খ্রি. পূ.) – পারশি ধর্মের প্রবর্তক
৩. বর্ধমান মহাবীর (৫৯৯–৫২৭ খ্রি. পূ.) – জৈন দর্শন ও ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা
৪. গৌতম বুদ্ধ (৫৬৩–৪৮৩ খ্রি. পূ.) – বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক
৫. কনফুসিয়াস (৫৫১–৪৭৯ খ্রি. পূ.) – চীনের প্রাচীনতম ধর্মমতবাদের প্রবর্তক
৬. সক্রেটিস (আনু. ৪৬৯–৩৯৯ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্রের আদিজনক
৭. প্লেটো (৪২৮–৩৪৭ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্র যাঁর হাতে পেয়েছিল পূর্নাঙ্গরূপ
৮. ডায়োজিনিস (৪১২–৩২২ খ্রি. পূ.) – একনিষ্ঠ জ্ঞান সাধক
৯. অ্যারিস্টটল (৩৮৪-৩২২ খ্রি. পূ.) – যুক্তিশাস্ত্রের জনক
১০. যিশু খ্রিস্ট (আনু. ৬ খ্রি. পূ.–আনু. ২৯ খ্রি.) – খ্রিস্টানধর্মের প্রবর্তক
১১. অতীশ দীপঙ্কর (৯৮২–১০৫৩) – জ্ঞানসাধক বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারক
১২. গুরু নানক (১৪৬৯–১৫৩৮) – শিখ ধর্মমতের প্রবর্তক
১৩. মার্টিন লুথার (১৪৮৩-১৫৪৬) – ধর্মের সংস্কারক এবং ‘প্রটেস্টানিজম’ মতবাদের স্রষ্টা
১৪. মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য (১৪৮৬-১৫৩৩) – বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক
১৫. রামমোহন রায় (১৭৭২–১৮৩৩) – ভারতবর্ষে নবযুগের প্রবর্তক
১৬. রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬–১৮৮৬) – ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আমি ঈশ্বরকে দর্শন করেছি’
১৭. বারট্রান্ড রাসেল (১৮৭২–১৯৭০ ) – যুদ্ধ-বিরোধী ও মানবতাবাদী দার্শনিক
১৮. থ্যালিস (আনু. ৬২৪–৫৬৫ খ্রি. পূ.) – বিজ্ঞানশাস্ত্রের আদিপুরুষ
১৯. পিথাগোরাস (আনু. ৫৮২–৫০৭ খ্রি. পূ.) – তিনি বলেছিলেন—পৃথিবী গোলাকার
২০. হিপোক্র্যাটিস (আনু: ৪৬০–৩৭০ খ্রি. পূ.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আদিজনক
২১. আর্কিমিডিস (২৮৭–২১২ খ্রি. পূ.) – ঊর্ধ্বমুখী বল সূত্রের আবিষ্কারক
২২. ক্লডিয়াস টলেমি (১০০–১৮০ খ্রি.) – জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রথম কোষগ্রন্থ প্রণেতা
২৩. ক্লডিয়াস গ্যালেন (১৩১–২০১ খ্রি.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আধুনিক পদ্ধতির আদি জনক
২৪. ইবনে সিনা (৯৮০–১০৩৭) – জ্ঞানসাধনায় কাটিয়েছিলেন সমগ্র জীবন
২৫. কোপারনিকাস (১৪৭৩–১৫৪৩) – আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানে প্ৰবক্তা
২৬. জিওর্দানো ব্রুনো (আনু. ১৫৪৮–১৬০০ ) – সত্যপ্রচারের অপরাধে যাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল
২৭. গ্যালিলিও গ্যালিলি (১৫৬৪-১৬৪২) – যাঁর গাণিতিক পদ্ধতি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি
২৮. লিওয়েন হুক (১৬৩২–১৭৩৩) – মুদি দোকানদার থেকে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী
২৯. আইজাক নিউটন (১৬৪২–১৭২৭) – মাধ্যাকর্ষন শক্তির আবিষ্কারক
৩০. রিচার্ড আর্করাইট (১৭৩২–১৭৯২) – আধুনিক বস্ত্রশিল্পে বৈপ্লবিক ধারা প্রবর্তক
৩১. উইলিয়াম হার্শেল (১৭৩৮–১৮২২) – ইউরেনাস গ্রহের আবিষ্কারক
৩২. লরেঁ লাভোয়সিয়ের (১৭৪৩–১৭৯৪) – রসায়নশাস্ত্রের জনক
৩৩. মাইকেল ফ্যারাডে (১৭৯১-১৮৬৭) – তাড়িত-চুম্বক বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা
৩৪. চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২) – প্রাণিজগতের বিবর্তনবাদের ব্যাখ্যাদাতা
৩৫. লুই পাস্তুর (১৮২২–১৮৯৫) – জীবাণু আর জলাতঙ্ক রোগ প্রতিষেধকের আবিষ্কারক
৩৬. আলফ্রেড নোবেল (১৮৩৩–১৮৯৬) – যাঁর নামে দেয়া হয় নোবেল পুরস্কার
৩৭. আলভা এডিসন (১৮৪৭–১৯৩১) – সর্বাধিক আবিষ্কারের জনক
৩৮. জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৫৯–১৯৩৭) – যিনি বলেছিলেন গাছেরও প্রাণ আছে
৩৯. মাদাম কুরি (১৮৬৭–১৯৩৪) – সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহিলা বিজ্ঞানী
৪০. মার্কোনি (১৮৭৪–১৯৩৭) – বেতারযন্ত্রের আবিষ্কারক
৪১. আলবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯–১৯৫৫) – আপেক্ষিক তত্ত্বের জনক
৪২. আলেকজান্ডার ফ্লেমিং (১৮৮১–১৯৫৫) – পেনিসিলিনের আবিষ্কারক
৪৩. হোমার (আনু. ৭০০-? খ্রি. পূ.) – বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দুটি মহাকাব্যের রচয়িতা
৪৪. ঈশপ (আ. কা. ৬২০–৫৬০ খ্রি. পূ.) – কালজয়ী নীতিগল্পকার
৪৫. সোফোক্লেস (আনু. ৪৯৫-৪০৬ খ্রি. পূ.) – গ্রিক ট্র্যাজেডি নাট্যধারার রূপকার
৪৬. হেরোডোটাস (আনু. ৪৮৫–৪২৫ খ্রি. পূ.) – ইতিহাসশাস্ত্রের জনক
৪৭. অ্যারিস্টোফানিস (আনু. ৪৪৪–৩৮৫ খ্রি. পূ.) – যাঁর সাহিত্যকর্মে আর্তমানবতার কথা প্রতিফলিত
৪৮. মহাকবি কালিদাস (আনু. ৫৭০-৬৫০ খ্রি.) – সংস্কৃতি সাহিত্যের অমর কবি
৪৯. লেওনার্দো দা ভিঞ্চি (১৪৫২–১৫১৯) – সর্বকালের শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী
৫০. মিকেলাঞ্জেলো (১৪৭৫–১৫৬৪) – পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্কর শিল্পী
৫১. তানসেন (১৫০৬–১৫৮৫) – কিংবদন্তির গায়ক
৫২. শেকসপিয়ার (১৫৬৪-১৬১৬) – বিশ্বসাহিত্যের কালজয়ী নাট্যকার
৫৩. ভলতেয়ার (১৬৯৪-১৭৭৮) – বিখ্যাত ফরাসি চিন্তাবিদ
৫৪. জঁ-জাক্ রুসো (১৭১২–১৭৭৮) – ফরাসি বিপ্লবের রূপকার
৫৫. লর্ড বায়রন (১৭৮৮–১৮২৪) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি
৫৬. ভিক্টর হুগো (১৮০২-১৮৮৫) – ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৭. ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন (১৮০৫–১৮৭৫) – যাঁকে বলা হয় রূপকথার জাদুকর
৫৮. চার্লস ডিকেন্স (১৮১২–১৮৭০) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৯. ওয়াল্ট হুইটম্যান (১৮১৯-১৮৯২) – মার্কিন সাহিত্যের যুগ-প্রবর্তক কবি
৬০. লিয়েফ তলস্তোয় (১৮২৮–১৯১০) – বিশ্বের মহান সাহিত্যিকদের অন্যতম
৬১. জুল ভের্ন (১৮২৮–১৯০৫) – কল্পবিজ্ঞান কাহিনীর স্রষ্টা
৬২. মার্ক টোয়েন (১৮৩৫–১৯১০) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রসস্রষ্টা
৬৩. জর্জ বার্নার্ড শ (১৮৫৬–১৯৫০) – যিনি প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন
৬৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১) – শ্রেষ্ঠ বাঙালি মনীষা, পৃথিবীর মহত্তম সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব
৬৫. ম্যাক্সিম গোর্কি (১৮৬৮–১৯৩৬) – যাঁর সাহিত্যকর্মের প্রধান উপজীব্য গণমানুষের কথা
৬৬. হেলেন কেলার (১৮৮০-১৯৬৮) – যাঁর খ্যাতিকে নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করা হতো
৬৭. আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (১৮৯৮–১৯৬১) – জীবনবাদী মার্কিন কথাসাহিত্যিক
৬৮. কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯–১৯৭৬) – বাংলার বিদ্রোহী কবি
৬৯. জর্জ ওয়াশিংটন (১৭৩২–১৭৯৯) – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৭০. নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (১৭৬৯-১৮২১) – ইতিহাসের কিংবদন্তির মহানায়ক
৭১. জুসেপ্পে গারিবলদি (১৮০৭–১৮৮২) – ইতালির জনক বলে যাঁর খ্যাতি
৭২. আব্রাহাম লিংকন (১৮০৯-১৮৬৫) – যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রীতদাসপ্রথা রহিত করেছিলেন
৭৩. অটো ফন বিসমার্ক (১৮১৫–১৮৯৮) – জার্মান সাম্রাজ্যের স্থপতি
৭৪. মহাত্মা গান্ধি (১৮৬৯–১৯৪৮) – ‘সবকো সুমতি দে ভগবান’
৭৫. কমরেড লেনিন (১৮৭০–১৯২৪) – বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা
৭৬. উইনস্টন চার্চিল (১৮৭৪–১৯৬৫) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ডাকসাইটে প্রধানমন্ত্রী
৭৭. জোসেফ স্ট্যালিন (১৮৭৯–১৯৫৩) – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়েনের ‘লৌহমানব’
৭৮. কামাল আতাতুর্ক (১৮৮১–১৯৩৮) – নব্য-তুরস্কের জনক
৭৯. ডি ভ্যালেরা (১৮৮২-১৯৭৫) – আয়ারল্যান্ডের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৮০. জওহরলাল নেহরু (১৮৮৯-১৯৬৪) – ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
৮১. আইসেনহাওয়ার (১৮৯০-১৯৬৯) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক
৮২. শার্ল দ্য গল (১৮৯০-১৯৭০) – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা
৮৩. হো-চি-মিন (১৮৯০-১৯৬৯) – ভিয়েতনামের মুক্তিদাতা পুরুষ
৮৪. মার্শাল টিটো (১৮৯২–১৯৮০) – জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা
৮৫. মাও-সে-তুং (১৮৯৫–১৯৭৬) – চীন সাধারণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা
৮৬. সুভাষচন্দ্র বসু (১৮৯৭–১৯৪৫) – ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’
৮৭. জন এফ কেনেডি (১৯১৭–১৯৬৩) – গুপ্তঘাতকের হাতে যাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছিল
৮৮. ইন্দিরা গান্ধি (১৯১৭–১৯৮৪) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
৮৯. নেলসন ম্যান্ডেলা (১৯১৮) – দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তিদাতা পুরুষ
৯০. শেখ মুজিবর রহমান (১৯২০–১৯৭৫) – বাংলাদেশের জাতির জনক
৯১. প্যাট্রিস লুমুম্বা (১৯২৫-১৯৬১) – কঙ্গোর মুক্তিদাতা পুরুষ
৯২. মার্কো পোলো (১২৫৬–১৩২৩) – দুঃসাহসিক অভিযাত্রী
৯৩. ক্রিস্টোফার কলম্বাস (আনু. ১৪৪৬-১৫০৬) – আমেরিকার আবিষ্কারক
৯৪. ডেভিড লিভিংস্টোন (১৮১৩-১৮৭৩) – আফ্রিকার আবিষ্কারক
৯৫. উইলিয়াম জোন্স (১৭৪৬–১৭৯৪) – এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৬. ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল (১৮২০–১৯১০) – আধুনিক ‘নার্সিং’ বৃত্তির অগ্রপথিক
৯৭. হেনরি ডুনান্ট (১৮২৮–১৯১০) – রেডক্রস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৮. ব্যাডেন পাওয়েল (১৮৫৭–১৯৪১) – বয়স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা
৯৯. মাদার তেরেসা (১৯১০–১৯৯৭) – প্রেম, করুণা ও ধর্মের মূর্ত প্রতিমা
১০০. অ্যাডাম স্মিথ (১৭২৩–১৭৯০) – রাজনৈতিক অর্থশাস্ত্র বিজ্ঞানের জনক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন