অতীশ দীপঙ্কর (৯৮২–১০৫৩) – জ্ঞানসাধক বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারক

ভবেশ রায়

এই মহান জ্ঞানসাধক কিন্তু একান্তই আমাদের ঘরের মানুষ। তাঁর জন্মস্থান বাংলাদেশের ঢাকা জেলার বিক্রমপুর পরগনার বজ্রযোগিনী গ্রামে। ৯৮০ সালে, মতান্তরে ৯৮২ সালে এক জমিদার পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম কল্যাণশ্রী এবং মাতার নাম প্রভাবতী। অতীশ দীপঙ্করের পিতৃদত্ত নাম ‘আদিনাথ চন্দ্ৰগৰ্ভ’।

উনিশ বছর বয়সে দণ্ডপুরীর মহাসঙ্ঘিকাচার্য শীলরক্ষিতের কাছে বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত হন তিনি। প্রথমে নিজের মা ও পরে অবধূত জেতারির কাছে শাস্ত্র অধ্যয়ন এবং বিহারের কৃষ্ণগিরি রাহুলের কাছে বৌদ্ধ গুহ্য মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে ‘গুহ্যজ্ঞানবজ্র’ উপাধি লাভ করেন। এরপর ১০১১ খ্রিস্টাব্দে শতাধিক শিষ্য নিয়ে সুবর্ণ দ্বীপে গমন করেন। সেখানে বারো বছর বৌদ্ধধর্ম সম্বন্ধে গবেষণা করার পর দেশে ফিরে আসেন। সে সময় তিনি বঙ্গদেশের রাজা মহিপালের অনুরোধে বিক্রমশীলা মহাবিহারের প্রধান অধ্যক্ষের পদগ্রহণ করেন।

মগধে অবস্থানকালে শুধু আধ্যাত্মিক সাধনা আর ধর্মীয় শাস্ত্রচর্চাতেই নিয়োজিত ছিলেন না, তিনি রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজেরও দায়িত্বে ছিলেন। বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্রীয় সংকটেও অতীশ দীপঙ্কর ছিলেন রাজা ন্যায়পাল দেবের প্রধান উপদেষ্টা। রাষ্ট্রীয় কার্যে তাঁর ছিল বিশেষ দক্ষতা।

এই সময় তাঁর পাণ্ডিত্যের কথা, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় কার্যে দক্ষতার পাশাপাশি তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে নানা দিকে। মগধে অবস্থানকালেই তাঁকে তিব্বতে যাবার আমন্ত্রণ জানিয়ে তিব্বতরাজ হা-লামা বিক্রমশীলায় দূত প্রেরণ করেন।

তখন তিব্বতে বৌদ্ধধর্মের খুব সংকটকাল চলছিল। একজন সুপণ্ডিত ও ধর্মীয় শাস্ত্রজ্ঞ ব্যক্তির অভাবে তখন তিব্বতে ধর্মের আদর্শ প্রায় নিশ্চিহ্ন হতে বসেছিল। চারদিকে দেখা দিয়েছিল ধর্মীয় অনাচার আর অনিয়ম। তিব্বতরাজ ভাবলেন অতীশ দীপঙ্করের মতো পণ্ডিত লোককে আনতে পারলে দেশে ধর্মচেতনার বিকাশ ঘটবে—দূর হবে সামাজিক অনিয়ম ও অনাচার।

কিন্তু হাতে প্রচুর কাজ থাকায় অতীশ দীপঙ্কর সেই সময় বিক্রমশীলা ছেড়ে যেতে রাজি হলেন না। অগত্যা তিব্বতরাজের দূত এদিকে ফিরে গেলেন।

এদিকে অতীশ দীপঙ্কর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করায় তিব্বতরাজ অসম্ভব খেপে যান। তিনি দীপঙ্করকে ছলে-বলে-কৌশলে হলেও তিব্বতে নেবার জন্য অপচেষ্টা শুরু করেন। ফলে তিনি নিজেই বেকায়দায় পড়ে যান। তাঁর দেশের ভেতরেই শুরু হয়ে যায় বিদ্রোহ। একদিন তিনি নিজেই বিদ্রোহী প্রজাদের হাতে নিহত হন।

এরপর তিব্বতের রাজা হন তাঁর পুত্র চ্যান-চাব। এই নতুন রাজা ছিলেন খুবই ভালো লোক। তিনি পিতার মতো উগ্র এবং হিংসুক ছিলেন না। তার আকাঙ্ক্ষা, অতীশ দীপঙ্কর তিব্বতে আসুন। দীপঙ্করের প্রতি তাঁরও ছিল অগাধ শ্রদ্ধা। তাই তিনি তাঁর দেশের বর্তমান ধর্মীয় অবনতির কথা সবিনয়ে ব্যক্ত করে বিক্রমশীলায় পত্রসহযোগে আবারও দূত প্রেরণ করলেন।

এই সবিনয় অনুরোধ এবার আর প্রত্যাখ্যান করতে পারলেন না অতীশ দীপঙ্কর। তিনি তিব্বতে যেতে রাজি হয়ে গেলেন।

বিক্রমশীলায় যে-কাজগুলো তিনি হাতে নিয়েছিলেন তা শেষ করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। ফলে তিনি দেড় বছর পরে তিব্বতে যাবেন বলে রাজদূতের কাছে প্রতিশ্রুতি দিলেন। রাজদূত এই শুভ সংবাদ নিয়ে ফিরে গেলেন নিজের দেশে।

অতীশ দীপঙ্কর তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছিলেন। দেড় বছর পর তিনি সত্যি সত্যি বিক্রমশীলা ছেড়ে তিব্বত অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। তিনি ভারতের সমতল অঞ্চল ছেড়ে তুষার সমাচ্ছন্ন অভ্রভেদী হিমালয়ের দুর্গম গিরিপথ অতিক্রম করে একদিন উপনীত হন তিব্বতের রাজদরবারে।

১০৪০ খ্রিস্টাব্দে অতীশ দীপঙ্কর যখন তিব্বতের গুজে নামক স্থানে উপস্থিত হওয়া মাত্রই দেখতে পেলেন বিশাল রাজকীয় অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা জানানোর জন্য তিব্বতরাজ চ্যান-চাব স্বয়ং দাঁড়িয়ে আছেন।

রাজার নির্দেশে রাজকীয় বাহিনীর সৈন্যরা তিব্বতীয়দের পবিত্র মন্ত্র এবং মণিপত্রে বৈদিকমন্ত্র আবৃত্তি করতে করতে মহান অতিথিকে সাদর ও রাজকীয় সংবর্ধনা জ্ঞপন করলেন। সাদর অভ্যর্থনা করে অতীশ দীপঙ্করকে নিয়ে আসা হয় রাজপ্রাসদে। সেখানে উপস্থিত হয়ে আবারও তাঁকে জানানো হয় আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা। তাঁর অসাধারণ পাণ্ডিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে প্রদান করা হয় সর্বশ্রেষ্ঠ হো-বো-জে অর্থাৎ ‘ভট্টারক’ উপাধি।

তিব্বতে গমনের দুবছর পর ১০৪২ খ্রিস্টাব্দে তিনি থোলিন রাজবিহারে উপস্থিত হন। সেই সময় তাঁর বয়স ৬১ বছর।

এরপর থেকেই তিনি তিব্বতে বৌদ্ধধর্ম পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে শুরু করেন। তিনি সারা তিব্বতের প্রধান প্রধান শহর, গ্রাম এবং পীঠস্থান ভ্রমণ করে ধর্মের প্রচার চালাতে থাকেন। তাঁর বিপুল পাণ্ডিত্য এবং অসাধারণ বাগ্মিতায় দেশের মানুষ মুগ্ধ হয়ে যায় এবং তারা তাদের হারানো ধর্মীয় বিশ্বাস ফিরে পেতে থাকে।

শুধু ধর্মপ্রচারই নয়, তিনি তিব্বতের রাজধানী লাসা সংলগ্ন ন্যাথাং-এ একটি বৃহৎ বৌদ্ধবিহারও প্রতিষ্ঠা করেন।

তিব্বতে যাওয়ার পথে নেপালের রাজা অনন্তকীর্তি তাঁকে সংবর্ধনা দান করেন। নেপালের রাজপুত্র পথপ্রভা তাঁর কাছে বৌদ্ধধর্মে দীক্ষা নেন। তিব্বতেও তিনি লাভ করেন রাজকীয় সম্মান। এখনও সেখানকার মঠের প্রাচীরে এই সংবর্ধনার দৃশ্য আঁকা আছে। বৌদ্ধশাস্ত্র, চিকিৎসা ও কারিগরিবিদ্যা সম্পর্কে তিব্বতীয় ভাষায় গ্রন্থ রচনা করে তিনি তিব্বতিদের কাছ থেকে সম্মানজনক ‘অতীশ’ উপাধি লাভ করেন।

তিব্বতে তিনি বহু প্রাচীন সংস্কৃত পুঁথিও আবিষ্কার করেন এবং নিজের হাতে সেগুলোর প্রতিলিপি তৈরি করে বাংলাদেশে প্রেরণ করেন। তিনি বহু সংস্কৃত গ্রন্থ ভোট ভাষায় অনুবাদ করেন। এছাড়া নিজে ‘রত্নকরণ্ডোদ্ঘাট’, ‘বোধিপাঠ’, ‘প্রদীপপঞ্জিকা’, ‘বোধিপাঠ প্রদীপ’ প্রভৃতি গ্রন্থ এবং সম্রাট ন্যায়পালের উদ্দেশ্যে “বিমলরতুলেখ’ নামক পত্র রচনা করেন।

‘চৰ্য্যাসংগ্রহ প্রদীপ’ নামক গ্রন্থে অতীশ রচিত অনেকগুলো সংকীর্ত্তনের পদ পাওয়া যায়। তাঁর মূল সংস্কৃত রচনাগুলো বিলোপ হয়ে গেছে। তবে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদের মাধ্যমে এগুলোর অস্তিত্ব টিকে আছে।

তিব্বতে আগে প্রায়ই বন্যা হতো। তিনিই ব্যক্তিগতভাবে এই বন্যার প্রতিরোধের ব্যবস্থা করেন। তিব্বতিরা তাঁকে যে অর্থ দিয়েছিলেন, তাই দিয়ে তিনি নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে বন্যা প্রতিরোধ করেন।

ভারতের বিক্রমশীলা ছেড়ে অতীশ দীপঙ্কর যে তিব্বতে গিয়েছিলেন, সেখানেও তাঁর একটি শর্ত ছিল। তিনি বিক্রমশীলা ছেড়ে গিয়েছিলেন এই শর্তে যে, বৌদ্ধধর্ম প্রচারের কাজে তিনি তিব্বতে মাত্র তিন বছর থাকবেন। কাজ শেষ করেই আবার ফিরে আসবেন বিক্রমশীলায়।

কিন্তু অতীশ দীপঙ্করের পক্ষে এই শর্ত রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে তাঁর পক্ষে আর বিক্রমশীলায় ফেরা সম্ভব হয়নি। কারণ তিব্বতে গিয়ে তিনি সে-দেশের মানুষকে এতটাই ভালোবেসে ফেলেছিলেন যে, তিব্বতবাসীরা তাঁকে এমন শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছিলেন যে, এসব ছেড়ে তিনি দেশে ফিরতে পারেননি।

১০৫৩ খ্রিস্টাব্দে, বাংলা কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থ তিথিতে ন্যাথাং বিহারেই তিনি পরলোকগমন করেন।

অতীশ দীপঙ্কর লামা ধর্মের প্রবর্তক হওয়া সত্ত্বেও তিনি কখনও লামা উপাধি গ্রহণ করেননি। তিনি ছিলেন সত্যিকারের জ্ঞানের সাধক।

১৯৭৮ সালে চীন থেকে তাঁর চিতাভষ্ম ঢাকায় এনে বৌদ্ধবিহারে স্থাপন করা হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার অতীশ দীপঙ্করের জন্মভূমি বিক্রমপুরের বজ্রযোগিনী গ্রামে তাঁর একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

সকল অধ্যায়

১. হযরত মুহাম্মদ (দঃ) (৫৭০-৬৩২) – সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী
২. জরথুশত্র (৬২৮-৫৫১ খ্রি. পূ.) – পারশি ধর্মের প্রবর্তক
৩. বর্ধমান মহাবীর (৫৯৯–৫২৭ খ্রি. পূ.) – জৈন দর্শন ও ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা
৪. গৌতম বুদ্ধ (৫৬৩–৪৮৩ খ্রি. পূ.) – বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক
৫. কনফুসিয়াস (৫৫১–৪৭৯ খ্রি. পূ.) – চীনের প্রাচীনতম ধর্মমতবাদের প্রবর্তক
৬. সক্রেটিস (আনু. ৪৬৯–৩৯৯ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্রের আদিজনক
৭. প্লেটো (৪২৮–৩৪৭ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্র যাঁর হাতে পেয়েছিল পূর্নাঙ্গরূপ
৮. ডায়োজিনিস (৪১২–৩২২ খ্রি. পূ.) – একনিষ্ঠ জ্ঞান সাধক
৯. অ্যারিস্টটল (৩৮৪-৩২২ খ্রি. পূ.) – যুক্তিশাস্ত্রের জনক
১০. যিশু খ্রিস্ট (আনু. ৬ খ্রি. পূ.–আনু. ২৯ খ্রি.) – খ্রিস্টানধর্মের প্রবর্তক
১১. অতীশ দীপঙ্কর (৯৮২–১০৫৩) – জ্ঞানসাধক বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারক
১২. গুরু নানক (১৪৬৯–১৫৩৮) – শিখ ধর্মমতের প্রবর্তক
১৩. মার্টিন লুথার (১৪৮৩-১৫৪৬) – ধর্মের সংস্কারক এবং ‘প্রটেস্টানিজম’ মতবাদের স্রষ্টা
১৪. মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য (১৪৮৬-১৫৩৩) – বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক
১৫. রামমোহন রায় (১৭৭২–১৮৩৩) – ভারতবর্ষে নবযুগের প্রবর্তক
১৬. রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬–১৮৮৬) – ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আমি ঈশ্বরকে দর্শন করেছি’
১৭. বারট্রান্ড রাসেল (১৮৭২–১৯৭০ ) – যুদ্ধ-বিরোধী ও মানবতাবাদী দার্শনিক
১৮. থ্যালিস (আনু. ৬২৪–৫৬৫ খ্রি. পূ.) – বিজ্ঞানশাস্ত্রের আদিপুরুষ
১৯. পিথাগোরাস (আনু. ৫৮২–৫০৭ খ্রি. পূ.) – তিনি বলেছিলেন—পৃথিবী গোলাকার
২০. হিপোক্র্যাটিস (আনু: ৪৬০–৩৭০ খ্রি. পূ.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আদিজনক
২১. আর্কিমিডিস (২৮৭–২১২ খ্রি. পূ.) – ঊর্ধ্বমুখী বল সূত্রের আবিষ্কারক
২২. ক্লডিয়াস টলেমি (১০০–১৮০ খ্রি.) – জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রথম কোষগ্রন্থ প্রণেতা
২৩. ক্লডিয়াস গ্যালেন (১৩১–২০১ খ্রি.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আধুনিক পদ্ধতির আদি জনক
২৪. ইবনে সিনা (৯৮০–১০৩৭) – জ্ঞানসাধনায় কাটিয়েছিলেন সমগ্র জীবন
২৫. কোপারনিকাস (১৪৭৩–১৫৪৩) – আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানে প্ৰবক্তা
২৬. জিওর্দানো ব্রুনো (আনু. ১৫৪৮–১৬০০ ) – সত্যপ্রচারের অপরাধে যাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল
২৭. গ্যালিলিও গ্যালিলি (১৫৬৪-১৬৪২) – যাঁর গাণিতিক পদ্ধতি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি
২৮. লিওয়েন হুক (১৬৩২–১৭৩৩) – মুদি দোকানদার থেকে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী
২৯. আইজাক নিউটন (১৬৪২–১৭২৭) – মাধ্যাকর্ষন শক্তির আবিষ্কারক
৩০. রিচার্ড আর্করাইট (১৭৩২–১৭৯২) – আধুনিক বস্ত্রশিল্পে বৈপ্লবিক ধারা প্রবর্তক
৩১. উইলিয়াম হার্শেল (১৭৩৮–১৮২২) – ইউরেনাস গ্রহের আবিষ্কারক
৩২. লরেঁ লাভোয়সিয়ের (১৭৪৩–১৭৯৪) – রসায়নশাস্ত্রের জনক
৩৩. মাইকেল ফ্যারাডে (১৭৯১-১৮৬৭) – তাড়িত-চুম্বক বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা
৩৪. চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২) – প্রাণিজগতের বিবর্তনবাদের ব্যাখ্যাদাতা
৩৫. লুই পাস্তুর (১৮২২–১৮৯৫) – জীবাণু আর জলাতঙ্ক রোগ প্রতিষেধকের আবিষ্কারক
৩৬. আলফ্রেড নোবেল (১৮৩৩–১৮৯৬) – যাঁর নামে দেয়া হয় নোবেল পুরস্কার
৩৭. আলভা এডিসন (১৮৪৭–১৯৩১) – সর্বাধিক আবিষ্কারের জনক
৩৮. জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৫৯–১৯৩৭) – যিনি বলেছিলেন গাছেরও প্রাণ আছে
৩৯. মাদাম কুরি (১৮৬৭–১৯৩৪) – সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহিলা বিজ্ঞানী
৪০. মার্কোনি (১৮৭৪–১৯৩৭) – বেতারযন্ত্রের আবিষ্কারক
৪১. আলবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯–১৯৫৫) – আপেক্ষিক তত্ত্বের জনক
৪২. আলেকজান্ডার ফ্লেমিং (১৮৮১–১৯৫৫) – পেনিসিলিনের আবিষ্কারক
৪৩. হোমার (আনু. ৭০০-? খ্রি. পূ.) – বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দুটি মহাকাব্যের রচয়িতা
৪৪. ঈশপ (আ. কা. ৬২০–৫৬০ খ্রি. পূ.) – কালজয়ী নীতিগল্পকার
৪৫. সোফোক্লেস (আনু. ৪৯৫-৪০৬ খ্রি. পূ.) – গ্রিক ট্র্যাজেডি নাট্যধারার রূপকার
৪৬. হেরোডোটাস (আনু. ৪৮৫–৪২৫ খ্রি. পূ.) – ইতিহাসশাস্ত্রের জনক
৪৭. অ্যারিস্টোফানিস (আনু. ৪৪৪–৩৮৫ খ্রি. পূ.) – যাঁর সাহিত্যকর্মে আর্তমানবতার কথা প্রতিফলিত
৪৮. মহাকবি কালিদাস (আনু. ৫৭০-৬৫০ খ্রি.) – সংস্কৃতি সাহিত্যের অমর কবি
৪৯. লেওনার্দো দা ভিঞ্চি (১৪৫২–১৫১৯) – সর্বকালের শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী
৫০. মিকেলাঞ্জেলো (১৪৭৫–১৫৬৪) – পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্কর শিল্পী
৫১. তানসেন (১৫০৬–১৫৮৫) – কিংবদন্তির গায়ক
৫২. শেকসপিয়ার (১৫৬৪-১৬১৬) – বিশ্বসাহিত্যের কালজয়ী নাট্যকার
৫৩. ভলতেয়ার (১৬৯৪-১৭৭৮) – বিখ্যাত ফরাসি চিন্তাবিদ
৫৪. জঁ-জাক্ রুসো (১৭১২–১৭৭৮) – ফরাসি বিপ্লবের রূপকার
৫৫. লর্ড বায়রন (১৭৮৮–১৮২৪) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি
৫৬. ভিক্টর হুগো (১৮০২-১৮৮৫) – ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৭. ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন (১৮০৫–১৮৭৫) – যাঁকে বলা হয় রূপকথার জাদুকর
৫৮. চার্লস ডিকেন্স (১৮১২–১৮৭০) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৯. ওয়াল্ট হুইটম্যান (১৮১৯-১৮৯২) – মার্কিন সাহিত্যের যুগ-প্রবর্তক কবি
৬০. লিয়েফ তলস্তোয় (১৮২৮–১৯১০) – বিশ্বের মহান সাহিত্যিকদের অন্যতম
৬১. জুল ভের্ন (১৮২৮–১৯০৫) – কল্পবিজ্ঞান কাহিনীর স্রষ্টা
৬২. মার্ক টোয়েন (১৮৩৫–১৯১০) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রসস্রষ্টা
৬৩. জর্জ বার্নার্ড শ (১৮৫৬–১৯৫০) – যিনি প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন
৬৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১) – শ্রেষ্ঠ বাঙালি মনীষা, পৃথিবীর মহত্তম সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব
৬৫. ম্যাক্সিম গোর্কি (১৮৬৮–১৯৩৬) – যাঁর সাহিত্যকর্মের প্রধান উপজীব্য গণমানুষের কথা
৬৬. হেলেন কেলার (১৮৮০-১৯৬৮) – যাঁর খ্যাতিকে নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করা হতো
৬৭. আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (১৮৯৮–১৯৬১) – জীবনবাদী মার্কিন কথাসাহিত্যিক
৬৮. কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯–১৯৭৬) – বাংলার বিদ্রোহী কবি
৬৯. জর্জ ওয়াশিংটন (১৭৩২–১৭৯৯) – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৭০. নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (১৭৬৯-১৮২১) – ইতিহাসের কিংবদন্তির মহানায়ক
৭১. জুসেপ্পে গারিবলদি (১৮০৭–১৮৮২) – ইতালির জনক বলে যাঁর খ্যাতি
৭২. আব্রাহাম লিংকন (১৮০৯-১৮৬৫) – যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রীতদাসপ্রথা রহিত করেছিলেন
৭৩. অটো ফন বিসমার্ক (১৮১৫–১৮৯৮) – জার্মান সাম্রাজ্যের স্থপতি
৭৪. মহাত্মা গান্ধি (১৮৬৯–১৯৪৮) – ‘সবকো সুমতি দে ভগবান’
৭৫. কমরেড লেনিন (১৮৭০–১৯২৪) – বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা
৭৬. উইনস্টন চার্চিল (১৮৭৪–১৯৬৫) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ডাকসাইটে প্রধানমন্ত্রী
৭৭. জোসেফ স্ট্যালিন (১৮৭৯–১৯৫৩) – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়েনের ‘লৌহমানব’
৭৮. কামাল আতাতুর্ক (১৮৮১–১৯৩৮) – নব্য-তুরস্কের জনক
৭৯. ডি ভ্যালেরা (১৮৮২-১৯৭৫) – আয়ারল্যান্ডের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৮০. জওহরলাল নেহরু (১৮৮৯-১৯৬৪) – ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
৮১. আইসেনহাওয়ার (১৮৯০-১৯৬৯) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক
৮২. শার্ল দ্য গল (১৮৯০-১৯৭০) – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা
৮৩. হো-চি-মিন (১৮৯০-১৯৬৯) – ভিয়েতনামের মুক্তিদাতা পুরুষ
৮৪. মার্শাল টিটো (১৮৯২–১৯৮০) – জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা
৮৫. মাও-সে-তুং (১৮৯৫–১৯৭৬) – চীন সাধারণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা
৮৬. সুভাষচন্দ্র বসু (১৮৯৭–১৯৪৫) – ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’
৮৭. জন এফ কেনেডি (১৯১৭–১৯৬৩) – গুপ্তঘাতকের হাতে যাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছিল
৮৮. ইন্দিরা গান্ধি (১৯১৭–১৯৮৪) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
৮৯. নেলসন ম্যান্ডেলা (১৯১৮) – দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তিদাতা পুরুষ
৯০. শেখ মুজিবর রহমান (১৯২০–১৯৭৫) – বাংলাদেশের জাতির জনক
৯১. প্যাট্রিস লুমুম্বা (১৯২৫-১৯৬১) – কঙ্গোর মুক্তিদাতা পুরুষ
৯২. মার্কো পোলো (১২৫৬–১৩২৩) – দুঃসাহসিক অভিযাত্রী
৯৩. ক্রিস্টোফার কলম্বাস (আনু. ১৪৪৬-১৫০৬) – আমেরিকার আবিষ্কারক
৯৪. ডেভিড লিভিংস্টোন (১৮১৩-১৮৭৩) – আফ্রিকার আবিষ্কারক
৯৫. উইলিয়াম জোন্স (১৭৪৬–১৭৯৪) – এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৬. ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল (১৮২০–১৯১০) – আধুনিক ‘নার্সিং’ বৃত্তির অগ্রপথিক
৯৭. হেনরি ডুনান্ট (১৮২৮–১৯১০) – রেডক্রস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৮. ব্যাডেন পাওয়েল (১৮৫৭–১৯৪১) – বয়স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা
৯৯. মাদার তেরেসা (১৯১০–১৯৯৭) – প্রেম, করুণা ও ধর্মের মূর্ত প্রতিমা
১০০. অ্যাডাম স্মিথ (১৭২৩–১৭৯০) – রাজনৈতিক অর্থশাস্ত্র বিজ্ঞানের জনক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন