জঁ-জাক্ রুসো (১৭১২–১৭৭৮) – ফরাসি বিপ্লবের রূপকার

ভবেশ রায়

যাঁর কলম প্রকৃতই প্রমাণ করেছিল Pen is mighter than sword, যাঁর কলমের তীব্র বাণীধারার আঘাতে খানখান হয়ে ভেঙে পড়েছিল ফ্রান্সের রাজতন্ত্রের পাষাণ-প্রাচীর বাস্তিল দুর্গ, তিনিই আঠারো শতকের প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও দার্শনিক জঁ-জাক রুসো ( Jean Jacques Rousseau) |

রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের আদর্শে বিশ্বাসী দার্শনিক রুসো ছিলেন সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রে একান্ত বিশ্বাসী। এই বিশ্বাস ও আদর্শই তাঁকে স্বৈরতন্ত্র-বিরোধী করে তুলেছিল এবং তাঁর অগ্নিময় ভাষা আর বক্তব্য তীব্র করে তুলেছিল ফরাসি বিপ্লবকে। সারা ফ্রান্সের মানুষ তাঁর প্রদর্শিত আদর্শে উদ্যোগী হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল অত্যাচারী রাজতন্ত্রের প্রতীক বাস্তিল দুর্গের ওপর। সংঘটিত হয়েছিল বিশ্বের প্রবল প্রভাব বিস্তারকারী ঘটনা, ইতিহাসখ্যাত ফরাসি বিপ্লব।

এই মহান দার্শনিকের জন্ম সুইজারল্যান্ডের জেনেভা নগরীতে ১৭১২ সালে। শিক্ষাজীবন শেষে প্রবেশ করেছিলেন সরকারি চাকরিতে। কিন্তু মনোনিবেশ করতে পারেননি। তাই এখান থেকে ওখানে এমনি করে কয়েকবার চাকরিও বদল করেন তিনি। কিন্তু কোথাও মন টেকেনি। অবশেষে চলে যান জন্মভূমি জেনেভার বাইরে।

কিন্তু বাইরেও কোথাও মন বসল না। তিনি উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন ইউরোপের এক দেশ থেকে আরেক দেশে। তবু স্থায়ীভাবে কোথাও বসতে পারলেন না। এই উদ্দেশ্যহীন ঘোরাঘুরিতে তাঁর একটি ব্যাপারে লাভ হলো প্রচুর। বহু দেশ আর বিচিত্র মানুষের সংস্পর্শে এসে তাঁর অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার পূর্ণ হলো। আর এই বাস্তব অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান পরবর্তী সময়ে তাঁকে জুগিয়েছিল নতুন দার্শনিকচিন্তার খোরাক। তাঁর এই বিচিত্র ও বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা তিনি বর্ণনা করেছেন তাঁর আত্মচরিতমূলক গ্রন্থ ‘কনফেশন্‌স্’ (Confessions)-এ।

সারা ইউরোপে উদ্দেশ্যহীনভাবে হেঁটে বেড়ানোর সময়েই তাঁর জীবনে আসে মাদাম দ্য ওয়ারেন নামে এক সুন্দরী মহিলা। রুসো ওয়ারেনকে বিয়ে করেন। তাঁর দার্শনিক আদর্শে অনুপ্রাণিত ওয়ারেন স্বামীকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বহু চেষ্টা করেন। কিন্তু তা পারেননি। তার জন্য রুসো নিজেই দায়ী। দায়ী তাঁর চিরকালের ছন্নছাড়া আর চরে বেড়ানোর মনোভাব।

১৭৩৮ সালে রুসো একবার কঠিন অসুখে পড়েন। স্বাস্থ্যোদ্ধারের জন্য তখন তিনি অবস্থান করছিলেন আন্দিজ পর্বতমালার কাছাকাছি মন্টপেনিয়ার স্বাস্থ্যনিবাসে।

কিন্তু এখানেই ঘটে আরেক ঘটনা। তিনি এখানকার এক সুইস রমণীর প্রেমে পড়ে যান। ফলে তিনি অবহেলা করতে থাকেন সতীসাধ্বী স্ত্রী ওয়ারেনকে।

তারপর দীর্ঘদিন পরে যখন তাঁর মোহমুক্তি ঘটে, তখন তিনি আবার ফিরে যান ওয়ারেনের কাছে। কিন্তু গিয়ে দেখেন ওয়ারেন ততদিনে অন্য এক পুরুষকে নিয়ে নতুন করে সংসার পেতেছেন।

তিনি এবার ধাক্কা খেলেন সত্যিকার বাস্তবের সাথে। এবার তাঁর জীবন সম্পর্কেও হলো সত্যিকার অভিজ্ঞতা। এরপর সেখান থেকে সোজা চলে এলেন প্যারিসে। তাঁর তখন এক চিন্তা, অর্থ উপার্জন করতে হবে, প্রতিষ্ঠিত হতে হবে জীবনে। তিনি বুঝলেন, অর্থ ছাড়া জীবন অর্থহীন। অর্থোপার্জনের জন্য তিনি শুরু করলেন সাচিবিক কাজ আর সেইসাথে একটি অপেরা দলের সাথেও যুক্ত হলেন।

এরই মধ্যে তিনি থেরেসা লে ভেসিয়ার নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে সংসারও পেতে বসলেন। এই ভেসিয়ারের সাথে তিনি কাটিয়েছিলেন তাঁর জীবনের দীর্ঘ সময়।

তখন ফ্রান্সে ছিল রাজতন্ত্রের দোর্দণ্ড প্রতাপ। চারদিকে অত্যাচার-অবিচারের সীমাহীন তাণ্ডব। ইন্দ্রিয়পরায়ণ সমাজব্যবস্থা দেশের সাধারণ মানুষকে করেছিল নিপীড়িত ও নির্যাতিত। তারা মানবিক অধিকার হারিয়ে পরিণত হয়েছিল পশুতে।

এই অস্বস্তিকর পরিবেশে চিন্তা-চেতনায় স্বাধীন এবং বৈপ্লবিক মনোভাবাপন্ন রুসো জনগণকে উদ্বুদ্ধ করলেন এক নতুন দর্শনে। আর তখন থেকেই তাঁর লেখনি থেকে উৎসারিত হতে লাগল নতুন চেতনা। তিনি একটি শোষণযুক্ত গণতান্ত্রিক এবং সুন্দর সমাজব্যবস্থা গড়ার জন্য করতে লাগলেন পথনির্দেশ।

এই মহান আদর্শের ভিত্তিতেই তিনি ১৭৪৯ সালে একটি প্রবন্ধ পাঠ করেন অ্যাকাডেমি অব ডিজনে। তাঁর এই বিরুদ্ধ মতবাদসমৃদ্ধ প্রবন্ধ তৎকালীন ফ্রান্সের রাজতন্ত্রের তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়।

১৭৫০ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ডিসকোর্স্ অন দি অরিজিন ডিসইকুয়ালিটি’ (Discourse on the origin of disequality)। এই গ্রন্থে তিনি মানুষের দুঃখ-কষ্টের জন্য দায়ী করেন ধাতুর ব্যবহার ও কৃষিবিপ্লবকে। তিনি বলেন, মানবসভ্যতার অগ্রগতি এবং ব্যক্তিমালিকানাই সব সামাজিক বৈষম্যের কারণ।

রুসোর এই গ্রন্থ পাঠ করে তৎকালীন আরেক মহান ব্যক্তিত্ব ভলতেয়ার খুবই মর্মাহত হয়েছিলেন। তিনি রুসোর এই বক্তব্যের সাথে ঐকমত্য পোষণ করতে পারেননি। এই নিয়ে সমসাময়িক দুই পণ্ডিত—রুসো এবং ভলতেয়ারের মধ্যে সৃষ্টি হয় বিষম তিক্ততার। ভলতেয়ার রুসোকে বলতেন ‘পাগল’; আর রুশো ভলতেয়ারকে গাল দিতেন ‘অধর্মের ঢোলক’ বলে।

রুসোর সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থ ‘সোস্যাল কন্ট্রাক্ট’ (Social Contract) প্রকাশিত হয় ১৭৬২ সালে। এই গ্রন্থেই তিনি বলেছেন, রাষ্ট্র একটি মন্দ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু মানুষের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টির জন্য, তাদের আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য এটার প্রয়োজন আছে। তিনি আরও বলেছেন, রাষ্ট্র একটি সামাজিক চুক্তি। এই চুক্তির ফলে সমাজের সকল মানুষ তাদের অধিকারসমূহ সমাজের কাছে অর্পণ করেছে, তাই রাষ্ট্রগঠন সম্ভব হয়েছে। এই বইখানা দারুণ আলোড়ন সৃষ্টি করে।

তাঁর আরেকখানি বিখ্যাত গ্রন্থ ‘এমিলি’ প্রকাশিত হয় ১৭৬৭ সালে। বইখানি প্রকাশিত হয় ইংল্যান্ড থেকে। এটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সারা ইউরোপ জুড়ে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। ফলে ফ্রান্সের রাজা রুসোর ওপর এতই খেপে যান যে, তিনি বইখানার সমস্ত কপি পুড়িয়ে ফেলার এবং রুসোকে কারাগারে নিক্ষেপ করার আদেশ দেন।

তখন রুসো বাধ্য হয়ে দেশ থেকে পালিয়ে সুইজারল্যান্ডে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। কিন্তু সেখানেও তিনি টিকতে পারলেন না। শত্রুরা সেখানেও তাঁর পিছু নেয়। তারা তাঁকে নাস্তিক ও বিকৃতচরিত্রসম্পন্ন ব্যক্তি বলে প্রচার করতে থাকে।

এরপর এদের হাত থেকে বাঁচার জন্য তিনি পালিয়ে যান মার্টিয়াস নামের এক নিভৃত গ্রামে। সেখানেও তিনি নিশ্চুপ বসে থাকতে পারলেন না। তিনি গির্জাকে আক্রমণ করে এক জ্বালাময়ী প্রবন্ধ লিখলেন। ফলে গির্জার ধর্মগুরুরাও গেল খেপে। তাই সেখানেও তিনি টিকতে পারলেন না। চলে এলেন আবার ইংল্যান্ডে।

১৭৮২ সালে প্রকাশিত হয় রুসোর বিখ্যাত আত্মচরিতমূলক গ্রন্থ ‘কনফেশন্‌স্‌’। এই গ্রন্থে ফ্রান্সের রাজসিংহাসনের অনেক গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে পড়ায় তিনি আবারও রাজরোষের শিকার হন। তবে বইখানি জনমনে দারুণ আলোড়ন সৃষ্টি করে।

তিনি ‘লা রেভারিস’ নামেও একখানি বই লিখতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেষ করতে পারেননি। এ গ্রন্থে তিনি নিজের জীবনের নিঃসঙ্গতা এবং অসহায়ত্বের কথা বর্ণনা করেছেন।

আসলে রুসোর শেষ জীবনটা সত্যি খুব সুখের ছিল না। এই সময় তিনি শত্রুর ভয়ে সর্বক্ষণ প্রায় ভীত-সন্ত্রস্ত জীবন কাটাতেন। তাঁর কোনো নিকট আপনজনের সাথেও খুব একটা সংস্রব ছিল না তাঁর। এমনকি তাঁর নিজের প্রিয়তমা স্ত্রী মাদাম ভেসিয়ারের সঙ্গে তাঁর ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছিল।

শেষ জীবনে অনেক ব্যর্থতা, দুঃখকষ্ট আর রোগে ভুগে ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে রুসো মৃত্যুবরণ করেন সম্পূর্ণ নিঃসঙ্গ অবস্থায়। কেউ কেউ বলেন, তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। সম্ভবত তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন।

সকল অধ্যায়

১. হযরত মুহাম্মদ (দঃ) (৫৭০-৬৩২) – সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী
২. জরথুশত্র (৬২৮-৫৫১ খ্রি. পূ.) – পারশি ধর্মের প্রবর্তক
৩. বর্ধমান মহাবীর (৫৯৯–৫২৭ খ্রি. পূ.) – জৈন দর্শন ও ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা
৪. গৌতম বুদ্ধ (৫৬৩–৪৮৩ খ্রি. পূ.) – বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক
৫. কনফুসিয়াস (৫৫১–৪৭৯ খ্রি. পূ.) – চীনের প্রাচীনতম ধর্মমতবাদের প্রবর্তক
৬. সক্রেটিস (আনু. ৪৬৯–৩৯৯ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্রের আদিজনক
৭. প্লেটো (৪২৮–৩৪৭ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্র যাঁর হাতে পেয়েছিল পূর্নাঙ্গরূপ
৮. ডায়োজিনিস (৪১২–৩২২ খ্রি. পূ.) – একনিষ্ঠ জ্ঞান সাধক
৯. অ্যারিস্টটল (৩৮৪-৩২২ খ্রি. পূ.) – যুক্তিশাস্ত্রের জনক
১০. যিশু খ্রিস্ট (আনু. ৬ খ্রি. পূ.–আনু. ২৯ খ্রি.) – খ্রিস্টানধর্মের প্রবর্তক
১১. অতীশ দীপঙ্কর (৯৮২–১০৫৩) – জ্ঞানসাধক বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারক
১২. গুরু নানক (১৪৬৯–১৫৩৮) – শিখ ধর্মমতের প্রবর্তক
১৩. মার্টিন লুথার (১৪৮৩-১৫৪৬) – ধর্মের সংস্কারক এবং ‘প্রটেস্টানিজম’ মতবাদের স্রষ্টা
১৪. মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য (১৪৮৬-১৫৩৩) – বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক
১৫. রামমোহন রায় (১৭৭২–১৮৩৩) – ভারতবর্ষে নবযুগের প্রবর্তক
১৬. রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬–১৮৮৬) – ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আমি ঈশ্বরকে দর্শন করেছি’
১৭. বারট্রান্ড রাসেল (১৮৭২–১৯৭০ ) – যুদ্ধ-বিরোধী ও মানবতাবাদী দার্শনিক
১৮. থ্যালিস (আনু. ৬২৪–৫৬৫ খ্রি. পূ.) – বিজ্ঞানশাস্ত্রের আদিপুরুষ
১৯. পিথাগোরাস (আনু. ৫৮২–৫০৭ খ্রি. পূ.) – তিনি বলেছিলেন—পৃথিবী গোলাকার
২০. হিপোক্র্যাটিস (আনু: ৪৬০–৩৭০ খ্রি. পূ.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আদিজনক
২১. আর্কিমিডিস (২৮৭–২১২ খ্রি. পূ.) – ঊর্ধ্বমুখী বল সূত্রের আবিষ্কারক
২২. ক্লডিয়াস টলেমি (১০০–১৮০ খ্রি.) – জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রথম কোষগ্রন্থ প্রণেতা
২৩. ক্লডিয়াস গ্যালেন (১৩১–২০১ খ্রি.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আধুনিক পদ্ধতির আদি জনক
২৪. ইবনে সিনা (৯৮০–১০৩৭) – জ্ঞানসাধনায় কাটিয়েছিলেন সমগ্র জীবন
২৫. কোপারনিকাস (১৪৭৩–১৫৪৩) – আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানে প্ৰবক্তা
২৬. জিওর্দানো ব্রুনো (আনু. ১৫৪৮–১৬০০ ) – সত্যপ্রচারের অপরাধে যাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল
২৭. গ্যালিলিও গ্যালিলি (১৫৬৪-১৬৪২) – যাঁর গাণিতিক পদ্ধতি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি
২৮. লিওয়েন হুক (১৬৩২–১৭৩৩) – মুদি দোকানদার থেকে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী
২৯. আইজাক নিউটন (১৬৪২–১৭২৭) – মাধ্যাকর্ষন শক্তির আবিষ্কারক
৩০. রিচার্ড আর্করাইট (১৭৩২–১৭৯২) – আধুনিক বস্ত্রশিল্পে বৈপ্লবিক ধারা প্রবর্তক
৩১. উইলিয়াম হার্শেল (১৭৩৮–১৮২২) – ইউরেনাস গ্রহের আবিষ্কারক
৩২. লরেঁ লাভোয়সিয়ের (১৭৪৩–১৭৯৪) – রসায়নশাস্ত্রের জনক
৩৩. মাইকেল ফ্যারাডে (১৭৯১-১৮৬৭) – তাড়িত-চুম্বক বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা
৩৪. চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২) – প্রাণিজগতের বিবর্তনবাদের ব্যাখ্যাদাতা
৩৫. লুই পাস্তুর (১৮২২–১৮৯৫) – জীবাণু আর জলাতঙ্ক রোগ প্রতিষেধকের আবিষ্কারক
৩৬. আলফ্রেড নোবেল (১৮৩৩–১৮৯৬) – যাঁর নামে দেয়া হয় নোবেল পুরস্কার
৩৭. আলভা এডিসন (১৮৪৭–১৯৩১) – সর্বাধিক আবিষ্কারের জনক
৩৮. জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৫৯–১৯৩৭) – যিনি বলেছিলেন গাছেরও প্রাণ আছে
৩৯. মাদাম কুরি (১৮৬৭–১৯৩৪) – সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহিলা বিজ্ঞানী
৪০. মার্কোনি (১৮৭৪–১৯৩৭) – বেতারযন্ত্রের আবিষ্কারক
৪১. আলবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯–১৯৫৫) – আপেক্ষিক তত্ত্বের জনক
৪২. আলেকজান্ডার ফ্লেমিং (১৮৮১–১৯৫৫) – পেনিসিলিনের আবিষ্কারক
৪৩. হোমার (আনু. ৭০০-? খ্রি. পূ.) – বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দুটি মহাকাব্যের রচয়িতা
৪৪. ঈশপ (আ. কা. ৬২০–৫৬০ খ্রি. পূ.) – কালজয়ী নীতিগল্পকার
৪৫. সোফোক্লেস (আনু. ৪৯৫-৪০৬ খ্রি. পূ.) – গ্রিক ট্র্যাজেডি নাট্যধারার রূপকার
৪৬. হেরোডোটাস (আনু. ৪৮৫–৪২৫ খ্রি. পূ.) – ইতিহাসশাস্ত্রের জনক
৪৭. অ্যারিস্টোফানিস (আনু. ৪৪৪–৩৮৫ খ্রি. পূ.) – যাঁর সাহিত্যকর্মে আর্তমানবতার কথা প্রতিফলিত
৪৮. মহাকবি কালিদাস (আনু. ৫৭০-৬৫০ খ্রি.) – সংস্কৃতি সাহিত্যের অমর কবি
৪৯. লেওনার্দো দা ভিঞ্চি (১৪৫২–১৫১৯) – সর্বকালের শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী
৫০. মিকেলাঞ্জেলো (১৪৭৫–১৫৬৪) – পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্কর শিল্পী
৫১. তানসেন (১৫০৬–১৫৮৫) – কিংবদন্তির গায়ক
৫২. শেকসপিয়ার (১৫৬৪-১৬১৬) – বিশ্বসাহিত্যের কালজয়ী নাট্যকার
৫৩. ভলতেয়ার (১৬৯৪-১৭৭৮) – বিখ্যাত ফরাসি চিন্তাবিদ
৫৪. জঁ-জাক্ রুসো (১৭১২–১৭৭৮) – ফরাসি বিপ্লবের রূপকার
৫৫. লর্ড বায়রন (১৭৮৮–১৮২৪) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি
৫৬. ভিক্টর হুগো (১৮০২-১৮৮৫) – ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৭. ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন (১৮০৫–১৮৭৫) – যাঁকে বলা হয় রূপকথার জাদুকর
৫৮. চার্লস ডিকেন্স (১৮১২–১৮৭০) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৯. ওয়াল্ট হুইটম্যান (১৮১৯-১৮৯২) – মার্কিন সাহিত্যের যুগ-প্রবর্তক কবি
৬০. লিয়েফ তলস্তোয় (১৮২৮–১৯১০) – বিশ্বের মহান সাহিত্যিকদের অন্যতম
৬১. জুল ভের্ন (১৮২৮–১৯০৫) – কল্পবিজ্ঞান কাহিনীর স্রষ্টা
৬২. মার্ক টোয়েন (১৮৩৫–১৯১০) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রসস্রষ্টা
৬৩. জর্জ বার্নার্ড শ (১৮৫৬–১৯৫০) – যিনি প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন
৬৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১) – শ্রেষ্ঠ বাঙালি মনীষা, পৃথিবীর মহত্তম সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব
৬৫. ম্যাক্সিম গোর্কি (১৮৬৮–১৯৩৬) – যাঁর সাহিত্যকর্মের প্রধান উপজীব্য গণমানুষের কথা
৬৬. হেলেন কেলার (১৮৮০-১৯৬৮) – যাঁর খ্যাতিকে নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করা হতো
৬৭. আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (১৮৯৮–১৯৬১) – জীবনবাদী মার্কিন কথাসাহিত্যিক
৬৮. কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯–১৯৭৬) – বাংলার বিদ্রোহী কবি
৬৯. জর্জ ওয়াশিংটন (১৭৩২–১৭৯৯) – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৭০. নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (১৭৬৯-১৮২১) – ইতিহাসের কিংবদন্তির মহানায়ক
৭১. জুসেপ্পে গারিবলদি (১৮০৭–১৮৮২) – ইতালির জনক বলে যাঁর খ্যাতি
৭২. আব্রাহাম লিংকন (১৮০৯-১৮৬৫) – যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রীতদাসপ্রথা রহিত করেছিলেন
৭৩. অটো ফন বিসমার্ক (১৮১৫–১৮৯৮) – জার্মান সাম্রাজ্যের স্থপতি
৭৪. মহাত্মা গান্ধি (১৮৬৯–১৯৪৮) – ‘সবকো সুমতি দে ভগবান’
৭৫. কমরেড লেনিন (১৮৭০–১৯২৪) – বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা
৭৬. উইনস্টন চার্চিল (১৮৭৪–১৯৬৫) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ডাকসাইটে প্রধানমন্ত্রী
৭৭. জোসেফ স্ট্যালিন (১৮৭৯–১৯৫৩) – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়েনের ‘লৌহমানব’
৭৮. কামাল আতাতুর্ক (১৮৮১–১৯৩৮) – নব্য-তুরস্কের জনক
৭৯. ডি ভ্যালেরা (১৮৮২-১৯৭৫) – আয়ারল্যান্ডের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৮০. জওহরলাল নেহরু (১৮৮৯-১৯৬৪) – ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
৮১. আইসেনহাওয়ার (১৮৯০-১৯৬৯) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক
৮২. শার্ল দ্য গল (১৮৯০-১৯৭০) – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা
৮৩. হো-চি-মিন (১৮৯০-১৯৬৯) – ভিয়েতনামের মুক্তিদাতা পুরুষ
৮৪. মার্শাল টিটো (১৮৯২–১৯৮০) – জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা
৮৫. মাও-সে-তুং (১৮৯৫–১৯৭৬) – চীন সাধারণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা
৮৬. সুভাষচন্দ্র বসু (১৮৯৭–১৯৪৫) – ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’
৮৭. জন এফ কেনেডি (১৯১৭–১৯৬৩) – গুপ্তঘাতকের হাতে যাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছিল
৮৮. ইন্দিরা গান্ধি (১৯১৭–১৯৮৪) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
৮৯. নেলসন ম্যান্ডেলা (১৯১৮) – দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তিদাতা পুরুষ
৯০. শেখ মুজিবর রহমান (১৯২০–১৯৭৫) – বাংলাদেশের জাতির জনক
৯১. প্যাট্রিস লুমুম্বা (১৯২৫-১৯৬১) – কঙ্গোর মুক্তিদাতা পুরুষ
৯২. মার্কো পোলো (১২৫৬–১৩২৩) – দুঃসাহসিক অভিযাত্রী
৯৩. ক্রিস্টোফার কলম্বাস (আনু. ১৪৪৬-১৫০৬) – আমেরিকার আবিষ্কারক
৯৪. ডেভিড লিভিংস্টোন (১৮১৩-১৮৭৩) – আফ্রিকার আবিষ্কারক
৯৫. উইলিয়াম জোন্স (১৭৪৬–১৭৯৪) – এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৬. ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল (১৮২০–১৯১০) – আধুনিক ‘নার্সিং’ বৃত্তির অগ্রপথিক
৯৭. হেনরি ডুনান্ট (১৮২৮–১৯১০) – রেডক্রস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৮. ব্যাডেন পাওয়েল (১৮৫৭–১৯৪১) – বয়স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা
৯৯. মাদার তেরেসা (১৯১০–১৯৯৭) – প্রেম, করুণা ও ধর্মের মূর্ত প্রতিমা
১০০. অ্যাডাম স্মিথ (১৭২৩–১৭৯০) – রাজনৈতিক অর্থশাস্ত্র বিজ্ঞানের জনক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন