জুসেপ্পে গারিবলদি (১৮০৭–১৮৮২) – ইতালির জনক বলে যাঁর খ্যাতি

ভবেশ রায়

ইতালির জনক বলে যাঁর পরিচিতি, সেই মহান নেতা জুসেপ্পে গারিবলদি (Giuseppe Gariboldi) কী পরিমাণ জনপ্রিয় ছিলেন সত্যিকার অর্থেই তা এক বিস্ময়কর গল্প।

১৮৮২ সালের ৩ জুন যেদিন তাঁর অকস্মাৎ মৃত্যু হয়, সেদিন সমগ্ৰ দেশ মুহূর্তে থমকে গিয়েছিল। গারিবলদির মৃত্যুসংবাদ যখন ইতালির রাজধানী রোমে পৌঁছয় তখন নাট্যশালার নৃত্যগীত, পথঘাটে চলন্ত সমস্ত যানবাহন, সরকারি-বেসরকারি সমস্ত কর্মশালা এবং জীবনযাত্রা মুহূর্তে থেমে গিয়েছিল।

নাট্যশালার অধ্যক্ষ সমবেত দর্শকবৃন্দকে এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিনয় স্থগিত রাখার ঘোষণা দিতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে শোকে এমনই বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন যে, তিনি কি বলবেন তা-ই স্মরণ করতে পারছিলেন না, তাঁর বাক্য স্ফুরিত হচ্ছিল না। তিনি নিজেই স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিলেন।

ইতালির জাতির জনক গারিবলদির জন্ম একেবারেই এক গরিব পরিবারে ১৮০৭ সালের ২২ জুলাই। অথচ এই সাধারণ ঘরের সন্তানই একদিন আপন কৃতিত্বে, শৌর্যবীর্যে আরোহণ করেছিলেন দেশের সম্মানের সর্বোচ্চ শিখরে এবং স্বদেশ ইতালিকে অস্ট্রিয়ার শৃঙ্খলমুক্ত করে এনে দিয়েছিলেন মুক্তির স্বাদ।

বাল্যে গারিবলদির পিতামাতা এতটাই গরিব ছিলেন যে, তাঁরা শুধু অর্থের অভাবে সন্তানের সুশিক্ষার ব্যবস্থাও করতে পারেননি। তাই উচ্চশিক্ষা লাভ করা গরিবালদির হয়নি। ফলে বিদ্যালয়ের পাঠ ছেড়ে দিয়ে তিনি অল্পবয়সেই ঢুকে পড়েছিলেন নৌবাহিনীতে এবং ওই বয়সেই সাহস ও ধৈর্যের জন্য অর্জন করেছিলেন প্রচুর খ্যাতি। বাল্যকাল থেকেই তাঁর ছিল বড় হবার দুর্বার আকাঙ্ক্ষা, আর ছিল দেশপ্ৰেম।

যে সময়কার কথা, তখন ইতালি ছিল পার্শ্ববর্তী বড় দেশ অস্ট্রিয়ার অধিকারে অস্ট্রিয়া চাইত ইতালিকে বিচ্ছিন্ন আর দুর্বল করে রাখতে। অস্ট্রিয়ার এই করাল গ্রাস থেকে স্বদেশভূমিকে মুক্ত করার প্রবল আকাঙ্ক্ষা ছিল গারিবলদির।

এই সময়ই ইতালিতে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে একটি জাতীয় অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। ইতালির জেনোয়াতে যে-কজন দেশপ্রেমিক বিপ্লবী এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন, গারিবলদিও ছিলেন তাঁদের অন্যতম। কিন্তু দুর্ভাগ্য, এই বিপ্লব সফল হয়নি। এই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পরিণামে তাঁদের ওপরেও নেমে আসে চরম দুর্যোগ। গারিবলদি অন্যদের সাথে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। কিন্তু তিনি আত্মসমর্পণ না করে। গোপনে পালিয়ে গেলেন ফ্রান্সে।

সেই সময়টাই ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় এবং দুঃসাহসিক নানা ঘটনায় পরিপূর্ণ। আত্মগোপন করার জন্য তাঁকে সর্বক্ষণ থাকতে হতো ছদ্মবেশে। নানা নামে, নানা মূর্তি ও নানা পরিচয়ে। অবশেষে মার্সেইতে এসে জুটল কিছুটা নিরাপদ আশ্রয়। এখানে আসার পর তাঁর পরিচয় হয় ইতালির আরেক রাজনীতিবিদ মাতসিনির সাথে।

মাতসিনির সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকে তাঁর জীবন আরেক নতুন দিকে মোড় নিতে শুরু করে। গারিবলদি মাতসিনির অনুপ্রেরণা এবং উদ্যোগেই নব্য-ইতালি গোষ্ঠীর সাথে মিশে গেলেন। এই গোষ্ঠীটিই মাতৃভূমি ইতালিকে অস্ট্রিয়ার আধিপত্যের নাগপাশ থেকে মুক্ত করার এবং দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল।

এই সময় তিনি বাল্যশিক্ষার দৈন্যও কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করেন। তিনি দুবছর ধরে অঙ্ক ও বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে পারদর্শিতা লাভ করেন।

এর পরপরই কার্যক্ষেত্রে নেমে পড়ার প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য মিশরীয় একটি যুদ্ধ- জাহাজে চাকরি নিয়ে মার্সেই থেকে চলে যান তিউনিসিয়ায়। কিন্তু স্বদেশমুক্তির যে বৃহত্তর আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তিনি তিউনিসিয়ায় গিয়েছিলেন, তা হলো না। ফলে তিউনিসিয়া ত্যাগ করে তিনি রিও ডি জেনেইরোতে চলে যান।

রিও ডি জেনেইরো এসময় সাধারণতন্ত্রে পরিণত হয়েছিল। তিনি এই নবপ্রতিষ্ঠিত সাধারণতন্ত্রের অধীনে চাকরি গ্রহণ করেন। ঠিক এই সময় বুয়েনস আইরেসের সাথে সাধারণতন্ত্রের যুদ্ধ বাধে। সাধারণতন্ত্র গারিবলদিকে নৌসেনার অধিনায়কত্ব দান করে। যুদ্ধে তিনি এমন অভাবনীয় সব কৃতিত্ব প্রদর্শন করতে লাগলেন যে, অনেকের ধারণা হতে হলো তিনি হয়তো কোনো মানুষ নন, অলৌকিক শক্তির অধিকারী কোনো অতিমানব। যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি নির্ভীক চিত্তে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে লাগলেন। অথচ আলৌকিকভাবে তাঁর রক্ষা পাওয়ার ব্যাপারটি দেখেই লোক ধারণা হতো।

১৮৪৮ সালে ইতালিতে সংঘটিত হয় আরেকটি বিপ্লব। এই বিপ্লবই গারিবলদিকে আবার স্বদেশে ফেরার সুযোগ করে দেয়। কিন্তু এবারেও তাঁর পক্ষে দেশে থাকা সম্ভব হলো না। তিনি স্বদেশপ্রেমিক স্বেচ্ছাসেবী যুবকদের নিয়ে সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিলেন। কয়েকটি খণ্ডযুদ্ধে জয়ীও হয়েছিলেন। কিন্তু শেষে কতিপয় সহচরের বিশ্বাসঘাতকতা এবং প্রয়োজনীয় সাহায্যের অভাবে তিনি একটি যুদ্ধে হেরে যান। ফলে আবার দেশ ছেড়ে পালাতে হয় তাঁকে।

তিনি ইউরোপ ছেড়ে অবার চলে যান আমেরিকায়। সেখানে নানা তৎপরতার পাশাপাশি প্রতীক্ষা করতে থাকেন স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সুযোগের। এমন সময় দক্ষিণ আমেরিকার পেরুতে বেধে যায় যুদ্ধ। পেরুর সরকার গারিবলদিকে বরণ করে নেয় তাদের সেনাপতির পদে।

পেরুর যুদ্ধ থেমে যাওয়ার পর তিনি পরিবার-পরিজনসহ চলে যান ক্যাপরেরা দ্বীপে। এখানে তিনি প্রায় পাঁচ বছর অজ্ঞাতবাসে কাটান। রণক্ষেত্র ছেড়ে আত্মনিয়োগ করেন কৃষিকাজে।

এই সময় আবার ইতালিতে শুরু হলো জাতীয় জাগরণ সম্পৃক্ত আলোড়ন। দাসত্বের শৃঙ্খলে অবরুদ্ধ ইতালিবাসী আবার মুক্তির আশায় মাথা তুলে দাঁড়ায় অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে। গারিবলদির হৃদয় আবার শুনতে পেল মুক্তিপাগল স্বদেশবাসীর ডাক। তিনি ক্যাপরেরার নিরিবিলি শান্তির নীড় ছেড়ে আবার এলেন স্বাধীনতার রণাঙ্গনে।

ইতালি উদ্ধারের জন্য প্রকৃতিই যেন তাঁকে জাতীয় নেতা করে পাঠিয়েছিলেন। তাই জাতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় সমগ্র ইতালিবাসী একবাক্যে তাঁকে তাঁদের সেনাপতি হিসেবে বরণ করে নিল। এরপর গারিবলদির নেতৃত্বেই নেপস্ এবং সিসিলিতে বিদ্রোহ হলো। তাঁর অনুগত হাজার হাজার দেশপ্রেমিক রেড শার্ট (Red Shirt) নামধারী সৈনিকদল সিসিলিতে অসামান্য কৃতিত্ব দেখাল। ফরাসি বংশোদ্ভূত রাজারা এ দুটো রাজ্যে রাজত্ব করছিলেন। গারিবলদির কাছে তাঁড়া খেয়ে তারা পালিয়ে গেলেন।

অল্পদিনের মধ্যেই ইতালির সব কটি রাজ্য একসাথে মিলিত হল এবং দ্বিতীয় ভিক্টর ইমানুয়েলকে ইতালির সমস্ত লোক রাজা বলে মেনে নিল। মূলত গারিবলদিই তাঁকে এই মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করলেন।

এই বিজয়ের মুহূর্তে গারিবলদির জনপ্রিয়তা ও দেশের ওপর তাঁর প্রভাব ছিল অপরিসীম। তিনি ইচ্ছে করলেই তখন নিজেকে সমগ্র ইতালির সমাট বলে ঘোষণা করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। এই নিংস্বার্থ মহান দেশপ্রেমিক সমস্ত ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে আবার ফিরে এলেন তাঁর সিসিলি দ্বীপের নির্জনবাসে। এমন নিস্বার্থ বীর আর দেশপ্রেমিকের দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে সত্যি বিরল।

শুধু তা-ই নয়, সম্রাট ভিক্টর ইমানুয়েলও তাঁকে অনেক পুরস্কার, পদ ও সম্মান দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেসবের কিছুই গ্রহণ করেননি।

সবকিছু প্রত্যাখ্যান করেও তিনি পেয়েছেন দেশবাসীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। আজ ইতালির প্রতিটি নাগরিকের মনের সিংহাসনে গারিবলদি এক রূপকথার মহান নায়কের আসনে আসীন।

সকল অধ্যায়

১. হযরত মুহাম্মদ (দঃ) (৫৭০-৬৩২) – সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী
২. জরথুশত্র (৬২৮-৫৫১ খ্রি. পূ.) – পারশি ধর্মের প্রবর্তক
৩. বর্ধমান মহাবীর (৫৯৯–৫২৭ খ্রি. পূ.) – জৈন দর্শন ও ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা
৪. গৌতম বুদ্ধ (৫৬৩–৪৮৩ খ্রি. পূ.) – বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক
৫. কনফুসিয়াস (৫৫১–৪৭৯ খ্রি. পূ.) – চীনের প্রাচীনতম ধর্মমতবাদের প্রবর্তক
৬. সক্রেটিস (আনু. ৪৬৯–৩৯৯ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্রের আদিজনক
৭. প্লেটো (৪২৮–৩৪৭ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্র যাঁর হাতে পেয়েছিল পূর্নাঙ্গরূপ
৮. ডায়োজিনিস (৪১২–৩২২ খ্রি. পূ.) – একনিষ্ঠ জ্ঞান সাধক
৯. অ্যারিস্টটল (৩৮৪-৩২২ খ্রি. পূ.) – যুক্তিশাস্ত্রের জনক
১০. যিশু খ্রিস্ট (আনু. ৬ খ্রি. পূ.–আনু. ২৯ খ্রি.) – খ্রিস্টানধর্মের প্রবর্তক
১১. অতীশ দীপঙ্কর (৯৮২–১০৫৩) – জ্ঞানসাধক বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারক
১২. গুরু নানক (১৪৬৯–১৫৩৮) – শিখ ধর্মমতের প্রবর্তক
১৩. মার্টিন লুথার (১৪৮৩-১৫৪৬) – ধর্মের সংস্কারক এবং ‘প্রটেস্টানিজম’ মতবাদের স্রষ্টা
১৪. মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য (১৪৮৬-১৫৩৩) – বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক
১৫. রামমোহন রায় (১৭৭২–১৮৩৩) – ভারতবর্ষে নবযুগের প্রবর্তক
১৬. রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬–১৮৮৬) – ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আমি ঈশ্বরকে দর্শন করেছি’
১৭. বারট্রান্ড রাসেল (১৮৭২–১৯৭০ ) – যুদ্ধ-বিরোধী ও মানবতাবাদী দার্শনিক
১৮. থ্যালিস (আনু. ৬২৪–৫৬৫ খ্রি. পূ.) – বিজ্ঞানশাস্ত্রের আদিপুরুষ
১৯. পিথাগোরাস (আনু. ৫৮২–৫০৭ খ্রি. পূ.) – তিনি বলেছিলেন—পৃথিবী গোলাকার
২০. হিপোক্র্যাটিস (আনু: ৪৬০–৩৭০ খ্রি. পূ.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আদিজনক
২১. আর্কিমিডিস (২৮৭–২১২ খ্রি. পূ.) – ঊর্ধ্বমুখী বল সূত্রের আবিষ্কারক
২২. ক্লডিয়াস টলেমি (১০০–১৮০ খ্রি.) – জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রথম কোষগ্রন্থ প্রণেতা
২৩. ক্লডিয়াস গ্যালেন (১৩১–২০১ খ্রি.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আধুনিক পদ্ধতির আদি জনক
২৪. ইবনে সিনা (৯৮০–১০৩৭) – জ্ঞানসাধনায় কাটিয়েছিলেন সমগ্র জীবন
২৫. কোপারনিকাস (১৪৭৩–১৫৪৩) – আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানে প্ৰবক্তা
২৬. জিওর্দানো ব্রুনো (আনু. ১৫৪৮–১৬০০ ) – সত্যপ্রচারের অপরাধে যাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল
২৭. গ্যালিলিও গ্যালিলি (১৫৬৪-১৬৪২) – যাঁর গাণিতিক পদ্ধতি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি
২৮. লিওয়েন হুক (১৬৩২–১৭৩৩) – মুদি দোকানদার থেকে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী
২৯. আইজাক নিউটন (১৬৪২–১৭২৭) – মাধ্যাকর্ষন শক্তির আবিষ্কারক
৩০. রিচার্ড আর্করাইট (১৭৩২–১৭৯২) – আধুনিক বস্ত্রশিল্পে বৈপ্লবিক ধারা প্রবর্তক
৩১. উইলিয়াম হার্শেল (১৭৩৮–১৮২২) – ইউরেনাস গ্রহের আবিষ্কারক
৩২. লরেঁ লাভোয়সিয়ের (১৭৪৩–১৭৯৪) – রসায়নশাস্ত্রের জনক
৩৩. মাইকেল ফ্যারাডে (১৭৯১-১৮৬৭) – তাড়িত-চুম্বক বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা
৩৪. চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২) – প্রাণিজগতের বিবর্তনবাদের ব্যাখ্যাদাতা
৩৫. লুই পাস্তুর (১৮২২–১৮৯৫) – জীবাণু আর জলাতঙ্ক রোগ প্রতিষেধকের আবিষ্কারক
৩৬. আলফ্রেড নোবেল (১৮৩৩–১৮৯৬) – যাঁর নামে দেয়া হয় নোবেল পুরস্কার
৩৭. আলভা এডিসন (১৮৪৭–১৯৩১) – সর্বাধিক আবিষ্কারের জনক
৩৮. জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৫৯–১৯৩৭) – যিনি বলেছিলেন গাছেরও প্রাণ আছে
৩৯. মাদাম কুরি (১৮৬৭–১৯৩৪) – সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহিলা বিজ্ঞানী
৪০. মার্কোনি (১৮৭৪–১৯৩৭) – বেতারযন্ত্রের আবিষ্কারক
৪১. আলবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯–১৯৫৫) – আপেক্ষিক তত্ত্বের জনক
৪২. আলেকজান্ডার ফ্লেমিং (১৮৮১–১৯৫৫) – পেনিসিলিনের আবিষ্কারক
৪৩. হোমার (আনু. ৭০০-? খ্রি. পূ.) – বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দুটি মহাকাব্যের রচয়িতা
৪৪. ঈশপ (আ. কা. ৬২০–৫৬০ খ্রি. পূ.) – কালজয়ী নীতিগল্পকার
৪৫. সোফোক্লেস (আনু. ৪৯৫-৪০৬ খ্রি. পূ.) – গ্রিক ট্র্যাজেডি নাট্যধারার রূপকার
৪৬. হেরোডোটাস (আনু. ৪৮৫–৪২৫ খ্রি. পূ.) – ইতিহাসশাস্ত্রের জনক
৪৭. অ্যারিস্টোফানিস (আনু. ৪৪৪–৩৮৫ খ্রি. পূ.) – যাঁর সাহিত্যকর্মে আর্তমানবতার কথা প্রতিফলিত
৪৮. মহাকবি কালিদাস (আনু. ৫৭০-৬৫০ খ্রি.) – সংস্কৃতি সাহিত্যের অমর কবি
৪৯. লেওনার্দো দা ভিঞ্চি (১৪৫২–১৫১৯) – সর্বকালের শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী
৫০. মিকেলাঞ্জেলো (১৪৭৫–১৫৬৪) – পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্কর শিল্পী
৫১. তানসেন (১৫০৬–১৫৮৫) – কিংবদন্তির গায়ক
৫২. শেকসপিয়ার (১৫৬৪-১৬১৬) – বিশ্বসাহিত্যের কালজয়ী নাট্যকার
৫৩. ভলতেয়ার (১৬৯৪-১৭৭৮) – বিখ্যাত ফরাসি চিন্তাবিদ
৫৪. জঁ-জাক্ রুসো (১৭১২–১৭৭৮) – ফরাসি বিপ্লবের রূপকার
৫৫. লর্ড বায়রন (১৭৮৮–১৮২৪) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি
৫৬. ভিক্টর হুগো (১৮০২-১৮৮৫) – ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৭. ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন (১৮০৫–১৮৭৫) – যাঁকে বলা হয় রূপকথার জাদুকর
৫৮. চার্লস ডিকেন্স (১৮১২–১৮৭০) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৯. ওয়াল্ট হুইটম্যান (১৮১৯-১৮৯২) – মার্কিন সাহিত্যের যুগ-প্রবর্তক কবি
৬০. লিয়েফ তলস্তোয় (১৮২৮–১৯১০) – বিশ্বের মহান সাহিত্যিকদের অন্যতম
৬১. জুল ভের্ন (১৮২৮–১৯০৫) – কল্পবিজ্ঞান কাহিনীর স্রষ্টা
৬২. মার্ক টোয়েন (১৮৩৫–১৯১০) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রসস্রষ্টা
৬৩. জর্জ বার্নার্ড শ (১৮৫৬–১৯৫০) – যিনি প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন
৬৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১) – শ্রেষ্ঠ বাঙালি মনীষা, পৃথিবীর মহত্তম সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব
৬৫. ম্যাক্সিম গোর্কি (১৮৬৮–১৯৩৬) – যাঁর সাহিত্যকর্মের প্রধান উপজীব্য গণমানুষের কথা
৬৬. হেলেন কেলার (১৮৮০-১৯৬৮) – যাঁর খ্যাতিকে নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করা হতো
৬৭. আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (১৮৯৮–১৯৬১) – জীবনবাদী মার্কিন কথাসাহিত্যিক
৬৮. কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯–১৯৭৬) – বাংলার বিদ্রোহী কবি
৬৯. জর্জ ওয়াশিংটন (১৭৩২–১৭৯৯) – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৭০. নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (১৭৬৯-১৮২১) – ইতিহাসের কিংবদন্তির মহানায়ক
৭১. জুসেপ্পে গারিবলদি (১৮০৭–১৮৮২) – ইতালির জনক বলে যাঁর খ্যাতি
৭২. আব্রাহাম লিংকন (১৮০৯-১৮৬৫) – যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রীতদাসপ্রথা রহিত করেছিলেন
৭৩. অটো ফন বিসমার্ক (১৮১৫–১৮৯৮) – জার্মান সাম্রাজ্যের স্থপতি
৭৪. মহাত্মা গান্ধি (১৮৬৯–১৯৪৮) – ‘সবকো সুমতি দে ভগবান’
৭৫. কমরেড লেনিন (১৮৭০–১৯২৪) – বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা
৭৬. উইনস্টন চার্চিল (১৮৭৪–১৯৬৫) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ডাকসাইটে প্রধানমন্ত্রী
৭৭. জোসেফ স্ট্যালিন (১৮৭৯–১৯৫৩) – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়েনের ‘লৌহমানব’
৭৮. কামাল আতাতুর্ক (১৮৮১–১৯৩৮) – নব্য-তুরস্কের জনক
৭৯. ডি ভ্যালেরা (১৮৮২-১৯৭৫) – আয়ারল্যান্ডের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৮০. জওহরলাল নেহরু (১৮৮৯-১৯৬৪) – ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
৮১. আইসেনহাওয়ার (১৮৯০-১৯৬৯) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক
৮২. শার্ল দ্য গল (১৮৯০-১৯৭০) – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা
৮৩. হো-চি-মিন (১৮৯০-১৯৬৯) – ভিয়েতনামের মুক্তিদাতা পুরুষ
৮৪. মার্শাল টিটো (১৮৯২–১৯৮০) – জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা
৮৫. মাও-সে-তুং (১৮৯৫–১৯৭৬) – চীন সাধারণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা
৮৬. সুভাষচন্দ্র বসু (১৮৯৭–১৯৪৫) – ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’
৮৭. জন এফ কেনেডি (১৯১৭–১৯৬৩) – গুপ্তঘাতকের হাতে যাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছিল
৮৮. ইন্দিরা গান্ধি (১৯১৭–১৯৮৪) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
৮৯. নেলসন ম্যান্ডেলা (১৯১৮) – দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তিদাতা পুরুষ
৯০. শেখ মুজিবর রহমান (১৯২০–১৯৭৫) – বাংলাদেশের জাতির জনক
৯১. প্যাট্রিস লুমুম্বা (১৯২৫-১৯৬১) – কঙ্গোর মুক্তিদাতা পুরুষ
৯২. মার্কো পোলো (১২৫৬–১৩২৩) – দুঃসাহসিক অভিযাত্রী
৯৩. ক্রিস্টোফার কলম্বাস (আনু. ১৪৪৬-১৫০৬) – আমেরিকার আবিষ্কারক
৯৪. ডেভিড লিভিংস্টোন (১৮১৩-১৮৭৩) – আফ্রিকার আবিষ্কারক
৯৫. উইলিয়াম জোন্স (১৭৪৬–১৭৯৪) – এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৬. ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল (১৮২০–১৯১০) – আধুনিক ‘নার্সিং’ বৃত্তির অগ্রপথিক
৯৭. হেনরি ডুনান্ট (১৮২৮–১৯১০) – রেডক্রস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৮. ব্যাডেন পাওয়েল (১৮৫৭–১৯৪১) – বয়স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা
৯৯. মাদার তেরেসা (১৯১০–১৯৯৭) – প্রেম, করুণা ও ধর্মের মূর্ত প্রতিমা
১০০. অ্যাডাম স্মিথ (১৭২৩–১৭৯০) – রাজনৈতিক অর্থশাস্ত্র বিজ্ঞানের জনক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন