জওহরলাল নেহরু (১৮৮৯-১৯৬৪) – ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী

ভবেশ রায়

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা পুরুষ, যিনি স্বাধীনতা উত্তরকালে স্বীয় শিক্ষাদীক্ষা, প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি ও জীবনদর্শনের সঞ্জীবনী শক্তিতে ভারতের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেই মহান পুরুষের নাম পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। পরাধীনতার গ্লানি বহন করে ভারতবর্ষ যখন মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে,তার হাত থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করার জন্য যে কয়জন ক্ষণজন্মা মহান পুরুষ নিরলস আত্মত্যাগ, তাঁদের মেধা ও মনন দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন ভারতের মাটিকে, তিনি ছিলেন তাঁদের অন্যতম।

রবীন্দ্রনাথ তাঁর সম্পর্কে বলেছেন, নেহরু যৌবনের মূর্ত প্রতীক। সত্যিকার অর্থে সারা জীবনই তিনি ছিলেন চিরবসন্তের উজ্জ্বল প্রতীক। অসামান্য প্রতিভা, অমায়িক ব্যবহার, নির্মল আদর্শনিষ্ঠা এবং বিশ্বজনীন প্রীতি তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বের আসনে।

জওহরলাল নেহরুর জন্ম ১৮৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর ভারতের এলাহাবাদে। পিতা ছিলেন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী ও প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ পণ্ডিত মতিলাল নেহরু। মাতা ছিলেন স্বরূপরাণী।

একেবারে প্রথম থেকেই পাশ্চাত্য পরিবেশে শিক্ষাজীবন শুরু হয় নেহরুর। জনৈক আইনবিদের কাছে হয় তাঁর শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি। তারপর ১৯০৫ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে মা-বাবার সাথে চলে যান বিলেতে। সেখানে তিনি হ্যারো নামে বিখ্যাত এক স্কুলে ভর্তি হন। পরে ১৯০৭ সালে কেম্ব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি হন। এই কলেজে তিনি প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে ট্রাইপস নিয়ে রসায়ন, ভূবিদ্যা ও উদ্ভিদবিদ্যায় তিন বছর পড়াশোনা করেন এবং ১৯১০ সালে ট্রাইপস-এ অনার্সসহ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি আইন অধ্যয়ন করার জন্য বার-এ ভর্তি হন। ১৯১২ সালে ইনার টেম্পল থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে স্বদেশে প্রত্যবর্তন করেন।

স্বদেশে ফিরে আইনব্যবসা শুরু করলেও তিনি অচিরেই রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়েন। পরাধীন দেশকে মুক্ত করার সংগ্রাম তাঁকে ডাক দিয়ে যায়। তিনি সাড়া দেন দেশের ডাকে।

১৯১২ সালেই তিনি কংগ্রেসের বাঁকিপুর অধিবেশনে এবং পরের বছর ১৯১৩ সালে যুক্তপ্রদেশ কংগ্রেসে যোগদান করেন। ১৯১৫ সালে সরকারের সংবাদপত্রের ওপর দমননীতির প্রতিবাদে তিনি সর্বপ্রথম এলাহাবাদে বক্তৃতা করেন। সেটাই ছিল তাঁর জীবনের প্রথম বক্তৃতা। তিনি ১৯১৬ সালে কমলা কাউরের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই বছরেই তাঁর জীবনে ঘটে সবচাইতে উল্লেখযোগ্য ঘটনা। কাশ্মির কংগ্রেসে সর্বপ্রথম মহাত্মা গান্ধির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। গান্ধি তখন দক্ষিণ আফ্রিকায় অহিংস সত্যাগ্রহ আন্দোলনে সফলকাম হয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছেন। ঠিক সেই সময়েই লখনউ কংগ্রেসে তাঁর সঙ্গে জওহরলাল নেহরুর সাক্ষাৎ ঘটে। তিনি মহাত্মার বিশাল ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হন। তিনি সার্বিকভাবে অনুপ্রাণিত হন গান্ধির আদর্শে।

এর পর থেকেই তাঁর জীবন শুরু হয় নতুন পর্যায়ে। ১৯২১ সালে তিনি ইংল্যান্ডের যুবরাজ ও ভারতের ভাবী সম্রাট প্রিন্স অব ওয়েস্-এর ভারতভ্রমণ উপলক্ষে হরতাল আহ্বান করেন। এই অপরাধে জওহরলাল ও তাঁর পিতা মতিলাল নেহরু দুজনেই কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন। তিনি ১৯২২ সালেও বিলাতি পণ্য বর্জন আন্দোলন পরিচালনা করার অভিযোগে কারাবরণ করেন।

১৯২৩ সালে তিনি নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯২৯ সালে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন।

১৯৩০ সালে তাঁকে লবণ সত্যাগ্রহে যোগদানের অভিযোগে ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়। এর পরও ১৯৩১ সালে এলাহাবাদ পরিত্যাগ না করার এবং কৃষক সম্মেলনে যোগদানের অপরাধে দুবছর, ১৯৩৪ সালে কলকাতায় তথাকথিত রাষ্ট্র বিরোধী বক্তৃতাদানের অভিযোগে দু’বছর, ১৯৪০ সালে সত্যাগহে যোগদানের অভিযোগে দুবছর এবং ১৯৪২ সালে ভারত ছাড় আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধির সঙ্গে প্রায় তিন বছর কারাদণ্ড ভোগ করেন। এই সময় জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও কারাবাসজনিত তাঁর এই দুর্ভোগ ও ত্যাগই জনমানসে তাঁকে শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত করে।

১৯৪৫ সালে তিনি জেল থেকে মুক্তি লাভ করেন। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটেছে। নেতাজির নেতৃত্বে গঠিত আজাদ হিন্দ ফৌজের বন্দি সৈনিকদের লালকেল্লায় বিচার চলছে। এই দেশপ্রেমিক সৈনিকদের পক্ষ নেওয়ার জন্যই সুদীর্ঘকাল পরে পুনরায় আইনজীবীর পোশাক পরেন তিনি।

এর আগে তিনি ১৯৩৪ সালে বিহারে সংঘটিত প্রচণ্ড ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবেলায় গঠন করেন বিহার ভূমিকম্প ত্রাণ সংস্থা।

১৯৩৬ সালে জওহলাল নেহরু তাঁর রুগ্ণ পত্নী কমলা নেহরুর চিকিৎসার জন্য ইউরোপ গমন করেন। কিন্তু কমলা নেহরু রোগমুক্ত হলেন না। সেখানেই মারা যান তিনি।

নেহরু ১৯৩৫, ১৯৪১ এবং ১৯৪৬ সালে আরো তিনবার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন।

ভারতবর্ষের স্বাধীনতার বিষয় নিষ্পত্তির জন্য তিনি গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়াভেল ও লর্ড মাউন্টব্যাটেন-এর সঙ্গে আলোচনায় বৈঠক করেন। তারপর ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হলে জওহরলাল ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হন।

যেদিন জওহরলাল স্বাধীন ভারতের প্রধানমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, সেদিন চারদিকেই ছিল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুর্যোগের ঘনঘটা। তিনি ভারতের শাসনব্যবস্থার হাল ধরেছিলেন খুব দৃঢ় হাতে। দীর্ঘ সতেরো বছর একটানা ভারত শাসন করে দেশ ও জাতির ললাটে তিনি পরিয়ে দিয়েছিলেন যৌবনের জয়টিকা। সারা দেশে করেছিলেন প্রাণসঞ্চার, ঘটিয়েছিলেন যৌবনের অভিষেক।

১৯৪৮ সালে তিনি লন্ডনে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে যোগদান করেন এবং জাতিসংঘে ভাষণ দেন। ১৯৪৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর করেন।

১৯৫৩ সালে তিনি ইংল্যান্ডের রানি দ্বিতীয় এলিজবেথ-এর অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালে তিনি সিংহলের রাজধানী কলম্বোতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাধনমন্ত্রী সম্মেলনে যোগদান করেন। তিনি ছিলেন জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনেরও অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব।

১৯৪৮ সালে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি বহু ভারতীয় ও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি শান্তিনিকেতনের আচার্যও ছিলেন। ১৯৫৫ সালে তিনি ‘ভারতরত্ন’ উপাধি লাভ করেন।

জওহরলাল নেহরু তাঁর রাজনৈতিক কর্মবহুল জীবনেও স্বীয় সৃষ্টিশীল প্রতিভাকে বিসর্জন দেননি। তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডিজরেইলি ও উইনস্টন চার্চিলের মতো ছিলেন অসাধারণ সাহিত্যপ্রতিভার অধিকারী।

তাঁর রচিত ‘লেটারস ফ্রম ফাদার টু হিজ ডটার’ (Letters from father to his Daughter), ‘আত্মচরিত’ (Autobiography), ‘গ্লিম্পসেস অব ওয়ার্ল্ড হিস্টোরি’ (Glimpses of World History), ‘ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া’ (Discovery of India) শুধু শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকীর্তিই নয়, তাঁর এসব গ্রন্থে তাঁর ইতিহাস-চেতনা ও দার্শনিকতারও সুস্পষ্ট স্বাক্ষর বিধৃত। তিনি তাঁর জীবনের প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন কারান্তরালে। এই মূল্যবান গ্রন্থগুলো সেখানে বসেই রচিত।

এই মহান পুরুষের মৃত্যু হয় ১৯৬৪ সালের ২৭ মে। আজও বিশ্ব ইতিহাসে তিনি উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো সমুজ্জ্বল।

জওহরলালের মতো মহান প্রতিভা বিশ্বে সত্যি বিরল। তাঁর এই বহুমুখী প্রতিভার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন তাঁকে দুহাতে আলিঙ্গন করে বলেছিলেন, “আমাদের একমাত্র ভরসা তুমিই। তোমার পদচিহ্নই আগামীকালের পৃথিবীর কক্ষপথ।” আর রবীন্দ্রনাথ তাঁকে অভিহিত করেছিলেন ‘ঋতুরাজ’ বলে।

সকল অধ্যায়

১. হযরত মুহাম্মদ (দঃ) (৫৭০-৬৩২) – সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী
২. জরথুশত্র (৬২৮-৫৫১ খ্রি. পূ.) – পারশি ধর্মের প্রবর্তক
৩. বর্ধমান মহাবীর (৫৯৯–৫২৭ খ্রি. পূ.) – জৈন দর্শন ও ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা
৪. গৌতম বুদ্ধ (৫৬৩–৪৮৩ খ্রি. পূ.) – বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক
৫. কনফুসিয়াস (৫৫১–৪৭৯ খ্রি. পূ.) – চীনের প্রাচীনতম ধর্মমতবাদের প্রবর্তক
৬. সক্রেটিস (আনু. ৪৬৯–৩৯৯ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্রের আদিজনক
৭. প্লেটো (৪২৮–৩৪৭ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্র যাঁর হাতে পেয়েছিল পূর্নাঙ্গরূপ
৮. ডায়োজিনিস (৪১২–৩২২ খ্রি. পূ.) – একনিষ্ঠ জ্ঞান সাধক
৯. অ্যারিস্টটল (৩৮৪-৩২২ খ্রি. পূ.) – যুক্তিশাস্ত্রের জনক
১০. যিশু খ্রিস্ট (আনু. ৬ খ্রি. পূ.–আনু. ২৯ খ্রি.) – খ্রিস্টানধর্মের প্রবর্তক
১১. অতীশ দীপঙ্কর (৯৮২–১০৫৩) – জ্ঞানসাধক বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারক
১২. গুরু নানক (১৪৬৯–১৫৩৮) – শিখ ধর্মমতের প্রবর্তক
১৩. মার্টিন লুথার (১৪৮৩-১৫৪৬) – ধর্মের সংস্কারক এবং ‘প্রটেস্টানিজম’ মতবাদের স্রষ্টা
১৪. মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য (১৪৮৬-১৫৩৩) – বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক
১৫. রামমোহন রায় (১৭৭২–১৮৩৩) – ভারতবর্ষে নবযুগের প্রবর্তক
১৬. রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬–১৮৮৬) – ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আমি ঈশ্বরকে দর্শন করেছি’
১৭. বারট্রান্ড রাসেল (১৮৭২–১৯৭০ ) – যুদ্ধ-বিরোধী ও মানবতাবাদী দার্শনিক
১৮. থ্যালিস (আনু. ৬২৪–৫৬৫ খ্রি. পূ.) – বিজ্ঞানশাস্ত্রের আদিপুরুষ
১৯. পিথাগোরাস (আনু. ৫৮২–৫০৭ খ্রি. পূ.) – তিনি বলেছিলেন—পৃথিবী গোলাকার
২০. হিপোক্র্যাটিস (আনু: ৪৬০–৩৭০ খ্রি. পূ.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আদিজনক
২১. আর্কিমিডিস (২৮৭–২১২ খ্রি. পূ.) – ঊর্ধ্বমুখী বল সূত্রের আবিষ্কারক
২২. ক্লডিয়াস টলেমি (১০০–১৮০ খ্রি.) – জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রথম কোষগ্রন্থ প্রণেতা
২৩. ক্লডিয়াস গ্যালেন (১৩১–২০১ খ্রি.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আধুনিক পদ্ধতির আদি জনক
২৪. ইবনে সিনা (৯৮০–১০৩৭) – জ্ঞানসাধনায় কাটিয়েছিলেন সমগ্র জীবন
২৫. কোপারনিকাস (১৪৭৩–১৫৪৩) – আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানে প্ৰবক্তা
২৬. জিওর্দানো ব্রুনো (আনু. ১৫৪৮–১৬০০ ) – সত্যপ্রচারের অপরাধে যাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল
২৭. গ্যালিলিও গ্যালিলি (১৫৬৪-১৬৪২) – যাঁর গাণিতিক পদ্ধতি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি
২৮. লিওয়েন হুক (১৬৩২–১৭৩৩) – মুদি দোকানদার থেকে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী
২৯. আইজাক নিউটন (১৬৪২–১৭২৭) – মাধ্যাকর্ষন শক্তির আবিষ্কারক
৩০. রিচার্ড আর্করাইট (১৭৩২–১৭৯২) – আধুনিক বস্ত্রশিল্পে বৈপ্লবিক ধারা প্রবর্তক
৩১. উইলিয়াম হার্শেল (১৭৩৮–১৮২২) – ইউরেনাস গ্রহের আবিষ্কারক
৩২. লরেঁ লাভোয়সিয়ের (১৭৪৩–১৭৯৪) – রসায়নশাস্ত্রের জনক
৩৩. মাইকেল ফ্যারাডে (১৭৯১-১৮৬৭) – তাড়িত-চুম্বক বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা
৩৪. চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২) – প্রাণিজগতের বিবর্তনবাদের ব্যাখ্যাদাতা
৩৫. লুই পাস্তুর (১৮২২–১৮৯৫) – জীবাণু আর জলাতঙ্ক রোগ প্রতিষেধকের আবিষ্কারক
৩৬. আলফ্রেড নোবেল (১৮৩৩–১৮৯৬) – যাঁর নামে দেয়া হয় নোবেল পুরস্কার
৩৭. আলভা এডিসন (১৮৪৭–১৯৩১) – সর্বাধিক আবিষ্কারের জনক
৩৮. জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৫৯–১৯৩৭) – যিনি বলেছিলেন গাছেরও প্রাণ আছে
৩৯. মাদাম কুরি (১৮৬৭–১৯৩৪) – সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহিলা বিজ্ঞানী
৪০. মার্কোনি (১৮৭৪–১৯৩৭) – বেতারযন্ত্রের আবিষ্কারক
৪১. আলবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯–১৯৫৫) – আপেক্ষিক তত্ত্বের জনক
৪২. আলেকজান্ডার ফ্লেমিং (১৮৮১–১৯৫৫) – পেনিসিলিনের আবিষ্কারক
৪৩. হোমার (আনু. ৭০০-? খ্রি. পূ.) – বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দুটি মহাকাব্যের রচয়িতা
৪৪. ঈশপ (আ. কা. ৬২০–৫৬০ খ্রি. পূ.) – কালজয়ী নীতিগল্পকার
৪৫. সোফোক্লেস (আনু. ৪৯৫-৪০৬ খ্রি. পূ.) – গ্রিক ট্র্যাজেডি নাট্যধারার রূপকার
৪৬. হেরোডোটাস (আনু. ৪৮৫–৪২৫ খ্রি. পূ.) – ইতিহাসশাস্ত্রের জনক
৪৭. অ্যারিস্টোফানিস (আনু. ৪৪৪–৩৮৫ খ্রি. পূ.) – যাঁর সাহিত্যকর্মে আর্তমানবতার কথা প্রতিফলিত
৪৮. মহাকবি কালিদাস (আনু. ৫৭০-৬৫০ খ্রি.) – সংস্কৃতি সাহিত্যের অমর কবি
৪৯. লেওনার্দো দা ভিঞ্চি (১৪৫২–১৫১৯) – সর্বকালের শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী
৫০. মিকেলাঞ্জেলো (১৪৭৫–১৫৬৪) – পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্কর শিল্পী
৫১. তানসেন (১৫০৬–১৫৮৫) – কিংবদন্তির গায়ক
৫২. শেকসপিয়ার (১৫৬৪-১৬১৬) – বিশ্বসাহিত্যের কালজয়ী নাট্যকার
৫৩. ভলতেয়ার (১৬৯৪-১৭৭৮) – বিখ্যাত ফরাসি চিন্তাবিদ
৫৪. জঁ-জাক্ রুসো (১৭১২–১৭৭৮) – ফরাসি বিপ্লবের রূপকার
৫৫. লর্ড বায়রন (১৭৮৮–১৮২৪) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি
৫৬. ভিক্টর হুগো (১৮০২-১৮৮৫) – ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৭. ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন (১৮০৫–১৮৭৫) – যাঁকে বলা হয় রূপকথার জাদুকর
৫৮. চার্লস ডিকেন্স (১৮১২–১৮৭০) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৯. ওয়াল্ট হুইটম্যান (১৮১৯-১৮৯২) – মার্কিন সাহিত্যের যুগ-প্রবর্তক কবি
৬০. লিয়েফ তলস্তোয় (১৮২৮–১৯১০) – বিশ্বের মহান সাহিত্যিকদের অন্যতম
৬১. জুল ভের্ন (১৮২৮–১৯০৫) – কল্পবিজ্ঞান কাহিনীর স্রষ্টা
৬২. মার্ক টোয়েন (১৮৩৫–১৯১০) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রসস্রষ্টা
৬৩. জর্জ বার্নার্ড শ (১৮৫৬–১৯৫০) – যিনি প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন
৬৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১) – শ্রেষ্ঠ বাঙালি মনীষা, পৃথিবীর মহত্তম সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব
৬৫. ম্যাক্সিম গোর্কি (১৮৬৮–১৯৩৬) – যাঁর সাহিত্যকর্মের প্রধান উপজীব্য গণমানুষের কথা
৬৬. হেলেন কেলার (১৮৮০-১৯৬৮) – যাঁর খ্যাতিকে নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করা হতো
৬৭. আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (১৮৯৮–১৯৬১) – জীবনবাদী মার্কিন কথাসাহিত্যিক
৬৮. কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯–১৯৭৬) – বাংলার বিদ্রোহী কবি
৬৯. জর্জ ওয়াশিংটন (১৭৩২–১৭৯৯) – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৭০. নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (১৭৬৯-১৮২১) – ইতিহাসের কিংবদন্তির মহানায়ক
৭১. জুসেপ্পে গারিবলদি (১৮০৭–১৮৮২) – ইতালির জনক বলে যাঁর খ্যাতি
৭২. আব্রাহাম লিংকন (১৮০৯-১৮৬৫) – যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রীতদাসপ্রথা রহিত করেছিলেন
৭৩. অটো ফন বিসমার্ক (১৮১৫–১৮৯৮) – জার্মান সাম্রাজ্যের স্থপতি
৭৪. মহাত্মা গান্ধি (১৮৬৯–১৯৪৮) – ‘সবকো সুমতি দে ভগবান’
৭৫. কমরেড লেনিন (১৮৭০–১৯২৪) – বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা
৭৬. উইনস্টন চার্চিল (১৮৭৪–১৯৬৫) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ডাকসাইটে প্রধানমন্ত্রী
৭৭. জোসেফ স্ট্যালিন (১৮৭৯–১৯৫৩) – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়েনের ‘লৌহমানব’
৭৮. কামাল আতাতুর্ক (১৮৮১–১৯৩৮) – নব্য-তুরস্কের জনক
৭৯. ডি ভ্যালেরা (১৮৮২-১৯৭৫) – আয়ারল্যান্ডের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৮০. জওহরলাল নেহরু (১৮৮৯-১৯৬৪) – ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
৮১. আইসেনহাওয়ার (১৮৯০-১৯৬৯) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক
৮২. শার্ল দ্য গল (১৮৯০-১৯৭০) – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা
৮৩. হো-চি-মিন (১৮৯০-১৯৬৯) – ভিয়েতনামের মুক্তিদাতা পুরুষ
৮৪. মার্শাল টিটো (১৮৯২–১৯৮০) – জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা
৮৫. মাও-সে-তুং (১৮৯৫–১৯৭৬) – চীন সাধারণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা
৮৬. সুভাষচন্দ্র বসু (১৮৯৭–১৯৪৫) – ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’
৮৭. জন এফ কেনেডি (১৯১৭–১৯৬৩) – গুপ্তঘাতকের হাতে যাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছিল
৮৮. ইন্দিরা গান্ধি (১৯১৭–১৯৮৪) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
৮৯. নেলসন ম্যান্ডেলা (১৯১৮) – দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তিদাতা পুরুষ
৯০. শেখ মুজিবর রহমান (১৯২০–১৯৭৫) – বাংলাদেশের জাতির জনক
৯১. প্যাট্রিস লুমুম্বা (১৯২৫-১৯৬১) – কঙ্গোর মুক্তিদাতা পুরুষ
৯২. মার্কো পোলো (১২৫৬–১৩২৩) – দুঃসাহসিক অভিযাত্রী
৯৩. ক্রিস্টোফার কলম্বাস (আনু. ১৪৪৬-১৫০৬) – আমেরিকার আবিষ্কারক
৯৪. ডেভিড লিভিংস্টোন (১৮১৩-১৮৭৩) – আফ্রিকার আবিষ্কারক
৯৫. উইলিয়াম জোন্স (১৭৪৬–১৭৯৪) – এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৬. ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল (১৮২০–১৯১০) – আধুনিক ‘নার্সিং’ বৃত্তির অগ্রপথিক
৯৭. হেনরি ডুনান্ট (১৮২৮–১৯১০) – রেডক্রস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৮. ব্যাডেন পাওয়েল (১৮৫৭–১৯৪১) – বয়স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা
৯৯. মাদার তেরেসা (১৯১০–১৯৯৭) – প্রেম, করুণা ও ধর্মের মূর্ত প্রতিমা
১০০. অ্যাডাম স্মিথ (১৭২৩–১৭৯০) – রাজনৈতিক অর্থশাস্ত্র বিজ্ঞানের জনক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন