মাদাম কুরি (১৮৬৭–১৯৩৪) – সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহিলা বিজ্ঞানী

ভবেশ রায়

জীবনের একেবারে শুরুতেই দুঃখ-দারিদ্র্য আর প্রিয় ব্যক্তিকে কাছে না পাওয়ার মর্মবেদনায় যিনি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন, বলেছিলেন, “এই ঘৃণিত পৃথিবী থেকে আমি বিদায় নিলে ক্ষতি খুব সামান্যই হবে” সেই অভিমানী তরুণীই নিজের প্রচেষ্টায় পরবর্তীকালে হয়েছিলেন জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী এবং বিশ্বের সর্বকালের সেরা মানুষদের একজন। তিনিই একমাত্র বিজ্ঞানী যিনি বিজ্ঞান গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ দু-দুবার নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। উল্লেখ্য, নোবেল পুরস্কারের আর কোনো বিভাগেই এযাবৎ আর কেউ, তিনি পুরুষ কি মহিলা, দু’বারের মতো এই বিরল সম্মানের অধিকারী হতে পারেননি। ভাঙতে পারেননি তাঁর রেকর্ড।

এই প্রাতঃস্মরণীয় বিজ্ঞানী মাদাম মারি কুরির (Madam Marie Curie) জন্ম পোল্যান্ডের ওয়ারশ শহরে ১৮৬৭ সালের ৭ নবেম্বর। তাঁর বাল্যনাম ছিল মানিয়া (Manya)। মানিয়ারা ছিলেন মোট পাঁচ ভাইবোন। বড় বোনের নাম জোসিয়া, তারপর ভাই জোসেফ, তারপর ব্রোনিয়া এবং ব্রোনিয়ার পর হেনা।

পিতা ভ্লাডিশ্লাভ স্লোডোভস্কি ছিলেন একজন শিক্ষক। মাও ছিলেন স্থানীয় মেয়েদের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষয়িত্রী ও পরিচালিকা।

এই সময় পোল্যান্ড ছিল জারশাসিত রাশিয়ার একটি ঔপনিবেশিক রাজ্য। তাই স্বাভাবিকভাবেই অত্যাচারী শাসকদের হাতে সীমাহীন নির্যাতনের শিকার হতেন দেশটির সাধারণ মানুষ। ফলে পরাধীন পোল্যান্ডবাসীর মনে ছিল মুক্তির প্রবল আকাঙ্ক্ষা, আর ছিল অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চরম ঘৃণা।

এই ঔপনিবেশিক শাসনের বেড়াজাল থেকে দেশকে স্বাধীন করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যাঁদের মনে ছিল, তাঁদের অন্যতম ছিলেন মারির পিতা। এর পরিণামে যা হবার তা-ই হয়েছিল। ১৮৬৩ সালে দেশদ্রোহিতার অপরাধে স্কুল থেকে তাঁর চাকরি চলে যায়। ফলে আরও তীব্র অর্থসংকটের শিকার হয় কুরিদের পরিবার।

এই অবস্থায় মারির বাবা পাঁচ পাঁচটি সন্তানকে বাঁচানোর জন্য একটি বোর্ডিং স্কুল খুলে বসলেন। কিন্তু এর মধ্যেই ঘটল আরও বড় ধরনের একটা দুর্ঘটনা। মারির যখন দশ বছর বয়স, তখনই যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মায়ের মৃত্যু হলো। এবার আরও এলোমেলো হয়ে গেল তাঁদের পরিবার।

মারি বাল্যকাল থেকেই ছিলেন অসম্ভব মেধাবী। অবশ্য এই পরিবারের প্রত্যেকেই পড়াশোনায় ছিল অত্যন্ত ভালো। ১৮৮৩ সালে স্কুল ফাইনাল পরীক্ষায় মারি লাভ করেন স্বর্ণপদক।

বয়সের দিক দিয়ে ক্লাসে সে সকলের ছোট অথচ পড়াশোনায় সকলের ওপরে। একবার যা পড়ে, অমনি সেটা তাঁর মুখস্থ হয়ে যায়।

একবার তাঁদের স্কুলে হয়েছিল একটা মজার কাণ্ড। ক্লাসে শিক্ষয়িত্রী পোলিশ ভাষায় পোল্যান্ডের ইতিহাস পড়াচ্ছিলেন। পড়ানো শেষ করে ছোট্ট মারি অর্থাৎ মানিয়াকে প্রশ্ন করলেন শিক্ষয়িত্রী, অমনি সে ঝরঝর করে দিয়ে গেল সব উত্তর।

অথচ এ-রকম ব্যাপার ছিল নিষিদ্ধ। রাশিয়ার জার শাসনামলে স্বদেশের ইতিহাস ক্লাসে শিক্ষা দেওয়া ছিল দেশোদ্রোহিতার সামিল। আর ঠিক সেই সময় কি না সোজা তাদের ক্লাশরুমে ঢুকলেন স্কুল ইনস্পেক্টর মঁসিয়ে হরনবের্গ। ঢুকেই তিনি সবার মুখের দিকে তাকালেন। আকস্মিক এই ঘটনার মুখে ক্লাসের শিক্ষয়িত্রী তুপস্কাও ভয় পেয়ে গেলেন।

হরনবের্গের সন্দেহ হল, ক্লাসে অন্যরকম কিছু একটা হচ্ছিল। তাই তিনি সরাসরি শিক্ষকাকেই জিগ্যেস করলেন—ক্লাসে আপনি কী পড়াচ্ছিলেন?

–ক্রিলভের একটি রূপকথার গল্প।

–ডাকুন তো ছাত্রীদের।

ডাক পড়ল মানিয়ার। তাকেই প্রশ্ন করা হলো। সেও অবশ্য ততক্ষণে ব্যাপারটি বুঝে গিয়েছিল। কারণ মানিয়ার বয়স কম হলেও বুদ্ধিতে ছিল বেশ প্রখর।

মানিয়াকে প্রশ্ন করা হলো, বলো তো রাশিয়ার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী কে?

মানিয়া কৌশলে উত্তর দিল, রাশিয়ার মহামান্য জার।

ইনস্পেক্টর খুশি হলেন। বেঁচে গেলেন দেশপ্রেমিক শিক্ষিকা তুপস্কা। ইনস্পেক্টর চলে গেলে এই চমৎকার উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়ার জন্য শিক্ষিকা আনন্দে জড়িয়ে ধরলেন মানিয়াকে।

এই ঘটনার মাত্র কিছুদিন আগে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তাই বাবার মনে ভয়, মানিয়াও যদি ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে! তাই তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় গ্রামের বাড়িতে। সেখানে তাঁকে নাচগান শেখার ব্যবস্থা করে দেওয়া হলো। নাচ খুব ভালো ব্যায়ামও বটে। ব্যায়াম করলে শরীর সুস্থ থাকবে। রোগ-বালাই তাহলে দূরে থাকবে। তাই এই ব্যবস্থা।

দেশের বাড়িতে মানিয়া প্রায় বছরখানেক ছিলেন। কিন্তু নাচ তাঁর মোটেও ভালো লাগল না। মন পড়ে ছিল গণিতের বইয়ের পাতায়। তাই তিনি আবার ওয়ারশয় ফিরে এসে কলেজে ভর্তি হবার চেষ্টা করতে লাগলেন। কিন্তু তখন তাঁর পিতার আর্থিক অবস্থা মোটেও ভালো ছিল না। পাঁচটি সন্তানের একসাথে লেখাপড়ার খরচ চালানোর সামর্থ্য ছিল না তাঁর

কিন্তু পড়াশোনা যে তাঁকে করতেই হবে। তাঁকে বড় হতেই হবে। কিন্তু কেমন করে? কী আর করা, অনেক ভাবনা শেষে মানিয়া আর তাঁর বড় বোন ব্রোনিয়া দুজনে বসে তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবন সম্পর্কে একটা পরিকল্পনা এঁটে ফেললেন।

দু’জনের মধ্যে এই মর্মে চুক্তি হলো, মানিয়া প্রথমে চাকরি নেবে, আর বড় বোন ব্রোনিয়া প্যারিসের বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ভর্তি হবে। মানিয়া চাকরি করে তাঁর পড়ার খরচ চালাবে, তারপর ব্রোনিয়ার পড়া শেষ হলে সে নিজে চাকরি নিয়ে মানিয়াকে পড়াশোনার সুযোগ করে দেবে।

এই চুক্তি অনুসারেই মানিয়া চাকরি নিল একজন অভিজাত রুশীয়ের বাড়িতে। কিন্তু এই রুশীয় আইনজীবী ভদ্রলোকের বউটা ছিল ভয়ানক বদমেজাজি। ফলে এখানে বেশিদিন টিকে থাকা মানিয়ার পক্ষে সম্ভব হলো না।

পরে সে চাকরি নিল অন্য একটা বাড়িতে। এখানে সে তিন বছর পর্যন্ত গভর্নেসের চাকরি করে। চাকুরি করতে করতেই গৃহকর্তার ছেলের সঙ্গে তাঁর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু ছেলের মা একজন গভর্নেসের সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিতে রাজি হলেন না। ফলে মানিয়া অর্থাৎ ভবিষ্যতের মারি কুরি মানসিক ভাবে দারুণ আঘাত পান এবং জীবনে নেমে আসে ঘোর হতাশা। এই সময় তাঁর লেখা এক চিঠিতে তাঁর সেই গভীর হতাশারই ছবি ফুটে উঠেছে এইভাবে। “এই ঘৃণিত পৃথিবী থেকে আমি বিদায় নিতে চাই। এতে ক্ষতি হবে খুব সামান্যই।’

এদিকে ব্রোনিয়া ডাক্তারি পাস করে তাঁরই এক ক্লাসফ্রেন্ডকে বিয়ে করে বসেন।

আর মানিয়া হতাশা কাটিয়ে নিজের কিছু জমানো টাকা আর ব্রোনিয়ার আশ্বাসের ওপর ভরসা করে প্যারিসের সারবোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ভর্তি হলেন বিজ্ঞান বিভাগে। জীবনকে পরিপূর্ণ ভাবে গড়ে তোলার জন্য নামলেন একান্ত সাধনায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গবেষণাগারের নির্জন পরিবেশে কাটাতে লাগলেন দিনের পর দিন।

চলছিল ভয়ানক অর্থকষ্টও। বড় বোন যা দিতেন, পরিমাণ ছিল খুবই সামান্য। তাই প্রায় প্রতিদিনই তাঁকে কেবল রুটি-মাখন খেয়ে আধপেটা হয়ে কাটাতে হতো। এই কঠোর পরিশ্রম, উপরন্তু খাদ্যের অভাবজনিত অপুষ্টি। এর জন্য তাঁর স্বাস্থ্য খুব দ্রুত ভেঙে পড়তে থাকে। কিন্তু গবেষণায় তাঁর ক্ষান্তি নেই।

১৮৯৩ সালে তিনি পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম স্থান অধিকার করে Master of Science ডিগ্রি লাভ করেন এবং পরের বছর পদার্থ বিজ্ঞানেরই অপর আরেকটি শাখায় অধিকার করেন দ্বিতীয় স্থান।

১৮৯৮ সালে প্যারিসে সফররত তাঁর পূর্বপরিচিত পোলিশ অধ্যাপক কোভ্যালস্কির মাধ্যমে ফরাসি তরুণ বিজ্ঞানী পিয়েরে কুরির (Pierre Curie) সঙ্গে তিনি পরিচিত হন। এই সময় মারির বয়স ছিল ২৭ এবং পিয়েরের বয়স ৩৫ বছর।

পিয়েরে কুরিও ছিলেন পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়নবিজ্ঞানের প্রতিভাবান বিজ্ঞানী। ইতিমধ্যেই চৌম্বকত্ব ও পদার্থবিজ্ঞানের শাখায় তিনি মৌলিক গবেষণায় অবদান রেখেছেন। তিনি তাঁর ভাই জ্যাক-এর সাথে একত্রে কাজ করে আবিষ্কার করেছেন পিজো বিদ্যুতের সূত্র।

কোভ্যালস্কির বাড়িতে মানিয়াকে প্রথম দেখে এবং তাঁর সঙ্গে বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা শেষে খুবই খুশি হন পিয়েরে। এতদিন তাঁর ধারণা ছিল, মেয়েরা স্বল্পবুদ্ধিসম্পন্ন এবং তারা বিজ্ঞান-শিক্ষা ও গবেষণাকাজের জন্য একেবারেই অনুপযোগী। কিন্তু মানিয়ার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ আর আলাপেই পিয়েরে কুরির সেই পুরনো ধারণা পালটে গেল। এই স্বর্ণকেশী সুন্দরী এবং বিরল প্রতিভার অধিকারিণীর রূপ আর গুণের পরিচয়ে তাঁর মুগ্ধতার আবেশ যেন কাটতেই চায় না।

এর পর থেকেই মানিয়া অধ্যাপক শুজেন বার্জারের গবেষণাগারে তরুণ বিজ্ঞানী পিয়েরে কুরির সঙ্গে একত্রে গবেষণা করার অনুমোদন লাভ করেন। এই একত্র কাজ করার মধ্য দিয়েই পিয়েরের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। তাঁদের দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে একটি নিবিড় সম্পর্ক। এর এক বছরের মধ্যে অর্থাৎ ১৮৯৫ সালে মানিয়া পিয়েরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর থেকে তিনি স্বামীর নাম ব্যবহার করে মানিয়ার পরিবর্তে পরিচিত হয়ে ওঠেন মাদাম মারি কুরি নামে। বিশ্ব জুড়ে আজ এ নামেই তাঁকে একডাকে চেনে। বিয়ের অব্যবহিত পর থেকে মারি একান্তভাবে স্বামীর সঙ্গে চুম্বক ও বিদ্যুতের সমস্যাবলি নিয়ে গবেষণায় আত্মনিয়োগ করেন।

১৮৯৬ সালে মারি কুরি প্রথম হয়ে ফেলোশিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এই সময় বিজ্ঞানী অরি বিক্‌কুয়েরেল (Henri Becquerel) ইউরেনিয়াম নিয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে লক্ষ্য করেন, সূর্যের আলো ছাড়াই ইউরেনিয়াম এক নতুন ধরনের আলোকরশ্মি বিকিরণ করছে। ঘটনাটা আকস্মিকভাবেই ঘটেছিল। একদিন তিনি অন্ধকার ঘরে ফটোগ্রাফি প্লেটের ওপর কাগজে কিছু ইউরেনিয়াম যৌগ রেখে যান। খানিকক্ষণ পরে এসে দেখেন, কোনোরকমের আলো ছাড়াই ইউরেনিয়াম যৌগ থেকে বিকীর্ণ রশ্মি প্লেটের ওপর ছবি এঁকে দিয়েছে। তিনি এই নতুন রশ্মির নাম দেন বিক্‌কুয়েরেল রশ্মি। তিনি বুঝতে পারেন, ইউরেনিয়ামের নিজস্ব গুণের মাধ্যমেই এমনটা হচ্ছে। কিন্তু এক পর্যায়ে তিনি তাঁর গবেষণা নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হলে তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসেন কুরি দম্পতি। উদ্ভূত সমস্যা পর্যবেক্ষণ করে কুরির ধারণা হলো, অপরিশোধিত খনিজ পদার্থ ইউরেনিয়াম পিচব্লেন্ডের (Uranium Pitch Blaende) ভেতর ইউরেনিয়াম ছাড়াও নিশ্চয়ই অন্য আর কোনো পদার্থও আছে। তাই তিনি শুরু করলেন পিচব্লেন্ড খনিজ পদার্থ নিয়ে গবেষণা। কিন্তু এই মূল্যবান খনিজ পদার্থ পিচব্লেন্ড একমাত্র অস্ট্রিয়া ছাড়া আর কোথাও পাওয়া যায় না। তাই অনেক চেষ্টা-চরিত্রের পর অস্ট্রিয়া থেকেই সংগ্রহ করে আনা হলো পিচব্লেন্ড খনিজ পদার্থ।

এরপর কুরি দম্পতি লেগে গেলেন এই অপরিশোধিত খনিজ পদার্থ শোধনের কাজে। একটানা দীর্ঘ দুবছর কঠোর পরিশ্রমের পর তাঁরা আবিষ্কার করলেন ‘বিসমার্থ’ যৌগিক উপাদান। আর বিসমার্থকে আরও শোধন করতে গিয়েই তাঁরা পেয়ে যান তাঁদের কাঙ্ক্ষিত বস্তু।

১৮৯৮ সালের জুলাই মাসে কুরি দম্পতি ঘোষণা করলেন তাঁদের নতুন আবিষ্কৃত উপাদানের কথা। এর তেজষ্ক্রিয়তা ইউরেনিয়ামের চেয়ে ৪০০ গুণ বেশি। এর নাম রাখা হলো পোলোনিয়াম (Polonium)। কিন্তু কুরি দম্পতি তাতেও খুশি হলেন না। ফলে তাঁদের গবেষণা চলতেই থাকল। অবশেষে এর কিছুদিন পর পাওয়া গেল আরও অত্যাশ্চর্য কিছু নতুন উপাদানের। তাঁরা এই নতুন পদার্থটির নাম দিলেন রেডিয়াম (Radium)।

এই রেডিয়াম সত্যিকারভাবেই অদ্ভুত এক উপাদান। এটা ইউরেনিয়ামের থেকেও দশ লক্ষ গুণ তেজস্ক্রিয়তাসম্পন্ন। আর এর পরিমাণও খুবই কম। যেমন এক টন পিচব্লেন্ড, পঞ্চাশ টন জল আর ছয় টন রাসায়নিক পদার্থ শোধন করলে, পাওয়া যায় ভাগ্য ভালো হলে, মাত্র এক গ্রেন পরিমাণ রেডিয়াম।

এই অত্যাশ্চর্য আবিষ্কারের জন্য ১৯০৩ সালে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটি কুরি দম্পতিকে ‘ডেভি পদক’-এ ভূষিত করে এবং একই বছর মাদাম কুরি বিজ্ঞানী অরি বিকুয়েরেল (Henri Becquerel) এবং তাঁর স্বামী পিয়েরে কুরির সাথে একত্রে লাভ করেন নোবেল পুরস্কার।

কুরি দম্পতির প্রথম কন্যাসন্তানের জন্ম হয় ১৮৯৭ সালে। নাম রাখা হয়েছিল ‘ইরেন’ (Irene)। তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান ‘ইভ’ (Eve)-এর জন্ম হয় ১৯০৪ সালে।

১৯০৬ সালে মাদাম কুরির জীবনে ঘটে যায় চরম শোকাবহ ঘটনা। স্বামী পিয়েরে কুরি এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এই দুর্ঘটনায় মেরির হৃদয় সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। কিন্তু বিজ্ঞান গবেষণা তাঁর অব্যাহত থাকে। তিনি ১৯১০ সালে একক প্রচেষ্টায় বিশুদ্ধ অবস্থায় রেডিয়ামকে পৃথক করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এই কৃতিত্বের জন্য তিনি এককভাবে দ্বিতীয়বারের জন্য ১৯১১ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

১৯১৩ সালে তিনি নিজের দেশ পোল্যান্ডের ওয়ারশ শহরে একটি রেডিয়াম ইনস্টিটিউট স্থাপন করেন। ১৯১৪ সালে তিনি প্যারিসের নবপ্রতিষ্ঠিত রেডিয়াম ইনস্টিটিউটের তেজস্ক্রীয় গবেষণাগারের প্রধান নির্বাচিত হন।

এরপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে তিনি গবেষণার কাজ ছেড়ে আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। তিনি মেডিকেল সার্ভিসে যোগ দেন। গঠন করেন ইউনিয়ন অব উইমেন অব ফ্রান্স।

১৯২১ সালে তিনি ৫৪ বছর বয়সে আমেরিকা সফরে যান। এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁকে এক গ্রাম রেডিয়াম উপহার দেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মহিলা সংগঠনও তাঁকে সমপরিমাণ রেডিয়াম উপহার দেয়। তিনি এগুলো নিয়ে আসেন নিজের দেশে এবং ওয়ারশ হাসপাতালে চিকিৎসাকাজে ব্যবহার করেন।

১৯২৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন।

এদিকে স্বামীর শোক এবং দীর্ঘ দিনের একটানা পরিশ্রমে মাদাম কুরির শরীর ভেঙে পড়ছিল। ১৯৩৪ সালের মে মাসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং এর দুমাস পরে জুলাই মাসে এই মহীয়সী বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়। জানা যায়, রেডিয়ামের তেজস্ক্রীয়তাই ছিল তাঁর মৃত্যুর কারণ।

সকল অধ্যায়

১. হযরত মুহাম্মদ (দঃ) (৫৭০-৬৩২) – সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী
২. জরথুশত্র (৬২৮-৫৫১ খ্রি. পূ.) – পারশি ধর্মের প্রবর্তক
৩. বর্ধমান মহাবীর (৫৯৯–৫২৭ খ্রি. পূ.) – জৈন দর্শন ও ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা
৪. গৌতম বুদ্ধ (৫৬৩–৪৮৩ খ্রি. পূ.) – বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক
৫. কনফুসিয়াস (৫৫১–৪৭৯ খ্রি. পূ.) – চীনের প্রাচীনতম ধর্মমতবাদের প্রবর্তক
৬. সক্রেটিস (আনু. ৪৬৯–৩৯৯ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্রের আদিজনক
৭. প্লেটো (৪২৮–৩৪৭ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্র যাঁর হাতে পেয়েছিল পূর্নাঙ্গরূপ
৮. ডায়োজিনিস (৪১২–৩২২ খ্রি. পূ.) – একনিষ্ঠ জ্ঞান সাধক
৯. অ্যারিস্টটল (৩৮৪-৩২২ খ্রি. পূ.) – যুক্তিশাস্ত্রের জনক
১০. যিশু খ্রিস্ট (আনু. ৬ খ্রি. পূ.–আনু. ২৯ খ্রি.) – খ্রিস্টানধর্মের প্রবর্তক
১১. অতীশ দীপঙ্কর (৯৮২–১০৫৩) – জ্ঞানসাধক বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারক
১২. গুরু নানক (১৪৬৯–১৫৩৮) – শিখ ধর্মমতের প্রবর্তক
১৩. মার্টিন লুথার (১৪৮৩-১৫৪৬) – ধর্মের সংস্কারক এবং ‘প্রটেস্টানিজম’ মতবাদের স্রষ্টা
১৪. মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য (১৪৮৬-১৫৩৩) – বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক
১৫. রামমোহন রায় (১৭৭২–১৮৩৩) – ভারতবর্ষে নবযুগের প্রবর্তক
১৬. রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬–১৮৮৬) – ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আমি ঈশ্বরকে দর্শন করেছি’
১৭. বারট্রান্ড রাসেল (১৮৭২–১৯৭০ ) – যুদ্ধ-বিরোধী ও মানবতাবাদী দার্শনিক
১৮. থ্যালিস (আনু. ৬২৪–৫৬৫ খ্রি. পূ.) – বিজ্ঞানশাস্ত্রের আদিপুরুষ
১৯. পিথাগোরাস (আনু. ৫৮২–৫০৭ খ্রি. পূ.) – তিনি বলেছিলেন—পৃথিবী গোলাকার
২০. হিপোক্র্যাটিস (আনু: ৪৬০–৩৭০ খ্রি. পূ.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আদিজনক
২১. আর্কিমিডিস (২৮৭–২১২ খ্রি. পূ.) – ঊর্ধ্বমুখী বল সূত্রের আবিষ্কারক
২২. ক্লডিয়াস টলেমি (১০০–১৮০ খ্রি.) – জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রথম কোষগ্রন্থ প্রণেতা
২৩. ক্লডিয়াস গ্যালেন (১৩১–২০১ খ্রি.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আধুনিক পদ্ধতির আদি জনক
২৪. ইবনে সিনা (৯৮০–১০৩৭) – জ্ঞানসাধনায় কাটিয়েছিলেন সমগ্র জীবন
২৫. কোপারনিকাস (১৪৭৩–১৫৪৩) – আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানে প্ৰবক্তা
২৬. জিওর্দানো ব্রুনো (আনু. ১৫৪৮–১৬০০ ) – সত্যপ্রচারের অপরাধে যাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল
২৭. গ্যালিলিও গ্যালিলি (১৫৬৪-১৬৪২) – যাঁর গাণিতিক পদ্ধতি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি
২৮. লিওয়েন হুক (১৬৩২–১৭৩৩) – মুদি দোকানদার থেকে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী
২৯. আইজাক নিউটন (১৬৪২–১৭২৭) – মাধ্যাকর্ষন শক্তির আবিষ্কারক
৩০. রিচার্ড আর্করাইট (১৭৩২–১৭৯২) – আধুনিক বস্ত্রশিল্পে বৈপ্লবিক ধারা প্রবর্তক
৩১. উইলিয়াম হার্শেল (১৭৩৮–১৮২২) – ইউরেনাস গ্রহের আবিষ্কারক
৩২. লরেঁ লাভোয়সিয়ের (১৭৪৩–১৭৯৪) – রসায়নশাস্ত্রের জনক
৩৩. মাইকেল ফ্যারাডে (১৭৯১-১৮৬৭) – তাড়িত-চুম্বক বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা
৩৪. চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২) – প্রাণিজগতের বিবর্তনবাদের ব্যাখ্যাদাতা
৩৫. লুই পাস্তুর (১৮২২–১৮৯৫) – জীবাণু আর জলাতঙ্ক রোগ প্রতিষেধকের আবিষ্কারক
৩৬. আলফ্রেড নোবেল (১৮৩৩–১৮৯৬) – যাঁর নামে দেয়া হয় নোবেল পুরস্কার
৩৭. আলভা এডিসন (১৮৪৭–১৯৩১) – সর্বাধিক আবিষ্কারের জনক
৩৮. জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৫৯–১৯৩৭) – যিনি বলেছিলেন গাছেরও প্রাণ আছে
৩৯. মাদাম কুরি (১৮৬৭–১৯৩৪) – সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহিলা বিজ্ঞানী
৪০. মার্কোনি (১৮৭৪–১৯৩৭) – বেতারযন্ত্রের আবিষ্কারক
৪১. আলবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯–১৯৫৫) – আপেক্ষিক তত্ত্বের জনক
৪২. আলেকজান্ডার ফ্লেমিং (১৮৮১–১৯৫৫) – পেনিসিলিনের আবিষ্কারক
৪৩. হোমার (আনু. ৭০০-? খ্রি. পূ.) – বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দুটি মহাকাব্যের রচয়িতা
৪৪. ঈশপ (আ. কা. ৬২০–৫৬০ খ্রি. পূ.) – কালজয়ী নীতিগল্পকার
৪৫. সোফোক্লেস (আনু. ৪৯৫-৪০৬ খ্রি. পূ.) – গ্রিক ট্র্যাজেডি নাট্যধারার রূপকার
৪৬. হেরোডোটাস (আনু. ৪৮৫–৪২৫ খ্রি. পূ.) – ইতিহাসশাস্ত্রের জনক
৪৭. অ্যারিস্টোফানিস (আনু. ৪৪৪–৩৮৫ খ্রি. পূ.) – যাঁর সাহিত্যকর্মে আর্তমানবতার কথা প্রতিফলিত
৪৮. মহাকবি কালিদাস (আনু. ৫৭০-৬৫০ খ্রি.) – সংস্কৃতি সাহিত্যের অমর কবি
৪৯. লেওনার্দো দা ভিঞ্চি (১৪৫২–১৫১৯) – সর্বকালের শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী
৫০. মিকেলাঞ্জেলো (১৪৭৫–১৫৬৪) – পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্কর শিল্পী
৫১. তানসেন (১৫০৬–১৫৮৫) – কিংবদন্তির গায়ক
৫২. শেকসপিয়ার (১৫৬৪-১৬১৬) – বিশ্বসাহিত্যের কালজয়ী নাট্যকার
৫৩. ভলতেয়ার (১৬৯৪-১৭৭৮) – বিখ্যাত ফরাসি চিন্তাবিদ
৫৪. জঁ-জাক্ রুসো (১৭১২–১৭৭৮) – ফরাসি বিপ্লবের রূপকার
৫৫. লর্ড বায়রন (১৭৮৮–১৮২৪) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি
৫৬. ভিক্টর হুগো (১৮০২-১৮৮৫) – ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৭. ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন (১৮০৫–১৮৭৫) – যাঁকে বলা হয় রূপকথার জাদুকর
৫৮. চার্লস ডিকেন্স (১৮১২–১৮৭০) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৯. ওয়াল্ট হুইটম্যান (১৮১৯-১৮৯২) – মার্কিন সাহিত্যের যুগ-প্রবর্তক কবি
৬০. লিয়েফ তলস্তোয় (১৮২৮–১৯১০) – বিশ্বের মহান সাহিত্যিকদের অন্যতম
৬১. জুল ভের্ন (১৮২৮–১৯০৫) – কল্পবিজ্ঞান কাহিনীর স্রষ্টা
৬২. মার্ক টোয়েন (১৮৩৫–১৯১০) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রসস্রষ্টা
৬৩. জর্জ বার্নার্ড শ (১৮৫৬–১৯৫০) – যিনি প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন
৬৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১) – শ্রেষ্ঠ বাঙালি মনীষা, পৃথিবীর মহত্তম সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব
৬৫. ম্যাক্সিম গোর্কি (১৮৬৮–১৯৩৬) – যাঁর সাহিত্যকর্মের প্রধান উপজীব্য গণমানুষের কথা
৬৬. হেলেন কেলার (১৮৮০-১৯৬৮) – যাঁর খ্যাতিকে নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করা হতো
৬৭. আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (১৮৯৮–১৯৬১) – জীবনবাদী মার্কিন কথাসাহিত্যিক
৬৮. কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯–১৯৭৬) – বাংলার বিদ্রোহী কবি
৬৯. জর্জ ওয়াশিংটন (১৭৩২–১৭৯৯) – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৭০. নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (১৭৬৯-১৮২১) – ইতিহাসের কিংবদন্তির মহানায়ক
৭১. জুসেপ্পে গারিবলদি (১৮০৭–১৮৮২) – ইতালির জনক বলে যাঁর খ্যাতি
৭২. আব্রাহাম লিংকন (১৮০৯-১৮৬৫) – যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রীতদাসপ্রথা রহিত করেছিলেন
৭৩. অটো ফন বিসমার্ক (১৮১৫–১৮৯৮) – জার্মান সাম্রাজ্যের স্থপতি
৭৪. মহাত্মা গান্ধি (১৮৬৯–১৯৪৮) – ‘সবকো সুমতি দে ভগবান’
৭৫. কমরেড লেনিন (১৮৭০–১৯২৪) – বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা
৭৬. উইনস্টন চার্চিল (১৮৭৪–১৯৬৫) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ডাকসাইটে প্রধানমন্ত্রী
৭৭. জোসেফ স্ট্যালিন (১৮৭৯–১৯৫৩) – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়েনের ‘লৌহমানব’
৭৮. কামাল আতাতুর্ক (১৮৮১–১৯৩৮) – নব্য-তুরস্কের জনক
৭৯. ডি ভ্যালেরা (১৮৮২-১৯৭৫) – আয়ারল্যান্ডের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৮০. জওহরলাল নেহরু (১৮৮৯-১৯৬৪) – ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
৮১. আইসেনহাওয়ার (১৮৯০-১৯৬৯) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক
৮২. শার্ল দ্য গল (১৮৯০-১৯৭০) – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা
৮৩. হো-চি-মিন (১৮৯০-১৯৬৯) – ভিয়েতনামের মুক্তিদাতা পুরুষ
৮৪. মার্শাল টিটো (১৮৯২–১৯৮০) – জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা
৮৫. মাও-সে-তুং (১৮৯৫–১৯৭৬) – চীন সাধারণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা
৮৬. সুভাষচন্দ্র বসু (১৮৯৭–১৯৪৫) – ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’
৮৭. জন এফ কেনেডি (১৯১৭–১৯৬৩) – গুপ্তঘাতকের হাতে যাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছিল
৮৮. ইন্দিরা গান্ধি (১৯১৭–১৯৮৪) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
৮৯. নেলসন ম্যান্ডেলা (১৯১৮) – দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তিদাতা পুরুষ
৯০. শেখ মুজিবর রহমান (১৯২০–১৯৭৫) – বাংলাদেশের জাতির জনক
৯১. প্যাট্রিস লুমুম্বা (১৯২৫-১৯৬১) – কঙ্গোর মুক্তিদাতা পুরুষ
৯২. মার্কো পোলো (১২৫৬–১৩২৩) – দুঃসাহসিক অভিযাত্রী
৯৩. ক্রিস্টোফার কলম্বাস (আনু. ১৪৪৬-১৫০৬) – আমেরিকার আবিষ্কারক
৯৪. ডেভিড লিভিংস্টোন (১৮১৩-১৮৭৩) – আফ্রিকার আবিষ্কারক
৯৫. উইলিয়াম জোন্স (১৭৪৬–১৭৯৪) – এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৬. ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল (১৮২০–১৯১০) – আধুনিক ‘নার্সিং’ বৃত্তির অগ্রপথিক
৯৭. হেনরি ডুনান্ট (১৮২৮–১৯১০) – রেডক্রস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৮. ব্যাডেন পাওয়েল (১৮৫৭–১৯৪১) – বয়স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা
৯৯. মাদার তেরেসা (১৯১০–১৯৯৭) – প্রেম, করুণা ও ধর্মের মূর্ত প্রতিমা
১০০. অ্যাডাম স্মিথ (১৭২৩–১৭৯০) – রাজনৈতিক অর্থশাস্ত্র বিজ্ঞানের জনক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন