জুল ভের্ন (১৮২৮–১৯০৫) – কল্পবিজ্ঞান কাহিনীর স্রষ্টা

ভবেশ রায়

উড়োজাহাজ আবিষ্কারের অর্ধ শতাব্দীকাল আগেই যিনি হেলিকপ্টারের কথা বলেছিলেন, রেডিও আবিষ্কারেরও বহু আগেই যে-ব্যক্তি টেলিভিশনের কথা কল্পনা করেছিলেন, যেকালে চাঁদে যাবার কথাও কেউ চিন্তা করতে পারেননি, সেই তখন যিনি মানুষের চাঁদের বুকে বসতি স্থাপনের কথা বলেছিলেন, অথচ যিনি নিজে ছিলেন এক ঘরকুনো মানুষ—কল্পবিজ্ঞানের ওপর বিশ্বের সর্বপ্রথম ও সর্বাধিক সাড়াজাগানো গ্রন্থসমূহের সেই বিশ্ববিখ্যাত ফরাসি লেখকের নাম জুল ভের্ন (Jule Verne)।

জুল ভেরে ছিল আশ্চর্য কল্পনাশক্তি। যেসব বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি এখনও আবিষ্কৃত হয়নি, বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীরা পর্যন্ত যার সম্পর্কে তখনও কোনো কল্পনাই করতে পারেননি, তখনই তিনি সেসব বস্তুর কথা বলে গেছেন এবং এমন নিখুঁতভাবে বলে গেছেন, যা পড়ে মনে হয়, হয়তো তিনি নিজেই সেসবের আবিষ্কারক।

তিনি আদৌ কোনো বিজ্ঞানী ছিলেন না। আর যেসব কল্পকাহিনীর তিনি বর্ণনা দিয়েছেন, সে সম্পর্কেও তাঁর কোনো বাস্তব ধারণা ছিল না। অথচ তাঁর কল্পকাহিনী সবগুলোই পরবর্তীকালে বাস্তবে রূপ লাভ করেছে এবং আরও আশ্চর্যে ব্যাপার এই যে, তিনি যেভাবে কল্পনা করেছেন, জিনিসগুলো হুবহু তেমনিভাবেই রূপ লাভ করেছে। পরবর্তীকালে যেসব বিজ্ঞানী এগুলো আবিষ্কার করেছেন, তাঁরাও স্বীকার করেছেন যে, তাঁরা এই বস্তুটির আবিষ্কার সম্পর্কে জুল ভের্নের কল্পনা দ্বারাই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।

বিখ্যাত বেতার আবিষ্কারক মার্কনি, সাবমেরিনের জনক সাইমন লেক, বেলুনিস্ট এবং ডিপ সি আবিষ্কারক অগাস্ট পিকার্ড, এবং আরও অনেক বিজ্ঞানী শ্রদ্ধার সাথে স্বীকার করেছেন যে, জুল ভেই তাঁদের এসব আবিষ্কার করতে অনুপ্রাণিত করেছেন।

এমনকি ফ্রান্সের বিখ্যাত মার্শাল লিয়াওটি বলেছেন, জুল ভের্ন যা তাঁর লেখার মাধ্যমে দেখিয়েছেন, তা-ই পরবর্তীকালে পরিণতরূপে বাস্তবতার মুখ দেখেছে।

জুল ভের্নের নায়কেরা সাবমেরিন নিয়ে প্রবেশ করেছেন পাতালে, উড়ে গেছেন আকাশযানে চড়ে চাঁদের বুকে, যাত্রা করেছেন কত দুর্গম পথে; কিন্তু যিনি এসব দুঃসাহসিক অভিযানের কল্পনাকারী, তিনি সারাজীবনে কখনও ঘর থেকেই বের হননি। জীবনের চল্লিশটি বছরই কাটিয়েছেন বাড়ির একটি চিলেকোঠায়।

এই আশ্চর্য মানুষ জুল ভের্নের জন্ম ১৮২৮ সালে ফ্রান্সের নাঁতেস-এ। বাবা ছিলেন আইনজীবী। তাই তাঁর ইচ্ছে ছিল, তাঁর ছেলেও আইনব্যবসা করে দুপয়সা আয় করতে শিখুক, সুখে থাকবে।

কিন্তু জুল ভের্নের আইন পড়ার দিকে তেমন আগ্রহ ছিল না। আইন পড়ার চেয়ে তিনি মনোযোগ বেশি দিতেন বেশি সাহিত্যচর্চার দিকে। এতে বাবা ভয়ানক অসন্তুষ্ট হয়ে অপদার্থ ছেলের মাসিক ভাতা দিলেন বন্ধ করে। এ ছাড়া সেই অল্প বয়সেই তিনি মামাত বোন ক্যারোলিনের সঙ্গে প্রেমে পড়েছিলেন, এ ঘটনাও তাঁর বাবা একদম পছন্দ করেননি।

এই অবস্থায় জুল ভের্ন আর কী করবেন, পেট চালানোর জন্য একটা থিয়েটারে কাজ জুটিয়ে নিলেন। পরে তিনি কাজ নেন এক কোম্পানির কাগজের দালালির।

একদিকে চলছিল দালালি, আর অন্যদিকে লেখার কাজ। তিনি তখন থেকেই বাস করতেন এক নির্জন চিলেকোঠায়, সেখানেই চলত তাঁর লেখালেখির কাজ।

সাহিত্যসাধনায় একান্ত নিমগ্ন থাকলেও ভাগ্য সহজে সুপ্রসন্ন হয়নি তাঁর। তাঁর প্রথম গ্রন্থ ‘বেলুনে পাঁচ সপ্তাহ’ (Five weeks in a ballon)-র পাণ্ডুলিপি নিয়ে শুরু হলো প্রকাশকের দুয়ারে ঘোরাঘুরি। কিন্তু কেউ তাঁর এই উদ্ভট কাহিনী ছাপতে চাইলেন না। একে একে পনেরো জন প্রকাশক ফিরিয়ে দিলেন তাঁর পাণ্ডুলিপি।

এরপর প্রচণ্ড অভিমানে হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে পাণ্ডুলিপিটি পুড়িয়ে ফেলতে ছুঁড়ে দিলেন জ্বলন্ত আগুনে। কিন্তু রক্ষা করলেন তাঁর স্ত্রী। স্বামীকে সন্ত্বনা দিয়ে তিনি বললেন, অন্তত আরেকজন প্রকাশককে দেখাও।

অবশেষে স্ত্রীর কথাই সত্যি হলো। বইটি ষোড়শতম প্রকাশক ছাপতে রাজি হলেন। এবং প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হল অবিশ্বাস্য রকমের কাটতি। পেল বছরের বেস্ট সেলারের মর্যাদা। শুরু হলো অন্য ভাষায় বইটির অনুবাদের কাজ। ফলে জুল ভেরে সাহিত্যখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ল চারদিকে।

এবার প্রকাশক নিজেই গদগদ হয়ে এগিয়ে এসে চুক্তি করলেন লেখকের সঙ্গে। কথা হল—জুল ভেন্ প্রতি বছর অন্তত দুখানা করে পাণ্ডুলিপি তাঁকে দেবেন।

এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে তিনি নিজের পুরনো দালালির ব্যবসা ছেড়ে শুরু করলেন একান্তমনে সাহিত্যসাধনা। টাকাও আসতে লাগল প্রচুর। কেটে গেল আর্থিক অনটন।

প্রকাশিত হলো তাঁর দ্বিতীয় বই ‘পাতাল অভিযান’ (A voyage to the center of the Earth). এই বইতে তিনি দেখিয়েছেন, একটি মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ দিয়ে প্রবেশ করে একদল মানুষ কেমন দুঃসাহসিকভাবে পাতাল অভিযান সম্পন্ন করেছিলেন।

জুল ভের্নের হাতে তখন অনেক টাকা। তাই তিনি এবার চলে এলেন প্যারিস থেকে আমেরিকাতে। সেখানে এসে তৈরি করলেন সুন্দর এবং অনুপম স্থাপত্যশৈলীর একটি বাড়ি। প্রকাণ্ড এই বাড়িটির ওপরে ছিল একটি টাওয়ার। সেটা দেখতে ছিল অবিকল নাবিকদের কেবিনের মতো। আসলে সেটা ছিল একটা চিলেকোঠা। যে-চিলেকোঠায় তিনি আবদ্ধ থেকেছেন সারাটা জীবন। এটাও তার থেকে আলাদা ধরনের কিছু নয়। এখানেই চলতে থাকে তার লেখা আর পড়ার কাজ। এখানেই তিনি কাটিয়ে দেন তাঁর জীবনের শেষ চল্লিশটি বছর।

জুল ভেরে জীবনের সবচাইতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী বই ‘আশি দিনে বিশ্বভ্রমণ’ (A round the world in 80 days)। এই বইটি যখন প্যারিসের ‘লা টেম্পস’ (La Temps) পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে, তখন প্রচণ্ড আলোড়নের সৃষ্টি হয়। বইটির নায়ক বাজি ধরে সত্যি সত্যি ৮০ দিনে পৃথিবী ঘুরে আসতে পারবে কি না তা নিয়ে বহু পাঠকও বাজি ধরেছিল। জুল ভের্নের পাঠকদের এই প্রচণ্ড আগ্রহ ও উত্তেজনা শেষমুহূর্ত পর্যন্ত ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। এর নায়ক হাজার বিপদ অতিক্রম করে ৮০ দিনের মাত্র ৫ মিনিট বাকি থাকতে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে বাজি জিতে যান।

জুল ভের্নের এই কল্পনাকে বাস্তবে রূপদান করার জন্য ১৮৭২ সালে নিউ ইয়র্কের নেলি ব্লাই নামে একজন সাংবাদিকও বিশ্বভ্রমণে বের হন। তিনি জুল ভেরন রেকর্ড ভঙ্গ করে ৭২ দিনে পৃথিবী ঘুরে আসেন। এরপর একজন ফরাসি সংবদাদাতা ৪৩ দিনে ভূ- প্রদক্ষিণ করেন।

জুল ভের্ন তাঁর ‘সাগরতলে’ (Twenty thousand leagues under the sea) গ্রন্থে নাটিলাস নামের যে সাবমেরিনটির কথা বলেছেন, তা ছিল বিদ্যুৎশক্তিচালিত, সে-বিদ্যুৎ সাগর তলদেশ থেকেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি করা হতো।

তারপর বাস্তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর যে-পারমাণাবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন তৈরি হয়, তার নামও রাখা হয় ‘নটিলাস’। আসলে জুল ভের্নের কল্পনার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই এই বাস্তবের নাটিলাস তৈরি করা হয়েছিল।

তাঁর আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের নাম “দি ডিসকভারি অব দি আর্থ’ (The Discovery of the Earth), ‘মাইকেল স্ট্রোগোফ’ (Michael Strogoff), “দি সারভাইভারস অব দি চ্যান্সেলর’ (The Survivars of the Chancellor), ‘চাইল্ড অব দি ক্যাভার্ন’ (Child of the cavern), ‘দি বাগম’স ফাইভ হ্যান্ড্রেড মিলিয়নস’ (The Bagum’s Five Hundred Millions), ‘ক্যাস্‌ অব দি কারপেথিয়ানস’ (Castle of the Carpathians), ‘দি ফ্লোটিং আইল্যান্ড’ (The Floating Island), এবং ‘বিফোর দি ফ্ল্যাগ’ (Before the Flag) ইত্যাদি।

জুল ভে েশেষ জীবনটা খুব সুখের ছিল না। কারণ, বুদ্ধিজীবীরা তাঁকে অবজ্ঞা করতেন। এর মূলে জুল ভেরে তাঁর সমকালীন লেখকদের তুলনায় আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। তাঁর এই জনপ্রিয়তাকে পণ্ডিতেরা সহ্য করতে পারতেন না, যার জন্য তিনি এত বড় লেখক হওয়া সত্ত্বেও ফ্রেঞ্চ অ্যাকাডেমির (French Academy) সদস্য মনোনীত হতে পারেননি।

১৯০৫ সালে বিশ্বের বিস্ময়কর সাহিত্যিক জুল ভের্নের মৃত্যু হয়। আজও তাঁর জনপ্রিয়তা এতটুকু হ্রাস পায়নি। আজও তিনি বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় লেখকদের অন্যতম।

সকল অধ্যায়

১. হযরত মুহাম্মদ (দঃ) (৫৭০-৬৩২) – সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী
২. জরথুশত্র (৬২৮-৫৫১ খ্রি. পূ.) – পারশি ধর্মের প্রবর্তক
৩. বর্ধমান মহাবীর (৫৯৯–৫২৭ খ্রি. পূ.) – জৈন দর্শন ও ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা
৪. গৌতম বুদ্ধ (৫৬৩–৪৮৩ খ্রি. পূ.) – বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক
৫. কনফুসিয়াস (৫৫১–৪৭৯ খ্রি. পূ.) – চীনের প্রাচীনতম ধর্মমতবাদের প্রবর্তক
৬. সক্রেটিস (আনু. ৪৬৯–৩৯৯ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্রের আদিজনক
৭. প্লেটো (৪২৮–৩৪৭ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্র যাঁর হাতে পেয়েছিল পূর্নাঙ্গরূপ
৮. ডায়োজিনিস (৪১২–৩২২ খ্রি. পূ.) – একনিষ্ঠ জ্ঞান সাধক
৯. অ্যারিস্টটল (৩৮৪-৩২২ খ্রি. পূ.) – যুক্তিশাস্ত্রের জনক
১০. যিশু খ্রিস্ট (আনু. ৬ খ্রি. পূ.–আনু. ২৯ খ্রি.) – খ্রিস্টানধর্মের প্রবর্তক
১১. অতীশ দীপঙ্কর (৯৮২–১০৫৩) – জ্ঞানসাধক বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারক
১২. গুরু নানক (১৪৬৯–১৫৩৮) – শিখ ধর্মমতের প্রবর্তক
১৩. মার্টিন লুথার (১৪৮৩-১৫৪৬) – ধর্মের সংস্কারক এবং ‘প্রটেস্টানিজম’ মতবাদের স্রষ্টা
১৪. মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য (১৪৮৬-১৫৩৩) – বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক
১৫. রামমোহন রায় (১৭৭২–১৮৩৩) – ভারতবর্ষে নবযুগের প্রবর্তক
১৬. রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬–১৮৮৬) – ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আমি ঈশ্বরকে দর্শন করেছি’
১৭. বারট্রান্ড রাসেল (১৮৭২–১৯৭০ ) – যুদ্ধ-বিরোধী ও মানবতাবাদী দার্শনিক
১৮. থ্যালিস (আনু. ৬২৪–৫৬৫ খ্রি. পূ.) – বিজ্ঞানশাস্ত্রের আদিপুরুষ
১৯. পিথাগোরাস (আনু. ৫৮২–৫০৭ খ্রি. পূ.) – তিনি বলেছিলেন—পৃথিবী গোলাকার
২০. হিপোক্র্যাটিস (আনু: ৪৬০–৩৭০ খ্রি. পূ.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আদিজনক
২১. আর্কিমিডিস (২৮৭–২১২ খ্রি. পূ.) – ঊর্ধ্বমুখী বল সূত্রের আবিষ্কারক
২২. ক্লডিয়াস টলেমি (১০০–১৮০ খ্রি.) – জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রথম কোষগ্রন্থ প্রণেতা
২৩. ক্লডিয়াস গ্যালেন (১৩১–২০১ খ্রি.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আধুনিক পদ্ধতির আদি জনক
২৪. ইবনে সিনা (৯৮০–১০৩৭) – জ্ঞানসাধনায় কাটিয়েছিলেন সমগ্র জীবন
২৫. কোপারনিকাস (১৪৭৩–১৫৪৩) – আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানে প্ৰবক্তা
২৬. জিওর্দানো ব্রুনো (আনু. ১৫৪৮–১৬০০ ) – সত্যপ্রচারের অপরাধে যাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল
২৭. গ্যালিলিও গ্যালিলি (১৫৬৪-১৬৪২) – যাঁর গাণিতিক পদ্ধতি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি
২৮. লিওয়েন হুক (১৬৩২–১৭৩৩) – মুদি দোকানদার থেকে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী
২৯. আইজাক নিউটন (১৬৪২–১৭২৭) – মাধ্যাকর্ষন শক্তির আবিষ্কারক
৩০. রিচার্ড আর্করাইট (১৭৩২–১৭৯২) – আধুনিক বস্ত্রশিল্পে বৈপ্লবিক ধারা প্রবর্তক
৩১. উইলিয়াম হার্শেল (১৭৩৮–১৮২২) – ইউরেনাস গ্রহের আবিষ্কারক
৩২. লরেঁ লাভোয়সিয়ের (১৭৪৩–১৭৯৪) – রসায়নশাস্ত্রের জনক
৩৩. মাইকেল ফ্যারাডে (১৭৯১-১৮৬৭) – তাড়িত-চুম্বক বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা
৩৪. চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২) – প্রাণিজগতের বিবর্তনবাদের ব্যাখ্যাদাতা
৩৫. লুই পাস্তুর (১৮২২–১৮৯৫) – জীবাণু আর জলাতঙ্ক রোগ প্রতিষেধকের আবিষ্কারক
৩৬. আলফ্রেড নোবেল (১৮৩৩–১৮৯৬) – যাঁর নামে দেয়া হয় নোবেল পুরস্কার
৩৭. আলভা এডিসন (১৮৪৭–১৯৩১) – সর্বাধিক আবিষ্কারের জনক
৩৮. জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৫৯–১৯৩৭) – যিনি বলেছিলেন গাছেরও প্রাণ আছে
৩৯. মাদাম কুরি (১৮৬৭–১৯৩৪) – সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহিলা বিজ্ঞানী
৪০. মার্কোনি (১৮৭৪–১৯৩৭) – বেতারযন্ত্রের আবিষ্কারক
৪১. আলবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯–১৯৫৫) – আপেক্ষিক তত্ত্বের জনক
৪২. আলেকজান্ডার ফ্লেমিং (১৮৮১–১৯৫৫) – পেনিসিলিনের আবিষ্কারক
৪৩. হোমার (আনু. ৭০০-? খ্রি. পূ.) – বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দুটি মহাকাব্যের রচয়িতা
৪৪. ঈশপ (আ. কা. ৬২০–৫৬০ খ্রি. পূ.) – কালজয়ী নীতিগল্পকার
৪৫. সোফোক্লেস (আনু. ৪৯৫-৪০৬ খ্রি. পূ.) – গ্রিক ট্র্যাজেডি নাট্যধারার রূপকার
৪৬. হেরোডোটাস (আনু. ৪৮৫–৪২৫ খ্রি. পূ.) – ইতিহাসশাস্ত্রের জনক
৪৭. অ্যারিস্টোফানিস (আনু. ৪৪৪–৩৮৫ খ্রি. পূ.) – যাঁর সাহিত্যকর্মে আর্তমানবতার কথা প্রতিফলিত
৪৮. মহাকবি কালিদাস (আনু. ৫৭০-৬৫০ খ্রি.) – সংস্কৃতি সাহিত্যের অমর কবি
৪৯. লেওনার্দো দা ভিঞ্চি (১৪৫২–১৫১৯) – সর্বকালের শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী
৫০. মিকেলাঞ্জেলো (১৪৭৫–১৫৬৪) – পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্কর শিল্পী
৫১. তানসেন (১৫০৬–১৫৮৫) – কিংবদন্তির গায়ক
৫২. শেকসপিয়ার (১৫৬৪-১৬১৬) – বিশ্বসাহিত্যের কালজয়ী নাট্যকার
৫৩. ভলতেয়ার (১৬৯৪-১৭৭৮) – বিখ্যাত ফরাসি চিন্তাবিদ
৫৪. জঁ-জাক্ রুসো (১৭১২–১৭৭৮) – ফরাসি বিপ্লবের রূপকার
৫৫. লর্ড বায়রন (১৭৮৮–১৮২৪) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি
৫৬. ভিক্টর হুগো (১৮০২-১৮৮৫) – ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৭. ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন (১৮০৫–১৮৭৫) – যাঁকে বলা হয় রূপকথার জাদুকর
৫৮. চার্লস ডিকেন্স (১৮১২–১৮৭০) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৯. ওয়াল্ট হুইটম্যান (১৮১৯-১৮৯২) – মার্কিন সাহিত্যের যুগ-প্রবর্তক কবি
৬০. লিয়েফ তলস্তোয় (১৮২৮–১৯১০) – বিশ্বের মহান সাহিত্যিকদের অন্যতম
৬১. জুল ভের্ন (১৮২৮–১৯০৫) – কল্পবিজ্ঞান কাহিনীর স্রষ্টা
৬২. মার্ক টোয়েন (১৮৩৫–১৯১০) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রসস্রষ্টা
৬৩. জর্জ বার্নার্ড শ (১৮৫৬–১৯৫০) – যিনি প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন
৬৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১) – শ্রেষ্ঠ বাঙালি মনীষা, পৃথিবীর মহত্তম সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব
৬৫. ম্যাক্সিম গোর্কি (১৮৬৮–১৯৩৬) – যাঁর সাহিত্যকর্মের প্রধান উপজীব্য গণমানুষের কথা
৬৬. হেলেন কেলার (১৮৮০-১৯৬৮) – যাঁর খ্যাতিকে নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করা হতো
৬৭. আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (১৮৯৮–১৯৬১) – জীবনবাদী মার্কিন কথাসাহিত্যিক
৬৮. কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯–১৯৭৬) – বাংলার বিদ্রোহী কবি
৬৯. জর্জ ওয়াশিংটন (১৭৩২–১৭৯৯) – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৭০. নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (১৭৬৯-১৮২১) – ইতিহাসের কিংবদন্তির মহানায়ক
৭১. জুসেপ্পে গারিবলদি (১৮০৭–১৮৮২) – ইতালির জনক বলে যাঁর খ্যাতি
৭২. আব্রাহাম লিংকন (১৮০৯-১৮৬৫) – যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রীতদাসপ্রথা রহিত করেছিলেন
৭৩. অটো ফন বিসমার্ক (১৮১৫–১৮৯৮) – জার্মান সাম্রাজ্যের স্থপতি
৭৪. মহাত্মা গান্ধি (১৮৬৯–১৯৪৮) – ‘সবকো সুমতি দে ভগবান’
৭৫. কমরেড লেনিন (১৮৭০–১৯২৪) – বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা
৭৬. উইনস্টন চার্চিল (১৮৭৪–১৯৬৫) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ডাকসাইটে প্রধানমন্ত্রী
৭৭. জোসেফ স্ট্যালিন (১৮৭৯–১৯৫৩) – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়েনের ‘লৌহমানব’
৭৮. কামাল আতাতুর্ক (১৮৮১–১৯৩৮) – নব্য-তুরস্কের জনক
৭৯. ডি ভ্যালেরা (১৮৮২-১৯৭৫) – আয়ারল্যান্ডের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৮০. জওহরলাল নেহরু (১৮৮৯-১৯৬৪) – ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
৮১. আইসেনহাওয়ার (১৮৯০-১৯৬৯) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক
৮২. শার্ল দ্য গল (১৮৯০-১৯৭০) – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা
৮৩. হো-চি-মিন (১৮৯০-১৯৬৯) – ভিয়েতনামের মুক্তিদাতা পুরুষ
৮৪. মার্শাল টিটো (১৮৯২–১৯৮০) – জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা
৮৫. মাও-সে-তুং (১৮৯৫–১৯৭৬) – চীন সাধারণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা
৮৬. সুভাষচন্দ্র বসু (১৮৯৭–১৯৪৫) – ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’
৮৭. জন এফ কেনেডি (১৯১৭–১৯৬৩) – গুপ্তঘাতকের হাতে যাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছিল
৮৮. ইন্দিরা গান্ধি (১৯১৭–১৯৮৪) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
৮৯. নেলসন ম্যান্ডেলা (১৯১৮) – দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তিদাতা পুরুষ
৯০. শেখ মুজিবর রহমান (১৯২০–১৯৭৫) – বাংলাদেশের জাতির জনক
৯১. প্যাট্রিস লুমুম্বা (১৯২৫-১৯৬১) – কঙ্গোর মুক্তিদাতা পুরুষ
৯২. মার্কো পোলো (১২৫৬–১৩২৩) – দুঃসাহসিক অভিযাত্রী
৯৩. ক্রিস্টোফার কলম্বাস (আনু. ১৪৪৬-১৫০৬) – আমেরিকার আবিষ্কারক
৯৪. ডেভিড লিভিংস্টোন (১৮১৩-১৮৭৩) – আফ্রিকার আবিষ্কারক
৯৫. উইলিয়াম জোন্স (১৭৪৬–১৭৯৪) – এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৬. ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল (১৮২০–১৯১০) – আধুনিক ‘নার্সিং’ বৃত্তির অগ্রপথিক
৯৭. হেনরি ডুনান্ট (১৮২৮–১৯১০) – রেডক্রস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৮. ব্যাডেন পাওয়েল (১৮৫৭–১৯৪১) – বয়স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা
৯৯. মাদার তেরেসা (১৯১০–১৯৯৭) – প্রেম, করুণা ও ধর্মের মূর্ত প্রতিমা
১০০. অ্যাডাম স্মিথ (১৭২৩–১৭৯০) – রাজনৈতিক অর্থশাস্ত্র বিজ্ঞানের জনক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন