জন এফ কেনেডি (১৯১৭–১৯৬৩) – গুপ্তঘাতকের হাতে যাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছিল

ভবেশ রায়

তিনি ছিলেন জীবনযুদ্ধের এক সফল ও সার্থক সৈনিক, বিস্ময়কর প্রতিভাবান রাজনীতিবিদ, সর্বোপরি বিশ্বমানবতাবোধের অন্যতম প্রধান প্রবক্তা। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন ফিটজেরাল্ড. কেনেডি (John Fitzgerald Kennedy) জীবনকে দেশ ও মানুষের সেবায় উৎসর্গ করে আজও গোটা মানবজাতির ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।

তাঁর জন্ম ১৯১৭ সালে, আমেরিকার সম্ভ্রান্ত কেনেডি পরিবারে। পিতা প্যাট্রিক কেনেডিও ছিলেন সমাজের একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি। তিনি নিজের চেষ্টায় উপার্জন করেছিলেন অঢেল অর্থ। হয়েছিলেন অপরিমেয় ধনসম্পত্তির মালিক। পরে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। মা রোজ কেনেডিও ছিলেন এক অভিজাত পরিবারের শিক্ষিত মার্জিতা মেয়ে। ১৯২৬ সালে এই বনেদি পরিবারটি বোস্টন ছেড়ে চলে আসেন নিউ ইয়র্কে।

কেনেডিরা ছিলেন নয় ভাইবোন। জো, জন (জন এফ. কেনেডি), রোজ মেরি, ক্যাথলিন, ইউনিসা, প্যাট, জিল, ববি এবং সবার ছোট টেডি।

এতোগুলো সন্তানকে বাবা শাসন করতেন অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে। কঠোর নিয়মানুবর্তিতা ও প্রতিযোগিতার মনোভাব তিনি সার্থকভাবে সঞ্চারিত করেছিলেন তাঁর নয়টি ছেলেমেয়ের মধ্যেই। তিনি চাইতেন তাঁর ছেলেমেয়েরাও চিন্তাশীল ও কর্মী হোক।

বাবা তাঁর সন্তানদেরকে বলতেন, তোমরা জীবনে কী করবে, তা নিয়ে আমি মোটেও মাথা ঘামাই না। কিন্তু যা কিছুই কর না কেন, পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো লোকের মতো তা করবে। যদি নর্দমাও খোঁড়, তবে সবচেয়ে ভালো নর্দমা খননকারী হবে। বাবা প্রতিদিন তাঁর ছেলেমেয়েদের নিয়ে পারিবারিক লাইব্রেরিতে বসতেন এবং দেশ- বিদেশের চলতি ঘটনাবলি সম্পর্কে আলোচনা করতেন।

মিসেস রোজ কেনেডি ব্যাখ্যা করে বলতেন, আমরা তাদের এমনভাবে শিক্ষা দেবার চেষ্টা করেছি, যেন কোনো সুযোগই তারা নষ্ট না করে। বাবা প্রত্যেক ছেলেমেয়েকে বলেছিলেন, তারা যদি একুশ বছর বয়স পর্যন্ত ধূমপান কিংবা মদ না খায়, তবে যেদিন একুশ বছরে পড়বে, সেদিন প্রত্যেককে দুহাজার ডলার করে পুরস্কার দেওয়া হবে।

প্রথমে ১৯৩০ সালে ১৩ বছর বয়সে কেনেডি মিলফোর্ড ক্যান্টারবেরি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়। পরে ১৯৩৫ সালে জন কোয়েট থেকে গ্র্যাজুয়েট হন। তার পরই বাবা তাঁকে লন্ডনে পাঠান ‘স্কুল অব ইকনমিস্’-এ জগদ্বিখ্যাত অধ্যাপক হ্যারল্ড লাস্কির কাছে পড়াশোনা করার জন্য। এখানেই তিনি নানারকম নতুন মতবাদের সঙ্গে পরিচিত হন। পরিচয় ঘটে তাঁর বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বহু পণ্ডিত, বিপ্লবী, অর্থনীতিবিদ এবং লেখকের সঙ্গে। ১৯৩৬ সালে জন আবার ফিরে আসেন তাঁর জন্মভূমি বোস্টনে।

১৯৩৭ সালে কেনেডি পরিবার চলে যান লন্ডনে। এ সময় যুবক কেনেডি রাজনীতির ওপর একটি চমৎকার বইও লেখেন। শিরোনাম ছিল ‘ইংল্যান্ড কেন ঘুমিয়ে ছিল’। এই বই লিখে তিনি সবাইকে হতবাক করে দেন।

জাপান পার্ল হার্বারে আক্রমণ করলে ডেনেডি সৈন্যদলে ভর্তি হওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়েন। তাঁর বড় ভাই জো সহজেই বিমানবাহিনীতে সুযোগ পেয়ে গেলেন। কিন্তু ডেনেডি তাঁর শারীরিক ওজনের স্বল্পতার জন্য পারলেন না। তিনি শরীর ঠিক করার জন্য শুরু করলেন ব্যায়াম। অবশেষে তাঁর আশা পূর্ণ হল। তিনি নৌবহিনীতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেন।

১৯৪৩ সালে তাঁকে জাহাজে করে পাঠানো হলো দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে। দক্ষিণ রেলডোভা দ্বীপে একটি পি. টি. বোটের অধিনায়ক করা হয় তাঁকে। সেই সময় তিনি প্রচণ্ড যুদ্ধ করেছিলেন। এই যুদ্ধ করতে গিয়েই একবার তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন। একটি জাপানি জাহাজের গোলার আঘাতে তাঁর জাহাজটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু তার পরও তিনি অসীম মনোবল আর সাহসে ভর করে সাগরে ভেসে থেকে দিনের পর দিন অনাহারে কাটান। অবশেষে উপজাতীয়দের সহায়তায় উদ্ধার পান। এই দুঃসাহসিকতার জন্য মার্কিন সরকার তাঁকে পরে অনেক বড় সম্মানে ভূষিত করে ছিল।

যুদ্ধ থেকে ফিরে তিনি নিউ ইয়র্কে এসে প্রথমে আন্তর্জাতিক সংবাদ সরবরাহ প্রতিষ্ঠানে সংবাদদাতার কাজ নেন। কিন্তু তাতে তাঁর মন বসল না। এরপর তিনি বাবার পরামর্শে কংগ্রেসের সদস্যপদ লাভের জন্য ভোটযুদ্ধে নামেন এবং নিজের দৃঢ় মনোবলের জোরে জীবনের প্রথম রাজনৈতিক যুদ্ধে তিনি জিতে যান।

শোনা যায়, কংগ্রেস সদস্য হয়ে যখন তিনি ওয়াশিংটনে আসেন তখন তাঁর অমন বাচ্চা-বাচ্চা চেহারা দেখে অনেকেই তাঁকে আইনসভার ‘বালকভৃত্য’ বলে ভুল করেছিলেন।

কেনেডি ১৯৪৮ সালে এবং ১৯৫০ সালে কংগ্রেসের সদস্য নির্বাচিত হন। তারপর ১৯৫২ সালে তিনি প্রবীণ রাজনীতিবিদ হেনরি ক্যাবট লজকে পরজিত করে সিনেটের সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৫৩ সালে তিনি বিশ্বসুন্দরী জ্যাকুলিনকে বিয়ে করেন। এই সময় থেকেই তিনি ক্রমাগত অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন। অসুখ বাড়তে বাড়তে তাঁর অবস্থা শেষে এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে, ডাক্তাররা তাঁর মৃত্যু আসন্ন ভেবে পরিবারের সমস্ত সদস্যকে তাঁর বিছানার পাশে ডেকে এনেছিলেন। একটি বড় ধরনের অস্ত্রোপচারের পর তিনি অবশেষে ধীরে ধীরে আবার সেরে উঠতে থাকেন। সেই সময়ই তিনি আমেরিকার রাজনৈতিক ঘটনার ওপর ‘সাহসিকতার রেখাচিত্র’ নামে একটি বই লেখেন। বইটি দারুণ জনপ্ৰিয়তা লাভ করে। তিনি এই বইটির জন্য একজন শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক হিসেবে পুলিৎ জার পুরস্কার লাভ করেন।

অবশেষে ১৯৬০ সালের ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে প্রবীণ রাজনীতিবিদ রিচার্ড নিক্সনকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে জন এফ. কেনেডি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

তাঁর এই প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন ছিল সত্যি এক বিস্ময়কর ঘটনা। একে তো তাঁর অল্পবয়স, তদুপুরি তিনি ছিলেন একজন ক্যাথলিক। চোদ্দ বছর আগে যুক্তরাস্ট্রের জনৈক ধর্মযাজক উক্তি করেছিলেন, যত যোগ্যই হোন না কেন, বর্তমানে কোনো ক্যাথলিক আমাদের দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারবেন না।

কিন্তু কেনেডির নির্বাচনী প্রচারণা ছিল ভিন্নরকমের। তিনি বলেছিলেন, ধর্ম ও অন্য সবকিছুর ওপরে আমি আমার দেশ ও দেশের স্বার্থকেই বড় করে দেখি। তাঁর বক্তৃতা শুনে শ্রোতারা মুগ্ধ হয়ে যায়। এমন প্রাণখোলা কথা তারা বহুদিন ধরে শোনেনি। ধর্মযাজকের উক্তির অসারতা প্রমাণ করে জন কেনেডি নির্বাচনে জিতেই রাতারাতি পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী ব্যক্তি হয়ে ওঠেন। এতখানি ক্ষমতা ইতিহাসে কোনোদিন এত অল্পবয়স্ক তরুণের হাতে অর্পিত হয়নি। কিন্তু তিনি এই ক্ষমতার কখনোই অপব্যবহার করেননি।

প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তাঁর সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব ছিল কিউবা সংকটের নিরসন করা। কিউবার কমিউনিস্ট প্রধানমন্ত্রী কাস্ত্রোর সহযোগিতায় রাশিয়া সেখানে শক্তিশালী ঘাঁট স্থাপন করে। তিনি অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে এই সমস্যার মোকাবেলা করেন।

তাঁর অপর কৃতিত্ব ছিল নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা। আমেরিকার শ্বেতাঙ্গরা নিগ্রোদের যুগ যুগ ধরে সমাজের সর্বক্ষেত্রে বঞ্চিত করে রাখার প্রয়াস চালিয়ে এসেছে। এই বর্ণবৈষম্য নীতি যে-কোনো সভ্য জাতির পক্ষে কলঙ্কস্বরূপ। তিনি এই বৈষম্যমূলক প্রথার বিলোপ সাধন করে আইন পাস করেন। এতে করে তাঁকে সারা দেশের মানুষ স্বাগত জানালেও কিছুসংখ্যক চরমপন্থি শ্বেতাঙ্গ খেপে যায়। শেষ পর্যন্ত এই চরমপন্থিদের হাতেই তিনি ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর টেক্সাসের ডালাস শহরের রাজপথ দিয়ে যাবার সময় গুলিতে নিহত হন। এমনিভাবে এক মহান নেতার কর্মময় জীবনের অবসান হয়।

একদা দেশের কুখ্যাত দাসপ্রথার উচ্ছেদ করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন মহাপ্রাণ আব্রাহাম লিংকন, তেমনি জন এফ. কেনেডিকেও নিজের জীবন দিতে হয় কৃষ্ণাঙ্গদের সমানঅধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে।

সকল অধ্যায়

১. হযরত মুহাম্মদ (দঃ) (৫৭০-৬৩২) – সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী
২. জরথুশত্র (৬২৮-৫৫১ খ্রি. পূ.) – পারশি ধর্মের প্রবর্তক
৩. বর্ধমান মহাবীর (৫৯৯–৫২৭ খ্রি. পূ.) – জৈন দর্শন ও ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা
৪. গৌতম বুদ্ধ (৫৬৩–৪৮৩ খ্রি. পূ.) – বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক
৫. কনফুসিয়াস (৫৫১–৪৭৯ খ্রি. পূ.) – চীনের প্রাচীনতম ধর্মমতবাদের প্রবর্তক
৬. সক্রেটিস (আনু. ৪৬৯–৩৯৯ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্রের আদিজনক
৭. প্লেটো (৪২৮–৩৪৭ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্র যাঁর হাতে পেয়েছিল পূর্নাঙ্গরূপ
৮. ডায়োজিনিস (৪১২–৩২২ খ্রি. পূ.) – একনিষ্ঠ জ্ঞান সাধক
৯. অ্যারিস্টটল (৩৮৪-৩২২ খ্রি. পূ.) – যুক্তিশাস্ত্রের জনক
১০. যিশু খ্রিস্ট (আনু. ৬ খ্রি. পূ.–আনু. ২৯ খ্রি.) – খ্রিস্টানধর্মের প্রবর্তক
১১. অতীশ দীপঙ্কর (৯৮২–১০৫৩) – জ্ঞানসাধক বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারক
১২. গুরু নানক (১৪৬৯–১৫৩৮) – শিখ ধর্মমতের প্রবর্তক
১৩. মার্টিন লুথার (১৪৮৩-১৫৪৬) – ধর্মের সংস্কারক এবং ‘প্রটেস্টানিজম’ মতবাদের স্রষ্টা
১৪. মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য (১৪৮৬-১৫৩৩) – বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক
১৫. রামমোহন রায় (১৭৭২–১৮৩৩) – ভারতবর্ষে নবযুগের প্রবর্তক
১৬. রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬–১৮৮৬) – ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আমি ঈশ্বরকে দর্শন করেছি’
১৭. বারট্রান্ড রাসেল (১৮৭২–১৯৭০ ) – যুদ্ধ-বিরোধী ও মানবতাবাদী দার্শনিক
১৮. থ্যালিস (আনু. ৬২৪–৫৬৫ খ্রি. পূ.) – বিজ্ঞানশাস্ত্রের আদিপুরুষ
১৯. পিথাগোরাস (আনু. ৫৮২–৫০৭ খ্রি. পূ.) – তিনি বলেছিলেন—পৃথিবী গোলাকার
২০. হিপোক্র্যাটিস (আনু: ৪৬০–৩৭০ খ্রি. পূ.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আদিজনক
২১. আর্কিমিডিস (২৮৭–২১২ খ্রি. পূ.) – ঊর্ধ্বমুখী বল সূত্রের আবিষ্কারক
২২. ক্লডিয়াস টলেমি (১০০–১৮০ খ্রি.) – জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রথম কোষগ্রন্থ প্রণেতা
২৩. ক্লডিয়াস গ্যালেন (১৩১–২০১ খ্রি.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আধুনিক পদ্ধতির আদি জনক
২৪. ইবনে সিনা (৯৮০–১০৩৭) – জ্ঞানসাধনায় কাটিয়েছিলেন সমগ্র জীবন
২৫. কোপারনিকাস (১৪৭৩–১৫৪৩) – আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানে প্ৰবক্তা
২৬. জিওর্দানো ব্রুনো (আনু. ১৫৪৮–১৬০০ ) – সত্যপ্রচারের অপরাধে যাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল
২৭. গ্যালিলিও গ্যালিলি (১৫৬৪-১৬৪২) – যাঁর গাণিতিক পদ্ধতি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি
২৮. লিওয়েন হুক (১৬৩২–১৭৩৩) – মুদি দোকানদার থেকে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী
২৯. আইজাক নিউটন (১৬৪২–১৭২৭) – মাধ্যাকর্ষন শক্তির আবিষ্কারক
৩০. রিচার্ড আর্করাইট (১৭৩২–১৭৯২) – আধুনিক বস্ত্রশিল্পে বৈপ্লবিক ধারা প্রবর্তক
৩১. উইলিয়াম হার্শেল (১৭৩৮–১৮২২) – ইউরেনাস গ্রহের আবিষ্কারক
৩২. লরেঁ লাভোয়সিয়ের (১৭৪৩–১৭৯৪) – রসায়নশাস্ত্রের জনক
৩৩. মাইকেল ফ্যারাডে (১৭৯১-১৮৬৭) – তাড়িত-চুম্বক বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা
৩৪. চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২) – প্রাণিজগতের বিবর্তনবাদের ব্যাখ্যাদাতা
৩৫. লুই পাস্তুর (১৮২২–১৮৯৫) – জীবাণু আর জলাতঙ্ক রোগ প্রতিষেধকের আবিষ্কারক
৩৬. আলফ্রেড নোবেল (১৮৩৩–১৮৯৬) – যাঁর নামে দেয়া হয় নোবেল পুরস্কার
৩৭. আলভা এডিসন (১৮৪৭–১৯৩১) – সর্বাধিক আবিষ্কারের জনক
৩৮. জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৫৯–১৯৩৭) – যিনি বলেছিলেন গাছেরও প্রাণ আছে
৩৯. মাদাম কুরি (১৮৬৭–১৯৩৪) – সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহিলা বিজ্ঞানী
৪০. মার্কোনি (১৮৭৪–১৯৩৭) – বেতারযন্ত্রের আবিষ্কারক
৪১. আলবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯–১৯৫৫) – আপেক্ষিক তত্ত্বের জনক
৪২. আলেকজান্ডার ফ্লেমিং (১৮৮১–১৯৫৫) – পেনিসিলিনের আবিষ্কারক
৪৩. হোমার (আনু. ৭০০-? খ্রি. পূ.) – বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দুটি মহাকাব্যের রচয়িতা
৪৪. ঈশপ (আ. কা. ৬২০–৫৬০ খ্রি. পূ.) – কালজয়ী নীতিগল্পকার
৪৫. সোফোক্লেস (আনু. ৪৯৫-৪০৬ খ্রি. পূ.) – গ্রিক ট্র্যাজেডি নাট্যধারার রূপকার
৪৬. হেরোডোটাস (আনু. ৪৮৫–৪২৫ খ্রি. পূ.) – ইতিহাসশাস্ত্রের জনক
৪৭. অ্যারিস্টোফানিস (আনু. ৪৪৪–৩৮৫ খ্রি. পূ.) – যাঁর সাহিত্যকর্মে আর্তমানবতার কথা প্রতিফলিত
৪৮. মহাকবি কালিদাস (আনু. ৫৭০-৬৫০ খ্রি.) – সংস্কৃতি সাহিত্যের অমর কবি
৪৯. লেওনার্দো দা ভিঞ্চি (১৪৫২–১৫১৯) – সর্বকালের শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী
৫০. মিকেলাঞ্জেলো (১৪৭৫–১৫৬৪) – পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্কর শিল্পী
৫১. তানসেন (১৫০৬–১৫৮৫) – কিংবদন্তির গায়ক
৫২. শেকসপিয়ার (১৫৬৪-১৬১৬) – বিশ্বসাহিত্যের কালজয়ী নাট্যকার
৫৩. ভলতেয়ার (১৬৯৪-১৭৭৮) – বিখ্যাত ফরাসি চিন্তাবিদ
৫৪. জঁ-জাক্ রুসো (১৭১২–১৭৭৮) – ফরাসি বিপ্লবের রূপকার
৫৫. লর্ড বায়রন (১৭৮৮–১৮২৪) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি
৫৬. ভিক্টর হুগো (১৮০২-১৮৮৫) – ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৭. ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন (১৮০৫–১৮৭৫) – যাঁকে বলা হয় রূপকথার জাদুকর
৫৮. চার্লস ডিকেন্স (১৮১২–১৮৭০) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৯. ওয়াল্ট হুইটম্যান (১৮১৯-১৮৯২) – মার্কিন সাহিত্যের যুগ-প্রবর্তক কবি
৬০. লিয়েফ তলস্তোয় (১৮২৮–১৯১০) – বিশ্বের মহান সাহিত্যিকদের অন্যতম
৬১. জুল ভের্ন (১৮২৮–১৯০৫) – কল্পবিজ্ঞান কাহিনীর স্রষ্টা
৬২. মার্ক টোয়েন (১৮৩৫–১৯১০) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রসস্রষ্টা
৬৩. জর্জ বার্নার্ড শ (১৮৫৬–১৯৫০) – যিনি প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন
৬৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১) – শ্রেষ্ঠ বাঙালি মনীষা, পৃথিবীর মহত্তম সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব
৬৫. ম্যাক্সিম গোর্কি (১৮৬৮–১৯৩৬) – যাঁর সাহিত্যকর্মের প্রধান উপজীব্য গণমানুষের কথা
৬৬. হেলেন কেলার (১৮৮০-১৯৬৮) – যাঁর খ্যাতিকে নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করা হতো
৬৭. আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (১৮৯৮–১৯৬১) – জীবনবাদী মার্কিন কথাসাহিত্যিক
৬৮. কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯–১৯৭৬) – বাংলার বিদ্রোহী কবি
৬৯. জর্জ ওয়াশিংটন (১৭৩২–১৭৯৯) – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৭০. নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (১৭৬৯-১৮২১) – ইতিহাসের কিংবদন্তির মহানায়ক
৭১. জুসেপ্পে গারিবলদি (১৮০৭–১৮৮২) – ইতালির জনক বলে যাঁর খ্যাতি
৭২. আব্রাহাম লিংকন (১৮০৯-১৮৬৫) – যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রীতদাসপ্রথা রহিত করেছিলেন
৭৩. অটো ফন বিসমার্ক (১৮১৫–১৮৯৮) – জার্মান সাম্রাজ্যের স্থপতি
৭৪. মহাত্মা গান্ধি (১৮৬৯–১৯৪৮) – ‘সবকো সুমতি দে ভগবান’
৭৫. কমরেড লেনিন (১৮৭০–১৯২৪) – বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা
৭৬. উইনস্টন চার্চিল (১৮৭৪–১৯৬৫) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ডাকসাইটে প্রধানমন্ত্রী
৭৭. জোসেফ স্ট্যালিন (১৮৭৯–১৯৫৩) – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়েনের ‘লৌহমানব’
৭৮. কামাল আতাতুর্ক (১৮৮১–১৯৩৮) – নব্য-তুরস্কের জনক
৭৯. ডি ভ্যালেরা (১৮৮২-১৯৭৫) – আয়ারল্যান্ডের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৮০. জওহরলাল নেহরু (১৮৮৯-১৯৬৪) – ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
৮১. আইসেনহাওয়ার (১৮৯০-১৯৬৯) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক
৮২. শার্ল দ্য গল (১৮৯০-১৯৭০) – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা
৮৩. হো-চি-মিন (১৮৯০-১৯৬৯) – ভিয়েতনামের মুক্তিদাতা পুরুষ
৮৪. মার্শাল টিটো (১৮৯২–১৯৮০) – জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা
৮৫. মাও-সে-তুং (১৮৯৫–১৯৭৬) – চীন সাধারণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা
৮৬. সুভাষচন্দ্র বসু (১৮৯৭–১৯৪৫) – ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’
৮৭. জন এফ কেনেডি (১৯১৭–১৯৬৩) – গুপ্তঘাতকের হাতে যাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছিল
৮৮. ইন্দিরা গান্ধি (১৯১৭–১৯৮৪) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
৮৯. নেলসন ম্যান্ডেলা (১৯১৮) – দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তিদাতা পুরুষ
৯০. শেখ মুজিবর রহমান (১৯২০–১৯৭৫) – বাংলাদেশের জাতির জনক
৯১. প্যাট্রিস লুমুম্বা (১৯২৫-১৯৬১) – কঙ্গোর মুক্তিদাতা পুরুষ
৯২. মার্কো পোলো (১২৫৬–১৩২৩) – দুঃসাহসিক অভিযাত্রী
৯৩. ক্রিস্টোফার কলম্বাস (আনু. ১৪৪৬-১৫০৬) – আমেরিকার আবিষ্কারক
৯৪. ডেভিড লিভিংস্টোন (১৮১৩-১৮৭৩) – আফ্রিকার আবিষ্কারক
৯৫. উইলিয়াম জোন্স (১৭৪৬–১৭৯৪) – এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৬. ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল (১৮২০–১৯১০) – আধুনিক ‘নার্সিং’ বৃত্তির অগ্রপথিক
৯৭. হেনরি ডুনান্ট (১৮২৮–১৯১০) – রেডক্রস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৮. ব্যাডেন পাওয়েল (১৮৫৭–১৯৪১) – বয়স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা
৯৯. মাদার তেরেসা (১৯১০–১৯৯৭) – প্রেম, করুণা ও ধর্মের মূর্ত প্রতিমা
১০০. অ্যাডাম স্মিথ (১৭২৩–১৭৯০) – রাজনৈতিক অর্থশাস্ত্র বিজ্ঞানের জনক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন