রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬–১৮৮৬) – ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আমি ঈশ্বরকে দর্শন করেছি’

ভবেশ রায়

যুগে যুগে এ উপমহাদেশে যেসব লোকোত্তর মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করে অমৃতত্ব লাভের পথনির্দেশ করে গেছেন, রামকৃষ্ণ পরমহংস তাঁদের অন্যতম। যে সময় তাঁর জন্ম, সে সময়টি ছিল এদেশের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। এদেশের জাতীয় জীবনে ইংরেজ শাসকদের বিরুদ্ধবাদী দৃষ্টিভঙ্গি এবং ইউরোপীয় সংস্কৃতির ঢেউ লেগেছিল সর্বত্র। ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত নব্য যুবসমাজ এদেশের ধর্ম ও সংস্কৃতির ওপর আস্থা হারিয়ে বিপথগামী হতে বসেছিল। এমনই এক যুগসন্ধিক্ষণে শ্রীরামকৃষ্ণের আবির্ভাব।

শ্রীরামকৃষ্ণের জন্ম হয় ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতার অনতিদূরে হুগলি জেলার কামারপুকুর গ্রামে। পিতার নাম ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় এবং মায়ের নাম চন্দ্রমণি। একদিন ক্ষুদিরাম স্বপ্ন দেখেছিলেন, গয়াধামের তীর্থদেবতা গদাধর তাঁকে বলছেন, আমি শীঘ্রই তোর ঘরে গিয়ে জন্ম নেব। এই কথা শুনে ক্ষুদিরাম ভয়ে বিস্ময়ে শ্রদ্ধা ও সম্ভ্রমে অভিভূত হয়ে পড়েন এবং জড়িতকণ্ঠে নিবেদন করেন, না প্রভূ, এত সৌভাগ্য আমার প্রয়োজন নেই। এই অভাজনকে যে আপনি দর্শন দিয়েছেন, এটাই আমার পক্ষে যথেষ্ট। আমি এক অতি দরিদ্র ব্রাহ্মণ।

উত্তর শুনে দিব্যপুরুষের বদনমণ্ডল আরও প্রসন্ন হয়ে উঠল। তিনি স্নেহ ও করুণার ভাব প্রকাশ করে বললেন, তুমি যা দেবে, আমি তাতেই সন্তুষ্ট থাকব। আমার অভিলাষে তুমি বাধা দিও না।

নিদ্রাভঙ্গের পর তাঁর কেবলই মনে হতে লাগল, এ কী অলৌকিক স্বপ্ন তিনি দেখলেন!

অন্যদিকে এমনই অলৌকিক ঘটনা ঘটল চন্দ্রমণির ক্ষেত্রেও। তিনিও প্রকাশ্য দিবালোকে দেখলেন অনুরূপ এক দৃশ্য।

বাড়ির সামনেই ছিল যোগীদের শিবমন্দির। তিনি সেদিন মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে মহাদেবকে দর্শন করছেন, এমন সময় চন্দ্রমণির মনে হতে লাগল, এক প্রগাঢ় দিব্যজ্যোতি শিবলিঙ্গ থেকে ছুটে এসে যেন তাঁর শরীরে প্রবেশ করতে লাগল। তিনি আতঙ্কে সহসা মূর্ছিত হয়ে পড়লেন।

প্রতিবেশী রমণীরা তাঁকে তুলে নিয়ে এল ঘরে। অনেকক্ষণ পরে তাঁর জ্ঞান ফিরে এল। কিন্তু তার পর থেকেই ঘটতে লাগল বিস্ময়কর সব ঘটনা। সর্বক্ষণ মনে হতে লাগল তাঁর শরীর থেকে যেন দিব্যগন্ধ বের হচ্ছে, আর তার গন্ধে ভরে যাচ্ছে সমস্ত ঘরবাড়ি।

তীর্থস্থান থেকে স্বামী ঘরে ফিরলে স্বামীকে তিনি সব কথা খুলে বললেন। তখন ক্ষুদিরামও তাঁর অপূর্ব স্বপ্নদর্শনের কথা স্ত্রীর কাছে ব্যক্ত করলেন।

তখন ক্ষুদিরামের মনে দৃঢ় প্রত্যয়ের জন্ম নিল যে, নিশ্চয় কোনো মহাপুরুষের আবির্ভাব ঘটবে তাঁদের পর্ণ কুটিরে।

এই ঘটনার বছরকাল পরেই ক্ষুদিরামের ঘরে জন্ম নিলেন পরমপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ। পিতা তাই স্বপ্নের কথা স্মরণ করে পুত্রের নাম রাখলেন গদাধর।

গদাধর বাল্যকাল থেকেই ছিলেন ভাবুক প্রকৃতির। প্রকৃতি তাঁকে আকর্ষণ করত বেশি। স্কুলের লেখাপড়ার দিকে তেমন মন ছিল না। গদাধর বলতেন, ওই টাকা রোজগারের পড়াশোনায় আমার প্রয়োজন নেই।

গদাধর ভাবুক প্রকৃতির হলেও বেশ চঞ্চল ছিলেন। অতি শৈশবেই তাঁর মধ্যে অনেক অসাধারণ গুণাবলিরও প্রকাশ ঘটেছিল। ভয়ের শাসন তিনি মানতেন না। তিনি যখন কোনো বিষয়ে জেদ ধরতেন, তখন তার থেকে তাঁকে নিরস্ত করা যেত না।

যেহেতু ক্ষুদিরামের দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছিল, এই শিশু সাধারণ মানবশিশু নয়, তাই তাঁর দুরন্তপনা ও সকল আবদারকেই তিনি মেনে নিতেন।

তিনি লক্ষ করেছিলেন, স্কুলের পড়ার প্রতি আগ্রহ না থাকলেও ছেলের মেধা এবং স্মরণশক্তি খুবই প্রখর। পিতৃপুরুষদের নাম, নানা দেবদেবীর নাম, বেদমন্ত্র মুখে-মুখে শুনেই মুখস্থ করে ফেলতে পারেন। আরও বিস্ময়কর ব্যাপার, একবার যা শেখেন, কখনও তা ভোলেন না।

পড়ার আগ্রহ না থাকলেও ক্ষুদিরাম তাঁর ছেলেকে ভর্তি করিয়ে দিলেন গ্রামের লাহাবাবুদের চণ্ডীমণ্ডপের পাঠশালায়। কিন্তু মন দিয়ে লেখাপড়া করতেন না গদাধর। বিশেষ করে অঙ্ক তাঁর মোটেই ভালো লাগত না।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাঁর মধ্যে যে বিশেষ গুণটির প্রকাশ হতে থাকে, তা হলো ভয়শূন্যতা। তাঁর মনে ভয়-ভাবনার লেশ মাত্র ছিল না। গ্রামের মধ্যে যেসব জায়গায় লোকে রাতে একা যেতে ভয় পেত, গদাধর সেসবখানে দিব্যি ঘুরে বেড়াতেন।

তাঁর দ্বিতীয় গুণ ছিল প্রচণ্ড আকর্ষণশক্তি। তাঁর মধ্যে ছিল অপূর্ব মোহিনীশক্তি, যার ফলে সবাই তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতো, তাঁর কথা শুনত, তাঁকে ভালোবাসত।

তৃতীয় গুণটি ছিল তন্ময়তা। সুন্দর দৃশ্য দেখে, পৌরাণিক কাহিনী গান বা কথিকা শুনে তিনি মাঝেমধ্যে এমন তন্ময় হয়ে পড়তেন যে, জ্ঞান হারিয়ে ফেলতেন।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর এই ভাব-সমাধি আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে। তিনি বলতেন, কোনো দেবদেবীর ধ্যান করতে বসলে তিনি অল্পক্ষণেই তাঁর ধ্যানের দেবতাকে দেখতে পান। তখন তাঁর আর কিছুই স্মরণ থাকে না তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

পিতার মৃত্যুর পর গদাধরের আরও ভাবান্তর দেখা দিল। তিনি সব কিছু ছেড়েছুড়ে পড়ে থাকতে লাগলেন শ্মশানে আর নির্জন স্থানে। একদিন বড় ভাই রাজকুমার তাঁকে নিয়ে (১৮৫৩ সালে) এলেন কলকাতায়। পিতার মৃত্যুর পর সংসারের সমস্ত দায়-দায়িত্ব পড়েছিল বড়ভাই রামকুমারের ওপরই। কিন্তু তিনি একা সামাল দিতে পারছিলেন না। ভাবলেন, এদিকে গদাধর যখন লেখাপড়াও করছে না, তাই শহরে নিয়ে যজমানি করে ও যদি দুটো পয়সা আয় করতে পারে, তাতেও তাঁর সহযোগিতা হয়।

কলকাতা এসে গদাধর ঝামাপুকুরের গোবিন্দ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পূজারি হিসেবে কাজ করতে লাগলেন।

এরপর দক্ষিণেশ্বরে রানি রাসমণির অর্থ সাহায্যে মন্দির প্রতিষ্ঠিত হলে বড় ভাই রামকুমার সেখানকার পূজারি মনোনীত হন। তিনি সঙ্গে নেন ভাই গদাধরকেও। বড় ভাই রামকুমার ছিলেন পূজারি আর গদাধর হন মা ভবতারিণীর সজ্জাকর। ফুলমালা দিয়ে গাদাধব প্রতিদিন মাকে নানা রূপে সাজান মনের মতো করে আর আবেগে উচ্ছ্বসিত হয়ে মুখে শুধু বলেন, মা মা।

এর কিছুদিন পরেই বড় ভাই রামকুমারের হঠাৎ করেই মৃত্যু হলো। বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর এবার মা ভবতারিণীর পুজোর ভারও তাঁর ওপরেই বর্তালো।

যেমন অদ্ভুত মানুষ, তেমনি অদ্ভুত তাঁর পুজো-পদ্ধতি। অলৌকিকভাবের ঘোরে সর্বক্ষণ বিভোর হয়ে থাকেন তিনি। পুজোর ফুল নিজের মাথায় তুলে নেন। নৈবেদ্যর ফল, আর মিষ্টি মাকে খাওয়াবার জন্য আকুল প্রার্থনা জানান খা মা, খা মা বলে।

অনেক সময় তা নিজেই খেয়ে ফেলেন ছোট্ট ছেলের মতো। মায়ের সামনে নাচেন, হাসেন, কাঁদেন ছেলেমানুষের মতো। ভাবের ঘোরে মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। মৃন্ময়ী মা যেন চিন্ময়ী হয়ে ওঠেন ঠাকুর গদাধরের সামনে।

সবাই ভাবে, মানুষটা বুঝি পাগল হয়ে গেছে।

এদিকে ছেলের এই দিব্যোন্মাদনার কথা পৌঁছে যায় মায়ের কানে। ছেলে বিবাগি হয়ে যেতে পারে ভেবে মা বাড়িতে ডেকে এনে তাঁর বিয়ে দিলেন সারদা নামের এক পরমা সুন্দরী কন্যার সাথে। কিন্তু পত্নীকে তিনি কখনও স্ত্রীরূপে গ্রহণ করেননি। পত্নীর মধ্যেও তিনি দর্শন করেছেন মাতৃভাব। এরকম ঘটনার দৃষ্টান্ত বিশ্বে সত্যিই বিরল।

সারদামণি থাকেন তখন বাবার বাড়িতে। তিনি কিন্তু ঠিকই চিনেছিলেন স্বামীকে। তাই তো তিনি অলৌকিক চরিত্রের প্রভাবে একদিন হতে পেরেছিলেন মা সারদা। যোগীশ্রেষ্ঠ শ্রীরামকৃষষ্ণদেবের যোগ্য সহধর্মিণী।

এদিকে পাগল ঠাকুর ছেলেমানুষের মতো তখনও কাঁদেন। মাটিতে গড়াগড়ি দেন, আর কণ্ঠে মাতৃদর্শনের ব্যাকুলতা প্রকাশ করে বলেন, দেখা দে মা, দেখা দে … ।

শেষে একদিন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। সাধনা কি তবে ব্যর্থ হলো তাঁর? মা ভবতারিণীর হাত থেকে খাড়া খুলে নিয়ে আত্মহত্যার জন্য প্রস্তুত হলেন—দেখাই যখন পেলাম না তখন এ জীবন রাখার প্রয়োজনই-বা কী?

পাগল ঠাকুরের সাধনা সফল হলো। সারা মন্দির যেন হাজার বাতির আলোয় ঝলমল করে উঠল। গদাধর সামনে দেখলেন জগজ্জননী মাকে জীবন্ত মূর্তিতে। অভয়া মূর্তি—সহাস্যবদন। পাগল ঠাকুরের অতৃপ্ত অশান্ত মন দারুণ প্রশান্তিতে ভরে উঠল

১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে সিদ্ধা ভৈরবী যোগেশ্বরী এলেন দক্ষিণেশ্বরে এবং তিনি গদাধরকে দর্শন করে ঘোষণা করলেন তাঁকে অসামান্য যোগী ও অবতার বলে। এরপর তিনি প্রখ্যাত সাধক তোতাপুরীর কাছে সাধনার পথ, শাক্ত, বৈষ্ণব, তান্ত্রিক ও বেদান্ত বিষয়ে প্রচুর জ্ঞানলাভ করেন। সাধনায় সিদ্ধিলাভ করে তিনি উপলব্ধি করেন যে, ঈশ্বরের ভাব অনন্ত। তিনি সাকার, আবার নিরাকারও।

১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনলীলানাট্যের এক নতুন দৃশ্যপট উন্মোচিত হয়। এবার আর তিনি আত্মসমাহিত সাধক নন, তিনি হন লোকগুরু। তাঁর বাণী শোনার জন্য দলে দলে লোক এসে তাঁর চারপাশে ভিড় করতে থাকে। কলকাতার শিক্ষিতসমাজের দৃষ্টিও নিবদ্ধ হয় তাঁর প্রতি। সেকালের মনীষী বাগ্মী কেশব সেন, বিজয়কৃষ্ণ, শশধর পণ্ডিত, সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মাইকেল মুধুসূদন দত্ত, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাধিকা গোস্বামী, নটগুরু গিরিশচন্দ্র ঘোষ, আমেরিকার বুথ সাহেব, প্রতাপ মজুমদার, শিবনাথ শাস্ত্রী প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তি ছুটে আসেন তাঁর সান্নিধ্য পাবার জন্য।

একদিন কেশব সেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে বলেন, ঠাকুর, বলে দিন কেন আমার ঠাকুর-দর্শন হয় না। উত্তরে ঠাকুর সোজাসুজি বললেন, সংসারের সম্মান, প্রতিপত্তি আর বিদ্যার মোহ নিয়ে আছ কিনা, তাই হয় না; ছেলে চুষনি নিয়ে যতক্ষণ চোষে, ততক্ষণ মা আসে না। খানিকক্ষণ পরে চুষনি ফেলে দিয়ে ছেলে যখন দু’হাত তুলে মা বলে চিৎকার করে, তখনই মা ভাতের হাঁড়ি নামিয়ে ছুটে আসেন।

তিনি বলতেন, ঈশ্বরকে যে আন্তরিকভাবে জানতে চাইবে, তারই হবে, হবেই হবে। সত্য কথাই কলির তপস্যা। ঈশ্বরলাভের জন্য ব্যাকুলতাকে তিনি তিনটি টানের সাথে তুলনা করে বলেছেন, বিষয়ের প্রতি বিষয়ীর টান, পতির প্রতি সতীর টান, এবং সন্তানের প্রতি যেমন মায়ের টান—এমনি আন্তরিক তিনটি টান একসঙ্গে হলে তবেই ঈশ্বরলাভ হয়। এই তিনটি ভালবাসা যদি কেউ একসঙ্গে করে ভগবানকে দিতে পারে, তবে তৎক্ষণাৎ তার ঈশ্বরলাভ হবে।

শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশবাণী প্রচার করার চমৎকার একটি রীতি ছিল। তিনি তাঁর ঈশ্বরতত্ত্ব বিষয়ের কথাগুলোকে সাধারণ ভক্তের কাছে পরিষ্কার করে বলার জন্য অবতারণা করতেন সুন্দর সুন্দর গল্পের। তিনি গল্পের ছলেই তাঁর বাণীগুলোকে ভক্তদের কাছে গ্রহণীয় করে তুলতেন।

ঈশ্বরে বিশ্বাস ও ব্যাকুলতার দৃষ্টান্ত দিতে গিয়ে বলেছিলেন মধুসূদন দাদার গল্প। জটিল নামে এক অনাথ বালক। সে পাঠশালায় যেত। একটা বনের পথ দিয়ে পাঠশালায় যেতে হতো। তাই সে ভয় পেত। মাকে একথা বলাতে মা বললেন, তোর ভয় কী? তুই মধুসূদনকে ডাকবি। ছেলেটি জিগ্যেস করল, মা, মধুসূদন কে? মা বললেন, মুধুসূদন তোর দাদা হয়। যখন একলা যেতে যেতে ভয় করবে, তখন ডাকবি, দাদা মধুসূদন বলে।

ছেলেটিও তাই যখন বনের ভেতরে গিয়ে ভয় পেল, অমনি সে একান্ত বিশ্বাসে ও ব্যাকুলতায় ডাকতে লাগল, দাদা মধুসূদন। কিন্তু কোথাও কোনো সাড়া নেই। তখন উচ্চস্বরে কাঁদতে লাগল, কোথায় দাদা মধুসূদন, তুমি এসো। আমি বড় ভয় পেয়েছি। ছেলেটির ব্যাকুল কান্নায় ঈশ্বর থাকতে না পেরে সত্যি সত্যি দাদা মধুসূদনের ছদ্মবেশে এসে দাঁড়ালেন তার সামনে। এই যে আমি তোর দাদা, ভয় কী? এই বলে তিনি সঙ্গে করে ছেলেটিকে পাঠশালায় পৌছে দিয়ে গেলেন। আর বলে গেলেন, তুই যখন ডাকবি আমি আসব। ভয় কী?

শ্রীরামকৃষ্ণ এই গল্পের দৃষ্টান্ত দিয়ে ভক্তদের বলতেন, এমনই বালকের মতো বিশ্বাস ও ব্যকুলতা যার আছে, তারই ঈশ্বরদর্শন হয়।

দেখতে দেখতে এই সিদ্ধ সাধকের খ্যাতি সর্বস্তরের লোকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে প্রবীণদের মতো নবীনরাও ঠাকুরের কাছে আসতে থাকেন। প্রাচ্য-পাশ্চাত্য আদর্শের সংঘাতে দোলায়মান তরুণদের প্রতিভূ হিসেবে এলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত। ঈশ্বরদর্শন করেছেন এমন একজন সাধকের সন্ধান করে ফিরছিলেন তিনি। শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে এসে তিনি বললেন, ঠাকুর, আপনার কি ঈশ্বরদর্শন হয়েছে? উত্তরে ঠাকুর বললেন, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই হয়েছে। তোকে যেমন দেখছি, তার চেয়ে স্পষ্ট দেখেছি। তুই যদি চাস, তোকেও দেখাতে পারি। নরেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কৃপালাভ করে ঈশ্বরদর্শন করে ধন্য হয়েছিলেন এবং নিজেকে ঠাকুরের কাছে সমর্পণ করেছিলেন। এই নরেন্দ্রথাই হলেন শ্রীরামকৃষ্ণের শ্রেষ্ঠ শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ, যিনি পরবর্তীকালে ঠাকুরের বাণী ও আদর্শকে দেশ-দেশান্তরে প্রচার করে গেছেন।

শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশাবলি শুধু মুখের কথা নয়, সেগুলো ছিল তাঁর জীবনচর্চায় রূপায়িত সত্য। তিনি অহঙ্কারশূন্য হয়ে জীবকে শিবজ্ঞান করেছেন। কালীবাড়ির কাঙালিদের দরিদ্রনারায়ণজ্ঞানে নিজের হাতে ভোজন করিয়ে তিনি জীবসেবায় আদর্শ স্থাপন করেছেন। তাই তো ভক্তরা তাঁর উপদেশকে কথামৃত বলে গ্রহণ করে প্রতিনিয়ত ধন্য হচ্ছেন।

ধর্ম সম্পর্কে তিনি বলেছেন, আন্তরিক হয়ে সব ধর্মের ভেতর দিয়েই ঈশ্বরকে পাওয়া যায়। বৈষ্ণবরাও ঈশ্বরকে পাবে, বেদান্তবাদীরাও পাবে, ব্রহ্মজ্ঞানীরাও পাবে। আর ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও পাবে। আন্তরিক হলে সবাই পাবে। কেউ কেউ ঝগড়া করে বসে—তারা বলে, আমাদের কৃষ্ণকে না ভজলে কিছুই হবে না, কেউ বলে, আমাদের মা কালীকে না ভজলে হবে না—এসব বুদ্ধির নাম মতুয়াবুদ্ধি। অর্থাৎ আমার ধর্ম ঠিক, আর সকলের ধর্ম মিথ্যা। এ বুদ্ধি খারাপ, ঈশ্বরের কাছে নানা পথ দিয়ে পৌঁছানো যায়। যত মত তত পথ।

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের মহাপ্রয়াণের দিন ঘনিয়ে আসে। কিছুদিন থেকে তিনি ভুগছিলেন গলার ক্ষতরোগে। ভক্তবৃন্দ তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন কলকাতার শ্যামপুকুর অঞ্চলে। তাঁর চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি ছিল না। তবুও ঠাকুর মনে মনে হাসেন। প্রিয় শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দকে শোনান তাঁর প্রিয় সঙ্গীত—‘মন চল নিজ নিকেতনে’।

তিনি বিবেকানন্দকে উদ্দেশ্য করে বললেন, নরেন, আমার এই ছেলেরা সব রইল। আর রইলি তুই। তুই ওদের দেখিস, ওদের সৎপথে চালাস, আমি শিগিরই দেহরক্ষা করব।

ভক্তরা কাঁদেন, ঠাকুর, তোমাকে ছেড়ে আমরা কী করে থাকব? তুমি আমাদের ছেড়ে যেও না। ঠাকুর বললেন, তা কি হয় রে? জন্ম যখন নিয়েছি মৃত্যু তো একদিন আসবেই। তবে চিন্তা করিস নে। আমি তোদের মাধ্যেই থাকব।

এই মহান সাধকপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ ১৮৮৬ সালের ১৬ আগস্ট রোববার মহাসমাধিযোগে মানবলীলা সংবরণ করেন।

সকল অধ্যায়

১. হযরত মুহাম্মদ (দঃ) (৫৭০-৬৩২) – সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী
২. জরথুশত্র (৬২৮-৫৫১ খ্রি. পূ.) – পারশি ধর্মের প্রবর্তক
৩. বর্ধমান মহাবীর (৫৯৯–৫২৭ খ্রি. পূ.) – জৈন দর্শন ও ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা
৪. গৌতম বুদ্ধ (৫৬৩–৪৮৩ খ্রি. পূ.) – বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক
৫. কনফুসিয়াস (৫৫১–৪৭৯ খ্রি. পূ.) – চীনের প্রাচীনতম ধর্মমতবাদের প্রবর্তক
৬. সক্রেটিস (আনু. ৪৬৯–৩৯৯ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্রের আদিজনক
৭. প্লেটো (৪২৮–৩৪৭ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্র যাঁর হাতে পেয়েছিল পূর্নাঙ্গরূপ
৮. ডায়োজিনিস (৪১২–৩২২ খ্রি. পূ.) – একনিষ্ঠ জ্ঞান সাধক
৯. অ্যারিস্টটল (৩৮৪-৩২২ খ্রি. পূ.) – যুক্তিশাস্ত্রের জনক
১০. যিশু খ্রিস্ট (আনু. ৬ খ্রি. পূ.–আনু. ২৯ খ্রি.) – খ্রিস্টানধর্মের প্রবর্তক
১১. অতীশ দীপঙ্কর (৯৮২–১০৫৩) – জ্ঞানসাধক বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারক
১২. গুরু নানক (১৪৬৯–১৫৩৮) – শিখ ধর্মমতের প্রবর্তক
১৩. মার্টিন লুথার (১৪৮৩-১৫৪৬) – ধর্মের সংস্কারক এবং ‘প্রটেস্টানিজম’ মতবাদের স্রষ্টা
১৪. মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য (১৪৮৬-১৫৩৩) – বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক
১৫. রামমোহন রায় (১৭৭২–১৮৩৩) – ভারতবর্ষে নবযুগের প্রবর্তক
১৬. রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬–১৮৮৬) – ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আমি ঈশ্বরকে দর্শন করেছি’
১৭. বারট্রান্ড রাসেল (১৮৭২–১৯৭০ ) – যুদ্ধ-বিরোধী ও মানবতাবাদী দার্শনিক
১৮. থ্যালিস (আনু. ৬২৪–৫৬৫ খ্রি. পূ.) – বিজ্ঞানশাস্ত্রের আদিপুরুষ
১৯. পিথাগোরাস (আনু. ৫৮২–৫০৭ খ্রি. পূ.) – তিনি বলেছিলেন—পৃথিবী গোলাকার
২০. হিপোক্র্যাটিস (আনু: ৪৬০–৩৭০ খ্রি. পূ.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আদিজনক
২১. আর্কিমিডিস (২৮৭–২১২ খ্রি. পূ.) – ঊর্ধ্বমুখী বল সূত্রের আবিষ্কারক
২২. ক্লডিয়াস টলেমি (১০০–১৮০ খ্রি.) – জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রথম কোষগ্রন্থ প্রণেতা
২৩. ক্লডিয়াস গ্যালেন (১৩১–২০১ খ্রি.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আধুনিক পদ্ধতির আদি জনক
২৪. ইবনে সিনা (৯৮০–১০৩৭) – জ্ঞানসাধনায় কাটিয়েছিলেন সমগ্র জীবন
২৫. কোপারনিকাস (১৪৭৩–১৫৪৩) – আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানে প্ৰবক্তা
২৬. জিওর্দানো ব্রুনো (আনু. ১৫৪৮–১৬০০ ) – সত্যপ্রচারের অপরাধে যাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল
২৭. গ্যালিলিও গ্যালিলি (১৫৬৪-১৬৪২) – যাঁর গাণিতিক পদ্ধতি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি
২৮. লিওয়েন হুক (১৬৩২–১৭৩৩) – মুদি দোকানদার থেকে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী
২৯. আইজাক নিউটন (১৬৪২–১৭২৭) – মাধ্যাকর্ষন শক্তির আবিষ্কারক
৩০. রিচার্ড আর্করাইট (১৭৩২–১৭৯২) – আধুনিক বস্ত্রশিল্পে বৈপ্লবিক ধারা প্রবর্তক
৩১. উইলিয়াম হার্শেল (১৭৩৮–১৮২২) – ইউরেনাস গ্রহের আবিষ্কারক
৩২. লরেঁ লাভোয়সিয়ের (১৭৪৩–১৭৯৪) – রসায়নশাস্ত্রের জনক
৩৩. মাইকেল ফ্যারাডে (১৭৯১-১৮৬৭) – তাড়িত-চুম্বক বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা
৩৪. চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২) – প্রাণিজগতের বিবর্তনবাদের ব্যাখ্যাদাতা
৩৫. লুই পাস্তুর (১৮২২–১৮৯৫) – জীবাণু আর জলাতঙ্ক রোগ প্রতিষেধকের আবিষ্কারক
৩৬. আলফ্রেড নোবেল (১৮৩৩–১৮৯৬) – যাঁর নামে দেয়া হয় নোবেল পুরস্কার
৩৭. আলভা এডিসন (১৮৪৭–১৯৩১) – সর্বাধিক আবিষ্কারের জনক
৩৮. জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৫৯–১৯৩৭) – যিনি বলেছিলেন গাছেরও প্রাণ আছে
৩৯. মাদাম কুরি (১৮৬৭–১৯৩৪) – সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহিলা বিজ্ঞানী
৪০. মার্কোনি (১৮৭৪–১৯৩৭) – বেতারযন্ত্রের আবিষ্কারক
৪১. আলবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯–১৯৫৫) – আপেক্ষিক তত্ত্বের জনক
৪২. আলেকজান্ডার ফ্লেমিং (১৮৮১–১৯৫৫) – পেনিসিলিনের আবিষ্কারক
৪৩. হোমার (আনু. ৭০০-? খ্রি. পূ.) – বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দুটি মহাকাব্যের রচয়িতা
৪৪. ঈশপ (আ. কা. ৬২০–৫৬০ খ্রি. পূ.) – কালজয়ী নীতিগল্পকার
৪৫. সোফোক্লেস (আনু. ৪৯৫-৪০৬ খ্রি. পূ.) – গ্রিক ট্র্যাজেডি নাট্যধারার রূপকার
৪৬. হেরোডোটাস (আনু. ৪৮৫–৪২৫ খ্রি. পূ.) – ইতিহাসশাস্ত্রের জনক
৪৭. অ্যারিস্টোফানিস (আনু. ৪৪৪–৩৮৫ খ্রি. পূ.) – যাঁর সাহিত্যকর্মে আর্তমানবতার কথা প্রতিফলিত
৪৮. মহাকবি কালিদাস (আনু. ৫৭০-৬৫০ খ্রি.) – সংস্কৃতি সাহিত্যের অমর কবি
৪৯. লেওনার্দো দা ভিঞ্চি (১৪৫২–১৫১৯) – সর্বকালের শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী
৫০. মিকেলাঞ্জেলো (১৪৭৫–১৫৬৪) – পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্কর শিল্পী
৫১. তানসেন (১৫০৬–১৫৮৫) – কিংবদন্তির গায়ক
৫২. শেকসপিয়ার (১৫৬৪-১৬১৬) – বিশ্বসাহিত্যের কালজয়ী নাট্যকার
৫৩. ভলতেয়ার (১৬৯৪-১৭৭৮) – বিখ্যাত ফরাসি চিন্তাবিদ
৫৪. জঁ-জাক্ রুসো (১৭১২–১৭৭৮) – ফরাসি বিপ্লবের রূপকার
৫৫. লর্ড বায়রন (১৭৮৮–১৮২৪) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি
৫৬. ভিক্টর হুগো (১৮০২-১৮৮৫) – ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৭. ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন (১৮০৫–১৮৭৫) – যাঁকে বলা হয় রূপকথার জাদুকর
৫৮. চার্লস ডিকেন্স (১৮১২–১৮৭০) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৯. ওয়াল্ট হুইটম্যান (১৮১৯-১৮৯২) – মার্কিন সাহিত্যের যুগ-প্রবর্তক কবি
৬০. লিয়েফ তলস্তোয় (১৮২৮–১৯১০) – বিশ্বের মহান সাহিত্যিকদের অন্যতম
৬১. জুল ভের্ন (১৮২৮–১৯০৫) – কল্পবিজ্ঞান কাহিনীর স্রষ্টা
৬২. মার্ক টোয়েন (১৮৩৫–১৯১০) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রসস্রষ্টা
৬৩. জর্জ বার্নার্ড শ (১৮৫৬–১৯৫০) – যিনি প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন
৬৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১) – শ্রেষ্ঠ বাঙালি মনীষা, পৃথিবীর মহত্তম সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব
৬৫. ম্যাক্সিম গোর্কি (১৮৬৮–১৯৩৬) – যাঁর সাহিত্যকর্মের প্রধান উপজীব্য গণমানুষের কথা
৬৬. হেলেন কেলার (১৮৮০-১৯৬৮) – যাঁর খ্যাতিকে নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করা হতো
৬৭. আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (১৮৯৮–১৯৬১) – জীবনবাদী মার্কিন কথাসাহিত্যিক
৬৮. কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯–১৯৭৬) – বাংলার বিদ্রোহী কবি
৬৯. জর্জ ওয়াশিংটন (১৭৩২–১৭৯৯) – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৭০. নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (১৭৬৯-১৮২১) – ইতিহাসের কিংবদন্তির মহানায়ক
৭১. জুসেপ্পে গারিবলদি (১৮০৭–১৮৮২) – ইতালির জনক বলে যাঁর খ্যাতি
৭২. আব্রাহাম লিংকন (১৮০৯-১৮৬৫) – যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রীতদাসপ্রথা রহিত করেছিলেন
৭৩. অটো ফন বিসমার্ক (১৮১৫–১৮৯৮) – জার্মান সাম্রাজ্যের স্থপতি
৭৪. মহাত্মা গান্ধি (১৮৬৯–১৯৪৮) – ‘সবকো সুমতি দে ভগবান’
৭৫. কমরেড লেনিন (১৮৭০–১৯২৪) – বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা
৭৬. উইনস্টন চার্চিল (১৮৭৪–১৯৬৫) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ডাকসাইটে প্রধানমন্ত্রী
৭৭. জোসেফ স্ট্যালিন (১৮৭৯–১৯৫৩) – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়েনের ‘লৌহমানব’
৭৮. কামাল আতাতুর্ক (১৮৮১–১৯৩৮) – নব্য-তুরস্কের জনক
৭৯. ডি ভ্যালেরা (১৮৮২-১৯৭৫) – আয়ারল্যান্ডের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৮০. জওহরলাল নেহরু (১৮৮৯-১৯৬৪) – ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
৮১. আইসেনহাওয়ার (১৮৯০-১৯৬৯) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক
৮২. শার্ল দ্য গল (১৮৯০-১৯৭০) – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা
৮৩. হো-চি-মিন (১৮৯০-১৯৬৯) – ভিয়েতনামের মুক্তিদাতা পুরুষ
৮৪. মার্শাল টিটো (১৮৯২–১৯৮০) – জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা
৮৫. মাও-সে-তুং (১৮৯৫–১৯৭৬) – চীন সাধারণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা
৮৬. সুভাষচন্দ্র বসু (১৮৯৭–১৯৪৫) – ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’
৮৭. জন এফ কেনেডি (১৯১৭–১৯৬৩) – গুপ্তঘাতকের হাতে যাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছিল
৮৮. ইন্দিরা গান্ধি (১৯১৭–১৯৮৪) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
৮৯. নেলসন ম্যান্ডেলা (১৯১৮) – দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তিদাতা পুরুষ
৯০. শেখ মুজিবর রহমান (১৯২০–১৯৭৫) – বাংলাদেশের জাতির জনক
৯১. প্যাট্রিস লুমুম্বা (১৯২৫-১৯৬১) – কঙ্গোর মুক্তিদাতা পুরুষ
৯২. মার্কো পোলো (১২৫৬–১৩২৩) – দুঃসাহসিক অভিযাত্রী
৯৩. ক্রিস্টোফার কলম্বাস (আনু. ১৪৪৬-১৫০৬) – আমেরিকার আবিষ্কারক
৯৪. ডেভিড লিভিংস্টোন (১৮১৩-১৮৭৩) – আফ্রিকার আবিষ্কারক
৯৫. উইলিয়াম জোন্স (১৭৪৬–১৭৯৪) – এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৬. ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল (১৮২০–১৯১০) – আধুনিক ‘নার্সিং’ বৃত্তির অগ্রপথিক
৯৭. হেনরি ডুনান্ট (১৮২৮–১৯১০) – রেডক্রস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৮. ব্যাডেন পাওয়েল (১৮৫৭–১৯৪১) – বয়স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা
৯৯. মাদার তেরেসা (১৯১০–১৯৯৭) – প্রেম, করুণা ও ধর্মের মূর্ত প্রতিমা
১০০. অ্যাডাম স্মিথ (১৭২৩–১৭৯০) – রাজনৈতিক অর্থশাস্ত্র বিজ্ঞানের জনক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন