উইলিয়াম জোন্স (১৭৪৬–১৭৯৪) – এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা

ভবেশ রায়

এশিয়াটিক সোসাইটর প্রতিষ্ঠাতা এবং অষ্টাদশ শতকের সবচাইতে বিদ্বান ও অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষাবিদ স্যার উইলিয়াম জোন্স। তিনি প্রায় ৩০টির মতো ভাষা জানতেন। এর মধ্যে ইংরেজি, ল্যাটিন, গ্রিক, ইতালীয়, হিব্রু, ফারসি, ফরাসি, জার্মান, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, আরবি, তুর্কি, রুশ, সিরিয়াক, এথিওপিক, কপাটিক, ওয়েলস, সুইডিশ, ডাচ, সংস্কৃত, বাংলা, হিন্দি, তিব্বতি, পালি, পহলবি, জাপানি ও চীনা প্রভৃতি ভাষায় তিনি লিখতে-পড়তে, এমনকি সাহিত্যও রচনা করতে পারতেন। উইলিয়াম জোন্সের ভাষাজ্ঞান ছিল কিংবদন্তির মতো।

এই মহান কিংবদন্তি-পুরুষের জীবনকাল ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত। মাত্র আটচল্লিশ বছরের জীবন ছিল তাঁর। জন্ম ১৭৪৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর লন্ডনে এবং মৃত্যু ১৭৯৪ সালের ২৭ এপ্রিল কলকাতায়।

কিন্তু এই স্বল্প জীবনকালেই তিনি অর্জন করেছিলেন বিরাট সাফল্য। বিশ্বের চোখে তিনি ছিলেন প্রতিভার এক মূর্তিমান বিস্ময়। বাল্যকাল থেকেই তাঁর প্রতিভার স্ফুরণ ঘটতে থাকে। ক্লাসে প্রায় সব বিষয়ে তিনি তাঁর সহপাঠীদের চাইতে বরাবর এগিয়ে থাকতেন। ছোটবেলায় মা বলেছিলেন, পড়ো, তা হলেই সব জানতে পারবে। আর সেই থেকেই জোন্সের শুরু হয় পড়া আর জানার আগ্রহ। তাঁর প্রতিভা কেমন বিস্ময়কর ছিল, তার একটা উদাহরণ দিই। মাত্র তের বছর বয়সে একটি আস্ত বই একবার পড়েই তিনি তা লিখে ফেলতে পারতেন। একবার তাঁর স্কুলের ছেলেরা শেপিয়ারের ‘টেম্পেস্ট’ নাটক অভিনয় করবে বলে ঠিক করল। কিন্তু নাটকটি পাওয়া যাচ্ছিল না। তা হলে উপায়?

উপায় বের করলেন জোন্স নিজেই। তিনি বেশ কয়েকদিন আগে নাটকটি একবার পড়েছিলেন। পড়াশোনার সেই স্মৃতির ওপর নির্ভর করেই তিনি আস্ত নাটকটি আবার লিখে দিলেন। তারপর সে-নাটক মঞ্চস্থও হলো। এমনই অসাধারণ ছিল তাঁর স্মৃতিশক্তি।

১৭৬৪ সালে ম্যাট্রিক পাস করে অক্সফোর্ডে ভর্তি হন জোন্স। কয়েকদিনের মধ্যেই এখানকার শিক্ষকরাও বুঝলেন, এ এক অসাধারণ প্রতিভাধর ছেলে। তার ফলে জোন্সের দৈনিক হাজিরা মাফ হয়ে গেল। তাঁর আর প্রতিদিন ক্লাসে উপস্থিত থাকার বাধ্যবাধকতা রইল না। পড়া শেখার জন্য তাঁকে দৈনিক ক্লাসে না এলেও চলবে।

অক্সফোর্ডে থাকতেই তিনি শিখলেন আরবি ভাষা। ১৭৬৮ সালে কাউন্ট চার্লস রেভিস্কির সংস্পর্শে এসে ভালোভাবে শিখলেন ফরাসি। এই সময়ই তিনি ডেনমার্কের রাজা সপ্তম ক্রিশ্চিয়ান-এর অনুরোধে মির্জা মেহেদির নাদির শাহের ইতিহাস ‘তারিখ-ই-

নাদিরি’ অনুবাদ করে দিলেন ভাষায়। এই অনুবাদ পড়ে ফ্রান্সের রাজা ষোড়শ লুই সবিস্ময়ে বলেছিলেন, এ ছেলে তো ফরাসি ভাষা আমার চেয়েও ভালো জানে দেখছি!

১৭৬৮ সালে গ্র্যাজুয়েট হলেন জোন্স। তারপর শুরু তাঁর হলো ব্যারিস্টারি পড়া। ১৭৭১ থেকে ১৭৭৪ সালের মধ্যে ছাপা হলো তাঁর ফরাসি ব্যাকরণ এবং কবিতাগুচ্ছ। নানা ভাষার কবিতার অনুবাদ। তারপর বেরুল কবি হাফিজের কবিতার অনুবাদ—‘এ পার্সিয়ান সং অব হাফিজ’। জোন্সের ফরাসি ব্যাকরণ বইটি খুব আলোড়ন সৃষ্টি করল। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বরাতে জুটে গেল তিন তিনটি পদবি—ফরাসি জোন্স, ভাষাবিদ জোন্স এবং ওরিয়েন্টাল জোন্স। ১৭৭২ সালের ৩০ এপ্রিল মাত্র ২৬ বৎসর বয়সে তিনি রয়্যাল সোসাইটির ফেলো (এফ. আর. এস.) মনোনীত হন। ১৭৭৩ সালে মনোনীত হন ড. জনসন ক্লাবের সদস্য এবং সেই বছরই তিনি জুন মাসে এম. এ. ডিগ্রি লাভ করেন। ১৭৭৪ সালে তিনি যোগদান করেন বারে।

১৭৭৬ সালে তিনি খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীর গ্রিক আইনজীবী ইসেউস-এর দশটি ভাষণ ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। এই ভাষণগুলি থেকে তিনি গ্রিক সম্পত্তির উত্তরাধিকারব্যবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখান।

১৭৮৩ সালে জোন্স আসেন ভারতবর্ষের তখনকার রাজধানী কলকাতার সুপ্রিম কোর্টের জজ হয়ে। এখানে পাঠানোর আগে তাঁকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল। ১৭৮৩ সালে স্ত্রী অ্যানা মারিয়াকে নিয়ে তিনি চলে আসেন তাঁর নতুন কর্মস্থল কলকাতায়।

এবার তাঁর প্রতিভা মোড় নিতে শুরু করে অন্যদিকে। তিনি ঝুঁকে পড়ে প্রাচ্যের সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতি। তিনি ভারতে এসে সন্ধান পেলেন সংস্কৃত সাহিত্যের রত্নখনির। এই অমূল্য সম্পদ নিয়ে গভীর গবেষণা চালাবার ব্যাপারে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেন কিন্তু এ কাজ তো তাঁর একার পক্ষে চালানো সম্ভব নয়!

আর তখনই তাঁর মাথায় এলো এক নতুন চিন্তা। আচ্ছা, লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটির মতো এখানেও এমন একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করলে কেমন হয়? ভাবনা মতো শুরু হলো কাজ। ১৭৮৪ সালের জানুয়ারি মাসে ডাকা হলো তাঁর চেনাজানা সহকর্মীদের। পৃষ্ঠপোষক হলেন গভর্নর নিজে। আর সর্বসম্মতিক্রমে সোসাইটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন উইলিয়াম জোন্স। আর এইভাবে গঠিত হলো ‘এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল’ ( Asitic Society of Bengal)।

এবার তিনি সংস্কৃত ভাষা শেখার দিকে মন দিলেন। কারণ সংস্কৃত ভাষা না শিখলে এই ভাষার রত্নভাণ্ডারের সন্ধান করবেন কেমন করে?

তিনি বেনারসে এসে খোঁজ পেলেন বৈদিক ঋষি মনুর মানব ধর্মশাস্ত্রের। শুরু করলেন অধ্যয়ন। নিরিবিলিতে গবেষণার কাজ চালানোর জন্য তিনি কৃষ্ণনগরে একটি বাড়িও নিলেন। তারপর সংস্কৃত সাহিত্যের ওপর গবেষণাকাজে তাঁকে সহযোগিতা করার জন্য নবদ্বীপের কয়েকজন সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত নিয়োগ করলেন তিনি এবং প্রতিজ্ঞা করলেন, সারা জীবন রুগ্‌ণ হয়ে থাকতে হয় থাকব, তবু সংস্কৃত সাহিত্যের খনি আমি খুঁড়বই। তিনি সংস্কৃত ব্যাকরণ পড়ে বিস্মিত হয়ে গেলেন। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এখানে ভাষার এমন ব্যাখা বিশ্লেষণ, নিয়ম-নির্দেশ করা হয়েছে, যা গ্রিক, ল্যাটিন, আরবি, ফারসি কোনো ভাষারই এ ধরনের ব্যাকরণে নেই। সংস্কৃতের সাথে তিনি মিল খুঁজে পেলেন গ্রিক, ল্যাটিন, কেলটিক, জার্মান ও ফারসির সাথে। শুধু মূল শব্দ আর ধাতুতে নয়, ব্যাকরণেও এই মিল খুঁজে পেলেন। আর এমনি করেই তিনি আবিষ্কার করলেন ভাষার এক মূল্যবান তথ্য। ভারতের সংস্কৃত ও ইউরোপের অনেক ভাষাই মূলত এক ভাষা থেকে এসেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা।

এশিয়াটিক সোসাইটির তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ১৭৮৬ সালে তিনি প্রকাশ করেন তাঁর গবেষণার ফলাফল। আর এইভাবে জন্ম হলো তুলনামূলক ভাষাতত্ত্ব বিজ্ঞানের।

উইলিয়াম জোন্স সারাক্ষণ মেতে রইলেন সংস্কৃত সাহিত্যের গবেষণা নিয়ে। এদেশের প্রাচীন সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান পাঠ করে তাঁর বারবার মনে হতে লাগল, হোমার, সক্রেটিস, প্লেটো ও অ্যারিস্টটলের সাথে প্রাচ্যজগতের অবশ্যই পরিচয় ঘটাতে হবে। তেমনি এদেশের প্রাচীন মনীষী, তথা বাল্মিকী, মনু, ব্যসদেব, পানিনি, পতঞ্জলি, কালিদাস, জয়দেব গোস্বামী, আর্যভট্ট এঁদেরকেও তুলে ধরতে হবে ইউরোপীয় জনগোষ্ঠীর কাছে। তিনি দেখলেন, ভারতীয় প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যের ভাবধারা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ইংরেজি কবিতার একটি ধারা, যার ধারক-বাহক হলেন মুর এবং কিপলিং- এর মতো কবিরা। তিনি মহাকবি কালিদাসের নাম দিলেন ভারতের শেকসপিয়ার। সংস্কৃত সাহিত্যের অমর চরিত্র শকুন্তলার কাহিনী ম্লান করে দিল ফরাসি বিপ্লবের গল্পকে।

১৭৯৩ সালে স্ত্রী অ্যানা মারিয়া কলকাতা ছেড়ে ফিরে গেলেন বিলেতে। পরের বছর ১৭৯৪ সালে জোন্সের ‘মনুসংহিতা’র অনুবাদ প্রকাশিত হলো। তিনি দীর্ঘ আট বছর পরিশ্রম করে কুল্লুক ভট্টের ভাষ্য অবলম্বনে এই ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন।

উইলিয়াম জোন্স পরিশ্রম করতেন অবিশ্বাস্য রকমের। ফলে তাঁর শরীর ভেঙে পড়তে থাকে। ডাক্তারি পরীক্ষায় তাঁর পেটে প্রথমে টিউমার ধরা পড়ল। চিকিৎসার অবশ্য ত্রুটি হলো না। কিন্তু শেষরক্ষা করা গেল না। ১৭৯৪ সালে তিনি কলকাতাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। কিন্তু আজও তিনি বেঁচে আছেন বিশ্বের বিদ্যানুরাগীদের মনে কিংবদন্তির পুরুষ হয়ে। বেঁচে আছেন তিনি তাঁর সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিক সোসাইটির কাজের মধ্য দিয়ে।

সকল অধ্যায়

১. হযরত মুহাম্মদ (দঃ) (৫৭০-৬৩২) – সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী
২. জরথুশত্র (৬২৮-৫৫১ খ্রি. পূ.) – পারশি ধর্মের প্রবর্তক
৩. বর্ধমান মহাবীর (৫৯৯–৫২৭ খ্রি. পূ.) – জৈন দর্শন ও ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা
৪. গৌতম বুদ্ধ (৫৬৩–৪৮৩ খ্রি. পূ.) – বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক
৫. কনফুসিয়াস (৫৫১–৪৭৯ খ্রি. পূ.) – চীনের প্রাচীনতম ধর্মমতবাদের প্রবর্তক
৬. সক্রেটিস (আনু. ৪৬৯–৩৯৯ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্রের আদিজনক
৭. প্লেটো (৪২৮–৩৪৭ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্র যাঁর হাতে পেয়েছিল পূর্নাঙ্গরূপ
৮. ডায়োজিনিস (৪১২–৩২২ খ্রি. পূ.) – একনিষ্ঠ জ্ঞান সাধক
৯. অ্যারিস্টটল (৩৮৪-৩২২ খ্রি. পূ.) – যুক্তিশাস্ত্রের জনক
১০. যিশু খ্রিস্ট (আনু. ৬ খ্রি. পূ.–আনু. ২৯ খ্রি.) – খ্রিস্টানধর্মের প্রবর্তক
১১. অতীশ দীপঙ্কর (৯৮২–১০৫৩) – জ্ঞানসাধক বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারক
১২. গুরু নানক (১৪৬৯–১৫৩৮) – শিখ ধর্মমতের প্রবর্তক
১৩. মার্টিন লুথার (১৪৮৩-১৫৪৬) – ধর্মের সংস্কারক এবং ‘প্রটেস্টানিজম’ মতবাদের স্রষ্টা
১৪. মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য (১৪৮৬-১৫৩৩) – বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক
১৫. রামমোহন রায় (১৭৭২–১৮৩৩) – ভারতবর্ষে নবযুগের প্রবর্তক
১৬. রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬–১৮৮৬) – ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আমি ঈশ্বরকে দর্শন করেছি’
১৭. বারট্রান্ড রাসেল (১৮৭২–১৯৭০ ) – যুদ্ধ-বিরোধী ও মানবতাবাদী দার্শনিক
১৮. থ্যালিস (আনু. ৬২৪–৫৬৫ খ্রি. পূ.) – বিজ্ঞানশাস্ত্রের আদিপুরুষ
১৯. পিথাগোরাস (আনু. ৫৮২–৫০৭ খ্রি. পূ.) – তিনি বলেছিলেন—পৃথিবী গোলাকার
২০. হিপোক্র্যাটিস (আনু: ৪৬০–৩৭০ খ্রি. পূ.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আদিজনক
২১. আর্কিমিডিস (২৮৭–২১২ খ্রি. পূ.) – ঊর্ধ্বমুখী বল সূত্রের আবিষ্কারক
২২. ক্লডিয়াস টলেমি (১০০–১৮০ খ্রি.) – জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রথম কোষগ্রন্থ প্রণেতা
২৩. ক্লডিয়াস গ্যালেন (১৩১–২০১ খ্রি.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আধুনিক পদ্ধতির আদি জনক
২৪. ইবনে সিনা (৯৮০–১০৩৭) – জ্ঞানসাধনায় কাটিয়েছিলেন সমগ্র জীবন
২৫. কোপারনিকাস (১৪৭৩–১৫৪৩) – আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানে প্ৰবক্তা
২৬. জিওর্দানো ব্রুনো (আনু. ১৫৪৮–১৬০০ ) – সত্যপ্রচারের অপরাধে যাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল
২৭. গ্যালিলিও গ্যালিলি (১৫৬৪-১৬৪২) – যাঁর গাণিতিক পদ্ধতি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি
২৮. লিওয়েন হুক (১৬৩২–১৭৩৩) – মুদি দোকানদার থেকে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী
২৯. আইজাক নিউটন (১৬৪২–১৭২৭) – মাধ্যাকর্ষন শক্তির আবিষ্কারক
৩০. রিচার্ড আর্করাইট (১৭৩২–১৭৯২) – আধুনিক বস্ত্রশিল্পে বৈপ্লবিক ধারা প্রবর্তক
৩১. উইলিয়াম হার্শেল (১৭৩৮–১৮২২) – ইউরেনাস গ্রহের আবিষ্কারক
৩২. লরেঁ লাভোয়সিয়ের (১৭৪৩–১৭৯৪) – রসায়নশাস্ত্রের জনক
৩৩. মাইকেল ফ্যারাডে (১৭৯১-১৮৬৭) – তাড়িত-চুম্বক বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা
৩৪. চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২) – প্রাণিজগতের বিবর্তনবাদের ব্যাখ্যাদাতা
৩৫. লুই পাস্তুর (১৮২২–১৮৯৫) – জীবাণু আর জলাতঙ্ক রোগ প্রতিষেধকের আবিষ্কারক
৩৬. আলফ্রেড নোবেল (১৮৩৩–১৮৯৬) – যাঁর নামে দেয়া হয় নোবেল পুরস্কার
৩৭. আলভা এডিসন (১৮৪৭–১৯৩১) – সর্বাধিক আবিষ্কারের জনক
৩৮. জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৫৯–১৯৩৭) – যিনি বলেছিলেন গাছেরও প্রাণ আছে
৩৯. মাদাম কুরি (১৮৬৭–১৯৩৪) – সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহিলা বিজ্ঞানী
৪০. মার্কোনি (১৮৭৪–১৯৩৭) – বেতারযন্ত্রের আবিষ্কারক
৪১. আলবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯–১৯৫৫) – আপেক্ষিক তত্ত্বের জনক
৪২. আলেকজান্ডার ফ্লেমিং (১৮৮১–১৯৫৫) – পেনিসিলিনের আবিষ্কারক
৪৩. হোমার (আনু. ৭০০-? খ্রি. পূ.) – বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দুটি মহাকাব্যের রচয়িতা
৪৪. ঈশপ (আ. কা. ৬২০–৫৬০ খ্রি. পূ.) – কালজয়ী নীতিগল্পকার
৪৫. সোফোক্লেস (আনু. ৪৯৫-৪০৬ খ্রি. পূ.) – গ্রিক ট্র্যাজেডি নাট্যধারার রূপকার
৪৬. হেরোডোটাস (আনু. ৪৮৫–৪২৫ খ্রি. পূ.) – ইতিহাসশাস্ত্রের জনক
৪৭. অ্যারিস্টোফানিস (আনু. ৪৪৪–৩৮৫ খ্রি. পূ.) – যাঁর সাহিত্যকর্মে আর্তমানবতার কথা প্রতিফলিত
৪৮. মহাকবি কালিদাস (আনু. ৫৭০-৬৫০ খ্রি.) – সংস্কৃতি সাহিত্যের অমর কবি
৪৯. লেওনার্দো দা ভিঞ্চি (১৪৫২–১৫১৯) – সর্বকালের শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী
৫০. মিকেলাঞ্জেলো (১৪৭৫–১৫৬৪) – পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্কর শিল্পী
৫১. তানসেন (১৫০৬–১৫৮৫) – কিংবদন্তির গায়ক
৫২. শেকসপিয়ার (১৫৬৪-১৬১৬) – বিশ্বসাহিত্যের কালজয়ী নাট্যকার
৫৩. ভলতেয়ার (১৬৯৪-১৭৭৮) – বিখ্যাত ফরাসি চিন্তাবিদ
৫৪. জঁ-জাক্ রুসো (১৭১২–১৭৭৮) – ফরাসি বিপ্লবের রূপকার
৫৫. লর্ড বায়রন (১৭৮৮–১৮২৪) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি
৫৬. ভিক্টর হুগো (১৮০২-১৮৮৫) – ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৭. ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন (১৮০৫–১৮৭৫) – যাঁকে বলা হয় রূপকথার জাদুকর
৫৮. চার্লস ডিকেন্স (১৮১২–১৮৭০) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৯. ওয়াল্ট হুইটম্যান (১৮১৯-১৮৯২) – মার্কিন সাহিত্যের যুগ-প্রবর্তক কবি
৬০. লিয়েফ তলস্তোয় (১৮২৮–১৯১০) – বিশ্বের মহান সাহিত্যিকদের অন্যতম
৬১. জুল ভের্ন (১৮২৮–১৯০৫) – কল্পবিজ্ঞান কাহিনীর স্রষ্টা
৬২. মার্ক টোয়েন (১৮৩৫–১৯১০) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রসস্রষ্টা
৬৩. জর্জ বার্নার্ড শ (১৮৫৬–১৯৫০) – যিনি প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন
৬৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১) – শ্রেষ্ঠ বাঙালি মনীষা, পৃথিবীর মহত্তম সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব
৬৫. ম্যাক্সিম গোর্কি (১৮৬৮–১৯৩৬) – যাঁর সাহিত্যকর্মের প্রধান উপজীব্য গণমানুষের কথা
৬৬. হেলেন কেলার (১৮৮০-১৯৬৮) – যাঁর খ্যাতিকে নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করা হতো
৬৭. আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (১৮৯৮–১৯৬১) – জীবনবাদী মার্কিন কথাসাহিত্যিক
৬৮. কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯–১৯৭৬) – বাংলার বিদ্রোহী কবি
৬৯. জর্জ ওয়াশিংটন (১৭৩২–১৭৯৯) – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৭০. নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (১৭৬৯-১৮২১) – ইতিহাসের কিংবদন্তির মহানায়ক
৭১. জুসেপ্পে গারিবলদি (১৮০৭–১৮৮২) – ইতালির জনক বলে যাঁর খ্যাতি
৭২. আব্রাহাম লিংকন (১৮০৯-১৮৬৫) – যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রীতদাসপ্রথা রহিত করেছিলেন
৭৩. অটো ফন বিসমার্ক (১৮১৫–১৮৯৮) – জার্মান সাম্রাজ্যের স্থপতি
৭৪. মহাত্মা গান্ধি (১৮৬৯–১৯৪৮) – ‘সবকো সুমতি দে ভগবান’
৭৫. কমরেড লেনিন (১৮৭০–১৯২৪) – বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা
৭৬. উইনস্টন চার্চিল (১৮৭৪–১৯৬৫) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ডাকসাইটে প্রধানমন্ত্রী
৭৭. জোসেফ স্ট্যালিন (১৮৭৯–১৯৫৩) – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়েনের ‘লৌহমানব’
৭৮. কামাল আতাতুর্ক (১৮৮১–১৯৩৮) – নব্য-তুরস্কের জনক
৭৯. ডি ভ্যালেরা (১৮৮২-১৯৭৫) – আয়ারল্যান্ডের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৮০. জওহরলাল নেহরু (১৮৮৯-১৯৬৪) – ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
৮১. আইসেনহাওয়ার (১৮৯০-১৯৬৯) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক
৮২. শার্ল দ্য গল (১৮৯০-১৯৭০) – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা
৮৩. হো-চি-মিন (১৮৯০-১৯৬৯) – ভিয়েতনামের মুক্তিদাতা পুরুষ
৮৪. মার্শাল টিটো (১৮৯২–১৯৮০) – জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা
৮৫. মাও-সে-তুং (১৮৯৫–১৯৭৬) – চীন সাধারণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা
৮৬. সুভাষচন্দ্র বসু (১৮৯৭–১৯৪৫) – ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’
৮৭. জন এফ কেনেডি (১৯১৭–১৯৬৩) – গুপ্তঘাতকের হাতে যাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছিল
৮৮. ইন্দিরা গান্ধি (১৯১৭–১৯৮৪) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
৮৯. নেলসন ম্যান্ডেলা (১৯১৮) – দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তিদাতা পুরুষ
৯০. শেখ মুজিবর রহমান (১৯২০–১৯৭৫) – বাংলাদেশের জাতির জনক
৯১. প্যাট্রিস লুমুম্বা (১৯২৫-১৯৬১) – কঙ্গোর মুক্তিদাতা পুরুষ
৯২. মার্কো পোলো (১২৫৬–১৩২৩) – দুঃসাহসিক অভিযাত্রী
৯৩. ক্রিস্টোফার কলম্বাস (আনু. ১৪৪৬-১৫০৬) – আমেরিকার আবিষ্কারক
৯৪. ডেভিড লিভিংস্টোন (১৮১৩-১৮৭৩) – আফ্রিকার আবিষ্কারক
৯৫. উইলিয়াম জোন্স (১৭৪৬–১৭৯৪) – এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৬. ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল (১৮২০–১৯১০) – আধুনিক ‘নার্সিং’ বৃত্তির অগ্রপথিক
৯৭. হেনরি ডুনান্ট (১৮২৮–১৯১০) – রেডক্রস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৮. ব্যাডেন পাওয়েল (১৮৫৭–১৯৪১) – বয়স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা
৯৯. মাদার তেরেসা (১৯১০–১৯৯৭) – প্রেম, করুণা ও ধর্মের মূর্ত প্রতিমা
১০০. অ্যাডাম স্মিথ (১৭২৩–১৭৯০) – রাজনৈতিক অর্থশাস্ত্র বিজ্ঞানের জনক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন