জর্জ বার্নার্ড শ (১৮৫৬–১৯৫০) – যিনি প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন

ভবেশ রায়

জর্জ বার্নার্ড শ (George Bernard Shaw) তাঁর জীবদ্দশায় এমনই বিখ্যাত আর জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন যে, তাঁর পুরো নামটাও উল্লেখ করার প্রয়োজন হতো না। শুধু নামের আদ্যাক্ষর অর্থাৎ জি. বি. এস. (G. B. S.) বললেই একডাকে সবাই তাঁকে চিনত।

আয়ারল্যান্ডের রাজার নাম বাদ দিলে শ-র মতো খ্যাতিম্যান পুরুষ আর কেউ ছিলেন না তখন। এককথায় তিনি ছিলেন তাঁর সময়ের সবচেয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত ও খ্যাতিম্যান সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব।

বার্নার্ড শ-র জন্ম ১৮৫৬ সালের ২৬ জুলাই।

শ-র জীবন ছিল হাজারো বৈচিত্র্যে পূর্ণ। পরবর্তী জীবনে যিনি এতবড় লেখক- নাট্যকার হয়েছিলেন, সেই তিনি প্রচলিত অর্থে ছিলেন একজন অশিক্ষিত মানুষ। বিদ্যালয়ে পড়াশোনার করেছিলেন মাত্র পাঁচ বছর। এরপর আর লেখাপড়া করেনেনি, বলা যায়, সে সুযোগই হয়ে ওঠেনি তাঁর। অথচ সেই তিনিই সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন। আরও বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে, সাত হাজার পাউন্ডের এই অর্থ তিনি গ্রহণ করতেও অস্বীকার করে বলেছিলেন, সম্মান বা অর্থের আমার প্রয়োজন নেই। অবশেষে বিশেষভাবে অনুরুদ্ধ হয়ে এই শর্তে তিনি পুরস্কারের অর্থ গ্রহণ করতে স্বীকৃত হয়েছিলেন যে, মাত্র এক সেকেন্ডের জন্য তিনি এক হাতে টাকাগুলো নেবেন আর হাতে সেগুলো দান করে দেবেন সুইডিশ সাহিত্য একাডেমিকে।

বার্নার্ড শ-র বাবা ছিলেন একজন আইরিশ। তাঁর নাম ছিল জর্জ কার শ এবং মায়ের নাম ছিল লুসিন্ডা গারলি। কার শ যৌবনে পরিবারের অন্যদের অমতে বিয়ে করায় পারিবারিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হন। ফলে শ-র বাবা ছিলেন ভয়ানক অর্থসংকটে। তাই বার্নার্ড শ-কে মাত্র পনেরো বছর বয়সে চাকরি নিতে হয়েছিল।

ষোল থেকে বিশ বছর পর্যন্ত তিনি মাত্র সাপ্তাহিক ৩৫ শিলিং বেতনে চাকরি করেন খাজাঞ্চির পদে। দরিদ্র হলেও শয়ের পিতা ছিলেন বিদ্যানুরাগী। বাড়িতে ছিল বিশ্বের বিখ্যাত সব লেখকের গ্রন্থসমুদ্ধ এক পাঠাগার। কৈশোর পেরুনোর আগেই এখান থেকে বই নিয়ে তিনি পড়ে ফেলেন বায়রন, ডিকেন্স এবং শেলির গ্রন্থাবলি। বিশ বছর পার হবার আগেই তাঁর পরিচয় হয় স্টুয়ার্ট মিল ও হারবার্ট স্পেন্সারের মতো মনীষীদের রচনার সঙ্গে সঙ্গে।

ফলে বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা না পেলেও তিনি বাল্যকাল থেকেই হয়ে ওঠেন স্বশিক্ষিত। আগেই বলা হয়েছে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন দশ বছর বয়সে ডাবলিনের ওয়েসলেয়ান কনেক্সনাল স্কুলে। সেখানে তিনি মাত্র কয়েক বছর পড়াশোনা করেন। শ ছিলেন স্কুলের সবচাইতে খারাপ ছাত্র, একেবারে অলস। কোনোদিন খেলাধুলায় অংশ নেওয়া তো দূরে থাক, খেলার মাঠে পর্যন্ত যেতেন না।

তবে তাঁর একটি গুণ ছিল। খুঁটিনাটি সব বিষয়ে ছিল তাঁর অপার কৌতূহল। কোনোকিছুই তিনি পরীক্ষা না করে গ্রহণ করতেন না।

এ ছাড়া সাহিত্যে ছিল তাঁর অসম্ভব দক্ষতা। যে বয়সে অন্য ছেলেমেয়েরা বর্ণমালা শেখে সেই বয়সে তিনি রীতিমতো গল্প-কবিতার বই পড়তে পারতেন। একথা তিনি পরবর্তী সময়ে নিজেই বলেছেন, “আমি মাত্র দশ বছর বয়সেই বাইবেল এবং শেপিয়ারের নাটক-কবিতা পড়তে পারতাম। ”

এরপর তিনি তাঁর ২০তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানেই নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করলেন এই বলে, মানুষের জীবন তো শুধু একবারে জন্যই। তাই অফিসের ঝঞ্ঝাটের যাঁতাকলে পিষে মরার মধ্যে জীবনের সার্থকতা কোথায়? জীবনকে সুন্দর ও সার্থক করতেই হবে। এরপর থেকেই শুরু হলো তার সাহিত্যিক-জীবন। ১৮৭৬ সালে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে আসেন লন্ডনে। এখানে মায়ের কাছে এসে আমগ্ন ডুবে যান সাহিত্যসাধনায়, যে সাধনা তাঁকে পরবর্তীকালে অভূতপূর্ব সম্মান আর খ্যাতির সর্বোচ্চ শিখরে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।

এই দীর্ঘ নয় বছরের সাহিত্যসাধনায় রচনা করেন তিনি পাঁচটি বড় বড় উপন্যাস। তারপর এগুলোর পাণ্ডুলিপি পাঠিয়ে দেন তিনি ইংল্যান্ড এবং আমেরিকায় বড় বড় প্রকাশকের কাছে। কিন্তু সবখান থেকেই সেগুলো ফেরত এল। কেউ তাঁর বই প্রকাশ করতে রাজি হলেন না।

তখন শ-র চলছে চরম অর্থসংকট। বইয়ের পাণ্ডুলিপি পাঠাবার জন্য ডাকটিকিট কেনার পয়সা পর্যন্ত ছিল না। সাহিত্যসাধনার নয় বছরে তিনি মাত্র ছয় পাউন্ড উপার্জন করেছিলেন। তাও সাহিত্য করে নয়, পাঁচ পাউন্ড পেয়েছিলেন একটি ওষুধের বিজ্ঞাপন লিখে, আর এক পাউন্ড পেয়েছিলেন নির্বাচনের ভোট গণনা করে দিয়ে। এ সময়ে তাঁর পরনে থাকত ছেঁড়া জামা। পরবর্তী সময়ে শ নিজেই এ সময়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, “আমাদের অবস্থা এমন শোচনীয় হয়ে পড়েছিল যে, আমার উচিত ছিল পরিবারের অর্থসংকট মোচনে যথাসাধ্য চেষ্টা করা, কিন্তু আমি কিছুমাত্র চেষ্টা করিনি।”

অবশেষে ১৮৮৫ সাল থেকে তিনি পত্রপত্রিকায় লিখে কিছু উপার্জন করার চেষ্টা করতে লাগলেন। ‘পলমল গেজেট’ পত্রিকায় পুস্তক সমালোচনা, ‘ওয়ার্ল্ড’ পত্রিকায় শিল্প সংস্কৃতি এবং ‘স্টার’ পত্রিকায় সঙ্গীত বিষয়ে আলোচনা লিখতে শুরু করেন। এতে করে হাতে দুটো পয়সা এল এবং নামও ছড়াল চারদিকে। এরপর তিনি ১৮৯৫ থেকে ১৮৯৮ সাল পর্যন্ত এক নাগাড়ে ‘স্যাটারডে রিভিউ’ পত্রিকায় মঞ্চে অভিনীত নাটকের ওপর আলোচনা লিখে যান। মজার ব্যাপার, এই নাটকের ওপর আলোচনা লিখতে লিখতে খেয়াল চাপে নিজেই নাটক লিখবেন। তাঁর প্রথম ট্র্যাজি-কমেডি নাটক ছিল ‘উইডোয়ার’স হাউস’ (Widower’s House)। এটি প্রথম মঞ্চস্থ হয় ১৮৯২ সালে ৯ ডিসেম্বর।

তাঁর দ্বিতীয় নাটকের নাম ‘মিসেস ওয়ারেন’স প্রফেশন’ (Mrs. Warren’s Profession)। এটি ছিল একজন বারবনিতার জীবন নিয়ে লেখা। কিন্তু অশ্লীলতার অভিযোগে নাটকটি সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন পায়নি।

কিন্তু প্রথম দিকের কোনো নাটকেই তেমন সফলতা অর্জন করতে পারেননি তিনি। এ ছাড়া এসব নাটক লিখে তিনি কোনো পয়সাও পাননি।

এরপর ১৮৯৪ সালে এক প্রযোজক বন্ধুর অনুরোধে তিনি ‘আর্মস অ্যান্ড দি ম্যান’ নামে একটি নাটক লেখেন (Arms and the Man)। এটাই ছিল বার্নার্ড শ-এর প্রথম মঞ্চসফল নাটক। ‘আর্মস অ্যান্ড দি ম্যান’-এর সফলতার পরই উৎসাহ বেড়ে যায় শ- এর। এর পরপরই তিনি রচনা করেন ‘ক্যানডিডা, ইউ নেভার ক্যান টেল’ (Candida, You Never Can Tell) এবং ‘দি ডেভিল’স ডিসাইপল’ (The Devil’s Disciple)।

তাঁর এই ‘দি ডেভিল’স ডিসাইপল’ রম্য নাটকটি যখন ১৮৯৭ সালে নিউ ইয়র্কে মঞ্চস্থ হয়, তখন চারদিকে দারুণ সাড়া পড়ে যায়। এই নাকটির জন্য বার্নার্ড শ মোট সম্মানী পান তিন হাজার পাউন্ড। নাটক লিখে শ-এর আগে আর কখনও কোনও নাট্যকার এত টাকা একসঙ্গে পাননি। এটা ছিল তাঁর জীবনে এক অভাবনীয় অর্থপ্রাপ্তির ঘটনা।

বার্নার্ড শ পরবর্তী জীবনে লাভ করেছিলেন এক অতুলনীয় ক্ষমতা। আর সেটা ছিল বক্তৃতা দেয়ার মাধ্যমে বিশাল সব সমাবেশকে মোহিত করার ক্ষমতা। তিনি তাঁর এসব ভাষণের মাধ্যমে প্রকাশ্যে সামাজিক বিধি-ব্যবস্থা, রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্মীয় মতবাদ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করতেন। অথচ এই বার্নার্ড শ-ই এককালে ছিলেন অবিশ্বাস্যরকমের লাজুক এবং ভীতুপ্রকৃতির আর ছিলেন চরম হীনম্মন্যতাবোধের শিকার।

বন্ধুবান্ধবের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে শ-এর মানসিক অবস্থা কতটা শোচনীয় হতো, তাঁর নিজের কথা থেকেই শোনা যাক সে কথা, ‘লজ্জার ব্যাধি আমাকে এমন মারাত্মকভাবে পেয়ে বসেছিল যে, আমি এর থেকে মুক্তি কামনায় অস্থির হয়ে পড়েছিলাম। আমার মতো ভীতু, কাপুরুষ ও লাজুক মানুষ আর একজনও ছিল কি না, আমার জানা নেই।

অবশেষে এই ভীরুতা ও লজ্জাহীনতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তিনি একটি বক্তৃতার স্কুলে ভর্তি হন। এখানে কয়েকটি বিতর্কসভায় খুব দৃঢ়তার সঙ্গে বক্তৃতা দেন। পরবর্তী কয়েকটি সভায় তাঁকে সভাপতিও মনোনীত করা হয়। কিন্তু তখনও তিনি কোনও সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে ভেতরে ভেতরে বেশ ঘাবড়ে যেতেন। এমনকি কার্যবিবরণী বইতে স্বাক্ষর করতে গিয়েও পড়ে যেতেন বেকায়দায়। এই ভয়কে জয় করার জন্য, তিনি আবদ্ধ হলেন কঠোর প্রতিজ্ঞায়। এই উদ্দেশ্য সফল করার জন্য তিনি যেখানেই জনসভা হতো, সেখানেই যেতেন, সুযোগ পেলেই বক্তৃতা দিতেন।

একবার তিনি কার মুখে শুনলেন সার্থক বক্তৃতা করতে হলে কার্ল মার্কসের ‘দাস ক্যাপিটাল’ নামক গ্রন্থখানি পড়তে হবে। তিনি তৎক্ষণাৎ বইখানা পড়ে ফেললেন। আর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর জীবনের ভিতও আমূল বদলে গেল, যার প্রভাব সারাজীবনে কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এ সম্বন্ধে শ বলেছেন, “ক্যাপিটাল বইখানি আমার জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছিল। পরে যদিও মার্কসের দুর্বোধ্য অর্থনৈতিক মতবাদ আমার কাছে ভ্রান্ত বলে মনে হয়েছে, তথাপি এ মতবাদই যে আমার জীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধনে সহায়ক হয়েছিল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।”

পরবর্তী বারো বৎসর রাস্তার মোড়ে, জটলায়, খোলা চত্বরে, বিশাল জনসভায় সমাজতন্ত্রের পক্ষে প্রচারকাজে কেটেছে তাঁর অধিকাংশ সময়। এ-সময় লোকজনের ব্যঙ্গবিদ্রূপকে তিনি কোনো আমলই দিতেন না। এভাবেই তিনি ধীরে ধীরে সমসাময়িককালের সর্বশ্রেষ্ঠ বক্তারূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন।

১৮৯৭ সালে সার্লটে পেইন টাউনশেন্ড নামের আইরিশ বংশোদ্ভূত এক মহিলার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। শ-এর তখন ৪০ আর মহিলার ৩৯ বছর বয়স। শার্লটে ছিলেন প্রচুর ধনসম্পদের অধিকারিণী। সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শ-এর একটি নাটক অত্যন্ত সাফল্য লাভ করে। এর ফলে তিনি বিশ হাজার পাউন্ড লাভ করেন। আদর্শগত ঐক্যের জন্যই শ-এর প্রতি শার্লটে গভীরভাবে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। কিন্তু শ এ ব্যাপারে ছিলেন একেবারেই নিস্পৃহ।

এতে শার্লটে মনে দারুণ আঘাত পান এবং শ-কে হৃদয়হীন স্বার্থপর বলে সমালোচনা করতেও ছাড়লেন না। এ-ভাবেই কেটে গেল দুবছর। শ-এর মনে তখনও বিয়ের কল্পনা স্থান পায়নি। অবশেষে শার্লটে নিরাশ হয়ে মিউনিসিপ্যাল সংস্থা সম্পর্কে পড়াশোনা করার জন্য চলে যান রোমে। সেখানে যাওয়ার পর পরই তাঁর কাছে একটা টেলিগ্রাম পৌছুলো : শ ভয়ানক অসুস্থ। ভদ্রমহিলার আর রোমে থাকা হল না, সোজা চলে এলেন লন্ডনে। অত্যধিক খাটুনির জন্য শ-এর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছিল। তাঁর অবস্থা দেখে শার্লটে খুবই ব্যথিত হলেন।

শ যে ঘরে থাকতেন সে ঘরের অবস্থা সম্পর্কে শ-এর মুখের স্বীকারোক্তি হল, ‘আমার কামরার জঞ্জাল পরিষ্কার করা কোনো মানুষের কর্ম নয়, একমাত্র বারুদের একটি

· ফিতাই ওটা পরিষ্কার করতে পারে। সাতজন যুবতী মেয়ে এবং সাতজন যুবক ছেলে যদি অর্ধশতাব্দী ধরে কামরাটা পরিষ্কার করতে থাকে তবু এর কূলকিনারা করতে পারবে না। অবশেষে সার্লটের চাপে তিনি কামরাটা ছেড়ে দিতে বাধ্য হলেন। সার্লটের সাথে শ তাঁর গাঁয়ের বাড়িতে যেতে বাধ্য হয়ে বললেন, তার আগে বাজার থেকে একটি আংটি এবং বিয়ের লাইসেন্স নিয়ে এসো।

সার্লটের সাথেই বিয়ে হয়েছিল শ-র এবং তাঁরা বিবাহিত জীবনের ৪৩টি বছর কাটিয়েছিলেন অত্যন্ত হাসিখুশি এবং সুখশান্তির মধ্য দিয়ে। ১৯৪৩ সালে ১২ সেপ্টেম্বর মিসেস সার্লট দেহত্যাগ করেন।

শ-এর ঐতিহাসিক নাটকগুলোর মধ্যে ‘সিজার অ্যান্ড ক্লিওপেট্রা’ (Caesar and Cleopatra) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নাটকটি দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করে। শ আরও বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক এবং জীবনীভিত্তিক নাটক রচনা করেছিলেন।

১৮৯৭ সালে থেকে ১৯০৩ সাল পর্যন্ত শ সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েছিলেন। তিনি সেন্ট প্যানক্র্যাস থেকে ফ্যাবিয়ান (Fabians) সোসাইটিরও কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন।

১৯০৪ সালে থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত তাঁর রচিত নাটক একটানা অভিনীত হতে খাকে লন্ডনের কোর্ট থিয়েটার মঞ্চে। এই সময় তাঁর যেসব নাটক রচিত হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘জন বুল’স আদার আইল্যান্ড’ (John Bull’s Other Island), ‘ম্যান অ্যান্ড সুপারম্যান’ (Man and Superman ), ‘মেজর বারবারা’ (Major Barbara), “দি ডক্টর’স ডিলেমা’ (The Doctor’s Dilemma) ও ‘ক্যাপটেন ব্রাসবাউন্ড’স কনভার্সন’ (Captain Brassbound’s Conversion) ইত্যাদি। এগুলো ছিল নতুন লেখা নাটক। তাঁর অপর দুটি উল্লেখযোগ্য ও সাড়াজাগানো নাটকের নাম ‘পিগম্যালিয়ন’ (Pygmalion) এবং ‘ফ্যানি’স ফার্স্ট প্লে’ (Fanny’s First Play)।

প্রথম মহাযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় নাটকের বাজারে একটু মন্দাভাব দেখা দেয়। চারদিকে যুদ্ধের বিভীষিকা এবং অস্থিরতার মধ্যে নাটক নিয়ে মাথা ঘামানোর মতো হয়তো সময় ছিল না কারও। তবু তিনি দেখা দেয় সময় দেশাত্মবোধক কিছু নাটক রচনা করেন। এগুলোর মধ্যে আছে ‘হার্টব্রেক হাউস’ (Heartbreake House), ‘ব্যাক টু মেথু সেলাহ্’ (Back to Methu Selah) এবং ‘আউটলাইন অব হিস্টোরি’ (Outline of History) ইত্যাদি।

যে নাটকটির জন্য তিনি সারা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার হিসেবে স্বীকৃতিলাভ করেন, সেটি হলো ‘সেন্ট জন’ (St. John)। এটি প্রথম অভিনীত হয় ১৯২৪ সালে। এই ‘সেন্ট জন’ নাটকের জন্যই তিনি ১৯২৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

তিনি প্রধানত নাটক এবং কয়েকটি উপন্যাস রচনা করা ছাড়াও বেশ কিছু গদ্য রচনা করেছেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘দি অ্যাডভেঞ্চার্স্ অব এ ব্ল্যাক গার্ল ইন হার সার্চ ফর গড’ (The Adventures of a Black Girl in Her Search for God) এবং ‘দি ইন্টেলিজেন্ট উইমেন’স গাইড টু সোসিয়ালিজম’ (The Inteligent Woman’s Guide to Socialism) ইত্যাদি।

১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ৯৪ বছর বয়সেও তিনি ঘোষণা করেন, “আমি খুবই ব্যস্ত। এত ব্যস্ত যে মৃত্যু সমন্ধে চিন্তা করার ফুরসত পর্যন্ত আমার নেই।” অথচ এই বছরেই শ-এর মৃত্যু হয়।

সকল অধ্যায়

১. হযরত মুহাম্মদ (দঃ) (৫৭০-৬৩২) – সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী
২. জরথুশত্র (৬২৮-৫৫১ খ্রি. পূ.) – পারশি ধর্মের প্রবর্তক
৩. বর্ধমান মহাবীর (৫৯৯–৫২৭ খ্রি. পূ.) – জৈন দর্শন ও ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা
৪. গৌতম বুদ্ধ (৫৬৩–৪৮৩ খ্রি. পূ.) – বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক
৫. কনফুসিয়াস (৫৫১–৪৭৯ খ্রি. পূ.) – চীনের প্রাচীনতম ধর্মমতবাদের প্রবর্তক
৬. সক্রেটিস (আনু. ৪৬৯–৩৯৯ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্রের আদিজনক
৭. প্লেটো (৪২৮–৩৪৭ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্র যাঁর হাতে পেয়েছিল পূর্নাঙ্গরূপ
৮. ডায়োজিনিস (৪১২–৩২২ খ্রি. পূ.) – একনিষ্ঠ জ্ঞান সাধক
৯. অ্যারিস্টটল (৩৮৪-৩২২ খ্রি. পূ.) – যুক্তিশাস্ত্রের জনক
১০. যিশু খ্রিস্ট (আনু. ৬ খ্রি. পূ.–আনু. ২৯ খ্রি.) – খ্রিস্টানধর্মের প্রবর্তক
১১. অতীশ দীপঙ্কর (৯৮২–১০৫৩) – জ্ঞানসাধক বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারক
১২. গুরু নানক (১৪৬৯–১৫৩৮) – শিখ ধর্মমতের প্রবর্তক
১৩. মার্টিন লুথার (১৪৮৩-১৫৪৬) – ধর্মের সংস্কারক এবং ‘প্রটেস্টানিজম’ মতবাদের স্রষ্টা
১৪. মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য (১৪৮৬-১৫৩৩) – বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক
১৫. রামমোহন রায় (১৭৭২–১৮৩৩) – ভারতবর্ষে নবযুগের প্রবর্তক
১৬. রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬–১৮৮৬) – ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আমি ঈশ্বরকে দর্শন করেছি’
১৭. বারট্রান্ড রাসেল (১৮৭২–১৯৭০ ) – যুদ্ধ-বিরোধী ও মানবতাবাদী দার্শনিক
১৮. থ্যালিস (আনু. ৬২৪–৫৬৫ খ্রি. পূ.) – বিজ্ঞানশাস্ত্রের আদিপুরুষ
১৯. পিথাগোরাস (আনু. ৫৮২–৫০৭ খ্রি. পূ.) – তিনি বলেছিলেন—পৃথিবী গোলাকার
২০. হিপোক্র্যাটিস (আনু: ৪৬০–৩৭০ খ্রি. পূ.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আদিজনক
২১. আর্কিমিডিস (২৮৭–২১২ খ্রি. পূ.) – ঊর্ধ্বমুখী বল সূত্রের আবিষ্কারক
২২. ক্লডিয়াস টলেমি (১০০–১৮০ খ্রি.) – জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রথম কোষগ্রন্থ প্রণেতা
২৩. ক্লডিয়াস গ্যালেন (১৩১–২০১ খ্রি.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আধুনিক পদ্ধতির আদি জনক
২৪. ইবনে সিনা (৯৮০–১০৩৭) – জ্ঞানসাধনায় কাটিয়েছিলেন সমগ্র জীবন
২৫. কোপারনিকাস (১৪৭৩–১৫৪৩) – আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানে প্ৰবক্তা
২৬. জিওর্দানো ব্রুনো (আনু. ১৫৪৮–১৬০০ ) – সত্যপ্রচারের অপরাধে যাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল
২৭. গ্যালিলিও গ্যালিলি (১৫৬৪-১৬৪২) – যাঁর গাণিতিক পদ্ধতি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি
২৮. লিওয়েন হুক (১৬৩২–১৭৩৩) – মুদি দোকানদার থেকে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী
২৯. আইজাক নিউটন (১৬৪২–১৭২৭) – মাধ্যাকর্ষন শক্তির আবিষ্কারক
৩০. রিচার্ড আর্করাইট (১৭৩২–১৭৯২) – আধুনিক বস্ত্রশিল্পে বৈপ্লবিক ধারা প্রবর্তক
৩১. উইলিয়াম হার্শেল (১৭৩৮–১৮২২) – ইউরেনাস গ্রহের আবিষ্কারক
৩২. লরেঁ লাভোয়সিয়ের (১৭৪৩–১৭৯৪) – রসায়নশাস্ত্রের জনক
৩৩. মাইকেল ফ্যারাডে (১৭৯১-১৮৬৭) – তাড়িত-চুম্বক বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা
৩৪. চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২) – প্রাণিজগতের বিবর্তনবাদের ব্যাখ্যাদাতা
৩৫. লুই পাস্তুর (১৮২২–১৮৯৫) – জীবাণু আর জলাতঙ্ক রোগ প্রতিষেধকের আবিষ্কারক
৩৬. আলফ্রেড নোবেল (১৮৩৩–১৮৯৬) – যাঁর নামে দেয়া হয় নোবেল পুরস্কার
৩৭. আলভা এডিসন (১৮৪৭–১৯৩১) – সর্বাধিক আবিষ্কারের জনক
৩৮. জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৫৯–১৯৩৭) – যিনি বলেছিলেন গাছেরও প্রাণ আছে
৩৯. মাদাম কুরি (১৮৬৭–১৯৩৪) – সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহিলা বিজ্ঞানী
৪০. মার্কোনি (১৮৭৪–১৯৩৭) – বেতারযন্ত্রের আবিষ্কারক
৪১. আলবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯–১৯৫৫) – আপেক্ষিক তত্ত্বের জনক
৪২. আলেকজান্ডার ফ্লেমিং (১৮৮১–১৯৫৫) – পেনিসিলিনের আবিষ্কারক
৪৩. হোমার (আনু. ৭০০-? খ্রি. পূ.) – বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দুটি মহাকাব্যের রচয়িতা
৪৪. ঈশপ (আ. কা. ৬২০–৫৬০ খ্রি. পূ.) – কালজয়ী নীতিগল্পকার
৪৫. সোফোক্লেস (আনু. ৪৯৫-৪০৬ খ্রি. পূ.) – গ্রিক ট্র্যাজেডি নাট্যধারার রূপকার
৪৬. হেরোডোটাস (আনু. ৪৮৫–৪২৫ খ্রি. পূ.) – ইতিহাসশাস্ত্রের জনক
৪৭. অ্যারিস্টোফানিস (আনু. ৪৪৪–৩৮৫ খ্রি. পূ.) – যাঁর সাহিত্যকর্মে আর্তমানবতার কথা প্রতিফলিত
৪৮. মহাকবি কালিদাস (আনু. ৫৭০-৬৫০ খ্রি.) – সংস্কৃতি সাহিত্যের অমর কবি
৪৯. লেওনার্দো দা ভিঞ্চি (১৪৫২–১৫১৯) – সর্বকালের শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী
৫০. মিকেলাঞ্জেলো (১৪৭৫–১৫৬৪) – পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্কর শিল্পী
৫১. তানসেন (১৫০৬–১৫৮৫) – কিংবদন্তির গায়ক
৫২. শেকসপিয়ার (১৫৬৪-১৬১৬) – বিশ্বসাহিত্যের কালজয়ী নাট্যকার
৫৩. ভলতেয়ার (১৬৯৪-১৭৭৮) – বিখ্যাত ফরাসি চিন্তাবিদ
৫৪. জঁ-জাক্ রুসো (১৭১২–১৭৭৮) – ফরাসি বিপ্লবের রূপকার
৫৫. লর্ড বায়রন (১৭৮৮–১৮২৪) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি
৫৬. ভিক্টর হুগো (১৮০২-১৮৮৫) – ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৭. ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন (১৮০৫–১৮৭৫) – যাঁকে বলা হয় রূপকথার জাদুকর
৫৮. চার্লস ডিকেন্স (১৮১২–১৮৭০) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৯. ওয়াল্ট হুইটম্যান (১৮১৯-১৮৯২) – মার্কিন সাহিত্যের যুগ-প্রবর্তক কবি
৬০. লিয়েফ তলস্তোয় (১৮২৮–১৯১০) – বিশ্বের মহান সাহিত্যিকদের অন্যতম
৬১. জুল ভের্ন (১৮২৮–১৯০৫) – কল্পবিজ্ঞান কাহিনীর স্রষ্টা
৬২. মার্ক টোয়েন (১৮৩৫–১৯১০) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রসস্রষ্টা
৬৩. জর্জ বার্নার্ড শ (১৮৫৬–১৯৫০) – যিনি প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন
৬৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১) – শ্রেষ্ঠ বাঙালি মনীষা, পৃথিবীর মহত্তম সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব
৬৫. ম্যাক্সিম গোর্কি (১৮৬৮–১৯৩৬) – যাঁর সাহিত্যকর্মের প্রধান উপজীব্য গণমানুষের কথা
৬৬. হেলেন কেলার (১৮৮০-১৯৬৮) – যাঁর খ্যাতিকে নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করা হতো
৬৭. আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (১৮৯৮–১৯৬১) – জীবনবাদী মার্কিন কথাসাহিত্যিক
৬৮. কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯–১৯৭৬) – বাংলার বিদ্রোহী কবি
৬৯. জর্জ ওয়াশিংটন (১৭৩২–১৭৯৯) – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৭০. নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (১৭৬৯-১৮২১) – ইতিহাসের কিংবদন্তির মহানায়ক
৭১. জুসেপ্পে গারিবলদি (১৮০৭–১৮৮২) – ইতালির জনক বলে যাঁর খ্যাতি
৭২. আব্রাহাম লিংকন (১৮০৯-১৮৬৫) – যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রীতদাসপ্রথা রহিত করেছিলেন
৭৩. অটো ফন বিসমার্ক (১৮১৫–১৮৯৮) – জার্মান সাম্রাজ্যের স্থপতি
৭৪. মহাত্মা গান্ধি (১৮৬৯–১৯৪৮) – ‘সবকো সুমতি দে ভগবান’
৭৫. কমরেড লেনিন (১৮৭০–১৯২৪) – বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা
৭৬. উইনস্টন চার্চিল (১৮৭৪–১৯৬৫) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ডাকসাইটে প্রধানমন্ত্রী
৭৭. জোসেফ স্ট্যালিন (১৮৭৯–১৯৫৩) – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়েনের ‘লৌহমানব’
৭৮. কামাল আতাতুর্ক (১৮৮১–১৯৩৮) – নব্য-তুরস্কের জনক
৭৯. ডি ভ্যালেরা (১৮৮২-১৯৭৫) – আয়ারল্যান্ডের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৮০. জওহরলাল নেহরু (১৮৮৯-১৯৬৪) – ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
৮১. আইসেনহাওয়ার (১৮৯০-১৯৬৯) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক
৮২. শার্ল দ্য গল (১৮৯০-১৯৭০) – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা
৮৩. হো-চি-মিন (১৮৯০-১৯৬৯) – ভিয়েতনামের মুক্তিদাতা পুরুষ
৮৪. মার্শাল টিটো (১৮৯২–১৯৮০) – জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা
৮৫. মাও-সে-তুং (১৮৯৫–১৯৭৬) – চীন সাধারণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা
৮৬. সুভাষচন্দ্র বসু (১৮৯৭–১৯৪৫) – ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’
৮৭. জন এফ কেনেডি (১৯১৭–১৯৬৩) – গুপ্তঘাতকের হাতে যাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছিল
৮৮. ইন্দিরা গান্ধি (১৯১৭–১৯৮৪) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
৮৯. নেলসন ম্যান্ডেলা (১৯১৮) – দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তিদাতা পুরুষ
৯০. শেখ মুজিবর রহমান (১৯২০–১৯৭৫) – বাংলাদেশের জাতির জনক
৯১. প্যাট্রিস লুমুম্বা (১৯২৫-১৯৬১) – কঙ্গোর মুক্তিদাতা পুরুষ
৯২. মার্কো পোলো (১২৫৬–১৩২৩) – দুঃসাহসিক অভিযাত্রী
৯৩. ক্রিস্টোফার কলম্বাস (আনু. ১৪৪৬-১৫০৬) – আমেরিকার আবিষ্কারক
৯৪. ডেভিড লিভিংস্টোন (১৮১৩-১৮৭৩) – আফ্রিকার আবিষ্কারক
৯৫. উইলিয়াম জোন্স (১৭৪৬–১৭৯৪) – এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৬. ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল (১৮২০–১৯১০) – আধুনিক ‘নার্সিং’ বৃত্তির অগ্রপথিক
৯৭. হেনরি ডুনান্ট (১৮২৮–১৯১০) – রেডক্রস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৮. ব্যাডেন পাওয়েল (১৮৫৭–১৯৪১) – বয়স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা
৯৯. মাদার তেরেসা (১৯১০–১৯৯৭) – প্রেম, করুণা ও ধর্মের মূর্ত প্রতিমা
১০০. অ্যাডাম স্মিথ (১৭২৩–১৭৯০) – রাজনৈতিক অর্থশাস্ত্র বিজ্ঞানের জনক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন