মাও-সে-তুং (১৮৯৫–১৯৭৬) – চীন সাধারণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা

ভবেশ রায়

চীন সাধারণতন্ত্রের যিনি প্রতিষ্ঠাতা এবং পৃথিবীর বুকে সুসভ্য জাতি হিসেবে চীনকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যাঁর অবিস্মরণীয় অবদান, বিশ্বের শোষিত, নিপীড়িত মানুষের মুক্তির অগ্রদূত সেই মহান বিপ্লবী পুরুষের নাম মাও-সে-তুং (Mao-Tse-Tung)।

তাঁর জন্ম হয়েছিল চীনের বড় এক দুঃসময়ে। এই সময় চীনকে তিন ভাগে ভাগ করে শাসন করত তিনজন অত্যাচারী রাজা। তাদের পাইক-পেয়াদারা দেশের গরিব চাষিদের ওপর চালাত অকথ্য অত্যাচার। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যেত অনাহারে। চারদিকে ছিল অনিয়ম আর জুলুমের রাজত্ব।

এমনই দুঃসহ সময়েই চিনের হুনান প্রদেশের সানসিন গ্রামের এক গরিব চাষির ঘরে ১৮৯৬ সালে মাও-এর জন্ম। বাবা মাও-জেন-সেন ছিলেন সাধারণ চাষি। ছয় বছর বয়স থেকেই মাওকে বাবার সঙ্গে ধানের জমিতে কাজ করতে যেতে হতো।

মাওয়ের যখন আট বছর বয়স, তখন তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় গ্রামের এক প্রাথমিক স্কুলে। এখানে পড়ার সময়েও তাঁকে সকাল-বিকালে বাবার সঙ্গে মাঠে কাজ করতে হতো। এই কাজ করার জন্যই স্কুলের পড়া তৈরি করতে পারতেন না কিশোর মাও। ফলে স্কুলে গিয়ে পড়া না বলতে পারার জন্য মার খেতে হতো। তবে লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল তাঁর। বাতি জ্বালিয়ে বাবা পড়াশোনা করতে দিতেন না। নিজের ঘরের জানালা বন্ধ করে তবেই পড়াশোনা করতেন তিনি।

এই সময়ের একদিনের ঘটনা। তাঁদের স্কুলে এলেন এক নতুন শিক্ষক। তিনি ধর্ম- কর্ম সম্পর্কে খুব উৎসাহিত ছিলেন না। তিনি বলতেন, দেশে যত দেবদেবীর মন্দির আছে, সব ভেঙে দিয়ে সেখানে স্কুল খুলে দিতে হবে। এ ছাড়াও তিনি গরিব মানুষের কথা, তাদের অভাব-অভিযোগের কথা বলতেন। রাজার অত্যাচারের কাহিনী শোনাতেন। শিক্ষকের কথাগুলো খুব ভালো লাগত কিশোর মাওয়ের।

এরপর তিনি হুনান প্রদেশের রাজধানী চাংশা শহরে একটি স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু এখানে বেশিদিন থাকা সম্ভব হয়নি। এই সময়েই তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সেই বছরেই তিনি বিপ্লবীদের দলে যোগদান করেন। রাজার বিরুদ্ধে বিপ্লব করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে—এই প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মাও বিপ্লবী সেনাবাহিনীতে নাম লেখালেন মাসে সাত ডলার বেতনে। মাস ছয়েক পরে বিপ্লবী সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি আবার ভর্তি হন কমার্শিয়াল কলেজে। এরপর তিনি আরও কয়েকটি স্কুল বদল করে এসে ভর্তি হন নর্মাল স্কুলে।

মাওয়ের বয়স যখন মাত্র চৌদ্দ বছর, তখন তাঁর বাবা তাঁকে বিয়ে দেন বিশ বছরের এক মেয়ের সঙ্গে। তবু ঘরে মন বসল না মাওয়ের।

১৯১৭ সালে তিনি বন্ধুদের নিয়ে গঠন করলেন একটি ‘গণ-পাঠচক্র সংঘ’। এই সংঘের সঙ্গে জড়িত হয়ে তিনি দীর্ঘ তেরো বছর কাটিয়ে দেন চিয়াংকাংসনের এক পাহাড়ে। সেখানে তাঁর অনেক সাথি বন্ধুও ছিল।

এরপর তিনি চলে এলেন পিকিং শহরে। এখানে এসে এক লাইব্রেরিতে চাকরি নিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও বেশিদিন থাকা সম্ভব হলো না। অভাবের তাড়ানায় তিনি পিকিং ছেড়ে চলে এলেন সাংহাই-এ।

১৯২০ সালে তৃতীয় আন্তর্জাতিকের সময় জনৈক প্রতিনিধি আসেন সাংহাইতে। তিনিই এখানে কমিউনিস্ট পার্টির গোড়াপত্তন করেন। ১৯২১ সালে মাও চীনা পার্টি গঠন করেন এবং এই বছরেই হুনানে কমিউনিস্ট পার্টির প্রদেশিক শাখা গঠিত হলে মাও এর সদস্যপদ লাভ করেন।

চীনের প্রেসিডেন্ট ডা. সান ইয়াৎ সেন মারা গেলে ১৯২২ সালে ক্ষমতায় আসেন চিয়াং কাই-শেক। তিনি ক্ষমতায় বসেই কমিউনিস্টদের খতম করতে শুরু করলেন। এই সময়ই কুয়োমিনতাং দল থেকে বের করে দেওয়া হতে লাগল কমিউনিস্টদের। অনেকে দেশ ছেড়ে পালাল। মাওয়ের ওপর আদেশ হলো সিচুয়াংস চলে যাওয়ার।

সেই বছরই নানচাংয়ে চিয়াং কাই-শেকের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহ দেখা দেয়। চিয়াংবাহিনীর হাতে মাও-সে-তুংও গ্রেফতার হন। তাঁকে মিনতুয়ানের প্রধান শহরে নিয়ে যাওয়ার আদেশ দেয়া হয়। কিন্তু পথিমধ্যে তিনি কৌশলে পাহারাদারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান।

সরকারি বাহিনীর অতাচার ও আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য ১৯২৯ সালে একটি ফ্রন্ট কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটির চেয়ারম্যান হলেন মাও-সে-তুং।

তারপর চলল গ্রামের পর গ্রাম ও শহরের পর শহর দখল। জমিদারদের জমি দখল করার পর তা কৃষকদের হাতে তুলে দিতে শুরু করল এই ফ্রন্ট। কলকারখানার শ্রমিকদের নিয়ে গড়ে উঠল গেরিলা ইউনিট।

১৯৩০ সালের জুন মাসে তৃতীয় লাল ফৌজ ও আর্মি কোর একত্রে চাংসার দিকে অগ্রসর হতে লাগল। মাও নির্বাচিত হলেন রাজনৈতিক কমিশার।

চিয়াং সরকার এই সময় মাও-সে-তুংকে ধরার জন্য ঘোষণা করল পুরস্কার এবং হুনান প্রদেশে তাঁর পারিবারিক সকল সম্পত্তি করল বাজেয়াপ্ত। শুধু তা-ই নয়, মাওয়ের স্ত্রী, ছোট বোন ও দুই ভাইকেও গ্রেফতার করা হলো। স্ত্রী ও ছোট বোনকে দেওয়া হলো ফাঁসি।

অবশেষে মাও-সে-তুংকে নির্মূল করার জন্য চিয়াংবাহিনী এক লক্ষ সৈন্য নিয়ে অতর্কিতে ঘিরে ফেলল তাঁর আশ্রয়স্থলের চারপাশ। লালফৌজে ছিল মাত্র চল্লিশ হাজার সৈন্য। যাইহোক, লালফৌজের গেরিলা আক্রমণে সরকারি বাহিনী হলো পর্যুদস্ত।

চারমাস পর মার্কিন অস্ত্রে সজ্জিত দুলাখ সৈন্য আবার আক্রমণ করল লিয়াংশি। এবারও জয় হলো মাওয়ের।

ফলে দিশেহারা হয়ে চিয়াং এবার নিজেই এলেন মাওয়ের বিরুদ্ধে তিন লক্ষ সৈন্য নিয়ে। কিন্তু এ যুদ্ধেও কমিউনিস্টদের জয় হলো।

১৯৩১ সালে চীনা কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন বসে। এতে মাও আবারও চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন এবং মাওয়ের নেতৃত্বে গঠন করা হয় কমিউনিস্ট সরকার। এই সরকার গঠিত হয়েছিল দক্ষিণ চীনে। এর চারদিকে তখন ছিল সরকারি বাহিনী। তাই কমিউনিস্টরা সিদ্ধান্ত নিল উত্তর চীনে চলে যাওয়ার। ১৯৩৪ সালে মাও-সে-তুং-এর নেতৃত্বে উত্তর দিকে রওনা দিল কমিউনিস্টরা। এটাই ইতিহাসে লং মার্চ নামে খ্যাত। এই লং মার্চ করে উত্তর চীনে পৌঁছুতে তাদের সময় লেগেছিল দীর্ঘ কয়েক বছর।

১৯৩৯ সালে শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ১৯৪২ সালে জাপান দশ লক্ষ সৈন্য নিয়ে এল চীন দখল করতে।

মাও-সে-তুং-এর নেতৃত্বে ছিল এক কোটি নিয়মিত সৈন্য এবং আরো এক কোটি স্বেচ্ছাসেবকের এক সুবিশাল বাহিনী। কমিউনিস্টদের সঙ্গে লড়াই-এ জাপবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়।

জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় মাও-সে-তুং-এর সঙ্গে চিয়াং কাই-শেকের একটি অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

কিন্তু মহাযুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পরই চিয়াং কাই-শেক চুক্তি ভঙ্গ করে আবার কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে। এদিকে হিটলারবাহিনীর সাথে ভয়ংকর যুদ্ধের পর কমিউনিস্ট বাহিনীও ক্লান্ত। এই সুযোগে চিয়াংবাহিনী কমিউনিস্টদের রাজধানী ইয়েনান দখল করে নেয়। মাও-এর নেতৃত্বে কমিউনিস্ট বাহিনী পিছু হটে গিয়ে শুরু করে পালটা গেরিলা আক্রমণ। আর এভাবেই ১৯৪৭ সালের জুলাই থেকে ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসের মধ্যে চিয়াংবাহিনীর ২২,৫০,০০০ সৈন্য খতম করে দেয় কমিউনিস্টরা এবং ৪৩, ০০, ০০০ সৈন্য যোগ দেয় কমিউনিস্টদের সঙ্গে। মুক্তিফৌজ ১৯৪৮ সালেই ৪৮০টি শহর দখল করে নেয়।

তারপর ১৯৪৯ সালের ১৪ অক্টোবর মুক্তিফৌজের অগ্রগামী দল ক্যান্টনে প্রবেশ করে। চিয়াং কাই-শেক ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা চীনের বিশাল ভূখণ্ড ছেড়ে মূল ভূমির ৮০ মাইল দূরে ক্ষুদ্র দ্বীপ ফরমোজায় (বর্তমান নাম তাইওয়ান) গিয়ে আশ্রয় নেয়।

১৯৪৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মাও সে তুং চীনা সাধারণতন্ত্রের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এতদিনের সংগ্রামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সহযোগী চৌ-এন-লাই নির্বাচিত হন প্রধানমন্ত্রী। মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত মাও-সে-তুং ছিলেন চীনের চেয়ারম্যন এবং দেশের অবিসংবাদিত নেতা।

মাও-সে-তুং-এর মৃত্যু হয় ১৯৭৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। আজও তিনি সারা বিশ্বের শোষিত মানুষের সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক হয়ে বেঁচে আছেন।

সকল অধ্যায়

১. হযরত মুহাম্মদ (দঃ) (৫৭০-৬৩২) – সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী
২. জরথুশত্র (৬২৮-৫৫১ খ্রি. পূ.) – পারশি ধর্মের প্রবর্তক
৩. বর্ধমান মহাবীর (৫৯৯–৫২৭ খ্রি. পূ.) – জৈন দর্শন ও ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা
৪. গৌতম বুদ্ধ (৫৬৩–৪৮৩ খ্রি. পূ.) – বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক
৫. কনফুসিয়াস (৫৫১–৪৭৯ খ্রি. পূ.) – চীনের প্রাচীনতম ধর্মমতবাদের প্রবর্তক
৬. সক্রেটিস (আনু. ৪৬৯–৩৯৯ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্রের আদিজনক
৭. প্লেটো (৪২৮–৩৪৭ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্র যাঁর হাতে পেয়েছিল পূর্নাঙ্গরূপ
৮. ডায়োজিনিস (৪১২–৩২২ খ্রি. পূ.) – একনিষ্ঠ জ্ঞান সাধক
৯. অ্যারিস্টটল (৩৮৪-৩২২ খ্রি. পূ.) – যুক্তিশাস্ত্রের জনক
১০. যিশু খ্রিস্ট (আনু. ৬ খ্রি. পূ.–আনু. ২৯ খ্রি.) – খ্রিস্টানধর্মের প্রবর্তক
১১. অতীশ দীপঙ্কর (৯৮২–১০৫৩) – জ্ঞানসাধক বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারক
১২. গুরু নানক (১৪৬৯–১৫৩৮) – শিখ ধর্মমতের প্রবর্তক
১৩. মার্টিন লুথার (১৪৮৩-১৫৪৬) – ধর্মের সংস্কারক এবং ‘প্রটেস্টানিজম’ মতবাদের স্রষ্টা
১৪. মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য (১৪৮৬-১৫৩৩) – বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক
১৫. রামমোহন রায় (১৭৭২–১৮৩৩) – ভারতবর্ষে নবযুগের প্রবর্তক
১৬. রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬–১৮৮৬) – ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আমি ঈশ্বরকে দর্শন করেছি’
১৭. বারট্রান্ড রাসেল (১৮৭২–১৯৭০ ) – যুদ্ধ-বিরোধী ও মানবতাবাদী দার্শনিক
১৮. থ্যালিস (আনু. ৬২৪–৫৬৫ খ্রি. পূ.) – বিজ্ঞানশাস্ত্রের আদিপুরুষ
১৯. পিথাগোরাস (আনু. ৫৮২–৫০৭ খ্রি. পূ.) – তিনি বলেছিলেন—পৃথিবী গোলাকার
২০. হিপোক্র্যাটিস (আনু: ৪৬০–৩৭০ খ্রি. পূ.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আদিজনক
২১. আর্কিমিডিস (২৮৭–২১২ খ্রি. পূ.) – ঊর্ধ্বমুখী বল সূত্রের আবিষ্কারক
২২. ক্লডিয়াস টলেমি (১০০–১৮০ খ্রি.) – জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রথম কোষগ্রন্থ প্রণেতা
২৩. ক্লডিয়াস গ্যালেন (১৩১–২০১ খ্রি.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আধুনিক পদ্ধতির আদি জনক
২৪. ইবনে সিনা (৯৮০–১০৩৭) – জ্ঞানসাধনায় কাটিয়েছিলেন সমগ্র জীবন
২৫. কোপারনিকাস (১৪৭৩–১৫৪৩) – আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানে প্ৰবক্তা
২৬. জিওর্দানো ব্রুনো (আনু. ১৫৪৮–১৬০০ ) – সত্যপ্রচারের অপরাধে যাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল
২৭. গ্যালিলিও গ্যালিলি (১৫৬৪-১৬৪২) – যাঁর গাণিতিক পদ্ধতি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি
২৮. লিওয়েন হুক (১৬৩২–১৭৩৩) – মুদি দোকানদার থেকে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী
২৯. আইজাক নিউটন (১৬৪২–১৭২৭) – মাধ্যাকর্ষন শক্তির আবিষ্কারক
৩০. রিচার্ড আর্করাইট (১৭৩২–১৭৯২) – আধুনিক বস্ত্রশিল্পে বৈপ্লবিক ধারা প্রবর্তক
৩১. উইলিয়াম হার্শেল (১৭৩৮–১৮২২) – ইউরেনাস গ্রহের আবিষ্কারক
৩২. লরেঁ লাভোয়সিয়ের (১৭৪৩–১৭৯৪) – রসায়নশাস্ত্রের জনক
৩৩. মাইকেল ফ্যারাডে (১৭৯১-১৮৬৭) – তাড়িত-চুম্বক বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা
৩৪. চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২) – প্রাণিজগতের বিবর্তনবাদের ব্যাখ্যাদাতা
৩৫. লুই পাস্তুর (১৮২২–১৮৯৫) – জীবাণু আর জলাতঙ্ক রোগ প্রতিষেধকের আবিষ্কারক
৩৬. আলফ্রেড নোবেল (১৮৩৩–১৮৯৬) – যাঁর নামে দেয়া হয় নোবেল পুরস্কার
৩৭. আলভা এডিসন (১৮৪৭–১৯৩১) – সর্বাধিক আবিষ্কারের জনক
৩৮. জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৫৯–১৯৩৭) – যিনি বলেছিলেন গাছেরও প্রাণ আছে
৩৯. মাদাম কুরি (১৮৬৭–১৯৩৪) – সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহিলা বিজ্ঞানী
৪০. মার্কোনি (১৮৭৪–১৯৩৭) – বেতারযন্ত্রের আবিষ্কারক
৪১. আলবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯–১৯৫৫) – আপেক্ষিক তত্ত্বের জনক
৪২. আলেকজান্ডার ফ্লেমিং (১৮৮১–১৯৫৫) – পেনিসিলিনের আবিষ্কারক
৪৩. হোমার (আনু. ৭০০-? খ্রি. পূ.) – বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দুটি মহাকাব্যের রচয়িতা
৪৪. ঈশপ (আ. কা. ৬২০–৫৬০ খ্রি. পূ.) – কালজয়ী নীতিগল্পকার
৪৫. সোফোক্লেস (আনু. ৪৯৫-৪০৬ খ্রি. পূ.) – গ্রিক ট্র্যাজেডি নাট্যধারার রূপকার
৪৬. হেরোডোটাস (আনু. ৪৮৫–৪২৫ খ্রি. পূ.) – ইতিহাসশাস্ত্রের জনক
৪৭. অ্যারিস্টোফানিস (আনু. ৪৪৪–৩৮৫ খ্রি. পূ.) – যাঁর সাহিত্যকর্মে আর্তমানবতার কথা প্রতিফলিত
৪৮. মহাকবি কালিদাস (আনু. ৫৭০-৬৫০ খ্রি.) – সংস্কৃতি সাহিত্যের অমর কবি
৪৯. লেওনার্দো দা ভিঞ্চি (১৪৫২–১৫১৯) – সর্বকালের শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী
৫০. মিকেলাঞ্জেলো (১৪৭৫–১৫৬৪) – পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্কর শিল্পী
৫১. তানসেন (১৫০৬–১৫৮৫) – কিংবদন্তির গায়ক
৫২. শেকসপিয়ার (১৫৬৪-১৬১৬) – বিশ্বসাহিত্যের কালজয়ী নাট্যকার
৫৩. ভলতেয়ার (১৬৯৪-১৭৭৮) – বিখ্যাত ফরাসি চিন্তাবিদ
৫৪. জঁ-জাক্ রুসো (১৭১২–১৭৭৮) – ফরাসি বিপ্লবের রূপকার
৫৫. লর্ড বায়রন (১৭৮৮–১৮২৪) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি
৫৬. ভিক্টর হুগো (১৮০২-১৮৮৫) – ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৭. ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন (১৮০৫–১৮৭৫) – যাঁকে বলা হয় রূপকথার জাদুকর
৫৮. চার্লস ডিকেন্স (১৮১২–১৮৭০) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৯. ওয়াল্ট হুইটম্যান (১৮১৯-১৮৯২) – মার্কিন সাহিত্যের যুগ-প্রবর্তক কবি
৬০. লিয়েফ তলস্তোয় (১৮২৮–১৯১০) – বিশ্বের মহান সাহিত্যিকদের অন্যতম
৬১. জুল ভের্ন (১৮২৮–১৯০৫) – কল্পবিজ্ঞান কাহিনীর স্রষ্টা
৬২. মার্ক টোয়েন (১৮৩৫–১৯১০) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রসস্রষ্টা
৬৩. জর্জ বার্নার্ড শ (১৮৫৬–১৯৫০) – যিনি প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন
৬৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১) – শ্রেষ্ঠ বাঙালি মনীষা, পৃথিবীর মহত্তম সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব
৬৫. ম্যাক্সিম গোর্কি (১৮৬৮–১৯৩৬) – যাঁর সাহিত্যকর্মের প্রধান উপজীব্য গণমানুষের কথা
৬৬. হেলেন কেলার (১৮৮০-১৯৬৮) – যাঁর খ্যাতিকে নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করা হতো
৬৭. আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (১৮৯৮–১৯৬১) – জীবনবাদী মার্কিন কথাসাহিত্যিক
৬৮. কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯–১৯৭৬) – বাংলার বিদ্রোহী কবি
৬৯. জর্জ ওয়াশিংটন (১৭৩২–১৭৯৯) – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৭০. নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (১৭৬৯-১৮২১) – ইতিহাসের কিংবদন্তির মহানায়ক
৭১. জুসেপ্পে গারিবলদি (১৮০৭–১৮৮২) – ইতালির জনক বলে যাঁর খ্যাতি
৭২. আব্রাহাম লিংকন (১৮০৯-১৮৬৫) – যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রীতদাসপ্রথা রহিত করেছিলেন
৭৩. অটো ফন বিসমার্ক (১৮১৫–১৮৯৮) – জার্মান সাম্রাজ্যের স্থপতি
৭৪. মহাত্মা গান্ধি (১৮৬৯–১৯৪৮) – ‘সবকো সুমতি দে ভগবান’
৭৫. কমরেড লেনিন (১৮৭০–১৯২৪) – বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা
৭৬. উইনস্টন চার্চিল (১৮৭৪–১৯৬৫) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ডাকসাইটে প্রধানমন্ত্রী
৭৭. জোসেফ স্ট্যালিন (১৮৭৯–১৯৫৩) – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়েনের ‘লৌহমানব’
৭৮. কামাল আতাতুর্ক (১৮৮১–১৯৩৮) – নব্য-তুরস্কের জনক
৭৯. ডি ভ্যালেরা (১৮৮২-১৯৭৫) – আয়ারল্যান্ডের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৮০. জওহরলাল নেহরু (১৮৮৯-১৯৬৪) – ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
৮১. আইসেনহাওয়ার (১৮৯০-১৯৬৯) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক
৮২. শার্ল দ্য গল (১৮৯০-১৯৭০) – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা
৮৩. হো-চি-মিন (১৮৯০-১৯৬৯) – ভিয়েতনামের মুক্তিদাতা পুরুষ
৮৪. মার্শাল টিটো (১৮৯২–১৯৮০) – জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা
৮৫. মাও-সে-তুং (১৮৯৫–১৯৭৬) – চীন সাধারণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা
৮৬. সুভাষচন্দ্র বসু (১৮৯৭–১৯৪৫) – ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’
৮৭. জন এফ কেনেডি (১৯১৭–১৯৬৩) – গুপ্তঘাতকের হাতে যাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছিল
৮৮. ইন্দিরা গান্ধি (১৯১৭–১৯৮৪) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
৮৯. নেলসন ম্যান্ডেলা (১৯১৮) – দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তিদাতা পুরুষ
৯০. শেখ মুজিবর রহমান (১৯২০–১৯৭৫) – বাংলাদেশের জাতির জনক
৯১. প্যাট্রিস লুমুম্বা (১৯২৫-১৯৬১) – কঙ্গোর মুক্তিদাতা পুরুষ
৯২. মার্কো পোলো (১২৫৬–১৩২৩) – দুঃসাহসিক অভিযাত্রী
৯৩. ক্রিস্টোফার কলম্বাস (আনু. ১৪৪৬-১৫০৬) – আমেরিকার আবিষ্কারক
৯৪. ডেভিড লিভিংস্টোন (১৮১৩-১৮৭৩) – আফ্রিকার আবিষ্কারক
৯৫. উইলিয়াম জোন্স (১৭৪৬–১৭৯৪) – এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৬. ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল (১৮২০–১৯১০) – আধুনিক ‘নার্সিং’ বৃত্তির অগ্রপথিক
৯৭. হেনরি ডুনান্ট (১৮২৮–১৯১০) – রেডক্রস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৮. ব্যাডেন পাওয়েল (১৮৫৭–১৯৪১) – বয়স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা
৯৯. মাদার তেরেসা (১৯১০–১৯৯৭) – প্রেম, করুণা ও ধর্মের মূর্ত প্রতিমা
১০০. অ্যাডাম স্মিথ (১৭২৩–১৭৯০) – রাজনৈতিক অর্থশাস্ত্র বিজ্ঞানের জনক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন