ইবনে সিনা (৯৮০–১০৩৭) – জ্ঞানসাধনায় কাটিয়েছিলেন সমগ্র জীবন

ভবেশ রায়

প্রাচীন গ্রিসের মহাজ্ঞানী অ্যারিস্টটল ছিলেন মহাবীর আলেজান্ডারের প্রধান উপদেষ্টা এবং শিক্ষক। ইতিহাসে এ-রকমেরই আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল ইস্পাহানের শাসনকর্তা আলাউদ্দৌলা বিন কাজুরির বেলায়। তিনিও তাঁর পাশে পেয়েছিলেন প্রাচ্যের অ্যারিস্টটল বলে খ্যাত ইবনে সিনাকে।

শুধু মুসলমানদের মধ্যে নন, ইবনে সিনা ছিলেন সারা পৃথিবীব অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী পুরুষ।

তিনি নিজেও ছিলেন উচ্চবংশীয় এক রাজপরিবারের সন্তান। সোনার চামচ মুখে নিয়েই তাঁর জন্ম হয়েছিল ৯৮০ সালে। পিতা ছিলেন খারমাইসন প্রদেশের গভর্নর আবদুল্লাহ্। তাঁর চারপাশে ছড়িয়ে ছিল অঢেল ঐশ্বর্য আর বেশুমার জাঁকজমক। ইচ্ছে করলে তিনিও এই বিলাসব্যসন আর ঐশ্বর্যের মধ্যে ডুব দিয়ে আর দশজনের মতো অনায়াসে ভেসে যেতে পারতেন। কিন্তু তা হয়নি। তাঁর জীবন প্রবাহিত হয়েছিল সম্পূর্ণ ভিন্নখাতে। ভোগের বদলে তিনি আত্মমগ্ন হয়েছিলেন জ্ঞানের সমুদ্রে।

ছয় বছর বয়সে বোখারায় শিক্ষাজীবন শুরু হয় ইবনে সিনার। বাল্যকাল থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন তিনি। অবিশ্বাস্যরকমের প্রতিভা লুকিয়ে ছিল তাঁর মধ্যে। দশ বছর বয়সেই গোটা কোরআন শরিফ মুখস্থ করে ফেলেছিলেন। আর সেইসাথে অধ্যয়ন করেন সাহিত্য, অঙ্ক, বীজগণিত, দর্শন, জ্যোতিষশাস্ত্র, ধর্ম ও চিকিৎসাশাস্ত্র।

কিন্তু যত বিষয়ই তিনি অধ্যয়ন করুন না কেন, তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বিষয় ছিল দর্শন ও চিকিৎসাশাস্ত্র। তিনি অশেষ ধৈর্য আর দক্ষতার সাথে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই চিকিৎসাশাস্ত্রের সমস্ত জটিল বিষয় উত্তমরূপে আয়ত্ত করে ফেলেন। মাত্র ষোল বছর বয়সেই তিনি হয়ে ওঠেন একজন পারদর্শী চিকিৎসাবিদ

ক্রমে তাঁর খ্যাতি আর পারদর্শিতার এই খবর গিয়ে পৌঁছয় শাহি দরবারে। এই সময় খলিফা নূহ ইবনে মনসুর আক্রান্ত হন কঠিন রোগে। খলিফার রোগ সারাতে শাহি দরবারের সব ঝানু ঝানু চিকিৎসকরা ব্যর্থতা বরণ করেন। খলিফাকে কিছুতেই রোগমুক্ত করা যাচ্ছিল না। অবশেষে ডাক পড়ে তরুণ চিকিৎসাবিদ ইবনে সিনার।

কিন্তু বয়সে তরুণ হলে কী হবে, অদ্ভুত ছিল তাঁর চিকিৎসাকৌশল, সুনিপুণ তাঁর দক্ষতা। ইবনে সিনার নতুন পদ্ধতির চিকিৎসায় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই অসুখ থেকে সেরে ওঠেন খলিফা মনসুর।

এই তরুণ চিকিৎসকের দক্ষতা আর জ্ঞান অর্জনের প্রতি তাঁর আগ্রহ দেখে খুবই খুশি হলেন খলিফা। পুরস্কারও দিলেন তাঁকে। ফলে খলিফার নিজস্ব গ্রন্থাগারে পড়াশোনা করার দুর্লভ অধিকার লাভ করলেন ইবনে সিনা। এই গ্রন্থাগারে ছিল অজস্র মূল্যবান এবং দুষ্প্রাপ্য সব গ্রন্থ। জ্ঞানপাগল ইবনে সিনা তাঁর সবই পড়ে ফেললেন একে একে। শিক্ষকের কাছ থেকে তিনি যে শিক্ষা লাভ করেছিলেন, ব্যক্তিগত পড়াশোনার ভেতর দিয়ে এবার তা পূর্ণতা লাভ করল।

ইবনে সিনা অল্পবয়সেই তাঁর প্রতিভার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হন। মাত্র একুশ বছর বয়সেই প্রণয়ন করেন একটি বিশ্বকোষ। একমাত্র গণিতশাস্ত্র ছাড়া বিজ্ঞানের যাবতীয় তথ্য তিনি নিপুণভাবে সন্নিবেশ ঘটান এই কোষগ্রন্থে। তাঁর এই গ্রন্থ দেখে দেশ-বিদেশের পণ্ডিতরা বিস্ময়ে আভিভূত হয়ে যান। তাঁর নাম দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

কিন্তু এই সময়েই তাঁর জীবনে নেমে আসে এক বড় রকমের দুর্যোগ। মাত্র বাইশ বছর বয়সে তাঁর পিতার মৃত্যু হয়। তবে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় নেমে আসে রাজনৈতিকভাবে। ইবনে সিনার পূর্বপুরুষেরা সামানীয় বংশের সৌজন্যে রাজমর্যাদা ভোগ করে আসছিলেন। কিন্তু এই সময় গজনির সুলতান মাহমুদের হাতে সামানিদের পতন ঘটলো, ক্ষুণ্ণ হয় তাঁদের রাজমর্যাদা।

ফলে সুলতান মাহমুদ ইবনে সিনাকে ধরে আনার জন্য লোক পাঠান। এই খবর পেয়ে তিনি দেশ ছেড়ে পালালেন। তাঁর পেছনে ধাওয়া করতে থাকে সুলতান মহমুদের গুপ্তচরেরা।

ইবনে সিনা পালিয়ে খারিজমের রাজধানী কারকুনজিতে গিয়ে ওঠেন। কিন্তু এ জায়গাও নিরাপদ নয় ভেবে তিনি চলে আসেন গুরগাঁওতে। কিন্তু এখানকার শাসকের মৃত্যু হলে তিনি চলে যান হামাদানে। ইবনে সিনা তাঁর বিদ্যা আর জ্ঞানের জন্য অচিরেই হামাদানের শাসনকর্তা শামসদ্দৌলার নজর কাড়তে সক্ষম হন। তাঁকে তিনি মন্ত্রীপদে বরণ করে নেন। কিন্তু এই সৌভাগ্যও বেশিদিন তাঁর কপালে সইল না। শামসদ্দৌলার মৃত্যু হলে তিনিও বন্দি হন। নিক্ষিপ্ত হন কারাগারে। অবশ্য এই কারাবাস তাঁর জন্য শাপে বর হয়ে দাঁড়ায়। এতদিন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য দর্শন ও বিজ্ঞানের মতো জটিল বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন কারাবাসের নির্জনে বসে তাঁর জীবনে সেই সুযোগ উপস্থিত হয়। তিনি পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করেন গ্রন্থ রচনায়।

তিনি কারাবাসে থেকেই রচনা করেন ‘কিতাব শিফা’ নামে আঠারো খণ্ডে সমাপ্ত একটি বিশাল শাস্ত্রীয় গ্রন্থ। এই সময় তিনি ‘কিতাব আতিকিয়াত’ এবং ‘কিতাবুল হাইয়ান’ নামে আরও দুটো মূলবান গন্থ রচনা করেন।

বিজ্ঞান বিষয়ে ইবনে সিনার ছিল বিপুল অবদান। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি একজন শ্রেষ্ঠ চিকিৎসাশাস্ত্রবিদ হিসেবেই পৃথিবীর বুকে বিশেষভাবে বরণীয়।

চিকিৎসাশাস্ত্রের জনক হিসেবে হিপোক্র্যাটিসের নাম স্বর্ণাক্ষরে খোদিত হলেও ইবনে সিনাই প্রথম চিকিৎসাতত্ত্বের সূত্রপাত করেন। এ-হিসেবে তাঁরও নাম চিকিৎসাশাস্ত্রের ইতিহাসে অতীব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হয়ে থাকে। অবশ্য তেমন যোগ্য উত্তরসুরি না থাকায় এই শাস্ত্রের আর তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। বলা হয়ে থাকে হিপোক্র্যাটিসের যোগ্য উত্তরসুরি ইবনে সিনা। তিনিই এই শাস্ত্রকে পূর্ণতা দান করেন।

চিকিৎসাশাস্ত্রে ইবনে সিনার সর্বাপেক্ষা বিখ্যাত গ্রন্থ হলো ‘কানুন ফি আল তিব্ব’, সংক্ষেপে যাকে বলা হয় ‘আল কানুন’। এটি প্রায় দশ লাখ শব্দবিশিষ্ট চিকিৎসাশাস্ত্র সংক্রান্ত একটি বিশ্বকোষ জাতীয় গ্রন্থ।

শোনা যায়, বিজ্ঞান বিষয়েও তিনি প্রায় শতাধিক গ্রন্থ প্রণয়ন করেছিলেন। কিন্তু সেসব গ্রন্থ হারিয়ে গেছে কালের অতল গর্ভে। এ ছাড়া ধর্মতত্ত্ব, মনোবিজ্ঞান, জ্যোতিষশাস্ত্র, প্রকৃতিবিজ্ঞান, দর্শন এবং কবিতা বিষয়েও ছিল তাঁর অনেক গ্রন্থ।

ইবনে সিনার মৃত্যু হয় ১০৩৭ সালে। তিনি হামাদানেই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাটান। আজও সারা বিশ্বের মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে এই মহান জ্ঞানসাধকের নাম।

সকল অধ্যায়

১. হযরত মুহাম্মদ (দঃ) (৫৭০-৬৩২) – সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী
২. জরথুশত্র (৬২৮-৫৫১ খ্রি. পূ.) – পারশি ধর্মের প্রবর্তক
৩. বর্ধমান মহাবীর (৫৯৯–৫২৭ খ্রি. পূ.) – জৈন দর্শন ও ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা
৪. গৌতম বুদ্ধ (৫৬৩–৪৮৩ খ্রি. পূ.) – বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক
৫. কনফুসিয়াস (৫৫১–৪৭৯ খ্রি. পূ.) – চীনের প্রাচীনতম ধর্মমতবাদের প্রবর্তক
৬. সক্রেটিস (আনু. ৪৬৯–৩৯৯ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্রের আদিজনক
৭. প্লেটো (৪২৮–৩৪৭ খ্রি. পূ.) – দর্শনশাস্ত্র যাঁর হাতে পেয়েছিল পূর্নাঙ্গরূপ
৮. ডায়োজিনিস (৪১২–৩২২ খ্রি. পূ.) – একনিষ্ঠ জ্ঞান সাধক
৯. অ্যারিস্টটল (৩৮৪-৩২২ খ্রি. পূ.) – যুক্তিশাস্ত্রের জনক
১০. যিশু খ্রিস্ট (আনু. ৬ খ্রি. পূ.–আনু. ২৯ খ্রি.) – খ্রিস্টানধর্মের প্রবর্তক
১১. অতীশ দীপঙ্কর (৯৮২–১০৫৩) – জ্ঞানসাধক বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারক
১২. গুরু নানক (১৪৬৯–১৫৩৮) – শিখ ধর্মমতের প্রবর্তক
১৩. মার্টিন লুথার (১৪৮৩-১৫৪৬) – ধর্মের সংস্কারক এবং ‘প্রটেস্টানিজম’ মতবাদের স্রষ্টা
১৪. মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য (১৪৮৬-১৫৩৩) – বৈষ্ণবধর্মের প্রবর্তক
১৫. রামমোহন রায় (১৭৭২–১৮৩৩) – ভারতবর্ষে নবযুগের প্রবর্তক
১৬. রামকৃষ্ণ পরমহংস (১৮৩৬–১৮৮৬) – ‘হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আমি ঈশ্বরকে দর্শন করেছি’
১৭. বারট্রান্ড রাসেল (১৮৭২–১৯৭০ ) – যুদ্ধ-বিরোধী ও মানবতাবাদী দার্শনিক
১৮. থ্যালিস (আনু. ৬২৪–৫৬৫ খ্রি. পূ.) – বিজ্ঞানশাস্ত্রের আদিপুরুষ
১৯. পিথাগোরাস (আনু. ৫৮২–৫০৭ খ্রি. পূ.) – তিনি বলেছিলেন—পৃথিবী গোলাকার
২০. হিপোক্র্যাটিস (আনু: ৪৬০–৩৭০ খ্রি. পূ.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আদিজনক
২১. আর্কিমিডিস (২৮৭–২১২ খ্রি. পূ.) – ঊর্ধ্বমুখী বল সূত্রের আবিষ্কারক
২২. ক্লডিয়াস টলেমি (১০০–১৮০ খ্রি.) – জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রথম কোষগ্রন্থ প্রণেতা
২৩. ক্লডিয়াস গ্যালেন (১৩১–২০১ খ্রি.) – চিকিৎসাশাস্ত্রের আধুনিক পদ্ধতির আদি জনক
২৪. ইবনে সিনা (৯৮০–১০৩৭) – জ্ঞানসাধনায় কাটিয়েছিলেন সমগ্র জীবন
২৫. কোপারনিকাস (১৪৭৩–১৫৪৩) – আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানে প্ৰবক্তা
২৬. জিওর্দানো ব্রুনো (আনু. ১৫৪৮–১৬০০ ) – সত্যপ্রচারের অপরাধে যাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল
২৭. গ্যালিলিও গ্যালিলি (১৫৬৪-১৬৪২) – যাঁর গাণিতিক পদ্ধতি আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি
২৮. লিওয়েন হুক (১৬৩২–১৭৩৩) – মুদি দোকানদার থেকে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী
২৯. আইজাক নিউটন (১৬৪২–১৭২৭) – মাধ্যাকর্ষন শক্তির আবিষ্কারক
৩০. রিচার্ড আর্করাইট (১৭৩২–১৭৯২) – আধুনিক বস্ত্রশিল্পে বৈপ্লবিক ধারা প্রবর্তক
৩১. উইলিয়াম হার্শেল (১৭৩৮–১৮২২) – ইউরেনাস গ্রহের আবিষ্কারক
৩২. লরেঁ লাভোয়সিয়ের (১৭৪৩–১৭৯৪) – রসায়নশাস্ত্রের জনক
৩৩. মাইকেল ফ্যারাডে (১৭৯১-১৮৬৭) – তাড়িত-চুম্বক বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা
৩৪. চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২) – প্রাণিজগতের বিবর্তনবাদের ব্যাখ্যাদাতা
৩৫. লুই পাস্তুর (১৮২২–১৮৯৫) – জীবাণু আর জলাতঙ্ক রোগ প্রতিষেধকের আবিষ্কারক
৩৬. আলফ্রেড নোবেল (১৮৩৩–১৮৯৬) – যাঁর নামে দেয়া হয় নোবেল পুরস্কার
৩৭. আলভা এডিসন (১৮৪৭–১৯৩১) – সর্বাধিক আবিষ্কারের জনক
৩৮. জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৫৯–১৯৩৭) – যিনি বলেছিলেন গাছেরও প্রাণ আছে
৩৯. মাদাম কুরি (১৮৬৭–১৯৩৪) – সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহিলা বিজ্ঞানী
৪০. মার্কোনি (১৮৭৪–১৯৩৭) – বেতারযন্ত্রের আবিষ্কারক
৪১. আলবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯–১৯৫৫) – আপেক্ষিক তত্ত্বের জনক
৪২. আলেকজান্ডার ফ্লেমিং (১৮৮১–১৯৫৫) – পেনিসিলিনের আবিষ্কারক
৪৩. হোমার (আনু. ৭০০-? খ্রি. পূ.) – বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দুটি মহাকাব্যের রচয়িতা
৪৪. ঈশপ (আ. কা. ৬২০–৫৬০ খ্রি. পূ.) – কালজয়ী নীতিগল্পকার
৪৫. সোফোক্লেস (আনু. ৪৯৫-৪০৬ খ্রি. পূ.) – গ্রিক ট্র্যাজেডি নাট্যধারার রূপকার
৪৬. হেরোডোটাস (আনু. ৪৮৫–৪২৫ খ্রি. পূ.) – ইতিহাসশাস্ত্রের জনক
৪৭. অ্যারিস্টোফানিস (আনু. ৪৪৪–৩৮৫ খ্রি. পূ.) – যাঁর সাহিত্যকর্মে আর্তমানবতার কথা প্রতিফলিত
৪৮. মহাকবি কালিদাস (আনু. ৫৭০-৬৫০ খ্রি.) – সংস্কৃতি সাহিত্যের অমর কবি
৪৯. লেওনার্দো দা ভিঞ্চি (১৪৫২–১৫১৯) – সর্বকালের শ্রেষ্ঠ চিত্রশিল্পী
৫০. মিকেলাঞ্জেলো (১৪৭৫–১৫৬৪) – পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাস্কর শিল্পী
৫১. তানসেন (১৫০৬–১৫৮৫) – কিংবদন্তির গায়ক
৫২. শেকসপিয়ার (১৫৬৪-১৬১৬) – বিশ্বসাহিত্যের কালজয়ী নাট্যকার
৫৩. ভলতেয়ার (১৬৯৪-১৭৭৮) – বিখ্যাত ফরাসি চিন্তাবিদ
৫৪. জঁ-জাক্ রুসো (১৭১২–১৭৭৮) – ফরাসি বিপ্লবের রূপকার
৫৫. লর্ড বায়রন (১৭৮৮–১৮২৪) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি
৫৬. ভিক্টর হুগো (১৮০২-১৮৮৫) – ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৭. ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন (১৮০৫–১৮৭৫) – যাঁকে বলা হয় রূপকথার জাদুকর
৫৮. চার্লস ডিকেন্স (১৮১২–১৮৭০) – ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল
৫৯. ওয়াল্ট হুইটম্যান (১৮১৯-১৮৯২) – মার্কিন সাহিত্যের যুগ-প্রবর্তক কবি
৬০. লিয়েফ তলস্তোয় (১৮২৮–১৯১০) – বিশ্বের মহান সাহিত্যিকদের অন্যতম
৬১. জুল ভের্ন (১৮২৮–১৯০৫) – কল্পবিজ্ঞান কাহিনীর স্রষ্টা
৬২. মার্ক টোয়েন (১৮৩৫–১৯১০) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রসস্রষ্টা
৬৩. জর্জ বার্নার্ড শ (১৮৫৬–১৯৫০) – যিনি প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন
৬৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১–১৯৪১) – শ্রেষ্ঠ বাঙালি মনীষা, পৃথিবীর মহত্তম সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব
৬৫. ম্যাক্সিম গোর্কি (১৮৬৮–১৯৩৬) – যাঁর সাহিত্যকর্মের প্রধান উপজীব্য গণমানুষের কথা
৬৬. হেলেন কেলার (১৮৮০-১৯৬৮) – যাঁর খ্যাতিকে নেপোলিয়নের সঙ্গে তুলনা করা হতো
৬৭. আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (১৮৯৮–১৯৬১) – জীবনবাদী মার্কিন কথাসাহিত্যিক
৬৮. কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯–১৯৭৬) – বাংলার বিদ্রোহী কবি
৬৯. জর্জ ওয়াশিংটন (১৭৩২–১৭৯৯) – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৭০. নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (১৭৬৯-১৮২১) – ইতিহাসের কিংবদন্তির মহানায়ক
৭১. জুসেপ্পে গারিবলদি (১৮০৭–১৮৮২) – ইতালির জনক বলে যাঁর খ্যাতি
৭২. আব্রাহাম লিংকন (১৮০৯-১৮৬৫) – যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রীতদাসপ্রথা রহিত করেছিলেন
৭৩. অটো ফন বিসমার্ক (১৮১৫–১৮৯৮) – জার্মান সাম্রাজ্যের স্থপতি
৭৪. মহাত্মা গান্ধি (১৮৬৯–১৯৪৮) – ‘সবকো সুমতি দে ভগবান’
৭৫. কমরেড লেনিন (১৮৭০–১৯২৪) – বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা
৭৬. উইনস্টন চার্চিল (১৮৭৪–১৯৬৫) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ডাকসাইটে প্রধানমন্ত্রী
৭৭. জোসেফ স্ট্যালিন (১৮৭৯–১৯৫৩) – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়েনের ‘লৌহমানব’
৭৮. কামাল আতাতুর্ক (১৮৮১–১৯৩৮) – নব্য-তুরস্কের জনক
৭৯. ডি ভ্যালেরা (১৮৮২-১৯৭৫) – আয়ারল্যান্ডের প্রথম প্রেসিডেন্ট
৮০. জওহরলাল নেহরু (১৮৮৯-১৯৬৪) – ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী
৮১. আইসেনহাওয়ার (১৮৯০-১৯৬৯) – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন মিত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক
৮২. শার্ল দ্য গল (১৮৯০-১৯৭০) – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা
৮৩. হো-চি-মিন (১৮৯০-১৯৬৯) – ভিয়েতনামের মুক্তিদাতা পুরুষ
৮৪. মার্শাল টিটো (১৮৯২–১৯৮০) – জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা
৮৫. মাও-সে-তুং (১৮৯৫–১৯৭৬) – চীন সাধারণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা
৮৬. সুভাষচন্দ্র বসু (১৮৯৭–১৯৪৫) – ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’
৮৭. জন এফ কেনেডি (১৯১৭–১৯৬৩) – গুপ্তঘাতকের হাতে যাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছিল
৮৮. ইন্দিরা গান্ধি (১৯১৭–১৯৮৪) – বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
৮৯. নেলসন ম্যান্ডেলা (১৯১৮) – দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তিদাতা পুরুষ
৯০. শেখ মুজিবর রহমান (১৯২০–১৯৭৫) – বাংলাদেশের জাতির জনক
৯১. প্যাট্রিস লুমুম্বা (১৯২৫-১৯৬১) – কঙ্গোর মুক্তিদাতা পুরুষ
৯২. মার্কো পোলো (১২৫৬–১৩২৩) – দুঃসাহসিক অভিযাত্রী
৯৩. ক্রিস্টোফার কলম্বাস (আনু. ১৪৪৬-১৫০৬) – আমেরিকার আবিষ্কারক
৯৪. ডেভিড লিভিংস্টোন (১৮১৩-১৮৭৩) – আফ্রিকার আবিষ্কারক
৯৫. উইলিয়াম জোন্স (১৭৪৬–১৭৯৪) – এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৬. ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল (১৮২০–১৯১০) – আধুনিক ‘নার্সিং’ বৃত্তির অগ্রপথিক
৯৭. হেনরি ডুনান্ট (১৮২৮–১৯১০) – রেডক্রস সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা
৯৮. ব্যাডেন পাওয়েল (১৮৫৭–১৯৪১) – বয়স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা
৯৯. মাদার তেরেসা (১৯১০–১৯৯৭) – প্রেম, করুণা ও ধর্মের মূর্ত প্রতিমা
১০০. অ্যাডাম স্মিথ (১৭২৩–১৭৯০) – রাজনৈতিক অর্থশাস্ত্র বিজ্ঞানের জনক

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন