রুপোর গাছ – বাণী বসু

পৌলোমী সেনগুপ্ত

রুপোর গাছ – বাণী বসু

সে অনেক দিন আগেকার কথা। পৃথিবী তখন নবীনা ছিল। আমরা যাকে মৌল বলি, সেই সব মৌল বোধহয় তখন কোনও দুর্বোধ্য নিয়মের খেয়ালখুশিমতো ভাঙছে, চুরছে, সৃষ্টি করছে নব নব রূপ। পৃথিবীর সমস্ত পদার্থেই তখন কেমন একটা টলোমলো, অস্থির, চঞ্চল ভাব। পৃথিবী ভরা শুধু মায়া, জাদু, ইন্দ্রজাল। জাদুকর, ডাইনি, এদেরও তখন তাই খুব সুবিধে। চট করে এক জিনিস হয়ে যায় আর। মানুষ হয়ে যায় পাখি, পাখি হয়ে যায় হাওয়া, হাসি হয়ে যায় মোতি, চোখের জল হয়ে যায় মুক্তোর দানা। আসলে, পৃথিবীটা তখন ছিল একটা সত্যিরূপকথার দেশ।

এই সময়ে পৃথিবীর এক লাল মাটির দেশে থাকত এক মেয়ে। বড্ড রূপসী বলে সবাই তাকে রূপসী বলেই ডাকত। পূর্ণিমা রাতের জ্যোৎস্নার মতো তার গায়ের রং। বর্ষার মেঘের গায়ে বিদ্যুৎ-চমকের মতো তার হাসি। আর ছায়ায় ঘেরা কালো দিঘির মতো তার চাউনি। রূপসীর মা ছিল না, বাপ ছিল না। ছিল শুধু এক দাদা। সে-ও কতকতদিন নিরুদ্দেশ।

তখনকার দিনে দেশলাই বলে কোনও জিনিসের কথা লোকে জানত না। বারুদ-টারুদের কথাও তাদের অজানা ছিল। আগুন জ্বালাতে হত চকমকি পাথর ঠুকে। লোকের বাড়িতে থাকত ছোট ছোট আগুন-ঘর। দাবানল-লাগা বনের জ্বলন্ত কাঠকয়লা মাটির মালসায় করে সেই ঘরে রেখে দিত লোকে। তার থেকেই কাঠ ধরিয়ে চলত রান্নার কাজ। সন্ধেবেলায় জ্বলত তেলের পিদিম। তবে তা সংগ্রহ করা ছিল বড় কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আমাদের রূপসী মেয়ে এই কাজই করত। তাদের গাঁয়ের ধারে ছিল প্রকাণ্ড দিক-দিশাহীন এক জঙ্গল। সেখানে থেকে থেকে দাবানল লাগত। গাঁয়ের লোক জড়ো হয়ে অনেক কষ্টে লাঠি পিটিয়ে পিটিয়ে, ঘড়া ঘড়া জল ঢেলে সামলাত সেই দাবানল। আর রূপসী তখন গরম গরম কাঠকয়লা সংগ্রহ করে বাড়ি বাড়ি দিয়ে আসত। কাজেই বেচারার হাত দুটি পুড়ে ফোসকা পড়ে পড়ে কালো বীভৎস দেখতে হয়ে গিয়েছিল।

সেবার দাউদাউ করছে গ্রীষ্ম। খাউখাউ করছে রোদ। থেকে থেকে পশ্চিম থেকে একটা গরম হাওয়া ঝড়ের মতো বইছে। একদিন শেষরাতে রূপসী দেখল, তার কুঁড়েঘর আলোয় আলো হয়ে গেছে। অর্থাৎ কাছের বনে দাবানল লেগেছে। রূপসীর তো প্রাণের ভয় করলে চলে না। তাই সে বনের ঠান্ডা দিকটাতে ঢুকে আঙুলে ভর দিয়ে মুখ উঁচু করে দেখতে লাগল আগুন কত দুরে, কতখানি ছড়িয়েছে। তার আশপাশ দিয়ে তখন প্রাণভয়ে দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছুটে পালাচ্ছে বনের যাবতীয় পশু, পাখি। সিংহ, নেকড়ে, শেয়াল, হরিণ, বাঁদর, বরা, খরগোশ, শজারু…।

রূপসীর অনেক দিনের অভ্যেস, তাই সে পাশ কাটিয়ে কাটিয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে নিচ্ছে ঠিক। এমন সময়ে তার পায়ের কাছে এসে ধড়াস করে পড়ল একটা মানুষ। তার দেহটা জীর্ণশীর্ণ। জামাকাপড় লণ্ডভণ্ড। সারা শরীরে থিকথিক করছে রক্ত। রূপসী কাঠকয়লা তোলার কথা ভুলে গিয়ে তার দেহে যত শক্তি আছে সমস্ত দিয়ে কোনওমতে লোকটিকে তার কুটিরে নিয়ে এল। তারপর দিনরাত চলল তার সেবা। নদীর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে দিল রক্ত, নিজের একখানা কাপড় জড়িয়ে দিল তার গায়ে, তারপর বন থেকে কত রকম শেকড়বাকড় এনে বেটে বেটে তার সর্বাঙ্গে মাখিয়ে দিতে লাগল। একটু একটু করে খাওয়াতে লাগল জল আর খাদ্য। একদিন, দু’দিন, তিন দিনের দিন লোকটার জ্ঞান ফিরল। তখন জানা গেল, কয়েক মাস হল সে এই বনে বাসা বেঁধে ছিল। দাবানল লাগতে প্রথমটা সে চেষ্টা করে আগুন নেভাতে। বিফল হয়ে যখন পালাতে শুরু করে, তখন একটা বন্য বরাহের পরিবারের পথে পড়ায় তারা দাঁত দিয়ে তার শরীরটাকে ফালাফালা করে দিয়ে চলে গেছে। এইটুকু পরিচয় দিয়ে লোকটা আর কথা বলতে পারল না, আবার নেতিয়ে পড়ল।

পাঁচ দিনের দিন গভীর রাতে আবার লোকটার জ্ঞান ফিরে এল। ক্ষীণ কণ্ঠে সে রূপসীকে কাছে ডাকল, তারপর ধীরে ধীরে বলল, সে একটা জাদুকর। অনেক দেশে অনেক লোকের সর্বনাশ করায়, সবাই তাকে মেরে ধরে দেশছাড়া করেছিল। তাই সে অবশেষে বনের মধ্যে বাসা করে। বড় কষ্টে লোকটা বলল, “লোকের যত ক্ষতি সারা জীবন করেছি, তারই শাস্তি আজ পাচ্ছি। কিন্তু মৃত্যুর আগে তোমার মতো লক্ষ্মী মেয়ের একটা উপকার করতে পারলে হয়তো আমার দোষ কাটবে। মুক্তি হবে।” বলে লোকটা তার থলির ভেতর থেকে একটা বীজ বার করল। তার কথামতো রূপসী ঘড়া-ভরতি জল এনে দিল। ঘড়ার জলে মন্ত্র পড়ে জাদুকর বলল, “যাও বোনটি, তোমার কুঁড়ের পাশেই বীজটা পুঁতে দিয়ে এসো। যতদিন ঘড়ায় জল থাকবে, একটু একটু করে ওই মাটিতে ঢালবে। আর দেখো, যা ঘটবার তা ঘটবে, খবরদার লোভ করবে না। যা পড়বে, যা ঝরবে, শুধু তাই নেবে। নাড়াবে না, ঝাঁকাবে না। আর, এ কথা যেন কাউকে বোলো না। বললে হবে ভীষণ সর্বনাশ।” এই পর্যন্ত বলে লোকটা চুপ করে গেল। রূপসী ঝুঁকে পড়ে দেখল, তার রুগ্‌ণ মুখে ভারী সুন্দর একটা তৃপ্তির হাসি। প্রাণটা বেরিয়ে গেছে।

ঘড়ার জল যেদিন ফুরোল, সেদিন রূপসী দেখল, মাটি থেকে ছোট্ট একটু অঙ্কুর বেরিয়েছে। রুপোলি রঙের সরু একটা কাঠির মতো, দুপাশে দুটো সবুজ পাতা। প্রতিদিন সেই গাছ চড়চড় করে বেড়ে যেতে লাগল। সাত দিনের-দিন ভোরবেলায় রূপসী দেখল, ওরেব্বাস, বিশাল এক লম্বা গাছ একপায়ে খাড়া দাড়িয়ে আছে। রুপোলি, মসৃণ গা। রোদ পড়ে চোখ ঝলসে যাচ্ছে। অনেক উঁচুতে দু’ধার থেকে সরু সরু ডাল বেরিয়েছে। তাতে হালকা-সবুজ ঝিরিঝিরি পাতা। রূপসী গাছের গোড়াতে দাঁড়াতেই ঝরঝর করে ঝরে পড়ল একমুঠো পাতা, খসে পড়ল টুকরো টুকরো বাকল। সেগুলো তুলে অবাক হয়ে গেল রূপসী। বাকল রুপোর, পাতা পান্নার।

ধীরে ধীরে ছোট্ট কুঁড়ের জায়গা নিল মস্ত এক প্রাসাদ। প্রাসাদ-ভরতি দাসদাসী, আসবাবপত্র, বাসনকোসন, শয্যা, মণিমুক্তো, খাবারদাবার। রূপসীর নিজের তো কোনও অভাব রইলই না। গ্রামের লোকেদেরও কোনও অভাব সে রাখল না। কার অসুখে চিকিৎসা হচ্ছে না, ছোট্‌ রূপসীর কাছে। কার বিদেশ যাওয়ার দরকার, টাকা দেবে রূপসী। কার বাড়ি বিয়ের উৎসব, রূপসীর প্রাসাদ থেকে ভারে ভারে জিনিস এসে পৌঁছয়। কিন্তু লোকেদের হাজার প্রশ্নের জবাবেও রূপসী কখনও কাউকে বলে না, তার এত ধনরত্ন কোথা থেকে হল। বলতে যে বারণ। বললে হবে মহা সর্বনাশ। তাই সে তার রুপোর বাকল, পান্নার পাতা টুকরো টুকরো করে দূর শহরে বেচে আসে, কেউ জানতেও পারে না।

এমনি করে দিন যাচ্ছিল। হঠাৎ একদিন কোথা থেকে এসে উদয় হল তার সেই নিরুদ্দিষ্ট ভাই। ছেঁড়াখোঁড়া জামাকাপড় পরা, ভিখিরির মতো চেহারা। কত দিন স্নান করেনি, খায়নি, তার নেই ঠিকানা। রূপসী তো তার একমাত্র দাদাকে নিয়ে কী করবে ভেবেই পায় না। দাসদাসীদের কাছে নির্দেশ যায়। কেউ গোলাপজলে স্নানের টব ভরতি করে, কেউ সুগন্ধি ছড়ায় দুধের মতো ধবল শয্যায়। ভাল ভাল খাবারের গন্ধে ম-ম করতে থাকে প্রাসাদ।

বেশ কিছু দিন আরামে আয়েসে যত্নে আদরে আস্তে আস্তে তার আসল চেহারা ফিরে পেল দাদা। তেল চুকচুক করছে গা, মাথার ঝাঁকড়া চুলে আলো পিছলাচ্ছে। দাড়িতে চেকনাই। বেশ নধর গোপাল-গোপাল শরীরটি। এইবারে তার টনক নড়ল। রোজ সে বোনকে ডেকে একবার করে জিজ্ঞেস করে, কোথা থেকে তার এত ধনদৌলত হল। বোন চুপ। বেশি পীড়াপীড়ি করলে বলে, ভগবান খুশি হয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এ-উত্তরে কি আর চালাক-চতুর ভাই খুশি হয়?

বছর ঘুরে গেল। বসন্তকাল। আকাশ জ্যোৎস্নায় ম-ম। ফুলের গন্ধে ভেসে যাচ্ছে চার দিক। রাত্তিরের খাওয়া-দাওয়ার পর ভাই ঠিক করলে, আজ বোনের পেট থেকে আসল কথাটা সে বের করবেই। বোনকে নিজের ঘরে ডেকে সে দরজা বন্ধ করে দিল। তারপর কঠিন গলায় বলল, “দ্যাখ রূপসী, ভালয় ভালয় কথার জবাব দে, নইলে তোরই একদিন কি আমারই একদিন! বল, কোথা থেকে গরিব অনাথ মেয়ে এত ধনদৌলত পেলি! তুই কি ডাকাতনি বা ডাইনি? একবারটি যদি গাঁয়ে রটিয়ে দিই তুই ডাইনি, তোর কী হবে বুঝতে পারছিস তো?”

রূপসী শিউরে উঠে বলল, “না দাদা, আমি ডাকাতনিও নই, ডাইনিও নই, বিশ্বাস করো। কিন্তু ও কথা আমায় জিজ্ঞেস কোরো না। বলতে বারণ আছে। বললে মহা সর্বনাশ হবে।”

“কী সর্বনাশ?”

“তা তো জানি না!”

হাসিতে ফেটে পড়ল ভাই, “কী সর্বনাশ তাই-ই জানিস না, ভয়েই মরে যাচ্ছিস এ-দিকে? এই না হলে আর মেয়ে-বুদ্ধি? ভাল চাস তো সব খুলে বল।”

রূপসী অনেক দিন ভাইকে ঠেকিয়ে রেখেছিল। আর পারল না। ভাইয়ের রুদ্রমূর্তি দেখে সে ভয়ে ভয়ে একটি একটি করে সমস্ত কথা খুলে বলল।

ভাই বলল, “কী বোকা! কী বোকা! ওই জাদুকরটার কথায় বিশ্বাস করে তুই নিজের পায়ে এমনি করে কুড়ুল মেরেছিস? দ্যাখ, এবার তোতে-আমাতে গোটা পৃথিবীর মালিক হয়ে যাব। এক ঝটকায় খসিয়ে নেব রুপোর বাকল। বাকল আবার গজাবে। এক ঝাঁকুনিতে ঝরিয়ে নেব পান্নার পাতা। ডালে ডালে পাতা আবার গজাবে। তুই কী বোকা! কী বোকা!”

রূপসী বলতে গেল, “না দাদা, তোমার পায়ে পড়ি, অমন কোরো না, ভয়ানক সর্বনাশ হবে।” কিন্তু তার কণ্ঠ বড় ক্ষীণ শোনাল। দাদার অট্টহাসির তলায় বুঝি চাপাই পড়ে গেল। তারপর দাদা যখন বলল, “চল রূপসী, দু’জনে মিলে গাছের পাতা আজই সমস্ত খসিয়ে ফেলি..”তখন ঘরের মধ্যে তাকিয়ে সে আর বোনকে দেখতে পেল না। সেখানে যেন খানিকটা জমাট জ্যোৎস্না। সেই জ্যোৎস্নার মেঘ আস্তে আস্তে হাওয়ায় ভেসে জানলা দিয়ে বেরিয়ে গেল।

ভাই যতই যাই করুক, বোনকে ভালবাসত খুব। সে ভাবল, বোন রাগ করে লুকিয়ে পড়েছে বুঝি। জানলা দিয়ে লাফ মেরে সে বাইরে বেরিয়ে পড়ল। রুপোর গাছ তখন তার রাশি রাশি পান্নার পাতা মেলে অপূর্ব মহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। যেন স্বর্গের দেবতা গাছ হয়ে মাটিতে নেমে এসেছেন। ভাই লোভে পাগল হয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে তুলতে লাগল বাকল, মুঠো মুঠো করে ছিঁড়তে লাগল পাতা। কোঁচড় ভরে নীচে নেমে এসে দেখল, হায়, কতকগুলো সাধারণ সবুজ পাতা, সাধারণ গাছের বাকল তার কোঁচড়ে পড়ে আছে। রাগে অস্থির হয়ে সে মাথার চুল ছিঁড়তে লাগল। গাছটাকে প্রাণপণে নাড়াতে লাগল রেগেমেগে। আঘাত করতে লাগল তার কঠিন কাণ্ডে। আর পাগলের মতো বোনকে ডাকতে লাগল, “বোনটি, তুই কই? তুই কই?”

কিন্তু তখন আর উপায় নেই, যা হবার তা হয়েছে। ধীরে ধীরে ভাইয়ের স্বর বদলে যেতে লাগল, শরীর বদলে যেতে লাগল, “তুই কই? তুই কই?” ডাক বদলে গিয়ে শোনাতে লাগল: ‘তু কু? তু কু?’ ভরা জ্যোৎস্নায় কালো একটা ছোট্ট পাখি হয়ে গাছের মাথায় মাথায় করুণ সুরে ডেকে ফিরতে লাগল রূপসীর ভাই।

সেই থেকে এই পাখি যেখানেই মুখে করে বীজ ফেলে, জন্ম নিতে থাকে রুপোর গাছ, তাতে ঝিলমিল করে পান্নার পাতা। কিন্তু এ শুধু মনে হওয়া। গাছের বাকল রুপোলি হলেও তো তা সত্যি রুপো নয়! পাতাও নয় সত্যি পান্নার! বৃক্ষবিদরা বলেন, এ-গাছের নাম ইউক্যালিপটাস স্যালিসিফোলিয়া। গুঁড়িতে ঘুণ ধরে না, তাই খুব দামি। পাতা-ভরা এর তৈল-গ্রন্থি। কত রকমের কষ্টকর অসুখের ওষুধ হয় তাতে। গাছের পাতা হাতে চটকালে মন-কেমন-করা সুবাস ছড়ায়। বুঝি আবছা ভাবে মনে করিয়ে দেয় সেই সব ইন্দ্রজালময় আশ্চর্য দিনগুলির কথা, পৃথিবী যখন তরুণী ছিল।

শুধু কোনও কোনও বাসন্তী-পূর্ণিমার রাতে, নদীতে যখন ভরা কোটালের বান, আলোয় আলোয় পৃথিবী ভেসে যায়, কেউ থাকে না, কেউ ডাকে না চরাচরে, তখন অলৌকিক মধ্যযামে রুপোলি গাছ আবার হয়ে যায় সত্যি রুপোর গাছ। তাতে দোলে সত্যি পান্নার পাতা। তখন কান পাতলে শুনতে পাবে, একটি ছোট্ট কালো পাখির দেহে করুণ সুরে ক্ষমাপ্রার্থনা করে ডেকে ডেকে ফিরছে একটি একদা-লোভী, একদা-অধীর, কিন্তু এখন বড় ক্লান্ত, বড় অনুতপ্ত মানুষের অভিশপ্ত আত্মা। আর সে-ডাকে। সাড়া দেবার আকুল চেষ্টায় জ্যোৎস্না বার বার জমাট বাঁধবার চেষ্টা করছে, আর ভেঙে যাচ্ছে।

১৯ আগস্ট ১৯৮৭

সকল অধ্যায়

১. ভারত যুদ্ধে পিঁপড়ে – প্রেমেন্দ্র মিত্র
২. বিড়ালের চোখ – নীহাররঞ্জন গুপ্ত
৩. শরচ্চন্দ্রের সন্ধিভেদ – শিবরাম চক্রবর্তী
৪. ঝুনুমাসির বিড়াল – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৫. বিধু দারোগা – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৬. সাধু কালাচাঁদের পালাকীর্তন – শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়
৭. ‘তেনা-রা’ – প্রেমেন্দ্র মিত্র
৮. লালটেম – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৯. অশরীরী – লীলা মজুমদার
১০. রাজপুত্তুরের অসুখ – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১১. ভূতেরা বড় মিথ্যুক – প্রেমেন্দ্র মিত্র
১২. রুকু আর সুকু – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
১৩. রাত তখন এগারোটা – বিমল মিত্র
১৪. ম্যাজিশিয়ান – বিমল কর
১৫. ঘণ্টাকর্ণের কান গেল – মনোজ বসু
১৬. খুনি – সমরেশ মজুমদার
১৭. বনকুঠির রহস্য – হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়
১৮. একদম রূপকথা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১৯. তারিণীখুড়ো ও ডুমনিগড়ের মানুষখেকো – সত্যজিৎ রায়
২০. অম্বর সেন অন্তর্ধান রহস্য – সত্যজিৎ রায়
২১. দেবতার ভর – সুকুমার সেন
২২. মজারুমামা – আশাপূর্ণা দেবী
২৩. দুঃখহরা বড়ির শিশি – লীলা মজুমদার
২৪. গঙ্গারামের কপাল – সত্যজিৎ রায়
২৫. গোরক্ষনাথবাবুর নোটবুক – সমরেশ বসু
২৬. ভুনিকাকার চৌরশতম্‌ – বিমল কর
২৭. অনুকূল – সত্যজিৎ রায়
২৮. ক্যাপ্টেন – নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
২৯. তুরুপের তাস চুরি – প্রেমেন্দ্র মিত্র
৩০. নিখোঁজ নিরুদ্দেশ হতে গেলে – আশাপূর্ণা দেবী
৩১. রুপোর গাছ – বাণী বসু
৩২. বনঝাউয়ার রহস্য – ক্ষিতীন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য
৩৩. জ্বরের ঘোরে শোনা – সমরেশ বসু
৩৪. একটি লাল লঙ্কা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৩৫. টিকটিকি অতীন্দ্রিয় শক্তি ও বেদান্ত বর্ধন -আশাপূর্ণা দেবী
৩৬. নদুস্কোপ – রূপক সাহা
৩৭. আতাপুরের দৈত্য – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৩৮. নিখোঁজ চারু – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
৩৯. গাবু – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৪০. কপালের নাম গোপাল – আশাপূর্ণা দেবী
৪১. শিমুলতলার মাধবী লজ – ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়
৪২. কানকাটা বাঘ – শৈলেন ঘোষ
৪৩. হিংসুটে – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
৪৪. হরিণ-শিকারির বাড়ি – হর্ষ দত্ত
৪৫. অর্জুন হতভম্ব – সমরেশ মজুমদার
৪৬. কেউ কি এসেছিলেন – বিমল কর
৪৭. হরিমতির বাগান – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৪৮. মজাদার এক ফুটবল ম্যাচ আর দানাপুরি – বিমল কর
৪৯. চারুহাসিনীর দেওয়াল-সিন্দুক – সুচিত্রা ভট্টাচার্য
৫০. বন্ধু – তিলোত্তমা মজুমদার

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন