ভুনিকাকার চৌরশতম্‌ – বিমল কর

পৌলোমী সেনগুপ্ত

আজকালকার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও ভীষণ চালাক-চতুর হয়ে উঠেছে। চট করে তাদের কিছু বিশ্বাস করানো যায় না। আমি যখন বললুম, আমাদের লয়াবাদে ভুনিকাকার একটা চোর-ধরা খাতা ছিল, খাতার নাম ছিল ‘চৌরশতম্‌’—তখন আমার নাতনি বুলবুলি ধমক মেরে আমাকে থামিয়ে দিল। বলল, বাজে কথা বোলো না তো, চোর ধরার খাতা! তোমাদের লয়াবাদের গল্প অনেক শুনেছি। ভুনিকাকা না আর কিছু! যত্ত সব বানিয়ে বানিয়ে গল্প…!!

নাতনির ধমক খেয়ে আমি চুপ। কেমন করে তাকে বোঝাই, ভুনিকাকা আমার বানানো মানুষ নয়; ভগবান তাকে বানিয়েছিলেন। বানানোর পর ব্রহ্মা যখন তাকে মর্ত্যে পাঠান তখন বুঝতে পারেননি, ঠিকানা ভুল হয়ে গেছে। ধোপার বাড়িতে কাপড় কাচতে দিলে মাঝে মাঝে অন্যের কাপড়-জামা যেমন এ বাড়িতে চলে আসে, দাগ ভুল হয়ে; কিংবা নম্বর ভুল হয়ে লন্ড্রি থেকে যেমন অন্যের ধুতি-পাঞ্জাবি আমার কাছে চলে এসেছে। কখনও-সখনও, এটাও সেই রকম ভুল। ভুনিকাকার যাবার কথা ছিল লন্ডনে ভুল করে লয়াবাদে এসে পড়েছেন। তাতে অবশ্য কাকার দুঃখ ছিল না। বলতেন, এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি! লয়াবাদের লোকরা অবশ্য বলত, ঠিকানা ভুল নয়, ম্যানুফ্যাকচারিং ডিফেক্ট।

আমরা কি অত বুঝতাম তখন! বারো-তেরো বছরের ছেলেপুলে সব, ভুনিকাকা যা বলত তাই বিশ্বাস করতাম। খাতিরও করতাম সেই রকম। কেন করব না? স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড থেকে ভুনিকাকার নামে চিঠি আসত। কোথায় বিলেত, আর কোথায় লয়াবাদ।

আমাকে চুপচাপ দেখে বুলবুলি বলল, “কেঁদেই ফেললে যে! ঠিক আছে, তোমাদের লয়াবাদের ভুনিকাকার গল্প বলো। এই কিন্তু লাস্ট। আর কোনও দিন বলবে না লয়াবাদের গল্প। শুনে শুনে কান পচে গেছে।” বলে নিতান্তই যেন আমাকে দয়া দেখাতে একটু গা ঘেঁষে বসল।

খানিকটা চুপ করে থেকে আমি বললাম, “তোরা যেসব লোকজন দেখিস, এরা লোকই নয়; লোক ছিল ভুনিকাকা।…গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না, বুঝলি! কিং কিং-এর প্রথম ডিজাইন যে ভুনিকাকার মাথায় এসেছিল এটা কেউ বিশ্বাস করবে! কপাল মন্দ না হলে কাকা তখনই ফেমাস হয়ে যেত।”

“বেশ তো বাবা, কিং কং হংকং-তোমাদের ভুনিকাকার মাথায় এসেছিল। এখন তার গল্প বলো। তার কটা হাত ছিল, পা ছিল, নাক ছিল বলে যাও…।”

“ইয়ার্কি মারিস না। ভুনিকাকার হাত-পা দুটো করেই ছিল। মাথাও ছিল একটা। কিন্তু সেই মাথার মধ্যে ছিল ক্যালকুলেটর। তখনকার দিনেই।”

“ব্যাটারি দেওয়া?” বুলবুলি ঠাট্টা করে বলল। ক্যালকুলেটর সে দেখেছে। জানে। কাজেই ঠাট্টা করল। আজকালকার ছেলেমেয়েদের সঙ্গে এঁটে ওঠা মুশকিল। এত পাকামি করে।

“এই, তুই গল্প শুনবি তো চুপ করে বসে শোন, বকবক করবি না।”

“বলোনা গল্প! বলছ কোথায়?”

আমি বললাম, “শোন তা হলে। ভুনিকাকার আসল নাম ছিল ভানু মুখুজ্যে। ভানু থেকে ভুনি হয়েছিল। ভুনিকাকার চেহারা ছিল দেখার মতন। ইয়া লম্বা, অ্যায়সা চওড়া। মুখ ছিল গোল। মাথাখানা হাঁড়ির মতন। চোখ দুটো বড় বড়। মোচ ছিল, মদ্দা মোচ। কাকা লয়াবাদে এসেছিল বাইশ-চব্বিশ বছর বয়েসে। চাকরি নিয়ে। এসেই একটা চোর ধরেছিল, পাকা চোর, সে নাকি এমন বড় দরের চোর ছিল যে, পুলিশ তাকে মেডেল দিয়েছিল।”

“চোরকে আবার কেউ মেডেল দেয় নাকি?” নাতনি আমাকে এক ধাক্কা মারল।

“দেয়। বড়-বড়দের দেয়। বড়দের সম্মানই আলাদা। কাগজে নাম ছাপে, ছবি ছাপে।…তবে এ মেডেল অন্যরকম। গলায় ঝুলিয়ে ঘুরতে হত না। হাতে পরে থাকতে হত। তাবিজের মতন। না পরলেই কোতোয়ালিতে ধরে নিয়ে যেত।”

“তোমাদের ভুনিকাকা কি পুলিশে চাকরি করত?”

“একেবারেই নয়। ভুনিকাকা ছিল রেলের গার্ডসাহেব। মালগাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াত।”

“ও! তারপর?”

গল্পটা বলতে বসে বারবার খেই হারিয়ে যাচ্ছিল বলে এবার একটু রাগ করে বললুম, “নো টকিং। চুপ করে শোন। না হলে আমি উঠে যাব।”

হেসে হেসে নাতনি আমার গলা জড়িয়ে বলল, “বলো, বলো।”

গল্পটা আবার শুরু করলাম।

“ভুনিকাকা মানুষটা ছিল সব দিক দিয়ে দেখার মতন। চেহারার কথা তো আগেই বলেছি, বিশাল। দৈত্য যেন। খাওয়াদাওয়াও ছিল সেই রকম। এক হাঁড়ি ভাত, দু’বাটি অড়হর ডাল, ঠিক পঁচিশখানা লাল গমের রুটি, আধ পো ভঁইসা ঘি, সের-দেড়েক মাংস, এক সের রাবড়ি—মানে খেতে ইচ্ছে করলে পালোয়ানের খাওয়া খেতে পারত কাকা। নেশার মধ্যে ছিল নস্যি, আর ছিপ বগলে করে মাছ ধরতে যাওয়া। অমন চেহারা, ওই খাওয়াদাওয়া হলে কী হবে, ভুনিকাকার মন ছিল নরম, একেবারে সরল। শিশুর মতন। ভুনিকাকা বিয়ে করেনি। বাড়িতে ছিল দিদি। আমরা বলতাম, লক্ষ্মীপিসি।

“ভুনিকাকা লয়াবাদে এসেই একটা পাকা চোর ধরেছিল, তখনকার দিনের সবচেয়ে বড় চোর। অবশ্য তখন আমরা জন্মাইনি। আমরা যখন কাঁথায় শুয়ে তখনই নাকি ভুনিকাকার পঞ্চাশটা চোর ধরা হয়ে গিয়েছিল। আসলে প্রথম চোরটা ধরার পর ভুনিকাকার দারুণ নাম হয়ে গিয়েছিল। সেই খ্যাতির চোটে চুরিচামারি হলেই লোকে এসে ভুনিকাকাকে ধরত। তা আমাদের যখন দশ বারো বছর বয়েস, তখন কাকা আশি পেরিয়ে গেছে। আশি মানে বয়েসে আশি নয়, চোর ধরার ব্যাপারে আশি ক্রস করেছে।”

বুলবুলি তার চোখের গোল গোল চশমার ফাঁক দিয়ে চোখ পাকিয়ে বলল, “বছরে ক’টা করে চোর ধরত তোমাদের ভুনিকাকা?”

এ একেবারে অঙ্কের ব্যাপার। অঙ্ক আমার মাথায় আসে না। আন্দাজে বললাম, “তা ধর, বছরে তিনটে-চারটে। কম করে দুটো।”

নাতনি মনে মনে অঙ্ক কষতে লাগল।

আমি বললাম, “তোকে হিসেব করতে হবে না। আমি কি গুনে রেখেছি কটা করে চোর ধরত ভুনিকাকা! আশি পেরিয়ে গিয়েছিল এই মাত্র বলতে পারি।”

“তুমি একেবারেই ম্যাথ জানো না। বছরে দুটো করে চোর ধরলে আশিটা চোর ধরতে চল্লিশ বছর লেগে যাবে। চারটে করে ধরলে কুড়ি বছর। তোমাদের জন্মের আগেই পঞ্চাশটা চোর ধরা হয়ে গিয়েছিল বলছ। তা হলে পরের দশবারো বছরে আড়াই না তিন করে ধরেছে…?”

“প্লিজ! তুই বড় ফ্যাচাং করিস। আমি কি খাতা-কলম নিয়ে গল্প শোনাতে বসেছি। না ভাল লাগে উঠে যা…।”

বুলবুলি আমার ঘাড়ের কাছে সুড়সুড়ি দিয়ে হেসে হেসে বলল, “না না, বলো তুমি। ভুনিকাকার সেঞ্চুরি করতে আর ক’বছর লাগল গো দাদুমণি?”

কী পাকা মেয়ে! কেমন ঠোক্করটা মারল আমায়। বললাম, “এ কি তোদের গাভাসকর, ফটাফট সেঞ্চুরি করবে। চোর ধরা আর ক্রিকেট খেলা এক জিনিস নয় গো নাতনি!”

“সেঞ্চুরি হয়নি?”

“সেটাই তো গল্প! শুনছিস কোথায় তুই! ভুনিকাকা নব্বই পেরোল টপাটপ। বছর দুই আমাদের লয়াবাদের আশেপাশে ভীষণ চুরি বেড়ে গিয়েছিল। মানে, ভুনিকাকার জন্যে লয়াবাদে চোর-ছ্যাঁচড় উৎপাত করতে না পেরে আশেপাশে জড়ো হচ্ছিল। যত চুরি-চামারি সেখানে। তারা এসে কোতোয়ালিতে নালিশ করল। বলল, এটা হচ্ছে কী? এ-দিককার চোর-ছ্যাঁচোড়রা ওদিকে চলে যাচ্ছে। তাদের অন্ন তোমরা উঠিয়ে দিচ্ছ, আর আমরা মরছি। হয় ভুনিকাকাকে লোন দাও, আমাদের ওদিককার চোর ধরে দিক; না হয় তোমরা তোমাদের চোর রিটার্ন নাও।”

বুলবুলি হেসে ফেলল। বলল, “তোমাদের ভুনিকাকা অন্যদের জায়গায় চোর ধরতে গেল?”

“ঠিক বলেছিস। উপায় কী না গিয়ে। কোতোয়ালির দারোগা এসে বলল, এ ভুনিবাবু, কুছু চোর ইধারে লিয়ে আসুন। সব উধারে চলে গেলে হামলোগকো জিলাবি-উলাবি কোন খিলাবে?”

“চোররা পুলিশকে জিলাবি খাওয়ায়?”

“ওখানে খাওয়াত। জিলিপি, গজা, বালুসাই, পান-জরদা…আরও কত কী! চোর না-খাওয়ালে যাদের বাড়িতে চুরি হত তারা সেপাইদের খাওয়াত। বাড়িতে এলে অতিথিকে খাওয়াতে হবে না?”

“ও! তা ভুনিকাকা কী করল?”

“করবে আর কী! বেপাড়ায়, মানে অন্য জায়গায় গিয়ে চোর ধরতে লাগল। এক বছরেই আট-দশটা ধরে ফেলল। নব্বই পেরিয়ে গেল।”

“ছক্কা মেরে মেরে নব্বই পেরোল।”

“তা বলতে পারিস।”

“তারপর?”

“তার পরই হল মুশকিল। বিরানব্বই না চুরানব্বই পেরোবার পর আর চোর পাওয়া যায় না। চোরের আকাল পড়ে গেল। আমাদের লয়াবাদ নি-চোর হয়ে গেল। বড় বড় চোরদের কথা বাদ দে, ছিঁচকে চোর, ঘটিবাটি চোর, কাপড়-চোর, আলুপটল-চোর, কোনও চোরই আর পাওয়া যায় না। কী বিশ্রী অবস্থা! লোকে দরজা-জানলা হাট করে খুলে রাখে, কলতলায় ঘটিবাটি ফেলে রাখে, কাপড়চোপড় সময়মতন তুলে নেয় না। জানে কোনও জিনিসটি চুরি যাবে না, যেমনটি যে-জায়গায় আছে তেমনি পাওয়া যাবে।”

“তোমাদের ভুনিকাকার খুব মনখারাপ হচ্ছিল নাকি?”

‘ভীষণ। ভুনিকাকার খাওয়া কমতে লাগল। মুখের হাসি গেল, ছিপ বগলে করে মাছ ধরতে যাওয়া বন্ধ হল, শুকিয়ে যেতে লাগল কাকা!”

“কেন?”

“সেটাই তো কথা। ভুনিকাকা চৌরশতম্‌ বলে যে-খাতাটা লিখছিল, সেটা বই করে বের করার ইচ্ছে। চুরানব্বইয়ে এসে আটকে যাচ্ছে। বাকি ছ’টা পায় কোথায়?”

“সত্যি তো! কোথায় পাবে?”

“একটা বছর হাত গুটিয়ে বসে থাকার পর কাকা একটা কুকুর-চোর ধরল। মল্লিক ডাক্তারের বাড়ি থেকে একটা লোক মল্লিকদের নেড়িফক্সের ছানা নিয়ে পালাচ্ছিল। কাকা হাতেনাতে ধরে ফেলল।”

“নাইন্টি ফাইভ?”

“হ্যাঁ। পঁচানব্বই। আর পাঁচটা।”

“ইশ—! কোনও রকমে একটা ছক্কা—!”

“কোত্থেকে মারবে ভুনিকাকা ছক্কা? লয়াবাদ যে ফক্কা হয়ে রয়েছে। চোর নেই। কাকার চোখে জল পড়তে লাগল। বড় বড় নিশ্বাস ফেলত।”

“বেচারি?”

“মাস চার-পাঁচ অপেক্ষা করে ভুনিকাকা বলল, “ঠিক আছে, ব্যবস্থা হচ্ছে। ব্যবস্থাটা কী বলতে পারিস?”

“কেমন করে বলব?”

“তা হলে শোন ব্যাপারটা। ভুনিকাকার দেহটা যেমনই হোক মনটা ছিল নরম, মায়ায় ভরা। কারও কষ্ট সহ্য করতে পারত না। কাকা যে চোর ধরত তাদের কী করত জানিস?”

“থানায় ধরিয়ে দিত?”

“না না। গোড়ায় দু’-একবার দিয়েছিল। তারপর চোরদের কান্নাকাটি দেখে আর থানায় দিত না।”

“কী করত?”

“বলেছি না, ভুনিকাকা মালগাড়ির গার্ডসাহেব ছিল। কাকা করত কী, ধরাপড়া চোরগুলোকে নিজের গাড়িতে, মানে ব্রেকভ্যানে বসিয়ে নিয়ে তিরিশ পঞ্চাশ ষাট একশো মাইল দূরে নিয়ে গিয়ে কোথাও নামিয়ে দিত। বলত, ‘যা, আর চুরি করবি না, খেটে খেগে যা।’ এক-আধটা টাকাও তাদের হাতে দিয়ে দিত ভুনিকাকা।”

“সেই প্রথম থেকে?”

“হ্যাঁ রে, দু-চারটে বাদ গিয়েছে। গোড়ার দিকে যাদের নামিয়ে দিয়ে এসেছিল, তারা তো এত দিনে বুড়োসুড়ো হয়ে গিয়েছে। তাদের আর পাত্তা পাবে কোথায়! চোররা স্বভাব পালটেছে, না এখনও ছেলেপুলেকে চুরিবিদ্যে শেখাচ্ছে কে জানে!”

“ভুনিকাকা কী করল, তাই বলো?”

“কাকা বলল, “দাঁড়া, মাথায় বুদ্ধি এসেছে। দু’-পাঁচ বছর আগে যাদের আদ্রা, বাঁকড়ো, চক্রধরপুরে ছেড়ে এসেছি, তাদের খোঁজ করে ক’টাকে ধরে আনব। পাঁচটা হলেই আমার হয়ে যাবে। বই শেষ।”

বুলবুলি গালে হাত তুলে অদ্ভুত এক শব্দ করল।

আমি বললাম, “তারপর কী হল শোন। ভুনিকাকা মাসখানেক পর থেকে একটা-দুটো করে পুরনো চোর ধরে আনতে লাগল লয়াবাদে। এনেই আবার ধরতে লাগল। নিরানব্বই হয়ে গেল। চৌরশতম্‌ বই রেডি। কলকাতার ছাপাখানাকে টাকাপয়সা দিয়ে ছাপার ব্যাপার সব ঠিক করে ফেলল ভুনিকাকা। আর মাত্র একটা। ওনলি ওয়ান। তা শেষ চোরটাকে আনবার সময় ভুনিকাকাতে আর চোরেতে একটা শর্ত হয়ে গেল। চোর বলল, বাবু আমি ধরা পড়তে রাজি। কিন্তু ধরা পড়ার পর আপনি আমাকে আপনার মালগাড়ি করে পাচার করতে পারবেন না। আমাকে থানায় জমা করে দিতে হবে। ভুনিকাকা রাজি হয়ে গেল। বইটা শেষ করাই আসল। একটার জন্যে আটকে থাকবে নাকি?”

“লাস্ট চোর আমাদের লয়াবাদে এল?”

“এল। ধরা পড়ল। থানায় জমা করা হল তাকে। ভুনিকাকার চৌরশতম্‌ বইও ছাপা হয়ে বেরোল! কিন্তু তোকে কী বলব রে বুলবুলি, দেখতে দেখতে লয়াবাদে চোরে চোরে ছেয়ে গেল। পাঁচ-সাত বছরের মধ্যে কত চোর হয়ে গেল!”

“তোমাদের ভুনিকাকা কী করল?”

“ভুনিকাকা আর চোর ধরত না। বলত, কেষ্টর জীব। থাকুক। থানা পুলিশ যা করার করুক। আমি আর চোর ধরব না। বুড়ো হয়ে গিয়েছি। রিটায়ার করেছি। লোকের মনে আর কষ্ট দেব না। ভুনিকাকার বইটা আর পাওয়া যায় না। ফুরিয়ে গেছে। নয়তো হরেক রকম চোরের গল্প শোনাতে পারতাম তোকে।”

২০ আগস্ট ১৯৮৬

সকল অধ্যায়

১. ভারত যুদ্ধে পিঁপড়ে – প্রেমেন্দ্র মিত্র
২. বিড়ালের চোখ – নীহাররঞ্জন গুপ্ত
৩. শরচ্চন্দ্রের সন্ধিভেদ – শিবরাম চক্রবর্তী
৪. ঝুনুমাসির বিড়াল – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৫. বিধু দারোগা – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৬. সাধু কালাচাঁদের পালাকীর্তন – শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়
৭. ‘তেনা-রা’ – প্রেমেন্দ্র মিত্র
৮. লালটেম – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৯. অশরীরী – লীলা মজুমদার
১০. রাজপুত্তুরের অসুখ – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১১. ভূতেরা বড় মিথ্যুক – প্রেমেন্দ্র মিত্র
১২. রুকু আর সুকু – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
১৩. রাত তখন এগারোটা – বিমল মিত্র
১৪. ম্যাজিশিয়ান – বিমল কর
১৫. ঘণ্টাকর্ণের কান গেল – মনোজ বসু
১৬. খুনি – সমরেশ মজুমদার
১৭. বনকুঠির রহস্য – হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়
১৮. একদম রূপকথা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১৯. তারিণীখুড়ো ও ডুমনিগড়ের মানুষখেকো – সত্যজিৎ রায়
২০. অম্বর সেন অন্তর্ধান রহস্য – সত্যজিৎ রায়
২১. দেবতার ভর – সুকুমার সেন
২২. মজারুমামা – আশাপূর্ণা দেবী
২৩. দুঃখহরা বড়ির শিশি – লীলা মজুমদার
২৪. গঙ্গারামের কপাল – সত্যজিৎ রায়
২৫. গোরক্ষনাথবাবুর নোটবুক – সমরেশ বসু
২৬. ভুনিকাকার চৌরশতম্‌ – বিমল কর
২৭. অনুকূল – সত্যজিৎ রায়
২৮. ক্যাপ্টেন – নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
২৯. তুরুপের তাস চুরি – প্রেমেন্দ্র মিত্র
৩০. নিখোঁজ নিরুদ্দেশ হতে গেলে – আশাপূর্ণা দেবী
৩১. রুপোর গাছ – বাণী বসু
৩২. বনঝাউয়ার রহস্য – ক্ষিতীন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য
৩৩. জ্বরের ঘোরে শোনা – সমরেশ বসু
৩৪. একটি লাল লঙ্কা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৩৫. টিকটিকি অতীন্দ্রিয় শক্তি ও বেদান্ত বর্ধন -আশাপূর্ণা দেবী
৩৬. নদুস্কোপ – রূপক সাহা
৩৭. আতাপুরের দৈত্য – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৩৮. নিখোঁজ চারু – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
৩৯. গাবু – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৪০. কপালের নাম গোপাল – আশাপূর্ণা দেবী
৪১. শিমুলতলার মাধবী লজ – ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়
৪২. কানকাটা বাঘ – শৈলেন ঘোষ
৪৩. হিংসুটে – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়
৪৪. হরিণ-শিকারির বাড়ি – হর্ষ দত্ত
৪৫. অর্জুন হতভম্ব – সমরেশ মজুমদার
৪৬. কেউ কি এসেছিলেন – বিমল কর
৪৭. হরিমতির বাগান – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৪৮. মজাদার এক ফুটবল ম্যাচ আর দানাপুরি – বিমল কর
৪৯. চারুহাসিনীর দেওয়াল-সিন্দুক – সুচিত্রা ভট্টাচার্য
৫০. বন্ধু – তিলোত্তমা মজুমদার

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন