কুমির – নরেন্দ্রনাথ মিত্র

পৌলোমী সেনগুপ্ত

এ গল্প আমরা শুনেছিলাম জেঠিমার কাছে। জেঠিমা দুটি ছেলেমেয়ে নিয়ে অল্প বয়সে বিধবা হয়েছিলেন। তেমন সুন্দরী না হলেও বেশ বুদ্ধিমতী ছিলেন। আর খুব সাহস ছিল মনে। কখনও দিদি-ভাই কখনও জেঠিমা আমাদের কাছে সন্ধ্যাবেলায় গল্প করতেন। মানুষের গল্পের চেয়ে ভুত প্রেত দৈত্য দানা রাক্ষস খোক্ষসের গল্পই আমাদের বেশি ভাল লাগত। বাঁশঝোপে, শ্যাওড়াতলা, আশেপাশের জংলা ভিটেগুলিতে ছিল তাদের বসবাসের জায়গা। তাদের আমরা দেখতাম না কিন্তু অনুভব করতাম।

যতদূর মনে পড়ছে তখন বর্ষাকাল। চারদিকে জল থই থই করছে। আমাদের বাড়িখানি সেই জলের মধ্যে দ্বীপের মতো জেগে আছে। সন্ধ্যা হতে না হতেই পাড়া স্তব্ধ। আর রাতটা কৃষ্ণপক্ষের হলে তো কথাই নেই। জলে ডোবা গ্রামখানি আঁধারে আর একবার ডুব দিত।

একটু দূরে ছোট একটা হ্যারিকেন জ্বলত। মাঝে মাঝে তার চিমনি ফেটে যেত। সঙ্গে সঙ্গেই যে বদলানো হত তা নয়। সেই ফাটা চিমনিই আরও কিছুদিন ধরে আলো দিয়ে যেত। চুন আর কাগজ দিয়ে সেই চিমনি জুড়ে দেওয়া হত। আবার কখনও কখনও দেখতাম সেই চিমনিতে কালি মাখা। ভূতের গল্প শুনতে শুনতে জেঠিমার এই হ্যারিকেনটিও যেন ভুতুড়ে হয়ে উঠেছিল।

জেঠিমা সেদিন বললেন, আজ তোমাদের নদেরচাঁদ কুমিরের গল্প বলব। খবরদার ঘুমুতে পারবে না। আজ হাটবার। ভাঙার হাট থেকে মাছ আসবে। সেই মাছ কোটা হবে, রান্না হবে, তবে তোমাদের খেতে দেব।

দক্ষিণ-পাড়ায় আমার বাপের বাড়ির পাশের বাড়িই ছিল নদেরচাঁদদের বাড়ি। লম্বা ছিপছিপে ছিল নদেরচাঁদ। রং মিশমিশে কালো। কিন্তু ভারী সুন্দর চেহারা। টানা নাক চোখ। এক মাথা ঝাঁকড়া বাবরি চুল। সাতপুরুষ ধরে ওরা চাষবাস করে খায়। কিন্তু ওর চাষবাসে মন ছিল না। কাজে কাজেই ঘর সংসারের কোনও কাজই ওর ভাল লাগত না। ঘুরে বেড়ানোই ছিল ওর নেশা। যেখানে যাত্রা হত, কবিগান হত, ও গিয়ে জুটত। পুজোর সময় যখন দুর্গা প্রতিমা কি কালী প্রতিমা গড়া হত ও গিয়ে কুমোরদের সঙ্গে জোগান দিত। ও কারও কাছে পয়সা চাইত না। কেউ ওকে সেধে পয়সা দিতেও যেত না। বেগার খেটেই ও আনন্দ পেত। ছেলেবেলা থেকেই ও বাঁশি বাজাতে পারত। তল্লাবাঁশ কেটে ও সুন্দর সুন্দর বাঁশি বানাত। অনেক রাত অবধি ওর ঘর থেকে সেই বাঁশির সুর ভেসে আসত। আমরা শুয়ে শুয়ে শুনতাম। শুনেছি ওর বাঁশির শব্দে আশেপাশের সাপগুলি স্থির হয়ে দাঁড়াত। মুগ্ধ হয়ে শুনত।

কিন্তু সেই বাঁশির শব্দে সাপ মুগ্ধ হলে কী হবে ওর বাপ মুগ্ধ হল না। ছেলের বাঁশি যত শোনে বদন মণ্ডল তত খেপে যায়। হারামজাদা, তুই কি ঢুলির ঘরে জন্মেছিস যে বাঁশি বাজাবি, কাঁসি বাজাবি? ওতে কি পেট ভরবে? নদেরচাঁদ বাপের মুখে মুখে কী যেন জবাব দিয়েছিল। বদন রেগে গিয়ে বাঁশি-টাসি ভেঙে ছুড়ে ফেলে দিল, যে পাচনবাড়ি দিয়ে সে হালের গোরু তাড়ায় তাই বদন ছেলের পিঠের ওপর ভাঙল। নদেরচাঁদ একদিন রাতের অন্ধকারে মনের দুঃখে দেশ ছেড়ে চলে গেল। ওর ঘরে মা ছিল না। অল্প বয়সেই মা মারা গিয়েছিল। ছেলে ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ওর বাবা ঠিক মার মতনই ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল।

অনেকদিন পর্যন্ত নদেরচাঁদের কোনও খোঁজ মিলল না। সে নাকি পাড়াপড়শিকে বলে গিয়েছিল মানুষ না হয়ে আর দেশে ফিরবে না।

তারপর একদিন শুনলাম নদেরচাঁদ কামরূপ-কামাখ্যায় চলে গিয়েছে। ওমা, সেখানে গেলে তো মানুষ ভেড়া হয় শুনেছি। আমার এক কাকা গিয়েছিলেন কামাখ্যায়। আর ফেরেননি।

বাঞ্ছা বলল, ভেড়া হয়ে গিয়েছিলেন?

জেঠিমা হেসে বললেন, গুরুজন মানুষ। সে কথা আর কী করে বলি?

আমি বললাম, যে-ভেড়ার গায়ের লোম থেকে পশম হয় সেই ভেড়া?

জেঠিমা হেসে বললেন, নারে বাবা না। মানুষ যখন সুন্দরী বউ বিয়ে করে সেই বউয়ের কথায় ওঠে বসে তখন তাকে ভেড়া বলে। তোমরাও একদিন তাই হবে।

আমি বললাম, দূর। আমি তা হলে সুন্দরী বউ বিয়েই করব না।

বাঞ্ছা বলল, না জেঠিমা। আমার জন্যে সুন্দরী বউই এনো। তারপর যা হয় হবে।

বাঞ্ছার চোখে ঘুম আসছিল। জেঠিমা তাকে ঠেলা দিয়ে বললেন, এই ঘুমিয়ো না। নদেরচাঁদ কী হয়, শোনো।

নদেরচাঁদ বছর পাঁচেক বাদে দেশে ফিরে এল। তখন তার বাপ মারা গেছে। ঘরখানা ঝড়ে পড়ে গেছে। ভিটেটা জঙ্গলে ভর্তি। নদেরচাঁদ কামাখ্যায় গিয়ে ভেড়া বনে যায়নি। অনেক তুকতাক মন্তর তন্তর শিখে এসেছে। টাকাকড়িও এনেছে অনেক। সেই টাকায় সে নতুন করে ঘর তুলল, ভিটের জঙ্গল সাফ করল। বাড়ির সামনে যে ছোট একটা এঁদো পুকুর ছিল সেটাকে বড় করে কাটল। পুকুরের চারধার দিয়ে কত ফুলের গাছ লাগাল। ভারী শৌখিন পুরুষ নদেরচাঁদ। হ্যাঁ এবার সে মানুষের মতো মানুষ হয়েছে। আমার বাবা বললেন, নদেরচাঁদ এবার একটা বউ আনো ঘরে! নদেরচাঁদ বলল, আনব কর্তা। ঘরদোর গুছিয়ে নিই। তারপর আনব।

কয়েক মাস পরে সত্যিই নদেরচাঁদ বউ নিয়ে এল ঘরে। পরমা সুন্দরী বউ। ওদের জাতের মধ্যে অমন সুন্দর মেয়ে বড় একটা দেখা যায় না। কেউ কেউ বলল, নদেরচাঁদ দূর দেশ থেকে বামুন কায়েতের মেয়েকে ভুলিয়ে নিয়ে এসেছে। কেউ কেউ বলল মন্ত্র পড়ে বনের হরিণকে ও মেয়ে বানিয়ে নিয়ে এসেছে। কারণ টুকটুকে বউয়ের চোখ দুটি হরিণের মতোই সুন্দর। স্বভাব হরিণের মতোই চঞ্চল আর মিষ্টি। এত সুন্দর বউ কিন্তু পাড়ার বকাটে ছোঁড়ারা নদেরচাঁদের বাড়ির ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে সাহস পায় না। তাদের ভয় আছে প্রাণে। নদেরচাঁদ যেমন বনের হরিণকে মেয়ে বানাতে পারে, তেমনি বকাটে ছোঁড়াদের শিয়াল কুকুর বিড়াল এমনকী ইঁদুর বানিয়েও রাখতে পারে। তার মন্ত্রের এমনই জোর। সে যেমন মন্ত্র পড়ে মানুষের ঘাড় থেকে ভূত নামাতে পারে, তেমনি শত্রুতা করলে মানুষের ঘাড়ে ভূত চাপিয়েও দিতে পারে। ওঝাগিরি গুণিনগিরির কাজ নিয়ে নদেরচাঁদ অনেক দূরের গাঁয়ে-গঞ্জে চলে যেত। দু’-তিন দিনের মধ্যে হয়তো বাড়িতেই ফিরত না। বউ একলা থাকত ঘরে। কোনও কোনও সময় নদেরচাঁদের বুড়ি এক মাসি এসে বউয়ের কাছে থাকত। আর বেশি পাহারার দরকার হত না। নদেরচাঁদ মন্ত্র পড়ে বাড়ির চারদিকে গণ্ডি কেটে রেখে যেত। চোর ডাকাত জীবজন্তু কেউ সেই গণ্ডি পার হতে সাহস পেত না।

গুণিন হিসাবে নদেরচাঁদের নাম-ডাক ছড়িয়ে পড়ল। পুবের ভিটেয় আরও একখানা ঘর তুলল নদেরচাঁদ। নানা রকমের শিকড়-বাকড়-গাছগাছড়া তাবিজ কবচে সেই ঘর বোঝাই হয়ে উঠল।

তারপর শুনলাম নদেরচাঁদ নিজেও অন্য জীবজন্তু হতে পারে। বাঘ হয়, ভাল্লুক হয়, সাপ হয়ে ফোঁস ফোঁস করে। আমাদের গ্রামের যাত্রার দলের বহুরূপী ফটিক দাস যেমন বাঘ ভাল্লুক সাজে তেমন নয়। এ হল সত্যিকারের বাঘ ভাল্লুক। তবে এ বিদ্যার চর্চা সে বাড়িতে বসে করে না। লোকালয়ে কাউকে এসব দেখায় না। সাকরেদ সোনা মিঞাকে নিয়ে চলে যায় গভীর বনে জঙ্গলে। সেখানে একজন ইচ্ছামতো জীবজন্তু হয়। আর একজন বসে থাকে। ঘটিতে থাকে মন্ত্র পড়া জল। খেলা শেষ হবার পর সেই জল ছিটিয়ে তার গায়ে দিলে সে আবার মানুষ হয়ে ওঠে।

হঠাৎ এক কাণ্ড ঘটল। সোনা মিঞাকে আর খুঁজে পাওয়া গেল না। লোকে কানাঘুষা করতে লাগল নদেরচাঁদ বাঘ হয়ে তাকে খেয়ে ফেলেছে। এখন আর পেট থেকে বের করতে পারছে না। থানায় ডায়েরি করা হল। পুলিশ খোঁজ খবর করতে লাগল। কিন্তু করলে কী হবে? সোনা মিঞার কোনও উদ্দেশ নেই। পুলিশ নানারকম সন্দেহ করতে লাগল। কিন্তু নদেরচাঁদের গায়ে হাত দেবার কারও ক্ষমতা নেই। সে হয়তো পুলিশের ইনস্পেকটারকে বাজারের নেড়ি কুকুর বানিয়ে ছেড়ে দেবে। আর দারোগা নিজের টেবিলের তলায় পোষা বিড়াল হয়ে মিউ মিউ করবে।

তারপর সেও এখনকার মতোই এক বর্ষাকাল। সেবার বর্ষাটা আরও বেশি হয়েছিল। বন্যার মতো। নদেরচাঁদ এই বর্ষাবৃষ্টির মধ্যে কয়েকদিন আর বেরোয়নি। বউ খুব আদর যত্ন করছে নানারকম রান্নাবান্না করে স্বামীকে খাওয়াচ্ছে। খাওয়া-দাওয়ার পর সেদিন বিকালবেলায় সুন্দরী বউ খুব সোহাগ করে বলল, আচ্ছা, তুমি নাকি ইচ্ছা করলেই বাঘ-ভাল্লুক হাতি-গণ্ডার সব হতে পারো?

নদেরচাঁদ বলল, পারিই তো। কিন্তু এখন আর আমার অন্য কিছু হতে ইচ্ছা করছে না।

কিন্তু সোহাগী বউ নাছোড়বান্দা! সে আদর আহ্লাদে স্বামীকে বশ করে ফেলল, লক্ষ্মীটি একটি বার হও। সবাই দেখতে পেয়েছে আমিই শুধু দেখতে পেলাম না। জীবনভর শুধু কুকুর বিড়ালই দেখলাম। একটিবারের জন্য একটা বড় জন্তু হয়ে আমাকে দেখাও। তোমার পায়ে পড়ি।

অমন আদরের বউ, অমন সুন্দরী বউ যাকে নদেরচাঁদ মাথার মণি করে রেখেছে সে যদি অমন পায়ের কাছে পড়ে নদেরচাঁদের কি না করবার সাধ্য আছে?

নদেরচাঁদ একটু ভেবে চিন্তে বলল, ঠিক আছে। আমি কুমির হয়ে তোমাকে দেখাব। অন্য সব জীবজন্তু হয়েছি। কুমির এর আগে হইনি। এই বর্ষাকালে কুমির হওয়াই ভাল। জলের অভাব হবে না। বাড়ির নীচেই সমুদ্দুর।

বউ তো মহা খুশি। ঘরে বসে সে জ্যান্ত কুমির দেখবে।

নদেরচাঁদ তখন একটা জলের ঘটি নিয়ে বিড়বিড় করে মন্তর পড়ল। তারপর বউয়ের হাতে সেই ঘটিটি তুলে দিয়ে বলল, কুমির হবার পর তোমার যতক্ষণ সাধ হয় দেখে নিয়ে এই ঘটির জল আমার গায়ে ঢেলে দিয়ে। আমি আবার হাসতে হাসতে মানুষ হয়ে উঠব। ভয় পেয়ো না কিন্তু।

বউ হেসে বলল, বাঃ রে ভয় কেন পাব? কুমিরই হও আর যাই হও তুমি তো তুমিই।

তখন নদেরচাঁদ বিড়বিড় করে আবার একরাশ মন্তর পড়ল। সঙ্গে সঙ্গে সে বিরাট এক কুমির হয়ে উঠল। বউ তো তা দেখে ওরে বাবারে বলে এক লাফ দিয়ে ঘর থেকে উঠানে নামল। কুমির যত তার কাছে যায় তত সে দূরে পালায়। মন্ত্রপড়া ঘটির জলের কথা সে প্রাণের ভয়ে ভুলেই গেছে। সারা রাত এইরকম এগোন পেছোন চলল। কিন্তু কুমির তো আর বেশিক্ষণ ডাঙায় থাকতে পারে না, বাঘ হলে পারত। কুমিরকে জলে নামতে হল। বাড়ির নীচেই নিজেদের সেই সাধের পুকুর। কুমির সেই পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়ল।

অনেকক্ষণ বাদে বউয়ের মনে পড়ল ঘটিতে তো মন্ত্ৰপড়া জল আছে। ঘটি নিয়ে সে ঘাটের কাছে এগিয়ে গেল। কিন্তু ভরসা পেয়ে কুমির যেই বউয়ের পায়ের কাছে এল অমনি বউ বাবারে মারে বলে ঘটি ফেলে ছুট।

ঘটির জল গড়িয়ে পুকুরের জলে পড়ল। কুমিরটা সেই জলে একবার চিত হল আর একবার উপুড় হল। কিন্তু তাতে ফল হল না। মন্ত্রের শক্তি নষ্ট হয়ে গেছে।

বউ তখন নিজের ভুল বুঝতে পারল। কপাল চাপড়াতে চাপড়াতে বলল, ওগো আমাকে খাও। আমাকে খেয়ে ফ্যালো!

কিন্তু বলে বটে খাও খাও কিন্তু বউ কি আর জলের কাছে যেতে পারে! কুমির যেই এগিয়ে আসে বউ পিছিয়ে যায়।

এমনি করে সাত দিন সাত রাত্তির কাটল। কুমিরের পেটে দারুণ খিদে। আর উপোস করলে তার প্রাণ বাঁচে না। সে তখন চোখের জল ছেড়ে দিয়ে আস্ত একটা কচ্ছপ গিলে ফেলল। নিয়ম এই একবার যদি ইতর জন্তু জানোয়ার খেয়ে ফেলে তা হলে কুমির আর মানুষ হতে পারে না।

নদেরচাঁদও আর মানুষ হতে পারল না। কিন্তু তাকে তো বড় বড় মাছ কি জীবজন্তু খেতে হবে। তাই পুকুর থেকে সে খালে গিয়ে পড়ল। খাল থেকে নদীতে, নদী থেকে সমুদ্রে।

আমি বললাম, আর বউটা কী করল?

জেঠিমা বললেন, বউ আর কী করবে? মেয়েমানুষ, সে তো সমুদুর পর্যন্ত যেতে পারে না। নদীর ঘাট পর্যন্ত গেল। বর্ষা কাল শেষ হল। শীতের পরে গ্রীষ্ম এল। বউ ঘাটে গিয়ে ঘোমটা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। আড়াল থেকে একটা কুমিরকে দেখবে বলে।

কিন্তু আমাদের ছোট গাঙে তো আর কুমির আসে না। নানা রকমের ছোট বড় মাছ আসে। মাছরাঙা পাখি আকাশে ওড়ে। ছোঁ দিয়ে ছোট ছোট মাছ নিয়ে যায়। আর কালো কালো কোলার মতো শুশুক মাঝে মাঝে জলের ওপর মাথা জাগায়। আবার ডুব দিয়ে কোথায় অদৃশ্য হয়ে যায়। বউয়ের আর কুমির দেখা হয় না।

জেঠিমা একটু কাল চুপ করে রইলেন। তারপর দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, হরি বোল হরি বোল! চল তোদের খেতে দিই গিয়ে।

১৩৭৮

অলংকরণ: সুবোধ দাশগুপ্ত

সকল অধ্যায়

১. প্রোফেসর হিজিবিজ্‌বিজ্ – সত্যজিৎ রায়
২. বাহাদুর – আশাপূর্ণা দেবী
৩. কুমির – নরেন্দ্রনাথ মিত্র
৪. ননীদা – মতি নন্দী
৫. হর্ষবর্ধনের ভাগনে ভাগ্য – শিবরাম চক্রবর্তী
৬. কর্ভাস – সত্যজিৎ রায়
৭. বেণী লস্করের মুণ্ডু – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৮. টুম্পুর গল্প – সুকুমার দে সরকার
৯. বারীন ভৌমিকের ব্যারাম – সত্যজিৎ রায়
১০. বীর হওয়ার বিড়ম্বনা – শিবরাম চক্রবর্তী
১১. নন্দগুপি – লীলা মজুমদার
১২. পালোয়ান ভূত – মনোজ বসু
১৩. হিসাব – হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়
১৪. গান – প্রেমেন্দ্র মিত্র
১৫. জ্যান্ত খেলনা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১৬. মুড়ি – শক্তি চট্টোপাধ্যায়
১৭. কর্নেল মিত্র – বিমল মিত্র
১৮. গুল-ই ঘনাদা – প্রেমেন্দ্র মিত্র
১৯. ভয়ঙ্কর মুখোশ – নীহাররঞ্জন গুপ্ত
২০. দিনে ডাকাতি – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
২১. গন্ধটা খুব সন্দেহজনক – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২২. মেজকর্তার খেরোখাতা – প্রেমেন্দ্র মিত্র
২৩. গোয়েন্দা বরদাচরণ – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২৪. সাধু কালাচাঁদের ফলাও কারবার – শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়
২৫. একটি ভুতুড়ে ঘড়ি – বিমল কর
২৬. বুনো হাতির বন্ধুত্ব – সমরেশ বসু
২৭. গোয়ায় গোগোলের প্রথম কীর্তি – সমরেশ বসু
২৮. ইঁদারায় গণ্ডগোল – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২৯. চোর সাধু – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
৩০. টোরি জঙ্গলের ভক্ত-বাঘ – সুবোধ ঘোষ
৩১. জোনাকি-ভূতের বাড়ি – সমরেশ বসু
৩২. বনবিড়াল – বিমল কর
৩৩. ভয় ও ভূত – সুকুমার সেন
৩৪. সুপারমেন – সমরেশ মজুমদার
৩৫. রাত যখন বারোটা – অশোক বসু
৩৬. প্রেতাত্মার উপত্যকা – ক্ষিতীন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য
৩৭. আলুর চপ – বরেন গঙ্গোপাধ্যায়
৩৮. হাবুলমামার ভূতের ব্যবসা এবং… – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৩৯. অশোকের কাণ্ড – হর্ষ দত্ত
৪০. হারাধন – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৪১. হয়তো এইরকমই – আশাপূর্ণা দেবী
৪২. মহারাজা তারিণীখুড়ো – সত্যজিৎ রায়
৪৩. খুড়ো-ভাইপো – বাণী বসু
৪৪. সহযাত্রী – সত্যজিৎ রায়
৪৫. দারিৎসু – সুচিত্রা ভট্টাচার্য
৪৬. চার বুড়োর আড্ডা – আশাপূর্ণা দেবী
৪৭. রামপলের অন্তর্ধান রহস্য – রূপক সাহা
৪৮. দেয়ালা – অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪৯. শুভ জন্মদিন – জয় গোস্বামী
৫০. ইন্দ্রনাথ সামন্তের বাড়ি – সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন