বাহাদুর – আশাপূর্ণা দেবী

পৌলোমী সেনগুপ্ত

শেষ পর্যন্ত একা ভেঁপুই সারা পাড়ার বাজার-সরকার হয়ে গেল। অবিশ্যি ভেঁপুদের নিজেদের বাড়ি বাদে। বাড়িতে তো ভেঁপুর মা ভেঁপুর টিকিটিও দেখতে পান না। দেখবেন কখন? হঠাৎ পাড়ার সমস্ত ভদ্রলোক আর ভদ্রমহিলা যে ভেঁপুর মামা, কাকা, দাদা, দাদু এবং মাসিমা, জ্যাঠাইমা, দিদি, বউদি হয়ে উঠেছেন।

অথচ এর মূলে মাত্র একটি গুলি সুতো!

হ্যাঁ, স্রেফ সাদাসিধে একটি সাদা গুলি সুতো। মা’র অর্ডারি গুলি সুতোটা কিনে হাতে করে লুফতে লুফতে বাড়ি ফিরছিল ভেঁপু, হঠাৎ চোখে পড়ে গেল নন্দঠাকুমার। পড়বেই, কারণ এইটাই নন্দঠাকুমার গঙ্গা নেয়ে ফেরার সময়। গুলি সুতো দেখে নন্দঠাকুমা দাঁড়িয়ে পড়ে একগাল হেসে বললেন, কে ভেঁপু? গুলি সুতো কিনেছিস? কত দিয়ে কিনলি, দাদা? খাসা গোলগাল গুলিটা—

ভেঁপুর মনে হঠাৎ একটু বাহাদুরির বাসনা জেগে উঠল। ভেঁপু বলল, পাঁচ পয়সা।

দশকে পাঁচ বলাটা যে খুব দোষের তা ভাবেনি ভেঁপু আর এ-ও ভাবেনি, ওই চেপে ফেলা পাঁচটি পয়সা দিয়ে সে একখানি রামজিলিপি-প্যাঁচ কিনল।

নন্দঠাকুমা ফোকলা মুখের সবটা হাঁ ছড়িয়ে বলে উঠলেন, অ্যাঁ! মাত্তর পাঁচ পয়সা! আর আমার বাড়ির ওই পোড়ারমুখো গঙ্গাধর সেদিন কিনা একটা গুলি সুতো এনে দিয়ে গালে চড়টি মেরে দশ-দশটা পয়সা নিল! দিনে ডাকাতি নয়? মগের মুলুক পেয়েছে? আচ্ছা, গিয়ে দেখাচ্ছি মজা!

শুনে তো ভেঁপুর মাথায় আকাশ! আহা, বেচারা গঙ্গাধর, ক’দিন ভেঁপুর ঘুড়িতে ধরাই দিয়ে দিয়েছে, ক্রিকেট খেলার ইট জোগাড় করে দিয়েছে। ভেঁপুর দোষে সে ‘মজা’ দেখবে? দেখার পক্ষে ‘মজা’টা তো খুব একটা ভাল জিনিস নয়।

ভেঁপু তাই তাড়াতাড়ি বলে ওঠে, বাঃ! ও কী করে পাবে? এ তো আমার চেনা দোকানের—

চেনা দোকানের? অ! নন্দঠাকুমা আবার ফোকলা হাসি হেসে বলেন, তাই বল! তা দোকানদারের সঙ্গে চেনা হল কী করে, দাদা?

কী মুশকিল!

বুড়িদের কী এত কৌতূহল! কী করে চেনা হল তা-ও জানতে ইচ্ছে করে?

ভেঁপু আবার গল্প বানায়, বাঃ আমার বন্ধুর মামার দোকান যে—

বন্ধুর মামার দোকান! নন্দঠাকুমা আহ্লাদে নেচে উঠে বলেন, তা হলে তো সকল দ্রব্যিই সস্তা পাবি। বলি, কী কী মাল রাখে রে, ওখানে?

ভেঁপু বোঝে না ভেঁপু কী ফাঁদে পা দিচ্ছে। ভেঁপু এই মাত্র দোকানে যা যা দেখে এসেছে বলতে থাকে—

ভেঁপুকে স্কুলে যাওয়া স্থগিত রেখে ‘মামার দোকানে’ ছুটতে হয়।

ভেঁপু স্কুল থেকে ফিরছে, হারাধনজ্যাঠা সামনে দাঁড়ান, ভেঁপু, তোমার জেঠি বলেছে তোমার কী চেনা দোকান আছে, সেখান থেকে এক পাত সেফটি-পিন, এক পাত ঝিনুকের বোতাম, আর এক ভরি পাতি জরদা এনে দিতে। এই নাও টাকাটা—

হারাধনজ্যাঠা লোক খারাপ নয়। পুরো আস্ত একখানা পাঁচ টাকার নোটই ধরে দেন, কিন্তু ভেঁপুকে তো মুখ রাখতে হবে? পুরো দামেই যদি আনবে ভেঁপু তো হারাধনজ্যাঠা নিজে কী দোষ করলেন?

ভেঁপুর নাম ডাক ক্রমশ তার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছয়। ভেঁপুর মা তেড়ে আসেন, এই গুণমণি ছেলে, তুমি নাকি পাড়া-রাজ্যির সবাইকে কোন চেনা দোকান থেকে সস্তায় কেনা-কাটা করে দিচ্ছ? কই, বাড়ির জন্যে তো কুটোটি ভাঙতে দেখি না। বলি, তোর আবার মামার দোকান কোথায় রে?

আমার মামা কেন হতে যাবে? বন্ধুর মামা—

অম্লান মুখে বলে ভেঁপু। বলে বলে এত অভ্যেস হয়ে গেছে যে ওর নিজেরই ক্রমে বিশ্বাস জন্মে যাচ্ছে, আছে ওই রকম কোনও ব্যাপার।

মা বলেন, তা, সে কতবড় দোকান যে নেই হেন জিনিস নেই! স্বপনের মা বলল, তুই নাকি তাকে আট আনা সের দিয়ে এমন পটল এনে দিয়েছিস যে লোকে এক টাকায় পায় না।

তা সত্যি। এনে দিয়েছে ভেঁপু।

বাধ্য হয়েই ভেঁপুকে মামার দোকানের আয়তন বাড়িয়ে বলতে হচ্ছে। আলু, পটল, বেগুন, কাঁচা লঙ্কাও রাখতে হচ্ছে সে দোকানে।

পাড়ার লোকেরা তো আর নিজের লোকেদের বাজার পাঠিয়ে সুখ পাচ্ছে না!

এখন পাড়া জুড়ে শুধু ‘ভেঁপু ভেঁপু’ জয়ধ্বনি, পাড়ার সকলের মুখে মুখে শুধু ভেঁপু বাঁশির তান।

সত্যি ভেঁপু, কী করে যে পাস তুই!… বাবা ধন্যি ছেলে বটে। এই জিনিস মোটে তিরিশ পয়সায় পেলি? আমাদের অমুক তো পঞ্চাশ পয়সার এক পয়সা কমে আনতে পারে না।… না বাবা, খুব বাহাদুর ছেলে বটে! একেই বলে ওস্তাদ ছেলে। প্রতিটি জিনিসে দশ পয়সা পনেরো পয়সা বিশ পয়সা করে কম! বেঁচে থাকো বাবা! এমন নইলে ছেলে! কী পরোপকারী।

কিন্তু বাড়ির লোকেরা কখনও বাড়ির ছেলের সুখ্যাতি-টুখ্যাতি সুনজরে দেখে না। ভেঁপুর পিসি বলে, ঘর জ্বালানে পর ভোলানে! বাড়ির কাজে মাথা ভোম্বল! তার বেলায় পকেট থেকে নোট পড়ে হারিয়ে যায়! দোকানে পয়সা গুনে নিতে ভুল হয়ে যায়! ওই জ্বালায় তো ছেড়েই দিয়েছি ওকে। অথচ লোকের ব্যাপারে—

ভেঁপুর বাবা বলেন, ভেঁপুকে দিয়ে যদি একটা কাজ পাওয়া যায়। সকাল থেকে বলছি জামা ধোবাবাড়ি দেবার সময় পকেট থেকে একখানা দশ টাকার নোট বার করে তাকের ওপর রাখলাম, কোথায় যে গেল! একটু খুঁজে দেখ, হাওয়ায় উড়ে চৌকির তলায়-টলায় গেল কি না! তা বয়েই গেছে!

আর, ভেঁপুর দিদি বলে, তুই দেখালি বটে বাবা একখানা! খাম পোস্টকার্ড যে আবার চেনা দোকান থেকে সস্তায় কিনতে পাওয়া যায়, এ কখনও শুনিনি। টুলুর দিদি বলে গেল, ওরা নাকি আজকাল তোকে ছাড়া আর কাউকে খাম পোস্টকার্ড কিনতেই দেয় না। মানেটা কী?

ভেঁপু রেগে রেগে বলে, মানে আবার কী? এমনি।

ভেঁপু রাগ করে বেরিয়েই যায় পকেট থেকে লিস্টটা বার করে পড়তে পড়তে—

এক নম্বর: হারুজ্যাঠার নস্যি।

দু’ নম্বর: বেবিমাসিমার জামার লেস!

তিন নম্বর: ননিকাকিমার হেয়ার অয়েল।

চার নম্বর: মনীষাবউদির সল্টেড কাজু।

পাঁচ নম্বর: ঘনশ্যাম দুহিতার অঙ্কের খাতা।

ছয় নম্বর: টুলুর পিসির এমব্রয়ডারির ছুঁচ।

সাত নম্বর: হরসুন্দরবাবুর আবার সিগারেট।

আট নম্বর: বলুদার আবার ব্লেড।

ন’ নম্বর: নন্দঠাকুমার আবার নারকেল পাটালি।

দশ নম্বর:

সুতো, ছুঁচ, পেনসিল, ছুরি, ঘুড়ি, লাটাই, লাট্টু, মারবেল—

আহা কী ছিরির দোকান দিয়েছে মামা— নন্দঠাকুমা রেগে ওঠেন, ওসব নিয়ে তো আমি সগ্‌গে যাব!

যেন নন্দঠাকুমাকে সগ্‌গে পাঠাবার জন্যেই লোকে দোকান খুলেছে।

ভেঁপু ভয়ে ভয়ে বলে, আরও তো কত কী আছে! বিস্কুট, ল্যাবনচুষ, বাদামচাক্তি, নারকেল পাটালি—

নন্দঠাকুমার মুখটায় হঠাৎ ইলেকট্রিক লাইট জ্বলে ওঠে, নারকেল পাটালি পাওয়া যায়? আহা, বড় খাসা জিনিস রে! কতকাল খাইনি! সেই খুলনা ছেড়ে অবধি আর চোখেও দেখিনি! তা আমায় এনে দিতে পারবি?

কেন পারব না? ভেঁপু উৎসাহিত হয়, পয়সা দিন।

দোকানে যেতে ভেঁপু সর্বদাই এক পায়ে খাড়া।

নন্দঠাকুমা হাতের গঙ্গাজলের ঘটি বুকে চেপে কৌশলে এক হাতে আঁচলের গিঁট খুলে চারআনা পয়সা দেন ভেঁপুর হাতে। তারপর বলেন, এই নে গঙ্গাজলে হাত ধো, আর বেশ সস্তা করে আনবি, বুঝলি? বন্ধুর মামার দোকান যখন।

ভেঁপুর পকেটে মার দেওয়া গুলি সুতোর দরুন অনেকগুলো পয়সা, কাজে কাজেই সস্তা করে আনতে অসুবিধে নেই ভেঁপুর। ভেঁপু বলে, আপনি দু’ মিনিট দাঁড়ান ঠাকুমা, আমি এক্ষুনি এনে দিচ্ছি—

এই হল শুরু!

পরদিনই রাস্তায় হরসুন্দরবাবু খপ করে ধরলেন ভেঁপুকে, কী ভেঁপু, শুনলাম তুমি নাকি তোমার কোনও মামার দোকান থেকে খুব সস্তায় সওদা করে দিচ্ছ লোককে। তা, আমার জন্যে দু’ প্যাকেট সিগারেট এনে দাও দিকি সুবিধে করে। যা দাম হয়েছে আজকাল—

সিগারেট! কিনতে গেলে কে কী ভাববে?

ভেঁপু একটু নিরুৎসাহের গলায় বলে, আমার মামার নয়, বন্ধুর মামার—

আহা ওই একই কথা। এই নাও। এমনিতে দু’ টাকা বারোআনা করে, কিন্তু বলছ যখন তোমার চেনা দোকান—

অগত্যাই এনে দিতে হয়।

ভেঁপুর মাসের ‘পকেটমানি’ পাঁচটি টাকার থেকে কিছু খসে। হরসুন্দর পুলকিত চিত্তে পাড়ায় গল্প করতে বেরোন, পাড়ার ‘ভেঁপু’ নামের ছেলেটি কী তুখোড়, কী ওস্তাদ! সাত সিকের জিনিস পাঁচ সিকেয় আনতে পারে ও।

পরদিনই পাড়ার ক্লাবের বলুদা হাঁক ছাড়েন, ভেঁপু, তোর নাকি কোন মামার দোকান তোকে সস্তায় মাল দিচ্ছে? তবে তো আর ব্লেড-ফ্লেড অন্য কোথাও থেকে কিনছি না। তুই ব্রাদার আজ থেকে আমার ব্লেডের ভার নে। মানে, যতদিন যাবৎ আমার গালে দাড়ি গজাবে, ততদিন তাবৎ তুই আছিস, আমি আছি, আর, তোর চেনা মামার দোকান আছে—

কিন্তু ভেঁপু কি আছে?

ভেঁপু তো শুনে ‘নেই!’

তবু ভেঁপুকে ‘থাকতে’ হয়। কারণ পাড়ার মধ্যে ভেঁপুই তো একমাত্র তুখোড় ওস্তাদ আর বাহাদুর ছেলে!

ভেঁপু সকালবেলা বাড়ির জন্যে পাউরুটি কিনতে বেরিয়েছে, এবাড়ি-ওবাড়ি থেকে খান চার-পাঁচ ‘সস্তা করে’ পাউরুটি এনে দেওয়ার বরাত পড়ে গেল ভেঁপুর। … কিনে বিলোতে বিলোতে খালি হাতে বাড়ি!

মা অবাক হয়ে বলেন, কই পাউরুটি কই?

ভেঁপু উদাস ভাবে বলে, নেই ! পাউরুটির গাড়ি আসেনি আজ!

গাড়িই আসেনি?

মা পাউরুটির গাড়ি, তার চালক, তার মালিক সক্কলকে স্বর্গে পাঠিয়ে দিয়ে চিঁড়ে ভাজতে বসেন।

ততক্ষণে ঘনশ্যামবাবুর মেয়ে এসে দাঁড়িয়েছে, ভেঁপুদা, আমায় দুটো লাল নীল পেনসিল এনে দিয়ে তো—

ভেঁপুর পেটে তখনও জল ফল কিছুই পড়েনি, ভেঁপু রেগে গিয়ে বলে, কেন, তোর দাদা পারে না এনে দিতে?

পারবে না কেন? তবে তোমার চেনা দোকান, তাই—

তবে আর কী করা? ভেঁপু লাল নীল পেনসিলের দোকানে ছোটে।

তারপর? গ্রামে গ্রামে সেই বার্তা রটি গেল। ক্রমে—

বেবিমাসিমা আহ্লাদে গলায় বলেন, ভেঁপু, আমার যে এক ডজন ক্ৰচেট গুলি চাই, বাবা!

ননিকাকিমা খটখটিয়ে বলেন, রাজ্যের লোকের উপকার করছিস ভেঁপু, আর সবচেয়ে আপন লোক আমি কিনা এখনও পুরো দামে সাবান কিনে মরছি?

অতএব সবচেয়ে আপন লোকের জন্যে সাবান কিনতে ছোটে ভেঁপু সব থেকে সস্তায়।

কিন্তু ননিকাকিমার ভাই টেঁপুমামাও কিছু কম আপন নয়, তা ছাড়া পাড়াতেই থাকেন যখন। তাঁর জন্যে খান তিনেক রুমাল এনে দিতে পারবে না ভেঁপু সুবিধে করে? আর ওঁর ছোটখোকার জন্যে একজোড়া লাল মোজা? পাড়ার ছেলের বন্ধুর মামার দোকান থাকায় তা হলে লাভটা কী?

ভেঁপু স্কুলে যাচ্ছে—

মনীষাবউদি জানলা দিয়ে ডাকছেন, অ ভেঁপু, চট করে তোর চেনা দোকান থেকে আড়াইশো মাখন এনে দিয়ে যাবি, ভাই? তোদের দাদার আবার আজ ফুটবল ম্যাচ! বলে কিনা, মরবার সময় নেই।

না, দশ নম্বর নেই। আজ লিস্ট খুব ছোট। তবে নন্দঠাকুমার নারকেল পাটালি বড় জ্বালাচ্ছে। ওটি ওঁর প্রতিদিন চাই, আর প্রতিদিনই বলা চাই, কাল তো এর থেকে বড় ছিল রে! মামা বুঝি আর ভাগনেকে পুঁছছে না? অতএব, চার আনায় আরও বড় আনতে হয়।

বাবার নোটটা হারিয়ে যাওয়ায় আজ ভেঁপুর মনটা খুব উৎফুল্ল আছে। এখন দু’-চার দিন বেশ ম্যানেজ করা যাবে। আর যদি কেউ বেশি—

ফট করে দীপিকাদি আর লাবণ্যমাসির সঙ্গে দেখা। মা আর মেয়ে কোথায় যেন যাচ্ছেন।

ভেঁপু দাঁড়িয়ে পড়ে।

একগাল হেসে বলে, দীপুদি কোথায় যাচ্ছেন?

দীপিকাও হেসে বলে, এই সিনেমার টিকিট কাটতে!

আরে আপনারা নিজে যাচ্ছেন কেন? ভেঁপু আকাশ থেকে পড়ে, আমায় বলেননি কেন?

আহা তুমি কত করছ, আবার—

তাতে কী? দিন, বলুন ক’টা চাই।

আরে তুমি যাচ্ছ বাজারে, আর এটা হল উলটো দিকে—

ভেঁপু মৃদু হেসে বলে, সবই একদিকে। ভাল দোকানে পাবলিকের সুবিধের জন্যে সবই রাখতে হয়।

লাবণ্যমাসী গালে হাত দিয়ে বলেন, ওমা কী ভাল দোকান গো! সিনেমার টিকিটও রাখে? তবে দে দীপু!

দীপু পাঁচটি টাকা বার করে দিয়ে বলে, দু’খানা দু’ টাকা চার আনা করে—

ভেঁপু একটি অলৌকিক হাসি হেসে বলে, চার আনাটা লাগবে না, আপনি শুধু চারটে টাকাই দিন।

মা, মেয়ে দু’জনেই গালে হাত দেন।

সিনেমার টিকিটও সস্তায় পাও তুমি ভেঁপু?

ভেঁপু মুখে ইলেকট্রিক লাইট জ্বেলে বলে, তা পাই! খুব চেনা দোকান তো—

১৩৭৮

অলংকরণ: সমীর সরকার

সকল অধ্যায়

১. প্রোফেসর হিজিবিজ্‌বিজ্ – সত্যজিৎ রায়
২. বাহাদুর – আশাপূর্ণা দেবী
৩. কুমির – নরেন্দ্রনাথ মিত্র
৪. ননীদা – মতি নন্দী
৫. হর্ষবর্ধনের ভাগনে ভাগ্য – শিবরাম চক্রবর্তী
৬. কর্ভাস – সত্যজিৎ রায়
৭. বেণী লস্করের মুণ্ডু – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
৮. টুম্পুর গল্প – সুকুমার দে সরকার
৯. বারীন ভৌমিকের ব্যারাম – সত্যজিৎ রায়
১০. বীর হওয়ার বিড়ম্বনা – শিবরাম চক্রবর্তী
১১. নন্দগুপি – লীলা মজুমদার
১২. পালোয়ান ভূত – মনোজ বসু
১৩. হিসাব – হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়
১৪. গান – প্রেমেন্দ্র মিত্র
১৫. জ্যান্ত খেলনা – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
১৬. মুড়ি – শক্তি চট্টোপাধ্যায়
১৭. কর্নেল মিত্র – বিমল মিত্র
১৮. গুল-ই ঘনাদা – প্রেমেন্দ্র মিত্র
১৯. ভয়ঙ্কর মুখোশ – নীহাররঞ্জন গুপ্ত
২০. দিনে ডাকাতি – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
২১. গন্ধটা খুব সন্দেহজনক – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২২. মেজকর্তার খেরোখাতা – প্রেমেন্দ্র মিত্র
২৩. গোয়েন্দা বরদাচরণ – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২৪. সাধু কালাচাঁদের ফলাও কারবার – শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়
২৫. একটি ভুতুড়ে ঘড়ি – বিমল কর
২৬. বুনো হাতির বন্ধুত্ব – সমরেশ বসু
২৭. গোয়ায় গোগোলের প্রথম কীর্তি – সমরেশ বসু
২৮. ইঁদারায় গণ্ডগোল – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২৯. চোর সাধু – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
৩০. টোরি জঙ্গলের ভক্ত-বাঘ – সুবোধ ঘোষ
৩১. জোনাকি-ভূতের বাড়ি – সমরেশ বসু
৩২. বনবিড়াল – বিমল কর
৩৩. ভয় ও ভূত – সুকুমার সেন
৩৪. সুপারমেন – সমরেশ মজুমদার
৩৫. রাত যখন বারোটা – অশোক বসু
৩৬. প্রেতাত্মার উপত্যকা – ক্ষিতীন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য
৩৭. আলুর চপ – বরেন গঙ্গোপাধ্যায়
৩৮. হাবুলমামার ভূতের ব্যবসা এবং… – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৩৯. অশোকের কাণ্ড – হর্ষ দত্ত
৪০. হারাধন – দুলেন্দ্র ভৌমিক
৪১. হয়তো এইরকমই – আশাপূর্ণা দেবী
৪২. মহারাজা তারিণীখুড়ো – সত্যজিৎ রায়
৪৩. খুড়ো-ভাইপো – বাণী বসু
৪৪. সহযাত্রী – সত্যজিৎ রায়
৪৫. দারিৎসু – সুচিত্রা ভট্টাচার্য
৪৬. চার বুড়োর আড্ডা – আশাপূর্ণা দেবী
৪৭. রামপলের অন্তর্ধান রহস্য – রূপক সাহা
৪৮. দেয়ালা – অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪৯. শুভ জন্মদিন – জয় গোস্বামী
৫০. ইন্দ্রনাথ সামন্তের বাড়ি – সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন