প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ও বাঙলাদেশে সাম্রাজ্যবাদী প্রভাব

বদরুদ্দীন উমর

প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ও বাঙলাদেশে সাম্রাজ্যবাদী প্রভাব

সদ্য ঘোষিত বাঙলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বৈদেশিক ঋণের মোট অংশ হচ্ছে ৪০%। প্রথম বৎসরে (১৯৭৩-৭৪) এই ঋণের পরিমাণ হবে ৬২% এবং ক্রমশঃ কমে গিয়ে শেষ বৎসরে (১৯৭৭-৭৮) তা দাঁড়াবে ৩৭% ভাগে। কমিশনের মতে বৈদেশিক ঋণের গুরুত্ব প্রথম পরিকল্পনাতেই শেষের দিকে এইভাবে হ্রাস পাওয়ার কারণ আভ্যন্তরীণ সম্পদের ক্রমশঃ বৃদ্ধি।

আভ্যন্তরীণ সম্পদের প্রশ্নটিকে আপাতত বাদ দিয়ে বৈদেশিক ঋণের প্রশ্নটিকে বিবেচনা করা যাক। কারণ প্রথম বৎসরেই উন্নয়নের জন্যে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৬২%। এই ৬২% বৈদেশিক ঋণ যদি প্রথম বৎসরে পাওয়া যায় এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে অগ্রগতি যদি আশানুরূপ হয় একমাত্র সে ক্ষেত্রেই আভ্যন্তরীণ সম্পদ প্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি লাভ করে বৈদেশিক ঋণের গুরুত্বকে ক্রমশঃ হ্রাস করতে পারে।

এখানে অবশ্য উল্লেখ করা দরকার যে, প্রথম বৎসর অর্থাৎ ১৯৭৩-৭৪ এর প্রথমার্ধ ইতিমধ্যেই পার হয়েছে। এই অর্ধ বৎসরে একদিকে যেমন বৈদেশিক ঋণ প্রয়োজন মতো পাওয়া যায়নি, অন্যদিকে তেমনি আভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধি অর্থাৎ উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও পরিকল্পনা কমিশনের প্রত্যাশা অনুযায়ী কোন অগ্রগতি হয়নি। কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে যে অবস্থা এখন পর্যন্ত বিরাজ করছে তার ফলে প্রথম বৎসরের সম্পদ বৃদ্ধি পূর্ববর্তী বৎসরের থেকে যে বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে তার কোন সম্ভাবনা এখনো বিন্দুমাত্র দেখা যাচ্ছে না।

বাঙলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বৈদেশিক ঋণের ওপর যে নির্ভরশীলতা দেখা যাচ্ছে, সেটা যে-কোন সমাজতান্ত্রিক দেশের ক্ষেত্রে তো অকল্পনীয় বটেই, এমনকি কোন অসমাজতান্ত্রিক অনুন্নত দেশের ক্ষেত্রেও তা একটা ব্যতিক্রম বিশেষ ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের পর লেনিন-স্ট্যালিনের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় এসে যখন সোভিয়েত ইউনিয়নের অর্থনৈতিক উন্নতিকে পরিকল্পিতভাবে সংগঠিত করার উদ্যোগ নেয়, তখন অন্য কোন দেশের থেকে তাদের সাহায্য লাভের প্রশ্ন ওঠেনি। কারণ সাহায্য দানের ক্ষমতাসম্পন্ন সমস্ত দেশগুলিই সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ছিল। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জাপান ইত্যাদি সোভিয়েত ইউনিয়নে সরাসরি আগ্রাসী আক্রমণ চালিয়ে শুধু সেখানকার অর্থনীতিকেই নয়, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং অস্তিত্বকে পর্যন্ত বিপন্ন করেছিলো।

কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক কোন বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভর না করার মূল কারণ সমাজতন্ত্রের প্রতি তাদের আনুগত্য। সমাজতন্ত্র গড়ার জন্যে যে সাম্রাজ্যবাদী সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়া চলে না এ কথা তাঁরা বিলক্ষণ জানতেন বলেই বৈদেশিক ঋণের (সেকালে বৈদেশিক ঋণের অর্থই ছিলো সাম্রাজ্যবাদী ঋণ) জন্যে কোন সাম্রাজ্যবাদী দেশের দ্বারস্থ তাঁরা হননি।

সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ যদি সমাজতন্ত্রের নীতি বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিতেন তাহলে তাঁদের সাম্রাজ্যবাদী ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে যেমন কোন অসুবিধা হতো না, তেমনি সেই ঋণদানের ক্ষেত্রেও সাম্রাজ্যবাদীরা কোন কার্পণ্য করতো না। কিন্তু সমাজতন্ত্রের প্রতি লেনিন ও পরবর্তীকালে স্ট্যালিনের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টির অবিচল আনুগত্য ও নিষ্ঠার ফলে বৈদেশিক ঋণের কোন ভূমিকা সোভিয়েত অর্থনীতি অথবা পরিকল্পনায় ছিল না।

এখানে অবশ্য একটি জিনিস উল্লেখ প্রসঙ্গতঃ করা দরকার। অর্ধ শতাব্দীরও অধিককাল ধরে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির পর ব্রেজনেভ-কোসিগিন চক্রের নেতৃত্বাধীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এখন বিপুল পরিমাণ মার্কিন, জাপানী, ইতালিয়ান, পশ্চিম জার্মানী ইত্যাদি পুঁজি আমদানী করছে। সোভিয়েত অর্থনীতি এবং সেখানকার পার্টির মধ্যে সংশোধনবাদী প্রভাব এখন প্রতাপশালী হওয়ার ফলেই তাদের সামগ্রিক অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীর মধ্যে যে এই ভারসাম্যের অভাব ঘটেছে, সে কথা বলাই বাহুল্য।

১৯৪৯ সালে মাও সেতুঙ-এর নেতৃত্বে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার পর সেখানে যে অর্থনৈতিক পুনর্গঠন শুরু হয় তাতে বৈদেশিক ঋণের মোট পরিমাণ ছিল নিতান্তই নগণ্য। কতকগুলি ক্ষেত্রে সেই সাহায্যের গুরুত্ব অবশ্য অপরিসীম হলেও চীনের ক্ষেত্রে তা অপরিহার্য ছিলো না। সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো চীনও সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক সংগঠনের ক্ষেত্রে এককভাবে নিজের ওপর নির্ভর করেই এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু চীনের সে প্রয়োজন হয়নি কারণ চীন বিপ্লবের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো একটি শক্তিশালী সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র তাকে ভ্রাতৃত্বমূলক সাহায্যদানের জন্যে প্রস্তুত ছিলো। চীন সেই সাহায্য সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে নিয়েছিলো।

১৯৬০ সালে চীন সোভিয়েত আদর্শগত মতানৈক্যের পর রাতারাতি যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন চীন থেকে তার সমস্ত সাহায্য, এমন কি উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্লু প্রিন্ট পর্যন্ত প্রত্যাহার করলো তখন চীন কিছুটা অসুবিধার মধ্যে পড়লেও তাতে তাদের বিশেষ ক্ষতি হয়নি। আভ্যন্তরীণ সম্পদের ওপর নির্ভর করে নিজেদের ক্ষমতার বলেই তারা নিজেদের সমাজতান্ত্রিক সংগঠনকে দ্রুতভাবে এগিয়ে নিতে সক্ষম হলো। এই সংগঠনের ক্ষেত্রে যে তারা বিপুল সাফল্য অর্জন করেছে তার প্রমাণ চীনের ঋণমুক্ত অর্থনীতি। চীনই আজ পৃথিবীর একমাত্র দেশ যার কোন আভ্যন্তরীণ অথবা বৈদেশিক ঋণ নেই। সেখানকার অর্থনীতি আজ শুধু অগ্রগতি লাভ করছে তাই নয়। তার মধ্যে এখন এমন একটা ভারসাম্যও স্থাপিত হয়েছে যার জন্যে একদিকে যেমন তাদের বৈদেশিক ঋণের কোন প্রয়োজন নেই, তেমনি অন্যদিকে অন্য কোন দেশের ওপর অর্থনৈতিক ও সামরিক হামলা করার প্রয়োজনও তাদের নেই।

লেনিন ও স্ট্যালিনের নেতৃত্বাধীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক চীনের উদাহরণ দুটি এখানে এজন্যে উল্লেখ করলাম যে, এই দুই ক্ষেত্রেই শুধু কয়েক দিনের বা কয়েক মাসের যুদ্ধ নয়, সত্যিকার দীর্ঘকালীন যুদ্ধের ফলে দেশীয় অর্থনীতি একটা বিপর্যস্ত অবস্থায় পৌঁছেছিলো; কিন্তু সেই বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে উদ্ধারলাভের জন্যে তারা বৈদেশিক সাহায্যের দ্বারস্থ অথবা তার ওপর নির্ভরশীল হয়নি। নিজেদের আভ্যন্তরীণ সম্পদের ওপর নির্ভর করেই তারা নিজেদের সমাজতান্ত্রিক গঠনকার্যক্ষেত্রে বিস্ময়কর অগ্রগতি সাধন করেছে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বৈদেশিক ঋণের ওপর যে নির্ভরশীলতা দেখা যাচ্ছে প্রথম বৎসরে ৬২% তাতে এই ঋণ যে বাঙলাদেশের ‘উন্নয়নের’ জন্যে অপরিহার্য সে কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু এই ঋণ আসবে কোথা থেকে? কোন্ কোন্ দেশ বাঙলাদেশের এই প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম?

কোন্ কোন্ দেশ থেকে এই প্রয়োজনীয় ঋণ পাওয়া যাবে বাঙলাদেশ সরকার তা এখনো প্রকাশ করেননি। এর কারণ তাঁরা নিজেরাও এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে জানেন না কাদের থেকে তাঁরা কী পরিমাণ ঋণ পাবেন। বাঙলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিজে জাপান সফর করেছেন, তাঁর মন্ত্রীপরিষদের অন্যান্য সদস্যরা দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এইসব দেশগুলির অধিকাংশই মার্কিন নেতৃত্বাধীন সাম্রাজ্যবাদী দেশ। তাঁদের সফরের উদ্দেশ্য যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, পশ্চিম জার্মানী, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশ থেকে যথাসম্ভব সাহায্য লাভ।

ওয়াকেফহাল মহলের সকলেই জানেন যে, বাঙলাদেশকে খাদ্য, অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও মুদ্রা ঋণদানের ক্ষমতা সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার প্রভাবাধীন পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলির থেকে মার্কিন দেশগুলির বহুলাংশে বেশী। সরকারও এ জন্যেই এদের দ্বারস্থ হয়েছে, দেশে দেশে ভিক্ষের ঝুলি হাতে দিয়ে দূত পাঠাচ্ছে। সাহায্যের জন্য এদের দ্বারস্থ যে হতে হবে সেটা তাদের প্রথম থেকেই জানা ছিলো। এজন্যেই এইসব দেশ যাতে তাদের প্রতি বিরূপ না হয় সে জন্যে তারা তাদের তথাকথিত জাতীয়করণ কর্মসূচী প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সময় সাম্রাজ্যবাদী পুঁজিকে এদেশে বাজেয়াপ্ত করেনি। ‘সমাজতান্ত্রিক জাতীয়করণ সত্ত্বেও বৃটিশ- মার্কিন পুঁজির ‘পবিত্রতা’ তারা যথারীতি এদেশে রক্ষা করছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির থেকে সাহায্যের প্রয়োজন বাঙলাদেশের পক্ষে অপরিহার্য। কতখানি অপরিহার্য সেটা প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সরকারীভাবেই হিসেব করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাঙলাদেশের পক্ষে অপরিহার্য হলেই যে সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলি বাঙলাদেশকে ঐ ঋণদান করতে নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে আসবে তা নয়। অর্থাৎ তারা নিজেদের সুবিধে যদি এই ঋণদানের মধ্যে না দেখে তাহলে ঋণ তারা দেবে না। এ বিষয়টি এতই পরিষ্কার যে, এ নিয়ে বিতর্কের কোন অবকাশ নেই।

বাঙলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ঘোষণা সত্ত্বেও বৈদেশিক ঋণের কোন নিশ্চিত আশ্বাস অথবা গ্যারান্টি এখন নেই। কোন দিক থেকেই এই আশ্বাসের অভাবের কারণ বাঙলাদেশে যারা পুঁজি বিনিয়োগ করবে তারা দেশের সরকারের সাথে নিজেদের সম্পর্ক কি হবে সেটা নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত কোন ঋণ দিতে প্রতিশ্রুত হবে না। রাজনৈতিক সম্পর্কের প্রশ্ন প্রথমে মোটামুটি মীমাংসা হওয়ার পরই তারা অর্থনৈতিক ঋণদানের প্রশ্নটিকে সঠিকভাবে এবং গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।

একথা সুবিদিত যে, বাঙলাদেশ সরকার মার্কিন সংস্থাসমূহ এবং মার্কিন সরকারের কাছে ঋণ গ্রহণ এবং অধিকতর ঋণের আবেদন সত্ত্বেও এখনো সরকারী নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে খোলাখুলি অনেক সমালোচনা করছেন। তাঁদের এই ‘মার্কিন বিরোধিতা’ যে একটা নির্জলা ধাপ্পাবাজী সেটা জনগণের কাছে ইতিমধ্যেই খুব সুস্পষ্ট। যে ঋণের প্রয়োজন বাঙলাদেশের ক্ষেত্রে অপরিহার্য সে ঋণ যাদের থেকে পাওয়া যাবে তারা নিজেদের দ্বারা আরোপিত শর্তে এবং নিজেদের সুবিধে অনুযায়ীই ঋণদান করবে। কাজেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার প্রভাবাধীন সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির থেকে বাঙলাদেশ তার অপরিহার্য প্রয়োজনীয় ঋণ নেবে এবং নিজে সাম্রাজ্যবাদের প্রভাবমুক্ত থেকে এদেশের সরকার এদেশে সমাজতন্ত্র কায়েম করবে সেই গল্পের সাথে দিদিমার গল্পের কোন তফাৎ নেই।

এই দিদিমার গল্পই এখন বাঙলাদেশের আওয়ামী লীগ নেতারা জনগণকে শোনাচ্ছেন।

গণকণ্ঠ
২৩শে ডিসেম্বর, ১৯৭৩

সকল অধ্যায়

১. বাঙলাদেশে মার্কিন অনুপ্রবেশ
২. “গণমুখী” বক্তৃতা
৩. আওয়ামী লীগের জাতীয়করণ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে
৪. ভারত-বিরোধিতা ও সাম্প্রদায়িকতা
৫. জাতীয় রাজনীতি ক্ষেত্রে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ভূমিকা
৬. আওয়ামী লীগ সরকারের শ্রমনীতি
৭. সংবাদপত্র ও প্রকাশনার স্বাধীনতা
৮. আওয়ামী লীগ প্রস্তাবিত সংবিধান
৯. শাসনতন্ত্র প্রশ্নে বিরোধী দলগুলির ভূমিকা
১০. আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতি রক্ষা
১১. বাঙলাদেশের সংবিধান ও পরবর্তী নির্বাচন
১২. আইয়ুব খানের অস্ত্রাগার
১৩. আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা
১৪. বাঙলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তি
১৫. বাঙলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা
১৬. বাঙলাদেশে শ্রমিক হত্যা
১৭. জাতি সমস্যা ও ভাষা আন্দোলন
১৮. আওয়ামী লীগের ‘শুদ্ধি অভিযান’ প্রসঙ্গে
১৯. মাধ্যমিক শিক্ষক ধর্মঘট প্রসঙ্গে
২০. মুদ্রাযন্ত্র ও প্রকাশনা অর্ডিন্যান্স ১৯৭৩
২১. ত্রিদলীয় ঐক্যজোট ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন
২২. ১৯৪৮ সাল থেকে পশ্চিম এশিয়ায় দু’ধরনের যুদ্ধ চলছে
২৩. বাঙলাদেশের নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি
২৪. বাঙলাদেশের নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি
২৫. ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে
২৬. সংসদীয় বিরোধী দলসমূহের ঐক্য প্রসঙ্গে
২৭. দালাল আইনে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি প্রসঙ্গে
২৮. জনগণ গণতান্ত্রিক বিরোধী দলগুলির ঐক্য কেন চাইছেন?
২৯. ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের তাৎপর্য
৩০. বাঙলাদেশ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও স্বীকৃতি প্রসঙ্গে
৩১. প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও বাঙলাদেশের স্বাধীনতা
৩২. প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ও বাঙলাদেশে সাম্রাজ্যবাদী প্রভাব
৩৩. সাম্রাজ্যবাদের যুগে জাতীয়তাবাদ
৩৪. গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও স্বতঃস্ফূর্ততা

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন