আওয়ামী লীগ সরকারের শ্রমনীতি

বদরুদ্দীন উমর

আওয়ামী লীগ সরকারের শ্রমনীতি

বাঙলাদেশের বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যে শ্রমনীতি ঘোষণা করেছেন তার সাথে একদিকে বাঙলাদেশের বাস্তব অবস্থার যেমন কোন সম্পর্ক নেই তেমনি অন্যদিকে তা পুরোপুরিভাবে শ্রমিক-স্বার্থের বিরোধী।

এই নীতি অবাস্তব এজন্যে যে, তাকে একটা মৌলিক ভ্রান্ত ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই ভ্রান্ত ধারণা হচ্ছে এই যে, বাঙলাদেশ একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন রাখলেই ছেলে যেমন প্রকৃতপক্ষে পদ্মলোচন হয়ে যায় না, সে রকম একটি রাষ্ট্রকে ঢাকঢোল পিটিয়ে দিবারাত্রি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলে প্রচার করলেই সে রাষ্ট্র সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয়ে যায় না।

শিল্প বাণিজ্য ইত্যাদির শতকরা ৮৫ ভাগ জাতীয়করণ করা হয়েছে এই ‘কৃতিত্বের’ দোহাই পেড়ে বর্তমান সরকার যেভাবে সমাজতন্ত্রের নামাবলী গায়ে চড়িয়েছে তা সত্যিই হাস্যকর। কারণ শিল্প-বাণিজ্য জাতীয়করণ করলেই যে তা সমাজতন্ত্র অথবা সমাজতন্ত্রের পক্ষে “দৃঢ় পদক্ষেপ” হয় না, এ কথা বলাই বাহুল্য। সমাজতন্ত্রের মূল কথা হলো উৎপাদন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা মূলগত এবং বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এই মৌলিক এবং বৈপ্লবিক পরিবর্তন জাতীয়করণের মাধ্যমে হয় না। জাতীয়করণ যা করে তা হচ্ছে শিল্পের মালিকানা ব্যক্তির কাছ থেকে রাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর এবং শিল্পের পরিচালনাভার ব্যক্তি-মালিকের কর্মচারীদের হাতে অর্পণ। এই পরিবর্তনের মধ্যে কোন বিপ্লব নেই। কারণ এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের মৌলিক চরিত্র এক। সে চরিত্র হচ্ছে শোষকের চরিত্র। রাষ্ট্রের চরিত্র যতক্ষণ পর্যন্ত শোষণমূলক ততক্ষণ পর্যন্ত এই মালিকানা হস্তান্তরের দ্বারা কোন মৌলিক পরিবর্তন ঘটে না। শ্রমিকের শ্রম-শক্তি পূর্বের মতোই শোষিত হয় এবং ব্যক্তি-মালিক অথবা সরকারী আমলারা সেই শোষণের মুনাফার অংশীদার হয়। বাঙলাদেশেও তাই জাতীয়করণের ফলে শ্রমিক- মালিক সম্পর্কের কোন মৌলিক পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু সে পরিবর্তন না ঘটলেও সরকার সেই ধারণার ওপরেই ভিত্তি করে শ্রমনীতি নির্ধারণ করেছেন এবং নিজেদের প্রশাসন যন্ত্রকে এই ভ্রান্ত ধারণা ব্যাপকভাবে প্রচার করার উদ্দেশ্যে নিয়োজিত রেখেছেন।

যে কোন সমাজতান্ত্রিক দেশে রাষ্ট্র হলো শ্রমিক শ্রেণীর রাষ্ট্র। এজন্যে সেই ধরনের রাষ্ট্রে শ্রমজীবীরাই সর্বেসর্বা। সেখানে শিল্পক্ষেত্রে শ্রমিক-মালিক ভেদাভেদ নেই। শ্রমিকরা একদিকে যেমন উৎপাদনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন তেমনি সে উৎপাদন সংগঠন ও পরিচালনাও তাঁরাই করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের মধ্যে কোন শ্রেণী-ভেদাভেদ থাকে না। কিন্তু সে শ্রেণী-ভেদ ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের শিল্প সম্পর্কের ক্ষেত্রে থাকে। শতকরা ৮৫ ভাগ শিল্প জাতীয়করণের পরও বাঙলাদেশে আজও সেই অবস্থাই বিরাজ করছে। এখানেও শ্রমিক- মালিকের সম্পর্ক পুরোপুরিভাবে ধনতান্ত্রিক এবং সেই হিসেবে শ্রমিকের শ্রমশক্তিও শোষকশ্রেণীর দ্বারা নিদারুণভাবে শোষিত। ব্যক্তি-মালিকানাধীন শিল্পের সাথে রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পের তফাৎ শুধু এইটুকু যে প্রথম ক্ষেত্রে শোষককে চোখের ওপর দেখা যায় কিন্তু দ্বিতীয় ক্ষেত্রে শোষক পর্দার আড়ালে থাকে। কিন্তু দুই ক্ষেত্রে শোষণের তীব্রতা এবং ব্যাপকতার মধ্যে তেমন কোন তারতম্য ঘটে না। একথা যে কতখানি সত্য সেটা বাঙলাদেশের শ্রমিকদের বোঝানোর জন্যে সূক্ষ্ম বিশ্লেষণের প্রয়োজন হয় না। এ সত্য তারা নিজেদের জীবন দিয়েই অনুভব করেন।

কিন্তু তাঁরা নিজেদের জীবন দিয়ে যাই অনুভব করুন বর্তমান সরকার বাঙলাদেশকে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ধরে নিয়ে সেই ধারণাকে শ্রমিক শ্রেণীর স্বার্থের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে আজ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তাঁরা শ্রমিকদের ধর্মঘটকে বে-আইনী ঘোষণা করেছেন। এই ঘোষণার স্বপক্ষে যুক্তি হিসেবে তাঁরা একদিকে বলছেন যে তা ‘শান্তিপূর্ণ ও শাসনতান্ত্রিক’ পদ্ধতিতে শ্রমিকের দাবী দাওয়া অর্জনের পথকে প্রশস্ত করবে এবং অন্য দিকে তা উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে এই যে ধর্মঘট ‘শাসনতান্ত্রিক’ পদ্ধতির আওতাবহির্ভূত। তাই যদি হয় তাহলে শাসনতন্ত্রের দেশ গ্রেট বৃটেনে শ্রমিকদেরকে ধর্মঘটের অধিকার দান করে সরকার কি ‘শাসনতান্ত্রিক’ পদ্ধতিতে শ্রমিক মালিক বোঝাপড়ার সম্ভাবনা রহিত করেছেন? এর দ্বারা কি তাঁরা কোন অশাসনতান্ত্রিক রাজনীতির পথ উন্মুক্ত ও প্রশস্ত করেছেন? না, তাঁরা তা মোটেই করেননি এবং করতে পারেন না। কারণ ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থারই একটি অঙ্গ এবং ধর্মঘট ব্যতীত সেই ব্যবস্থায় কোন ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন সম্ভব নয়। কাজেই যেখানে ট্রেড ইউনিয়ন সেখানে ধর্মঘট। কিন্তু শুধু গ্রেট বৃটেনেই নয় সমস্ত উন্নত ধনতান্ত্রিক দেশেই ধর্মঘটের অধিকার ব্যাপকভাবে স্বীকৃত এবং এই স্বীকৃতির দ্বারা ‘শাসনতান্ত্রিক’ ব্যবস্থা কোন দেশেই বিপন্ন হচ্ছে না।

দ্বিতীয়তঃ, উৎপাদনের কথা। ধর্মঘট বে-আইনী করতে গিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির যুক্তিও দেখানো হয়েছে। বলা হয়েছে যে, ধর্মঘটের ফলে কাজ বন্ধ থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হয়। তা যদি হয় তাহলে উন্নত ধনতান্ত্রিক দেশে মালিকেরা ধর্মঘট বে-আইনী করে না কেন? করে না তার কারণ এর দ্বারা উৎপাদন সামগ্রিকভাবে মোটেই ব্যাহত হয় না। শ্রমিকের দাবী-দাওয়া যদি ধর্মঘটের মাধ্যমে নিষ্পত্তির সুযোগ না দেওয়া যায় তাহলে শিল্প এলাকায় শান্তি ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা এবং সেক্ষেত্রে উৎপাদনের আরও অনেক বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা, সেই আশঙ্কাকে এড়ানোর জন্যেই ধর্মঘটকে ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় স্বীকার করে নেওয়া হয়। কাজেই দেখা যাচ্ছে যে, ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থাতেও ধর্মঘটের মাধ্যমে শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থা অথবা উৎপাদন কোনটিই ‘বিপন্ন’ হয় না।

বর্তমান বাঙলাদেশে সরকার ধর্মঘটকে বেআইনী ঘোষণা করেছেন শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থা অথবা উৎপাদন অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে নয়। তার উদ্দেশ্য হলো ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার শোষণের সাথে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শ্রমিকদের প্রদত্ত সহযোগিতার যোগসাধন করে দ্বিগুণ ফায়দা হাসিল করা।

এই ফায়দা হাসিল করতে গিয়ে তারা ‘ম্যানেজমেন্ট বোর্ড’ এবং ‘ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিল’ নামে দুটি ব্যবস্থাপনা কমিটি সৃষ্টি করেছেন। এই দুই কমিটি এবং লেবার কোর্ট মিলে শ্রমিকদের দাবী-দাওয়াসহ অন্যান্য সমস্যা বিবেচনা করবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে। এ ক্ষেত্রে একদিকে যেমন ধর্মঘটের কোন ব্যবস্থা নেই অন্যদিকে তেমনি ব্যবস্থা নেই হাইকোর্টে আপীল করার। এ দেশের শ্রমিক শ্রেণীকে এই দুই অধিকার থেকে বঞ্চিত করে ম্যানেজমেন্ট বোর্ড, ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিল’ এবং ‘লেবার কোর্টের’ সরকারী অর্থাৎ বস্তুতঃপক্ষে মালিক পক্ষের তত্ত্বাবধানে তাদেরকে পূর্বের থেকে আরও তীব্র ও ব্যাপকভাবে শোষণ করার পথই প্রশস্ত করা হয়েছে।

এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে যে, উপরোক্ত বোর্ড ও কাউন্সিলে দুজন করে শ্রমিক প্রতিনিধি শ্রমিকের দ্বারা সরাসরি নির্বাচিত হয়ে যখন উপস্থিত থাকবেন তখন শ্রমিকদের স্বার্থ হানির তেমন আশঙ্কা আর কোথায়? কিন্তু একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে যে, ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের মধ্যে তিন জন প্রতিনিধি অর্থাৎ গরিষ্ঠ সংখ্যক হলেন সরকারী কর্মচারী। লেবার কোর্টের চরিত্র তো পুরোপুরিই সরকারী। কাজেই যে ক্ষেত্রে শ্রমিক ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোন সত্যিকার বিরোধ দেখা দেবে সেখানে শ্রমিক পক্ষের জয়লাভের বিন্দুমাত্র কোন সম্ভবনা নেই। গরিষ্ঠ ভোটে সেখানে সর্বক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের স্বার্থই রক্ষিত হবে। ধর্মঘট এবং হাইকোর্টে আপীল এ দুই ব্যবস্থা না থাকায় শ্রমিকদের দাবী-দাওয়ার ফলাফল এর দ্বারা নিশ্চিতভাবে সরকারী কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ শিল্পমালিকদের ওপর নির্ভরশীল থাকবে এবং এই নির্ভরশীলতার ফায়দা ওঠাবে সাধারণভাবে এ দেশের শোষক শ্রেণী এবং বিশেষভাবে শিল্প আমলারা।

এ ছাড়া আরও একটি বিষয়ও এখানে উল্লেখ করা দরকার। একথা সত্য যে, সম্প্রতি ঘোষিত সরকারী শ্রমনীতিতে ম্যানেজমেন্ট বোর্ড ও ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিলে শ্রমিক প্রতিনিধিরা সরাসরিভাবে নির্বাচিত হবেন। কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে, শুধুমাত্র সরাসরি নির্বাচিত হলেই প্রতিনিধিদের চরিত্র দেবতুল্য হয়ে যায় না।

কাজেই শুধু সরাসরি প্রতিনিধিত্বই যথেষ্ট নয়। কি অবস্থায় নির্বাচন হচ্ছে, কি পরিবেশে হচ্ছে ইত্যাদি প্রশ্নও এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক। প্রথমতঃ, ধর্মঘটের অবর্তমানে নির্বাচন অনেকখানি গুরত্বহীন হয়ে পড়বে এবং দালালদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা ষোলো আনা বৃদ্ধি পাবে। এমন কি প্রথম দিকে দালাল না হলেও পরে দালালে পরিণত হওয়ার প্রবণতা তাদের বাড়বে। দ্বিতীয়তঃ, শিল্প এলাকাগুলিতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা যেতে পারে যেখানে সরকারী বশংবদ শ্রমিকনেতা ব্যতীত অন্য কেউ আর নির্বাচিত হতে সক্ষম হবে না। সে ক্ষেত্রে নির্বাচন হয়ে পড়বে সম্পূর্ণ মূল্যহীন এবং তার দ্বারা শ্রমিক স্বার্থের বিন্দুমাত্র কোন প্রতিনিধিত্ব সম্ভব হবে না।

বর্তমান সরকারী শ্রমনীতির ঘোষণাতে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারে অনেক গালভরা কথা বলা হয়েছে। অনেক বড়ো বড়ো প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই শ্রমনীতি সর্বতোভাবে শ্রমিক স্বার্থের বিরোধী এবং কর্তৃপক্ষের স্বার্থ রক্ষার একটি মহাশক্তিশালী আইনগত হাতিয়ার। সরকার শ্রমিকদের ওপর এই হাতিয়ার ভালোমতো প্রয়োগ করতে ত্রুটি করবেন না। তবে এই প্রয়োগের ফলাফল ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন এবং বৃহত্তর রাজনীতির ক্ষেত্রে কি দাঁড়াবে সেটা অবশ্য স্বতন্ত্র কথা।

সাপ্তাহিক স্বাধিকার
৮ই অক্টোবর, ১৯৭২

সকল অধ্যায়

১. বাঙলাদেশে মার্কিন অনুপ্রবেশ
২. “গণমুখী” বক্তৃতা
৩. আওয়ামী লীগের জাতীয়করণ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে
৪. ভারত-বিরোধিতা ও সাম্প্রদায়িকতা
৫. জাতীয় রাজনীতি ক্ষেত্রে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ভূমিকা
৬. আওয়ামী লীগ সরকারের শ্রমনীতি
৭. সংবাদপত্র ও প্রকাশনার স্বাধীনতা
৮. আওয়ামী লীগ প্রস্তাবিত সংবিধান
৯. শাসনতন্ত্র প্রশ্নে বিরোধী দলগুলির ভূমিকা
১০. আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতি রক্ষা
১১. বাঙলাদেশের সংবিধান ও পরবর্তী নির্বাচন
১২. আইয়ুব খানের অস্ত্রাগার
১৩. আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা
১৪. বাঙলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তি
১৫. বাঙলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা
১৬. বাঙলাদেশে শ্রমিক হত্যা
১৭. জাতি সমস্যা ও ভাষা আন্দোলন
১৮. আওয়ামী লীগের ‘শুদ্ধি অভিযান’ প্রসঙ্গে
১৯. মাধ্যমিক শিক্ষক ধর্মঘট প্রসঙ্গে
২০. মুদ্রাযন্ত্র ও প্রকাশনা অর্ডিন্যান্স ১৯৭৩
২১. ত্রিদলীয় ঐক্যজোট ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন
২২. ১৯৪৮ সাল থেকে পশ্চিম এশিয়ায় দু’ধরনের যুদ্ধ চলছে
২৩. বাঙলাদেশের নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি
২৪. বাঙলাদেশের নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি
২৫. ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে
২৬. সংসদীয় বিরোধী দলসমূহের ঐক্য প্রসঙ্গে
২৭. দালাল আইনে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি প্রসঙ্গে
২৮. জনগণ গণতান্ত্রিক বিরোধী দলগুলির ঐক্য কেন চাইছেন?
২৯. ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের তাৎপর্য
৩০. বাঙলাদেশ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও স্বীকৃতি প্রসঙ্গে
৩১. প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও বাঙলাদেশের স্বাধীনতা
৩২. প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ও বাঙলাদেশে সাম্রাজ্যবাদী প্রভাব
৩৩. সাম্রাজ্যবাদের যুগে জাতীয়তাবাদ
৩৪. গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও স্বতঃস্ফূর্ততা

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন