বাঙলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা

বদরুদ্দীন উমর

বাঙলাদেশে সংবাদপত্রের অবস্থানকে এদেশের সামগ্রিক অবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রশ্নটিকে তার যথার্থ পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করা সম্ভব হবে না। কাজেই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রশ্ন আলোচনার পূর্বে বাঙলাদেশে আজ যে সামগ্রিক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা প্রয়োজন।

১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১-এর পর বাঙলাদেশে আওয়ামী লীগের সরকারী কর্তৃত্ব স্থাপিত হয়েছে। এই কর্তৃত্ব স্থাপিত হওয়ার পর এদেশে দ্রুতগতিতে একের পর এক অনেক ঘটনা ঘটেছে, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তিসমূহের বিন্যাস নোতুনভাবে হয়েছে। শ্রেণীসমূহের এই বিন্যাসের মধ্যে নোতুনত্ব যত অল্পই থাকুক, জাতি বিচারে তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। পূর্বে যে ক্ষমতা অবাঙলাভাষী পশ্চিম পাকিস্তানীদের হাতের মুঠোতেই প্ৰধানতঃ আবদ্ধ ছিলো সেই ক্ষমতা আজ বাঙলাভাষীদের মুষ্টিবদ্ধ।

ক্ষমতার এই হস্তান্তর দেশীয় উৎপাদনশক্তির মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন সাধন করতে সক্ষম হলেও তার দ্বারা এদেশে শাসক-শোষক শ্রেণীর শ্রেণীগত চরিত্রের মধ্যে কোন ‘মৌলিক’ পরিবর্তন সাধিত হয়নি। সামন্ত প্রভাব এখনো পর্যন্ত বাঙলাদেশে প্রায় পূর্ববৎ বর্তমান। সাম্রাজ্যবাদী প্রভাব, বিশেষত মার্কিন প্রভাব এখানে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি প্রাপ্তির পথে। শিল্প, ব্যাংক, বীমা ইত্যাদি জাতীয়করণের মাধ্যমে পুঁজিবাদ উচ্ছেদের যে মহড়াই সরকার দেন না কেন, এই সমস্তই যে বাঙলাদেশের উঠতি পুঁজি স্বার্থের প্রয়োজনে তাতেও কোন সন্দেহ নেই। এই ধরনের জাতীয়করণ পৃথিবীর অন্যান্য যে সমস্ত দেশে ঘটেছে, সেখানেও ঠিক সেই উদ্দেশ্যেই তা করা হয়েছে। তবে এসব সত্ত্বেও পূর্ববর্তী পাকিস্তান আমলের সাথে শুধু তফাৎ এটুকুই বলা চলে যে, তৎকালে পাকিস্তানী শাসক-শোষক শ্রেণী পূর্ব বাঙলায় সামন্তবাদের যতখানি রক্ষক ছিলো, সামন্তবাদকে তারা নিজেদের একচেটিয়া পুঁজিস্বার্থের প্রয়োজনে যতখানি দৃঢ়তার সাথে টিকিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর ছিলো, বর্তমান শাসক- শোষক শ্রেণী এ বিষয়ে ততখানি বদ্ধপরিকর ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নয়। এর মূল কারণ পূর্বের তুলনায়, সামান্য হলেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে পুঁজির বিকাশ এবং তার সাথে দেশীয় বাজারের বিস্তৃতি দ্রুততরভাবে ঘটতে বাধ্য। এবং এই বিকাশ ও বিস্তৃতির প্রয়োজনেই বাঙলাদেশের পুঁজিস্বার্থ অনেকাংশে সামন্ত স্বার্থকে খর্ব করতে উদ্যোগী। পুঁজি স্বার্থে এ উদ্যোগ তাদেরকে অব্যাহত রাখতেই হবে। লগ্নী পুঁজির দাসত্ব করে এদেশে শিল্প বিকাশের দিকে পা বাড়ানো সত্ত্বেও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এবং সাধারণভাবে এদেশের শাসক-শোষক শ্রেণীর ক্ষেত্রে একথা প্রযোজ্য। এই অর্থেই বাঙলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্র এবং সরকারকে সামগ্রিক সামাজিক বিকাশের দিক থেকে বিচার করে বলা চলে পাকিস্তান আমলের থেকে এক ধাপ অগ্রসর।

কিন্তু এই বিশেষ অর্থে এক ধাপ অগ্রসর হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সরকার আজ জনগণ থেকে দ্রুতগতিতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে কেন? এর কারণ, আপেক্ষিকভাবে (অর্থাৎ পাকিস্তানী আমলের থেকে সামাজিক অগ্রগতির দিক থেকে তুলনায়) কিছুটা অগ্রসর হলেও আওয়ামী লীগ এখন বাঙলাদেশে শোষক শ্রেণীরই মূল রাজনৈতিক সংগঠন। দাসতন্ত্রের থেকে সামন্তবাদ এবং সামন্তবাদের থেকে ধনবাদ সামাজিক দিক থেকে অগ্রসর পদক্ষেপ হলেও সামাজিক বিবর্তনের এই স্তরগুলোতে শ্রেণী শোষণ এবং শ্রেণী সংগ্রাম দুইই অব্যাহত থাকে। এক এক পর্যায়ে শোষণ ও সংগ্রামের চরিত্র পরিবর্তন হয় মাত্র। ঠিক সেইভাবেই পাকিস্তানী আমল এবং বর্তমান অবস্থায় আমাদের দেশের সামগ্রিক শ্রেণী-বিন্যাস ও উৎপাদন শক্তিসমূহের পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন সূচিত হলেও বাঙলাদেশ এখনো নিদারুণভাবে শ্রেণী বিভক্ত, শ্রেণী শোষণে জর্জরিত এবং তীব্র শ্রেণী-সংগ্রামের সম্ভাবনায় উদ্বেলিত।

এই শেষোক্ত কারণটিই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে জনগণ থেকে দ্রুতগতিতে বিচ্ছিন্ন করে চলেছে। এই দ্রুত বিচ্ছিন্নতার কারণ আমাদেরকে ১৯৭১ সালের নয় মাসকাল ব্যাপী প্রতিরোধ সংগ্রামের মধ্যেই অন্বেষণ করতে হবে। এই অন্বেষণের ফলে আমরা দেখতে পারবো যে, তৎকালীন সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে মুক্তির যে আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয়েছিলো, সে আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার কোন ক্ষমতা বাঙলাদেশে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ সরকার এবং শাসক-শোষক শ্রেণীর নেই। এদের শ্রেণীগত স্বার্থের সাথে ব্যাপক শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্ত জনগণের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আকাঙ্ক্ষার যে পবর্তপ্রমাণ পার্থক্য, সেই পার্থক্যই আজ জনগণের থেকে আওয়ামী লীগ সরকারকে দ্রুতগতিতে বিচ্ছিন্ন করে চলেছে এবং এ বিচ্ছিন্নতা যতই তাদের বাড়ছে, ততই তারা হারিয়ে ফেলছে নিজেদের ওপর আস্থা, প্রস্তুতি নিচ্ছে জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার, তাদের ওপর ব্যাপক আক্রমণের।

বাঙলাদেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রশ্নটিকে আজ আওয়ামী লীগের এই প্রস্তুতির পরিপ্রেক্ষিতেই বিচার করতে হবে। সেটা করলে দেখা যাবে যে, শুধু সংবাদপত্রের স্বাধীনতাই নয়, সাধারণভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতাই আজ বাঙলাদেশে ভয়ানকভাবে বিপন্ন। এই বিপদ শুধুমাত্র সরকারের থেকেই আসছে না; এই সরকার যে শোষক শ্রেণীসমূহের প্রতিনিধি, সেই শ্রেণীসমূহের অন্যান্য প্রতিনিধিরা প্রত্যক্ষ সরকারী আওতার বাইরে থেকেও ব্যক্তিস্বাধীনতা, মত প্রকাশ ও সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্বাধীনতাকে বিপন্ন করছে এবং অধিকতর ব্যাপক আকারে বিপন্ন করার আয়োজন করছে।

প্রথমেই আইয়ুবী আমলের অস্ত্রাগারে তৈরী প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স অর্ডিন্যান্সের কথা ধরা যাক। এই অর্ডিন্যান্সটি যে আইয়ুব খানের স্বৈরচারী শাসনের একটি বড়ো অস্ত্র ছিলো, তাতে কোন সন্দেহ নেই। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধকে ঠেকিয়ে রাখা এবং ধ্বংস করার যে নীতিগত কাঠামো আইয়ুব খান রচনা করেছিল, প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স অর্ডিন্যান্সের স্থান তাতে ছিলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অডিন্যান্সের বলে আইয়ুব ইচ্ছে মতো প্রকাশনা ও রাজনৈতিক প্রচারণার বিভিন্ন বিন্দুমুখকে নিয়ন্ত্রণ করতো। এজন্যে আওয়ামী লীগসহ সমস্ত বিরোধী দলসমূহই আইয়ুবী আমলে ছিলো এই অর্ডিন্যান্সটির বিরোধী।

পাকিস্তান-উত্তরকালের পূর্ব বাঙলা অর্থাৎ বাঙলাদেশে অনেকে আশা করেছিলেন যে স্বৈরাচারী আইয়ুবী আমলের এই রাজনৈতিক অস্ত্রটি আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক পরিত্যক্ত হবে, এদেশে প্রকাশনা ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থেকে জনগণ আর বঞ্চিত হবেন না। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে এই আশাবাদীদের আশা পূর্ণ হয়নি। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জনগণের কণ্ঠনালীর ওপর এই আলোচ্য অর্ডিন্যান্সটির চাপ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংবাদপত্রের এবং সাধারণভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণের জন্যে আইয়ুব খানের দ্বিতীয় ব্যবস্থা ছিলো প্রেস ট্রাস্ট। এই তথাকথিত জাতীয় প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য দ্বিবিধ। প্রথমতঃ, কতকগুলো সংবাদপত্রকে সরাসরি সরকারী কর্তৃত্বাধীনে নিয়ে এসে তার মাধ্যমে জনমতকে নিয়ন্ত্রণ ও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা। দ্বিতীয়তঃ, এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে দেশের কিছুসংখ্যক প্রতিষ্ঠাবান লেখক ও সাংবাদিককে প্রচলিত হারের থেকে উচ্চতর হারে বেতন দিয়ে অর্থাৎ চড়াদরে ক্রয় করে, তাদের লেখনীর ধারকে ভোঁতা করা। এই দ্বিতীয় ধরনের প্রচেষ্টা অবশ্য আইয়ুব আমলে শুধু প্রেস ট্রাস্টের সাংবাদিকদের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিলো না। অন্যান্য পত্রিকার ওপরতলার সাংবাদিকদের বেতনের হারও পরবর্তী পর্যায়ে পূর্বের তুলনায় অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়ে আইয়ুব খান তাদের কলমকেও অনেকাংশে স্তব্ধ করে দিয়েছিলো। এই ‘কমল বন্ধ’ করার প্রতিদানে কিছু সংখ্যক সাংবাদিকের শুধু যে বেতনের হারই বৃদ্ধি পেয়েছিলো তাই নয়! বিদেশ ভ্রমণ থেকে শুরু করে অন্যান্য অনেক রকম পুরস্কারের ব্যবস্থাও তাতে ছিলো।

সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে সে সময়ে যা করা হয়েছিলো, সাহিত্যিকদের ক্ষেত্রেও করা হয়েছিলো ঠিক তাই। সরকারী ও সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংশ্লিষ্ট বেসরকারী মহল থেকে সাধারণভাবে ওপরতলার লেখক, সাহিত্যিক, শিক্ষকদের ওপর আশীর্বাদ বর্ষণের যে ব্যাপক ব্যবস্থা আইয়ুব খান করেছিলো, সেটা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধকে ঠেকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে অনেকখানি কার্যকর হয়েছিলো। এর ফলে দেশের শ্রমিক, কৃষক ও মধ্যশ্রেণীর ব্যাপক অংশ আইয়ুবের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং সক্রিয় হওয়ার পূর্বে এই ধরনের লেখক, সাহিত্যিক, শিক্ষকদের আইয়ুব সরকারকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিরোধের প্রশ্ন ওঠেনি! সমগ্র দেশ যখন প্রতিবাদে সোচ্চার এবং প্রতিরোধে দৃঢ় হলো, একমাত্র তখনই মধ্যশ্রেণীভুক্ত এই সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক ও শিক্ষকেরা ‘সংগ্রামের’ পতাকা হাতে নিলেন।

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আইয়ুব খানের আমলে সরকারী এবং সরকারের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট আধা-সরকারী মহলের যে সমস্ত উদ্যোগের কথা ওপরে উল্লেখ করা হলো, তার সবগুলোই ‘তিরিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া বাঙলাদেশে পাকিস্তান আমলের মতোই জারী আছে। ‘কলম বন্ধ’-এর প্রতিদানে আইয়ুবী আমলের সব রকম উপরুল্লিখিত পুরস্কারেরই উত্তম ব্যবস্থা আজকের বাঙলাদেশে বিদ্যমান। শুধু তফাৎ এই যে, পূর্বে যে সামান্য আব্রু এই ধরনের সাংবাদিক-লেখক-শিক্ষকদের ছিলো আজ তাও নেই। দেশপ্রেম ও আত্মপ্রেম অদৃষ্টপূর্বভাবে একাকার হয়ে যাওয়ায় তাঁরা আজ আর চক্ষুলজ্জার ধার ধারেন না। তাঁদের হাতে দালালী এখন পরিণত হয়েছে একটা ‘গৌরবময়’ পেশায়।

একদিকে সরকারের প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স অর্ডিন্যান্স এবং অন্যদিকে ‘দেশপ্রেমিক’ বুদ্ধিজীবীদের এই আত্মবিক্রয় বাঙলাদেশে শুধু সংবাদপত্রের স্বাধীনতাই নয়, সামগ্রিকভাবে সর্বপ্রকার স্বাধীনতাকেই বিপন্ন এবং হরণ করার পক্ষে অনেকখানি সহায়ক। এই বিপদকেও তাই বিচ্ছিন্নভাবে দেখা চলে না।

বর্তমান বাঙলাদেশে শ্রেণী-শোষণ যেভাবে সংঘটিত হচ্ছে তার সাথে ওপরে উল্লিখিত বিপদের যোগসূত্র খুবই ঘনিষ্ঠ। এজন্যে শ্রেণীশোষণের প্রশ্নকে বাদ দিয়ে, শাসক শ্রেণীর সাথে শাসিত শ্রেণীর শোষণের সূত্রকে ছিন্ন করার রাজনৈতিক প্রশ্নকে বাদ দিয়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্যে কোন সংগ্রাম সম্ভব নয়। আইয়ুব-ইয়াহিয়ার সামরিক শাসন আমলেও সেটা সম্ভব ছিলো না। এখনো সেটা সম্ভব নয়। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার অধিকার পুরোপুরিভাবে একটি রাজনৈতিক প্রশ্ন এবং রাজনৈতিক সংগ্রামের মাধ্যমেই জনগণকে শাসক শ্রেণীর থেকে সেই অধিকারকে জোরপূর্বক আদায় করতে হবে।

দৈনিক গণকণ্ঠ
৩রা ফেব্রুয়ারী, ১৯৭৩

সকল অধ্যায়

১. বাঙলাদেশে মার্কিন অনুপ্রবেশ
২. “গণমুখী” বক্তৃতা
৩. আওয়ামী লীগের জাতীয়করণ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে
৪. ভারত-বিরোধিতা ও সাম্প্রদায়িকতা
৫. জাতীয় রাজনীতি ক্ষেত্রে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ভূমিকা
৬. আওয়ামী লীগ সরকারের শ্রমনীতি
৭. সংবাদপত্র ও প্রকাশনার স্বাধীনতা
৮. আওয়ামী লীগ প্রস্তাবিত সংবিধান
৯. শাসনতন্ত্র প্রশ্নে বিরোধী দলগুলির ভূমিকা
১০. আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতি রক্ষা
১১. বাঙলাদেশের সংবিধান ও পরবর্তী নির্বাচন
১২. আইয়ুব খানের অস্ত্রাগার
১৩. আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা
১৪. বাঙলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তি
১৫. বাঙলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা
১৬. বাঙলাদেশে শ্রমিক হত্যা
১৭. জাতি সমস্যা ও ভাষা আন্দোলন
১৮. আওয়ামী লীগের ‘শুদ্ধি অভিযান’ প্রসঙ্গে
১৯. মাধ্যমিক শিক্ষক ধর্মঘট প্রসঙ্গে
২০. মুদ্রাযন্ত্র ও প্রকাশনা অর্ডিন্যান্স ১৯৭৩
২১. ত্রিদলীয় ঐক্যজোট ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন
২২. ১৯৪৮ সাল থেকে পশ্চিম এশিয়ায় দু’ধরনের যুদ্ধ চলছে
২৩. বাঙলাদেশের নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি
২৪. বাঙলাদেশের নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি
২৫. ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে
২৬. সংসদীয় বিরোধী দলসমূহের ঐক্য প্রসঙ্গে
২৭. দালাল আইনে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি প্রসঙ্গে
২৮. জনগণ গণতান্ত্রিক বিরোধী দলগুলির ঐক্য কেন চাইছেন?
২৯. ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের তাৎপর্য
৩০. বাঙলাদেশ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও স্বীকৃতি প্রসঙ্গে
৩১. প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও বাঙলাদেশের স্বাধীনতা
৩২. প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ও বাঙলাদেশে সাম্রাজ্যবাদী প্রভাব
৩৩. সাম্রাজ্যবাদের যুগে জাতীয়তাবাদ
৩৪. গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও স্বতঃস্ফূর্ততা

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন