প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও বাঙলাদেশের স্বাধীনতা

বদরুদ্দীন উমর

স্বল্পতম সময়ে বাঙলাদেশের ‘গণতান্ত্রিক, জাতীয়তাবাদী, ধর্মনিরপেক্ষ এবং সমাজতান্ত্রিক’ সরকার যেমন একটি সংবিধান এদেশের জনগণকে উপহার দিয়েছিলেন, ঠিক সেরকমই তাঁরা স্বল্পতম সময়ে জনগণকে একটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ‘উপহার’ দিয়েছেন। এই পরিকল্পনাও যে সংবিধানের মতো উপরোক্ত চারটি মৌলিক নীতিমালার ওপর প্রতিষ্ঠিত, একথা পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত বৃহদাকার দলিলটির প্রথম দিকেই ঘোষিত হয়েছে। এই ঘোষণায় তাঁরা বলেছেন যে, “জাতীয় মুক্তির জন্যে সুদীর্ঘ সংগ্রামের’ মাধ্যমে যে ‘স্বাধীন’ বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে তার ‘জাতীয় অখণ্ডতা’ রক্ষা করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। কাজেই এদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির বোঝা তাঁরা অন্য কোন দেশের ঘাড়ে চাপাতে চান না। অর্থাৎ জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং অখণ্ডতা রক্ষার জন্যে বাঙলাদেশে একটি স্বনির্ভর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চান।

কাগুজে ঘোষণার ভিত্তিতে বিচার করলে বলতে হয়, উদ্দেশ্য মহৎ। কিন্তু আসল ব্যাপারটা কী? যে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাটি কমিশন প্রকাশ করেছেন তার মধ্যে এবং বাঙলাদেশের বর্তমান অর্থনীতি ও উৎপাদন ব্যবস্থার মধ্যে কি সত্যিকার এমন কোন সম্ভাবনা আছে যাতে মনে করা যেতে পারে যে, এ দেশের অর্থনীতি প্রথম পরিকল্পনার শেষে অথবা অল্পকিছু কালের মধ্যে এতখানি উন্নতি লাভ করবে যাতে বাঙলাদেশ প্রকৃত অর্থে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে কোমর খাড়া রেখে দাঁড়াতে পারে?

এ প্রসঙ্গে যে দুটি প্রশ্ন সব থেকে প্রাসঙ্গিক তা হলো আভ্যন্তরীণ উৎপাদন শক্তির বিকাশ এবং সেই বিকাশের মাধ্যমে আভ্যন্তরীণ সম্পদের বৃদ্ধি। দ্বিতীয়তঃ, ‘বৈদেশিক ঋণ ও সাহায্যের’ ওপর অর্থাৎ এক্ষেত্রে সাম্রাজ্যবাদী লগ্নী এবং পুঁজির ওপর নির্ভরশীলতার ক্রমশঃ হ্রাস প্রাপ্তি। এই দুই লক্ষ্য যদি দ্রুত এবং উপযুক্তভাবে অর্জিত না হয় তাহলে স্বনির্ভর অর্থনীতি যেমন গড়ে তোলা যায় না, তেমনি জাতীয় স্বাধীনতা অর্জন করাও প্রকৃতপক্ষে সম্ভব হয় না। উপরন্তু জাতীয় পরাধীনতাই দিন দিন প্রকট থেকে প্রকটতর রূপ পরিগ্রহ করে। সাম্রাজ্যবাদীদের নয়া ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের জাল সারাদেশে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়।

বাঙলাদেশের পরিকল্পনা কমিশন এবং বাঙলাদেশ সরকার যে এ বিষয়ে অজ্ঞ তা নয়। তাঁরা একথা ভালভাবে জানেন বলেই পূর্ববর্তী অনেক ভণ্ডামীপূর্ণ ঘোষণার মতো প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতেও তাঁরা ঘোষণা করেছেন যে, আভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধি করে এবং বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে এনে অচিরেই তাঁরা এদেশে একটি স্বনির্ভর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলবেন। এই গঠন কার্যক্ষেত্রে তাঁরা কি প্রস্তাব করেছেন সেটা দেখা যাক।

প্রথম পরিকল্পনায় পাঁচ বছরে উন্নয়নের জন্যে মোট ব্যয় হবে ৪,৪৫৫ কোটি টাকা। এই ব্যয়ের ৬০% ভাগ সংগৃহীত হবে আভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে এবং ৪০% ভাগ সংগৃহীত হবে বৈদেশিক ঋণ, সাহায্য ও ব্যক্তিগত বিনিয়োগের মাধ্যমে।

আভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক সূত্রে প্রাপ্ত অর্থের অনুপাত পাঁচ বৎসরের প্রত্যেক বৎসরে সমান থাকবে না। ১৯৭৩-৭৪ সালে আভ্যন্তরীণ সম্পদের অনুপাত হবে ৩৭% এবং বৈদেশিক ঋণ, সাহায্য এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগের অনুপাত হবে ৬২.২%। প্রথম বৎসরের বৈদেশিক বিনিয়োগের এই অনুপাত ক্রমশঃ কমে এসে ১৯৭৭-৭৮ সালে দাঁড়াবে ৩৭%। অর্থাৎ পাঁচ বৎসরে আভ্যন্তরীণ সম্পদ এমনভাবে বৃদ্ধি পাবে যাতে করে বিদেশের ওপর নির্ভরশীলতা উত্তরোত্তরভাবে কমে এসে বাঙলাদেশের অর্থনীতি পুরোপুরিভাবে তার নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।

আভ্যন্তরীণ সম্পদের এই সম্ভাব্য বৃদ্ধি সম্পর্কে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা দরকার। কারণ, কর ও রাজস্ব বৃদ্ধির একটা হার পরিকল্পনা কমিশন নির্ধারণ করেছেন। এই হার হবে ১৯৭৩-৭৪ সালে ৪.৫% এবং ১৯৭৭-৭৮ সালে ১৪.২%।

১৯৭১ সালের ডিসেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারেনি। সমগ্র প্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্যে একটা বিশৃঙ্খলা এবং প্রায়-নৈরাজ্যিক অবস্থা এতদিন বিরাজ করার ফলে রাজস্ব আদায় পূর্বের তুলনায় (ষাটের দশকের শেষ দিকে হার ছিল ৮% থেকে ১০%) কিছুই হয়নি। উৎপাদনের হার বৃদ্ধি পাওয়ার পরিবর্তে নিদারুণভাবে কমে আসার ফলে কল-কারখানাগুলি শুধু যে মুনাফা করতে অসমর্থ তাই নয়। উপরন্তু ব্যাংকগুলি থেকে ক্রমাগতভাবে ঋণ দানের মাধ্যমে সেগুলিকে কোন মতে চালু রাখা হয়েছে। ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের লুটতরাজ, ব্যবস্থাপকদের দুর্নীতি এবং অনীহা; বেসরকারী শ্রমিক ইউনিয়নগুলির উপর সরকারী শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃত্বের পরিকল্পিত আক্রমণ; প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, খুচরা যন্ত্রপাতি, বিদ্যুৎ সরবরাহ ইত্যাদির অভাব; এ সবকিছু মিলিয়ে শিল্প-উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে অবস্থা বিরাজ করছে তার কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন অদূর ভবিষ্যতে হওয়া সম্ভব বলে মনে করার কোন সঙ্গত কারণ নেই। পাকিস্তান আমলে সরকারী কর্তৃত্বাধীন শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলিতে নিয়মিতভাবে মুনাফার পরিবর্তে লোকসানই হতো। এখন যে শুধু লোকসানই হচ্ছে তাই নয়। লোকসানের পরিমাণ দুর্নীতির পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে তাল রেখেই বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্ষতির এই পরিমাণ পরবর্তী পর্যায়ে আরও বৃদ্ধি না পেয়ে হয়তো স্থিতিশীল থাকবে অথবা কিছু পরিমাণ কমবে। কিন্তু তার থেকে বিনিয়োগযোগ্য উদ্বৃত্ত বের করা যে বর্তমান রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যে একেবারেই অসম্ভব সে কথা বলাই বাহুল্য।

এই হলো বাস্তব অবস্থা। কিন্তু পরিকল্পনা কমিশন আভ্যন্তরীণ সম্পদের যে তালিকা দিয়েছেন তাতে রাজস্ব খাতে উদ্বৃত্ত দেখানো হয়েছে ৫৩৭ কোটি টাকা। এই ৫৩৭ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত দেখাতে গিয়ে তারা শিল্প খাতে ধরেছেন ৩৪৭ কোটি টাকা। শিল্প ব্যবস্থা এবং উৎপাদন সম্পর্কের ওপরে যা বলা হয়েছে তার থেকেই বোঝা যাবে এই উদ্বৃত্তের চিন্তার কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। এ উদ্বৃত্ত একেবারেই কাগুজে। তা যদি হয়, তাহলে রাজস্ব খাতে উদ্বৃত্ত ২০০ কোটিরও কম দাঁড়াচ্ছে।

কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এরপর হচ্ছে আমদানী-রপ্তানী কর। এই খাতে ধরা হয়েছে ৭৫৭ কোটি টাকা। রপ্তানী ও আমদানী খাতে রাজস্ব প্রকৃত আমদানী-রপ্তানীর দ্বারাই নির্ধারিত হবে, কোন কাল্পনিক হিসেবের দ্বারা নয়। রপ্তানীর ক্ষেত্রে পাট এবং পাটজাত দ্রব্যই প্রধান ড় শতকরা ৮০ ভাগ। কমিশন আশা প্রকাশ করেছেন যে, ভারতের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপিত হলে ভারতে পাট রপ্তানীর সম্ভাবনা অনেকখানি বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাস্তবতঃ কী দেখা যাচ্ছে? ভারত বাঙলাদেশ থেকে পাট আমদানীর কথা বললেও তারা এখন পরিণত হয়েছে একটি ‘রপ্তানীকারক’ দেশে! ব্যাপক চোরাচালানীর মাধ্যমে যে তা সম্ভব হচ্ছে একথা সরকারী-বেসরকারী কোন মহলেই এখন আর অজ্ঞাত নেই। এই চোরা কারবারে সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট বহু ক্ষমতাশালী ব্যক্তির স্বার্থ জড়িত আছে। কাজেই সে কারবার যে বন্ধ হবে তা আশা করা অর্থহীন। এর ফলে ভারতে এখন থেকে প্রতি বছরই দারুণ পাট উৎপাদন হবে এবং পাট রপ্তানী সেখানকার অর্থনীতি ক্ষেত্রে একটা নিয়মিত ব্যাপারে দাঁড়িয়ে যাবে।

কিন্তু বাঙলাদেশের অর্থনীতিতে তার প্রতিক্রিয়া কি হবে এ হিসেব খুব সহজ। বৈদেশিক মুদ্রা এবং রাজস্ব হ্রাস। এর প্রভাব শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ থাকবে না! আমদানীর পরিমাণও দারুণভাবে কমাতে হবে। উৎপাদনের ক্ষেত্রে তার কি পরিণতি হবে সেটা বোঝারও বিশেষ কোন অসুবিধে নেই। কারণ উৎপাদনের জন্যে প্রয়োজনীয় বহু জিনিসের আমদানী এর ফলে ব্যাহত হবে। আমদানী খাতে রাজস্বের পরিমাণও স্বভাবতঃই কমে আসবে।

পরিকল্পনাকালে আমদানী ২৫% বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেই হারে আমদানী বৃদ্ধি না হলে শুধু যে তা আমদানী খাতে রাজস্বকেই প্রত্যাশার তুলনায় কমিয়ে রাখবে তাই নয়, বিক্রয় করের পরিমাণও (২৪৩ কোটি) এর ফলে কমে যাবে। কারণ আমদানী কম হলে আমদানীকৃত সামগ্রীর বিক্রয়ও স্বভাবতঃই কম হবে এবং তার থেকে লব্ধ রাজস্বের পরিমাণও অনিবার্যভাবে হ্রাস পাবে।

শিল্প আমদানী-রপ্তানী, বিক্রয়কর ইত্যাদি খাতে রাজস্ব এইভাবে দাঁড়ালে মোট রাজস্ব উদ্বৃত্ত নিশ্চিত হয়ে গিয়ে আভ্যন্তরীণ সম্পদের গুরুত্ব (এই সমস্ত খাতে রাজস্ব মোট আভ্যন্তরীণ সম্পদের ৪৩% ভাগ) যে কমিশন প্রদত্ত গুরুত্বের তুলনায় অনেক কমে আসবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

সমগ্র পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাটির ওপর এবং দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতির ওপর এসবের ফল কী দাঁড়াবে? এখানে আবার উল্লেখ করা দরকার যে ১৯৭৩-৭৪ সালে আভ্যন্তরীণ সম্পদ এবং বৈদেশিক সম্পদের অনুপাত ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৩৮% এবং ৬২% এবং সমগ্র পরিকল্পনাকালে তা হলো যথাক্রমে ৬০% ও ৪০%।

আভ্যন্তরীণ সম্পদ মোট প্রত্যাশা (৪০%) অনুযায়ী কতখানি সংগ্রহ করা সম্ভব হবে সে কথা বাদ দিয়ে পরিকল্পনার প্রথম বছরে (যার অর্ধেক ইতিমধ্যেই পার হয়েছে) বৈদেশিক সম্পদ এবং আভ্যন্তরীণ সম্পদের গুরুত্বের তুলনা করলে দেখা যাবে যে, এখানে বৈদেশিক সম্পদের ওপর যে নির্ভরশীলতা দাঁড়িয়েছে সেটা কোন সমাজতান্ত্রিক দেশের তো কথাই নেই, অন্য কোন দেশেরই পরিকল্পনায় ইতিপূর্বে কখনো দেখা যায়নি। একদিকে পরিকল্পনার মধ্যেই বৈদেশিক (সাম্রাজ্যবাদী) সম্পদের ওপর এই অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা এবং অন্যদিকে নির্দিষ্ট আভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে উপরোক্ত বাধা-বিপত্তি ও ব্যর্থতা এ দেশের ‘উন্নয়ন’ অর্থনীতির চাবিকাঠি যে সাম্রাজ্যবাদীদের হাতেই সমর্পণ করবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

বৈদেশিক সম্পদের ওপর প্রথম বছরের নির্ভরশীলতা ধীরে ধীরে প্রতি বছর কমিয়ে এনে পঞ্চম বছরে ২৭% দাঁড় করানো সম্ভব হবে বলে কমিশন পরিকল্পনায় যে হিসেবে ধরেছেন সে হিসেব বহুলাংশে কাল্পনিক এবং অবাস্তব। কাজেই প্রকৃতপক্ষে যা হবে তা হলো এই যে, সমগ্র পরিকল্পনাটি একের পর এক ব্যর্থতার মধ্যদিয়ে বৈদেশিক ঋণ, সাহায্য ইত্যাদির ওপরেই বাঙলাদেশের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল করে তুলে এদেশে সাম্রাজ্যবাদের প্রভাবকে সমগ্র অর্থনীতির একটা স্থায়ী বিশেষত্বে পরিণত করবে।

উৎপাদন শক্তির বিকাশ ঘটিয়ে আভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধির মাধ্যমে বিনিয়োগযোগ্য উদ্বৃত্ত সংগ্ৰহ প্রধানতঃ রাজনৈতিক কারণে অসম্ভব হওয়ার ফলেই অর্থনীতিক্ষেত্রে এই পরনির্ভরশীলতা অধিকতরভাবে বাঙলাদেশকে অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদী দেশের প্রভুত্বের অধীন করবে। অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার নিদারুণ অভাবে যে-কোন দেশের ক্ষেত্রে যা ঘটা অবধারিত এদেশের ক্ষেত্রেও তাই ঘটবে। বাঙলাদেশ সাম্রাজ্যবাদী শোষণ ও চক্রান্তের একটি লীলাভূমিতে পরিণত হয়ে এদেশের জনগণকে উত্তরোত্তরভাবে সাম্রাজ্যবাদী দাসত্বের শৃঙ্খলে আরও বেশী করে আবদ্ধ করবে। বাঙলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ইত্যাদির কথা এখন কিছুটা রাজনৈতিক জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিদের কাছে হাস্যকর মনে হয়। প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার শেষে সামান্য একজন বালকের কাছেও সে দাবী রীতিমতো হাস্যকর বলেই মনে হবে।

বঙ্গবার্তা
১৭ই ডিসেম্বর, ১৯৭৩

সকল অধ্যায়

১. বাঙলাদেশে মার্কিন অনুপ্রবেশ
২. “গণমুখী” বক্তৃতা
৩. আওয়ামী লীগের জাতীয়করণ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে
৪. ভারত-বিরোধিতা ও সাম্প্রদায়িকতা
৫. জাতীয় রাজনীতি ক্ষেত্রে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ভূমিকা
৬. আওয়ামী লীগ সরকারের শ্রমনীতি
৭. সংবাদপত্র ও প্রকাশনার স্বাধীনতা
৮. আওয়ামী লীগ প্রস্তাবিত সংবিধান
৯. শাসনতন্ত্র প্রশ্নে বিরোধী দলগুলির ভূমিকা
১০. আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতি রক্ষা
১১. বাঙলাদেশের সংবিধান ও পরবর্তী নির্বাচন
১২. আইয়ুব খানের অস্ত্রাগার
১৩. আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা
১৪. বাঙলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তি
১৫. বাঙলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা
১৬. বাঙলাদেশে শ্রমিক হত্যা
১৭. জাতি সমস্যা ও ভাষা আন্দোলন
১৮. আওয়ামী লীগের ‘শুদ্ধি অভিযান’ প্রসঙ্গে
১৯. মাধ্যমিক শিক্ষক ধর্মঘট প্রসঙ্গে
২০. মুদ্রাযন্ত্র ও প্রকাশনা অর্ডিন্যান্স ১৯৭৩
২১. ত্রিদলীয় ঐক্যজোট ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন
২২. ১৯৪৮ সাল থেকে পশ্চিম এশিয়ায় দু’ধরনের যুদ্ধ চলছে
২৩. বাঙলাদেশের নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি
২৪. বাঙলাদেশের নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি
২৫. ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে
২৬. সংসদীয় বিরোধী দলসমূহের ঐক্য প্রসঙ্গে
২৭. দালাল আইনে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি প্রসঙ্গে
২৮. জনগণ গণতান্ত্রিক বিরোধী দলগুলির ঐক্য কেন চাইছেন?
২৯. ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের তাৎপর্য
৩০. বাঙলাদেশ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও স্বীকৃতি প্রসঙ্গে
৩১. প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও বাঙলাদেশের স্বাধীনতা
৩২. প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ও বাঙলাদেশে সাম্রাজ্যবাদী প্রভাব
৩৩. সাম্রাজ্যবাদের যুগে জাতীয়তাবাদ
৩৪. গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও স্বতঃস্ফূর্ততা

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন