আওয়ামী লীগের ‘শুদ্ধি অভিযান’ প্রসঙ্গে

বদরুদ্দীন উমর

আওয়ামী লীগের ‘শুদ্ধি অভিযান’ প্রসঙ্গে

১৯৭৩ সালের ফেব্রুয়ারী সবে মাত্র শেষ হলো। এ বছরের ২১শে ফেব্রুয়ারীর ঘটনাসমূহ আমাদের চোখের সামনে এখনো জ্বল জ্বল করে ভাসছে। সাধারণভাবে হতবুদ্ধিতার প্রথম পর্ব কাটিয়ে এখন শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসার পর্ব কেন এমন হলো? বাঙলাদেশ স্থাপিত হওয়ার পর এদেশের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং সামগ্রিকভাবে সামাজিক জীবনে এমন কি পরিবর্তন ঘটলো যার ফলে এ দেশের জনগণ সর্বশ্রেষ্ঠ দিবস হিসেবে যে দিনটিকে এতকাল পালন করেছেন, তার সংগ্রামী পবিত্রতা রক্ষা করেছেন, সেই দিনে যুবশক্তির একাংশ, যে অংশ যতই ক্ষুদ্র হোক, দুষ্কৃতিকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ঢাকার বিভিন্ন রাজপথে তো বটেই, এমন কি শহীদ মিনারের বেদীর ওপর দাঁড়িয়ে নানান সমাজবিরোধী কার্যে ‘সাহসিকতার’ সাথে লিপ্ত হতে পারলো?

এ প্রশ্নের সঠিক জবাব পেতে হলে এবং তার রাজনৈতিক তাৎপর্যকে যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে হলে একুশে ফেব্রুয়ারীর এইসব ঘটনাকে বাঙলাদেশ-উত্তরকালের অন্যান্য ঘটনা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখলে চলবে না। বলাই বাহুল্য, এবারকার একুশে ফেব্রুয়ারীতে যে- সমস্ত ঘটনা ঘটেছে সেগুলো মধ্যবিত্তের প্রচলিত ধ্যান-ধারণা এবং তাদের ঐতিহ্যিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিরোধী। শুধু তাই নয়, এ সবের দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে, মধ্যবিত্ত মূল্যবোধ এবং যে সমাজের উপর দাঁড়িয়ে সেই মূল্যবোধ টিকে থাকার কথা, সেই সমাজ আজ খান খান হয়ে ভেঙ্গে পড়ছে। এজন্যেই একুশে ফেব্রুয়ারীর ঘটনাবলী সাধারণ অর্থে যতই ঘৃণা-উদ্দীপক ও হতাশাব্যঞ্জক হোক না কেন, তার রাজনৈতিক তাৎপর্যকে আমাদের বর্তমান ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিতেই বিচার করতে হবে।

কোন সমাজে যখন সমাজবিরোধী কার্যকলাপের ব্যাপকতা ও তীব্রতা বৃদ্ধি পায়, তখন বাহ্যত সেটা একটা নৈতিক সমস্যা হিসেবে দেখা দিলেও সে সমস্যার মূল অর্থনৈতিক জীবনের মধ্যেই প্রোথিত থাকে। বাঙলাদেশের ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য। ব্যাপকতম আকারে আজ যেটাকে নৈতিক নৈরাজ্য বলে মনে হচ্ছে, সে নৈরাজ্য বাঙলাদেশে আর্থিক জীবনের নৈরাজ্যেরই অপরিহার্য পরিণতি। একুশে ফেব্রুয়ারীতে কিছুসংখ্যক যুবকের সে উচ্ছৃঙ্খলতা এবং নৈতিক অধঃপতন দেখে অনেকে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন, সে উচ্ছৃঙ্খলতা আজ বাঙলাদেশের আর্থিক জীবনের সর্বস্তরে। এই ‘উচ্ছৃঙ্খলতা’ এবং ‘অধঃপতন’ প্রকৃতপক্ষে এদেশের ‘সামন্তশক্তি’, মুৎসুদ্দী আমলাপুঁজি ও সাম্রাজ্যবাদকবলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ক্ষয়িষ্ণুতা এবং ধ্বংসোন্মুখিতারই বহিঃপ্রকাশ। এজন্যেই এই নৈরাজ্য কেবলমাত্র নৈতিক জীবনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। শাসক-শোষকশ্রেণীর সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের মধ্যেই এই নৈরাজ্য আজ ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাদের অর্থনৈতিক সংকট তাদের আপাত এবং ব্যাহত শক্তিশালী অবস্থান সত্ত্বেও রাজনৈতিক বিরোধী শক্তির উস্কানী সম্পর্কে তাদের ভীতি, নিজেদের দলীয় ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্যে ব্যাপক দুর্নীতি ইত্যাদি বাঙলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর এখানকার সমাজের ক্ষয়িষ্ণুতাকে আরও এগিয়ে দিয়েছে।

যে সমাজ ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাস থেকে ক্রমাগতভাবে একটা অবক্ষয়ের মাধ্যমে এগিয়ে আসছিলো, সে সমাজের কাঠামো, তার মূল্যবোধের ভিত্তিভূমি ধ্বসে পড়ে বিনষ্ট হচ্ছিলো, সে সমাজের এই বিনষ্ট হওয়ার প্রত্রিয়া একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে বাঙলাদেশ স্থাপিত হওয়ার ফলে শেষ হয়নি। উপরন্তু সেই প্রক্রিয়া পাকিস্তানোত্তর বাঙলাদেশে শুধু যে জারী আছে তাই নয়, দ্রুততর হয়েছে।

অবক্ষয় দ্রুততর হওয়ার ফলে বাঙলাদেশে পাকিস্তান আমলের সব কিছুরই পুনরাবৃত্তি ঘটছে। শুধু পুনরাবৃত্তি ঘটছে বললে ভুল হবে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সামাজিক অবক্ষয়কে বাহ্যত নানান সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে যেভাবে চিহ্নিত হতে দেখা যেতো এখন সে সবই চিহ্নিত হচ্ছে ব্যাপকতর আকারে। সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ছাত্রসম্পর্কীয় ইত্যাদি যে-কোন বিষয়ের দিকেই দৃষ্টি ফেরানো যাক, সেখানে দেখা যাবে পাকিস্তানী আমলের বিশেষ করে আইয়ুব-মোনেম-ইয়াহিয়ার আমলের সমস্ত কিছুই যেন ‘নবজীবন’ লাভ করে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদেরকে প্রতিফলিত করছে। ‘তিরিশ লক্ষ’ জীবনের বিনিময়ে অর্জিত বাঙলাদেশ সম্পর্কে রাশি রাশি গালভরা সরকারী বক্তব্য সত্ত্বেও একথা সত্য। এতো সত্য যে, প্রকৃতপক্ষে সরকারী দল আওয়ামী লীগ এবং তাদের সরকারের পক্ষেও তাকে পুরোপুরি অস্বীকার করা আর সম্ভব হচ্ছে না। এজন্যেই তারা বেসামাল অবস্থায় কখনো বিরোধীপক্ষীয় রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর, কখনো নিজেদের সরকারী আমলাদের ওপর, কখনো নানান ধরনের দুষ্কৃতিকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে ‘দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত’ করার জন্যে লাফালাফি করছে, ‘শুদ্ধি আন্দোলনের’ হুমকি দিচ্ছে।

কিন্তু শুদ্ধি আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত করা কি আওয়ামী লীগের মতো একটি রাজনৈতিক দল এবং তাদের সরকারের পক্ষে সম্ভব? যাঁরা এই শুদ্ধি অভিযানের হুমকি দিয়ে দেশময় এক ত্রাসের রাজত্ব আজ সৃষ্টি করেছে, তাদের শ্রেণী-চরিত্র কি? এই শ্রেণী কি প্রগতিশীল না তা বর্তমান ক্ষয়িষ্ণু সমাজেরই একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ? নির্বাচনোত্তর পর্যায়ে সরকারী দল আওয়ামী লীগের শুদ্ধি অভিযান সম্পর্কে যে-কোন আলোচনা এ-সব প্রশ্নকে বাদ দিয়ে সম্ভব নয়।

পাকিস্তান আমলে আওয়ামী লীগের শ্রেণী-চরিত্র বিচার করতে গিয়ে দেখা যায় যে, একদিকে যেমন তা শ্রমিক-কৃষকের দল ছিলো না, অন্যদিকে তেমনি তা পূর্ব বাঙলার সর্বোচ্চ পর্যায়ের শিল্পস্বার্থ, সর্বোচ্চ পর্যায়ে আমলা ও ব্যবসায়িক স্বার্থের এবং সাধারণভাবে উচ্চশিক্ষিত জনগণের রাজনৈতিক দলও ছিলো না। এরা সকলেই মোটামুটিভাবে ১৯৭০-৭১ সালে বিভিন্ন কারণে আওয়ামী লীগের পতাকাতলে সমবেত হলেও আওয়ামী লীগের মধ্যে তাদের দৃঢ় ভিত্তি ছিলো না। যাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সেই ভিত্তি ছিলো, আওয়ামী লীগ মূলতঃ যাদের প্রতিনিধিত্ব করতো, তারা হলো নিম্নমধ্যবিত্ত চাকরিজীবী, অপেক্ষাকৃত ছোট ব্যবসায়ী, ক্ষুদ্র শিল্পস্বার্থ, গ্রাম্য ও শহুরে ফড়িয়া এবং জোতদার মহাজন শ্রেণীর একাংশ।

আওয়ামী লীগের এই শ্রেণীভিত্তির জন্যে দেখা যাবে যে, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের পর থেকে এই সমস্ত শ্রেণীর লোকেরা নিজেদের স্বার্থকে অপেক্ষাকৃত ভালোভাবে গুছিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। এদের তুলনায় এদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের শিল্পস্বার্থ, আমলা প্রভৃতিরা অনেকখানি বেকায়দায়। পাকিস্তানি মালিকানাভুক্ত পূর্ব বাঙলার শতকরা ৭০ ভাগ শিল্পকারখানার সাথে শতকরা আরও ১৪ ভাগ বাঙালী শিল্পকারখানা সরকার যখন জাতীয়করণের মাধ্যমে নিজের আয়ত্তে নিয়ে এলো, এই জন্যই তখন ১৪ ভাগের মালিকেরা সরকারকে কোন বাধা দিতে সক্ষম হলো না। পাকিস্তানী আমলের আমলাদের কোন শক্ত ঘাঁটি আওয়ামী লীগের মধ্যে না থাকায় তারাও সাময়িকভাবে নানান অসুবিধার সম্মুখীন হলো।

অন্যদিকে লাভ হলো তাদের, যারা আওয়ামী লীগ, রাজনীতির ভিত্তিভূমি। শিল্পকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত ছোট স্বার্থকে আঘাত না করে তাকে জীইয়ে রাখার ব্যবস্থা হলো এবং পরবর্তী পর্যায়ে সেই স্বার্থ যাতে ক্রমাগতভাবে নিজেকে স্ফীত করে তুলতে পারে তার জন্যে সবরকম নীতিগত ব্যবস্থাই গৃহীত হলো। ভূমিসংস্কারের ক্ষেত্রে একশো বিঘা জমির সিলিং নির্ধারণ ইত্যাদির কথা বলে সরকার ভূমিসংস্কারের যে কর্মসূচী ঘোষণা করেছিলো জোতদার মহাজনদের জোর আপত্তির কারণে যে সেটা এখন অনেকখানি ভিন্ন আকার ধারণ করেছে সে বিষয়েও কোন সন্দেহ নেই। পরিবারের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে এ ক্ষেত্রে তারা বাজী অনেকখানি মাৎ করেছে।

এরপর গ্রাম্য এবং শহুরে ফড়িয়ার দল। এই প্রাথমিক পর্যায়ে শ্রেণীগতভাবে এরাই লাভবান হয়েছে সব থেকে বেশী এবং সমাজের অবক্ষয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে, তার অনিবার্য ধ্বংসকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে এদের ভূমিকা আজ সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এরাই আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার সিংহভাগ আজ লুটপাট করে খাচ্ছে, নিজেদেরকে অর্থনৈতিক দিক থেকে সংগঠিত ও শক্তিশালী করছে। পরবর্তী পর্যায়ে এই শ্রেণীটাই নিজের উন্নতিকে আরও উচ্চস্তরে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বর্তমানের জাতীয়করণের আওতাভুক্ত শিল্প- বাণিজ্য ও কলকারখানাকে হস্তগত করার ব্যাপারে দারুণভাবে সচেষ্ট থাকবে এবং সেই পর্যায়ে আমলাদের সাথে তাদের বিরোধ অনেকখানি নিষ্পত্তি হয়ে তারা পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ‘দেশগড়ার’ কাজে নিযুক্ত হবে।

এই সমস্ত ফড়িয়ারা আওয়ামী লীগের মধ্যে বেশী শক্তিশালী হবার ফলে একদিকে যেমন অবাঙালীদের ধনসম্পত্তি লুটতরাজ অবাধ হয়েছে, অন্যদিকে তেমনি তাদের ‘পারমিট ব্যবসায়ের’ মাধ্যমে দেশে তারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগের পাকিস্তানী আমলের একটা মূল খুঁটি চাকরিজীবী, নিম্নমধ্যবিত্তের আর্থিক জীবনকে রীতিমতো বিপন্ন করে তুলেছে। দেশময় আজ যে ব্যাপক সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং নৈতিক নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে, আওয়ামী লীগের অন্যতম মূল খুঁটি এই ফড়িয়া শ্রেণীটির দায়িত্বই সেক্ষেত্রে সব থেকে বেশী।

কিন্তু মজার ব্যাপার এই যে, এই ফড়িয়া শ্রেণীর মুখ থেকেই এখন ‘শুদ্ধি অভিযান’-এর মাধ্যমে দেশকে ‘দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত’ করার চিৎকার উঠছে সব থেকে বেশী। এক দিকে ঐতিহ্যিক মধ্যবিত্ত মূল্যবোধের মূলে এরা নিজেদের দুষ্কৃতি এবং নানান দুর্নীতির মাধ্যমে যেমন কুঠারাঘাত করছে, জোতদার-মহাজন-আমলা-মৃৎসুদ্দী সাম্রাজ্যবাদ কবলিত বাঙলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গেচুরে খান খান হওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করছে, অন্যদিকে তেমনি এরাই আবার সে-সমস্ত দুষ্কৃতি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শুদ্ধি অভিযানের’ নামে বর্তমান সমাজের ক্রমাগত অবক্ষয় এবং অনিবার্য ধ্বংসকে ঠেকিয়ে রাখার জন্যে নানান বাগাড়ম্বর করছে। চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে চোর নিজেই ‘চোর চোর বলে চিৎকার করলে যে অবস্থা হয় শুদ্ধি অভিযানকারীদের অবস্থাও আজ তাই। এজন্যে আওয়ামী লীগের এই অভিযান সাময়িকভাবে যে ‘সাফল্যই’ অর্জন করুক তার দ্বারা বর্তমান সমাজের ক্রমাগত অবক্ষয়ের পরিণতি এবং নিজেদের ধ্বংসকে রোধ করা তাদের দ্বারা কোনো মতেই সম্ভব হবে না।

দৈনিক গণকণ্ঠ
৭ই মার্চ, ১৯৭৩

সকল অধ্যায়

১. বাঙলাদেশে মার্কিন অনুপ্রবেশ
২. “গণমুখী” বক্তৃতা
৩. আওয়ামী লীগের জাতীয়করণ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে
৪. ভারত-বিরোধিতা ও সাম্প্রদায়িকতা
৫. জাতীয় রাজনীতি ক্ষেত্রে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ভূমিকা
৬. আওয়ামী লীগ সরকারের শ্রমনীতি
৭. সংবাদপত্র ও প্রকাশনার স্বাধীনতা
৮. আওয়ামী লীগ প্রস্তাবিত সংবিধান
৯. শাসনতন্ত্র প্রশ্নে বিরোধী দলগুলির ভূমিকা
১০. আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতি রক্ষা
১১. বাঙলাদেশের সংবিধান ও পরবর্তী নির্বাচন
১২. আইয়ুব খানের অস্ত্রাগার
১৩. আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা
১৪. বাঙলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তি
১৫. বাঙলাদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা
১৬. বাঙলাদেশে শ্রমিক হত্যা
১৭. জাতি সমস্যা ও ভাষা আন্দোলন
১৮. আওয়ামী লীগের ‘শুদ্ধি অভিযান’ প্রসঙ্গে
১৯. মাধ্যমিক শিক্ষক ধর্মঘট প্রসঙ্গে
২০. মুদ্রাযন্ত্র ও প্রকাশনা অর্ডিন্যান্স ১৯৭৩
২১. ত্রিদলীয় ঐক্যজোট ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন
২২. ১৯৪৮ সাল থেকে পশ্চিম এশিয়ায় দু’ধরনের যুদ্ধ চলছে
২৩. বাঙলাদেশের নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি
২৪. বাঙলাদেশের নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি
২৫. ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে
২৬. সংসদীয় বিরোধী দলসমূহের ঐক্য প্রসঙ্গে
২৭. দালাল আইনে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি প্রসঙ্গে
২৮. জনগণ গণতান্ত্রিক বিরোধী দলগুলির ঐক্য কেন চাইছেন?
২৯. ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের তাৎপর্য
৩০. বাঙলাদেশ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও স্বীকৃতি প্রসঙ্গে
৩১. প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও বাঙলাদেশের স্বাধীনতা
৩২. প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ও বাঙলাদেশে সাম্রাজ্যবাদী প্রভাব
৩৩. সাম্রাজ্যবাদের যুগে জাতীয়তাবাদ
৩৪. গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও স্বতঃস্ফূর্ততা

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন