ডার্টি গেম – ১১

কাজী আনোয়ার হোসেন

এগারো

হেলিকপ্টার থেকে যে ওয়েদার টাওয়ার দেখেছে রানা, এখন সেদিকেই চলেছে ও। একবার বিসিআই-এ যোগাযোগ করতে পারলে জানিয়ে দেবে কোথায় আছে। মাত্র চব্বিশ ঘণ্টা ছাব্বিশ মিনিট পর বিস্ফোরিত হবে ওর গোড়ালির টাইম বম।

পাহাড়, জঙ্গল, মরুভূমি, মেরু এলাকা ও সাগরে রানার আছে ইনটেনসিভ সার্ভাইভাল ট্রেনিং। তবুও দরকারি যন্ত্রপাতি ছাড়া পেরোতে পারবে না সাগরতীরের খাড়া ক্লিফ। ফলে ওকে যেতে হবে গভীর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে। মাথার ওপরে গাছপালা থাকবে, তাই সূর্য দেখতে না পেয়ে খুঁজে নিতে পারবে না নিখুঁত কোন কোর্স। তার ওপর রুক্ষ পাথুরে এলাকায় কোনভাবেই বুঝবে না কোথায় চলেছে।

রানা বুঝে গেল, ওর এখন চাই নিখুঁত কোন কমপাস। তাই ভাবল তৈরি করে নেবে ওঅটার কর্ক দিক নির্দেশক। তবে সেজন্যে লাগবে চৌম্বক সুঁই বা কোন ধাতু।

বারবার চুম্বকে ঘষলে সুঁই হয়ে উঠবে চুম্বকীয়। জিপিএস-এর মেকানিযম দেখল রানা। জিনিসটার ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফোর্স ব্যবহার করে কমপাস তৈরি করা খুব কঠিন কিছু হবে না। তবে আগে ওর লাগবে সুঁই ও একটা কর্ক।

ব্রেসলেটের তার খুলে নিলে সেটা কাজে লাগত, কিন্তু তাতে হয়তো বিস্ফোরিত হবে বোমা।

কয়েক সেকেণ্ড ভেবে পকেট থেকে চাবি নিয়ে পাথরের সরু এক ফাটলে গুঁজল রানা। বাঁকা করতেই মট্ করে ভাঙল চাবি। সরু অংশটা সংগ্রহ করল ও। এরপর সৈকতের শৈবালের ভেতর থেকে বেছে নিল ছোট একটা কন্দ।

ব্রেসলেটের ইলেকট্রনিক্স অংশে ঘষতে লাগল চাবির সরু অংশ। মিনিট দুয়েক পর শৈবালের কন্দের ওপরে সাবধানে বসিয়ে নিল আলকারাযের চাবির অংশ। ছোট্ট এক ডোবায় ভাসিয়ে দিল কন্দ। ধীরে ধীরে বাঁক নিয়ে চাবির সরু দিক তাক হয়ে গেল উত্তরদিকে।

.

বিশাল তাঁবুর মস্ত স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে মাসুদ রানাকে। ছোট এক উপসাগরের সৈকত পেরিয়ে জঙ্গলের দিকে চলেছে সে। অপেক্ষাকৃত ছোট আরও সাতটি স্ক্রিনে অন্য সাত প্রতিযোগী। যে-যার মত দ্বীপের গভীর জঙ্গল লক্ষ্য করে চলেছে তারা। পরস্পরের মধ্যে দেখা হচ্ছে না তাদের।

বিরক্তি ও হতাশা নিয়ে তাঁবুর ভেতরে পায়চারি করছে প্রযোজক স্টিল। বুঝে গেছে, কিছুক্ষণের মধ্যে আকর্ষণীয় কিছু না ঘটলে ঝপ্ করে কমে যাবে তার দর্শক-সংখ্যা। পয়সা খরচ করে ভাল অনুষ্ঠান দেখতে না পেয়ে গালি দেবে ব্লগগুলো থেকে। সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে মৃত্যু হয়েছে ডার্টি গেমের শো-র।

তাঁবুতে সিম্পসন ঢুকতেই তাকে ধমকের সুরে বলল স্টিল, ‘শো ভালভাবে চলছে না! এখনই রসদ ফেলো বি-২৫ বিমানের কাছে!’

দেরি না করে রেডিয়োতে পাইলটের সঙ্গে কথা বলতে লাগল সিকিউরিটি চিহ্ন রিভ সিম্পসন।

.

সাগর থেকে তীরে উঠে পায়ের বেড়ি ও হ্যাণ্ডকাফ খুলে নিয়েছে জনি এস. ক্লার্ক। গার্ডের কনুইয়ের গুঁতো খেয়ে এখনও টনটন করছে তার ঘাড়। হেলিকপ্টার থেকে বেকায়দাভাবে পড়ে আরেকটু হলে মটকে যেত মাথা। কনকনে ব্যথা মেরুদণ্ডে। তিক্ত ক্লার্ক ভাবছে, আমেরিকায় থাকলে দলের ছেলেদের দিয়ে অন্ধকার কোন গলিতে বদমাশ গার্ডের জান কবজ করিয়ে নিত। অথচ এখন এই অচেনা দ্বীপে কিছুই করার নেই তার। এটা চেনা কোন ক্লাব নয় যে, তাকে এসে বিয়ার সাধবে কেউ। ড্রাগ ঘুষ দিয়ে কিনে নিতে পারবে না কাউকে। উপায় নেই এ-নরক থেকে ভেগে যাওয়ার। নিজেকে হেরে যাওয়া একজন মানুষ বলে মনে হচ্ছে ওর।

গোড়ালির টাইম বমের দিকে তাকালে ভয়ে কেমন যেন শিরশির করছে বুক। রিভ সিম্পসন শালা বলে দিয়েছে, ওটা নিয়ে বেশি নাড়াচাড়া করতে গেলে যখন-তখন ‘বুম!’ করে ফাটবে!

হাতের শেকল দিয়ে ব্রেসলেটের লকে হালকা একটা বাড়ি দিল ক্লার্ক। ডিভাইসের ডায়ালে চলছে টাইমার। শেকল দিয়ে আরেক বাড়ি দিতেই ধীর লয়ে বিইইইপ আওয়াজ করল টাইমার। তাতে মরুভূমির মত শুকিয়ে গেল ড্রাগ ডিলারের গলা। জুলজুল করে চেয়ে রইল ডায়ালের দিকে। ভাবছে, এই বুঝি, শালা, বোমা ফেটে মরলাম!

আর তখনই প্রচণ্ড বিস্ফোরণে আড়াই ফুট ওপরে লাফ দিয়ে উঠল ক্লার্ক। কয়েক সেকেণ্ড পর বুঝল, মরে যায়নি সে। একমাইল দূরে চপার থেকে যেখানে নেমেছে অন্যক’জন, আওয়াজ এসেছে ওখান থেকে। সেদিকের আকাশে ভেসে উঠেছে বোমার কালো ধোঁয়ার ব্যাঙের ছাতা।

গোড়ালির বোমার দিকে তাকাল ক্লার্ক। থেমে গেছে বিপ-বিপ আওয়াজ। দপদপ করে আর জ্বলছে না ডায়ালের সংখ্যা। না রে, বাবা, আমি শালা আর তোকে ভুলেও ঘাঁটাব না, ভাবল সে।

বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে কালো ধোঁয়ার ছাতা।

‘তা হলে মরল কোন্ শালা?’ আনমনে বলল ক্লার্ক। নাৎসি কুত্তাটা মরে ভূত হলে খুশি হবে সে। শালা যেভাবে চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছিল, তাতে মনে হচ্ছিল সুযোগ পেলে গলা টিপে ওকে মেরে ফেলবে! যে শালাই মরুক, এটা খুব ভাল খবর। এরই ভেতরে মরে ভূত হয়েছে দুই শালা। তারা আর জ্বালাতে আসবে না। এদিকে দুই দলে আছে মাত্র একটা করে মেয়ে। তাদের বেঁচে থাকার কোন পথ নেই। সেটাও ভাল!

কীভাবে এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবে সেটা ভাবতে ভাবতে সৈকত পার করে জঙ্গলে ঢুকল ক্লার্ক। বারবার ওর মন বলছে, পিস্তল থাকলে জাদু দেখিয়ে দিতে পারত। কিন্তু ওটা তো আর আকাশ থেকে টুপ করে কোলে এসে পড়বে না!

জঙ্গলে হাঁটতে হাঁটতে মাটিতে শুকনো এক গাছ দেখে ওখানে থামল ক্লার্ক। একবার কারও সঙ্গে লড়াই শুরু হলে হাতে কোন ডাল থাকলে সুবিধা পাবে। গাছের একটা ডালের ছয় ফুট অংশ ভেঙে নিয়ে ভাবল, বিপদ দেখলে এটার চোখা দিক ব্যবহার করতে পারবে বর্শার মত করে।

চারপাশ দেখে নিয়ে ডাল হাতে রওনা হবে ক্লার্ক, এমন সময় শুনতে পেল মৃদু যান্ত্রিক আওয়াজ। একটা পাম গাছের ডাল সরিয়ে থমকে গেল সে। মাত্র একফুট দূরে ওর দিকেই চেয়ে আছে ক্যামেরার লেন্স। ওটার দিকে চেয়ে বিড়বিড় করে বলল সে, ‘মর্, চুদির ভাইয়েরা!’

বর্শার খোঁচা মেরে ক্যামেরার চোখ অন্ধ করে দিল ক্লার্ক। বর্শা হাতে হনহন করে চলল গভীর জঙ্গলের দিকে।

বিশাল তাঁবুর একটা ছোট স্ক্রিন হয়ে গেছে তুষারের মত সাদা। ওটা আগে খেয়াল করল এমিলি। ‘তেইশ নম্বর লেন্স কোন দৃশ্য দেখাচ্ছে না!’

‘মহামুশকিল তো!’ বলল সিলভি, ‘এমনিতেই ঝামেলার শেষ নেই, তার ওপর অদক্ষ লোক দিয়ে কাজ করাতে গিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমার দরকারি সব ক্যামেরা!’

‘শান্ত হও, সিলভি,’ নরম সুরে বলল স্টিল। দেখছে মস্ত স্ক্রিন। এবার যে-কোন সময়ে অন্যদিকে মোড় নেবে অলস প্রতিযোগিতা।

.

প্রায় অদৃশ্য মানবের মত অন্ধকারাচ্ছন্ন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হেঁটে চলেছে ক্লার্ক। কিছুক্ষণ পর সামনে পড়ল দীর্ঘ ঘাসে ভরা একটা মাঠ। ওটার একদিকে জং-ধরা বিশাল এক বিমান দেখে থমকে গেল সে। টিভিতে এখনও এসব বিমান দেখা যায় বিশ্বযুদ্ধের সিনেমায়। দেহ থেকে ডানা ও ইঞ্জিন ছিটকে গেলেও প্রায় আস্ত আছে ফিউজেলাজ।

ভুতুড়ে দৃশ্যটা দেখে শিরশির করে উঠল ক্লার্কের বুকের ভেতরে। বিমানের ফিউজেলাজে হয়তো আছে মৃত ক্রুদের হাড়গোড়। তার চেয়েও বড় কথা, ওটার ভেতরে হয়তো ওকে খুন করতে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে কোন শালা।

হতেই তো পারে এমন, পারে না?

বর্শা হাতে সাবধানে ভাঙা বিমানের দিকে চলল ক্লার্ক। সে জানে না, বি-২৫-এর ভেতর থেকে তাকে দেখছে অন্তত ছয়টা ক্যামেরা। ফিউজেলাজে ঢুকবে, এমন সময় ধুপ-ধুপ আওয়াজ শুনে আকাশের দিকে মুখ তুলে তাকাল ক্লার্ক।

এদিকেই উড়ে আসছে রুপালি এক যান্ত্রিক ফড়িঙ।

.

ব্র্যাড স্টিল ব্রিফ করার পর রুপার্ট শ্যাননের শিরায় শিরায় বইছে অ্যাড্রেনালিনের স্রোত। চপার থেকে স্বেচ্ছায় সাগরে ঝাঁপ দিয়েছে সে। সাঁতরে এসে উঠেছে চমৎকার এক সৈকতে। তিনদিকে ছিল ঘন সবুজ ঝোপঝাড়। হাত-পায়ের শেকল খুলে নিজেকে মনে হয়েছে মুক্ত বিহঙ্গ। অচেনা এ- দ্বীপ যেন সত্যিকারের এক ডিসনিল্যাণ্ড, যেখানে নয়টা রাইড চড়ার সুযোগ পাবে সে।

শেকল কাঁধে তুলে সৈকত পেরিয়ে জঙ্গলে ঢুকতেই শুনতে পেল বিস্ফোরণের আওয়াজ। না থেমে ক্ষুধার্ত বাঘের মত এগিয়ে চলল সে। বুঝে গেছে, জিতে যেতে পারবে সামনের প্রতিযোগিতায়।

শ্যাননের ধারণা, প্রথম সুযোগে জোট বাঁধবে মেক্সিকান দুই অপরাধী আলকারায ও ইসাবেলা। সেক্ষেত্রে তাদেরকে বন্দি করবে সে। যুবকের সামনে তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করার পর হাসতে হাসতে খুন করবে মেয়েটাকে। তাতে বদ্ধ উন্মাদ হয়ে উঠবে যুবক। আর তখন তাকে খতম করে দেবে সে।

ওদিকে আকারে বিশাল হলেও বোকা লোক রাশানটা। মর্দা হাতিটাকে খুন করে মজা পাবে শ্যানন।

এরপর আছে আফ্রিকান সুন্দরী মেয়েটা। মেরে ফেলার আগে তারিয়ে তারিয়ে তাকে ভোগ করবে সে।

হেলিকপ্টার থেকে জাহাজে পড়ে মরেছে ইতরামি ভরা মুখের ইতালিয়ান। তাকে নিয়ে আর ভাবতে হবে না।

কালো লোক জনিকে কেউ না কেউ খুন করবে। সেটা যদি না হয়, প্রথম সুযোগে তাকে হত্যা করবে শ্যানন।

আর জার্মান গাধাটা বোধহয় এইমাত্র বোকামি করে বোমা ফাটিয়ে মরে গেছে।

তো বাকি রইল জাপানি দস্যু আর বাঙালি লোকটা।

জাপানি বাঁদরটা মার্শাল আর্টে পারদর্শী হলেও শ্যাননের সঙ্গে লড়তে গেলে প্রাণে বাঁচতে পারবে না সে।

ওদিকে রানার মিলিটারির ট্রেনিং থাকলেও মরার আগে বুঝবে যুদ্ধের কৌশলে আসলে কতটা অযোগ্য ছিল সে।

মাথার ওপর চপারের আওয়াজ শুনে মুখ তুলে তাকাল শ্যানন। পাম গাছের ওপর দিয়ে গেল যান্ত্রিক ফড়িঙ। ওটা দুই চপারের ভেতরে ছোট। হেলিকপ্টারটা থেকে নিচে ফেলা হলো প্যারাশ্যুটসহ কালো এক বড় ডাফেল ব্যাগ।

ওটা কোথায় নামবে বোঝানোর জন্যে সঙ্গে আছে উজ্জ্বল হলদে-সবুজ ধোঁয়াযুক্ত সিগনাল ফ্লেয়ার।

শ্যানন বুঝে গেল, ব্যাগ পড়বে এক শ’ গজ দূরে। এক কান থেকে অন্য কানে গেল তার হাসি। জলাভূমির মধ্য দিয়ে তীরবেগে ব্যাগ লক্ষ্য করে ছুটল সে।

.

ঝোপের ভেতর দিয়ে দ্বীপের একদিকে চলেছে জাপানি দস্যু কাইতো তানাকা, এমন সময় দেখতে পেল হেলিকপ্টার থেকে পড়ছে কালো এক ব্যাগ। ছোঁড়া হয়েছে সিগনাল ফ্লেয়ার। ব্যাগটা কোথায় পড়বে সেটা বুঝে সেদিকে ছুট দিল সে।

.

কালো ব্যাগের ড্রপ যোনের ঠিক সামনেই আছে ড্রাগ ডিলার জনি এস. ক্লার্ক। লুকিয়ে আছে বি-২৫ বিমানের বিযুক্ত এক ইঞ্জিনের আড়ালে। তার বুঝতে দেরি হলো না, বড়জোর বিশ ফুট দূরে পড়বে কালো ব্যাগ। তার জানা নেই, ওটার ভেতরে কী আছে। অথবা, কেন ওটা ফেলা হলো এদিকে। তার মনে পড়ল ব্র্যাড স্টিলের বলা কথা, সময়ে সময়ে পৌঁছে দেয়া হবে দরকারি রসদ। আজ ভাগ্য ভাল ক্লার্কের, সঠিক সময়ে হাতের কাছে নেমে আসছে রসদের ব্যাগ!

.

কালো ব্যাগ মাটিতে নামতেই তিনদিক থেকে প্রাণপণে ওটার দিকে ছুটে চলেছে তিন অপরাধী। আর সেটা আলাদা তিন স্ক্রিনে দেখছে আর ভাবছে ব্র্যাড স্টিল, ডাস্টবিনে এক টুকরো মাংস ফেললে তিনটা কুকুর যেভাবে কামড়াকামড়ি করে, ব্যাগ পাওয়ার জন্যে এবার তেমনই করবে এরা। আগে থেকেই স্থির ছিল কোথায় নামানো হবে ডাফেল ব্যাগ। বিধ্বস্ত বি-২৫ বিমানের এলাকা সিনেমার দৃশ্যের জন্যে সত্যিই অপূর্ব সুন্দর সেট।

সবার আগে ব্যাগের কাছে পৌঁছে গেল ক্লার্ক। দেরি না করে যিপার খুলে উঁকি দিল ভেতরে। ওপরদিকে আছে পানির বোতল আর স্বচ্ছ কাগজে মোড়া স্যাণ্ডউইচ। বোতলের ক্যাপ খুলে ঢকঢক করে গলায় পানি ঢালল সে। এক কামড়ে সাবড়ে দিল অর্ধেক স্যাণ্ডউইচ। অন্যহাতে হাতড়াতে শুরু করেছে ব্যাগের ভেতরে। হাতে উঠে এল বড় একটা হান্টিং নাইফ। আরেকটু হলে কপাল পেরিয়ে তার চাঁদিতে গিয়ে উঠত বিস্মিত দুই চোখ।

‘আরেশালা, একেই বলে কপাল!’ চামড়ার খাপ থেকে সড়াৎ করে ছোরা টেনে বের করল ক্লার্ক।

.

মাঠের ধারে পৌঁছে ক্লার্কের বলা কথাগুলো শুনতে পেয়েছে তানাকা। কড়া ব্রেক কষে থেমে গেল জঙ্গলের কিনারায়। এক পা এক পা করে এগোল ক্লার্কের দিকে। তার ধারণা, একাধিক প্রতিযোগী চলে আসার আগেই কোঁকড়ানো চুলের গাধাটাকে খতম করতে পারবে। তানাকা কুং-ফুতে পারদর্শী। ক্লার্কের হাতে ছোরা থাকলেও জঙ্গল থেকে বেরিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দিল সে।

জাপানি যুবককে দেখে থমকে গেল ক্লার্ক। কুকুর যেভাবে আগলে রাখে হাড্ডি, সেভাবে ব্যাগ পাহারা দিচ্ছে সে।

স্ক্রিনে দৃশ্যটা দেখে খুশিমনে হাসল ব্র্যাড স্টিল।

ধীর পায়ে ক্লার্কের দিকে এগোল কাইতো তানাকা।

ঝিরঝির শব্দ শুনতে পেল ক্লার্ক। জঙ্গলের কিনারায় সারি দেয়া পাম গাছে ঝুলে সরসর করে এগিয়ে এল একগুচ্ছ ক্যামেরা। শকুনের মত চোখ রেখেছে ক্লার্কের ওপরে। বিপদ হতে পারে ভেবে একবার শিউরে উঠল ক্লার্ক।

ক্যামেরা পাত্তা না দিয়ে কৃষ্ণাঙ্গ ড্রাগ ডিলারের ওপর পূর্ণ মনোযোগ রেখেছে তানাকা। পৌঁছে গেছে তার খুব কাছে।

সকল অধ্যায়

১. ডার্টি গেম – ১
২. ডার্টি গেম – ২
৩. ডার্টি গেম – ৩
৪. ডার্টি গেম – ৪
৫. ডার্টি গেম – ৫
৬. ডার্টি গেম – ৬
৭. ডার্টি গেম – ৭
৮. ডার্টি গেম – ৮
৯. ডার্টি গেম – ৯
১০. ডার্টি গেম – ১০
১১. ডার্টি গেম – ১১
১২. ডার্টি গেম – ১২
১৩. ডার্টি গেম – ১৩
১৪. ডার্টি গেম – ১৪
১৫. ডার্টি গেম – ১৫
১৬. ডার্টি গেম – ১৬
১৭. ডার্টি গেম – ১৭
১৮. ডার্টি গেম – ১৮
১৯. ডার্টি গেম – ১৯
২০. ডার্টি গেম – ২০
২১. ডার্টি গেম – ২১
২২. ডার্টি গেম – ২২
২৩. ডার্টি গেম – ২৩
২৪. ডার্টি গেম – ২৪
২৫. ডার্টি গেম – ২৫
২৬. ডার্টি গেম – ২৬
২৭. ডার্টি গেম – ২৭
২৮. ডার্টি গেম – ২৮
২৯. ডার্টি গেম – ২৯
৩০. ডার্টি গেম – ৩০
৩১. ডার্টি গেম – ৩১
৩২. ডার্টি গেম – ৩২
৩৩. ডার্টি গেম – ৩৩
৩৪. ডার্টি গেম – ৩৪
৩৫. ডার্টি গেম – ৩৫
৩৬. ডার্টি গেম – ৩৬
৩৭. ডার্টি গেম – ৩৭

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন