কাজী আনোয়ার হোসেন
রানার মৃত্যুর পর বিশাল তাঁবু ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে রিটা। বাঙালি যুবক খুন হয়ে যাওয়ায় মনের সব আশা ফুরিয়ে গেছে ওর। গত ত্রিশ ঘণ্টা আগে নিজেকে ভাবত একজন নিরপরাধ মানুষ হিসেবে। কিন্তু এখন অন্তর থেকে জানে, পাপীদের সঙ্গে মিশে তাদের মতই অপরাধী হয়ে গেছে ও। স্টিল যা চেয়েছে, সেটা সে পেয়ে গেছে। চার কোটির বেশি মানুষ দেখেছে তার নিষ্ঠুর শো। বেশিরভাগ লোক হয়তো খুশি হয়েছে রানার মৃত্যুতে। আর স্টিলের কথায় তাদেরকে মিথ্যা তথ্য জুগিয়ে দেয়ার পেছনে অবদান রেখেছে নীতিহীন রিটা নিজে।
সিলভির মতই অস্বচ্ছ ছিল ওর ভাবনাগুলো। ভুলেও কখনও বুঝতে পারেনি যে কতবড় বিপদে গিয়ে পড়ছে। কয়েক দিন আগেও ভয়ঙ্কর অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পক্ষে ছিল রিটা। অথচ এরপর যা ঘটে গেছে, তাতে মনে হচ্ছে কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার অধিকার আসলে কারোরই নেই।
মাসুদ রানার ছবির ওপরে যখন লাল ক্রস-চিহ্ন ফুটে উঠল, মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তাঁবু থেকে বেরিয়ে এসেছে রিটা। কাঁদতে শুরু করে ভেবেছে, যদি দূরে কোথাও চলে যেতে পারত এই কম্পাউণ্ড ছেড়ে! কিন্তু তাতে হতে পারে বড় ধরনের বিপদ, তাই ওকে বাধা দিয়েছে গার্ডেরা। যদিও এই এলাকাটাও এখন আর নিরাপদ বলে মনে হচ্ছে না ওর।
কিছুক্ষণ কাঁদবার পর ভাবল রিটা, ব্র্যাড স্টিলের অনুমতি পেলে দেরি না করে ত্যাগ করবে এই দ্বীপ। আবারও মস্ত তাঁবুতে ফিরে দেখতে পেল কোথায় যেন গেছে স্টিল। প্রতিযোগিতার বিশেষ সব রিল এখন দেখানো হচ্ছে স্ক্রিনে। একটু পর পর হলিউডের সিনেমার মত করে বাজছে নাটকীয় সব মিউযিক। এখনও বিশ্বাস হতে চাইছে না রিটার, কতবড় অপরাধ করে বসেছে স্টিল এবং তার দলের কর্মীরা।
এদের কারও জানা নেই আসলে কোথায় গেছে ব্র্যাড। এমিলি বলেছে, একটু পরে ফিরে এসে শ্যাননকে বিজয়ী বলে ঘোষণা দেবে স্টিল। মেয়েটাকে ধন্যবাদ জানিয়ে চুপচাপ ব্র্যাডের চেয়ারের পাশে দাঁড়িয়ে রইল রিটা। বুঝে গেছে, বাড়ির চেয়ে বেশি শান্তির আর কোন জায়গা নেই এই দুনিয়াতে। ওর মনটা এখন চাইছে হেলিকপ্টার বা বোট না পেলেও স্রেফ সাঁতরে সাগর পাড়ি দিয়ে ইংল্যাণ্ডে ফিরতে। তবে বাস্তবতা আসলে হচ্ছে যে স্টিল অনুমতি না দিলে কোথাও যেতে পারবে না রিটা। নিষ্ঠুর লোকটার কথা ভাবতে, গেলেই কেমন যেন অসুস্থ বোধ করছে ও।
কয়েক মিনিট পর সরু এক ব্রিফকেস হাতে তাঁবুর ভেতরে এসে ঢুকল ব্র্যাড। তার অন্য হাতে রুপার্ট শ্যাননের গোড়ালির সেই ব্রেসলেট। এইমাত্র বলে এসেছে, চিরকালের জন্যে মুক্তি পেয়ে গেছে শ্যানন, তবে তাকে কোন ধরনের টাকা দেয়া হবে না।
স্টিলকে দেখে কৌতূহলী হয়ে জানতে চাইল এমিলি, ‘কী ব্যাপার, কোথাও কোন সমস্যা?’
‘কোথাও কোন সমস্যা নেই, মন দিয়ে নিজের কাজ করো,’ হাসি-হাসি মুখে বলল ব্র্যাড। এইমাত্র দেখতে পেয়েছে তাঁবুর কোণে দাঁড়িয়ে আছে রিটা। দ্রুত ওর সামনে চলে গেল সে। বাহুতে হাত রেখে নিচু গলায় বলল, ‘আমার সঙ্গে এসো।’
অন্যদিকে চেয়ে বাহু ছুটিয়ে নিয়ে আড়ষ্ট কণ্ঠে বলল রিটা, ‘আমাকে আর কখনও স্পর্শ করবে না।’
মেয়েটার কথা শুনে মনে মনে মস্ত হোঁচট খেয়েছে ব্র্যাড স্টিল। এক পলকে বুঝে গেছে, তাকে এখন চরম ঘৃণা করে রিটা।,
দ্বীপ থেকে বিদায় নিতে চায় বলে নরম সুরে কথা বলবে ভেবেছিল রিটা, কিন্তু ওর কণ্ঠ থেকে ঝরেছে তীব্র ক্ষোভ।
স্টিল খুব ভাল করেই জানে, কাউকে বোঝাবার মত সময় এখন তার হাতে আর নেই। আড়চোখে দেখল এদিকেই চেয়ে আছে কর্মীরা। তারা জানে, এবার শ্যাননকে বিজয়ী ঘোষণার মাধ্যমে শেষ করা হবে ডার্টি গেম শো। বিশেষ করে সিওয়ার্স ও এমিলির চোখে হতবাক দৃষ্টি। তারা যেন বুঝতে পারছে না, বসের হাতে ব্রিফকেস কেন।
শেষবারের মত রিটাকে দেখে নিয়ে মনে মনে বলল স্টিল, শালী কুত্তী, তোর চেয়ে ঢের বেশি সুন্দরী কাউকে আমি জুটিয়ে নেব। তাঁবু থেকে বেরোবার আগে ডাহা মিথ্যা বলল সে, ‘আমি একটু পরেই ফিরছি।’
.
দু’জন সশস্ত্র গার্ড পাহারা দিচ্ছে শ্যাননকে। প্রযোজকের কথা শোনার পর থেকে রাগে ফুঁসছে সে। একটু আগে দেখেছে বড় তাঁবুতে গিয়ে ঢুকেছে স্টিল, তারপর আর বেরোয়নি।
হাসি-হাসি চেহারায় গার্ডদেরকে দেখছে শ্যানন। তাদের একজনের বেল্টের খাপে যে ছোরা, সেটা চোখ এড়ায়নি তার।
অন্যজন শিথিলভাবে দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুঁকছে।
দুই গার্ডের দিকে চেয়ে আবারও হাসল শ্যানন। ‘বাড়তি কোন সিগারেট হবে? এটা তো বোঝো, কী খাটুনিই না করেছি তোমাদের শো-র জন্যে!’
সিগারেটের প্যাকেট বের করতে বুক পকেটে হাত ভরল ধূমপায়ী গার্ড। আর এই সুযোগটা নিল স্পেশাল ফোর্সের প্রাক্তন মেজর। অসতর্ক গার্ডের গালে বসিয়ে দিল প্রচণ্ড এক ঘুষি। পরক্ষণে ছোঁ দিয়ে প্রথম গার্ডের কোমরের খাপ থেকে ছোরা নিয়ে গেঁথে দিল যুবকের বুকে।
দ্বিতীয় গার্ড বিআর ১৮ অ্যাসল্ট রাইফেলের নল ওপরে তোলার আগেই ফাঁক হয়ে গেল তার গলা। দুই লাশ মাটিতে পড়ার আগেই তাদের একজনের হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিল শ্যানন। একই সময়ে দেখতে পেল কাছের এক তাঁবুর কোনা ঘুরে বেরিয়ে এসেছে তৃতীয় গার্ড। তার মুখে ধুপ করে বিআর ১৮-র বাঁট নামাতেই দেখতে না দেখতে ভূমিশয্যা নিল অচেতন গার্ড।
চোখে তীব্র ক্রোধ নিয়ে বড় তাঁবুটার দিকে তাকাল শ্যানন। প্রায় ছুটে গিয়ে ঢুকল ওটার ভেতরে। চারপাশে চোখ বুলিয়ে খুঁজল ব্র্যাড স্টিলকে। কিন্তু আশপাশে নেই লোকটা।
তাঁবু থেকে বেরোবার দরজার কাছে আছে এমিলি। মেইন স্ক্রিনে ব্যস্ত হয়ে রিল দিচ্ছে সে। মন ওদিকে থাকলেও চোখের কোণে নড়াচড়া দেখে ঘুরে তাকাল মেয়েটা। আর সঙ্গে সঙ্গে বুঝে গেল তাঁবুতে এসে ঢুকেছে ভয়ঙ্কর খুনি রুপার্ট শ্যানন! ভয়ে গলা শুকিয়ে গেল ওর। খেয়াল করল এখন লোকটার হাতে বিআর ১৮ অ্যাসল্ট রাইফেল!
এমিলির দিকে চেয়ে নিজের ঠোঁটে আঙুল রাখল শ্যানন। বুঝিয়ে দিল একদম চুপ করে থাকতে হবে মেয়েটাকে। ঢোক গিলে মাথা দোলাল এমিলি। ওর ওপর থেকে চোখ সরিয়ে আরেকবার তাঁবুর ভেতরে স্টিলকে খুঁজল ইংরেজ সাইকো।
চেয়ার ঘুরিয়ে তাকে দেখতে পেল মিলা। ওর গলা চিরে বেরিয়ে এল বেসুরো আর্তনাদ। ‘ওরে, বাবারে!’
‘অ্যাই, মাগী, চুপ কর্!’ আরও রেগে গিয়ে ধমক দিল শ্যানন। ‘টু শব্দ করলে গলা দিয়ে ভরে দেব রাইফেলের নল! কোন সুইচে ভুলেও আঙুল দিবি না, নইলে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেব তোর বুক!’
ভীষণ আতঙ্কে বরফের মূর্তি হয়ে গেছে তাঁবুর, সবাই। কেউ কেউ মেনে নিতে পারছে না যে, স্ক্রিনের সেই একই খুনি হাজির হয়ে গেছে তাদের তাঁবুর ভেতরে!
নানান ধরনের টেবিল পাশ কাটিয়ে স্টিলকে খুঁজতে লাগল শ্যানন। কিন্তু মাত্র কয়েক সেকেণ্ডে বুঝে গেল, তার চোখ এড়িয়ে কখন যেন লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছে পেটভরা পায়খানাওয়ালা কাপুরুষটা।
‘স্ক্রিনে মানুষকে খুন হতে দেখলে তোদের বুক কাঁপে না, তাই না?’ তিক্ত হেসে বলল শ্যানন। এবার তা হলে দ্যাখ সত্যি করে মরতে কেমন লাগে!’
দরজার কাছে ফিরে এমিলির মাথার তালুতে রাইফেলের নল ঠেকিয়ে দিল সে। ‘তোকে দিয়েই বরং শুরু করি!’
কথা বলার সাহস এমিলির নেই। জীবনে প্রথমবারের মত বুঝে গেল, নিজের প্রাণটা আসলে ওর কাছে খুবই প্রিয়।
‘ঠিক আছে, রাজকন্যা, এবার বল্, কুত্তার বাচ্চা আসলে কোথায় গেছে!’
‘আ… আ… আমি জা… জানি না,’ তোতলার মত করে বলল এমিলি।
‘তা হলে মর্!’ এক গুলিতে মেয়েটার মাথার তালু ফুটো করে দিল শ্যানন। কাত হয়ে চেয়ার থেকে মেঝেতে পড়ল এমিলির লাশ। চারদিকে ছিটকে গেছে হলদেটে মগজ।
হাউমাউ করে উঠল ডার্টি গেম শো-র কর্মীরা।
‘দয়া করে আমাদেরকে গুলি করবেন না!’ ছুটে গিয়ে এমিলির লাশের পাশে বসল সিওয়ার্স। দু’হাতে ওপরে তুলল সহযোগিনীর ঘাড়। কমপিউটার জিনিয়াস কখনও নিজের চোখে কাউকে গুলি খেয়ে মরতে দেখেনি। এমিলির অস্বচ্ছ চোখে এখন কোন আলো নেই দেখে ভীষণ কষ্ট লাগল তার। টের পেল থরথর করে কাঁপছে ওর গোটা দেহ। একবার ভাবল, আগের মত করে কি আর সুইচ টিপে অদৃশ্য করে দিতে পারবে রুপার্ট শ্যাননকে?
‘কুত্তার বাচ্চারা, তোরা তো রিয়েলিটি শো দেখাবি, তা-ই না?’ খলখল করে হাসল ইংরেজ সাইকো। ‘তা হলে নিজেরা দ্যাখ খুন হতে হলে কেমন লাগে!’
মিলার সামনে গেল সে।
কাঁপা দু’হাত মাথার ওপরে তুলেছে মেয়েটা।
‘বল্, মাগী, শুয়োরের বাচ্চা ব্র্যাড এখন কোথায় গেছে!
‘চলে গেছে,’ প্রায় কেঁদে ফেলল মিলা।
‘আমাকে ভয় পাচ্ছিস?’ এক গুলিতে মেয়েটার কপাল ফুটো করে দিল শ্যানন।
ভয়ে চিৎকার করে কেঁদে উঠল অন্যরা। ট্রিগার টিপে. একদিক থেকে অন্যদিকে অ্যাসল্ট রাইফেল ঘোরাল শ্যানন। তাতে চুরমার হয়ে গেল নানান ধরনের ইকুইপমেন্ট। মারা পড়েছে কমবয়েসী কয়েকজন টেকনিশিয়ান।
‘আশা করি তোদের মনোযোগ, আমি আকর্ষণ করতে পেরেছি, তা-ই না?’
দরজার দিকে ছুট দিল এক তরুণ টেকনিশিয়ান।
‘কোথায় যাস, শালা কুত্তা!’ হাসিমুখে ছেলেটার পিঠে গুলি করল শ্যানন। ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখে নিল তাঁবুর চারপাশে। এই জায়গা প্রায় আফ্রিকার সেই গ্রামের কুঁড়েঘরের মত। প্রতিবাদ বা হামলা করতে পারবে না কেউ। আর যে যা-ই বলুক, নিরীহ মানুষদেরকে খুন করার মজাই অন্যরকম। তার চোখ থামল মেঝেতে শুয়ে পড়া এক মেয়ে টেকনিশিয়ানের ওপরে। তাকে জিজ্ঞেস করল শ্যানন, ‘তোর নাম কী রে, শালী?’
বোবার মত গোঁ-গোঁ আওয়াজ বেরোল বেচারির মুখ দিয়ে। তাতে বিরক্ত হয়ে তার গলায় গুলি করল শ্যানন।
ঝড়ের বেগে তাঁবুর ভেতরে ঢুকল দুই গার্ড। কিন্তু অস্ত্র তাক করার আগেই শ্যাননের গুলি লাগল তাদের বুকে। ধুপ- ধাপ করে মেঝেতে পড়ল তাদের লাশ।
এমিলির লাশের পাশে বসে আছে সিওয়ার্স। তার সামনে পৌঁছে গেল শ্যানন। কড়া গলায় বলল, ‘উঠে দাঁড়া, শালা!’
উরু কাঁপছে বলে দাঁড়াতে গেল না সিওয়ার্স। কমপিউটার সিস্টেমের মত যেন ক্র্যাশ করেছে তার মগজ। একবার ভাবল, ইলেকট্রনিক মেশিনের মত করে মনটাকে যদি রি-ইনস্টল করে নেয়া যেত!
‘ওঠ, শুয়োরের বাচ্চা! কাপুরুষের মত করে মরবি কেন!’ সিওয়ার্সের মাথায় রাইফেলের নল তাক করল শ্যানন।
মৃত এমিলির ঘাড়ের তলা থেকে হাত সরিয়ে নিল সিওয়ার্স। টলমল করে উঠে দাঁড়াল। দরদর করে দুই চোখ বেয়ে নেমে আসছে অশ্রু। সাহস পেল না শ্যাননের চোখে তাকাতে।
‘অ্যাই, শালা, আমার চোখে তাকা!’ আরও রেগে গিয়ে বলল শ্যানন।
কয়েক সেকেণ্ড পর ঘর্মাক্ত এবং কর্দমাক্ত চেহারার লোকটার দিকে মুখ তুলে তাকাল সিওয়ার্স। ইংরেজ সাইকোর চোখে-মুখে চরম নিষ্ঠুরতার ছাপ।
অস্ত্রের ব্যারেল ঘুরিয়ে বিশাল স্ক্রিন দেখাল শ্যানন। ‘কী রে, প্রতিযোগিতাটা তোর ভাল লেগেছে তো?’
অনিচ্ছাসত্ত্বেও স্ক্রিনে চোখ রাখল সিওয়ার্স। ওখানে এখন দেখা যাচ্ছে ইসাবেলাকে ছোরা দিয়ে খুঁচিয়ে মারছে শ্যানন। এই দৃশ্য কাছ থেকে ক্যামেরায় তুলেছে মৃত জোহানসন। সিওয়ার্সের মনে এল, এই যে মেয়েটাকে খুন করা হয়েছে, তাতে কেন যেন ওর মনে আসেনি কোন করুণা! ভাল করেই বুঝে গেল নিজে কতবড় অন্ধ আর পশু ছিল সে।
হড়হড় করে মেঝেতে বমি করল সিওয়ার্স। তারই ফাঁকে দেখতে পেল, বড় তাঁবুতে তার সহকর্মীদের ভেতরে কেউ আর এখন বেঁচে নেই। আর এমিলি… এমিলি পড়ে আছে রক্তের পুকুরের ভেতরে!
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগল সিওয়ার্স।
‘কী রে, শালা, মানুষ খুন হলে দেখতে তোর ভাল লাগে, তাই না রে?’
‘না, আমি আসলে বুঝিনি সত্যি সত্যি খুন করা হবে মানুষকে,’ বিড়বিড় করে মিথ্যা বলল সিওয়ার্স।
‘তা হলে তো বলতে হয়, বুঝতে অনেক বেশি দেরি করে ফেলেছিস তুই!’ শ্যাননের একঝাঁক বুলেট ছিঁড়েখুঁড়ে দিল সিওয়ার্সের বুক। ছিটকে মেঝেতে এমিলির পাশে গিয়ে পড়ল যুবকের লাশ।
প্রিয় বান্ধবীর রক্তের সঙ্গে এখন মিশে যাচ্ছে তার রক্ত।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন