কাজী আনোয়ার হোসেন
আকাশে হেলিকপ্টার দেখতে পেয়েছে রানা। ওটা থেকে পড়ল উজ্জ্বল হলদে-সবুজ ধোঁয়াযুক্ত সিগনাল ফ্লেয়ারসহ কালো ব্যাগ। তবে না থেমে ওয়েদার টাওয়ারের দিকে এগিয়ে চলল ও।
ড্রপ যোন থেকে সরে এল পুরো দুই মাইল। ওর ভুল না হলে মাত্র বারো মিনিট হাঁটলে পৌঁছুতে পারবে লঙ্ঘনীয় এক ক্লিফের কাছে। একমাইলের মধ্যে ব্যাগ থাকলেও ওটার জন্যে উতলা হয়ে উঠত না। বুঝে গেছে, অপরাধীদেরকে নিয়ে নোংরা খেলা খেলতে শুরু করেছে স্টিল। দূর থেকে ইঁদুরের পালের মধ্যে ছুঁড়ছে পনির, যাতে লড়াই করে মরে তারা।
চারদিকে চোখ রেখে ফার্নে ভরা এক গিরিখাদে পৌঁছে গেল রানা। উপত্যকার মাঝে উচ্ছল সব ঝর্নার ধারে জন্মেছে সবুজ গাছপালার জঙ্গল।
বাঁশের ঝাড় থেকে একটা বাঁশ ভেঙে নিল রানা। গাঁটের ভেতরে ঝর্নার তাজা পানি ভরে রাবার গাছের পুরু পাতা দিয়ে আটকে নিল ওটার মুখ। ওর প্রাকৃতিক ক্যান্টিনগুলোতে আছে এখন এক পাইন্ট করে পানি। ওয়েদার টাওয়ার পর্যন্ত যেতে এর বেশি লাগবে না ওর।
শেষবার এসব বাঁশের তৈরি ক্যান্টিন ব্যবহার করেছে এল সালভেদরের জঙ্গলে। এরপর ওর ওপরে হামলে পড়েছিল গোটা দেশের মিলিটারি। আহত শরীরে আর বেরোতে পারেনি জঙ্গল থেকে। তবুও তখন ওর মনে ছিল সন্তুষ্টি- নিজের কাজ শেষ করতে পেরেছে। পরে দুর্গম সোনসোনেট কারাগারে ওকে তিন মাস আটকে রাখা হলে বুঝে গেল, ওর সঙ্গে বেইমানি করেছে আমেরিকান কর্তৃপক্ষ।
এল সালভেদরের তিক্তস্মৃতি মন থেকে ঝেড়ে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে ওয়েদার টাওয়ার লক্ষ্য করে এগোল রানা। কিছুক্ষণ পর মাটিতে ছোট এক গর্ত করে ওটার ভেতরে ঢালল ঝর্না থেকে ক্যান্টিনে নেয়া পানি। গর্তে সাগরের শৈবালের কন্দ রেখে তার ওপরে রাখল চুম্বক চাবি। মাত্র কয়েক সেকেণ্ডে কমপাস জানিয়ে দিল এবার কোনদিকে যেতে হবে ওকে।
.
সামনে বেড়ে ক্লার্কের ওপরে হামলা করে বসেছে তানাকা। ঝড়ের বেগে চলছে তার চার হাত-পা। এটাকে লড়াই না বলে দ্রুতগতি ব্যালে ড্যান্স বললেও দোষ হবে না। এক ঘুষিতে শত্রুকে শেষ করতে চাইছে না সে। একের পর এক কিক ও পাঞ্চ আসছে ক্লার্কের মুখ-হাত-পা ও বুক-পেট লক্ষ্য করে। আমেরিকান ড্রাগ ডিলার কয়েক সেকেণ্ডে বুঝে গেল, এই হারে আক্রান্ত হলে বেশিক্ষণ লাগবে না তার খুন হতে।
হাতে উদ্যত ছোরা নিয়েও আক্রমণ ঠেকাতে পারছে না ক্লার্ক। জাপানি দস্যুর বুক-পেট লক্ষ্য করে সাঁই করে ছোরা চালালেও বাতাস কেটে ফিরে আসছে ধারাল ফলা। প্রতিবার একসেকেণ্ড আগে সরে যাচ্ছে তানাকা। ক্লার্কের দু’বার মনে হলো চিরে দিতে পেরেছে যুবকের বুক। পরক্ষণে দেখেছে অন্য জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে জাপানি দস্যু। তার চেয়েও খারাপ কথা, এশিয়ান ভূতটা বোধহয় জানে কীভাবে উড়তে হয়! একসেকেণ্ড থাকছে মাটিতে, পরক্ষণে উড়ছে আকাশে। হাতের চেয়ে বেশি চলছে তার দু’পা। মাত্র দু’মিনিটে ধুপধাপ করে গোটা দশেক লাথি খেয়ে অতিষ্ঠ হয়ে গেল ক্লার্ক। আরেক লাথি কবজির ওপরে পড়তেই দীর্ঘ ঘাসের ভেতরে গিয়ে পড়ল হান্টিং নাইফ।
.
আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ আর জাপানি দস্যুর লড়াই মস্ত স্ক্রিনে দেখে বলে উঠল স্টিল, ‘ছবি ঠিকঠাক তুলতে পারছ তো, সিলভি?’
‘সবই তো দেখানো হচ্ছে,’ স্ক্রিন দেখাল সিলভি, বি-২৫ বিমান থেকে চোখ রাখছে তিনটে লেন্স। এ ছাড়া পাম গাছে আছে আরও অন্তত আটটা ক্যামেরা।’ দক্ষ হাতে নানান ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করছে সে। দুই লড়াকু যোদ্ধার ক্লোয-আপ দৃশ্যের জন্যে গাছের ওপর থেকে তাক করেছে ক্যামেরা।
‘ওখানে সবমিলিয়ে কতগুলো ক্যামেরা?’
‘অভাব নেই।’
‘ফাইটিঙের কুইক কাট দেখাও, সিলভি! ঘুষি আর লাথি যেন একদম পরিষ্কার দেখা যায়।
‘সাধ্যমত সবই করছি,’ সিলভি চাইছে না বিরক্ত করুক স্টিল, তাই বলল, ‘আমি কি কখনও তোমার কাজে কোন ভুল ধরিয়ে দিই?’
মারপিটের দৃশ্য দেখে সিলভারম্যানের পেছনে হাজির হয়ে গেছে সিওয়ার্স আর এমিলি।
‘জাপানি ব্যাটা জানে কীভাবে পেটাতে হয়!’ মুচকি হেসে বলল সিওয়ার্স।
‘কথাটা একদম ঠিক,’ সায় দিল এমিলি। ‘তুমি কার ওপরে বাজি ধরবে?’
‘অ্যাই, তোমরা আমাকে বিরক্ত কোরো না তো!’ ধমকে উঠল সিলভি, ‘যে-যার স্টেশনে যাও। আমাকে আমার কাজ করতে দাও!’ ক্রমেই বিরক্ত হয়ে উঠছে। ওর কাজটা যেন হয়ে উঠছে সস্তা পর্নোগ্রাফির মত। অবশ্য কিছুক্ষণ পর বুঝল, নানান অ্যাঙ্গেল ও কাট-এর মাধ্যমে দর্শকদের দেখাতে পারছে ভয়াবহ লড়াইয়ের দৃশ্য। কুঁচকে গেল তার দু’ভুরু।
.
সিলভির দিকে চেয়ে বুঝে গেল স্টিল, এসব লড়াই সমর্থন করছে না তার বন্ধু। অথচ শো থেকে যে মোটা অঙ্কের মুনাফা আসবে, ওটার দশভাগের একভাগ নিজের পকেটে পুরে নিতে কোন আপত্তি নেই তার!
খোলা মাঠে লড়াই করছে তানাকা ও ক্লার্ক। চোখ থেকে সানগ্লাস খুলে ব্যাগের পাশে ফেলল জাপানি দস্যু। মনস্থির করেছে এবার ঝাঁপিয়ে পড়বে পূর্ণ শক্তিতে। পর পর কয়েক লাথি মারার পর শেষ এক লাথি মেরে মটকে দেবে আমেরিকান ড্রাগ ডিলারের ঘাড়।
এদিকে বেমক্কা সব লাথি-ঘুষি খেয়ে রাগ ও ভয় একই সঙ্গে কাজ করছে ক্লার্কের মনে। বুঝতে পারছে না কীভাবে ওকে হারিয়ে দিচ্ছে আকারে ছোট এশিয়ান লোকটা। রাস্তার মারপিটের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তাকে খতম করতে পারবে কি না ভাবছে ক্লার্ক। চট্ করে তার চোখ গিয়ে পড়ল দীর্ঘ ঘাসের মাঠে পড়ে থাকা ছোট্ট প্যারাশ্যুটের ওপরে। আর এ-সুযোগে তার মাথার পাশে মাঝারি এক লাথি দিল তানাকা।
যা চেয়েছে সেটা পেয়ে গেছে ক্লার্ক। শত্রুকে খুন করতে এগিয়ে এল তানাকা। আর একই সময়ে ঝট করে ঘাস থেকে সিল্কের প্যারাশ্যুট নিয়ে ওটা দিয়ে জাপানি দস্যুকে মুড়িয়ে দিল ক্লার্ক। মাকড়সার জালে আটকা পড়া মৌমাছির মত জোর গুঞ্জন তুলে গালি বকছে তানাকা। আর এ-সুযোগে তার মুখে দমাদম দুই ঘুষি বসাল ক্লার্ক। ছিটকে পিছিয়ে হুড়মুড় করে মাটিতে গিয়ে পড়ল তানাকা।
ক্লার্ক বুঝে গেছে, জাপানি শালার মারাত্মক লাথির কাছে ওর দুই মুঠোর ঘুষি আসলে কিছুই নয়। যে-কোন সময়ে প্যারাশ্যুটের খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসবে বেঁটে শয়তান। এখন তাকে খুন করতে হলে চাই .৩৫৭ ক্যালিবারের হ্যাণ্ডগান, যেটা ওর কাছে নেই। চট্ করে ছোরাটা খুঁজতে শুরু করল ক্লার্ক। কিন্তু ঘন ঘাসে দেখতে পেল না ওটা। এদিকে শরীর মুচড়ে প্যারাশ্যুটের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসছে তানাকা।
এখন কী করতে হবে সেটা বুঝে গেল ক্লার্ক।
দশ সেকেণ্ড পর সিল্কের কাপড় গা থেকে সরিয়ে লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়াল জাপানি দস্যু। ফাঁদে পা দিয়ে খেপে গেছে রাগী বোলতার মত। আশপাশে ক্লার্ককে দেখতে না পেয়ে ছুটে গিয়ে ঢুকল বি-২৫ বিমানের ফিউজেলাজে। কিন্তু ব্যারেলের মত জায়গাটায় লুকিয়ে নেই কেলেভূত।
বিমান থেকে ছিটকে বেরিয়ে চারপাশে তাকাল তানাকা। কিন্তু কোথাও নেই ক্লার্ক। বুদ্ধি খাটিয়ে ব্যাটা ভেগে গেছে বুঝতে পেরে নিজের ওপরে আরও রেগে গেল তানাকা। মনে মনে শপথ নিল-পরেরবার রেহাই পাবি না, শালা!
ফিউজেলাজ থেকে সরে একবার ভাবল ঘাসের বন থেকে খুঁজে বের করে নেবে ছোরা। কিন্তু আবারও ব্যাগের দিকে চোখ যেতেই কে যেন ভারী গলায় বলল, ‘আজকের দিনটা খুব সুন্দর, কী বলো, বাছা?’
স্পটলাইটের মত করে শ্যাননের ওপরে পড়েছে সূর্যরশ্মি। রসদের ব্যাগের কাছেই বসে আছে সে। চোখে এখন তানাকার সানগ্লাস। বাম মুঠোয় আধখাওয়া টসটসে এক পাকা সোনালি আপেল। ডানহাতে ক্লার্কের হারিয়ে ফেলা হাণ্টিং নাইফ।
নাটকীয়ভাবে মার্শাল আর্টের স্ট্যান্স নিয়ে নতুন শত্রুর দিকে কঠোর চোখে তাকাল তানাকা। এরই ভেতরে বুঝে গেছে, কেলেভূতের চেয়ে ঢের বেশি বিপজ্জনক এই ইংলিশম্যান। অবশ্য তাতে ঘাবড়ে গিয়ে কোন লাভ হবে না, একে একে সবাইকে শেষ করেই জিতে নিতে হবে এই প্রতিযোগিতা। বাঁচতে দেয়া যাবে না কাউকে।
বাতাসে কয়েকটা জ্যাব ও কিক মেরে সামনে বাড়ল জাপানি দস্যু। লড়াই শুরু করার জন্যে সম্পূর্ণ তৈরি।
‘শান্ত হও, বাছা, এত রেগে যাওয়ার কিছু নেই,’ উঠে দাঁড়িয়ে আপেলে আরেকবার কামড় দিল শ্যানন।
পরের সেকেণ্ডে তার মুখ লক্ষ্য করে প্রচণ্ড বেগে রাউণ্ডহাউস কিক ছুঁড়ল তানাকা। লাথিটা তার দিকে আসছে দেখে ঝট্ করে একদিকে মাথা সরিয়ে নিল শ্যানন। একই সময়ে আপেল ধরে রাখা হাতে তানাকার বুকে বসিয়ে দিল জোরাল এক ঘুষি।
ভারসাম্য হারিয়ে দ্বিতীয় কিক আর দিতে পারল না তানাকা। এদিকে শ্যাননের ছোরা ছোবল দিল গোখরার মত। লাফিয়ে সরে গেল তানাকা, আরেকটু হলে ফুটো হতো তার হৃৎপিণ্ড।
‘আজকের সকাল কিন্তু খুব চমৎকার, কী বলো, বাঘের বাচ্চা?’ তানাকার দিকে চেয়ে হাসল শ্যানন।
বিড়বিড় করে জাপানি ভাষায় একগাদা নোংরা গালি দিল তানাকা। এরই ভেতরে বুঝে গেছে, ক্লার্কের মত সহজ প্রাণী নয় শ্যানন। তার ওপরে, একই দিনে দু-দুটো লড়াই হেরে গেলে ভীষণ কষ্ট পাবে মনে। ভাবনাটা আরও রাগিয়ে দিল তাকে। এক পায়ে শ্যাননের পাঁজর লক্ষ্য করে লাথি চালাল সে। একই সময়ে ডানহাতের চপ উড়িয়ে দিল শত্রুর হাত থেকে ছোরা।
এখন কারও হাতেই আর কোন অস্ত্র নেই।
‘তুমি তা হলে আমার সঙ্গে খেলতে চাও, তা-ই না?’ হাসিমুখে বলল শ্যানন। হ্যাণ্ড-টু-হ্যাণ্ড কমব্যাটের জন্যে তৈরি হয়ে গেছে সে।
আরেক দফা হামলা শুরু করল তানাকা। প্রতিটি হামলার বিপরীতে দক্ষতার সঙ্গে কাউন্টার দিল শ্যানন। ঘুষির বদলে ঘুষি, লাথির বদলে লাথি। কুং-ফুতে দক্ষ বলেই মিলিটারি থেকে তাকে দেয়া হয়েছিল ডাবল ব্ল্যাক বেল্ট নতুন উদ্যমে লড়াই চালিয়ে গেল তারা।
একজন আক্রমণ করলে ব্লক করছে দ্বিতীয়জন। কয়েক মিনিট পর তানাকার মাথা হেডলকে ধরল শ্যানন। এবার কী ঘটবে সেটা আগেই বুঝে গেছে জাপানি মার্শাল আর্ট এক্সপার্ট। খপ্ করে শ্যাননের গলা কনুইয়ের ভাঁজে ধরল তানাকা। একই সময়ে ডেড লক করেছে তারা, ফলে আটকে দিয়েছে একে অপরের শ্বাস।
হাসি মিলিয়ে গিয়ে তিক্ত হলো শ্যাননের মুখ। আড়ষ্ট কণ্ঠে বলল, ‘চাইলে আমরা বাকি দিন লড়তে পারি, ছোট ভাই। কিন্তু তাতে আসলে কোন লাভ হবে না। তুমি কি ইংরেজি ভাষা বোঝো, বাছা?’
জাপানি ভাষায় কী যেন বলল তানাকা।
‘বাঁদরের ভাষা কোন্ শালাই বা জানবে,’ দাঁত খিঁচাল শ্যানন। তানাকা যে তার প্রশংসা করেছে সেটা জানে না। ‘তুমি কুং-ফুতে বেশ ভাল। তবে আমিও তো জানি একই বিদ্যা।’
পরস্পরকে লক করে দাঁড়িয়ে আছে তারা। একই সময়ে শত্রুকে ছেড়ে পিছিয়ে গেল। অপরজনের লড়াইয়ের সাধ্যটাকে সম্মানের চোখে দেখছে দু’জন।
‘তুমি আসলে ভাল করেই জানো কীভাবে লড়তে হবে,’ হাঁপাতে হাঁপাতে বলল শ্যানন। ‘এত ছোট শরীরের মানুষ হিসেবে তোমার শক্তি সত্যিই অবাক করার মত।’
জবাবে হাতের ইশারায় কিছু কৌশল দেখাল তানাকা। তাতে শ্যানন বুঝে গেল, কালো লোকটার সঙ্গে লড়াই করার সময় কী ঘটেছে সেটা অভিনয় করে দেখাচ্ছে জাপানি দস্যু।
‘মনে হচ্ছে, আমরা একদলে থাকলে অন্যদেরকে শেষ করে দিতে আমাদের মোটেও সময় লাগবে না।’ তানাকা আর নিজেকে বুড়ো আঙুল দিয়ে দেখাল শ্যানন। এরপর হাতের ইশারায় দেখিয়ে দিল দ্বীপ। আকাশে ছুঁড়ল কয়েকটা ঘুষি। এবার দু’হাতের দশ আঙুল জড়িয়ে নিয়ে বলল, ‘তুমি আর আমি দল তৈরি করলে কেমন হয়, বাছা?’
নির্বিকার চোখে তাকে দেখছে তানাকা।
শ্যাননের মনে হলো কথা বুঝতে পারেনি এশিয়ান যুবক।
কিন্তু ওর ধারণা ভুল।
দু’জন মিলে অন্যদের শেষ করলে প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা কমবে, সেটা ঠিকই বুঝেছে তানাকা। এখন ভাবছে: অন্যরা মারা গেলে ইংরেজ ব্যাটা তখন চাইবে ওকে খতম করতে। আর সে-সময়ে সত্যিকারের লড়াই শুরু হলে জিতে যেতে পারবে তো সে?
অবশ্য সেই লড়াই শুরু হবে অনেক পরে।
যুদ্ধের গোটা সময়ে চোখে সানগ্লাস পরে লড়াই করেছে শ্যানন। এবার ওটা নাকের ওপর থেকে নিয়ে তানাকার দিকে বাড়িয়ে দিল সে। এর মাধ্যমে বুঝিয়ে দিল, তারা আসলে এখন থেকে মিত্র।
‘তোমার মুখেই ওটা অনেক বেশি মানাচ্ছে।’
কয়েক সেকেণ্ড শ্যাননকে দেখার পর সানগ্লাস নিয়ে নাকের ডগায় ঝুলিয়ে নিল তানাকা।
সানগ্লাস লেনদেনের মাধ্যমে শুরু হলো দু’জনের জোট।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন