কাজী আনোয়ার হোসেন
রিভ সিম্পসন ও তার খুনিরা গুলি করে গেঁথে ফেলার আগেই গভীর জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে মাসুদ রানা। বুঝে গেছে, এখন আর ওর পিছু নিতে পারবে না তারা। স্টিল আর তার দলের চাই অপরাধীদের ভয়ঙ্কর লড়াইয়ের ভিডিয়ো। তাই সিম্পসন ওকে খুন করবে সেটা চাইবে না তারা। রানা নতুন করে ডার্টি গেমে যোগ দেয়ায় পূরণ হয়েছে তাদের উদ্দেশ্য।
সামনে-পেছনে ও ডানে-বামে চোখ রেখে ফিরতি পথে চলল ও। ওয়েদার টাওয়ারে গোলমাল হওয়ার আগে ভেবেছে, যদি কোনভাবে ব্র্যাড স্টিলকে জিম্মি করতে পারত, সেক্ষেত্রে তাকে বন্দি করে ডিফিউয করিয়ে নিত ব্রেসলেটের বোমা। কিন্তু এখন আর লোকটাকে কিডন্যাপ করার কোন সুযোগ নেই। বাড়তি সুবিধা বলতে এখন আছে শুধু একটা বিষয়-টেকনিশিয়ানদের গ্রিড থেকে উধাও হয়েছে ও। কিন্তু একটু পর উবে যাবে এই সুযোগটাও। সূর্য উঠলে জঙ্গল- পাহাড়-সাগর আর সৈকতের যেখানেই থাকুক রানা, ধরা পড়বে ক্যামেরাগুলোর কোন না কোনটায়। তা ছাড়া, গ্রামে হাজির হয়েছিল বলে আগের চেয়ে সতর্ক হয়ে গেছে সিম্পসনের লোকেরা। সুতরাং বাধ্য না হলে ওদিকে আর না যাওয়াই ভাল। স্টিলের হাতের পুতুল হতে চরম আপত্তি আছে রানার। ভাবছে, নিশ্চয়ই কোন না কোন উপায় আছে অপরাধীদেরকে খুন না করে নিজেকে মুক্ত করে নেয়ার।
মিনিট দশেক পর পৌঁছে গেল জাপানি কমাণ্ড পোস্টের কাছে। আর তখনই শুনতে পেল আলকারাযের চাপা গোঙানি। তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করছে কেউ। জঙ্গলে তীরবেগে ছুটে সেতুর কাছে হাজির হলো রানা। ঝোপ থেকে বেরিয়ে পুব দিগন্তে ডিম পোচের মত লালচে সূর্যের কচি আলোয় দেখতে পেল লোডিং ডক।
ফুলে অদৃশ্য হয়ে গেছে আলকারাযের নাক-মুখ ও দুই চোখ। রক্তে মাখা সারাদেহ কাঁচা লালচে মাংসের মত। পালা করে ওকে পেটাচ্ছে শ্যানন ও তানাকা।
ইংরেজ পিশাচের ঠোঁটে এখন জ্বলছে পুরু চুরুট।
‘ওকে ছেড়ে দাও!’ চিৎকার করে বলল রানা।
আলকারাযের ওপর থেকে চোখ তুলে সরাসরি ওকে দেখল শ্যানন আর তানাকা। কিছু দেখা বা শোনার পর্যায়ে নেই প্রায় অচেতন আলকারায।
‘আরে, তুমি আবার কোথা থেকে এলে, দোস্ত!’ খ্যাকখ্যাক করে হাসল শ্যানন।
‘এবার ওকে ছেড়ে দাও, ওর যথেষ্ট শাস্তি হয়ে গেছে, বলল রানা।
‘এটা আবার কী বলো! আমরা তো এখনও শুরুই করিনি!’ ঘুরে পা তুলে আলকারাযকে লাথি দিতে তানাকাকে ইশারা করল শ্যানন। ‘শালাকে আরও জোরে লাথি মারো!’
আলকারাযের বুকে প্রচণ্ড এক লাথি বসাল তানাকা। চাপা গোঙানি বেরোল মৃতপ্রায় যুবকের গলা থেকে। ক্রমেই মৃত্যুর কালো গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে সে।
তূণ থেকে তীর নিল শ্যানন। ‘বলো তো, রানা, তুমি যেখানে আছ, তোমার বুকে তীর গেঁথে দিতে পারব না?’
রানাকে সাহায্য করবে বলে উঠে বসতে চাইল আলকারায। চোখে কিছুই দেখছে না। কুঠারে কাটা কলাগাছের মত টলে পড়ে গেল ডকের মেঝেতে।
‘শালার পো শালা, পারলি না তো বসতে!’ ধনুকে তীর জুড়ল শ্যানন। এত কাছ থেকে অনায়াসে ফুটো করতে পারবে আলকারাযের বুক।
সেতুর ওদিকে দাঁড়িয়ে আছে অসহায় রানা।
ছিলা কানের কাছে টেনে তীর ছেড়ে দিল শ্যানন। স্যাৎ করে আলকারাযের হৃৎপিণ্ডে ঢুকল গ্রাফাইটের তীর।
মাত্র তিন সেকেণ্ড থরথর করে কাঁপল যুবকের দেহ, তারপর নিথর হয়ে গেল চিরতরে।
‘কিছু বুঝলে?’ রানার উদ্দেশে বলল শ্যানন।
শীতল চোখে তাকে দেখছে রানা। অন্তরের গভীরে বুঝে গেল, প্রতিযোগিতায় জিততে গিয়ে কাউকে খুন করতে হলে হাসতে হাসতে খতম করতে পারবে শ্যানন আর তানাকাকে। আসলেই দুনিয়ার বুকে বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই এই দুই দানবের।
‘আমি ব্রিটিশ মিলিটারির এসএএস ফোর্স থেকে ট্ৰেইণ্ড,’ নিজের বুকে বুড়ো আঙুল ঠেকাল শ্যানন। ‘জানি যে তুমিও মিলিটারিতেই ছিলে। তোমার আর আমার ভেতরে অনেক মিল।’
সেতুর ওদিক থেকে তার চোখে চেয়ে আছে রানা। চাপা স্বরে বলল, ‘মস্তবড় ভুল বললে। তোমার আর আমার মধ্যে কোন মিল নেই। আমি সাধারণ মানুষ আর তুমি সত্যিকারের এক রক্তপিশাচ।’
রানার সঙ্গে দোস্তি হবে না বুঝে গেছে শ্যানন। বাঁকা হাসল সে। ‘আমাকে খুব হতাশ করলি তুই। তোর মন আসলে কাদার মত নরম। আর আমি তার ঠিক উল্টো- গ্র্যানিট পাথর দিয়ে তৈরি।’ সাপ্লাই ব্যাগের দিকে আঙুল তাক করল প্রাক্তন ব্রিটিশ মেজর। ‘তানাকা, ক্যান থেকে অকটেন ঢালো লাশের ওপরে।’
ক্যান থেকে আলকারাযের দেহে দাহ্য তেল ঢেলে দিল তানাকা। সে সরে যেতেই মৃতদেহের বুকে জ্বলন্ত চুরুট ফেলল শ্যানন। অকটেনে ভেজা লাশে দপ্ করে জ্বলে উঠল নীলচে আগুন। চিড়বিড় শব্দে পুড়তে শুরু করেছে ত্বক, চর্বি ও মাংস। চারপাশে ছড়িয়ে গেল বিশ্রী দুর্গন্ধ। আকর্ণ হাসি ‘নিয়ে রানাকে দেখল শ্যানন।
‘তুই আসলে বের হয়েছিলি তোর বাবার পেছনদিক দিয়ে,’ গিরিখাদে গমগম করে উঠল রানার কণ্ঠ। সম্ভব হলে সেতুর মাঝের শূন্য জায়গাটা পেরিয়ে দু’হাতে ফেড়ে দিত হারামি দুই ইবলিশের বুক!
রানা খুঁচিয়ে দিয়েছে ইংরেজ সাইকোকে। ওর ধারণা, এর ফলে রেগে গিয়ে অযৌক্তিক আচরণ করবে সে। তৃণ থেকে আরেকটা তীর নিয়ে ধনুকে জুড়ল শ্যানন। রানার বুক লক্ষ্য করে ধনুক তাক করে একটানে কানের কাছে নিল ছিলা। যে-কোন সময় তীর ছুঁড়বে সে।
সরাসরি শ্যাননের চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছে দুঃসাহসী রানা।
‘মর্ তুই, কুত্তার বাচ্চা!’ তিন আঙুলে ধরা ছিলা ছেড়ে দিল সাইকো। বাতাসে শিস তুলে সেতুর দিকে ছুটল তীর।
রানা কোনদিকে সরে যাওয়ার আগেই স্যাৎ করে ওর মাথার তিন ইঞ্চি দূরে পচা কাঠের বিমে গাঁথল গ্রাফাইটের তীক্ষ্ণধার ফলা। মনে মনে নিজেকে বলল রানা, ‘শুরু হয়েছে মরণখেলা!’
একলাফে সেতু থেকে নেমে ঘন জঙ্গলে হারিয়ে গেল ও।
.
এফবিআই ভবনের লবিতে অনুগত ভৃত্যের মত ডিআইএ অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ডোমেনিক উসবাটিকে পথ দেখাচ্ছে এফবিআই ডেপুটি ডিরেক্টর রবার্ট রাইডার। চেহারায় বিনয়ের ছাপ।
‘আশা করি বিষয়টা আপনি বুঝতে পেরেছেন,’ সতর্ক করার সুরে বললেন ডোমেনিক উসবার্টি। ‘আপনার স্পেশাল এজেন্টকে অন্য কোন কাজ দিন।’
‘তা তো অবশ্যই,’ উসবার্টির জন্যে সামনের দরজা খুলে দিল রাইডার। অতিথিকে বিদায় দেয়ার আগেই লবিতে দেখতে পেল এডওয়ার্ড সিমন্সকে। দ্রুত তাদের দিকেই আসছে স্পেশাল এজেন্ট, হাতে একটুকরো কাগজ। খারাপ কিছু শুনতে হবে ভেবে ভুরু কুঁচকে গেল রাইডারের।
তাদের সামনে এসে থামল সিমন্স। ‘একটা জরুরি খবর পেলাম। বিসিআই-এ যোগাযোগ করে কোঅর্ডিনেট্স্ দিয়েছে মাসুদ রানা।’
দরজা পার হতে গিয়েও থমকে গেছেন উসবার্টি। তাঁর দিকে চেয়ে কালচে হয়ে গেল রাইডারের মুখ।
‘ওটা আংশিক হলেও দ্বীপটা সপ্তম ও অষ্টম প্যারালালের মাঝে। এই যে সংখ্যাগুলো।’ হাতের কাগজ সামনে বাড়িয়ে দিল সিমন্স। এখনও নিশ্চিত নয় যে উসবার্টি না রাইডার ওটা আগে হাতে নেবেন।
যেহেতু ডিআইএ চাইছে মাসুদ রানার ব্যাপারে সব চেপে যেতে, তাই এই কাগজের তথ্য পড়লে হয়তো নানান বিপদে পড়বে—তাই ওটার দিকে বিষ-দৃষ্টিতে তাকাল রাইডার।
এডওয়ার্ড সিমন্স বুঝে গেছে, ওর কাছ থেকে কাগজ নেবে না রাইডার, তাই জিজ্ঞেস করল সে, ‘এবার তা হলে বলুন এ-ব্যাপারে আমরা কী করব।’
থমথমে নীরবতা নামল লবির দরজার কাছে।
কাগজ নিতে রাইডার ও উসবার্টির অনিচ্ছা আছে দেখে রেগে গেল সিমন্স। ‘তা হলে কি আমরা চুপ করে বসে থাকব?’
‘এটা এমন এক বিষয়, যা নিয়ে আলাপ না করাই ভাল, সিমন্স,’ একবার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর উসবার্টিকে দেখে নিয়ে নিচু গলায় বলল রাইডার।
তাকে উপেক্ষা করে ডিআইএ অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের দিকে তাকাল সিমন্স। ‘আপনি নিশ্চয়ই জানেন সেই দ্বীপে কী ঘটছে? যেভাবে হোক এই বেআইনী কর্মকাণ্ড বন্ধ করা উচিত। দোষ না করে এল সালভেদরের জেলখানায় তিন মাসের বেশি বন্দি ছিল মাসুদ রানা। আর সেটা তার করতে হয়েছে, কারণ কথা দিয়েও তাকে সাহায্য করেনি ডিআইএ চিফ। আমরা এ-ও জানি, আমেরিকার বিরুদ্ধে কোন তথ্য ফাঁস করেনি সে। নিজের দেশ আর এই দেশের জন্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছে। সুতরাং দুর্নীতিপরায়ণ আমলার মত রুমাল দিয়ে মুখ মুছে নেবেন না।’
‘সিমন্স…’ নিচু গলায় সতর্ক করতে চাইল রাইডার।
‘বলুন তো আপনাদের এত ভয় কিসের?’
ঘাবড়ে গিয়ে চুপ করে থাকল রাইডার।
নিজেও মুখ খুলছেন না উসবার্টি।
হাত তুলে বিশাল দালান দেখাল সিমন্স। ‘বলুন তো, এই দালান আমেরিকার সরকার কেন তৈরি করেছে? অন্যায় চেপে রাখার জন্যে?’
ভয়ে উসবার্টির দিকে তাকাতে পারছে না রাইডার। কিন্তু তার দিকেই চেয়ে আছেন ডিআইএ অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর। এফবিআই স্পেশাল এজেন্টের সাহস দেখে বিস্মিত হয়ে গেছেন। ভাবতে পারেননি বসের মুখের ওপরে এসব বলবে যুবক। আরও একটা বিষয় উসবার্টি বুঝেছেন, দায়িত্ব পালন করার চেয়ে নিজের পদটাকে অনেক ভালবাসে কাপুরুষ রাইডার।
এক পা সামনে বেড়ে সিমন্সের হাত থেকে কাগজটা নিয়ে ওটার ওপরে চোখ বোলালেন ডিআইএ অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর উসবার্টি। এই তথ্য অনুযায়ী খোঁজ নিলে হয়তো তাঁর চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়বে। তবুও সহজ সুরে বললেন তিনি, ‘বেশ, নেভিকে জানাব তারা যেন তাদের জেট ফাইটার দিয়ে এই কোঅর্ডিনেট্স্ অনুযায়ী খোঁজ নেয়।’
উসবার্টি এফবিআই লবি থেকে বেরিয়ে যেতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাথা দোলাল স্পেশাল এজেন্ট সিমন্স। নিজের অফিসের দিকে রওনা হয়েছে রাইডার। তার পিছু নিল সে।
রাগে গা জ্বলছে রাইডারের। মন চাইছে সিমন্সের চাকরি খেয়ে নিতে। কিন্তু নিজেকে সামলে রাখল সে। কোন কারণ ছাড়া চাকরি থেকে কাউকে অব্যাহতি দিলে সেটার পক্ষে জরুরি ব্যাখ্যা চাই। অথচ তেমন কিছু তার কাছে নেই।
তা ছাড়া চাকরি নিয়ে সমস্যা হলে নিজেও চুপ থাকবে না সিমন্স। অভিযোগের আঙুল তুলবে রাইডারের দিকে। তাতে চাকরি নিয়ে সমস্যা হবে তার। সারাদিনের ঘটনায় এমনিতেই প্রচণ্ড মাথা-ব্যথা শুরু হয়েছে রাইডারের, তাই কথা না বাড়িয়ে প্রায় টলতে টলতে গিয়ে ঢুকল নিজের অফিসে।
.
বিসিআই হেডকোয়ার্টার, মতিঝিল।
থমথম করছে কমপিউটার ডিপার্টমেন্টের বিশাল ঘর। যে-যার মত চুপ করে চেয়ারে বসে আছে বিসিআই এজেন্টরা। সবার মনোযোগ বিশাল এলইডি স্ক্রিনের ওপরে।
দক্ষিণ সাগরের অপূর্ব সুন্দর দ্বীপটিতে ধীরে ধীরে আসছে লালচে ভোর। জঙ্গলে শুরু হয়েছে হাজারো পাখির কাকলি। ক্যামেরার দৃশ্য বদলে যেতেই দেখা গেল পিটিয়ে প্রায় মেরে ফেলা হয়েছে বাদামি এক লোককে। আর এই কুকীর্তি করেছে রুপার্ট শ্যানন নামের এক শ্বেতাঙ্গ এবং কাইতো তানাকা নামের এক জাপানি অপরাধী।
কাঠের এক সেতুর ওপরে প্রিয় গুরুকে দেখে বলে উঠল রায়হান রশিদ, ‘ওই যে মাসুদ ভাই!’
মুখ শুকিয়ে গেছে সোহানার।
সোহেল, সলীল ও জাহেদ চট করে একবার দেখল ওকে। সান্ত্বনা দেয়ার মত কিছু খুঁজে পাচ্ছে না ওরা।
এইমাত্র মেক্সিকান আহত লোকটার বুকে তীর গেঁথে দিল রুপার্ট শ্যানন। কয়েকবার নড়ে উঠে স্থির হলো দেহটা।
‘অমানুষিক একটা শো,’ দীর্ঘশ্বাস ফেলল সোহেল।
অকটেন ঢেলে আগুন দেয়া হলো আলকারাযের শরীরে। পোড়া লাশ দেখবে না বলে মুখ সরিয়ে নেবে সোহানা, এমন সময় আবারও দেখতে পেল রানাকে।
সেতুর ওপরে দৃঢ় ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে রানা, চোখে- মুখে একফোঁটা ভয় নেই। কী যেন কথা হলো ওর সঙ্গে রুপার্ট শ্যাননের। তারপর ধনুকে তীর জুড়ল লোকটা। ছিলা টেনে নিল কানের কাছে। পরক্ষণে ছুঁড়ল তীর। রানার কানের পাশে পচা কাঠের বিমে বিধে গেল তীক্ষ্ণধার ফলা।
এতক্ষণ আটকে রাখা দম ফোঁস করে ফেলল সোহানা। অস্ফুট স্বরে বলল, ‘প্লিয, রানা, নিজের খেয়াল রেখো!’
যেন ওর কথা শুনেই সেতু থেকে নেমে জঙ্গলে হারিয়ে গেল বিসিআই-এর সেরা এজেন্ট।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন