কাজী আনোয়ার হোসেন
সাগরতলে নেমে পায়ের বেড়ির তালা ও হ্যাণ্ডকাফ খুলে ভেসে উঠেছে নাৎসি স্লাইডার। সময় লাগেনি সৈকতে উঠে আসতে। ইচ্ছে করেই সুন্দরী রোযি আর তাকে একই সৈকতে রেখেছে স্টিল। মেয়েটাকে ধর্ষণ করার পর খুন করবে বলে জঙ্গলে গিয়ে ঢুকল জার্মান খুনি। অবশ্য সেটা জানে না রোযি।
এরই মধ্যে কয়েক খাড়ি পেরিয়ে গেছে ব্রাভো চপার। ওটা থেকে সামান্য দূরের সাগরে অর্ধনিমজ্জিত এক টর্পেডো বোট। বিশ্বযুদ্ধে জাপানি মিলিটারির আক্রমণে ওটাতে মারা গিয়েছিল দুই আমেরিকান অফিসার ও আটজন সিম্যান। অন্যরা সাঁতরে সৈকতে উঠলে খুন করা হয় তাদেরকে।
এই দ্বীপে মানুষ খুন হওয়া আসলে নতুন কিছু নয়।
উড়ন্ত হেলিকপ্টারে চিৎকার জুড়েছে ইতালিয়ান খুনি বিয়াঞ্চি, ‘কুত্তার বাচ্চারা, ‘কুত্তার বাচ্চারা, একবার ঝোপের ভেতরে তোদেরকে পেলে হাসতে হাসতে জান কবজ করে নেব!’
স্ত্রীকে গুলি করে মেরেছে সে। বাধা দেয়ায় খুন হয়েছে আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। বিক্রি করত ভাঙাচোরা ফিয়াট গাড়ি। যত বড় হারামি লোক হোক, তাকে নিয়ে খুব একটা ভাবছে না কেউ।
‘এবার খেলতে যাও, পিৎযা-ম্যান,’ খোলা দরজার দিকে বিয়াঞ্চিকে ঠেলে দিল একজন গার্ড।
‘আমি তোদের কাঁচা হৃৎপিণ্ড চিবিয়ে খাব!’ জাপানি খুনি তানাকা ও আমেরিকান ড্রাগ ডিলার ক্লার্কের উদ্দেশে চোখ পাকাল বিয়াঞ্চি। ‘আজই তোরা মরবি আমার হাতে!’
বিরক্তিকর লোকটার বকবকানি থামাতে তার মুখে চাবি পুরে দিল গার্ড। ঠেলে নিয়ে গেল খোলা দরজার দিকে। কিন্তু তাতে আপত্তি আছে ইতালিয়ানের। গার্ডের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ল সে। কোনভাবেই ঝাঁপ দেবে না হেলিকপ্টার থেকে। প্রথম গার্ডের সাহায্যে এগিয়ে এল দ্বিতীয় গার্ড। ধুপ-ধুপ করে কয়েকটা ঘুষি বসিয়ে দিল বিয়াঞ্চির গালে। পা পিছলে মেঝেতে পড়ল ইতালিয়ান।
আগ্রহের সঙ্গে সবই দেখছে তানাকা ও ক্লার্ক।
‘আমরা জায়গাটা পেরিয়ে গেছি!’ চিৎকার করল পাইলট।
মেঝে থেকে ধড়মড় করে উঠে দাঁড়িয়ে শেয়ালের মত কেঁদে উঠল বিয়াঞ্চি। বামের গার্ডের মোক্ষম এক ঘুষি লাগল তার চোয়ালে। ঝাঁকি খেয়ে দরজার দিকে পিছিয়ে গেল সে। পায়ের তলায় আর মেঝে নেই বুঝতেই টানা চিৎকার ছাড়ল বিয়াঞ্চি। সরাসরি নেমে গেল সাগরের দিকে। তবে বিধ্বস্ত টর্পেডো বোটে আকাশ থেকে পড়তেই হঠাৎ থামল তার করুণ আর্তনাদ। তিন ফুটি লোহার এক জং-ধরা শাফট ঘ্যাচ করে পিঠে ঢুকে বেরিয়ে গেছে তার বুক ভেদ করে।
.
বিশাল তাঁবুর মস্ত স্ক্রিনে স্টিল দেখল, গলগল করে মুখ থেকে রক্ত বেরোচ্ছে ইতালিয়ান খুনির। শূন্য চোখে দেখছে সে নীল আকাশ। গোটা দৃশ্য এতই বীভৎস, মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে যে সত্যিই মারা গেছে লোকটা।
‘যাহ্!’ নিচু গলায় বলল সিলভারম্যান।
‘শুধু একটা যাহ্ বললেই হবে?’ বলল বিরক্ত স্টিল, ‘ওকে জেল থেকে আনতে গিয়ে আমার খরচ হয়েছে পাক্কা দেড় লাখ ডলার!’
বনি মার্সেল আগেই বলেছিল, তৃতীয় বিশ্বের জেলারদের মত কম পয়সায় কয়েদীকে ছাড়বে না ইতালিয়ান ওয়ার্ডেন। বিয়াঞ্চি ছিল কমিকাল চরিত্র। তার সঙ্গে অন্যদের লড়াই হলে হাসির খোরাক পেত দর্শকেরা। দেড় লাখ ডলার ফুৎ করে শেষ! তবুও কপাল ভাল, দর্শকেরা বুঝে গেছে যে সত্যিই খুন হয়ে গেছে লোকটা, এটা কোন নকল সিনেমা নয়।
কী কারণে ঠিক জায়গায় নামতে পারল না বিয়াঞ্চি, সেটা নিয়ে মাইকে এক গার্ডের সঙ্গে কথা বলছে এমিলি।
ওর মাইক কেড়ে নিল স্টিল। ধমকের সুরে বলল, ‘অ্যাই, গাধার দল, আমরা একটা শো দেখাচ্ছি! মাথায় রাখবে এরপর যেন আর কাউকে এভাবে মরতে না হয়!’
‘ব্যাটার মাথা আসলে নষ্ট ছিল, মিস্টার স্টিল,’ জবাবে বলল গার্ড। ‘আমাদের কিছু করার ছিল না।’
এমিলির মাইক ফেরত দিয়ে আরেক দিকে চলল স্টিল। অজুহাত শোনার ধৈর্য বা মানসিকতা তার নেই। শো ঠিকভাবে চলছে কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়। সিম্পসনের সঙ্গে কথা বলবে ভেবেছে স্টিল। ওর নিশ্চিত হতে হবে যে, যাদের জন্যে এত বড় ক্ষতি হলো, তারা যেন আর কখনও কারও চাকরি করতে না পারে।
অপলক চোখে ব্র্যাড স্টিলকে দেখছে রিটা, ওর চোখে এখন একরাশ দুশ্চিন্তা।
এদিকে পরে ব্যক্তিগত তাঁবুতে ফিরে নিজের কাজের ব্যাখ্যা দেবে বলে ভাবল স্টিল। নিচু গলায় বলল, ‘ভাল
কোন শো তৈরি করার কাজ সবসময় কঠিন।’
কোন মন্তব্য না করে মৃদু মাথা দোলাল রিটা
‘শো-র প্রথম দিকটা কেমন লাগল?’ জানতে চাইল স্টিল।
উপযুক্ত কথা খুঁজতে গিয়ে কয়েক সেকেণ্ড পর বলল রিটা, ‘খুব উত্তেজনাময় ছিল।’
মিথ্যা বলেনি রিটা।
প্রথমে দূর থেকে এল দুই হেলিকপ্টার। দেখা দিল দুর্দান্ত গ্রাফিক্স। এরপর দর্শকেরা দেখল অ্যাকশন সিনেমার মত সাগরতলের দৃশ্য। কিন্তু তারপর যা ঘটল, সেটা মেনে নেয়া খুব কঠিন। এখনও স্ক্রিনে ফুটে আছে মৃত লোকটার রক্তাক্ত মুখ। রিটার চোখ অনুসরণ করে ওদিকে তাকাল ব্র্যাড। ‘এই লোক তার পরিবারের সবাইকে খুন করেছে,’ নরম সুরে বলল সে, ‘ওর যা প্রাপ্য সেটাই পেয়েছে। তা ছাড়া, নিজে ডেকে এনেছে নিজের মৃত্যু। পাগলামি না করলে এখনও বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকত।’
ব্র্যাডের কথা পুরোপুরি মিথ্যা নয়। তার চেয়েও বড় কথা, লোকটার চিৎকার এখন আর কানে এসে লাগছে না। তবুও রিটার মগজে কে যেন বলল: এখানে যা ঘটছে, সেটা সত্যিই খুব অমানবিক ও বেআইনী। এই কণ্ঠ ডায়ানা এরেনোর। বহু আগে দ্বীপ ছেড়ে চলে গেছে মহিলা। এখন কোটি কোটি মানুষকে জানিয়ে দিচ্ছে, এই নিষ্ঠুর শো তৈরি করার মাধ্যমে কী ধরনের অন্যায় করা হচ্ছে।
স্ক্রিনে চেয়ে এই দ্বীপ আর মানুষগুলোকে অলীক বলে মনে হলো রিটার। এসব দৃশ্য যেন অচেনা কোন বইয়ের কাল্পনিক অংশ। অথচ স্ক্রিনে উড়ন্ত ব্রাভো চপার এক শ’ ভাগ বাস্তব।
.
গার্ডের কথা পরিষ্কার শুনতে পেয়েছে জনি এস. ক্লার্ক। তাই জেনে গেছে যে মারা পড়েছে এনযো বিয়াঞ্চি। ‘ইতালিয়ান গাধা তো মরল,’ তানাকার দিকে তাকাল সে, ঠোঁটে হাসি। এবার হেলিকপ্টার থেকে নামতে হবে জাপানি দস্যুকে। সে হয় এর অর্থ বুঝতে পারছে না, অথবা তোয়াক্কা করছে না। এ-বিষয়ে আর মাথা ঘামাল না ক্লার্ক। মনে মনে বলল, ‘মরুক শালা! সামনা-সামনি লড়াইয়ে জাপানি কুত্তাটাকে স্রেফ সুশি বানিয়ে খেয়ে নেব!’
বাস্তবতা জানে তানাকা। চট করে দেখল পিটি বোটের ধ্বংসস্তূপ আর লাশ। রেডিয়োতে কথা বলছে সামনের গার্ড। নিজের কাজে ব্যর্থ হয়েছে বলে পরাজিতের মত হয়ে গেছে তার বডি ল্যাংগুয়েজ। এর ফলে আরও ভালভাবে বুঝে গেছে তানাকা, এরা অপেশাদার গার্ড। ইতালিয়ান বোকা লোকটাও ছিল নির্বোধ। গার্ডদের সঙ্গে লড়তে গেল কেন সে? এর কোন দরকার ছিল? ব্যাটার তো উচিত ছিল দ্বীপে নেমে লড়াইয়ের জন্যে মানসিকভাবে তৈরি হওয়া।
কোঁকড়ানো চুলের কালো লোকটাকে দেখল তানাকা। তার নড়াচড়ার ভেতরে মার্শাল আর্টের কোন ছাপ নেই। সুতরাং সে ধরে নিল, মাত্র কয়েক মিনিটে খতম করতে পারবে কালো কুত্তাটাকে। আসলে তাদের দলের মধ্যে মাত্র তিনজনকে নিজের প্রতিযোগী বলে ভাবছে তানাকা। প্রথমজন ইংরেজ লোকটা। দ্বিতীয়জন রাশান দানব। তৃতীয়জন চুপচাপ বাঙালি যুবক। শেষজনের কুচকুচে কালো মণি দেখলে ভয়ের শিরশিরানি তৈরি হচ্ছে তার বুকে। বাঙালি লোকটাই বোধহয় সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক।
‘মুখ খোলো!’ তানাকার দিকে চাবি এগিয়ে দিল গার্ড।
কথা মেনে মুখে চাবি ভরতে দিল তানাকা। গার্ডের সবুজ সানগ্লাসে দেখছে নিজের প্রতিবিম্ব। বাইরে কাঠফাটা রোদ। চোখ ধাঁধিয়ে দেয় সৈকতের সাদা ঝিকঝিকে বালি। সত্যিই কাজে লাগবে সবুজ সানগ্লাসটা।
সিলিঙের কেল্ থেকে তানাকার তালা খুলেছে দ্বিতীয় গার্ড। ঝড়ের বেগে নড়ে উঠল মার্শাল আর্টিস্টের দু’হাত। ছোঁ দিয়ে প্রথম গার্ডের নাকের ওপর থেকে সানগ্লাস নিল সে। ঝট করে পিছিয়ে ডিগবাজি মেরে বেরিয়ে গেল দরজা দিয়ে। তার ফাঁকে একবার স্যাল্যুটও দিয়েছে প্রথম গার্ডকে।
‘অ্যাই, শালা!’ খেপে গিয়ে বলল গার্ড।
মজা পেয়ে ফিকফিক করে হাসতে লাগল ক্লার্ক।
বাঘের চোখে তাকে দেখল প্রথম গার্ড। ‘তোর মজা লাগছে, কালো কুত্তার বাচ্চা! ওটা রে-ব্যান সানগ্লাস! কিনতে গিয়ে আমার খরচ হয়ে গেছে দুই শ’ ডলারের বেশি!’
‘তাতে আমার কী?’ হাসির বেগ বাড়ল ক্লার্কের।
এক পা এগিয়ে গায়ের জোরে তার ঘাড়ে ঘুষি মারল গার্ড। শেকলে আটকে না থাকলে ব্যথার চোটে ভাঁজ হয়ে বসে পড়ত ক্লার্ক। আধমিনিট পর তার মুখে পুরে দেয়া হলো চাবি। প্রথম গার্ড চেইন খুলে ধাক্কা দিয়ে হেলিকপ্টার থেকে ফেলে দিল ক্লার্ককে। সাগরের দিকে সাঁই করে নেমে গেল সে। বন্দিদের নামিয়ে দিয়ে মেইন ল্যাণ্ডের দিকে চলল ব্রাভো চপার।
.
আলফা চপারে রয়ে গেছে বন্দি রানা ও শ্যানন। মুষ্টিযোদ্ধার মত পরস্পরকে মেপে নিচ্ছে ওরা। কার কী ধরনের দুর্বলতা আছে, সেটা বুঝতে চাইছে।
প্রথমে মুখ খুলল শ্যানন, ‘তো, বলো দেখি হেলিকপ্টারে করে আসতে গিয়ে কেমন লেগেছে তোমার?’
জবাব না দিয়ে তার দিকে চেয়ে রইল রানা। শ্যাননের ইংরেজি উচ্চারণ উঁচু বংশীয় নয়। লিভারপুলের শ্রমিকেরা এই সুরে কথা বলে। স্পেশাল ফোর্সের মেজর হলেও ইংল্যাণ্ডের রানির জন্যে মিলিটারিতে যোগ দেয়নি শ্যানন। তার উদ্দেশ্য ছিল নিজের নোংরা চাহিদা পূরণ করা।
রানা যে মনোযোগ দিয়ে দেখছে, সেটা বুঝে অলস সুরে বলল শ্যানন, ‘ধরে নিলাম, তোমার এখানে আসতে খুব একটা ভাল লাগেনি। তবে এত ভেবো না, দেখবে চট্ করে শেষ হয়ে গেছে তোমার সব সমস্যা।’
সিকিউরিটি চিফের কনুইয়ের গুঁতো পাঁজরে খেল রানা।
‘সামনে বাড়ো, তুমি আগে নেমে যাবে, মুসলিমের বাচ্চা!’
একতিল না নড়ে সিম্পসনের চোখে চেয়ে রইল রানা।
আবারও ওকে সামনে ঠেলতে চাইল সিম্পসন।
কিন্তু পাথরের দেয়ালের মত দাঁড়িয়ে আছে রানা।
‘কুত্তার বাচ্চা, ঘাড় ত্যাড়ামি দেখাচ্ছিস?’ ব্যাটন দিয়ে ভয় দেখাতে চাইল সিম্পসন। ‘মুখ খোল, শালা! চাবি নিবি জিভের ওপরে!’
ব্যাটনের আঘাত আসার আগেই হেলিকপ্টারের দরজার দিকে দুই পা পিছিয়ে গেছে রানা।
‘হাঁ কর, শালা!’ সামনে বাড়ল সিম্পসন। ‘এবার এমন মারব যে…’ কথাটা আর শেষ করতে পারল না, তার আগেই রানার বাম কনুই খটাস্ করে লাগল সিম্পসনের চিবুকে। বনবন করে ঘুরে উঠল লোকটার জগৎ। পিছাতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ল দ্বিতীয় গার্ডের ওপর। ওখান থেকে নামল মেঝেতে। তার কপাল ভাল, কেবলে আটকে আছে রানা, নইলে হয়তো ঝাঁপিয়ে পড়ত সিকিউরিটি চিফের ওপরে।
হো-হো করে হেসে উঠেছে শ্যানন। নিজেকে সামলে নিয়ে বলল, ‘মারটা কোথা থেকে এল, বোঝোনি, তা-ই না?’
চপারের মেঝে থেকে ধড়মড় করে উঠে দাঁড়াল সিম্পসন। কোমরের কালো খাপ থেকে সড়াৎ করে নিল কমব্যাট নাইফ। মাথায় চেপে গেছে খুন। এবার ছোরার আঘাতে বের করে আনবে বাঙালি হারামজাদার পেটের নাড়িভুঁড়ি, কিন্তু তখনই তার মনে পড়ল স্টিলের ভীষণ গম্ভীর মুখ। শেষ সময়ে এই শুয়োরটাকে পেয়ে খুব খুশি হয়েছে বস্। কাজেই এখন একে শেষ করে দিলে বড় ধরনের বিপদে পড়বে সিম্পসন।
ভয় দেখাবার জন্যে কালো ছোরার ডগা রানার গলায় ঠেকাল সে। ছোট এক খোঁচা দিতেই বেরোল এক ফোঁটা রক্ত। হুমকির সুরে বলল, ‘কুত্তার বাচ্চা, তোর কপালে দুঃখ আছে।’ পাইলটের দিকে তাকাল সে। ‘দ্বীপের ওপরে চপার নাও।’
ডানে বাঁক নিল হেলিকপ্টার। ঝড়ের বেগে এগিয়ে এল সাদা সৈকত। নিচে একের পর এক উঁচু বালির ঢিবি।
অধীনস্থ গার্ডকে ইশারা করল সিম্পসন।
রানার চেইন খুলে দিল সে। ঘুরে দেখল বকে। ‘একে চাবি দেবেন না?’
জবাব না দিয়ে গায়ের জোরে ঠেলে রানাকে চপার থেকে নিচে ফেলল সিকিউরিটি চিফ রিভ সিম্পসন।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন