ডার্টি গেম – ১০

কাজী আনোয়ার হোসেন

দশ

কয়েক মাইল দূর থেকে শোনা গেছে সি-৪ বিস্ফোরণের শব্দ। অবশিষ্ট আট প্রতিযোগী বুঝে গেছে ওটার অর্থ আসলে কী।

স্লাইডারের সবচেয়ে কাছে ছিল তানাকা। চপারে গার্ডের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া সানগ্লাস পরে আগুনের কমলা ছাতি ম্লান লেগেছে তার চোখে। বুঝতে অসুবিধে হয়নি, দশজনের দু’জন এখন আর নেই। তানাকা ভাবছে, মরে ভূত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকান সুন্দরী। জার্মান খুনির সঙ্গে গায়ের জোরে জেতার কথা নয় তার। অবশ্য অন্যকিছুও হতে পারে। তানাকার মনে হচ্ছে, উর্বশী, লোভনীয় এক নারী পেয়েও তাকে বোমা ফাটিয়ে খুন করেছে নাৎসি। তার তো ইচ্ছে হওয়ার কথা নারীদেহ ভোগের পর খুন করতে। রোযি বেঁচে থাকুক সেটা মনে মনে চাইছে তানাকা। জার্মান শুয়োর মরলে প্রতিযোগিতায় জেতার সম্ভাবনা বেড়েছে তার।

সাগরের দিকে তাকাল সে। আকাশ থেকে পিটি বোটে পড়ে মরে ভূত হয়েছে ইতালিয়ান। আগুনের শিখা আর প্রায় নিমজ্জিত বোট তানাকাকে মনে করিয়ে দিয়েছে ওর দাদীর কথা।

নাগাসাকির কাছে ছোট এক গ্রামে বাস করত মহিলা। অ্যাটম বোমা পড়লে প্রাথমিক বিস্ফোরণে বেঁচে গেল। তবে ভয়ঙ্কর সেই জীবন হয়ে উঠল মৃত্যুসম। তানাকার মা তখন কায়োটোতে আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল বলে তার ওপরে পড়েনি বিকিরণের প্রভাব। অনেক পরে ছেলেকে বলেছে মহিলা, বিশ্বযুদ্ধের সময় কোথাও পাওয়া যেত না ব্যথা-নাশক ওষুধ। তাই ক্যান্সারে দু’বছর ধুঁকে খুব কষ্ট পেয়ে মারা গেছে ওর দাদী।

অন্য দেশের চেয়ে জাপানে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বহু গুণ বেশি। তানাকার বয়স যখন মাত্র বারো, তার মায়ের শরীরে দেখা দিল লিমফোমা। ওটা হয়েছিল মার্কারি বিষক্রিয়ার কারণে। জাপানের মানুষের ওপরে অ্যাটম বোমা ফেলেছে বলে আমেরিকার সবাইকে ঘৃণা করে সে।

প্রতিদ্বন্দ্বী রাশান দৈত্য, ইংরেজ মিলিটারিম্যান ও বাঙালি লোকটার কথা আবারও মনে পড়ল তানাকার। তারা একবার খুন হলে অন্যদের শেষ করে দিতে কষ্ট কম হবে ওর।

আরেকবার চারপাশ দেখে নিয়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়ল সে।

.

দু’মাইল দূর থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পেয়েছে রানা। এটাও দেখেছে যে দূরে কালো ধোঁয়া। ওর বুঝতে দেরি হয়নি, ব্রেসলেট ফাটার অর্থ আসলে কী। এখন হাতে- পায়ে হ্যাণ্ডকাফ আর বেড়ি নিয়ে ভাবছে, গোড়ালি থেকে কীভাবে খুলবে শক্তিশালী টাইম বম। দক্ষিণ আকাশে আরও ওপরে উঠে গেছে কালো ধোঁয়া। দ্বিতীয় হেলিকপ্টার থেকে পড়ে যে-লোক মরল, তাকে বাদ দিলেও কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবে বোধহয় এখনও রয়ে গেছে সাইকো শ্যানন, জাপানি ইয়াকুয়া দলের ডাকাত, দুই মেক্সিকান খুনি ও রাশান দানব।

কীভাবে তাদের মোকাবিলা করবে, সেটা নিয়ে খুব একটা ভাবার সুযোগ হয়নি রানার। ব্রিটিশ ও রাশান লোকদুটো ওর জন্যে বড় ধরনের হুমকি। বাধ্য হয়ে ওর মেনে নিতে হচ্ছে, হাত-পায়ের শেকল খুলতে না পারলে যে-কেউ খুন করতে পারবে ওকে।

বেড়ির শেকল বা হ্যাণ্ডকাফের তালা ভাঙা যাবে এমন কিছু জিপের কাছে দেখতে পেল না রানা। স্টিয়ারিং শাফট শক্ত করে ধরতেই ভুস্ করে ওটা হয়ে গেল লালচে জঙের ধুলো। রানা বুঝে গেল, এই জিপে কিছুই পাবে না।

ড্যাশবোর্ড থেকে চারপাশে চোখ রেখেছে এক ক্যামেরা। বুঝে গেল রানা, এখানে থাকলে ক্যামেরার মালিকেরা একটু পর দেখতে পাবে সহজ এক খুনের দৃশ্য। বালির ঢিবির কাছে হামলা করা হলে বাঁচার কোন উপায় থাকবে না ওর। .

দক্ষিণে চেয়ে আধমাইল দূরে বালির ঢিবি শেষ হয়ে গেছে দেখতে পেল রানা। এরপর শুরু হয়েছে পাথরখণ্ডের এলাকা। চাইলে ওখানে লুকিয়ে পড়তে পারবে ও। শক্ত কোন পাথর পেলে ওটা দিয়ে হয়তো ভাঙা যাবে বেড়ির কড়া ও হ্যাণ্ডকাফের তালা।

.

পাথুরে এলাকার দিকে রানা যেতেই মেইন তাঁবুর বড় স্ক্রিনে আনা হলো আরেক এলাকার ছবি। ওখানে বিস্ফোরণে উবে গেছে নাৎসি। তার মৃত্যু যেন ছিল পরাবাস্তব। তাঁবুর সবার মনে হয়েছে, সত্যিই কি মারা গেছে লোকটা, নাকি এখনও বেঁচে আছে?

যারা অ্যাকশন সিনেমা পছন্দ করে, প্রতিটি ফ্রেম পয করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখবে গোটা দৃশ্য। তাদের বুঝতে দেরি হবে না যে বিস্ফোরণে কমপিউটারের কোন কৌশল ছিল না।

দুনিয়া জুড়ে যারা স্টিলের শো দেখছে, এরই ভেতরে তারা বুঝে গেছে ঘটনাগুলো সত্যি ঘটছে। বর্তমান দর্শকেরা জানিয়ে দিচ্ছে পরিচিতদেরকে, আসলে কী চলছে ডার্টি গেম শো-তে। ফলে হুড়মুড় করে বাড়তে শুরু করেছে সদস্য- সংখ্যা। এরই ভেতরে সদস্যপদ নেয়ার জন্যে অনুরোধ জানাচ্ছে লাখ লাখ নতুন গ্রাহক। তাদের চাহিদা মেটাতে গিয়ে মহাব্যস্ত হয়ে উঠেছে সিওয়ার্স। একবার ঘাড় ফিরিয়ে স্টিলের দিকে তাকাল। ‘আমাদের দর্শক এখন পাঁচ মিলিয়ন!

‘এটা তো মাত্র শুরু, ‘ হাসল ব্র্যাড স্টিল।

তার দিকে মুখ তুলে তাকাল সিলভারম্যান। ‘এটা মাত্র শুরু? তা হলে কী পরিমাণ দর্শক তুমি আসলে আশা করছ?’

‘সুপার বোউল-এ দর্শক কত হয়, সেটা জানো?’

‘চল্লিশ মিলিয়ন।’

‘আমি আশা করছি তার চেয়ে বেশি দর্শক পাব।’ হতবাক হয়ে স্টিলের দিকে চেয়ে রইল এমিলি, সিলভি ও সিওয়ার্স।

‘কিন্তু সেটা তো অসম্ভব!’ বলল সিলভারম্যান।

‘পৃথিবীতে অসম্ভব বলে কিছু নেই,’ হাসল স্টিল। ‘এরই ভেতরে সাড়া পড়ছে ব্লগ ও চ্যাট-রুমগুলোতে। তাদের ভেতরে আলাপ চলছে, আফ্রিকান এক সুন্দরী মেয়ে বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছে এক জার্মান নাৎসিকে। এর ফলে কী হচ্ছে সেটা কি বুঝতে পেরেছ, সিলভি? আগুন ধরে গেছে ইন্টারনেটে!’

‘শুরু হয়েছে লাখ লাখ পোস্ট,’ মন্তব্য করল সিওয়ার্স।

পুরনো বন্ধু সিলভারম্যানের কাঁধ চাপড়ে দিল স্টিল। ‘গুড ওঅর্ক! চালিয়ে যাও, বাড়ি!’

জবাবে দুর্বল হাসল সিলভি।

‘ধরে নাও আমরা জাদু দেখাচ্ছি,’ দলের উদ্দেশে বলল স্টিল। রিটার প্রতিক্রিয়া দেখতে ঘাড় ফিরিয়ে তাকাল, কিন্তু তাঁবু ছেড়ে চলে গেছে মেয়েটা।

.

চপার থেকে প্রবাল প্রাচীরের কাছে সুনীল সাগরে এসে পড়েছে আলকারায। সাগরের তিন ফুটি ঢেউ আছড়ে পড়ছে অগভীর রিফের গায়ে। একবার সৈকতে উঠলে দ্বীপের দক্ষিণে একের পর এক বালির ঢিবি ও দূরে খাড়া টিলা। আলকারাযের বেশিক্ষণ লাগল না রিফ টপকে পাথুরে জমিতে পা রাখতে। করুণ চোখে দেখল ধারাল প্রবাল ছিঁড়ে দিয়েছে ওর প্যান্ট। সৈকতে উঠতে গিয়ে বার কয়েক আছাড় খেল। তাতে ছিলে গেল কনুই। চাবি দিয়ে খুলে নিল বেড়ির তালা ও হ্যাণ্ডকাফের লক। এরপর ক্লান্তি দূর করতে শুয়ে পড়ল সৈকতের বালিতে।

মাত্র দশ সেকেণ্ড হলো বিশ্রাম নিচ্ছে, এমন সময় চমকে গেল বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজে। শোয়া থেকে লাফ দিয়ে উঠে চারপাশে তাকাল। সামনের ক্লিফের জন্যে কিছুই দেখতে পেল না। তাকাল ওর গোড়ালির টাইম বমের দিকে।

টিকটিক করে কমছে ঘড়ির সময়। বোমার বিস্ফোরণে এরই ভেতরে মারা গেছে ওদের একজন। জানা নেই, মারা গেছে কে। স্ত্রীর বিপদ হয়েছে ভেবে গলা শুকিয়ে গেল তার। মনে মনে বলল, বাঁচাতে হবে ইসাবেলাকে!

হাতে শক্ত করে ধরা চাবি একবার দেখল আলকারায। বুঝে পেল না ওটা আর কোন কাজে আসবে কি না। ওকে নামিয়ে দিয়ে দক্ষিণে গেছে হেলিকপ্টার। তখনও ওটাতে ছিল ইসাবেলা। সুতরাং ধরে নেয়া যায় বালির ঢিবির কাছে নামানো হবে ওকে। ইসাবেলাকে খুঁজতে দক্ষিণে মরুভূমির মত বালির ঢিবির দিকেই যাওয়া উচিত ওর। কিন্তু সেক্ষেত্রে আগে পার হতে হবে চওড়া সৈকত। ওখানে যে-কেউ দেখতে পাবে ওকে। আলকারায সবসময় হামলা করেছে শিকারি হিসেবে। সুবিধামত ডাকাতি বা খুন করেছে। তখন আত্মরক্ষার কোন পথ ছিল না নিরীহ মানুষের। অথচ এখন এই দ্বীপে নিজেকে অসহায় এক শিকার বলেই মনে হচ্ছে তার।

বোমা বিস্ফোরণের এলাকার দিকেই চলল আলকারায। সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র নেই বলে উলঙ্গ লাগছে তার। ফিরে গিয়ে সংগ্রহ করল বেড়ির শেকল। বিপদ এলে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে ওটা।

.

মরুভূমির মত বালির ঢিবি পেরিয়ে পাথুরে এলাকার কাছে চলে গেছে রানা। পায়ে বেড়ি ও হাতে হ্যাণ্ডকাফ নিয়ে ঢিবি টপকাতে গিয়ে হতক্লান্ত। হাঁটার গতি মন্থর। হাত-পায়ের শেকলের ঝনঝন শব্দ চাপা পড়ছে সাগরের ঢেউয়ের শোঁ-শোঁ শব্দে। পাথুরে এলাকায় কেউ থাকলেও সে শুনছে না রানার তৈরি কোন আওয়াজ।

সামনে দেয়ালের মত বিশাল বোল্ডার দেখে সাগরে গলা সমান পানিতে নেমে এল ও। বুটের নিচে কুড়মুড় করে ভাঙছে রঙিন প্রবাল। পাশ কাটাল বিশাল বোল্ডার। এবড়োখেবড়ো পাথুরে জমিতে বেধে যাচ্ছে পায়ের বেড়ি। বুঝতে পারছে, আশপাশে শত্রু থাকলে তার সহজ শিকার হয়ে উঠবে।

বোল্ডার পেছনে ফেলে আবার তীরে উঠে এল রানা। সামনে জোয়ারের জলে ভরা পাথুরে বিশাল টেরেস। ওখানে বসে চারদিকে চোখ বোলাল রানা। ওর চাই এমন এক টুকরো শক্ত পাথর, যেটা দিয়ে ভাঙতে পারবে বেড়ির কড়া ও হ্যাণ্ডকাফের তালা। পাথর খুঁজতে গিয়ে ওর চোখে পড়ল ডোবার দিকে পানির ভেতরে কিসের যেন নড়াচড়া। চট্ করে সরে গিয়ে বড় এক পাথরের আড়াল নিয়ে সেদিকে চেয়ে রইল রানা। হাওয়ার তোড়ে রোদে ঝিলমিল করছে ডোবার ওপরদিকের জল। ওখানে কে আছে সেটা বুঝতে পারল না রানা।

কয়েক সেকেণ্ড পর পানি থেকে উঠে এল এক লোক। সম্ভবত ডোবা পাশ কাটিয়ে বালির ঢিবির দিকে যাবে সে। বোল্ডারের পেছনে দাঁড়িয়ে আক্রমণ করার জন্যে তৈরি হয়ে গেল রানা। এক এক করে পেরোচ্ছে সেকেণ্ড।

বোল্ডার পাশ কাটিয়ে এগোল লোকটা, সম্পূর্ণ অসতর্ক। তাকে চিনে গেল রানা। এ সেই মেক্সিকান ডাকাত ও খুনি। সে কিছু বোঝার আগেই পেছন থেকে তার ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ল রানা।

পাথুরে জমিতে হুমড়ি খেল আলকারায। অনায়াসে তার হাত থেকে শেকল কেড়ে নিল রানা। খপ্ করে তার ঘাড় চেপে ধরে টেনে তুলে ঠেস দিয়ে ধরল এক বোল্ডারের গায়ে। হ্যাণ্ডকাফের শেকলে পেঁচিয়ে নিয়েছে লোকটার গলা। শ্বাস আটকে যেতেই নিজেকে ছাড়াতে চাইল সে।

তার চেয়ে গায়ের জোর বেশি রানার। নিচু গলায় জানতে চাইল ও, ‘তুমি কি আমার পিছু নিয়েছ?’

রানার কোমরে কনুইয়ের গুঁতো দিতে চাইল আলকারায। তবে আগেই সরে গেছে রানা। হ্যাণ্ডকাফের শেকল দিয়ে আরও জোরে চাপ দিল যুবকের গলায়।

‘তোমার মতলবটা কী?’ জানতে চাইল রানা।

নিজেকে ছাড়াতে গিয়ে মেক্সিকান দস্যু বুঝে গেল, গায়ের জোরে কোনভাবেই পারবে না। মনে মনে মেনে নিল, এবার খুন হতে হবে তাকে।

‘তুমি কি মরতে চাও, নাকি বাঁচতে?’ বলল রানা।

‘আমি… আমার স্ত্রীকে খুঁজছি, সেনর,’ ফ্যাসফেঁসে কণ্ঠে বলল আলেক্যান্দ্রো। ‘কাউকে খুন করতে চাই না।’

হ্যাঙারে ও চপারে রানা দেখেছে, ডাকাত ও খুনি হলেও স্ত্রীকে অন্তর থেকে ভালবাসে যুবক। পুরুষমানুষ হিসেবে স্ত্রীর প্রতি সে বিশ্বস্ত। তা ছাড়া, প্রতিপক্ষ হিসেবে বড় কোন হুমকি নয় যুবক। তাকে নিজ পথে যেতে দেবে বলে ভাবল রানা। হ্যাণ্ডকাফের শেকল গলা থেকে সরিয়ে নিয়ে পিছিয়ে এল। ‘তা হলে যাও। খুঁজে বের করো তোমার স্ত্রীকে।’

কিছুক্ষণ ব্যথাভরা গলা টিপল আলকারায, তারপর পাথুরে জমি থেকে তুলে নিল রানার ফেলে দেয়া শেকল। একবার তাকাল ওর চোখে; দৃষ্টিতে একরাশ বিস্ময়। জানে না, কেন ওকে সুযোগ পেয়েও খুন করল না বাঙালি যুবক!

কাঁধ ঝাঁকিয়ে প্যান্টের পকেট থেকে কী যেন বের করল আলকারায, ওটা ছুঁড়ে দিল রানার দিকে। ‘সেনর, এটা হয়তো তোমার কাজে লাগবে। আমাকে যে ছেড়ে দিলে, সেজন্যে তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।’

খপ্ করে চাবি ধরেছে রানা। ওটা কি-হোলে ভরে মোচড় দিতেই খুলে গেল হ্যাণ্ডকাফের তালা। পরের পাঁচ সেকেণ্ডে বেড়ি থেকে মুক্ত হলো ওর দু’পা।

সম্মান দেখাতে পরস্পরের প্রতি মৃদু মাথা দোলাল দুই পুরুষ। ঘুরে দাঁড়িয়ে স্ত্রীর খোঁজে চলল মেক্সিকান দস্যু।

সকল অধ্যায়

১. ডার্টি গেম – ১
২. ডার্টি গেম – ২
৩. ডার্টি গেম – ৩
৪. ডার্টি গেম – ৪
৫. ডার্টি গেম – ৫
৬. ডার্টি গেম – ৬
৭. ডার্টি গেম – ৭
৮. ডার্টি গেম – ৮
৯. ডার্টি গেম – ৯
১০. ডার্টি গেম – ১০
১১. ডার্টি গেম – ১১
১২. ডার্টি গেম – ১২
১৩. ডার্টি গেম – ১৩
১৪. ডার্টি গেম – ১৪
১৫. ডার্টি গেম – ১৫
১৬. ডার্টি গেম – ১৬
১৭. ডার্টি গেম – ১৭
১৮. ডার্টি গেম – ১৮
১৯. ডার্টি গেম – ১৯
২০. ডার্টি গেম – ২০
২১. ডার্টি গেম – ২১
২২. ডার্টি গেম – ২২
২৩. ডার্টি গেম – ২৩
২৪. ডার্টি গেম – ২৪
২৫. ডার্টি গেম – ২৫
২৬. ডার্টি গেম – ২৬
২৭. ডার্টি গেম – ২৭
২৮. ডার্টি গেম – ২৮
২৯. ডার্টি গেম – ২৯
৩০. ডার্টি গেম – ৩০
৩১. ডার্টি গেম – ৩১
৩২. ডার্টি গেম – ৩২
৩৩. ডার্টি গেম – ৩৩
৩৪. ডার্টি গেম – ৩৪
৩৫. ডার্টি গেম – ৩৫
৩৬. ডার্টি গেম – ৩৬
৩৭. ডার্টি গেম – ৩৭

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন