মহিষ

বিশ্বদেব গঙ্গোপাধ্যায়

অদিতিমোহন রায়

 

মোটরে করে কলিকাতা থেকে পাড়ি দিয়ে রাঁচি, চক্রধরপুর, বামড়া, সম্বলপুর হয়ে রায়পুর পৌঁছোলাম। রৌদ্রের প্রচণ্ডতায় চারদিক খাঁ-খাঁ করছে। আমার সঙ্গে যে ড্রাইভার ছিল তার সর্দিগর্মি হয়ে গেল। চুপচাপ কয়দিন বসে থাকবার পর ড্রাইভার হাসপাতাল থেকে ফিরে এল। ঘরিয়ারে মহিষ মারতে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়ে রওনা হয়েছি। অনর্থক চারটে দিন নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর, পাঁচদিনের দিন ভোরে মহাসমন্দ নদী পার হয়ে ঘরিয়ার দিকে এগিয়ে চললাম। ঘরিয়ার জায়গাটা মধ্যপ্রদেশ ও উড়িষ্যার সীমানায়। তবে প্রকৃতপক্ষে উড়িষ্যার ভিতরই তার অবস্থিতি। ঘরিয়ার রেল স্টেশন পার হবার পর জঙ্গল আরম্ভ। পাতলা জঙ্গল। ঘরিয়ার সেগুন কাঠের জন্য প্রসিদ্ধ। কোনোদিকেই জলের নামগন্ধ নেই। বিকেলের দিকে ঘরিয়ারে এসে পৌঁছোলাম। গেস্ট হাউস তৈরি ছিল। সন্ধ্যার সময় যুবরাজ এলেন। রাত্রে প্রাসাদে রাজার সঙ্গে খেতে হল। খেতে খেতে রাজাবাহাদুর বললেন, কাল সকালে হাতি তাঁবু লোকজন নিয়ে রওনা হবে ও ট্রাকাররা ভালো দেখে একটা মহিষ খুঁজে বার করবে। শহর থেকে মহিষের জঙ্গল প্রায় পঁয়তাল্লিশ মাইল। রৌদ্রে হাতির যেতে কষ্ট হবে বলে রাত্রে ও ভোরের দিকে হাতি চলবে।

দ্বিতীয় দিনে ওঁদের T-Model Ford নিয়ে রওনা হলাম। কারণ ও গাড়ি ছাড়া ও রাস্তায় অন্য কোনো মোটর চলবে না। সন্ধ্যার একটু আগে একটা পাহাড়ের তলায় একটা মন্দিরে এসে গাড়ি থামাল। যুবরাজ বললেন, 'এই পাহাড়ে এবং পাহাড়ের তলায় খানিকটা জলার মতো জায়গা আছে। সেখানে ''বড়া সিংহা'' পাওয়া যায়। পাহাড়ের চারধারে যেগুলি থাকে সেগুলি আকারে ছোটো ও জলার ভিতরকার হরিণগুলি বড়ো। এদের ডাকও ভিন্ন প্রকারের।' বিশ্রামের পর পুনরায় রওনা হলাম। সন্ধ্যার মুখে এসে পড়লাম তাঁবুর ধারে। এমন সুন্দর জায়গা সচরাচর নজরে পড়ে না। সামনে পাহাড়। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে নদী চলে গিয়েছে। মোটর থেকে নেমেই বললাম, 'নদীটা দেখে আসি।' যুবরাজ হেসে বললেন, 'কাল সকালেই তো ভালো করে দেখতে পাবেন।' কিন্তু আমি নাছোড়বান্দা। অগত্যা সকলে মিলেই রওনা হলাম। রাজাবাহাদুর আমাকে মহিষের হিংস্রতা সম্বন্ধে সচেতন করে দিয়েছিলেন। তাতেও তিনি আশ্বস্ত হতে না পেরে এক বুড়ো শিকারিকে পাঠিয়ে দিলেন আমাদের গাড়িতে। বৃদ্ধ শিকারির হাতে একটা ৪২৩ মাউসার। এর দ্বারা কতটুকু উপকার হতে পারে বুঝলাম না।

নদীর ধারে পৌঁছে দেখি অসংখ্য পায়ের দাগ। জলের ধারে একটা মহিষের বাচ্চা, বোধ হয় তিন-চার মাস বয়স হবে। কাছে গিয়ে দেখি তখনও বেঁচে আছে। গলায় গভীর ক্ষত-দাগ। বুঝতে পারলাম বাঘে ধরেছিল। কিন্তু মহিষের দল থাকার জন্য বাঘ শিকার ছেড়ে পালিয়ে গেছে। দলের সঙ্গে অতি কষ্টে এসেছিল জল খেতে। একে এই অবস্থায় রেখে গেলে রাত্রে বাঘ হয়তো আসতে পারে, এবং কোথাও নিয়ে খেতে বসলে মড়ির গন্ধে মহিষের দল জল খেতে নাও আসতে পারে। সুতরাং গলা পর্যন্ত বালু দিয়ে চাপা দিলাম। হয়তো অপেক্ষা করলে বাঘ পাওয়া যেত, কিন্তু আমি বাঘ মারতে আসিনি।

 

তাঁবুতে ফিরে এসে পরের দিন সকালের কাজ কীভাবে আরম্ভ করা যায় সে-বিষয়ে পরামর্শ শুরু করলাম। ট্রাকার হিসাবে কাকে নেওয়া যায় এবং কে কোনদিকে যাবে এবং কোন জায়গায় এসে খবর দেবে প্রভৃতি ঠিক করা হল। রাত্রে ভালো ঘুম হল না। কারণ উত্তেজনা এত বেশি হয়েছিল যে শুয়ে শুয়ে ওই একই কথা চিন্তা করতে লাগলাম। ভোরের দিকে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম খেয়াল নেই। হঠাৎ একটি আহ্বানে ঘুম ভেঙে গেল। তাকিয়ে দেখি তাঁবুর ভিতর আলো জ্বলছে। বাইরে মিশকালো অন্ধকার। রাজবাড়ির চাকর চায়ের পেয়ালা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চা খেতে খেতে দেখি যুবরাজ এসে হাজির। যুবরাজ বললেন, 'রায়, একটু তাড়াতাড়ি করতে হবে, আমাদের একটু দেরিই হয়ে গেছে।' বললাম, 'সে কী কথা, এখনও তো মুরগিই ডাকেনি।'

যুবরাজ বললেন, 'মুরগি ডাকার আগেই নদীর ধারে যেতে চাই, হয়তো মহিষের দল এখনও নদীর ধারেই আছে।' লাফ দিয়ে উঠে পড়লাম মহিষের নাম শুনে।

নদীর ধারে পৌঁছে দেখি বেশ ফর্সা হয়ে গেছে। মহিষের বাচ্চাটাকে জল থেকে খানিকটা তোলা হয়েছে। বুঝলাম ওর মায়ের কাজ। বাচ্চা মরে গেছে গত রাত্রেই।

অসংখ্য পায়ের ছাপ— ছোটো, বড়ো, মাঝারি।

সমস্ত ছাপ থেকে দুটি ছাপ বেছে নেওয়া হল। একটি ছাপ চলে গেছে জঙ্গলে। অন্যটি চলে গেছে নদীর কিনারা ধরে নীচের দিকে। তিনজন করে ছ-জন ট্রাকার দু-ছাপের পিছন পিছন চলে গেল। হাতি সঙ্গেই ছিল। হাতি নিয়ে আমরা ঘুরে বেড়াতে লাগলাম উপর আর নীচের জঙ্গলে। বেলা সাড়ে ছ-টায় দেখি একজন ট্রাকার দৌড়োতে দৌড়োতে আসছে। খবর দিল 'একটিয়া' (solitary bull) পাওয়া গেছে। এখানে হাতির সঙ্গে আমাদের সম্বন্ধ শেষ। কারণ, সব হাতি মহিষের সামনে যাবে না। জোর করলে চেঁচিয়ে উঠবে। পায়ে হেঁটে আধ মাইলটাক যাবার পর দেখি প্রায় ৪০০।৫০০ গজ দূরে হাতির মতোই আর একটি জীব জঙ্গলের ধার দিয়ে চরে বেড়াচ্ছে। ইনিই মহিষ! তৈরি হতে আরম্ভ করলাম। ঠিক হল কেবল আমি আর যুবরাজ যাব। আমি আগে রওনা হয়ে একটা ছোটো নালা ধরে এগিয়ে গিয়ে একটা মোটা বিজা গাছের তলায় শুয়ে থাকব। যুবরাজ আমার পিছনে যাবেন। কথামতো আমি রওনা হলাম। নালা দিয়ে খানিকটা এগোনোর পর মনে হল পা দুটো অসম্ভব ভারী হয়ে গেছে। নালা পার হবার পরই খোলা জমি। এখানে বুকে হেঁটে এগোতে হবে। নালায় চলার সময় মহিষ দেখতে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু পিছনকার লোকজন আরও কতটা এগোতে হবে হাতের ইশারায় তা বলে দিচ্ছিল। আস্তে আস্তে মাথা তুলে দেখি, ডাইনে একটা বিরাট জানোয়ার ঘাস খাচ্ছে, এত মোটা শরীর যে, পা দুটো অত্যন্ত ছোটো দেখাচ্ছে। চকচক করছে গায়ের কালো রং। চার পায়ে মোজা পরার মতো সাদা দাগ। অতি সন্তর্পণে বুকে হেঁটে এগোতে লাগলাম বিজা গাছের দিকে। পিছনে একবার তাকিয়ে দেখি যুবরাজ এসে গেছেন এবং ইশারায় আমাকে আরও এগোতে বলছেন। যখন দুজনেই বিজা গাছের নীচে পৌঁছোলাম, দেখি মহিষ আমাদের দিকে পিছনে ফিরে ঘাস খাচ্ছে। প্রতি মুহূর্ত গুনছি, কখন পাশ ফিরবে। রাইফেল তুলে ধরে নিশানা ঠিক করতে লাগলাম। হাতি ছাড়া যে অন্য কোনো জানোয়ার এত বড়ো হতে পারে, ধারণাই করতে পারা যায় না। আমি আগে তিন-চারটি বাইসন মেরেছি। দেখেছি তারাও কত বড়ো। উচ্চতায় হয়তো বাইসনই বড়ো, কিন্তু আয়তনে মহিষের জোড়া নেই। ভগবানের কী অদ্ভুত সৃষ্টি! জঙ্গলের মহিষের রূপ না দেখলে কাউকে বলে বোঝানো যাবে না। অকস্মাৎ পাশের জঙ্গল থেকে মহিষ ডেকে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে জঙ্গলের রূপ গেল বদলে। ঊর্ধ্বশ্বাসে ষাঁড় মহিষ দৌড়াতে লাগল। আমাদের দিকে পিছন ফিরে বিরাট শরীরটা পাতলা জঙ্গলের সঙ্গে মিশে গেল। কিন্তু বিশাল শিংজোড়া বহুদূর পর্যন্ত চোখে পড়তে লাগল।

মহিষের হঠাৎ পালিয়ে যাবার কারণ ঠিক বুঝতে পারলাম না। মনে হয়েছিল হয়তো আমাদের দেখে মাদি মহিষ ডেকে উঠেছে। কিন্তু তাই-বা কী করে হবে? দেখলে অনেক আগেই আমাদের দেখত। পিছনে তাকিয়ে দেখি বুড়ো শিকারি মাথা হেঁট করে নালা ধরে চলে আসছে। বেচারি বুড়ো মানুষ, বুকে হাঁটতে পারবে না, অথচ রাজাবাহাদুরের হুকুম না মেনেও উপায় নেই। যুবরাজের সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ল বুড়োর উপর। কিন্তু তাকে গালাগালি করে আর লাভ কী! যা হবার তা তো হয়েই গেছে।

ফিরে এসে দেখি, গাছের নীচে শতরঞ্জি বিছিয়ে প্রাতরাশ ঠিক করা হচ্ছে। নিজের অদৃষ্টকে ধিক্কার দিতে লাগলাম। যুবরাজ সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, 'মন খারাপ করবেন না, কাল ওটাকে ঠিক পাওয়া যাবে।'

বেলা সাড়ে আটটা নাগাদ দ্বিতীয় দলের একজন ট্রাকার এসে উপস্থিত। খবর দিল প্রায় দু-মাইল দূরে মহিষ পাওয়া গেছে। তাড়াতাড়ি উঠে পড়লাম। এক মাইল যাবার পর দেখি আর একজন ট্রাকার দাঁড়িয়ে আছে। বললে, 'জঙ্গল খুব পাতলা, এখান থেকেই হাঁটতে হবে।'

হাতি থেকে নেমে পড়ে রাইফেলের গুলি দেখে নিলাম। আমার .৫০০ বোর আর যুবরাজের .৩৭৫ ম্যাগনাম হল্যান্ড, হল্যান্ডের তৈরি রাইফেল। পথ চলা শুরু হল; জঙ্গল নেই বললেই হয়। মাইলটাক যাবার পর ট্রাকার হাত দিয়ে গাছের উপর দেখিয়ে দিল। দেখি তৃতীয় ট্রাকার হাত গিয়ে গাছের উপর থেকে নির্দেশ করছে। আমাদের নজরে কিন্তু কিছুই পড়ল না। গাছ থেকে নেমে এসে ট্রাকার জানালে যে, আমাদের সামনে একটা পাতলা ঝোপের ওপাশে বড়ো বড়ো ঘাসের ভিতর মহিষ বিশ্রাম করবে। একটা মহিষ চরে বেড়াচ্ছে। আবার বুকে হাঁটার পালা শুরু হল। প্রায় সত্তর-আশি গজ দূরে একটা উইয়ের ঢিবি, তার মধ্যে একটা সেগুন গাছ। কোনোরকমে যদি ঢিবিটার পাশে যেতে পারা যায়, তাহলে মহিষের এক-শো গজের মধ্যে পৌঁছোতে পারি। এগোতে লাগলাম।

পথ আর শেষ হতে চায় না। দশ গজ করে যাই আর এক মিনিট করে বিশ্রাম করি। অবশেষে যখন ঢিবিটার কাছে পৌঁছোলাম, সমস্ত শরীর কাঁপছে মনে হল। বেলা সাড়ে ন-টা। রাইফেল বেশ গরম হয়ে উঠেছে রোদের তাতে। ঢিবিতে হেলান দিয়ে বসে থাকলাম। ধীরে ধীরে যুবরাজ এসে পৌঁছোলেন। নিশানা করে ট্রিগার চেপে দিলাম। মহিষ মাটিতে পড়ে গেল। পড়ার সঙ্গেসঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে, দৌড়ে অদৃশ্য হয়ে গেল। তাকিয়ে দেখি সামনের ঝোপের ভিতর থেকে চব্বিশ-পঁচিশটা মহিষ আমাদের দিকে দৌড়ে আসছে। হিংস্রতার প্রতিমূর্তি! মনে হল যেন সমস্ত ইন্দ্রিয় শিথিল হয়ে গেল— বাহ্যজ্ঞান লুপ্তপ্রায়। মৃত্যু অবধারিত। এমনি সময়ে দেখি যুবরাজ চপ্পল খুলে গাছে উঠবার চেষ্টা করছেন এবং আমাকেও চিৎকার করে বললেন, 'রায়, শিগগির গাছে উঠে পড়ো।'

গাছে উঠে পড়ো বললেই ওঠা যায় না। আমার পায়ে রবারের বুট, মহিষের দল সমস্ত পাহাড় কাঁপিয়ে দৌড়োচ্ছে। কে যেন বলে উঠল : 'শুয়ে পড়ো, শুয়ে পড়ো।' হঠাৎ দেখি দলের একটা মহিষ দাঁড়িয়ে পড়ল। আমাকে দেখে সামনের পা মাটিতে ঠুকে এগোতে লাগল। আমি আমার রাইফেল ধরে দাঁড়িয়ে রইলাম। মহিষটা এগোতে এগোতে যখন দশ গজের মধ্যে এসে গেছে— কলজে ঘেঁষে গুলি করলাম। সঙ্গেসঙ্গে মহিষ দাঁড়িয়ে পড়ল। মহিষকে দাঁড়াতে দেখে যুবরাজ তাঁর .৩৭৫ দিয়ে গুলি করলেন, কিন্তু গুলি ফুটল না। পর পর পাঁচটা গুলি মিস-ফায়ার। আমি পকেটে হাত দিয়ে দেখি আমার গুলি নেই। কারণ, নতুন গুলি বেছে একটা ব্যাগের ভিতর রেখেছিলাম, সেটা হাতির পিঠেই রয়ে গেছে। কিন্তু কী আশ্চর্য, মহিষ তো আক্রমণ করছে না! সে শুধু এক জায়গায় দাঁড়িয়ে মাথা নেড়ে ভয় দেখাচ্ছে। একটু পরে চোখে পড়ল মহিষের মুখ দিয়ে ফেনার সঙ্গে রক্ত বের হচ্ছে। বুঝলাম ওর হয়ে এসেছে। কিন্তু এগোচ্ছে না কেন?— 'গুলি আনো', 'গুলি আনো', বলে চিৎকার করতে লাগলাম। প্রথমেই এল বুড়ো শিকারি তার .৪২৩ রাইফেল নিয়ে। যুবরাজ বললেন, 'শেষ করে দাও জানোয়ারটাকে।' পর পর পাঁচটা .৪২৩ Manser হজম করে মহিষটা দাঁড়িয়ে রইল অসুরের মতো। ততক্ষণে আমার গুলির ব্যাগও এসে পৌঁছে গেছে। কাছে গিয়ে আরও একটি .৫০০ বোরের গুলি মারতেই মহিষটা পড়ে গেল চিরদিনের জন্য।

কেন যে মহিষটা গুলি খেয়ে আক্রমণ করতে থেমে গিয়েছিল, তা চামড়া খোলার সময় টের পেলাম। গুলি মহিষের পাশে লেগে পেটের ভিতর ঢুকে প্যাংক্রিয়াল রিজিয়ান, মায় কিডনি পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছিল। সুতরাং পিছনের দিকটা সম্পূর্ণ পঙ্গু হয়ে যায়। ভাগ্যিস এটা হয়েছিল, নইলে আমার শিকারের সাধ চিরতরে মিটিয়ে দিত।

কিন্তু অবাক করে দিয়েছিল প্রথম গুলি-খাওয়া মহিষটা। কারণ ঘাড়ে গুলি লাগার পর পড়ে গিয়ে উঠে সে ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ গজ দূরে গিয়ে তবেই আবার পড়ে গিয়েছিল। একটা জানোয়ার ঘাড়ে গুলি লেগে ঘাড় ভেঙে যাওয়া সত্ত্বেও কী করে উঠতে পারে এবং পঁচিশ-ত্রিশ গজ দৌড়াতে পারে— এটা সত্যই চিন্তার বিষয়। হয়তো একমাত্র মহিষের পক্ষেই তা সম্ভব!

সকল অধ্যায়

১. সুন্দরবনের শেষপ্রান্তে
২. শিকারের সন্ধানে
৩. নির্ভীক
৪. শিকারীর ক্ষোভ
৫. শিকারীর ভয়াবহ অভিজ্ঞতা
৬. বিপর্যয়
৭. হাওদা শিকার
৮. হাওদায় বসিয়া শিকার
৯. শিকারের কথা
১০. একদন্তের শেষ
১১. প্যান্থার
১২. মাচা থেকে চিতা ও অন্যান্য
১৩. জঙ্গলের ভ্রূকুটি
১৪. মহিষ
১৫. বীভৎস
১৬. কুমীর শিকার
১৭. হিমালয়ে ভল্লুক শিকার
১৮. কোয়াড়ে ভালুক শিকার
১৯. ভালুকের কবলে
২০. বাজ-বহেরী
২১. পদ্মায় পক্ষী শিকার
২২. পরিশিষ্ট
২৩. শিকারের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম
২৪. শিকার, শিকারী ও জীবজন্তু সম্বন্ধে বিবিধ জ্ঞাতব্য তথ্য
২৫. বন্দুক, বন্দুকের প্রকার ও ব্যবহার সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞাতব্য তথ্য
২৬. বাঙালির শিকারের আগ্নেয়াস্ত্র
২৭. ভারতের ব্যাঘ্র প্রকল্প
২৮. সহায়ক বাংলা পুস্তক তালিকা

নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন

লগইন