গোপালকৃষ্ণ রায়
দাদাভাই ফালকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ‘স্বীকৃত’ জনক। ভারত সরকার তাঁর নামাঙ্কিত একটি মহাসম্মানীয় পুরস্কার চালু করে ভারতীয় চলচ্চিত্রের পথিকৃৎ-এর আসনটি স্থায়ী করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে চলচ্চিত্র জগতের অনেক নক্ষত্রই এই পুরস্কার পেয়েছেন।
ভারতীয় চলচ্চিত্রের ‘জনক’-এর দাবি নিয়ে কিছু বির্তক অনেকদিন থেকেই চলছে। চলচ্চিত্র গবেষকেরা বিতর্ক অবসানের জন্য অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। বিতর্কের মধ্যে আরও একটি নাম এসে গিয়েছে। হীরালাল সেন। কাগজপত্র ও তথ্যাদি দিয়ে গবেষকেরা প্রমাণ করতে চাইছেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের অগ্রজ পথিকৃৎ হীরালাল সেন। দাদাভাই ফালকের সৃষ্টি সম্ভবত প্রথম নয়। বিশিষ্ট চলচ্চিত্র গবেষক প্রয়াত কালীশ মুখোপাধ্যায় অনেক পরিশ্রম করে ‘হারিয়ে যাওয়া’ হীরালাল সেনকে উদ্ধার করে চলচ্চিত্র জগতে যোগ্য মর্যাদা দিয়েছেন। তাঁর মতে ভারতীয় চলচ্চিত্রের পথিকৃৎ হীরালাল সেন। তবে দাদাভাই ফালকের অবদান অবশ্যই স্বীকার্য। হীরালাল সেনের অবিস্মরণীয় অবদানকেও সমমর্যাদার স্বীকৃতি দান অত্যন্ত জরুরি। হীরালাল সেনের নামে একটি সম্মানীয় পুরস্কার দেওয়া যেতে পারে।
দাদা ভাই ফালকে ও হীরালাল সেন ছাড়াও আরও একজন, ভারতীয় চলচ্চিত্রের পথিকৃৎ-এর দাবিদার হতে পারেন। তাঁর নাম মহাদেও গোপাল পটবর্ধন। এই নামটি চলচ্চিত্রের ইতিহাস থেকে প্রায় হারিয়ে গেছে। বিস্মৃতির অতল থেকে এই মানুষটিকে তুলে আনার কোনো প্রচেষ্টাই আজ পর্যন্ত কেউ করেছেন বলে আমার জানা নেই।
১৯০২ খ্রিস্টাব্দে পর্দার বুকে ছবি ফেলে জর্জেস মিলেস যদি সিনেমার আবিষ্কারক হন, তাহলে ভারতীয় মহাদেও গোপাল পটবর্ধন আবিষ্কারকের অগ্রজ পথিকৃৎ।
১৯০২ খ্রিস্টাব্দে যাকে সিনেমা বলে অভিহিত করা হয়েছিল—তার প্রায় এক দশক আগে মহাদেও গোপাল পটবর্ধন ম্যাজিক ল্যান্টার্নের সাহায্যে সেই সিনেমা দেখিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে, সিনেমার জন্মের আগেই পটবর্ধন ম্যাজিক ল্যান্টার্নের সাহায্যে সম্পূর্ণ গল্পের পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ‘সিনেমা’ প্রদর্শন করেছেন। অর্থাৎ স্বীকৃত সিনেমার জন্মের আগেই তিনি ‘সিনেমা’ প্রদর্শন করে চলচ্চিত্রের প্রথম দিগন্ত খুলে দিয়েছিলেন।
সময় ও কালের স্বাভাবিক গ্রাস থেকে এখনও মহাদেও গোপাল পটবর্ধনের তৈরি কয়েক শত স্লাইডস ও ম্যাজিক ল্যান্টার্ন বেঁচে আছে। পুনেতে অবস্থিত জাতীয় ফিলম মহাফেজখানায় সেইসব ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলি বর্তমান প্রজন্মের জন্য সযত্নে রক্ষিত আছে।
স্বীকৃত সিনেমার জন্মের আগে মহাদেও ‘সিনেমার’ জন্ম দিয়েছিলেন। ম্যাজিক ল্যান্টার্নের সাহায্যে তিনি বিচ্ছিন্ন কোনো ছবি দেখাননি। স্লাইডসের মাধ্যমে তিনি পূর্ণ গল্প প্রদর্শন করেছেন। প্রায় তিন ঘণ্টা ব্যাপী সেই প্রদর্শন চলত। গল্পের পারম্পর্য সম্পূর্ণ বজায় রেখে পরপর স্লাইডস প্রদর্শন করতেন মহাদেও গোপাল পটবর্ধন। সময়ের স্বাভাবিক নিয়মেই আজ এই নামটি মানুষের স্মৃতিতে ধূসর হয়ে এসেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে অতীতে আবিষ্কৃত প্রযুক্তি ও কৌশল অপ্রচলিত হয়ে গেছে। এবং স্বাভাবিক ভাবেই তা মানুষের স্মৃতির অন্তরালে চলে গেছে। মহাদেও গোপাল পটবর্ধনের আবিষ্কৃত ‘সিনেমা’ আজকে উন্নত প্রযুক্তির দাপটে হারিয়ে গেছে। কিন্তু এই সময়ে যা অপ্রচলিত— সেই সময়ে তাই ছিল যুগান্তকারী।
মহাদেও-র সিনেমা শুধু স্থির স্লাইডস বললে ভুল বলা হবে। তাঁর নির্মিত এবং অঙ্কিত স্লাইডস ছিল চলমান ও অবিচ্ছিন্ন। স্লাইডসে অঙ্কিত চরিত্রগুলিকে জীবন্ত করে তোলার জন্য একজন বা দুজন অন্তরাল থেকে সংলাপ বলে যেত। আড়ালে কন্ঠ আর পর্দার বুকে প্রতিফলিত চলমান ছবির ধারাবাহিকতায় আজকের সিনেমার মতোই একটি গল্পের দৃশ্যায়ন মানুষ দেখতে পেত।
শুধু আড়াল থেকে সংলাপ নয়, পর্দার অন্তরালে গান গাওয়া হত। অর্থাৎ নেপথ্য সংগীত। সেই নেপথ্য গানের সঙ্গে স্লাইডসের মূর্তিগুলি ঠোঁট মেলাত। আড়ালে নাচ হত আর চলমান মূর্তির ভঙ্গিমায় পর্দার বুকে ভেসে উঠত সেই নাচ। কৌশলের নতুনত্ব এবং অপূর্বত্ব অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য।
পুনের মহাফেজখানায় রক্ষিত স্লাইডস ও ম্যাজিক ল্যান্টার্ন থেকে দেখা যায়, আজকের সিনেমার মতো ‘ক্লোজ-আপ’, আবার কখনো-বা দূরের দৃশ্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। স্লাইডসের মাধ্যমেও পর্দায় প্রতিফলিত হত কখনো অগ্নিকান্ডের দৃশ্য আবার কখনো-বা বর্ষার তরঙ্গবিক্ষুব্ধ নদী। যত সহজে কথাগুলি বলা গেল, সেই সময় এত সহজে এসব কাজ করা সম্ভব ছিল না। কিন্তু, প্রায় এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন মারাঠি মহাদেও গোপাল পটবর্ধন। জর্জেস মিলেসের মতো তাঁর নাম ইতিহাসের পাতায় লেখা নেই। তাঁকে স্মরণ ও সম্মান জানাবার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। সিনেমার জন্মের পূর্বে যে মানুষটি জাতিকে ‘সিনেমা’ উপহার দিয়েছিলেন—আজকের চলচ্চিত্রের দিকপালেরাও তাঁকে স্মরণ করার কথাও ভুলে গেছেন। সরকারি উদ্যোগেও সেই উদ্যোগী পুরুষের জীবন ও কর্ম নিয়ে কোনো তথ্যচিত্র তৈরি করার প্রয়াস নেই। ঋণবদ্ধ হয়েও ঋণ অস্বীকার করার প্রবণতায় আমরা ভুগে চলেছি।
মহাফেজখানায় রক্ষিত স্লাইডসগুলি পরীক্ষা করে দেখা গেছে স্বাভাবিক রং দিয়েই সেগুলি নির্মিত। প্রতিটি চরিত্রের বৈশিষ্ট্য স্লাইডসের বুকে অঙ্কিত। পর্দায় প্রতিফলনে সেই বৈশিষ্ট্য মূর্ত হয়ে ওঠে।
পটবর্ধন দীর্ঘ গল্পকে বিভিন্ন দৃশ্যে ভাগ ও রূপান্তরিত করতেন। আজকে যেমন চিত্রনাট্য তৈরি করা হয়, ঠিক তেমনভাবেই গল্পকে সাজিয়ে পটবর্ধন স্লাইডস তৈরি করতেন। একথা আজ সত্য যে, পটবর্ধন মানুষের চরিত্র স্লাইডসের ওপর চিত্রণ করে পর্দার বুকে প্রতিফলন ঘটিয়েছেন, তাই স্বীকৃত চলচ্চিত্রের জন্মের আগে চলচ্চিত্রের জন্মদাতা হিসেবে তিনি অনন্য ভারতীয়।
মহাদেও গোপাল পটবর্ধন একটি অনন্য কৌশল ও তার উৎকর্ষ ঘটিয়েছিলেন। সেই প্রযুক্তি দিয়ে স্লাইডস তৈরি করতেন এবং ম্যাজিক ল্যান্টার্নের সাহায্যে তা প্রদর্শন করতেন। যদিও সেই সময় ইউরোপে ম্যাজিক ল্যান্টার্ন খুবই জনপ্রিয় ছিল—কিন্তু পটবর্ধন আবিষ্কৃত স্লাইডসে অঙ্কিত কৌশল পৃথিবীর আর কোথাও ছিল না।
মারাঠি এই মানুষটি ছিলেন জাতীয়তাবাদী। নিজের সৃষ্ট ও আবিষ্কৃত কৌশলের কোনো গালভরা বিদেশি নাম দেননি। বরং একটি শ্রুতিমধুর স্বদেশি নামকরণ করেছিলেন। তিনি তাঁর ‘সিনেমা’-র নাম দিয়েছিলেন ‘শাম্বরিক খরোলিকা’ মারাঠি ভাষায় খরোলিকার মানে হল ল্যান্টার্ন।
তিনি শাম্বরিক নাম নিয়েছিলেন একটি হিন্দু পৌরাণিক কল্পকাহিনি থেকে। পৌরাণিক কাহিনিতে শাম্বরিক নামীয় একটি দানবের কথা আছে। শাম্বরিক গভীর রাতে চলাফেরা করত। পথচলতি পথিকদের নিয়ে কৌতুক করত। তবে ইউরোপের ড্রাকুলার মতো কোনো পথিকের ক্ষতি করত না। শাম্বরিক বরং হাস্যরস ও কৌতুক করে পথহারা পথিককে পথের নির্দেশ দিত।
১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দ। সিনেমার জন্মের আগেই সিনেমা তৈরির সংগ্রাম শুরু করেছিলেন মহাদেও গোপাল পটবর্ধন। যখন ইউরোপিয়ান কারবারিরা ম্যাজিক ল্যান্টার্ন দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘প্রমোদ’ বিক্রয়ের ব্যাবসা শুরু করেছে—ঠিক সেই সময় তাঁর একক প্রচেষ্টায় মুগ্ধ হয়ে তাঁর সঙ্গে হাত মেলালেন মদনরাও মাধবরাও পিতালে। দুই বন্ধুর মন আর মস্তিষ্ক একবিন্দুতে এসে মিলল। ইউরোপিয়ানদের মতো ম্যাজিক ল্যান্টার্নের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ছবি দেখাতে তাঁদের মন চাইল না। একটি উন্নত মানের কৌশল আবিষ্কার করে স্লাইডসের মাধ্যমে পুরো একটি গল্প প্রদর্শনের চিন্তা তাঁদের মাথায় এল। পর্দার বুকে প্রতিফলিত করতে হবে—অবিচ্ছিন্ন গল্প। সেই গল্পের পারম্পর্য ও ধারাবাহিকতা অবশ্যই থাকবে। স্লাইডসগুলিকেও করে তুলতে হবে জীবন্ত। গল্পের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দৃশ্যও সৃষ্টি করতে হবে। ব্যর্থতা বোধ হয় মহাদেও গোপাল পটবর্ধনের অভিধানে লেখা ছিল না। একটা ম্যাজিক ল্যান্টার্ন কিনে কিছু পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে নিজেদের উপযোগী করে নিলেন। স্লাইডসগুলিও এমনভাবে তৈরি করলেন—যা আলোর বিকিরণে জীবন্ত হয়ে উঠল। কৌশল তাঁদের নিজস্ব এবং আবিষ্কারের দাবিদার তাঁরাই দুজন। স্লাইডস-এ প্রায় সবরকম দৃশ্যই তাঁরা আঁকলেন। কখনো একক কখনো-বা দুটি মুখ, আবার কখনো-বা জনতার ছবি। কাচের ওপর তাঁরা মিনিয়েচার পেন্টিং শুরু করলেন। গল্পের সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রতিটি চরিত্রের মুখ, অবয়ব অঙ্গভঙ্গি এবং ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া স্লাইডসে তুলে ধরলেন। আলোর সাহায্যে সেই অঙ্গভঙ্গি প্রায় আজকের সিনেমার রূপ পেয়েছিল। কোনো একটি বিশেষ অ্যাকশনের পরোৎকর্ষের জন্য তাঁদের একাধিক স্লাইডস আঁকতে হয়েছিল। অবিচ্ছিন্নভাবে গল্প পরিবেশনের জন্য তাঁরা একাধিক ম্যাজিক ল্যান্টার্ন ব্যবহার করেছেন।
সৌভাগ্যের মধ্যে অনেক সময় নেমে আসে দুর্ভাগ্যের কালোছায়া। যখন পটবর্ধনের শাম্বরিক খরোলিকা প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছিয়েছে—ঠিক তখনই মদনরাও নিজেকে সরিয়ে নিলেন। ধাক্কা খেলেও হতোদ্যম হলেন না মহাদেও। নিজের ছেলে বিনায়ককে নিয়ে তাঁর সারাজীবনের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিলেন। ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দ। পটবর্ধনের জীবনের স্মরণীয় কাল। তাঁর সাত বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম মানুষের ক্লান্তি নিরসনের মাধ্যম হয়ে উঠল। তিনি প্রায় তিন ঘণ্টা কুড়ি মিনিট তাঁর প্রথম শো চালিয়েছিলেন। সেই সময়ের সব সংবাদপত্র তাঁর শাম্বরিক খরোলিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছিল। একথা নি:সন্দেহে বলা যায় পটবর্ধনের শাম্বরিক খরোলিকা আজকের চলচ্চিত্রের অগ্রদূত।
প্রথম প্রদর্শনের অভাবনীয় সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে পিতা-পুত্র নতুন উদ্যমে দ্বিতীয় প্রদর্শনের প্রস্তুতি নিলেন। কিন্তু পিতা-পুত্রের উদ্যম আবার বাধা পেল। মহাদেও গোপাল পটবর্ধন ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে মারা গেলেন। শোকাহত মনকে অবিচল রাখলেন বিনায়ক। পিতার আরব্ধ কাজ সম্পাদনের জন্য রেলের চাকরি ছাড়লেন। ছোটোভাই রামচন্দ্রকে নিয়ে পিতার স্বপ্নকে সম্ভব করে তুললেন।
আমাদের দেশে মোশন পিকচার্সের প্রথম প্রদর্শন ৭জুলাই, ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে হলেও ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মুক্ত অঙ্গনে তাঁবু খাটিয়ে সিনেমা প্রদর্শন হত। নিয়মিত নির্বাক চলচ্চিত্র প্রদর্শন শুরু হয় ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে। শহরাঞ্চলে এই সিনেমা হয়ে ওঠে মানুষের প্রমোদের অন্যতম বাহন। বিনায়ক ভ্রাতৃদ্বয় তাঁদের প্রদর্শন নিয়ে স্থান থেকে স্থানান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে সবাক চলচ্চিত্র শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁরা এই কাজ করেছেন। পটবর্ধন স্লাইডস-এর মাধ্যমে সাতটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ‘ছবি’ তৈরি করেছিলেন। এই সাতটি ‘ছবি’-র জন্য তাঁরা পাঁচ হাজারের বেশি স্লাইডস তৈরি করেছিলেন। সাতটি প্রোগ্রামের মধ্যে একটি ছিল সার্কাস শো। অক্লান্ত পরিশ্রম করে একটি অবিশ্বাস্য কাজ করেছিলেন তাঁরা। সার্কাসের বাঘ, হাতি ও অন্যান্য জন্তুজানোয়ারের রঙিন স্লাইডস তৈরি করেছিলেন। তাঁদের এই অবিশ্বাস্য কীর্তির কিছু অংশ জাতীয় ফিলম মহাফেজখানায় রক্ষিত আছে।
১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন পটবর্ধন ভ্রাতৃদ্বয়। ইংরেজরা তাঁদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। সেই বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে তাঁদের দুই পুরুষের সাধনায় অঙ্কিত মূল্যবান স্লাইডসগুলির বেশির ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে প্রলয়ঙ্করী বন্যায়ও কিছু স্লাইডস নষ্ট হয়ে যায়।
মহাদেও গোপাল পটবর্ধনের দৌহিত্র ডি আর পটবর্ধন প্রায় চার-শো স্লাইডস আর ম্যাজিক ল্যান্টার্ন জাতীয় ফিলম মহাফেজখানায় দান করে দিয়েছেন।
মহাদেও গোপাল পটবর্ধনের অবিস্মরণীয় কীর্তি তেরো বছর পূর্বে শতবর্ষ পূর্ণ করেছে। স্বীকৃত সিনেমার জন্মের আগে যে মানুষটি ‘সিনেমা’র জন্ম দিয়েছিলেন তাঁর প্রতি জাতির শ্রদ্ধা জানাবার নিশ্চয়ই প্রয়োজন আছে।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন