এক ছিলেন রাজা, তাঁর ছিল এক রানী। দুজনে একরকম সুখেই ছিলেন। তাঁদের ছিল বারোটি সন্তান— কিন্তু সবকটিই ছেলে। একটি মেয়ে হয়নি।
একদিন রাজা রানীকে ডেকে বললেন—এতগুলি ছেলে হল, একটিও মেয়ে হল না। দেখ রানী, আমি ঠিক করেছি এবার যদি তোমার মেয়ে হয়, তাহলে ছেলে আর আমি একটিও রাখব না। মেয়েই হবে আমার একেশ্বরী— সে-ই আমার রাজ্য পাবে।
রানী বললেন—সে কী কথা মহারাজ?
রাজা তখন রানীকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে বললেন— দেখ রানী।
রানী দেখলেন ঘরের মধ্যে সারি সারি সাজানো বারোখানি নতুন কাফিন। কাফিনের মধ্যে বারোখানি নতুন বালিস।
রাজা বললেন— এবার মেয়ে জন্মালেই বারোটি ছেলেকে মেরে বারোটি কাফিনে ভরে গোর দেব। এই নাও চাবি তোমার কাছে রেখে দাও, খবরদার এ ঘরের কথা কাউকে বোলো না।
এই বলে রাজা সেই ঘরের চাবি রানীর হাতে তুলে দিলেন।
এরপর থেকে রানী সারাদিন শুকনো মুখে কাটান। মুখে হাসি নেই। দেখে তাঁর ছোট ছেলে বেঞ্জামিন একদিন সুধোলে—মা গো, তোমার কিসের এত দুঃখ!
ছোট ছেলেটিকে রানী বড় ভালোবাসতেন। তাকে কোলের কাছে টেনে নিয়ে বললেন— সে বলতে আমার সাহস হয় না বাছা!
কিন্তু বেঞ্জামিনও ছাড়বে না। সে লেগে রইল, যতক্ষণ না মা তাকে বলেন। শেষে আর না পেরে রানী একদিন তাকে নিয়ে গিয়ে সেই ঘর খুলে বারোটি নতুন কাফিন আর কাফিনের মধ্যে বারোটি নতুন বালিস দেখালেন। দেখিয়ে বললেন— বেঞ্জামিন বাছা! তোমার আর তোমার এগারো দাদার জন্যে তোমার বাবা এই কাফিনগুলি করিয়েছেন। এবারে আমার কোলে যদি মেয়ে আসে তাহলে তোমার বাবা তোমাদের সবাইকে মেরে ফেলে এই কাফিনে ভরে গোর দেবেন।
এই বলে রানী কাঁদতে লাগলেন। ছোট রাজপুত্র তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে বললে— কেঁদো না মা, আমরা ঠিক নিজেদের বাঁচাবো। আমরা এখান থেকে অনেক দূরে চলে যাব।
রানী বললেন— তাই যা বাছা, তোর এগারো দাদাকে নিয়ে এখান থেকে অনেক দূরে পালিয়ে যা। আর দ্যাখ, যেখানে যাবি সব সময় তোদের মধ্যে একজন যেন সবচেয়ে উঁচু যে গাছ তাতে চড়ে বসে থাকিস আর আমাদের রাজপ্রাসাদের চুড়োয় যে বুরুজ আছে তার দিকে লক্ষ রাখিস। যদি আমার ছেলে হয় তাহলে বুরুজে আমি সাদা নিশেন উড়িয়ে দিতে বলব। তা দেখে তোরা ফিরে আসিস— তোদের কিছু হবে না। আর যদি মেয়ে হয় তাহলে বুরুজে লাল নিশেন উড়িয়ে দেব। তা দেখে আর থাকিস নে, যত দূরে পারিস পালিয়ে যাস। আমি ভগবানের কাছে দিনে রাতে আমার প্রার্থন জানাবো যাতে তোদের অনিষ্ট না হয়, শীতে যেন তোদের আগুন জোটে, গ্রীষ্মে যেন গরমে কষ্ট না হয়।
তারপর রানীর পায়ের ধুলো নিয়ে বারো রাজপুত্র চুপিচুপি রাজবাড়ি ছেড়ে বনে চলে গেলেন। প্রতিদিন একজন করে ভাই গাছে চড়ে রাজপ্রাসাদের বুরুজের দিকে চোখ রেখে বসে থাকত। এগারো দিনের দিন বেঞ্জামিনের পালা এল। বেঞ্জামিন গাছের চূড়ায় উঠতেই দেখতে পেল, রাজপ্রাসাদের বুরুজে একটা নিশেন টাঙানো হচ্ছে। নিশেনের রংটা রক্তের মতো টকটকে লাল!
বেঞ্জামিন গাছ থেকে নেমে এসে খবর দিতেই তার দাদারা বুঝল আর কোন আশা নেই। তাদের পালাতে হবে, নইলে মৃত্যু।
তারা খুব রাগ করল। রাগ করে বললে— একজন বালিকার জন্যে আমাদের আজ এই দশা? মৃত্যুভয়ে পালাতে হচ্ছে? এর প্রতিশোধ চাই! বালিকা দেখলেই আমরা কেটে ফেলব, এস এই শপথ নেই!
এই বলে তারা গভীর অরণ্যে প্রবেশ করল। সেই অরণ্যের মাঝখানে যেখানে সবচেয়ে বেশি অন্ধকার সেখানে দেখল ছোট্ট একটি বাড়ি খালি পড়ে রয়েছে। বাড়িটি ছিল জাদু-করা।
তারা বললে— এই বাড়িতে আমরা থাকব। বেঞ্জামিন আমাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট, এখনও, তার হাত-পা সবল হয়নি। সে বাড়িতে থাকুক, রান্না-বান্না করুক ; আমরা বনে যাব খাবারের চেষ্টায়।
এই বলে তারা বনে গিয়ে খরগোস, বুনো হরিণ, বুনো পাখি আর ঘুঘু শিকার করে ফিরতে লাগল আর বেঞ্জামিন তাই রেঁধে তাদের খাওয়াতে লাগল। এমনি করে দেখতে দেখতে দশ বছর কাটিয়ে দিলে তারা সেই ছোট্ট বাড়িতে।
ইতিমধ্যে রানীর কোলে রাজকন্যা বেড়ে উঠল। তাকে দেখতে হল যেমন সুন্দরী তেমনি হল তার দয়া-ভরা মন। তার কপালে ছিল একটি সোনার তারা।
একদিন রাজবাড়িতে যখন রাশি-রাশি পুরোনো কাপড় কাচা হচ্ছে তখন মেয়েটি দেখল বারোখানি ছোট ছোট জামা। সে বললে— মা, এগুলি কার? বাবার গায়ে তো এতটুকু জামা হবে না!
শুনে মায়ের মন দুঃখে ভরে গেল। তিনি নিশ্বাস ছেড়ে বললেন— বাছা রে, এগুলি তোর বারো দাদার।
মেয়েটি সুধোলে— আমার দাদারা কোথায়? কখনো তো শুনিনি তাদের কথা?
রানী জবাব দিলেন— ভগবানই জানেন কোথায় তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে! বলে তিনি কন্যাকে নিয়ে গেলেন সেই গোপন ঘরে। চাবি খুলে তাকে সেই বারোটি কাফিন আর তার মধ্যে বারোটি বালিস দেখালেন। বললেন— তোর বারো দাদার জন্যে এই বারোটি কাফিন তৈরি হয়েছিল। তুই যখন জন্মাস তখন থেকেই তারা অনেক দূরে পালিয়ে গেছে ! এই বলে যা-যা ঘটেছিল সব তিনি মেয়েকে শোনালেন।
রাজকন্যা বললেন— কেঁদো না মা। আমি যাব, গিয়ে আমার ভাইদের খুঁজে বার করে আনব।
এই বলে সে বারোটি জামা নিয়ে বেরিয়ে পড়ল। বনের মধ্যে ঢুকে যায় যায় যায়, শেষে বন যেখানে সবচেয়ে গভীর সেখানে এসে সন্ধে হতেই চোখে পড়ল সেই জাদু-করা বাড়িটি। বাড়ির মধ্যে ঢুকে সে দেখল চমৎকার সুন্দর একটি ছেলে দাঁড়িয়ে। ছেলেটি বললে— কোথা থেকে আসছ তুমি? কী চাও? তার রূপ দেখে, তার রাজবাড়ির পোশাক দেখে আর তার কপালে সোনার তারা দেখে সে অবাক হয়ে গেল।
মেয়েটি জবাব দিলে— আমি এক রাজার মেয়ে। আমি আমার বারো দাদাকে খুঁজতে বেরিয়েছি। নীল আকাশের তলায় যত দেশ আছে সব দেশে আমি খুঁজব যতদিন না তাদের বার করতে পারি। এই বলে সে বারোয়ানা জামা বার করে দেখালে।
বেঞ্জামিন তখন বুঝল, এই হচ্ছে তার ছোট বোন। সে বললে— আমি বেঞ্জামিন। আমি তোমার ছোটদাদা।
আনন্দে রাজকন্যার চোখে জল এল। বেঞ্জামিনও কাঁদল। তারপর দুজনে জড়িয়ে ধরল দুজনকে। দুজনের মন সুখে ভরে গেল।
বেঞ্জামিন বললেন— বোনটি! এখনও একটা বিপদ কিন্তু কাটেনি। আমরা শপথ করেছি, যে-কোন বালিকার সঙ্গেই আমাদের দেখা হোক তাকে আমরা কেটে ফেলব। কারণ একটি কন্যা জন্মানোর ফলেই আমাদের রাজপুরী ত্যাগ করতে হয়েছে।
রাজকন্যা বললে— আমাকে কেটে ফেললে যদি আমার বারো দাদার উপকার হয়, তাহলে তো আমি খুশি হয়ে মরব।
ছোটদাদা বললে— না, তোমায় মরতে হবে না। ঐ যে টব দেখছ, ওর নিচে গিয়ে লুকিয়ে বোসো। আমাদের এগারো দাদা ফিরলে একটা কিছু ব্যবস্থা করা যাবে। রাজকন্যা গিয়ে টবের নিচে লুকোলো।
সন্ধে হতে রাজপুত্রেরা সব ফিরে এল বাড়ি। এসেই খেতে বসে গেল।
খেতে বসে তারা বললে— আজকের খবর কী?
বেঞ্জামিন বললে— তোমরা কোনো খবর পাওনি?
তারা বললে— না।
বেঞ্জামিন বললে— তোমরা এত বাইরে ঘোরো, অথচ ঘরে বসে আমি তোমাদের চেয়ে বেশি খবর পাই।
—বল, বল! বলে তারা সবাই চেঁচিয়ে উঠল।
বেঞ্জামিন বললে— তাহলে আগে তোমরা প্রতিজ্ঞা কর যে প্রথম যে বালিকাকে আমরা দেখব তাকে তোমরা কাটবে না?
সবাই একসঙ্গে বললে— তাই প্রতিজ্ঞা করলুম। প্রথম কন্যাকে আমরা ক্ষমা করব। বল এবার।
তখন সে বললে— আমাদের বোন এখানে এসেছে। এই বলে টব তুলতেই টবের নিচে থেকে ঝলমলে রাজবাড়ির পোশাকে কপালে সোনার তারা রাজকন্যা বেরিয়ে এল। অমন সুন্দরী অমন নরম তুলতুলে চেহারা দেখে সবাই খুশি হয়ে উঠল। স বাই তাকে আদর করল।
এরপর রাজকন্যা সেই বাড়িতেই রয়ে গেল। বেঞ্জামিনের রান্নার কাজে ঘরকন্নার কাজে সে-ও হাত লাগালে। অন্য ভাইরা বন থেকে শিকার করে আনত আর রাজকন্যা আর বেঞ্জামিন রেঁধে বেড়ে তাদের জন্যে বসে থাকত। মেয়েটি কাঠ কুড়িয়ে আনত, তারকারি তুলে আনত আর হাঁড়িতে খাবার ফুটলে চোখ রাখত। ঘরের সমস্ত জিনিস যেখানকার যা গুছিয়ে রাখত আর পরিষ্কার ঘরে বিছানা পেতে দিত। দাদারা গোছানো সংসার পেয়ে ভারি আনন্দে সকলে মিলে-মিশে দিন কাটাতে লাগল।
এমনি করে দিন কাটছে, একদিন ছোট রাজপুত্র আর রাজকন্যা মস্ত এক ভোজের আয়োজন করলে। সকলে খেতে বসল। খুব তৃপ্তি করে খেল সবাই। এখন হয়েছে কি, সেই জাদু-করা বাড়ির গায়ে ছোট্ট একটি বাগান ছিল, তাতে বারোটি লিলি ফুল ফুটেছিল। দাদাদের খুশি করবার জন্যে রাজকন্যা সেই বারোটি ফুল তুলতে চলল। মনে করল তারা যখন মাংস খাওয়া শুরু করবে তখন প্রত্যেককে একটি করে ফুল দেবে। কিন্তু যেই সে একটি একটি করে ফুল ছিঁড়তে লাগল অমনি এক-একটি ভাই এক-একটি দাঁড়কাক হয়ে উড়ে চলে গেল। উড়তে উড়তে যেই না তারা দূরে বনের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল, অমনি সেই মায়া-কুটির আর তার বাগান দুই-ই গেল মিলিয়ে। বেচারা রাজকন্যা দেখলে, বনের মধ্যে সে একা দাঁড়িয়ে।
এদিক-ওদিক তাকাতে তাকাতে হঠাৎ তার চোখে পড়ল, তার কাছেই দাঁড়িয়ে রয়েছে এক বুড়ি। বুড়ি বললে— কী করলে তুমি বাছা? ফুলগুলি না ছিঁড়লেই তো পারতে! ঐগুলিই ছিল তোমার বারো ভাই— ওরা সব দাঁড়কাক হয়ে গেছে, আর তো ফিরবে না!
রাজকন্যা কাঁদতে-কাঁদতে বললে— ওদের মানুষের রূপে ফিরিয়ে আনবার কি কোনো উপায় নেই?
বুড়ি বললে— না। সারা পৃথিবী খুঁজলেও কোনো উপায় পাবে না, শুধু একটি ছাড়া। কিন্তু সে ভীষণ শক্ত। দাদাদের ফিরিয়ে আনবার একমাত্র উপায় হচ্ছে, সাত বছর তোমাকে বোবা হয়ে থাকতে হবে। কথাও কইতে পাবে না, হাসতেও পাবে না। সাত বছর পূর্ণ হবার এক মুহূর্ত আগেও যদি তুমি একটি কথাও বলো তো তোমার দাদাদের আর কোনো ভরসাই থাকবে না—তারা আর বাঁচবে না।
রাজকন্যা মনে-মনে বললে— আমি জানি যে আমি আমার ভাইদের মুক্ত করতে পারব। এতে কোনো সন্দেহ নেই। এই ভেবে সে একটা প্রকাণ্ড উঁচু গাছ দেখে তাতে চড়ে বসল। সেইখানে বসে সে চরকা কাটতে শুরু করলে, মুখ বন্ধ করে দিলে। কথাও কইল না, হাসলও না।
এখন হল কি, সেই বনে এলেন এক রাজা শিকার করতে। সঙ্গে তাঁর এক শিকারী কুকুর। কুকুর দৌড়তে দৌড়তে সেই গাছের কাছে এসে রাজকন্যাকে দেখতে পেয়ে লাফালাফি আর ডাকাডাকি শুরু করে দিলে। রাজা এসে দেখেন এক পরমা সুন্দরী কন্যা, কপালে তার সোনার তারা, বসে বসে চরকা কাটছে। রাজা দেখে এমন মুগ্ধ হলেন যে বললেন— কন্যা, তুমি আমার রানী হবে? আমি তোমায় রানী করব। রাজকন্যা কোনো কথা কইলেন না, শুধু একটু ঘাড় নাড়লেন। রাজা তখন নিজেই গাছে চড়ে রাজকন্যাকে নামিয়ে আনলেন। তাকে ঘোড়ায় চড়িয়ে দেশে নিয়ে গেলেন। মহা ধুমধামে বিয়ে হল, খুব আমোদ-প্রমোদ হল ; কিন্তু রাজার বৌ কথাও কইলেন না, হাসলেনও না।
কয়েক বছর বেশ সখে স্বচ্ছন্দে কেটে গেল। কিন্তু রাজার মা ছিলেন ভারি হিংসুটি, ভারি খল। তিনি নতুন রানীর নামে নিন্দে রটাতে শুরু করলেন। রাজাকে বললেন— ও তো ভিখিরির মেয়ে! নইলে অমন হয়? নিশ্চয় কিছু মন্তর-তন্তর করছে। কী করছে কে জানে? আর যদি সত্যিই বোবা হয় তাহলে কথাই না-হয় কইত না, কিন্তু হাসত তো? হাসে না যখন তাহলে বুঝতে হবে কি কুমতলব আছে।
প্রথম-প্রথম রাজা কান দিতেন না, কিন্তু বুড়ি বলে বলে রাজার মাথা এমন বিগড়ে দিলে যে রাজা শেষে তাই বিশ্বাস করলেন আর হুকুম দিলেন যে রানীকে পুড়িয়ে মারা হোক।
রাজবাড়ির উঠোনে প্রকাণ্ড এক চিতা সাজানো হল। রাজা উপরের ঘরের জানলা দিয়ে দেখতে লাগলেন আর তাঁর চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগল। পুড়িয়ে মারার হুকুম দিলেও রানীকে তিনি প্রাণ দিয়ে ভালবাসতেন। রানীকে যখন কাঠের খুঁটিতে বেঁধে ফেলা হল আর আগুনের জিভ যখন লক-লক করে উঠে রানীর কাপড়ের কাছে প্রায় এগিয়ে এল, ঠিক সেই সময় সাত বছর পূর্ণ হল।
সঙ্গে সঙ্গে কোথা থেকে একটা খস্-খস্ শব্দ শোনা গেল, আর বারোটি দাঁড়কাক উড়তে উড়তে এসে মাটিতে নামল। যেই তারা মাটিতে পা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তারা বারোটি রাজকুমার হয়ে গেল। তারা আগুনের উপর দিয়ে লাফিয়ে গিয়ে তাদের বোনকে মুক্ত করে আগুন নিভিয়ে দিলে।
রানীর মুখে কথা ফুটল। রানীর মুখে হাসি ফুটল। রানী তখন সব কথা খুলে বললেন। কেন তিনি এতদিন বোবা ছিলেন তা বললেন। এতদিন কেন তিনি হাসেন নি তা বললেন। রাজা শুনে ভারি আহ্লাদ পেলেন। আর সেই থেকে সুখে স্বচ্ছন্দে কাল কাটাতে লাগলেন। আর বুড়ি শাশুড়ি হিংসেয় ফেটে মরে গেল।
নোট নিতে এবং টেক্সট হাইলাইট করতে লগইন করুন
লগইন